আজকের পত্রিকা ডেস্ক
২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে ওটিটি বা ওভার দ্য টপ প্ল্যাটফর্ম সেবায় ১০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। তাতে নেটফ্লিক্স, চরকি, বঙ্গসহ বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে সিনেমা, সিরিজসহ বিভিন্ন কনটেন্ট দেখতে বাড়তি খরচ গুনতে হবে দর্শকদের।
আজ সোমবার রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যমে এ প্রস্তাব রেখেছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। বর্তমানে ২ শতাংশ অগ্রিম আয়কর ও ১৫ শতাংশ ভ্যাট গুনতে হয়।
স্টাটিস্টার হিসাবে, ২০২৫ সাল নাগাদ বাংলাদেশে ওটিটির বাজার দাঁড়াবে প্রায় তিন হাজার কোটি টাকায়। কোভিড মহামারির ঘরবন্দী সময়ে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও জনপ্রিয়তা পায় ওটিটি প্ল্যাটফর্ম। বিদেশি কয়েকটি প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে জনপ্রিয়ও হয়ে উঠেছে দেশি প্ল্যাটফর্মগুলোও।
দেশে এখন নিয়মিত কনটেন্ট দেখার সুযোগ তৈরি করে দিচ্ছে চরকি, বঙ্গ, বায়োস্কোপ, বিঞ্জ, আইস্ক্রিন, দীপ্ত প্লের মতো ওটিটি প্ল্যাটফর্মগুলো। সেই সঙ্গে হইচই, নেটফ্লিক্সের মতো বৈশ্বিক প্ল্যাটফর্মগুলোও দর্শকদের মধ্যে জনপ্রিয়।
‘তকদির’, ‘কন্ট্রাক্ট’, ‘মানি হানি’, ‘মহানগর’, ‘ইতি, তোমারই ঢাকা’, ‘ঊণলৌকিক’, ‘লেডিস অ্যান্ড জেন্টেলমেন’-এর মতো ওয়েব সিরিজ দেশে তুমুল জনপ্রিয়তা পেয়েছে।
সম্পূরক শুল্ক আরোপ করায় ওটিটি ইন্ডাস্ট্রি ক্ষতির মুখে পড়বে বলে মনে করছেন খাতসংশ্লিষ্টরা। রাফসুন এ আহমেদ নামের এক চলচ্চিত্র প্রযোজক ফেসবুকে লিখেছেন, ‘ওটিটি প্ল্যাটফর্ম সেবার ওপর ১০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপের প্রস্তাব ‘দুর্বল ও দূরদৃষ্টিহীন’ সিদ্ধান্ত, যা দেশের ডিজিটাল অর্থনীতি এবং উদ্ভাবনী শিল্পের বিকাশকে সরাসরি আঘাত করবে। এই পদক্ষেপ কেবল ভোক্তাদের পকেট কাটবে না, বরং এটি নতুন বাংলাদেশের যাত্রাপথ ব্যাহত করার বড় কারণ হয়ে দাঁড়াবে।’
রাফসুন লিখেছেন, ‘সরকার এক হাতে নয়া বাংলাদেশের কথা বলছে, আর অন্য হাতে ডিজিটাল সেবার ওপর করের বোঝা চাপিয়ে দিচ্ছে। এই ১০% শুল্কের সরাসরি প্রভাব পড়বে সাধারণ মানুষের ওপর। যারা সস্তায় বিনোদন বা শিক্ষামূলক কনটেন্ট খুঁজছেন, তাদের জন্য এই খরচ একটি অযৌক্তিক বোঝা। নেটফ্লিক্স, চরকি বা বঙ্গ-এর মতো প্ল্যাটফর্মগুলো এখন আর কেবল বিলাসিতা নয়, বরং অনেকের জন্য তথ্য, বিনোদন এবং শেখার মাধ্যম। এই শুল্কের মাধ্যমে সরকার ডিজিটাল সেবাকে সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে ঠেলে দিচ্ছে। এটি দেশের সিংহভাগ মধ্যবিত্ত ও নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারকে ডিজিটাল দুনিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন করার শামিল।’
রাফসুন ফেসবুক পোস্টে আরও বলেন, ‘আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মগুলোর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে যখন দেশীয় ওটিটি প্ল্যাটফর্মগুলো (যেমন চরকি, বায়োস্কোপ, টফি) নিজেদের অবস্থান তৈরি করতে প্রাণপণ চেষ্টা করছে, তখন এই ১০% সম্পূরক শুল্ক তাদের জন্য মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা। এই সিদ্ধান্ত দেশীয় উদ্যোক্তাদের নিরুৎসাহিত করবে এবং নতুন বিনিয়োগের পথ বন্ধ করে দেবে। এটি এমন একটি সিদ্ধান্ত নেয় যা দেশীয় ডিজিটাল বিনোদন শিল্পের মেরুদণ্ড ভেঙে দেবে। এটি আসলে আত্মঘাতী একটি সিদ্ধান্ত, যা বিদেশি প্ল্যাটফর্মগুলোকে আরও শক্তিশালী করবে এবং দেশীয় প্ল্যাটফর্মগুলোকে টিকে থাকার লড়াইয়ে আরও বিপদে ফেলবে।’
তিনি বলেন, ‘দেশের কর কাঠামোর দুর্বলতা, কর ফাঁকি এবং দুর্নীতির লাগাম টেনে না ধরে উদীয়মান খাতগুলোর ওপর নতুন নতুন কর চাপানো সরকারের অদক্ষতা এবং অদূরদর্শিতার প্রমাণ। ওটিটি শুল্ক আসলে রাজস্ব আদায়ের একটি সহজ কিন্তু ভুল পদ্ধতি, যা দীর্ঘ মেয়াদে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। ওটিটি সেবার ওপর এই ১০% সম্পূরক শুল্ক কেবল একটি আর্থিক বোঝা নয়, এটি ডিজিটাল অগ্রগতির পথে একটি সুস্পষ্ট প্রতিবন্ধকতা। সরকারের উচিত অবিলম্বে এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা এবং ডিজিটাল অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে আরও সহায়ক নীতিমালা গ্রহণ করা।’
২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে ওটিটি বা ওভার দ্য টপ প্ল্যাটফর্ম সেবায় ১০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। তাতে নেটফ্লিক্স, চরকি, বঙ্গসহ বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে সিনেমা, সিরিজসহ বিভিন্ন কনটেন্ট দেখতে বাড়তি খরচ গুনতে হবে দর্শকদের।
আজ সোমবার রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যমে এ প্রস্তাব রেখেছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। বর্তমানে ২ শতাংশ অগ্রিম আয়কর ও ১৫ শতাংশ ভ্যাট গুনতে হয়।
স্টাটিস্টার হিসাবে, ২০২৫ সাল নাগাদ বাংলাদেশে ওটিটির বাজার দাঁড়াবে প্রায় তিন হাজার কোটি টাকায়। কোভিড মহামারির ঘরবন্দী সময়ে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও জনপ্রিয়তা পায় ওটিটি প্ল্যাটফর্ম। বিদেশি কয়েকটি প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে জনপ্রিয়ও হয়ে উঠেছে দেশি প্ল্যাটফর্মগুলোও।
দেশে এখন নিয়মিত কনটেন্ট দেখার সুযোগ তৈরি করে দিচ্ছে চরকি, বঙ্গ, বায়োস্কোপ, বিঞ্জ, আইস্ক্রিন, দীপ্ত প্লের মতো ওটিটি প্ল্যাটফর্মগুলো। সেই সঙ্গে হইচই, নেটফ্লিক্সের মতো বৈশ্বিক প্ল্যাটফর্মগুলোও দর্শকদের মধ্যে জনপ্রিয়।
‘তকদির’, ‘কন্ট্রাক্ট’, ‘মানি হানি’, ‘মহানগর’, ‘ইতি, তোমারই ঢাকা’, ‘ঊণলৌকিক’, ‘লেডিস অ্যান্ড জেন্টেলমেন’-এর মতো ওয়েব সিরিজ দেশে তুমুল জনপ্রিয়তা পেয়েছে।
সম্পূরক শুল্ক আরোপ করায় ওটিটি ইন্ডাস্ট্রি ক্ষতির মুখে পড়বে বলে মনে করছেন খাতসংশ্লিষ্টরা। রাফসুন এ আহমেদ নামের এক চলচ্চিত্র প্রযোজক ফেসবুকে লিখেছেন, ‘ওটিটি প্ল্যাটফর্ম সেবার ওপর ১০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপের প্রস্তাব ‘দুর্বল ও দূরদৃষ্টিহীন’ সিদ্ধান্ত, যা দেশের ডিজিটাল অর্থনীতি এবং উদ্ভাবনী শিল্পের বিকাশকে সরাসরি আঘাত করবে। এই পদক্ষেপ কেবল ভোক্তাদের পকেট কাটবে না, বরং এটি নতুন বাংলাদেশের যাত্রাপথ ব্যাহত করার বড় কারণ হয়ে দাঁড়াবে।’
রাফসুন লিখেছেন, ‘সরকার এক হাতে নয়া বাংলাদেশের কথা বলছে, আর অন্য হাতে ডিজিটাল সেবার ওপর করের বোঝা চাপিয়ে দিচ্ছে। এই ১০% শুল্কের সরাসরি প্রভাব পড়বে সাধারণ মানুষের ওপর। যারা সস্তায় বিনোদন বা শিক্ষামূলক কনটেন্ট খুঁজছেন, তাদের জন্য এই খরচ একটি অযৌক্তিক বোঝা। নেটফ্লিক্স, চরকি বা বঙ্গ-এর মতো প্ল্যাটফর্মগুলো এখন আর কেবল বিলাসিতা নয়, বরং অনেকের জন্য তথ্য, বিনোদন এবং শেখার মাধ্যম। এই শুল্কের মাধ্যমে সরকার ডিজিটাল সেবাকে সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে ঠেলে দিচ্ছে। এটি দেশের সিংহভাগ মধ্যবিত্ত ও নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারকে ডিজিটাল দুনিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন করার শামিল।’
রাফসুন ফেসবুক পোস্টে আরও বলেন, ‘আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মগুলোর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে যখন দেশীয় ওটিটি প্ল্যাটফর্মগুলো (যেমন চরকি, বায়োস্কোপ, টফি) নিজেদের অবস্থান তৈরি করতে প্রাণপণ চেষ্টা করছে, তখন এই ১০% সম্পূরক শুল্ক তাদের জন্য মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা। এই সিদ্ধান্ত দেশীয় উদ্যোক্তাদের নিরুৎসাহিত করবে এবং নতুন বিনিয়োগের পথ বন্ধ করে দেবে। এটি এমন একটি সিদ্ধান্ত নেয় যা দেশীয় ডিজিটাল বিনোদন শিল্পের মেরুদণ্ড ভেঙে দেবে। এটি আসলে আত্মঘাতী একটি সিদ্ধান্ত, যা বিদেশি প্ল্যাটফর্মগুলোকে আরও শক্তিশালী করবে এবং দেশীয় প্ল্যাটফর্মগুলোকে টিকে থাকার লড়াইয়ে আরও বিপদে ফেলবে।’
তিনি বলেন, ‘দেশের কর কাঠামোর দুর্বলতা, কর ফাঁকি এবং দুর্নীতির লাগাম টেনে না ধরে উদীয়মান খাতগুলোর ওপর নতুন নতুন কর চাপানো সরকারের অদক্ষতা এবং অদূরদর্শিতার প্রমাণ। ওটিটি শুল্ক আসলে রাজস্ব আদায়ের একটি সহজ কিন্তু ভুল পদ্ধতি, যা দীর্ঘ মেয়াদে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। ওটিটি সেবার ওপর এই ১০% সম্পূরক শুল্ক কেবল একটি আর্থিক বোঝা নয়, এটি ডিজিটাল অগ্রগতির পথে একটি সুস্পষ্ট প্রতিবন্ধকতা। সরকারের উচিত অবিলম্বে এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা এবং ডিজিটাল অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে আরও সহায়ক নীতিমালা গ্রহণ করা।’
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে রামচন্দ্রপুর খালে দুই দিনের পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে। গত ২০ ও ২১ জুন তারিখে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি), ফুটস্টেপস বাংলাদেশের সঙ্গে যৌথভাবে এই কার্যক্রমে অংশ নেয় আইডিএলসি ফাইন্যান্স।
১৮ মিনিট আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেট অনুমোদিত হয়েছে। আজ রোববার এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
১ ঘণ্টা আগেদেশীয় মৌসুমি ফলের সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় রাজধানীর ফলের বাজারে নেমেছে স্বস্তির ছোঁয়া। আম, কাঁঠাল, লিচু, লটকন, পেয়ারা, আনারস, ড্রাগনের মতো ফলের প্রাচুর্যে শুধু দেশীয় ফল নয়; দাম কমেছে আমদানিকৃত আপেল, মাল্টা, আঙুরেরও।
১০ ঘণ্টা আগেবেনাপোল স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমে ব্যবসায়ীদের খরচ বাড়ছে। হ্যান্ডলিংয়ের আগে পণ্য চালান পরীক্ষার নামে এই অতিরিক্ত খরচ চাপ দিচ্ছে। প্রতিটি চালানে ১৫-২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত অতিরিক্ত ব্যয় হচ্ছে। কখনো কখনো রিপোর্ট পেতে সময় লাগছে এক মাসেরও বেশি, আর ওই সময় পণ্য বন্দরে আটকা পড়ে।
১৪ ঘণ্টা আগে