বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা

গ্রামীণ ব্যাংকের ওপর থেকে সরকারের একক কর্তৃক ঝেড়ে ফেলতে আইনে সংশোধনী এনে নতুন অধ্যাদেশ জারি করতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে আজ বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের সভায় গ্রামীণ ব্যাংক (সংশোধন) অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদনের জন্য উত্থাপনের কথা রয়েছে বলে সূত্র জানিয়েছে।
নতুন এই অধ্যাদেশ জারি হলে সরকার ব্যাংকটিতে শুধু দুজন পরিচালক নিয়োগ দিতে পারবে। এর বাইরে সব ক্ষমতা বোর্ডের হাতে ন্যস্ত হবে। এ ছাড়া গ্রামীণ ব্যাংকের মালিকানায় সরকারের অংশ কমে ঋণগ্রহীতাদের মালিকানার পরিমাণ বাড়বে।
গ্রামীণ ব্যাংকের ২৫ শতাংশ মালিকানা এখন আছে সরকারে হাতে; বাকি ৭৫ শতাংশ ঋণগ্রহীতাদের। সংশোধিত খসড়ায় ব্যাংকটিতে সরকারের মালিকানা কমিয়ে ১০ এবং বাকি ৯০ শতাংশ ঋণগ্রহীতাদের দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। ব্যাংকের ঋণগ্রহীতা ক্রমান্বয়ে পরিশোধিত মূলধন বাড়িয়ে ৯০ শতাংশের অনুপাত অর্জন করতে পারবেন। বর্তমান গ্রামীণ ব্যাংকের পরিশোধিত শেয়ার মূলধন বাড়ানোর ক্ষমতা সরকারের হাতে থাকলেও এটিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের হাতে দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে।
বিদ্যমান আইন অনুযায়ী, সরকার নিযুক্ত তিনজন এবং ব্যাংকের শেয়ার হোল্ডার নির্বাচিত ৯ জন পরিচালককে নিয়ে বোর্ড গঠন হয়। এই বিধান বদলে সরকার নিযুক্ত দুজন এবং শেয়ারহোল্ডার নিযুক্ত ১০ জন পরিচালক নিয়ে বোর্ড গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে।
পরিচালকদের মধ্য থেকে একজনকে গ্রামীণ ব্যাংকের বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দিত সরকার। এখন বোর্ড চেয়ারম্যান নিয়োগের এখতিয়ার বোর্ডের হাতে দেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে চেয়ারম্যানের পদ শূন্য হলে বা তাঁর অনুপস্থিতিতে ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছাড়া অন্য যেকোনো পরিচালককে সরকার চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনের ক্ষমতা দিতে পারে। এই নিয়ম পরিবর্তন করে অধ্যাদেশের খসড়ায় বলা হয়েছে, চেয়ারম্যানের পদ শূন্য হলে বা তাঁর অনুপস্থিতিতে ব্যবস্থাপনা পরিচালক বাদে পরিচালকদের মধ্য থেকে অন্য যে কাউকে বোর্ড চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনের ক্ষমতা দেওয়া যাবে।
বর্তমান আইনে নির্বাচিত পরিচালকদের মেয়াদ ধরা আছে তিন বছর। এটিকে সংশোধন করে নির্বাচিত পরিচালকদের মেয়াদ তিন বছর রাখা হলেও পরবর্তী নির্বাচিত পরিচালক দায়িত্ব গ্রহণের আগপর্যন্ত তাঁদের পরিচালক পদে বহাল রাখার নিয়ম যুক্ত করা হচ্ছে।
বিদ্যমান আইন অনুযায়ী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়োগের জন্য চেয়ারম্যানের সঙ্গে পরামর্শ করে বাছাই কমিটি গঠন করা হয়। এটিকে পরিবর্তন করে বাছাই কমিটি গঠনের এখতিয়ার বোর্ডের হাতে দেওয়া হচ্ছে।
আইন অনুযায়ী ব্যবস্থাপনা পরিচালক ৬০ বছর পর্যন্ত চাকরিতে বহাল থাকতে পারেন। সংশোধিত খসড়ায় একই নিয়ম রেখে সেখানে একটি শর্ত জুড়ে দিয়ে বলা হয়েছে, বোর্ডের বিবেচনায় ব্যাংকের কার্যক্রম পরিচালনার স্বার্থে বোর্ড ব্যবস্থাপনা পরিচালকের চাকরিকাল সর্বোচ্চ ৬৫ বছর বয়স পর্যন্ত বাড়াতে পারবে।
ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ শূন্য হলে বা তাঁর অনুপস্থিতিতে বা তিনি দায়িত্ব পালনে অসমর্থ হলে শূন্য পদে নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক দায়িত্ব গ্রহণ না করা পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন নিয়ে বোর্ড ব্যাংকের কোনো ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব দিতে পারে। এই নিয়ম বদলে সর্বোচ্চ তিন মাস ব্যবস্থাপনা পরিচালক দায়িত্ব গ্রহণ না করলে বোর্ড তাদের একক সিদ্ধান্তে ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ পূরণ করার বিধান যুক্ত করা হচ্ছে।
বর্তমান আইন অনুযায়ী, চেয়ারম্যান বা সরকার কর্তৃক নিযুক্ত পরিচালক সরকারের কাছে পদত্যাগ করতে পারেন। আর ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা নির্বাচিত পরিচালক চেয়ারম্যানের কাছে পদত্যাগ করেন। তবে সরকার বা ক্ষেত্রমতে চেয়ারম্যান কর্তৃক গৃহীত না হওয়া পর্যন্ত কোনো পদত্যাগ কার্যকর হয় না। নতুন আইন কার্যকর হলে চেয়ারম্যান বা ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা নির্বাচিত পরিচালকেরা বোর্ডের কাছে পদত্যাগ করতে পারবেন। তবে বোর্ড পদত্যাগপত্র গ্রহণ না করা পর্যন্ত ওই পদত্যাগ কার্যকর হবে না। সরকার মনোনীত পরিচালকদের সরকারের কাছে পদত্যাগ করতে হবে। এরপর সরকার তা অনুমোদন করে বোর্ডের কাছে পাঠালে তা বোর্ডের কাছে গৃহীত হয়েছে বলে গণ্য করা হবে।
বর্তমানে চেয়ারম্যান ও তিনজন পরিচালকের উপস্থিতিতে কোরাম হয়। এটিকে বদলে দিয়ে চেয়ারম্যান ও চারজন পরিচালকের উপস্থিতিতে কোরাম হবে। বর্তমান আইনে বলা আছে, নির্বাচিত পরিচালকের পদ শূন্য হলে বিধি দিয়ে নির্ধারিত পদ্ধতিতে পরিচালক নির্বাচিত না হওয়া পর্যন্ত চেয়ারম্যান এবং সরকার নিযুক্ত দুজন পরিচালকের উপস্থিতিতে সভার কোরাম হবে। এই উপধারা বিলুপ্ত করা হচ্ছে।
কোনো কারণে চেয়ারম্যান বোর্ডের সভায় উপস্থিত হতে না পারলে উপস্থিত পরিচালকেরা সরকার থেকে নিযুক্ত পরিচালকদের মধ্য থেকে সভাপতিত্ব করার জন্য একজনকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করতে পারেন। বিদ্যমান আইনের এই ধারা পরিবর্তন করে নতুন খসড়ায় বলা হয়েছে, কোনো কারণে চেয়ারম্যান বোর্ডের সভায় উপস্থিত হতে না পারলে উপস্থিত পরিচালকেরা ব্যবস্থাপনা পরিচালক বাদে অন্য যেকোনো পরিচালককে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করতে পারবেন।
বাংলাদেশ চার্টার্ড অ্যাকাউন্টস অর্ডার, ১৯৭৩ অনুযায়ী, বর্তমানে দুটি চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট ফার্ম দ্বারা প্রতিবছর ব্যাংকের হিসাব নিরীক্ষা করা হয়। এই নিয়ম পরিবর্তন করতে সংশোধিত আইনের খসড়ায় বলা হয়েছে, এই আইনের অধীন প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ ব্যাংক ফাইন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং আইন, ২০১৫-এর ২(৮) ধারায় সংজ্ঞায়িত জনস্বার্থ সংস্থা হিসেবে বিবেচিত হবে। ফলে আইনে যা-ই থাকুক না কেন, জনস্বার্থ সংস্থা হিসেবে গ্রামীণ ব্যাংকের দায়িত্ব হবে ওই আইনের আওতায় গঠিত ফাইন্যান্সিয়াল কাউন্সিলের তালিকাভুক্ত নিরীক্ষক দিয়ে ব্যাংকের হিসাব নিরীক্ষা করা।
১৯৮৩ সালে প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে দীর্ঘ ২৮ বছর গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস, যিনি এখন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান। ক্ষুদ্রঋণের মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচনের চেষ্টার স্বীকৃতি হিসেবে ২০০৬ সালে গ্রামীণ ব্যাংক ও মুহাম্মদ ইউনূসকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়।

গ্রামীণ ব্যাংকের ওপর থেকে সরকারের একক কর্তৃক ঝেড়ে ফেলতে আইনে সংশোধনী এনে নতুন অধ্যাদেশ জারি করতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে আজ বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের সভায় গ্রামীণ ব্যাংক (সংশোধন) অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদনের জন্য উত্থাপনের কথা রয়েছে বলে সূত্র জানিয়েছে।
নতুন এই অধ্যাদেশ জারি হলে সরকার ব্যাংকটিতে শুধু দুজন পরিচালক নিয়োগ দিতে পারবে। এর বাইরে সব ক্ষমতা বোর্ডের হাতে ন্যস্ত হবে। এ ছাড়া গ্রামীণ ব্যাংকের মালিকানায় সরকারের অংশ কমে ঋণগ্রহীতাদের মালিকানার পরিমাণ বাড়বে।
গ্রামীণ ব্যাংকের ২৫ শতাংশ মালিকানা এখন আছে সরকারে হাতে; বাকি ৭৫ শতাংশ ঋণগ্রহীতাদের। সংশোধিত খসড়ায় ব্যাংকটিতে সরকারের মালিকানা কমিয়ে ১০ এবং বাকি ৯০ শতাংশ ঋণগ্রহীতাদের দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। ব্যাংকের ঋণগ্রহীতা ক্রমান্বয়ে পরিশোধিত মূলধন বাড়িয়ে ৯০ শতাংশের অনুপাত অর্জন করতে পারবেন। বর্তমান গ্রামীণ ব্যাংকের পরিশোধিত শেয়ার মূলধন বাড়ানোর ক্ষমতা সরকারের হাতে থাকলেও এটিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের হাতে দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে।
বিদ্যমান আইন অনুযায়ী, সরকার নিযুক্ত তিনজন এবং ব্যাংকের শেয়ার হোল্ডার নির্বাচিত ৯ জন পরিচালককে নিয়ে বোর্ড গঠন হয়। এই বিধান বদলে সরকার নিযুক্ত দুজন এবং শেয়ারহোল্ডার নিযুক্ত ১০ জন পরিচালক নিয়ে বোর্ড গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে।
পরিচালকদের মধ্য থেকে একজনকে গ্রামীণ ব্যাংকের বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দিত সরকার। এখন বোর্ড চেয়ারম্যান নিয়োগের এখতিয়ার বোর্ডের হাতে দেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে চেয়ারম্যানের পদ শূন্য হলে বা তাঁর অনুপস্থিতিতে ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছাড়া অন্য যেকোনো পরিচালককে সরকার চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনের ক্ষমতা দিতে পারে। এই নিয়ম পরিবর্তন করে অধ্যাদেশের খসড়ায় বলা হয়েছে, চেয়ারম্যানের পদ শূন্য হলে বা তাঁর অনুপস্থিতিতে ব্যবস্থাপনা পরিচালক বাদে পরিচালকদের মধ্য থেকে অন্য যে কাউকে বোর্ড চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনের ক্ষমতা দেওয়া যাবে।
বর্তমান আইনে নির্বাচিত পরিচালকদের মেয়াদ ধরা আছে তিন বছর। এটিকে সংশোধন করে নির্বাচিত পরিচালকদের মেয়াদ তিন বছর রাখা হলেও পরবর্তী নির্বাচিত পরিচালক দায়িত্ব গ্রহণের আগপর্যন্ত তাঁদের পরিচালক পদে বহাল রাখার নিয়ম যুক্ত করা হচ্ছে।
বিদ্যমান আইন অনুযায়ী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়োগের জন্য চেয়ারম্যানের সঙ্গে পরামর্শ করে বাছাই কমিটি গঠন করা হয়। এটিকে পরিবর্তন করে বাছাই কমিটি গঠনের এখতিয়ার বোর্ডের হাতে দেওয়া হচ্ছে।
আইন অনুযায়ী ব্যবস্থাপনা পরিচালক ৬০ বছর পর্যন্ত চাকরিতে বহাল থাকতে পারেন। সংশোধিত খসড়ায় একই নিয়ম রেখে সেখানে একটি শর্ত জুড়ে দিয়ে বলা হয়েছে, বোর্ডের বিবেচনায় ব্যাংকের কার্যক্রম পরিচালনার স্বার্থে বোর্ড ব্যবস্থাপনা পরিচালকের চাকরিকাল সর্বোচ্চ ৬৫ বছর বয়স পর্যন্ত বাড়াতে পারবে।
ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ শূন্য হলে বা তাঁর অনুপস্থিতিতে বা তিনি দায়িত্ব পালনে অসমর্থ হলে শূন্য পদে নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক দায়িত্ব গ্রহণ না করা পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন নিয়ে বোর্ড ব্যাংকের কোনো ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব দিতে পারে। এই নিয়ম বদলে সর্বোচ্চ তিন মাস ব্যবস্থাপনা পরিচালক দায়িত্ব গ্রহণ না করলে বোর্ড তাদের একক সিদ্ধান্তে ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ পূরণ করার বিধান যুক্ত করা হচ্ছে।
বর্তমান আইন অনুযায়ী, চেয়ারম্যান বা সরকার কর্তৃক নিযুক্ত পরিচালক সরকারের কাছে পদত্যাগ করতে পারেন। আর ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা নির্বাচিত পরিচালক চেয়ারম্যানের কাছে পদত্যাগ করেন। তবে সরকার বা ক্ষেত্রমতে চেয়ারম্যান কর্তৃক গৃহীত না হওয়া পর্যন্ত কোনো পদত্যাগ কার্যকর হয় না। নতুন আইন কার্যকর হলে চেয়ারম্যান বা ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা নির্বাচিত পরিচালকেরা বোর্ডের কাছে পদত্যাগ করতে পারবেন। তবে বোর্ড পদত্যাগপত্র গ্রহণ না করা পর্যন্ত ওই পদত্যাগ কার্যকর হবে না। সরকার মনোনীত পরিচালকদের সরকারের কাছে পদত্যাগ করতে হবে। এরপর সরকার তা অনুমোদন করে বোর্ডের কাছে পাঠালে তা বোর্ডের কাছে গৃহীত হয়েছে বলে গণ্য করা হবে।
বর্তমানে চেয়ারম্যান ও তিনজন পরিচালকের উপস্থিতিতে কোরাম হয়। এটিকে বদলে দিয়ে চেয়ারম্যান ও চারজন পরিচালকের উপস্থিতিতে কোরাম হবে। বর্তমান আইনে বলা আছে, নির্বাচিত পরিচালকের পদ শূন্য হলে বিধি দিয়ে নির্ধারিত পদ্ধতিতে পরিচালক নির্বাচিত না হওয়া পর্যন্ত চেয়ারম্যান এবং সরকার নিযুক্ত দুজন পরিচালকের উপস্থিতিতে সভার কোরাম হবে। এই উপধারা বিলুপ্ত করা হচ্ছে।
কোনো কারণে চেয়ারম্যান বোর্ডের সভায় উপস্থিত হতে না পারলে উপস্থিত পরিচালকেরা সরকার থেকে নিযুক্ত পরিচালকদের মধ্য থেকে সভাপতিত্ব করার জন্য একজনকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করতে পারেন। বিদ্যমান আইনের এই ধারা পরিবর্তন করে নতুন খসড়ায় বলা হয়েছে, কোনো কারণে চেয়ারম্যান বোর্ডের সভায় উপস্থিত হতে না পারলে উপস্থিত পরিচালকেরা ব্যবস্থাপনা পরিচালক বাদে অন্য যেকোনো পরিচালককে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করতে পারবেন।
বাংলাদেশ চার্টার্ড অ্যাকাউন্টস অর্ডার, ১৯৭৩ অনুযায়ী, বর্তমানে দুটি চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট ফার্ম দ্বারা প্রতিবছর ব্যাংকের হিসাব নিরীক্ষা করা হয়। এই নিয়ম পরিবর্তন করতে সংশোধিত আইনের খসড়ায় বলা হয়েছে, এই আইনের অধীন প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ ব্যাংক ফাইন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং আইন, ২০১৫-এর ২(৮) ধারায় সংজ্ঞায়িত জনস্বার্থ সংস্থা হিসেবে বিবেচিত হবে। ফলে আইনে যা-ই থাকুক না কেন, জনস্বার্থ সংস্থা হিসেবে গ্রামীণ ব্যাংকের দায়িত্ব হবে ওই আইনের আওতায় গঠিত ফাইন্যান্সিয়াল কাউন্সিলের তালিকাভুক্ত নিরীক্ষক দিয়ে ব্যাংকের হিসাব নিরীক্ষা করা।
১৯৮৩ সালে প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে দীর্ঘ ২৮ বছর গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস, যিনি এখন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান। ক্ষুদ্রঋণের মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচনের চেষ্টার স্বীকৃতি হিসেবে ২০০৬ সালে গ্রামীণ ব্যাংক ও মুহাম্মদ ইউনূসকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়।
বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা

গ্রামীণ ব্যাংকের ওপর থেকে সরকারের একক কর্তৃক ঝেড়ে ফেলতে আইনে সংশোধনী এনে নতুন অধ্যাদেশ জারি করতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে আজ বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের সভায় গ্রামীণ ব্যাংক (সংশোধন) অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদনের জন্য উত্থাপনের কথা রয়েছে বলে সূত্র জানিয়েছে।
নতুন এই অধ্যাদেশ জারি হলে সরকার ব্যাংকটিতে শুধু দুজন পরিচালক নিয়োগ দিতে পারবে। এর বাইরে সব ক্ষমতা বোর্ডের হাতে ন্যস্ত হবে। এ ছাড়া গ্রামীণ ব্যাংকের মালিকানায় সরকারের অংশ কমে ঋণগ্রহীতাদের মালিকানার পরিমাণ বাড়বে।
গ্রামীণ ব্যাংকের ২৫ শতাংশ মালিকানা এখন আছে সরকারে হাতে; বাকি ৭৫ শতাংশ ঋণগ্রহীতাদের। সংশোধিত খসড়ায় ব্যাংকটিতে সরকারের মালিকানা কমিয়ে ১০ এবং বাকি ৯০ শতাংশ ঋণগ্রহীতাদের দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। ব্যাংকের ঋণগ্রহীতা ক্রমান্বয়ে পরিশোধিত মূলধন বাড়িয়ে ৯০ শতাংশের অনুপাত অর্জন করতে পারবেন। বর্তমান গ্রামীণ ব্যাংকের পরিশোধিত শেয়ার মূলধন বাড়ানোর ক্ষমতা সরকারের হাতে থাকলেও এটিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের হাতে দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে।
বিদ্যমান আইন অনুযায়ী, সরকার নিযুক্ত তিনজন এবং ব্যাংকের শেয়ার হোল্ডার নির্বাচিত ৯ জন পরিচালককে নিয়ে বোর্ড গঠন হয়। এই বিধান বদলে সরকার নিযুক্ত দুজন এবং শেয়ারহোল্ডার নিযুক্ত ১০ জন পরিচালক নিয়ে বোর্ড গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে।
পরিচালকদের মধ্য থেকে একজনকে গ্রামীণ ব্যাংকের বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দিত সরকার। এখন বোর্ড চেয়ারম্যান নিয়োগের এখতিয়ার বোর্ডের হাতে দেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে চেয়ারম্যানের পদ শূন্য হলে বা তাঁর অনুপস্থিতিতে ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছাড়া অন্য যেকোনো পরিচালককে সরকার চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনের ক্ষমতা দিতে পারে। এই নিয়ম পরিবর্তন করে অধ্যাদেশের খসড়ায় বলা হয়েছে, চেয়ারম্যানের পদ শূন্য হলে বা তাঁর অনুপস্থিতিতে ব্যবস্থাপনা পরিচালক বাদে পরিচালকদের মধ্য থেকে অন্য যে কাউকে বোর্ড চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনের ক্ষমতা দেওয়া যাবে।
বর্তমান আইনে নির্বাচিত পরিচালকদের মেয়াদ ধরা আছে তিন বছর। এটিকে সংশোধন করে নির্বাচিত পরিচালকদের মেয়াদ তিন বছর রাখা হলেও পরবর্তী নির্বাচিত পরিচালক দায়িত্ব গ্রহণের আগপর্যন্ত তাঁদের পরিচালক পদে বহাল রাখার নিয়ম যুক্ত করা হচ্ছে।
বিদ্যমান আইন অনুযায়ী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়োগের জন্য চেয়ারম্যানের সঙ্গে পরামর্শ করে বাছাই কমিটি গঠন করা হয়। এটিকে পরিবর্তন করে বাছাই কমিটি গঠনের এখতিয়ার বোর্ডের হাতে দেওয়া হচ্ছে।
আইন অনুযায়ী ব্যবস্থাপনা পরিচালক ৬০ বছর পর্যন্ত চাকরিতে বহাল থাকতে পারেন। সংশোধিত খসড়ায় একই নিয়ম রেখে সেখানে একটি শর্ত জুড়ে দিয়ে বলা হয়েছে, বোর্ডের বিবেচনায় ব্যাংকের কার্যক্রম পরিচালনার স্বার্থে বোর্ড ব্যবস্থাপনা পরিচালকের চাকরিকাল সর্বোচ্চ ৬৫ বছর বয়স পর্যন্ত বাড়াতে পারবে।
ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ শূন্য হলে বা তাঁর অনুপস্থিতিতে বা তিনি দায়িত্ব পালনে অসমর্থ হলে শূন্য পদে নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক দায়িত্ব গ্রহণ না করা পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন নিয়ে বোর্ড ব্যাংকের কোনো ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব দিতে পারে। এই নিয়ম বদলে সর্বোচ্চ তিন মাস ব্যবস্থাপনা পরিচালক দায়িত্ব গ্রহণ না করলে বোর্ড তাদের একক সিদ্ধান্তে ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ পূরণ করার বিধান যুক্ত করা হচ্ছে।
বর্তমান আইন অনুযায়ী, চেয়ারম্যান বা সরকার কর্তৃক নিযুক্ত পরিচালক সরকারের কাছে পদত্যাগ করতে পারেন। আর ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা নির্বাচিত পরিচালক চেয়ারম্যানের কাছে পদত্যাগ করেন। তবে সরকার বা ক্ষেত্রমতে চেয়ারম্যান কর্তৃক গৃহীত না হওয়া পর্যন্ত কোনো পদত্যাগ কার্যকর হয় না। নতুন আইন কার্যকর হলে চেয়ারম্যান বা ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা নির্বাচিত পরিচালকেরা বোর্ডের কাছে পদত্যাগ করতে পারবেন। তবে বোর্ড পদত্যাগপত্র গ্রহণ না করা পর্যন্ত ওই পদত্যাগ কার্যকর হবে না। সরকার মনোনীত পরিচালকদের সরকারের কাছে পদত্যাগ করতে হবে। এরপর সরকার তা অনুমোদন করে বোর্ডের কাছে পাঠালে তা বোর্ডের কাছে গৃহীত হয়েছে বলে গণ্য করা হবে।
বর্তমানে চেয়ারম্যান ও তিনজন পরিচালকের উপস্থিতিতে কোরাম হয়। এটিকে বদলে দিয়ে চেয়ারম্যান ও চারজন পরিচালকের উপস্থিতিতে কোরাম হবে। বর্তমান আইনে বলা আছে, নির্বাচিত পরিচালকের পদ শূন্য হলে বিধি দিয়ে নির্ধারিত পদ্ধতিতে পরিচালক নির্বাচিত না হওয়া পর্যন্ত চেয়ারম্যান এবং সরকার নিযুক্ত দুজন পরিচালকের উপস্থিতিতে সভার কোরাম হবে। এই উপধারা বিলুপ্ত করা হচ্ছে।
কোনো কারণে চেয়ারম্যান বোর্ডের সভায় উপস্থিত হতে না পারলে উপস্থিত পরিচালকেরা সরকার থেকে নিযুক্ত পরিচালকদের মধ্য থেকে সভাপতিত্ব করার জন্য একজনকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করতে পারেন। বিদ্যমান আইনের এই ধারা পরিবর্তন করে নতুন খসড়ায় বলা হয়েছে, কোনো কারণে চেয়ারম্যান বোর্ডের সভায় উপস্থিত হতে না পারলে উপস্থিত পরিচালকেরা ব্যবস্থাপনা পরিচালক বাদে অন্য যেকোনো পরিচালককে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করতে পারবেন।
বাংলাদেশ চার্টার্ড অ্যাকাউন্টস অর্ডার, ১৯৭৩ অনুযায়ী, বর্তমানে দুটি চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট ফার্ম দ্বারা প্রতিবছর ব্যাংকের হিসাব নিরীক্ষা করা হয়। এই নিয়ম পরিবর্তন করতে সংশোধিত আইনের খসড়ায় বলা হয়েছে, এই আইনের অধীন প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ ব্যাংক ফাইন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং আইন, ২০১৫-এর ২(৮) ধারায় সংজ্ঞায়িত জনস্বার্থ সংস্থা হিসেবে বিবেচিত হবে। ফলে আইনে যা-ই থাকুক না কেন, জনস্বার্থ সংস্থা হিসেবে গ্রামীণ ব্যাংকের দায়িত্ব হবে ওই আইনের আওতায় গঠিত ফাইন্যান্সিয়াল কাউন্সিলের তালিকাভুক্ত নিরীক্ষক দিয়ে ব্যাংকের হিসাব নিরীক্ষা করা।
১৯৮৩ সালে প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে দীর্ঘ ২৮ বছর গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস, যিনি এখন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান। ক্ষুদ্রঋণের মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচনের চেষ্টার স্বীকৃতি হিসেবে ২০০৬ সালে গ্রামীণ ব্যাংক ও মুহাম্মদ ইউনূসকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়।

গ্রামীণ ব্যাংকের ওপর থেকে সরকারের একক কর্তৃক ঝেড়ে ফেলতে আইনে সংশোধনী এনে নতুন অধ্যাদেশ জারি করতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে আজ বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের সভায় গ্রামীণ ব্যাংক (সংশোধন) অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদনের জন্য উত্থাপনের কথা রয়েছে বলে সূত্র জানিয়েছে।
নতুন এই অধ্যাদেশ জারি হলে সরকার ব্যাংকটিতে শুধু দুজন পরিচালক নিয়োগ দিতে পারবে। এর বাইরে সব ক্ষমতা বোর্ডের হাতে ন্যস্ত হবে। এ ছাড়া গ্রামীণ ব্যাংকের মালিকানায় সরকারের অংশ কমে ঋণগ্রহীতাদের মালিকানার পরিমাণ বাড়বে।
গ্রামীণ ব্যাংকের ২৫ শতাংশ মালিকানা এখন আছে সরকারে হাতে; বাকি ৭৫ শতাংশ ঋণগ্রহীতাদের। সংশোধিত খসড়ায় ব্যাংকটিতে সরকারের মালিকানা কমিয়ে ১০ এবং বাকি ৯০ শতাংশ ঋণগ্রহীতাদের দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। ব্যাংকের ঋণগ্রহীতা ক্রমান্বয়ে পরিশোধিত মূলধন বাড়িয়ে ৯০ শতাংশের অনুপাত অর্জন করতে পারবেন। বর্তমান গ্রামীণ ব্যাংকের পরিশোধিত শেয়ার মূলধন বাড়ানোর ক্ষমতা সরকারের হাতে থাকলেও এটিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের হাতে দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে।
বিদ্যমান আইন অনুযায়ী, সরকার নিযুক্ত তিনজন এবং ব্যাংকের শেয়ার হোল্ডার নির্বাচিত ৯ জন পরিচালককে নিয়ে বোর্ড গঠন হয়। এই বিধান বদলে সরকার নিযুক্ত দুজন এবং শেয়ারহোল্ডার নিযুক্ত ১০ জন পরিচালক নিয়ে বোর্ড গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে।
পরিচালকদের মধ্য থেকে একজনকে গ্রামীণ ব্যাংকের বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দিত সরকার। এখন বোর্ড চেয়ারম্যান নিয়োগের এখতিয়ার বোর্ডের হাতে দেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে চেয়ারম্যানের পদ শূন্য হলে বা তাঁর অনুপস্থিতিতে ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছাড়া অন্য যেকোনো পরিচালককে সরকার চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনের ক্ষমতা দিতে পারে। এই নিয়ম পরিবর্তন করে অধ্যাদেশের খসড়ায় বলা হয়েছে, চেয়ারম্যানের পদ শূন্য হলে বা তাঁর অনুপস্থিতিতে ব্যবস্থাপনা পরিচালক বাদে পরিচালকদের মধ্য থেকে অন্য যে কাউকে বোর্ড চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনের ক্ষমতা দেওয়া যাবে।
বর্তমান আইনে নির্বাচিত পরিচালকদের মেয়াদ ধরা আছে তিন বছর। এটিকে সংশোধন করে নির্বাচিত পরিচালকদের মেয়াদ তিন বছর রাখা হলেও পরবর্তী নির্বাচিত পরিচালক দায়িত্ব গ্রহণের আগপর্যন্ত তাঁদের পরিচালক পদে বহাল রাখার নিয়ম যুক্ত করা হচ্ছে।
বিদ্যমান আইন অনুযায়ী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়োগের জন্য চেয়ারম্যানের সঙ্গে পরামর্শ করে বাছাই কমিটি গঠন করা হয়। এটিকে পরিবর্তন করে বাছাই কমিটি গঠনের এখতিয়ার বোর্ডের হাতে দেওয়া হচ্ছে।
আইন অনুযায়ী ব্যবস্থাপনা পরিচালক ৬০ বছর পর্যন্ত চাকরিতে বহাল থাকতে পারেন। সংশোধিত খসড়ায় একই নিয়ম রেখে সেখানে একটি শর্ত জুড়ে দিয়ে বলা হয়েছে, বোর্ডের বিবেচনায় ব্যাংকের কার্যক্রম পরিচালনার স্বার্থে বোর্ড ব্যবস্থাপনা পরিচালকের চাকরিকাল সর্বোচ্চ ৬৫ বছর বয়স পর্যন্ত বাড়াতে পারবে।
ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ শূন্য হলে বা তাঁর অনুপস্থিতিতে বা তিনি দায়িত্ব পালনে অসমর্থ হলে শূন্য পদে নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক দায়িত্ব গ্রহণ না করা পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন নিয়ে বোর্ড ব্যাংকের কোনো ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব দিতে পারে। এই নিয়ম বদলে সর্বোচ্চ তিন মাস ব্যবস্থাপনা পরিচালক দায়িত্ব গ্রহণ না করলে বোর্ড তাদের একক সিদ্ধান্তে ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ পূরণ করার বিধান যুক্ত করা হচ্ছে।
বর্তমান আইন অনুযায়ী, চেয়ারম্যান বা সরকার কর্তৃক নিযুক্ত পরিচালক সরকারের কাছে পদত্যাগ করতে পারেন। আর ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা নির্বাচিত পরিচালক চেয়ারম্যানের কাছে পদত্যাগ করেন। তবে সরকার বা ক্ষেত্রমতে চেয়ারম্যান কর্তৃক গৃহীত না হওয়া পর্যন্ত কোনো পদত্যাগ কার্যকর হয় না। নতুন আইন কার্যকর হলে চেয়ারম্যান বা ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা নির্বাচিত পরিচালকেরা বোর্ডের কাছে পদত্যাগ করতে পারবেন। তবে বোর্ড পদত্যাগপত্র গ্রহণ না করা পর্যন্ত ওই পদত্যাগ কার্যকর হবে না। সরকার মনোনীত পরিচালকদের সরকারের কাছে পদত্যাগ করতে হবে। এরপর সরকার তা অনুমোদন করে বোর্ডের কাছে পাঠালে তা বোর্ডের কাছে গৃহীত হয়েছে বলে গণ্য করা হবে।
বর্তমানে চেয়ারম্যান ও তিনজন পরিচালকের উপস্থিতিতে কোরাম হয়। এটিকে বদলে দিয়ে চেয়ারম্যান ও চারজন পরিচালকের উপস্থিতিতে কোরাম হবে। বর্তমান আইনে বলা আছে, নির্বাচিত পরিচালকের পদ শূন্য হলে বিধি দিয়ে নির্ধারিত পদ্ধতিতে পরিচালক নির্বাচিত না হওয়া পর্যন্ত চেয়ারম্যান এবং সরকার নিযুক্ত দুজন পরিচালকের উপস্থিতিতে সভার কোরাম হবে। এই উপধারা বিলুপ্ত করা হচ্ছে।
কোনো কারণে চেয়ারম্যান বোর্ডের সভায় উপস্থিত হতে না পারলে উপস্থিত পরিচালকেরা সরকার থেকে নিযুক্ত পরিচালকদের মধ্য থেকে সভাপতিত্ব করার জন্য একজনকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করতে পারেন। বিদ্যমান আইনের এই ধারা পরিবর্তন করে নতুন খসড়ায় বলা হয়েছে, কোনো কারণে চেয়ারম্যান বোর্ডের সভায় উপস্থিত হতে না পারলে উপস্থিত পরিচালকেরা ব্যবস্থাপনা পরিচালক বাদে অন্য যেকোনো পরিচালককে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করতে পারবেন।
বাংলাদেশ চার্টার্ড অ্যাকাউন্টস অর্ডার, ১৯৭৩ অনুযায়ী, বর্তমানে দুটি চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট ফার্ম দ্বারা প্রতিবছর ব্যাংকের হিসাব নিরীক্ষা করা হয়। এই নিয়ম পরিবর্তন করতে সংশোধিত আইনের খসড়ায় বলা হয়েছে, এই আইনের অধীন প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ ব্যাংক ফাইন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং আইন, ২০১৫-এর ২(৮) ধারায় সংজ্ঞায়িত জনস্বার্থ সংস্থা হিসেবে বিবেচিত হবে। ফলে আইনে যা-ই থাকুক না কেন, জনস্বার্থ সংস্থা হিসেবে গ্রামীণ ব্যাংকের দায়িত্ব হবে ওই আইনের আওতায় গঠিত ফাইন্যান্সিয়াল কাউন্সিলের তালিকাভুক্ত নিরীক্ষক দিয়ে ব্যাংকের হিসাব নিরীক্ষা করা।
১৯৮৩ সালে প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে দীর্ঘ ২৮ বছর গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস, যিনি এখন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান। ক্ষুদ্রঋণের মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচনের চেষ্টার স্বীকৃতি হিসেবে ২০০৬ সালে গ্রামীণ ব্যাংক ও মুহাম্মদ ইউনূসকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়।

দেশের সবগুলো ক্যাডেট কলেজে ভর্তি আবেদন ফি সহজেই দেওয়া যাচ্ছে ডাক বিভাগের মোবাইল আর্থিক সেবা ‘নগদ’-এর মাধ্যমে। বরাবরের মতো এবারও এ ক্ষেত্রে কোনো বাড়তি খরচ প্রয়োজন হবে না।
৪ ঘণ্টা আগে
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) ৭ হাজার ১৫০ কোটি ২১ লাখ টাকা ব্যয়ে ১২টি প্রকল্প অনুমোদন করেছে। অনুমোদিত প্রকল্পগুলোর সম্পূর্ণ ব্যয় সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে সংস্থান করা হবে।
৫ ঘণ্টা আগে
ব্যবসায়ীদের দীর্ঘদিনের দাবির পর অনলাইনে মূল্য সংযোজন কর (মূসক) ফেরত বা ভ্যাট রিফান্ড প্রক্রিয়া চালু করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। গতকাল রোববার (৯ নভেম্বর) এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছে সংস্থাটি।
৭ ঘণ্টা আগে
এক বছরের ব্যবধানে (অক্টোবর থেকে অক্টোবর) দেশের ব্যাংকগুলোর স্বল্পকালীন (কলমানি) ঋণ বিপুল হারে বেড়েছে। চলতি বছরের অক্টোবর পর্যন্ত কলমানি ঋণ প্রায় দ্বিগুণ বা ৬৩ হাজার ২৪৮ কোটি টাকা বেড়েছে। এর মধ্যে এক দিনের জন্য ওভারনাইট ধার বেড়েছে ৪৯ হাজার ৯৩২ কোটি টাকা আর আন্তব্যাংক রেপোতে ধার বেড়েছে ৫৮ হাজার ৭৫৩
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দেশের সব ক্যাডেট কলেজে ভর্তি আবেদন ফি সহজেই দেওয়া যাচ্ছে ডাক বিভাগের মোবাইল আর্থিক সেবা ‘নগদ’-এর মাধ্যমে। বরাবরের মতো এবারও এ ক্ষেত্রে কোনো বাড়তি খরচ প্রয়োজন হবে না।
বর্তমানে বাংলাদেশে ১২টি ক্যাডেট কলেজ রয়েছে, যার মধ্যে ৯টি ছেলেদের ও তিনটি মেয়েদের জন্য। ইতিমধ্যে এসব ক্যাডেট কলেজের ভর্তি আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এই প্রক্রিয়া চলবে আগামী ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
সব ক্যাডেট কলেজে যেকোনো আবেদনকারী নগদের মাধ্যমে ভর্তি আবেদন ফি দিতে পারবে কোনো রকম ঝামেলা ছাড়াই। তা ছাড়া নগদের এই ভর্তি ফির চার্জবিহীন পেমেন্ট সুবিধার ফলে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের জন্য ভর্তিপ্রক্রিয়া এখন আরও সহজ ও সাশ্রয়ী হয়েছে।
আবেদনকারী বা অভিভাবকেরা ক্যাডেট কলেজের অফিশিয়াল ওয়েবসাইট
অথবা https://cadetcollegeadmission.army.mil.bd/ -এ গিয়ে অনলাইনে আবেদন সম্পন্ন
করে ফি পরিশোধ করতে পারবে।
‘Apply Now/Sign Up’-এ ক্লিক করে নাম, মোবাইল নম্বর, পাসওয়ার্ড, ই-মেইল অ্যাড্রেস, জন্মতারিখসহ প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করতে হবে। এরপর ‘User ID’ ও ‘Password’ দিয়ে লগইন করে ‘Payment’ অপশন থেকে ‘Nagad’ নির্বাচন করে দুই হাজার টাকা আবেদন ফি তাৎক্ষণিক পরিশোধ করা যাবে। নগদ ব্যবহারকারীদের ক্ষেত্রে এই ফি প্রদানে কোনো সার্ভিস চার্জ বা ট্রানজেকশন ফি প্রযোজ্য হবে না। পেমেন্ট সফলভাবে সম্পন্ন হলে আবেদনকারীর মোবাইলে সঙ্গে সঙ্গে একটি এসএমএস নিশ্চিতকরণ বার্তা পাঠানো হবে।
ক্যাডেট কলেজ ভর্তি ফি সম্পূর্ণ চার্জমুক্ত করার বিষয়ে নগদের চিফ কমার্শিয়াল অফিসার মোহাম্মদ শাহীন সরওয়ার ভূঁইয়া বলেন, ‘আমরা নগদের মাধ্যমে ক্যাডেট কলেজে ভর্তি ফি প্রদান সম্পূর্ণ চার্জমুক্ত করেছি, যাতে সারা দেশের যেকোনো স্থান থেকে অভিভাবকেরা সহজে, দ্রুত ও সবচেয়ে কম খরচে প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে পারে। শিক্ষাসংক্রান্ত যেকোনো ডিজিটাল পেমেন্ট আরও সহজ করতে নগদ বরাবরই কাজ করে যাচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও এই ধারা অব্যাহত রাখবে।’
দেশের অন্যতম জনপ্রিয় মোবাইল আর্থিক সেবা নগদের মাধ্যমে বর্তমানে সরকারি ও বেসরকারি বহু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ভর্তি ও টিউশন ফি দিচ্ছে। এই সুবিধা শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের জন্য দ্রুত, নিরাপদ ও নির্ভরযোগ্য পেমেন্ট সলিউশন হিসেবে কাজ করছে।

দেশের সব ক্যাডেট কলেজে ভর্তি আবেদন ফি সহজেই দেওয়া যাচ্ছে ডাক বিভাগের মোবাইল আর্থিক সেবা ‘নগদ’-এর মাধ্যমে। বরাবরের মতো এবারও এ ক্ষেত্রে কোনো বাড়তি খরচ প্রয়োজন হবে না।
বর্তমানে বাংলাদেশে ১২টি ক্যাডেট কলেজ রয়েছে, যার মধ্যে ৯টি ছেলেদের ও তিনটি মেয়েদের জন্য। ইতিমধ্যে এসব ক্যাডেট কলেজের ভর্তি আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এই প্রক্রিয়া চলবে আগামী ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
সব ক্যাডেট কলেজে যেকোনো আবেদনকারী নগদের মাধ্যমে ভর্তি আবেদন ফি দিতে পারবে কোনো রকম ঝামেলা ছাড়াই। তা ছাড়া নগদের এই ভর্তি ফির চার্জবিহীন পেমেন্ট সুবিধার ফলে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের জন্য ভর্তিপ্রক্রিয়া এখন আরও সহজ ও সাশ্রয়ী হয়েছে।
আবেদনকারী বা অভিভাবকেরা ক্যাডেট কলেজের অফিশিয়াল ওয়েবসাইট
অথবা https://cadetcollegeadmission.army.mil.bd/ -এ গিয়ে অনলাইনে আবেদন সম্পন্ন
করে ফি পরিশোধ করতে পারবে।
‘Apply Now/Sign Up’-এ ক্লিক করে নাম, মোবাইল নম্বর, পাসওয়ার্ড, ই-মেইল অ্যাড্রেস, জন্মতারিখসহ প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করতে হবে। এরপর ‘User ID’ ও ‘Password’ দিয়ে লগইন করে ‘Payment’ অপশন থেকে ‘Nagad’ নির্বাচন করে দুই হাজার টাকা আবেদন ফি তাৎক্ষণিক পরিশোধ করা যাবে। নগদ ব্যবহারকারীদের ক্ষেত্রে এই ফি প্রদানে কোনো সার্ভিস চার্জ বা ট্রানজেকশন ফি প্রযোজ্য হবে না। পেমেন্ট সফলভাবে সম্পন্ন হলে আবেদনকারীর মোবাইলে সঙ্গে সঙ্গে একটি এসএমএস নিশ্চিতকরণ বার্তা পাঠানো হবে।
ক্যাডেট কলেজ ভর্তি ফি সম্পূর্ণ চার্জমুক্ত করার বিষয়ে নগদের চিফ কমার্শিয়াল অফিসার মোহাম্মদ শাহীন সরওয়ার ভূঁইয়া বলেন, ‘আমরা নগদের মাধ্যমে ক্যাডেট কলেজে ভর্তি ফি প্রদান সম্পূর্ণ চার্জমুক্ত করেছি, যাতে সারা দেশের যেকোনো স্থান থেকে অভিভাবকেরা সহজে, দ্রুত ও সবচেয়ে কম খরচে প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে পারে। শিক্ষাসংক্রান্ত যেকোনো ডিজিটাল পেমেন্ট আরও সহজ করতে নগদ বরাবরই কাজ করে যাচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও এই ধারা অব্যাহত রাখবে।’
দেশের অন্যতম জনপ্রিয় মোবাইল আর্থিক সেবা নগদের মাধ্যমে বর্তমানে সরকারি ও বেসরকারি বহু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ভর্তি ও টিউশন ফি দিচ্ছে। এই সুবিধা শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের জন্য দ্রুত, নিরাপদ ও নির্ভরযোগ্য পেমেন্ট সলিউশন হিসেবে কাজ করছে।

গ্রামীণ ব্যাংকের ওপর থেকে সরকারের একক কর্তৃক ঝেড়ে ফেলতে আইনে সংশোধনী এনে নতুন অধ্যাদেশ জারি করতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে আজ বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের সভায় গ্রামীণ ব্যাংক (সংশোধন) অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদনের জন্য উত্থাপনের কথা রয়েছে বলে...
১৭ এপ্রিল ২০২৫
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) ৭ হাজার ১৫০ কোটি ২১ লাখ টাকা ব্যয়ে ১২টি প্রকল্প অনুমোদন করেছে। অনুমোদিত প্রকল্পগুলোর সম্পূর্ণ ব্যয় সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে সংস্থান করা হবে।
৫ ঘণ্টা আগে
ব্যবসায়ীদের দীর্ঘদিনের দাবির পর অনলাইনে মূল্য সংযোজন কর (মূসক) ফেরত বা ভ্যাট রিফান্ড প্রক্রিয়া চালু করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। গতকাল রোববার (৯ নভেম্বর) এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছে সংস্থাটি।
৭ ঘণ্টা আগে
এক বছরের ব্যবধানে (অক্টোবর থেকে অক্টোবর) দেশের ব্যাংকগুলোর স্বল্পকালীন (কলমানি) ঋণ বিপুল হারে বেড়েছে। চলতি বছরের অক্টোবর পর্যন্ত কলমানি ঋণ প্রায় দ্বিগুণ বা ৬৩ হাজার ২৪৮ কোটি টাকা বেড়েছে। এর মধ্যে এক দিনের জন্য ওভারনাইট ধার বেড়েছে ৪৯ হাজার ৯৩২ কোটি টাকা আর আন্তব্যাংক রেপোতে ধার বেড়েছে ৫৮ হাজার ৭৫৩
১ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) ৭ হাজার ১৫০ কোটি ২১ লাখ টাকা ব্যয়ে ১২টি প্রকল্প অনুমোদন করেছে। অনুমোদিত প্রকল্পগুলোর সম্পূর্ণ ব্যয় সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে সংস্থান করা হবে।
আজ সোমবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় প্রকল্পগুলো অনুমোদন দেওয়া হয়। এর মধ্যে নতুন প্রকল্প আটটি, সংশোধিত প্রকল্প দুটি এবং ব্যয় বৃদ্ধি ছাড়া মেয়াদ বৃদ্ধির দুটি প্রকল্প রয়েছে। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা ও একনেক চেয়ারপারসন ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
অনুমোদিত ১২টি প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের দুটি প্রকল্প, যার মধ্যে রয়েছে ‘মানিকগঞ্জ জেলার গুরুত্বপূর্ণ গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন’ প্রকল্প এবং ‘সাতক্ষীরা জেলা গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন’ প্রকল্প।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের একটি প্রকল্প—‘কিশোরগঞ্জ ও নেত্রকোনা জেলার হাওর এলাকার ক্ষুদ্র সেচ ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন’ (তৃতীয় সংশোধন)। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দুটি প্রকল্প—‘গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত উন্নয়ন’ এবং ‘চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগে একটি করে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ স্থাপন’ (দ্বিতীয় সংশোধিত)।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের একটি প্রকল্প—‘সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্বাধীনতা স্তম্ভ নির্মাণ’ (তৃতীয় পর্যায়) (প্রথম সংশোধিত)। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের তিনটি প্রকল্প—‘সমাপ্ত চতুর্থ সেক্টর কর্মসূচির অত্যাবশ্যকীয় পরিবার পরিকল্পনা, মা, শিশু ও প্রজনন স্বাস্থ্যসেবার অসমাপ্ত কার্যাবলি বাস্তবায়ন’ প্রকল্প, ‘স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তর, নিপোর্ট এবং নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের কার্যক্রম ব্যবস্থাপনায় সমন্বিত উন্নয়ন’ এবং ‘পিএফডি, এইচইএফ, আইএফএম, এইচআরডি এবং এসডব্লিউপিএমএমের অত্যাবশ্যকীয় অসমাপ্ত কার্যক্রম বাস্তবায়ন’ প্রকল্প।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি প্রকল্প—‘ঢাকা সেনানিবাসে নির্ঝর আবাসিক এলাকায় ‘বি’ টাইপ অফিসার্স বাসস্থান নির্মাণ’। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের একটি প্রকল্প—‘নড়াইল-কালিয়া জেলা মহাসড়কের ২১তম কিলোমিটারে কালিয়া নামের স্থানে নবগঙ্গা নদীর ওপর কালিয়া সেতু নির্মাণের (দ্বিতীয় সংশোধিত) চতুর্থবার মেয়াদ বৃদ্ধি’। শিল্প মন্ত্রণালয়ের একটি প্রকল্প—‘বিসিক শিল্পপার্ক, টাঙ্গাইল’ (তৃতীয় সংশোধিত)।
সভায় পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ; অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ; আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল; স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী; শিল্প এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান; বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান; পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান; স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমসহ সংশ্লিষ্ট উপদেষ্টা ও কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন।

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) ৭ হাজার ১৫০ কোটি ২১ লাখ টাকা ব্যয়ে ১২টি প্রকল্প অনুমোদন করেছে। অনুমোদিত প্রকল্পগুলোর সম্পূর্ণ ব্যয় সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে সংস্থান করা হবে।
আজ সোমবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় প্রকল্পগুলো অনুমোদন দেওয়া হয়। এর মধ্যে নতুন প্রকল্প আটটি, সংশোধিত প্রকল্প দুটি এবং ব্যয় বৃদ্ধি ছাড়া মেয়াদ বৃদ্ধির দুটি প্রকল্প রয়েছে। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা ও একনেক চেয়ারপারসন ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
অনুমোদিত ১২টি প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের দুটি প্রকল্প, যার মধ্যে রয়েছে ‘মানিকগঞ্জ জেলার গুরুত্বপূর্ণ গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন’ প্রকল্প এবং ‘সাতক্ষীরা জেলা গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন’ প্রকল্প।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের একটি প্রকল্প—‘কিশোরগঞ্জ ও নেত্রকোনা জেলার হাওর এলাকার ক্ষুদ্র সেচ ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন’ (তৃতীয় সংশোধন)। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দুটি প্রকল্প—‘গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত উন্নয়ন’ এবং ‘চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগে একটি করে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ স্থাপন’ (দ্বিতীয় সংশোধিত)।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের একটি প্রকল্প—‘সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্বাধীনতা স্তম্ভ নির্মাণ’ (তৃতীয় পর্যায়) (প্রথম সংশোধিত)। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের তিনটি প্রকল্প—‘সমাপ্ত চতুর্থ সেক্টর কর্মসূচির অত্যাবশ্যকীয় পরিবার পরিকল্পনা, মা, শিশু ও প্রজনন স্বাস্থ্যসেবার অসমাপ্ত কার্যাবলি বাস্তবায়ন’ প্রকল্প, ‘স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তর, নিপোর্ট এবং নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের কার্যক্রম ব্যবস্থাপনায় সমন্বিত উন্নয়ন’ এবং ‘পিএফডি, এইচইএফ, আইএফএম, এইচআরডি এবং এসডব্লিউপিএমএমের অত্যাবশ্যকীয় অসমাপ্ত কার্যক্রম বাস্তবায়ন’ প্রকল্প।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি প্রকল্প—‘ঢাকা সেনানিবাসে নির্ঝর আবাসিক এলাকায় ‘বি’ টাইপ অফিসার্স বাসস্থান নির্মাণ’। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের একটি প্রকল্প—‘নড়াইল-কালিয়া জেলা মহাসড়কের ২১তম কিলোমিটারে কালিয়া নামের স্থানে নবগঙ্গা নদীর ওপর কালিয়া সেতু নির্মাণের (দ্বিতীয় সংশোধিত) চতুর্থবার মেয়াদ বৃদ্ধি’। শিল্প মন্ত্রণালয়ের একটি প্রকল্প—‘বিসিক শিল্পপার্ক, টাঙ্গাইল’ (তৃতীয় সংশোধিত)।
সভায় পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ; অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ; আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল; স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী; শিল্প এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান; বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান; পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান; স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমসহ সংশ্লিষ্ট উপদেষ্টা ও কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন।

গ্রামীণ ব্যাংকের ওপর থেকে সরকারের একক কর্তৃক ঝেড়ে ফেলতে আইনে সংশোধনী এনে নতুন অধ্যাদেশ জারি করতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে আজ বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের সভায় গ্রামীণ ব্যাংক (সংশোধন) অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদনের জন্য উত্থাপনের কথা রয়েছে বলে...
১৭ এপ্রিল ২০২৫
দেশের সবগুলো ক্যাডেট কলেজে ভর্তি আবেদন ফি সহজেই দেওয়া যাচ্ছে ডাক বিভাগের মোবাইল আর্থিক সেবা ‘নগদ’-এর মাধ্যমে। বরাবরের মতো এবারও এ ক্ষেত্রে কোনো বাড়তি খরচ প্রয়োজন হবে না।
৪ ঘণ্টা আগে
ব্যবসায়ীদের দীর্ঘদিনের দাবির পর অনলাইনে মূল্য সংযোজন কর (মূসক) ফেরত বা ভ্যাট রিফান্ড প্রক্রিয়া চালু করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। গতকাল রোববার (৯ নভেম্বর) এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছে সংস্থাটি।
৭ ঘণ্টা আগে
এক বছরের ব্যবধানে (অক্টোবর থেকে অক্টোবর) দেশের ব্যাংকগুলোর স্বল্পকালীন (কলমানি) ঋণ বিপুল হারে বেড়েছে। চলতি বছরের অক্টোবর পর্যন্ত কলমানি ঋণ প্রায় দ্বিগুণ বা ৬৩ হাজার ২৪৮ কোটি টাকা বেড়েছে। এর মধ্যে এক দিনের জন্য ওভারনাইট ধার বেড়েছে ৪৯ হাজার ৯৩২ কোটি টাকা আর আন্তব্যাংক রেপোতে ধার বেড়েছে ৫৮ হাজার ৭৫৩
১ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ব্যবসায়ীদের দীর্ঘদিনের দাবির পর অনলাইনে মূল্য সংযোজন কর (মূসক) ফেরত বা ভ্যাট রিফান্ড প্রক্রিয়া চালু করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। গতকাল রোববার (৯ নভেম্বর) এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছে সংস্থাটি।
এনবিআর জানায়, করদাতারা এখন থেকে অনলাইনে ভ্যাট রিফান্ডের আবেদন দাখিল, যাচাই-বাছাই ও অনুমোদন সম্পন্ন করে সরাসরি ব্যাংক হিসাবে রিফান্ডের অর্থ পেতে পারবেন। এ জন্য অনলাইন ভ্যাট রিফান্ড মডিউল চালু করা হয়েছে।
এনবিআরের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বিদ্যমান ইন্টিগ্রেটেড ভ্যাট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন সিস্টেমের (আইভাস) সঙ্গে অর্থ বিভাগের আইবাস প্লাস প্লাস (iBAS++) সিস্টেমের আন্তসংযোগ স্থাপন করা হবে। এতে বাংলাদেশ ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার নেটওয়ার্কের (বিইএফটিএন) মাধ্যমে রিফান্ডের অর্থ সরাসরি করদাতার নির্ধারিত ব্যাংক হিসাবে জমা হবে।
এনবিআরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আল আমিন শেখ বলেন, অনলাইন ভ্যাট রিফান্ড মডিউলের মাধ্যমে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ডিজিটালাইজেশন কার্যক্রম আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিতের লক্ষ্যে সব কার্যক্রম ধীরে ধীরে সম্পূর্ণ অটোমেশনের আওতায় আনা হচ্ছে।
অনলাইন রিফান্ড প্রক্রিয়া
নতুন মডিউলের মাধ্যমে করদাতারা অনলাইনে মূসক রিটার্ন দাখিলের সময় রিফান্ডের আবেদন করতে পারবেন। সংশ্লিষ্ট মূসক কমিশনারেট আবেদন যাচাই-বাছাই করে অনুমোদনের পর স্বয়ংক্রিয়ভাবে অর্থ স্থানান্তর করবে।
এতে রিফান্ডের আবেদন বা চেক গ্রহণের জন্য করদাতাকে আর ভ্যাট অফিসে যেতে হবে না। ফলে সময় ও ব্যয় সাশ্রয় হবে এবং প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
এরই মধ্যে অনিষ্পন্ন রিফান্ড আবেদনকারীদের নতুন মডিউলে মূসক-৯.১ ফরমের মাধ্যমে পুনরায় অনলাইনে আবেদন দাখিল করতে হবে বলে জানিয়েছে এনবিআর।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দক্ষতা বাড়ানোর জন্য ভ্যাট কমিশনারেট পর্যায়ে প্রশিক্ষণ আয়োজন করা হয়েছে। করদাতারা প্রয়োজনে স্থানীয় কমিশনারেটে যোগাযোগ করে অনলাইন রিফান্ড প্রক্রিয়া সম্পর্কে সহায়তা নিতে পারবেন।
গত আগস্টে এক অনুষ্ঠানে এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান বলেন, ভ্যাট রিটার্ন প্রক্রিয়া পুরোপুরি অটোমেশনে চলে যাবে। কাগজে রিটার্ন নেওয়া হবে না।
যখন কোনো ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান কাঁচামাল বা সেবা কেনে, তখন ইনপুট ভ্যাট দেয়। আবার সেই পণ্য বা সেবা বিক্রি করলে গ্রাহকের কাছ থেকে আউটপুট ভ্যাট নেয়। যদি ইনপুট ভ্যাটের পরিমাণ আউটপুট ভ্যাটের চেয়ে বেশি হয়, তখন অতিরিক্ত ভ্যাট রিফান্ড হিসেবে দাবি করতে পারে। তবে এত দিন এই ভ্যাট রিফান্ড না পাওয়ার অভিযোগ করতেন ব্যবসায়ীরা। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সঙ্গে বিভিন্ন বৈঠকে ভ্যাট রিফান্ডের দাবিও তুলতেন তাঁরা।
ব্যবসায়ীদের দীর্ঘদিনের দাবির পর অনলাইনে মূল্য সংযোজন কর (মূসক) ফেরত বা ভ্যাট রিফান্ড প্রক্রিয়া চালু করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ()। গতকাল রোববার (৯ নভেম্বর) এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছে সংস্থাটি।

ব্যবসায়ীদের দীর্ঘদিনের দাবির পর অনলাইনে মূল্য সংযোজন কর (মূসক) ফেরত বা ভ্যাট রিফান্ড প্রক্রিয়া চালু করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। গতকাল রোববার (৯ নভেম্বর) এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছে সংস্থাটি।
এনবিআর জানায়, করদাতারা এখন থেকে অনলাইনে ভ্যাট রিফান্ডের আবেদন দাখিল, যাচাই-বাছাই ও অনুমোদন সম্পন্ন করে সরাসরি ব্যাংক হিসাবে রিফান্ডের অর্থ পেতে পারবেন। এ জন্য অনলাইন ভ্যাট রিফান্ড মডিউল চালু করা হয়েছে।
এনবিআরের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বিদ্যমান ইন্টিগ্রেটেড ভ্যাট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন সিস্টেমের (আইভাস) সঙ্গে অর্থ বিভাগের আইবাস প্লাস প্লাস (iBAS++) সিস্টেমের আন্তসংযোগ স্থাপন করা হবে। এতে বাংলাদেশ ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার নেটওয়ার্কের (বিইএফটিএন) মাধ্যমে রিফান্ডের অর্থ সরাসরি করদাতার নির্ধারিত ব্যাংক হিসাবে জমা হবে।
এনবিআরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আল আমিন শেখ বলেন, অনলাইন ভ্যাট রিফান্ড মডিউলের মাধ্যমে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ডিজিটালাইজেশন কার্যক্রম আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিতের লক্ষ্যে সব কার্যক্রম ধীরে ধীরে সম্পূর্ণ অটোমেশনের আওতায় আনা হচ্ছে।
অনলাইন রিফান্ড প্রক্রিয়া
নতুন মডিউলের মাধ্যমে করদাতারা অনলাইনে মূসক রিটার্ন দাখিলের সময় রিফান্ডের আবেদন করতে পারবেন। সংশ্লিষ্ট মূসক কমিশনারেট আবেদন যাচাই-বাছাই করে অনুমোদনের পর স্বয়ংক্রিয়ভাবে অর্থ স্থানান্তর করবে।
এতে রিফান্ডের আবেদন বা চেক গ্রহণের জন্য করদাতাকে আর ভ্যাট অফিসে যেতে হবে না। ফলে সময় ও ব্যয় সাশ্রয় হবে এবং প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
এরই মধ্যে অনিষ্পন্ন রিফান্ড আবেদনকারীদের নতুন মডিউলে মূসক-৯.১ ফরমের মাধ্যমে পুনরায় অনলাইনে আবেদন দাখিল করতে হবে বলে জানিয়েছে এনবিআর।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দক্ষতা বাড়ানোর জন্য ভ্যাট কমিশনারেট পর্যায়ে প্রশিক্ষণ আয়োজন করা হয়েছে। করদাতারা প্রয়োজনে স্থানীয় কমিশনারেটে যোগাযোগ করে অনলাইন রিফান্ড প্রক্রিয়া সম্পর্কে সহায়তা নিতে পারবেন।
গত আগস্টে এক অনুষ্ঠানে এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান বলেন, ভ্যাট রিটার্ন প্রক্রিয়া পুরোপুরি অটোমেশনে চলে যাবে। কাগজে রিটার্ন নেওয়া হবে না।
যখন কোনো ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান কাঁচামাল বা সেবা কেনে, তখন ইনপুট ভ্যাট দেয়। আবার সেই পণ্য বা সেবা বিক্রি করলে গ্রাহকের কাছ থেকে আউটপুট ভ্যাট নেয়। যদি ইনপুট ভ্যাটের পরিমাণ আউটপুট ভ্যাটের চেয়ে বেশি হয়, তখন অতিরিক্ত ভ্যাট রিফান্ড হিসেবে দাবি করতে পারে। তবে এত দিন এই ভ্যাট রিফান্ড না পাওয়ার অভিযোগ করতেন ব্যবসায়ীরা। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সঙ্গে বিভিন্ন বৈঠকে ভ্যাট রিফান্ডের দাবিও তুলতেন তাঁরা।
ব্যবসায়ীদের দীর্ঘদিনের দাবির পর অনলাইনে মূল্য সংযোজন কর (মূসক) ফেরত বা ভ্যাট রিফান্ড প্রক্রিয়া চালু করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ()। গতকাল রোববার (৯ নভেম্বর) এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছে সংস্থাটি।

গ্রামীণ ব্যাংকের ওপর থেকে সরকারের একক কর্তৃক ঝেড়ে ফেলতে আইনে সংশোধনী এনে নতুন অধ্যাদেশ জারি করতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে আজ বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের সভায় গ্রামীণ ব্যাংক (সংশোধন) অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদনের জন্য উত্থাপনের কথা রয়েছে বলে...
১৭ এপ্রিল ২০২৫
দেশের সবগুলো ক্যাডেট কলেজে ভর্তি আবেদন ফি সহজেই দেওয়া যাচ্ছে ডাক বিভাগের মোবাইল আর্থিক সেবা ‘নগদ’-এর মাধ্যমে। বরাবরের মতো এবারও এ ক্ষেত্রে কোনো বাড়তি খরচ প্রয়োজন হবে না।
৪ ঘণ্টা আগে
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) ৭ হাজার ১৫০ কোটি ২১ লাখ টাকা ব্যয়ে ১২টি প্রকল্প অনুমোদন করেছে। অনুমোদিত প্রকল্পগুলোর সম্পূর্ণ ব্যয় সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে সংস্থান করা হবে।
৫ ঘণ্টা আগে
এক বছরের ব্যবধানে (অক্টোবর থেকে অক্টোবর) দেশের ব্যাংকগুলোর স্বল্পকালীন (কলমানি) ঋণ বিপুল হারে বেড়েছে। চলতি বছরের অক্টোবর পর্যন্ত কলমানি ঋণ প্রায় দ্বিগুণ বা ৬৩ হাজার ২৪৮ কোটি টাকা বেড়েছে। এর মধ্যে এক দিনের জন্য ওভারনাইট ধার বেড়েছে ৪৯ হাজার ৯৩২ কোটি টাকা আর আন্তব্যাংক রেপোতে ধার বেড়েছে ৫৮ হাজার ৭৫৩
১ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

এক বছরের ব্যবধানে (অক্টোবর থেকে অক্টোবর) দেশের ব্যাংকগুলোর স্বল্পকালীন (কলমানি) ঋণ বিপুল হারে বেড়েছে। চলতি বছরের অক্টোবর পর্যন্ত কলমানি ঋণ প্রায় দ্বিগুণ বা ৬৩ হাজার ২৪৮ কোটি টাকা বেড়েছে। এর মধ্যে এক দিনের জন্য ওভারনাইট ধার বেড়েছে ৪৯ হাজার ৯৩২ কোটি টাকা আর আন্তব্যাংক রেপোতে ধার বেড়েছে ৫৮ হাজার ৭৫৩ কোটি টাকা। গতকাল রোববার বাংলাদেশ ব্যাংক প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের অক্টোবর মাসে কলমানিতে এক দিন থেকে এক বছরের কম সময়ের জন্য ব্যাংকগুলো ধার করেছে ১ লাখ ৪৩ হাজার ২৭১ কোটি টাকা; যা গত অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৮০ হাজার ২৩ কোটি টাকা। সে হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে কলমানিতে ধার বেড়েছে ৬৩ হাজার ২৪৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে এক দিনের জন্য ওভারনাইটে ধার ছিল ১ লাখ ২১ হাজার ৯৮৮ কোটি টাকা, যা তার আগের বছরের অক্টোবরে ছিল ৭২ হাজার ৫৬ কোটি টাকা। সে হিসাবে ওভারনাইট ধার বেড়েছে ৪৯ হাজার ৯৩২ কোটি টাকা।
মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, পলিসি রেট (নীতি সুদহার) বাড়ার প্রভাব কলমানি মার্কেটে পড়েছে। এখন ঋণের খরচ বেড়েছে। অনেক ব্যাংক নগদ টাকার চাপ সামলাতে চড়া সুদে ঋণ করে ব্যাংকিং কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করেছে। ফলে বিনিয়োগে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি অক্টোবরে ২ থেকে ১৪ দিনের জন্য শর্ট নোটিশে ধারের পরিমাণ ছিল ১৯ হাজার ৪৬৩ কোটি টাকা, যা গত অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৬ হাজার ৫৪১ কোটি টাকা। সে হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে বেড়েছে ১২ হাজার ৯২২ কোটি টাকা। একইভাবে ১৫ দিন থেকে এক বছরের কম সময়ের জন্য টার্ম কল ঋণ গত অক্টোবরে ছিল ১ হাজার ৮২০ কোটি টাকা, যা ২০২৪ সালের অক্টোবরে ছিল ১ হাজার ৪২৬ কোটি টাকা। সে হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে ঋণ বেড়েছে ৩৯৪ কোটি টাকা।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ মুস্তফা কে মুজেরি বলেন, বর্তমানে ব্যাংক খাতে নগদ টাকার ব্যবস্থাপনায় বড় ধরনের সংকট রয়েছে। ডলারের দাম বাড়ায় ব্যাংকে তারল্যসংকট দেখা দিয়েছে। তারল্যসংকটের মোকাবিলা করতে এক ব্যাংক অন্য ব্যাংক থেকে চড়া সুদেও টাকা ধার নিচ্ছে। কারণ বাজারে খুব বেশি তারল্য নেই। এর মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকও রেপোর নিলাম কমিয়ে দিয়েছে। ফলে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ব্যাংকগুলো খুব বেশি টাকা ধার করতে পারছে। সব মিলিয়ে কলমানি বাজারে চড়া সুদে যেসব ব্যাংক টাকা ধার নিয়েছে তারা ধার পরিশোধে হিমশিম খাচ্ছে। কিন্তু কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে কলমানিতে সুদহার বেশি হলেও নিরুপায় হয়ে কলমানিতে লেনদেন করে অস্বস্তিতে পড়েছে ব্যাংকগুলো।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, গত অক্টোবরে কলমানির মধ্যে ওভারনাইটের গড় সুদহার (ডব্লিইএআর) ছিল ৯ দশমিক ৮১ শতাংশ, শর্ট নোটিশের গড় সুদহার ছিল ১০ দশমিক ১৩ শতাংশ এবং টার্ম কলে সুদহার ছিল ১০ দশমিক ৭০ শতাংশ। আর আন্তব্যাংক রেপোতে সুদের গড় হার ছিল ৯ দশমিক ৮৮ শতাংশ। আর চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের অক্টোবর মাসে আন্তব্যাংক লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৭১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ১৩ হাজার ৩২ কোটি টাকা। সে হিসাবে আন্তব্যাংক লেনদেন বেড়েছে ৫৮ হাজার ৭৫৩ কোটি টাকা।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একটি দুর্বল ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, এখন কিছু ব্যাংকের কাছে অতিরিক্ত তারল্য রয়েছে। তবে অন্য ব্যাংকগুলো দৈনন্দিন চাহিদা মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে, তারাই ধার নিচ্ছে। এখন যেসব ব্যাংকের ধার প্রয়োজন, তাদের বেশির ভাগেরই পর্যাপ্ত জামানত নেই। তারা কলমানির ধারের টাকায় ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান বলেন, ডলারের দর বেড়েছে, এতে টাকার মূল্য হ্রাস পেয়েছে। যে কারণে কিছু ব্যাংক তারল্যসংকটে পড়েছে। দুর্বল ব্যাংকগুলো তারল্যসুবিধা নিচ্ছে, স্বাভাবিক চাহিদা পূরণ করতে কলমানিতে ধার করছে। চাহিদা বাড়লে ধার বাড়ে, আবার চাহিদা কমলে ধার কমে।

এক বছরের ব্যবধানে (অক্টোবর থেকে অক্টোবর) দেশের ব্যাংকগুলোর স্বল্পকালীন (কলমানি) ঋণ বিপুল হারে বেড়েছে। চলতি বছরের অক্টোবর পর্যন্ত কলমানি ঋণ প্রায় দ্বিগুণ বা ৬৩ হাজার ২৪৮ কোটি টাকা বেড়েছে। এর মধ্যে এক দিনের জন্য ওভারনাইট ধার বেড়েছে ৪৯ হাজার ৯৩২ কোটি টাকা আর আন্তব্যাংক রেপোতে ধার বেড়েছে ৫৮ হাজার ৭৫৩ কোটি টাকা। গতকাল রোববার বাংলাদেশ ব্যাংক প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের অক্টোবর মাসে কলমানিতে এক দিন থেকে এক বছরের কম সময়ের জন্য ব্যাংকগুলো ধার করেছে ১ লাখ ৪৩ হাজার ২৭১ কোটি টাকা; যা গত অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৮০ হাজার ২৩ কোটি টাকা। সে হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে কলমানিতে ধার বেড়েছে ৬৩ হাজার ২৪৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে এক দিনের জন্য ওভারনাইটে ধার ছিল ১ লাখ ২১ হাজার ৯৮৮ কোটি টাকা, যা তার আগের বছরের অক্টোবরে ছিল ৭২ হাজার ৫৬ কোটি টাকা। সে হিসাবে ওভারনাইট ধার বেড়েছে ৪৯ হাজার ৯৩২ কোটি টাকা।
মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, পলিসি রেট (নীতি সুদহার) বাড়ার প্রভাব কলমানি মার্কেটে পড়েছে। এখন ঋণের খরচ বেড়েছে। অনেক ব্যাংক নগদ টাকার চাপ সামলাতে চড়া সুদে ঋণ করে ব্যাংকিং কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করেছে। ফলে বিনিয়োগে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি অক্টোবরে ২ থেকে ১৪ দিনের জন্য শর্ট নোটিশে ধারের পরিমাণ ছিল ১৯ হাজার ৪৬৩ কোটি টাকা, যা গত অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৬ হাজার ৫৪১ কোটি টাকা। সে হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে বেড়েছে ১২ হাজার ৯২২ কোটি টাকা। একইভাবে ১৫ দিন থেকে এক বছরের কম সময়ের জন্য টার্ম কল ঋণ গত অক্টোবরে ছিল ১ হাজার ৮২০ কোটি টাকা, যা ২০২৪ সালের অক্টোবরে ছিল ১ হাজার ৪২৬ কোটি টাকা। সে হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে ঋণ বেড়েছে ৩৯৪ কোটি টাকা।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ মুস্তফা কে মুজেরি বলেন, বর্তমানে ব্যাংক খাতে নগদ টাকার ব্যবস্থাপনায় বড় ধরনের সংকট রয়েছে। ডলারের দাম বাড়ায় ব্যাংকে তারল্যসংকট দেখা দিয়েছে। তারল্যসংকটের মোকাবিলা করতে এক ব্যাংক অন্য ব্যাংক থেকে চড়া সুদেও টাকা ধার নিচ্ছে। কারণ বাজারে খুব বেশি তারল্য নেই। এর মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকও রেপোর নিলাম কমিয়ে দিয়েছে। ফলে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ব্যাংকগুলো খুব বেশি টাকা ধার করতে পারছে। সব মিলিয়ে কলমানি বাজারে চড়া সুদে যেসব ব্যাংক টাকা ধার নিয়েছে তারা ধার পরিশোধে হিমশিম খাচ্ছে। কিন্তু কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে কলমানিতে সুদহার বেশি হলেও নিরুপায় হয়ে কলমানিতে লেনদেন করে অস্বস্তিতে পড়েছে ব্যাংকগুলো।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, গত অক্টোবরে কলমানির মধ্যে ওভারনাইটের গড় সুদহার (ডব্লিইএআর) ছিল ৯ দশমিক ৮১ শতাংশ, শর্ট নোটিশের গড় সুদহার ছিল ১০ দশমিক ১৩ শতাংশ এবং টার্ম কলে সুদহার ছিল ১০ দশমিক ৭০ শতাংশ। আর আন্তব্যাংক রেপোতে সুদের গড় হার ছিল ৯ দশমিক ৮৮ শতাংশ। আর চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের অক্টোবর মাসে আন্তব্যাংক লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৭১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ১৩ হাজার ৩২ কোটি টাকা। সে হিসাবে আন্তব্যাংক লেনদেন বেড়েছে ৫৮ হাজার ৭৫৩ কোটি টাকা।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একটি দুর্বল ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, এখন কিছু ব্যাংকের কাছে অতিরিক্ত তারল্য রয়েছে। তবে অন্য ব্যাংকগুলো দৈনন্দিন চাহিদা মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে, তারাই ধার নিচ্ছে। এখন যেসব ব্যাংকের ধার প্রয়োজন, তাদের বেশির ভাগেরই পর্যাপ্ত জামানত নেই। তারা কলমানির ধারের টাকায় ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান বলেন, ডলারের দর বেড়েছে, এতে টাকার মূল্য হ্রাস পেয়েছে। যে কারণে কিছু ব্যাংক তারল্যসংকটে পড়েছে। দুর্বল ব্যাংকগুলো তারল্যসুবিধা নিচ্ছে, স্বাভাবিক চাহিদা পূরণ করতে কলমানিতে ধার করছে। চাহিদা বাড়লে ধার বাড়ে, আবার চাহিদা কমলে ধার কমে।

গ্রামীণ ব্যাংকের ওপর থেকে সরকারের একক কর্তৃক ঝেড়ে ফেলতে আইনে সংশোধনী এনে নতুন অধ্যাদেশ জারি করতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে আজ বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের সভায় গ্রামীণ ব্যাংক (সংশোধন) অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদনের জন্য উত্থাপনের কথা রয়েছে বলে...
১৭ এপ্রিল ২০২৫
দেশের সবগুলো ক্যাডেট কলেজে ভর্তি আবেদন ফি সহজেই দেওয়া যাচ্ছে ডাক বিভাগের মোবাইল আর্থিক সেবা ‘নগদ’-এর মাধ্যমে। বরাবরের মতো এবারও এ ক্ষেত্রে কোনো বাড়তি খরচ প্রয়োজন হবে না।
৪ ঘণ্টা আগে
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) ৭ হাজার ১৫০ কোটি ২১ লাখ টাকা ব্যয়ে ১২টি প্রকল্প অনুমোদন করেছে। অনুমোদিত প্রকল্পগুলোর সম্পূর্ণ ব্যয় সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে সংস্থান করা হবে।
৫ ঘণ্টা আগে
ব্যবসায়ীদের দীর্ঘদিনের দাবির পর অনলাইনে মূল্য সংযোজন কর (মূসক) ফেরত বা ভ্যাট রিফান্ড প্রক্রিয়া চালু করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। গতকাল রোববার (৯ নভেম্বর) এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছে সংস্থাটি।
৭ ঘণ্টা আগে