বিবিএসের প্রতিবেদন
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বাংলাদেশের মানুষ বছরে গড়ে ৯৮১ টাকা ব্যয় করেন শুধু হাত ধোয়ার পেছনে। এ খরচ শহরে ১৩১১ টাকা হলেও গ্রামে ৮৩১ টাকা। পানি ব্যবহারের দিক থেকেও পার্থক্য লক্ষণীয়—একজন গ্রামীণ নাগরিক বছরে গড়ে ৩১ হাজার ১৮৪ লিটার পানি ব্যবহার করেন হাত ধোয়ার জন্য, আর শহরে এ পরিমাণ ৩০ হাজার ৬৮৩ লিটার। এসব তথ্য প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)।
গতকাল রোববার আগারগাঁওয়ের পরিসংখ্যান ভবনে অনুষ্ঠিত ‘স্ট্রেংদেনিং এনভায়রনমেন্ট, ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড ডিজাস্টার স্ট্যাটিস্টিকস প্রজেক্ট’-এর এক সেমিনারে বিবিএসের এ প্রতিবেদন উন্মোচন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন মহাপরিচালক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান। প্রধান অতিথি ছিলেন বিবিএস সচিব আলেয়া আক্তার।
৮ বছরে কৃষিজমি কমেছে ১.৯৮%
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৫-২৩ সালের মধ্যে দেশের কৃষিজমির পরিমাণ ৭৪ হাজার ৩৮৬.৬৩ বর্গকিমি থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ৭২ হাজার ৯১৫.৭৪ বর্গকিমিতে, যা মোট ভূমির ৫০.৪১ শতাংশ থেকে নেমে এসেছে ৪৯.৪১ শতাংশে। অর্থাৎ এ সময়কালে কৃষিজমি কমেছে ১.৯৮ শতাংশ। শহরায়ণ ও শিল্পায়নের চাপ এ হ্রাসের পেছনে মূল কারণ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।
বনভূমি কমেছে ৫.৪১ শতাংশ
একই সময়ের মধ্যে দেশের বনভূমিও সংকুচিত হয়েছে। ২০১৫ সালে দেশের বনভূমির পরিমাণ ছিল ১৮ হাজার ৪৯৯.০৮ বর্গকিমি, যা ২০২৩ সালে কমে দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ৪৯৮.১৮ বর্গকিমিতে—কমেছে ৫.৪১ শতাংশ। এর মধ্যে ‘অন্যান্য বনভূমি’ শ্রেণিতে হ্রাসের হার সবচেয়ে বেশি—১৯.৮৬ শতাংশ।
নগরায়ণের পরিমাণ বেড়েছে ২.৮২%
অন্যদিকে, নগরায়ণ এবং শিল্পোন্নয়নের ফলে আর্টিফিশিয়াল সারফেস বা বিল্টআপ এরিয়া বেড়েছে ৩৩ হাজার ১৩৯.৮৩ বর্গকিমি থেকে ৩৪ হাজার ৭২.৯০ বর্গকিমিতে, যা মোট ভূখণ্ডের ২৩.০৯ শতাংশ। এতে ২০১৫ সালের তুলনায় নগরায়ণ বেড়েছে ২.৮২ শতাংশ।
জলাশয়ের ব্যবহার বেড়েছে ৫.৯৪%
জলাশয়ের পরিমাণেও বড় পরিবর্তন এসেছে। ২০১৫ সালে ভূ-অভ্যন্তরীণ জলাশয় তথা নদী, খাল, বিল ও হ্রদের জমি ছিল ১৮ হাজার ১২০.০৫ বর্গকিমি। ২০২৩ সালে তা বেড়ে হয়েছে ১৯ হাজার ১৯৬.১২ বর্গকিমি—বৃদ্ধির হার ৫.৯৪ শতাংশ। উপকূলীয় জলাশয় ও মোহনার এলাকা বেড়েছে ৬৪.৮৬ শতাংশ, যা বর্তমানে ১,২৫০.৪৮ বর্গকিমি।
প্রতিবেদন বলছে, ঘন জঙ্গল ও গুল্মভূমির ক্ষেত্রেও সংকোচন ঘটেছে। ঘাস ও ঝোপঝাড়ের জমি কমেছে যথাক্রমে ১৯.৮৬ শতাংশ ও ২১.৩৩ শতাংশ। এতে বন্য প্রাণীর বিচরণক্ষেত্র সংকুচিত হচ্ছে এবং জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে নতুন চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি হচ্ছে।
তবে ইতিবাচক দিকও রয়েছে। ২০১৫ সালে দেশে কৃত্রিম বন ছিল ১,৩৪১.৪৮ বর্গকিমি, যা ২০২৩ সালে বেড়ে হয়েছে ১,৭০৮.৫৩ বর্গকিমি—বৃদ্ধির হার ২৭.৩৬ শতাংশ। অনুৎপাদনশীল জমির ব্যবহার কিছুটা বাড়ায় অব্যবহৃত জমির পরিমাণ ১.১ শতাংশ কমেছে।
এই সেমিনারে বিআইডিএসের মহাপরিচালক ড. এনামুল হক বলেন, ‘ধানের জমি কমছে, কারণ কৃষিজমি দখল করে ঘরবাড়ি বানানো হচ্ছে। হাওর এলাকার জমিও হারিয়ে যাচ্ছে, যা খাদ্য নিরাপত্তার জন্য মারাত্মক হুমকি। বনভূমি হ্রাসের ফলে বন্য প্রাণীর চলাচলে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে। জমির জিংক কমে যাওয়াও এক উদ্বেগের বিষয়, যা ফসলের মান ও উৎপাদনকে প্রভাবিত করতে পারে।’
বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো ‘ম্যাটেরিয়াল ফুটপ্রিন্ট’ ও ‘ডোমেস্টিক ম্যাটেরিয়াল কনজাম্পশন অ্যাকাউন্টস’ চালু করা হয়েছে, যা এসডিজির অন্তত ৪টি সূচক অর্জনে ভূমিকা রাখবে বলে জানানো হয়েছে। এসব উদ্যোগ টেকসই উন্নয়নের পথে বাংলাদেশকে আরও একধাপ এগিয়ে নেবে বলে আশা প্রকাশ করেছে বিবিএস।
বাংলাদেশের মানুষ বছরে গড়ে ৯৮১ টাকা ব্যয় করেন শুধু হাত ধোয়ার পেছনে। এ খরচ শহরে ১৩১১ টাকা হলেও গ্রামে ৮৩১ টাকা। পানি ব্যবহারের দিক থেকেও পার্থক্য লক্ষণীয়—একজন গ্রামীণ নাগরিক বছরে গড়ে ৩১ হাজার ১৮৪ লিটার পানি ব্যবহার করেন হাত ধোয়ার জন্য, আর শহরে এ পরিমাণ ৩০ হাজার ৬৮৩ লিটার। এসব তথ্য প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)।
গতকাল রোববার আগারগাঁওয়ের পরিসংখ্যান ভবনে অনুষ্ঠিত ‘স্ট্রেংদেনিং এনভায়রনমেন্ট, ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড ডিজাস্টার স্ট্যাটিস্টিকস প্রজেক্ট’-এর এক সেমিনারে বিবিএসের এ প্রতিবেদন উন্মোচন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন মহাপরিচালক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান। প্রধান অতিথি ছিলেন বিবিএস সচিব আলেয়া আক্তার।
৮ বছরে কৃষিজমি কমেছে ১.৯৮%
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৫-২৩ সালের মধ্যে দেশের কৃষিজমির পরিমাণ ৭৪ হাজার ৩৮৬.৬৩ বর্গকিমি থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ৭২ হাজার ৯১৫.৭৪ বর্গকিমিতে, যা মোট ভূমির ৫০.৪১ শতাংশ থেকে নেমে এসেছে ৪৯.৪১ শতাংশে। অর্থাৎ এ সময়কালে কৃষিজমি কমেছে ১.৯৮ শতাংশ। শহরায়ণ ও শিল্পায়নের চাপ এ হ্রাসের পেছনে মূল কারণ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।
বনভূমি কমেছে ৫.৪১ শতাংশ
একই সময়ের মধ্যে দেশের বনভূমিও সংকুচিত হয়েছে। ২০১৫ সালে দেশের বনভূমির পরিমাণ ছিল ১৮ হাজার ৪৯৯.০৮ বর্গকিমি, যা ২০২৩ সালে কমে দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ৪৯৮.১৮ বর্গকিমিতে—কমেছে ৫.৪১ শতাংশ। এর মধ্যে ‘অন্যান্য বনভূমি’ শ্রেণিতে হ্রাসের হার সবচেয়ে বেশি—১৯.৮৬ শতাংশ।
নগরায়ণের পরিমাণ বেড়েছে ২.৮২%
অন্যদিকে, নগরায়ণ এবং শিল্পোন্নয়নের ফলে আর্টিফিশিয়াল সারফেস বা বিল্টআপ এরিয়া বেড়েছে ৩৩ হাজার ১৩৯.৮৩ বর্গকিমি থেকে ৩৪ হাজার ৭২.৯০ বর্গকিমিতে, যা মোট ভূখণ্ডের ২৩.০৯ শতাংশ। এতে ২০১৫ সালের তুলনায় নগরায়ণ বেড়েছে ২.৮২ শতাংশ।
জলাশয়ের ব্যবহার বেড়েছে ৫.৯৪%
জলাশয়ের পরিমাণেও বড় পরিবর্তন এসেছে। ২০১৫ সালে ভূ-অভ্যন্তরীণ জলাশয় তথা নদী, খাল, বিল ও হ্রদের জমি ছিল ১৮ হাজার ১২০.০৫ বর্গকিমি। ২০২৩ সালে তা বেড়ে হয়েছে ১৯ হাজার ১৯৬.১২ বর্গকিমি—বৃদ্ধির হার ৫.৯৪ শতাংশ। উপকূলীয় জলাশয় ও মোহনার এলাকা বেড়েছে ৬৪.৮৬ শতাংশ, যা বর্তমানে ১,২৫০.৪৮ বর্গকিমি।
প্রতিবেদন বলছে, ঘন জঙ্গল ও গুল্মভূমির ক্ষেত্রেও সংকোচন ঘটেছে। ঘাস ও ঝোপঝাড়ের জমি কমেছে যথাক্রমে ১৯.৮৬ শতাংশ ও ২১.৩৩ শতাংশ। এতে বন্য প্রাণীর বিচরণক্ষেত্র সংকুচিত হচ্ছে এবং জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে নতুন চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি হচ্ছে।
তবে ইতিবাচক দিকও রয়েছে। ২০১৫ সালে দেশে কৃত্রিম বন ছিল ১,৩৪১.৪৮ বর্গকিমি, যা ২০২৩ সালে বেড়ে হয়েছে ১,৭০৮.৫৩ বর্গকিমি—বৃদ্ধির হার ২৭.৩৬ শতাংশ। অনুৎপাদনশীল জমির ব্যবহার কিছুটা বাড়ায় অব্যবহৃত জমির পরিমাণ ১.১ শতাংশ কমেছে।
এই সেমিনারে বিআইডিএসের মহাপরিচালক ড. এনামুল হক বলেন, ‘ধানের জমি কমছে, কারণ কৃষিজমি দখল করে ঘরবাড়ি বানানো হচ্ছে। হাওর এলাকার জমিও হারিয়ে যাচ্ছে, যা খাদ্য নিরাপত্তার জন্য মারাত্মক হুমকি। বনভূমি হ্রাসের ফলে বন্য প্রাণীর চলাচলে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে। জমির জিংক কমে যাওয়াও এক উদ্বেগের বিষয়, যা ফসলের মান ও উৎপাদনকে প্রভাবিত করতে পারে।’
বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো ‘ম্যাটেরিয়াল ফুটপ্রিন্ট’ ও ‘ডোমেস্টিক ম্যাটেরিয়াল কনজাম্পশন অ্যাকাউন্টস’ চালু করা হয়েছে, যা এসডিজির অন্তত ৪টি সূচক অর্জনে ভূমিকা রাখবে বলে জানানো হয়েছে। এসব উদ্যোগ টেকসই উন্নয়নের পথে বাংলাদেশকে আরও একধাপ এগিয়ে নেবে বলে আশা প্রকাশ করেছে বিবিএস।
যুক্তরাষ্ট্রের ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর বিমান হামলার পর বিশ্বজুড়ে তেলের বাজারে ব্যাপক অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। যুদ্ধের আশঙ্কা এবং জ্বালানির সরবরাহে সম্ভাব্য বিঘ্ন ঘটতে পারে—এই আতঙ্কে আজ দিনের শুরুতেই বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম হঠাৎ করেই ঊর্ধ্বমুখী হয়ে ওঠে।
৮ মিনিট আগেচাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার ঐতিহ্যবাহী কানসাট আমবাজারে চলছে জমজমাট বেচাকেনা। দেশের বৃহৎতম এই মৌসুমি বাজারটি এখন হাঁকডাকে মুখর, নানা জাতের আমে ভরে উঠেছে প্রতিটি আড়ত। ঈদুল আজহার ছুটি, অতিবৃষ্টি ও প্রচণ্ড খরায় সাময়িক ধাক্কা খেলেও গত কয়েকদিনে পরিস্থিতি অনেকটাই ঘুরে দাঁড়িয়েছে। ব্যাংক লেনদেন চালু হওয়
৫ ঘণ্টা আগেচলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের ১১ মাসে (জুলাই থেকে ১৮ জুন পর্যন্ত) প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৯ দশমিক ৩৬ বিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, এটি আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ২৭ দশমিক ৩ শতাংশ বেশি। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের এই সময় পর্যন্ত রেমিট্যান্স এসেছিল ২৩ দশমিক শূন্য ৬ বিলিয়ন
৫ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রাম বন্দরের আলোচিত নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) পরিচালনার দায়িত্ব থেকে সরে যাচ্ছে সাইফ পাওয়ারটেক। আগামী ৬ জুলাই প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে বন্দরের চুক্তির মেয়াদ শেষ হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে আর চুক্তি নবায়ন করবে না বন্দর কর্তৃপক্ষ। আপাতত বন্দর কর্তৃপক্ষের হাতেই থাকছে এনসিটি পরিচালনার দায়িত্ব
৬ ঘণ্টা আগে