নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বিশ্বের জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ এখন অন্যতম ঋণগ্রস্ত। বৈশ্বিক কার্বন নিঃসরণে দশমিক ৫ শতাংশের কম অবদান রেখেও বাংলাদেশকে মাথাপিছু ৭৯ দশমিক ৬০ মার্কিন ডলারের জলবায়ু ঋণের বোঝা বইতে হচ্ছে। বাংলাদেশের পাওয়া জলবায়ু অর্থায়নে ঋণ ও অনুদানের অনুপাত ২ দশমিক ৭, যা স্বল্পোন্নত দেশগুলোর (এলডিসি) গড় মান দশমিক ৭-এর প্রায় চার গুণ। একই সঙ্গে বহুপাক্ষিক ঋণ অনুপাত দশমিক ৯৪, যা এলডিসি গড় দশমিক ১৯-এর প্রায় পাঁচ গুণ।
বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান চেঞ্জ ইনিশিয়েটিভের তৈরি ক্লাইমেট ডেট রিস্ক ইনডেক্স (সিডিআরআই-২০২৫) প্রতিবেদনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়। শনিবার রাজধানীর বনানীতে হোটেল শেরাটনে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
অনুষ্ঠানে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) মহাপরিচালক ড. এ কে এনামুল হক প্রমুখ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
চেঞ্জ ইনিশিয়েটিভের প্রধান নির্বাহী এম জাকির হোসেন খান এ গবেষণায় নেতৃত্বে দেন। অনুষ্ঠানে গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন সহগবেষক তন্ময় সাহা।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বাংলাদেশের সিডিআরআই-২০২৫ স্কোর ১০০-এর মধ্যে ৬৫ দশমিক ৩৭, যা ২০৩১ সালে বেড়ে ৬৫ দশমিক ৬৩-তে পৌঁছাতে পারে। ফলে বাংলাদেশ ‘উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ’ শ্রেণিতে পড়েছে।
গবেষণায় দেখা গেছে, বাংলাদেশের অ্যাডাপটেশন-টু-মিটিগেশন অনুপাত কেবল দশমিক ৪২, যা এলডিসি গড়ের অর্ধেকেরও কম। এতে করে জলবায়ু সহনশীলতা বাড়াতে প্রয়োজনীয় তহবিল মারাত্মকভাবে ঘাটতিতে রয়েছে।
গবেষণার ফলাফল বলছে, প্যারিস চুক্তির অধীনে ক্ষতিপূরণের প্রতিশ্রুতি থাকা সত্ত্বেও আন্তর্জাতিক জলবায়ু অর্থায়ন এখন ‘জলবায়ু ঋণ ফাঁদে’ পরিণত হয়েছে। জলবায়ু অর্থায়নের ৭০ শতাংশেরও বেশি ঋণ আকারে আসে, ফলে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোকে দ্বিগুণ মূল্য দিতে হচ্ছে। প্রথমত ঘন ঘন জলবায়ু বিপর্যয়ের ক্ষতি সামলাতে এবং দ্বিতীয়ত ঋণের কিস্তি পরিশোধে। ২০০০ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত জলবায়ু বিপর্যয়ে ১৩০ মিলিয়নেরও বেশি বাংলাদেশি বাস্তুচ্যুত বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন এবং ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৩ দশমিক ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। তবুও অভিযোজনমূলক সহায়তা অপ্রতুল রয়ে গেছে, আর পরিবারগুলো প্রতিবছর গড়ে নিজ খরচে প্রায় ১০ হাজার ৭০০ টাকা (প্রায় ৮৮ মার্কিন ডলার) ব্যয় করছে, যা বার্ষিক প্রায় ১ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলারের সমান।
অনুষ্ঠানে পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ বলেন, জীববৈচিত্র্য রক্ষা জলবায়ু প্রভাব কমাতে পারে, কিন্তু কপের মতো বৈশ্বিক ফোরামে প্রতিশ্রুত ফল মেলে না। বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক আদালতের (আইসিজে) রায়ের আলোকে বৈষম্যমূলক কার্বন নিঃসরণ মোকাবিলা করতে হবে এবং একই সঙ্গে জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা ও এনডিসি বাস্তবায়নে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগ বাড়াতে হবে।
বিআইডিএসের মহাপরিচালক ড. এ কে এনামুল হক বলেন, জলবায়ু একটি বৈজ্ঞানিক বিষয় হলেও বাংলাদেশ এখনো চরম ঝুঁকিপূর্ণ। অনুদান সীমিত, ঋণ ঝুঁকিপূর্ণ এবং বেসরকারি খাতের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা আর্থিক চাপ বাড়াচ্ছে। ঝুঁকিতে থাকা জনগোষ্ঠী পাচারসহ অতিরিক্ত হুমকির মুখে। প্রকৃত সহনশীলতা গড়তে স্থানীয় জ্ঞান, প্রযুক্তি ও কাঠামোগত পরিবর্তন দরকার, ধাপে ধাপে ক্ষুদ্র সমাধান যথেষ্ট নয়।
চেঞ্জ ইনিশিয়েটিভের প্রধান নির্বাহী এম জাকির হোসেন খান বলেন, কপ ২৯-এ চালু হওয়া ১ বিলিয়ন ডলারের ক্লাইমেট ফাইন্যান্স অ্যাকশন ফান্ড যদি দৃঢ় অঙ্গীকার ও স্পষ্ট শাসন কাঠামো না পায়, তবে এটি ভঙ্গুর প্রতিশ্রুতিতেই রয়ে যাবে, ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর জন্য জীবনরেখা হবে না।
ঢাকার সুইডেন দূতাবাসের ফার্স্ট সেক্রেটারি ও ডেপুটি হেড অব ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেশন নায়োকা মার্টিনেজ-ব্যাকস্ট্রম বলেন, জলবায়ু অর্থায়নকে হতে হবে জবাবদিহিমূলক, ন্যায্য ও কার্যকর, যাতে প্রকৃতি সুরক্ষিত হয় এবং ন্যায়সংগত রূপান্তর ঘটে। অনুদানের বাইরেও নতুন অর্থের উৎস দরকার।
পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. ফজলে রাব্বি সাদেক আহমেদ বলেন, অভিযোজন অর্থায়নকে অবশ্যই অনুদানভিত্তিক ও ন্যায্য হতে হবে, না হলে বিশ্ব এক জলবায়ু ঋণ সংকটে পড়বে, যেখানে দুর্বল জনগোষ্ঠীর জন্য বেঁচে থাকা হবে অযোগ্য এবং সবার জন্য অস্থিতিশীল।
ঢাকার সুইজারল্যান্ড দূতাবাসের কো-অপারেশন অফিসার শিরিন লিরা বলেন, জলবায়ু তহবিল সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণদের কাছে পৌঁছানোর জন্য বাংলাদেশ যদি জবাবদিহি, স্বচ্ছতা ও সুশাসন নিশ্চিত করতে না পারে, তবে বৈশ্বিক অর্থায়নে প্রবেশাধিকার সীমিত থাকবে।
গ্রিনপিস দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার গ্রিনস্পিকার ফারিয়া হোসেন ইকরা বলেন, বাংলাদেশ যখন এলডিসি থেকে উত্তরণের পথে, ন্যায্য ও সুবিচারমূলক জলবায়ু অর্থায়ন পাওয়া আরও কঠিন হবে। বড় দূষণকারীদের জবাবদিহির আওতায় আনার জন্য এবং প্রাপ্য সহায়তা নিশ্চিত করতে আইসিজের পরামর্শমূলক রায়কে আইনি হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে হবে।
বিএনপির চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী ড. সাইমন পারভেজ বলেন, বাংলাদেশের নিঃসরণ সামান্য হলেও প্রভাবের শিকার সবচেয়ে বেশি। জলবায়ু অর্থায়নকে ঋণ থেকে সরিয়ে ন্যায্যতা ও সমঅধিকারের পথে নিতে হবে। জলবায়ু ঋণের যুগ শেষ করে জলবায়ু ন্যায়ের যুগ শুরু করতে হবে।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) যুগ্ম সচিব ড. কাজী শাহজাহান বলেন, অর্থায়ন কার্যকরভাবে কাজে লাগাতে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক নীতিমালা বুঝতে হবে, বৈশ্বিক উন্নয়ন কাঠামো থেকে শিক্ষা নিতে হবে এবং স্থানীয় সক্ষমতা গড়ে তুলতে হবে, যেন তথ্য ও সম্পদ কৌশলগতভাবে ব্যবহৃত হয়।
বিশ্বের জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ এখন অন্যতম ঋণগ্রস্ত। বৈশ্বিক কার্বন নিঃসরণে দশমিক ৫ শতাংশের কম অবদান রেখেও বাংলাদেশকে মাথাপিছু ৭৯ দশমিক ৬০ মার্কিন ডলারের জলবায়ু ঋণের বোঝা বইতে হচ্ছে। বাংলাদেশের পাওয়া জলবায়ু অর্থায়নে ঋণ ও অনুদানের অনুপাত ২ দশমিক ৭, যা স্বল্পোন্নত দেশগুলোর (এলডিসি) গড় মান দশমিক ৭-এর প্রায় চার গুণ। একই সঙ্গে বহুপাক্ষিক ঋণ অনুপাত দশমিক ৯৪, যা এলডিসি গড় দশমিক ১৯-এর প্রায় পাঁচ গুণ।
বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান চেঞ্জ ইনিশিয়েটিভের তৈরি ক্লাইমেট ডেট রিস্ক ইনডেক্স (সিডিআরআই-২০২৫) প্রতিবেদনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়। শনিবার রাজধানীর বনানীতে হোটেল শেরাটনে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
অনুষ্ঠানে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) মহাপরিচালক ড. এ কে এনামুল হক প্রমুখ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
চেঞ্জ ইনিশিয়েটিভের প্রধান নির্বাহী এম জাকির হোসেন খান এ গবেষণায় নেতৃত্বে দেন। অনুষ্ঠানে গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন সহগবেষক তন্ময় সাহা।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বাংলাদেশের সিডিআরআই-২০২৫ স্কোর ১০০-এর মধ্যে ৬৫ দশমিক ৩৭, যা ২০৩১ সালে বেড়ে ৬৫ দশমিক ৬৩-তে পৌঁছাতে পারে। ফলে বাংলাদেশ ‘উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ’ শ্রেণিতে পড়েছে।
গবেষণায় দেখা গেছে, বাংলাদেশের অ্যাডাপটেশন-টু-মিটিগেশন অনুপাত কেবল দশমিক ৪২, যা এলডিসি গড়ের অর্ধেকেরও কম। এতে করে জলবায়ু সহনশীলতা বাড়াতে প্রয়োজনীয় তহবিল মারাত্মকভাবে ঘাটতিতে রয়েছে।
গবেষণার ফলাফল বলছে, প্যারিস চুক্তির অধীনে ক্ষতিপূরণের প্রতিশ্রুতি থাকা সত্ত্বেও আন্তর্জাতিক জলবায়ু অর্থায়ন এখন ‘জলবায়ু ঋণ ফাঁদে’ পরিণত হয়েছে। জলবায়ু অর্থায়নের ৭০ শতাংশেরও বেশি ঋণ আকারে আসে, ফলে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোকে দ্বিগুণ মূল্য দিতে হচ্ছে। প্রথমত ঘন ঘন জলবায়ু বিপর্যয়ের ক্ষতি সামলাতে এবং দ্বিতীয়ত ঋণের কিস্তি পরিশোধে। ২০০০ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত জলবায়ু বিপর্যয়ে ১৩০ মিলিয়নেরও বেশি বাংলাদেশি বাস্তুচ্যুত বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন এবং ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৩ দশমিক ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। তবুও অভিযোজনমূলক সহায়তা অপ্রতুল রয়ে গেছে, আর পরিবারগুলো প্রতিবছর গড়ে নিজ খরচে প্রায় ১০ হাজার ৭০০ টাকা (প্রায় ৮৮ মার্কিন ডলার) ব্যয় করছে, যা বার্ষিক প্রায় ১ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলারের সমান।
অনুষ্ঠানে পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ বলেন, জীববৈচিত্র্য রক্ষা জলবায়ু প্রভাব কমাতে পারে, কিন্তু কপের মতো বৈশ্বিক ফোরামে প্রতিশ্রুত ফল মেলে না। বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক আদালতের (আইসিজে) রায়ের আলোকে বৈষম্যমূলক কার্বন নিঃসরণ মোকাবিলা করতে হবে এবং একই সঙ্গে জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা ও এনডিসি বাস্তবায়নে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগ বাড়াতে হবে।
বিআইডিএসের মহাপরিচালক ড. এ কে এনামুল হক বলেন, জলবায়ু একটি বৈজ্ঞানিক বিষয় হলেও বাংলাদেশ এখনো চরম ঝুঁকিপূর্ণ। অনুদান সীমিত, ঋণ ঝুঁকিপূর্ণ এবং বেসরকারি খাতের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা আর্থিক চাপ বাড়াচ্ছে। ঝুঁকিতে থাকা জনগোষ্ঠী পাচারসহ অতিরিক্ত হুমকির মুখে। প্রকৃত সহনশীলতা গড়তে স্থানীয় জ্ঞান, প্রযুক্তি ও কাঠামোগত পরিবর্তন দরকার, ধাপে ধাপে ক্ষুদ্র সমাধান যথেষ্ট নয়।
চেঞ্জ ইনিশিয়েটিভের প্রধান নির্বাহী এম জাকির হোসেন খান বলেন, কপ ২৯-এ চালু হওয়া ১ বিলিয়ন ডলারের ক্লাইমেট ফাইন্যান্স অ্যাকশন ফান্ড যদি দৃঢ় অঙ্গীকার ও স্পষ্ট শাসন কাঠামো না পায়, তবে এটি ভঙ্গুর প্রতিশ্রুতিতেই রয়ে যাবে, ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর জন্য জীবনরেখা হবে না।
ঢাকার সুইডেন দূতাবাসের ফার্স্ট সেক্রেটারি ও ডেপুটি হেড অব ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেশন নায়োকা মার্টিনেজ-ব্যাকস্ট্রম বলেন, জলবায়ু অর্থায়নকে হতে হবে জবাবদিহিমূলক, ন্যায্য ও কার্যকর, যাতে প্রকৃতি সুরক্ষিত হয় এবং ন্যায়সংগত রূপান্তর ঘটে। অনুদানের বাইরেও নতুন অর্থের উৎস দরকার।
পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. ফজলে রাব্বি সাদেক আহমেদ বলেন, অভিযোজন অর্থায়নকে অবশ্যই অনুদানভিত্তিক ও ন্যায্য হতে হবে, না হলে বিশ্ব এক জলবায়ু ঋণ সংকটে পড়বে, যেখানে দুর্বল জনগোষ্ঠীর জন্য বেঁচে থাকা হবে অযোগ্য এবং সবার জন্য অস্থিতিশীল।
ঢাকার সুইজারল্যান্ড দূতাবাসের কো-অপারেশন অফিসার শিরিন লিরা বলেন, জলবায়ু তহবিল সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণদের কাছে পৌঁছানোর জন্য বাংলাদেশ যদি জবাবদিহি, স্বচ্ছতা ও সুশাসন নিশ্চিত করতে না পারে, তবে বৈশ্বিক অর্থায়নে প্রবেশাধিকার সীমিত থাকবে।
গ্রিনপিস দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার গ্রিনস্পিকার ফারিয়া হোসেন ইকরা বলেন, বাংলাদেশ যখন এলডিসি থেকে উত্তরণের পথে, ন্যায্য ও সুবিচারমূলক জলবায়ু অর্থায়ন পাওয়া আরও কঠিন হবে। বড় দূষণকারীদের জবাবদিহির আওতায় আনার জন্য এবং প্রাপ্য সহায়তা নিশ্চিত করতে আইসিজের পরামর্শমূলক রায়কে আইনি হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে হবে।
বিএনপির চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী ড. সাইমন পারভেজ বলেন, বাংলাদেশের নিঃসরণ সামান্য হলেও প্রভাবের শিকার সবচেয়ে বেশি। জলবায়ু অর্থায়নকে ঋণ থেকে সরিয়ে ন্যায্যতা ও সমঅধিকারের পথে নিতে হবে। জলবায়ু ঋণের যুগ শেষ করে জলবায়ু ন্যায়ের যুগ শুরু করতে হবে।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) যুগ্ম সচিব ড. কাজী শাহজাহান বলেন, অর্থায়ন কার্যকরভাবে কাজে লাগাতে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক নীতিমালা বুঝতে হবে, বৈশ্বিক উন্নয়ন কাঠামো থেকে শিক্ষা নিতে হবে এবং স্থানীয় সক্ষমতা গড়ে তুলতে হবে, যেন তথ্য ও সম্পদ কৌশলগতভাবে ব্যবহৃত হয়।
মার্কেন্টাইল ব্যাংক পিএলসি ও বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশনের (বিএইচবিএফসি) মধ্যে গ্রাহকসেবা-সংক্রান্ত এক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। গতকাল রোববার ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
২ মিনিট আগেফার্নিচার শিল্পের সেরা ব্র্যান্ড হিসেবে সুপারব্র্যান্ডস বাংলাদেশের ২০২৫-২৬ সেশনের সুপারব্র্যান্ডের স্বীকৃতি পেয়েছে দেশের সুপরিচিত ফার্নিচার ব্র্যান্ড হাতিল। ২০ সেপ্টেম্বর রাজধানীর লো মেরিডিয়েন হোটেলে সুপারব্র্যান্ড বাংলাদেশের পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে হাতিলের পরিচালক (বিপণন) মশিউর রহমান পুরস্কার গ্রহ
১৪ মিনিট আগেঅর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ‘বাইরের দেশে বেশি ট্যাক্স দিতে হলেও সরকারের পক্ষ থেকে ভালো সেবা পাওয়া যায়। আমাদের দেশে ট্যাক্স দেয়, কিন্তু সেবা পায় না। তাহলে লোকজন তো একটু গোস্সা করবেই।’
২ ঘণ্টা আগেভারতের ২৮৩ বিলিয়ন ডলারের তথ্যপ্রযুক্তি খাতকে তাদের বহু দশকের পুরোনো কৌশল বদলাতে হবে। কারণ, গতকাল রোববার থেকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নতুন এইচ-১বি ভিসার জন্য ১ লাখ ডলার ফি আরোপ করেছেন। বিশ্লেষক, আইনজীবী, অর্থনীতিবিদ এবং তথ্যপ্রযুক্তি খাতের অভিজ্ঞরা বলছেন, এই সিদ্ধান্ত যুক্তরাষ্ট্র...
২ ঘণ্টা আগে