জালে ইলিশ ধরা পড়ছে কম
রোকন উদ্দীন, ঢাকা
নিষেধাজ্ঞা শেষে গত ১ জুলাই থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে ইলিশ ধরার মৌসুম, যা চলবে আগস্টের শেষ পর্যন্ত। কিন্তু অবাক করার মতো বিষয় হলো—ভরা মৌসুমেও সাগর-নদী থেকে জেলেরা প্রত্যাশিত ইলিশ পাচ্ছেন না। প্রতিবছর এই সময় দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার জেলেরা রুপালি ইলিশ শিকারে ব্যস্ত সময় কাটান। এখানকার নিঝুম দ্বীপ, বন্দরটিলা, সুইজের ঘাট, মোক্তারিয়া, দানারদোল, সূর্যমুখী, কাজিরবাজার, বাংলাবাজার, চেয়ারম্যান ঘাটসহ বড় ২০টি ঘাটে ছোট-বড় প্রায় ১০ হাজার জেলে নৌকা নিয়ে নদীতে নামেন। এবারও জেলেরা আগের মতোই প্রস্তুতি নিয়ে শিকারে নেমেছেন, কিন্তু বিচরণ এলাকায় জালে মাছ ধরা পড়ছে অনেক কম। ইলিশ বিচরণের অন্যান্য এলাকাতেও একই চিত্র। সর্বত্রই ইলিশ না পাওয়ার হতাশা।
এর প্রভাব পড়ছে সারা দেশের সরবরাহে। পাইকারি বাজারগুলোতেও যেন ইলিশের হাহাকার। এতে সুযোগ নিচ্ছেন আড়তদারেরা—ক্রেতা বেশি দেখলেই নিলামে দাম বাড়িয়ে দিচ্ছেন। যাঁরা বেশি দাম দিচ্ছেন, ইলিশ যাচ্ছে তাঁদের হাতেই। এরপর পরিবহন খরচসহ অন্যান্য ব্যয় যোগ করে পাইকারি বিক্রেতারা দাম তুলছেন আরও ওপরে। সেই ইলিশ যখন খুচরা বাজারে পৌঁছায়, তখন দরিদ্র বা নিম্নবিত্ত তো দূরের কথা, মধ্যবিত্তের পক্ষেও কেনা কঠিন হয়ে পড়ছে। ক্রেতা-বিক্রেতারা বলছেন, ইলিশ এখন বাজারে একধরনের ‘বিলাসী পণ্য’, যার স্বাদ কেবল ধনী শ্রেণিই নিতে পারছে।
ভরা মৌসুমে সরবরাহ কমে যাওয়ার কারণ জানতে চাইলে চট্টগ্রাম মৎস্য অধিদপ্তরের সামুদ্রিক মৎস্য জরিপ ব্যবস্থাপনা ইউনিটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা দিলীপ কুমার সাহা আজকের পত্রিকা'কে বলেন, এ বছর অতিবৃষ্টির প্রভাব স্পষ্ট। মৌসুম শুরুর আগে প্রচুর জাটকা দেখে মনে হয়েছিল ইলিশে ভরপুর মৌসুম আসছে। কিন্তু টানা বৃষ্টিতে সাগর-নদী বেশির ভাগ সময় উত্তাল থাকায় জেলেরা গভীরে নামতে পারেননি। কেউ নামলেও উত্তাল পানিতে শিকার ও ব্যবস্থাপনা ঠিকভাবে করতে পারেননি। জলবায়ু পরিবর্তন ও নদীদূষণে পানির গুণমানও ক্রমেই খারাপ হচ্ছে, যা ইলিশ না পাওয়ার বড় কারণ। এ প্রভাব শুধু পরিমাণে নয়, আকারেও পড়ছে—ইলিশ ছোট হয়ে যাচ্ছে, এমনকি অল্প বয়সী ছোট মাছেও ডিম পাওয়া যাচ্ছে। গত কয়েক বছর ধরেই এই প্রবণতা বাড়ছে।
মৎস্য অধিদপ্তরের হিসাবে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে দেশে ইলিশ আহরণ হয়েছিল ৫ লাখ ৭১ হাজার টন। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে তা নেমে এসেছে ৫ লাখ ২৯ হাজার টনে—মানে কমেছে ৪২ হাজার টন। চলতি অর্থবছরে এ সংখ্যা আরও কমতে পারে।
ইলিশ শিকারের অন্যতম বড় জোন হাতিয়া উপজেলা। উপজেলার সূর্যমুখী ঘাট মাছ ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. ফয়েজুর রহমান নান্টু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘১৯৯৩ সাল থেকে মাছের ব্যবসায় আছি, কিন্তু এমন খারাপ অবস্থা কখনো দেখিনি। মৌসুমের শুরু থেকেই মাছ নেই। অনেকে ব্যবসা বন্ধ করে চলে গেছেন। ঘাটে পড়ে আছে অসংখ্য নৌকা, জেলেরা অন্যত্র চলে গেছেন। সবার মুখে হতাশা।’
বিজ্ঞানীদের মতে, সামুদ্রিক মাছ হলেও ডিম ছাড়তে ইলিশ স্রোতস্বিনী নদীতে আসে। কিন্তু এটি খুব সংবেদনশীল মাছ—প্রতিকূল আবহাওয়ায় ঘন ঘন গতিপথ বদলায়। হাতিয়া উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তা ফাহাদ হাসান জানান, নদীতে ডুবোচর জেগে ওঠা, কলকারখানার বর্জ্য পড়া, মা ইলিশ ধরা এবং জাটকা নিধন ঠেকাতে না পারা—সব মিলিয়েই কাঙ্ক্ষিত ইলিশ না পাওয়ার জন্য দায়ী।
বাংলাদেশের জাতীয় মাছ ইলিশ ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য হিসেবে স্বীকৃত। ওয়ার্ল্ড ফিশের হিসাবে, বিশ্বের মোট ইলিশের ৮৬ শতাংশই উৎপাদিত হয় বাংলাদেশে। অথচ এখন সেই ইলিশের দেখা মিলছে বাজারে খুব কম।
রাজধানীর রামপুরা বাজারের বিক্রেতা মো. ইয়াকুব বলেন, ‘১৫ বছর ধরে মাছ বিক্রি করছি, ভরা মৌসুমে এমন দাম আর সরবরাহ ঘাটতি আগে দেখিনি।’ সেখানে ৫০০-৬০০ গ্রামের ইলিশ কেজি ১,৪০০ টাকা, ৮০০-৯০০ গ্রামের ইলিশ ১,৮০০ টাকা, ২৫০ গ্রামের জাটকা ৯০০ টাকা, আর এক কেজি ওজনের ইলিশ বিরল—পেলেই দাম ২,২০০-২,৪০০ টাকা।
ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য বলছে, চলতি বছর খুচরায় গত বছরের চেয়ে গড়ে ১৬ শতাংশ বেশি দামে ইলিশ বিক্রি হচ্ছে। রাজধানীতে এখন কেজি ৮০০-২,০০০ টাকায় ইলিশ মিলছে, যেখানে গত বছর দাম ছিল ৮০০-১,৬০০ টাকা।
মুগদা টাওয়ার বাজারের ক্রেতা আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘মেয়ের শ্বশুরবাড়ির লোকজন বেড়াতে এসেছেন, তাই বাধ্য হয়ে কিনেছি। যে দামে একটা ইলিশ কিনেছি, তাতে তিন কেজির বেশি গরুর মাংস পাওয়া যেত।’
নিষেধাজ্ঞা শেষে গত ১ জুলাই থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে ইলিশ ধরার মৌসুম, যা চলবে আগস্টের শেষ পর্যন্ত। কিন্তু অবাক করার মতো বিষয় হলো—ভরা মৌসুমেও সাগর-নদী থেকে জেলেরা প্রত্যাশিত ইলিশ পাচ্ছেন না। প্রতিবছর এই সময় দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার জেলেরা রুপালি ইলিশ শিকারে ব্যস্ত সময় কাটান। এখানকার নিঝুম দ্বীপ, বন্দরটিলা, সুইজের ঘাট, মোক্তারিয়া, দানারদোল, সূর্যমুখী, কাজিরবাজার, বাংলাবাজার, চেয়ারম্যান ঘাটসহ বড় ২০টি ঘাটে ছোট-বড় প্রায় ১০ হাজার জেলে নৌকা নিয়ে নদীতে নামেন। এবারও জেলেরা আগের মতোই প্রস্তুতি নিয়ে শিকারে নেমেছেন, কিন্তু বিচরণ এলাকায় জালে মাছ ধরা পড়ছে অনেক কম। ইলিশ বিচরণের অন্যান্য এলাকাতেও একই চিত্র। সর্বত্রই ইলিশ না পাওয়ার হতাশা।
এর প্রভাব পড়ছে সারা দেশের সরবরাহে। পাইকারি বাজারগুলোতেও যেন ইলিশের হাহাকার। এতে সুযোগ নিচ্ছেন আড়তদারেরা—ক্রেতা বেশি দেখলেই নিলামে দাম বাড়িয়ে দিচ্ছেন। যাঁরা বেশি দাম দিচ্ছেন, ইলিশ যাচ্ছে তাঁদের হাতেই। এরপর পরিবহন খরচসহ অন্যান্য ব্যয় যোগ করে পাইকারি বিক্রেতারা দাম তুলছেন আরও ওপরে। সেই ইলিশ যখন খুচরা বাজারে পৌঁছায়, তখন দরিদ্র বা নিম্নবিত্ত তো দূরের কথা, মধ্যবিত্তের পক্ষেও কেনা কঠিন হয়ে পড়ছে। ক্রেতা-বিক্রেতারা বলছেন, ইলিশ এখন বাজারে একধরনের ‘বিলাসী পণ্য’, যার স্বাদ কেবল ধনী শ্রেণিই নিতে পারছে।
ভরা মৌসুমে সরবরাহ কমে যাওয়ার কারণ জানতে চাইলে চট্টগ্রাম মৎস্য অধিদপ্তরের সামুদ্রিক মৎস্য জরিপ ব্যবস্থাপনা ইউনিটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা দিলীপ কুমার সাহা আজকের পত্রিকা'কে বলেন, এ বছর অতিবৃষ্টির প্রভাব স্পষ্ট। মৌসুম শুরুর আগে প্রচুর জাটকা দেখে মনে হয়েছিল ইলিশে ভরপুর মৌসুম আসছে। কিন্তু টানা বৃষ্টিতে সাগর-নদী বেশির ভাগ সময় উত্তাল থাকায় জেলেরা গভীরে নামতে পারেননি। কেউ নামলেও উত্তাল পানিতে শিকার ও ব্যবস্থাপনা ঠিকভাবে করতে পারেননি। জলবায়ু পরিবর্তন ও নদীদূষণে পানির গুণমানও ক্রমেই খারাপ হচ্ছে, যা ইলিশ না পাওয়ার বড় কারণ। এ প্রভাব শুধু পরিমাণে নয়, আকারেও পড়ছে—ইলিশ ছোট হয়ে যাচ্ছে, এমনকি অল্প বয়সী ছোট মাছেও ডিম পাওয়া যাচ্ছে। গত কয়েক বছর ধরেই এই প্রবণতা বাড়ছে।
মৎস্য অধিদপ্তরের হিসাবে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে দেশে ইলিশ আহরণ হয়েছিল ৫ লাখ ৭১ হাজার টন। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে তা নেমে এসেছে ৫ লাখ ২৯ হাজার টনে—মানে কমেছে ৪২ হাজার টন। চলতি অর্থবছরে এ সংখ্যা আরও কমতে পারে।
ইলিশ শিকারের অন্যতম বড় জোন হাতিয়া উপজেলা। উপজেলার সূর্যমুখী ঘাট মাছ ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. ফয়েজুর রহমান নান্টু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘১৯৯৩ সাল থেকে মাছের ব্যবসায় আছি, কিন্তু এমন খারাপ অবস্থা কখনো দেখিনি। মৌসুমের শুরু থেকেই মাছ নেই। অনেকে ব্যবসা বন্ধ করে চলে গেছেন। ঘাটে পড়ে আছে অসংখ্য নৌকা, জেলেরা অন্যত্র চলে গেছেন। সবার মুখে হতাশা।’
বিজ্ঞানীদের মতে, সামুদ্রিক মাছ হলেও ডিম ছাড়তে ইলিশ স্রোতস্বিনী নদীতে আসে। কিন্তু এটি খুব সংবেদনশীল মাছ—প্রতিকূল আবহাওয়ায় ঘন ঘন গতিপথ বদলায়। হাতিয়া উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তা ফাহাদ হাসান জানান, নদীতে ডুবোচর জেগে ওঠা, কলকারখানার বর্জ্য পড়া, মা ইলিশ ধরা এবং জাটকা নিধন ঠেকাতে না পারা—সব মিলিয়েই কাঙ্ক্ষিত ইলিশ না পাওয়ার জন্য দায়ী।
বাংলাদেশের জাতীয় মাছ ইলিশ ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য হিসেবে স্বীকৃত। ওয়ার্ল্ড ফিশের হিসাবে, বিশ্বের মোট ইলিশের ৮৬ শতাংশই উৎপাদিত হয় বাংলাদেশে। অথচ এখন সেই ইলিশের দেখা মিলছে বাজারে খুব কম।
রাজধানীর রামপুরা বাজারের বিক্রেতা মো. ইয়াকুব বলেন, ‘১৫ বছর ধরে মাছ বিক্রি করছি, ভরা মৌসুমে এমন দাম আর সরবরাহ ঘাটতি আগে দেখিনি।’ সেখানে ৫০০-৬০০ গ্রামের ইলিশ কেজি ১,৪০০ টাকা, ৮০০-৯০০ গ্রামের ইলিশ ১,৮০০ টাকা, ২৫০ গ্রামের জাটকা ৯০০ টাকা, আর এক কেজি ওজনের ইলিশ বিরল—পেলেই দাম ২,২০০-২,৪০০ টাকা।
ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য বলছে, চলতি বছর খুচরায় গত বছরের চেয়ে গড়ে ১৬ শতাংশ বেশি দামে ইলিশ বিক্রি হচ্ছে। রাজধানীতে এখন কেজি ৮০০-২,০০০ টাকায় ইলিশ মিলছে, যেখানে গত বছর দাম ছিল ৮০০-১,৬০০ টাকা।
মুগদা টাওয়ার বাজারের ক্রেতা আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘মেয়ের শ্বশুরবাড়ির লোকজন বেড়াতে এসেছেন, তাই বাধ্য হয়ে কিনেছি। যে দামে একটা ইলিশ কিনেছি, তাতে তিন কেজির বেশি গরুর মাংস পাওয়া যেত।’
ব্যবসায়ীদের তীব্র বিরোধিতার মধ্যেই চট্টগ্রাম বন্দরে বহুল আলোচিত বর্ধিত মাশুল কার্যকর হয়েছে। বুধবার থেকে এই নতুন হার অনুযায়ী বন্দর ফি আদায় শুরু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব ও মুখপাত্র ওমর ফারুক। তিনি জানান, গত মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) রাত ১২টার পর থেকে বন্দরে অবস্থানরত জাহাজ...
৩ ঘণ্টা আগেউপদেষ্টা বলেন, প্রায় ১০০ কোটি টাকার ফান্ড দিয়ে জেডিপিসির মাধ্যমে প্রায় ১ হাজার ৬ জন উদ্যোক্তার অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে চেষ্টা করছি বাজারে পাটের একটা সাংস্কৃতিক পরিবর্তন আনতে। পাটের স্কয়ার মিটার, মাইলেজের পরিধি বাড়াতে গবেষণার দরকার। র্যাপিং (মোড়ক) উপকরণ হিসেবে বিশ্বব্যাপী পাটের বিশাল বাজার আছে।
৯ ঘণ্টা আগেসিঙ্গার বাংলাদেশ লিমিটেড এবং মেটলাইফ বাংলাদেশের মধ্যে সম্প্রতি একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়েছে। এই অংশীদারত্বের মাধ্যমে মেটলাইফ বাংলাদেশের নির্দিষ্ট গ্রাহকেরা উপভোগ করতে পারবেন সিঙ্গার বাংলাদেশের নির্বাচিত পণ্যের ওপর বিশেষ ছাড় এবং এক্সক্লুসিভ সুবিধা।
১৩ ঘণ্টা আগেদেশে ব্যাংক খাতের এক অদ্ভুত বৈপরীত্য বিরাজ করছে। বড় ঋণখেলাপিরা কয়েক শ থেকে কয়েক হাজার কোটি টাকা ফেরত না দিলেও তাদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। অন্যদিকে ছোট ঋণের জন্য গরিব কৃষক কিংবা সাধারণ মানুষ সামান্য দেরি বা কয়েক শ টাকার ঘাটতি হলে কঠোর হয়রানির শিকার হন; এমনকি হাতকড়া...
১ দিন আগেআবু বকর ছিদ্দিক, চট্টগ্রাম
ব্যবসায়ীদের তীব্র বিরোধিতার মধ্যেই চট্টগ্রাম বন্দরে বহুল আলোচিত বর্ধিত মাশুল কার্যকর হয়েছে। বুধবার থেকে এই নতুন হার অনুযায়ী বন্দর ফি আদায় শুরু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব ও মুখপাত্র ওমর ফারুক। তিনি জানান, গত মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) রাত ১২টার পর থেকে বন্দরে অবস্থানরত জাহাজ ও পণ্যের ওপর নতুন মাশুল আদায় শুরু হয়।
তবে এই আদায় শুরু হলেও সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অনড় অবস্থানে রয়েছেন বন্দর ব্যবহারকারীরা। তাঁদের দাবি, বন্দর কর্তৃপক্ষের এ সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক ও অন্যায্য। তাঁরা এখনো আশায় আছেন যে প্রধান উপদেষ্টা বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করবেন এবং পুনর্বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত স্থগিত করবেন। এ দাবিতে চট্টগ্রাম পোর্ট ইউজার্স ফোরাম ও চট্টগ্রাম চেম্বার ১৪ অক্টোবর প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় ও মুখ্য সচিবের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে।
এদিকে চট্টগ্রাম পোর্ট ইউজার্স ফোরামের আহ্বায়ক ও চট্টগ্রাম চেম্বারের সাবেক সভাপতি আমীর হুমায়ুন মাহমুদ চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা আশাবাদী যে প্রধান উপদেষ্টা বন্দর কর্তৃপক্ষের এ সিদ্ধান্ত স্থগিত করবেন।’ এ সময় কথা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে কোনো সাড়া না পেলে আমরা নতুন কর্মসূচির ঘোষণায় যেতে বাধ্য হব।’
বন্দর ব্যবহারকারীদের মতে, প্রায় ৪১ শতাংশ মাশুল বৃদ্ধি দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের ওপর সরাসরি চাপ সৃষ্টি করবে। তাঁরা মনে করেন, রাষ্ট্রীয় অবকাঠামো প্রতিষ্ঠান হিসেবে চট্টগ্রাম বন্দরকে ‘কস্ট-বেইজড ও সার্ভিস-ওরিয়েন্টেড’ মডেলে পরিচালিত হওয়া উচিত, যেখানে রাজস্ব নয়—সেবাই হবে মূল লক্ষ্য।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের অর্থ ও হিসাব বিভাগের প্রধান কর্মকর্তা মো. আবদুস শাকুর স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে নতুন মাশুল বৃদ্ধির ঘোষণা দেওয়া হয়। এরপর সরকারি প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী ১৫ অক্টোবর থেকে ২৩টি খাতে বর্ধিত মাশুল আদায় শুরু হয়। এতে খরচ বেড়েছে সর্বোচ্চ ৪১ শতাংশ পর্যন্ত। সিদ্ধান্তের আগে এশিয়ার ১০টি এবং বিশ্বের আরও ১৭টি বন্দরের মাশুলকাঠামো পর্যালোচনা করে স্পেনের পরামর্শক প্রতিষ্ঠান আইডম।
অস্বাভাবিক মাশুল বৃদ্ধির প্রতিবাদে ১২ অক্টোবর র্যাডিসন ব্লু চট্টগ্রাম বে ভিউতে ব্যবসায়ীদের এক সমন্বয় সভায় বক্তারা বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর একটি রাষ্ট্রীয় সেবা প্রতিষ্ঠান, বাণিজ্যিক লাভকেন্দ্রিক নয়। রাজস্ব বৃদ্ধির যুক্তিতে মাশুল বাড়ানো ব্যবসাবান্ধব সিদ্ধান্ত হতে পারে না।
প্রধান উপদেষ্টার কাছে পাঠানো চিঠিতে পোর্ট ইউজার্স ফোরাম উল্লেখ করেছে, গত কয়েক দশকে বন্দরের সার্ভিস ফি, হ্যান্ডলিং চার্জ, পাইলটেজ, ডেমারেজসহ বিভিন্ন খাতে ধারাবাহিকভাবে মাশুল বেড়েছে। এখন আবার বড় পরিসরে মাশুল বাড়ানো হলে তা সরাসরি আমদানি-রপ্তানির খরচ বাড়াবে এবং আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতা সক্ষমতা দুর্বল করবে।
ফোরাম আরও জানায়, বিদ্যমান মাশুলকাঠামো থেকেই বন্দর কর্তৃপক্ষ নিজস্ব অর্থায়নে আধুনিকায়ন ও সম্প্রসারণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে এবং তাদের সংরক্ষিত তহবিলেও পর্যাপ্ত অর্থ রয়েছে। ফলে বর্তমান পরিস্থিতিতে মাশুল বৃদ্ধির যৌক্তিকতা নেই।
চিঠিতে বলা হয়, মাশুল বৃদ্ধির ফলে কনটেইনার হ্যান্ডলিং, স্টোরেজ ও পরিবহন ব্যয় বাড়বে, যা রপ্তানি খাতের জন্য মারাত্মক চাপ তৈরি করবে। এ অবস্থায় নতুন মাশুল বাস্তবায়ন আপাতত স্থগিত রেখে বিষয়টি পুনর্বিবেচনার দাবি জানানো হয়েছে।
ফোরাম প্রস্তাব করেছে, প্রধান উপদেষ্টার উদ্যোগে স্থানীয় শিপিং এজেন্ট, আমদানি-রপ্তানিকারক, জাহাজ মালিক ও ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর মতামত নিয়ে একটি পর্যালোচনা কমিটি গঠন করা হোক, যাতে যৌক্তিক ও বাস্তবভিত্তিক মাশুলকাঠামো নির্ধারণ সম্ভব হয়।
এরই মধ্যে ব্যবসায়ী মহলে আলোচনা চলছে, যদি দ্রুত কোনো ইতিবাচক সাড়া না আসে, তবে বন্দর ব্যবহারকারীরা নতুন কর্মসূচির পথে হাঁটবেন, যা দেশের বাণিজ্যচক্রে নতুন অস্থিরতা ডেকে আনতে পারে।
ব্যবসায়ীদের তীব্র বিরোধিতার মধ্যেই চট্টগ্রাম বন্দরে বহুল আলোচিত বর্ধিত মাশুল কার্যকর হয়েছে। বুধবার থেকে এই নতুন হার অনুযায়ী বন্দর ফি আদায় শুরু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব ও মুখপাত্র ওমর ফারুক। তিনি জানান, গত মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) রাত ১২টার পর থেকে বন্দরে অবস্থানরত জাহাজ ও পণ্যের ওপর নতুন মাশুল আদায় শুরু হয়।
তবে এই আদায় শুরু হলেও সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অনড় অবস্থানে রয়েছেন বন্দর ব্যবহারকারীরা। তাঁদের দাবি, বন্দর কর্তৃপক্ষের এ সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক ও অন্যায্য। তাঁরা এখনো আশায় আছেন যে প্রধান উপদেষ্টা বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করবেন এবং পুনর্বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত স্থগিত করবেন। এ দাবিতে চট্টগ্রাম পোর্ট ইউজার্স ফোরাম ও চট্টগ্রাম চেম্বার ১৪ অক্টোবর প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় ও মুখ্য সচিবের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে।
এদিকে চট্টগ্রাম পোর্ট ইউজার্স ফোরামের আহ্বায়ক ও চট্টগ্রাম চেম্বারের সাবেক সভাপতি আমীর হুমায়ুন মাহমুদ চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা আশাবাদী যে প্রধান উপদেষ্টা বন্দর কর্তৃপক্ষের এ সিদ্ধান্ত স্থগিত করবেন।’ এ সময় কথা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে কোনো সাড়া না পেলে আমরা নতুন কর্মসূচির ঘোষণায় যেতে বাধ্য হব।’
বন্দর ব্যবহারকারীদের মতে, প্রায় ৪১ শতাংশ মাশুল বৃদ্ধি দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের ওপর সরাসরি চাপ সৃষ্টি করবে। তাঁরা মনে করেন, রাষ্ট্রীয় অবকাঠামো প্রতিষ্ঠান হিসেবে চট্টগ্রাম বন্দরকে ‘কস্ট-বেইজড ও সার্ভিস-ওরিয়েন্টেড’ মডেলে পরিচালিত হওয়া উচিত, যেখানে রাজস্ব নয়—সেবাই হবে মূল লক্ষ্য।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের অর্থ ও হিসাব বিভাগের প্রধান কর্মকর্তা মো. আবদুস শাকুর স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে নতুন মাশুল বৃদ্ধির ঘোষণা দেওয়া হয়। এরপর সরকারি প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী ১৫ অক্টোবর থেকে ২৩টি খাতে বর্ধিত মাশুল আদায় শুরু হয়। এতে খরচ বেড়েছে সর্বোচ্চ ৪১ শতাংশ পর্যন্ত। সিদ্ধান্তের আগে এশিয়ার ১০টি এবং বিশ্বের আরও ১৭টি বন্দরের মাশুলকাঠামো পর্যালোচনা করে স্পেনের পরামর্শক প্রতিষ্ঠান আইডম।
অস্বাভাবিক মাশুল বৃদ্ধির প্রতিবাদে ১২ অক্টোবর র্যাডিসন ব্লু চট্টগ্রাম বে ভিউতে ব্যবসায়ীদের এক সমন্বয় সভায় বক্তারা বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর একটি রাষ্ট্রীয় সেবা প্রতিষ্ঠান, বাণিজ্যিক লাভকেন্দ্রিক নয়। রাজস্ব বৃদ্ধির যুক্তিতে মাশুল বাড়ানো ব্যবসাবান্ধব সিদ্ধান্ত হতে পারে না।
প্রধান উপদেষ্টার কাছে পাঠানো চিঠিতে পোর্ট ইউজার্স ফোরাম উল্লেখ করেছে, গত কয়েক দশকে বন্দরের সার্ভিস ফি, হ্যান্ডলিং চার্জ, পাইলটেজ, ডেমারেজসহ বিভিন্ন খাতে ধারাবাহিকভাবে মাশুল বেড়েছে। এখন আবার বড় পরিসরে মাশুল বাড়ানো হলে তা সরাসরি আমদানি-রপ্তানির খরচ বাড়াবে এবং আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতা সক্ষমতা দুর্বল করবে।
ফোরাম আরও জানায়, বিদ্যমান মাশুলকাঠামো থেকেই বন্দর কর্তৃপক্ষ নিজস্ব অর্থায়নে আধুনিকায়ন ও সম্প্রসারণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে এবং তাদের সংরক্ষিত তহবিলেও পর্যাপ্ত অর্থ রয়েছে। ফলে বর্তমান পরিস্থিতিতে মাশুল বৃদ্ধির যৌক্তিকতা নেই।
চিঠিতে বলা হয়, মাশুল বৃদ্ধির ফলে কনটেইনার হ্যান্ডলিং, স্টোরেজ ও পরিবহন ব্যয় বাড়বে, যা রপ্তানি খাতের জন্য মারাত্মক চাপ তৈরি করবে। এ অবস্থায় নতুন মাশুল বাস্তবায়ন আপাতত স্থগিত রেখে বিষয়টি পুনর্বিবেচনার দাবি জানানো হয়েছে।
ফোরাম প্রস্তাব করেছে, প্রধান উপদেষ্টার উদ্যোগে স্থানীয় শিপিং এজেন্ট, আমদানি-রপ্তানিকারক, জাহাজ মালিক ও ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর মতামত নিয়ে একটি পর্যালোচনা কমিটি গঠন করা হোক, যাতে যৌক্তিক ও বাস্তবভিত্তিক মাশুলকাঠামো নির্ধারণ সম্ভব হয়।
এরই মধ্যে ব্যবসায়ী মহলে আলোচনা চলছে, যদি দ্রুত কোনো ইতিবাচক সাড়া না আসে, তবে বন্দর ব্যবহারকারীরা নতুন কর্মসূচির পথে হাঁটবেন, যা দেশের বাণিজ্যচক্রে নতুন অস্থিরতা ডেকে আনতে পারে।
নিষেধাজ্ঞা শেষে গত ১ জুলাই থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে ইলিশ ধরার মৌসুম, যা চলবে আগস্টের শেষ পর্যন্ত। কিন্তু অবাক করার মতো বিষয় হলো—ভরা মৌসুমেও সাগর-নদী থেকে জেলেরা প্রত্যাশিত ইলিশ পাচ্ছেন না। প্রতিবছর এই সময় দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার জেলেরা রুপালি ইলিশ শিকারে ব্যস্ত সময়...
১৫ আগস্ট ২০২৫উপদেষ্টা বলেন, প্রায় ১০০ কোটি টাকার ফান্ড দিয়ে জেডিপিসির মাধ্যমে প্রায় ১ হাজার ৬ জন উদ্যোক্তার অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে চেষ্টা করছি বাজারে পাটের একটা সাংস্কৃতিক পরিবর্তন আনতে। পাটের স্কয়ার মিটার, মাইলেজের পরিধি বাড়াতে গবেষণার দরকার। র্যাপিং (মোড়ক) উপকরণ হিসেবে বিশ্বব্যাপী পাটের বিশাল বাজার আছে।
৯ ঘণ্টা আগেসিঙ্গার বাংলাদেশ লিমিটেড এবং মেটলাইফ বাংলাদেশের মধ্যে সম্প্রতি একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়েছে। এই অংশীদারত্বের মাধ্যমে মেটলাইফ বাংলাদেশের নির্দিষ্ট গ্রাহকেরা উপভোগ করতে পারবেন সিঙ্গার বাংলাদেশের নির্বাচিত পণ্যের ওপর বিশেষ ছাড় এবং এক্সক্লুসিভ সুবিধা।
১৩ ঘণ্টা আগেদেশে ব্যাংক খাতের এক অদ্ভুত বৈপরীত্য বিরাজ করছে। বড় ঋণখেলাপিরা কয়েক শ থেকে কয়েক হাজার কোটি টাকা ফেরত না দিলেও তাদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। অন্যদিকে ছোট ঋণের জন্য গরিব কৃষক কিংবা সাধারণ মানুষ সামান্য দেরি বা কয়েক শ টাকার ঘাটতি হলে কঠোর হয়রানির শিকার হন; এমনকি হাতকড়া...
১ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
পাটের ব্যাগ চালু করতে সরকার শতকোটি টাকার ফান্ড নিয়ে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন বস্ত্র ও পাট, বাণিজ্য এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।
আজ বুধবার টেকসই উন্নয়নে পাটের ভূমিকা নিয়ে আয়োজিত ‘হাফিজউদ্দিন আহমেদ ও ফাতেমা আহমেদ ট্রাস্ট লেকচার-২০২৫’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটরিয়ামে ইয়ার্ন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
উপদেষ্টা বলেন, ‘প্রায় ১০০ কোটি টাকার ফান্ড দিয়ে জেডিপিসির মাধ্যমে প্রায় ১ হাজার ৬ জন উদ্যোক্তার অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে চেষ্টা করছি বাজারে পাটের একটা সাংস্কৃতিক পরিবর্তন আনতে। পাটের স্কয়ার মিটার, মাইলেজের পরিধি বাড়াতে গবেষণার দরকার। র্যাপিং (মোড়ক) উপকরণ হিসেবে বিশ্বব্যাপী পাটের বিশাল বাজার আছে।’
উপস্থিত শিক্ষার্থীদের ‘ফিউচার ক্যাপ্টেন’ উল্লেখ করে শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, ‘আপনারা অনেক জায়গায় রিফাইন্ড ক্যারেক্টার দেখিয়েছেন। বলেছেন, “মানি না”। পাটের ব্যাগের জন্য সাংস্কৃতিক পরিবর্তন (কালচারাল চেঞ্জ) দরকার আমাদের; কাউকে বাধ্য করে নয়।’
তিনি বলেন, ‘পাটপণ্য ইনোভেশন ও খরচ কমিয়ে এর বাণিজ্যিক সফলতা তৈরি করতে সক্ষমতা বাড়াতে হবে, যা প্লাস্টিককে হারাতে পারে। এ জন্য নীতি, পদক্ষেপ ও প্রচেষ্টার সমন্বিত উদ্যোগ রাখতে হবে। উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর মাধ্যমে শ্রমিকের সংখ্যা বাড়ে। আপনারা যেখানে কাজ করবেন, সেই প্রতিষ্ঠানকে শ্রেষ্ঠ করতে কাজ করতে হবে। শ্রেষ্ঠত্ব তৈরি করতে হবে।’
অনুষ্ঠানের সভাপতি বুটেক্সের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জুলহাস উদ্দিন প্রধান অতিথি উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন।
অনুষ্ঠানে মূল বক্তব্যে ইয়ার্ন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. হোসনে আরা বেগম দেশের অর্থনীতিকে টেকসই ও পরিবেশবান্ধব করতে পাট চাষ, এর রপ্তানি এবং এর ভবিষ্যতের নানা দিক উপস্থাপন করেন। সেই সঙ্গে আগামী বাণিজ্য মেলায় কেবল পাটের ব্যাগ প্রচলনের দাবি জানান।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক রাশিদা আখতার খানম, বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. নারগিস আখতার, আইইবির ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রকৌশলী খান মঞ্জুর মোরশেদ, আইটিইটির কনভেনর প্রকৌশলী আহসানুল করিম কায়সার প্রমুখ।
পাটের ব্যাগ চালু করতে সরকার শতকোটি টাকার ফান্ড নিয়ে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন বস্ত্র ও পাট, বাণিজ্য এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।
আজ বুধবার টেকসই উন্নয়নে পাটের ভূমিকা নিয়ে আয়োজিত ‘হাফিজউদ্দিন আহমেদ ও ফাতেমা আহমেদ ট্রাস্ট লেকচার-২০২৫’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটরিয়ামে ইয়ার্ন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
উপদেষ্টা বলেন, ‘প্রায় ১০০ কোটি টাকার ফান্ড দিয়ে জেডিপিসির মাধ্যমে প্রায় ১ হাজার ৬ জন উদ্যোক্তার অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে চেষ্টা করছি বাজারে পাটের একটা সাংস্কৃতিক পরিবর্তন আনতে। পাটের স্কয়ার মিটার, মাইলেজের পরিধি বাড়াতে গবেষণার দরকার। র্যাপিং (মোড়ক) উপকরণ হিসেবে বিশ্বব্যাপী পাটের বিশাল বাজার আছে।’
উপস্থিত শিক্ষার্থীদের ‘ফিউচার ক্যাপ্টেন’ উল্লেখ করে শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, ‘আপনারা অনেক জায়গায় রিফাইন্ড ক্যারেক্টার দেখিয়েছেন। বলেছেন, “মানি না”। পাটের ব্যাগের জন্য সাংস্কৃতিক পরিবর্তন (কালচারাল চেঞ্জ) দরকার আমাদের; কাউকে বাধ্য করে নয়।’
তিনি বলেন, ‘পাটপণ্য ইনোভেশন ও খরচ কমিয়ে এর বাণিজ্যিক সফলতা তৈরি করতে সক্ষমতা বাড়াতে হবে, যা প্লাস্টিককে হারাতে পারে। এ জন্য নীতি, পদক্ষেপ ও প্রচেষ্টার সমন্বিত উদ্যোগ রাখতে হবে। উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর মাধ্যমে শ্রমিকের সংখ্যা বাড়ে। আপনারা যেখানে কাজ করবেন, সেই প্রতিষ্ঠানকে শ্রেষ্ঠ করতে কাজ করতে হবে। শ্রেষ্ঠত্ব তৈরি করতে হবে।’
অনুষ্ঠানের সভাপতি বুটেক্সের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জুলহাস উদ্দিন প্রধান অতিথি উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন।
অনুষ্ঠানে মূল বক্তব্যে ইয়ার্ন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. হোসনে আরা বেগম দেশের অর্থনীতিকে টেকসই ও পরিবেশবান্ধব করতে পাট চাষ, এর রপ্তানি এবং এর ভবিষ্যতের নানা দিক উপস্থাপন করেন। সেই সঙ্গে আগামী বাণিজ্য মেলায় কেবল পাটের ব্যাগ প্রচলনের দাবি জানান।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক রাশিদা আখতার খানম, বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. নারগিস আখতার, আইইবির ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রকৌশলী খান মঞ্জুর মোরশেদ, আইটিইটির কনভেনর প্রকৌশলী আহসানুল করিম কায়সার প্রমুখ।
নিষেধাজ্ঞা শেষে গত ১ জুলাই থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে ইলিশ ধরার মৌসুম, যা চলবে আগস্টের শেষ পর্যন্ত। কিন্তু অবাক করার মতো বিষয় হলো—ভরা মৌসুমেও সাগর-নদী থেকে জেলেরা প্রত্যাশিত ইলিশ পাচ্ছেন না। প্রতিবছর এই সময় দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার জেলেরা রুপালি ইলিশ শিকারে ব্যস্ত সময়...
১৫ আগস্ট ২০২৫ব্যবসায়ীদের তীব্র বিরোধিতার মধ্যেই চট্টগ্রাম বন্দরে বহুল আলোচিত বর্ধিত মাশুল কার্যকর হয়েছে। বুধবার থেকে এই নতুন হার অনুযায়ী বন্দর ফি আদায় শুরু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব ও মুখপাত্র ওমর ফারুক। তিনি জানান, গত মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) রাত ১২টার পর থেকে বন্দরে অবস্থানরত জাহাজ...
৩ ঘণ্টা আগেসিঙ্গার বাংলাদেশ লিমিটেড এবং মেটলাইফ বাংলাদেশের মধ্যে সম্প্রতি একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়েছে। এই অংশীদারত্বের মাধ্যমে মেটলাইফ বাংলাদেশের নির্দিষ্ট গ্রাহকেরা উপভোগ করতে পারবেন সিঙ্গার বাংলাদেশের নির্বাচিত পণ্যের ওপর বিশেষ ছাড় এবং এক্সক্লুসিভ সুবিধা।
১৩ ঘণ্টা আগেদেশে ব্যাংক খাতের এক অদ্ভুত বৈপরীত্য বিরাজ করছে। বড় ঋণখেলাপিরা কয়েক শ থেকে কয়েক হাজার কোটি টাকা ফেরত না দিলেও তাদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। অন্যদিকে ছোট ঋণের জন্য গরিব কৃষক কিংবা সাধারণ মানুষ সামান্য দেরি বা কয়েক শ টাকার ঘাটতি হলে কঠোর হয়রানির শিকার হন; এমনকি হাতকড়া...
১ দিন আগেবিজ্ঞপ্তি
সিঙ্গার বাংলাদেশ লিমিটেড এবং মেটলাইফ বাংলাদেশের মধ্যে সম্প্রতি একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়েছে। এই অংশীদারত্বের মাধ্যমে মেটলাইফ বাংলাদেশের নির্দিষ্ট গ্রাহকেরা উপভোগ করতে পারবেন সিঙ্গার বাংলাদেশের নির্বাচিত পণ্যের ওপর বিশেষ ছাড় এবং এক্সক্লুসিভ সুবিধা।
উভয় প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই সমঝোতা স্মারকের আওতায় মেটলাইফ বাংলাদেশের গ্রাহকরা সিঙ্গার থেকে নির্দিষ্ট পণ্য কেনার সময় একটি বিশেষ কুপন কোড ব্যবহার করে ছাড় পাবেন।
মেটলাইফ বাংলাদেশের চিফ মার্কেটিং অফিসার নওফেল আনোয়ার এ বিষয়ে বলেন, ‘সিঙ্গার বাংলাদেশের সঙ্গে এই সমঝোতা স্মারক আমাদের গ্রাহকদের জন্য একটু অতিরিক্ত সুবিধা প্রদান করার অঙ্গীকারকে আরও শক্তিশালী করছে।’
সিঙ্গার বাংলাদেশের মার্কেটিং ডিরেক্টর শাব্বির হোসেন বলেন, ‘এই সমঝোতা স্মারক গ্রাহকদের দৈনন্দিন জীবনে আরও সহজতা ও মূল্য সংযোজনের প্রতি উভয় প্রতিষ্ঠানের প্রতিশ্রুতিকে তুলে ধরে। সিঙ্গার | বেকো সবসময় পণ্যের বাইরেও এমন সমাধান দিতে কাজ করছে যা গ্রাহকের জীবনে সত্যিকার পরিবর্তন আনে। মেটলাইফ বাংলাদেশের সঙ্গে এই অংশীদারিত্ব আমাদেরকে আরও বৃহত্তর গ্রাহকগোষ্ঠীর কাছে পৌঁছানোর সুযোগ করে দিয়েছে।’
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন—সিঙ্গার বাংলাদেশ লিমিটেডের পক্ষ থেকে, শাব্বির হোসেন (ডিরেক্টর, মার্কেটিং), মোহাম্মদ জুবায়েদ উল ইসলাম (ডিরেক্টর, রিটেইল সেলস), মারুফ সোবহান (ডিরেক্টর, সাপ্লাই চেইন) এবং ফারহান আজহার (হেড অব প্রোডাক্ট, এমডিএ ও হোম এন্টারটেইনমেন্ট)।
মেটলাইফ বাংলাদেশের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন—নওফেল আনোয়ার (চিফ মার্কেটিং অফিসার), কমনশিস বড়ুয়া (অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর ও হেড অব স্ট্র্যাটেজিক ফেস-টু-ফেস চ্যানেল) এবং শিউলি আক্তার (ম্যানেজার, মার্কেটিং অ্যান্ড প্রোডাক্ট)।
সিঙ্গার বাংলাদেশ লিমিটেড এবং মেটলাইফ বাংলাদেশের মধ্যে সম্প্রতি একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়েছে। এই অংশীদারত্বের মাধ্যমে মেটলাইফ বাংলাদেশের নির্দিষ্ট গ্রাহকেরা উপভোগ করতে পারবেন সিঙ্গার বাংলাদেশের নির্বাচিত পণ্যের ওপর বিশেষ ছাড় এবং এক্সক্লুসিভ সুবিধা।
উভয় প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই সমঝোতা স্মারকের আওতায় মেটলাইফ বাংলাদেশের গ্রাহকরা সিঙ্গার থেকে নির্দিষ্ট পণ্য কেনার সময় একটি বিশেষ কুপন কোড ব্যবহার করে ছাড় পাবেন।
মেটলাইফ বাংলাদেশের চিফ মার্কেটিং অফিসার নওফেল আনোয়ার এ বিষয়ে বলেন, ‘সিঙ্গার বাংলাদেশের সঙ্গে এই সমঝোতা স্মারক আমাদের গ্রাহকদের জন্য একটু অতিরিক্ত সুবিধা প্রদান করার অঙ্গীকারকে আরও শক্তিশালী করছে।’
সিঙ্গার বাংলাদেশের মার্কেটিং ডিরেক্টর শাব্বির হোসেন বলেন, ‘এই সমঝোতা স্মারক গ্রাহকদের দৈনন্দিন জীবনে আরও সহজতা ও মূল্য সংযোজনের প্রতি উভয় প্রতিষ্ঠানের প্রতিশ্রুতিকে তুলে ধরে। সিঙ্গার | বেকো সবসময় পণ্যের বাইরেও এমন সমাধান দিতে কাজ করছে যা গ্রাহকের জীবনে সত্যিকার পরিবর্তন আনে। মেটলাইফ বাংলাদেশের সঙ্গে এই অংশীদারিত্ব আমাদেরকে আরও বৃহত্তর গ্রাহকগোষ্ঠীর কাছে পৌঁছানোর সুযোগ করে দিয়েছে।’
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন—সিঙ্গার বাংলাদেশ লিমিটেডের পক্ষ থেকে, শাব্বির হোসেন (ডিরেক্টর, মার্কেটিং), মোহাম্মদ জুবায়েদ উল ইসলাম (ডিরেক্টর, রিটেইল সেলস), মারুফ সোবহান (ডিরেক্টর, সাপ্লাই চেইন) এবং ফারহান আজহার (হেড অব প্রোডাক্ট, এমডিএ ও হোম এন্টারটেইনমেন্ট)।
মেটলাইফ বাংলাদেশের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন—নওফেল আনোয়ার (চিফ মার্কেটিং অফিসার), কমনশিস বড়ুয়া (অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর ও হেড অব স্ট্র্যাটেজিক ফেস-টু-ফেস চ্যানেল) এবং শিউলি আক্তার (ম্যানেজার, মার্কেটিং অ্যান্ড প্রোডাক্ট)।
নিষেধাজ্ঞা শেষে গত ১ জুলাই থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে ইলিশ ধরার মৌসুম, যা চলবে আগস্টের শেষ পর্যন্ত। কিন্তু অবাক করার মতো বিষয় হলো—ভরা মৌসুমেও সাগর-নদী থেকে জেলেরা প্রত্যাশিত ইলিশ পাচ্ছেন না। প্রতিবছর এই সময় দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার জেলেরা রুপালি ইলিশ শিকারে ব্যস্ত সময়...
১৫ আগস্ট ২০২৫ব্যবসায়ীদের তীব্র বিরোধিতার মধ্যেই চট্টগ্রাম বন্দরে বহুল আলোচিত বর্ধিত মাশুল কার্যকর হয়েছে। বুধবার থেকে এই নতুন হার অনুযায়ী বন্দর ফি আদায় শুরু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব ও মুখপাত্র ওমর ফারুক। তিনি জানান, গত মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) রাত ১২টার পর থেকে বন্দরে অবস্থানরত জাহাজ...
৩ ঘণ্টা আগেউপদেষ্টা বলেন, প্রায় ১০০ কোটি টাকার ফান্ড দিয়ে জেডিপিসির মাধ্যমে প্রায় ১ হাজার ৬ জন উদ্যোক্তার অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে চেষ্টা করছি বাজারে পাটের একটা সাংস্কৃতিক পরিবর্তন আনতে। পাটের স্কয়ার মিটার, মাইলেজের পরিধি বাড়াতে গবেষণার দরকার। র্যাপিং (মোড়ক) উপকরণ হিসেবে বিশ্বব্যাপী পাটের বিশাল বাজার আছে।
৯ ঘণ্টা আগেদেশে ব্যাংক খাতের এক অদ্ভুত বৈপরীত্য বিরাজ করছে। বড় ঋণখেলাপিরা কয়েক শ থেকে কয়েক হাজার কোটি টাকা ফেরত না দিলেও তাদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। অন্যদিকে ছোট ঋণের জন্য গরিব কৃষক কিংবা সাধারণ মানুষ সামান্য দেরি বা কয়েক শ টাকার ঘাটতি হলে কঠোর হয়রানির শিকার হন; এমনকি হাতকড়া...
১ দিন আগেজয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা
দেশে ব্যাংক খাতের এক অদ্ভুত বৈপরীত্য বিরাজ করছে। বড় ঋণখেলাপিরা কয়েক শ থেকে কয়েক হাজার কোটি টাকা ফেরত না দিলেও তাদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। অন্যদিকে ছোট ঋণের জন্য গরিব কৃষক কিংবা সাধারণ মানুষ সামান্য দেরি বা কয়েক শ টাকার ঘাটতি হলে কঠোর হয়রানির শিকার হন; এমনকি হাতকড়া পরানো অথবা কারাগারে পাঠানোরও নজির রয়েছে।
ঈশ্বরদীর ভাড়ইমারি গ্রামের নারী উদ্যোক্তা রহিমা বেগম ২০১৬ সালে ৪০ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে সুদসহ ৪৫ হাজার টাকা পরিশোধ করেছিলেন। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে মাত্র ৯০০ টাকা বকেয়া থাকায় ২০২১ সালে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা হয়। একই গ্রামের কৃষক মজনু প্রামাণিকও ৪০ হাজার টাকা ঋণ দিয়ে ৫৫ হাজার টাকা পরিশোধ করার পর মামলার শিকার হন। শেষ পর্যন্ত উভয়কে খেলাপি মামলায় জেল খাটতে হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, ২০২৪ সালের ডিসেম্বর শেষে কৃষক ও ছোট ঋণগ্রহীতাদের বিরুদ্ধে সার্টিফিকেট মামলা হয়েছে ১ লাখ ১ হাজার ১২৩টি, যেখানে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৩৯৩ কোটি টাকা। ২০২৩ সালে মামলা ছিল ১ লাখ ৯ হাজার ৮৩টি ও খেলাপি ৪০০ কোটি, আর ২০২২ সালে ১ লাখ ২২ হাজার ২৬৯টি মামলায় খেলাপি ছিল ৪১২ কোটি টাকা।
ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে পাবনার কৃষক আতিয়ার রহমান আজকের পত্রিকা'কে বলেন, ‘আমাদের কি মানসম্মান নাই? ৪০০ টাহার জন্যি জেল খাটা লাগল। হগলে মনে করল, কত টেহা জিনি মারে খাইছি। গেরামে মুখ দেহাবের পারিনে।’ মজনু প্রামাণিক বলেন, ‘৪০ হাজারে ১৫ হাজার সুদ দিলেম। তারপরেও জেলে গেলেম। ইডা কুন নিয়ম, বুঝলেম না। আমাগের এই হয়রানির বিচার চাই।’
তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালে ১ লাখ ৩৫ হাজার ৭৯৩টি মামলায় খেলাপি ঋণ ছিল ৪৩৯ কোটি টাকা। চার বছরে মামলা কমেছে ৩৪ হাজার ৬৭০টি এবং আদায় হয়েছে মাত্র ৪৬ কোটি টাকা। ফলে গড়ে প্রতিটি মামলায় অনাদায়ি অর্থ দাঁড়িয়েছে মাত্র ১ হাজার ৩২৬ টাকা।
ব্যাংক এশিয়ার সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরফান আলী বলেন, ‘নোটিশ না দিয়ে কৃষকের বিরুদ্ধে মামলা করা নীতিবিরোধী। মাত্র ৪০০-৫০০ টাকার জন্য জেল ইস্যুর সমাধান জরুরি।’
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, ১৯৯১ থেকে ২০২৩ সালের নভেম্বর পর্যন্ত রাষ্ট্রায়ত্ত ছয় ব্যাংক মোট ২ লাখ ৫ হাজারের বেশি কৃষকের বিরুদ্ধে সার্টিফিকেট মামলা করেছে। চলতি বছরের জুলাই পর্যন্ত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে প্রায় ১০ হাজার কৃষকের বিরুদ্ধে। সবচেয়ে বেশি মামলা করেছে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক; এরপর অগ্রণী, জনতা, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন, রূপালী ও সোনালী ব্যাংক।
অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মইনুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, দরিদ্র, ভূমিহীন ও প্রান্তিক কৃষকদের বিরুদ্ধে এ ধরনের সার্টিফিকেট মামলার বিধান থাকা উচিত নয়। মাত্র কয়েক শ বা কয়েক হাজার টাকার ঋণ থাকলে কেস টু কেস ভিত্তিতে মওকুফ করা উচিত।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান বলেন, ‘কৃষকের বিরুদ্ধে মাত্র ৫ হাজার টাকার জন্য মামলা করা কতটা ন্যায্য, সেটা সাধারণভাবে বলা মুশকিল।’
আরও খবর পড়ুন:
দেশে ব্যাংক খাতের এক অদ্ভুত বৈপরীত্য বিরাজ করছে। বড় ঋণখেলাপিরা কয়েক শ থেকে কয়েক হাজার কোটি টাকা ফেরত না দিলেও তাদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। অন্যদিকে ছোট ঋণের জন্য গরিব কৃষক কিংবা সাধারণ মানুষ সামান্য দেরি বা কয়েক শ টাকার ঘাটতি হলে কঠোর হয়রানির শিকার হন; এমনকি হাতকড়া পরানো অথবা কারাগারে পাঠানোরও নজির রয়েছে।
ঈশ্বরদীর ভাড়ইমারি গ্রামের নারী উদ্যোক্তা রহিমা বেগম ২০১৬ সালে ৪০ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে সুদসহ ৪৫ হাজার টাকা পরিশোধ করেছিলেন। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে মাত্র ৯০০ টাকা বকেয়া থাকায় ২০২১ সালে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা হয়। একই গ্রামের কৃষক মজনু প্রামাণিকও ৪০ হাজার টাকা ঋণ দিয়ে ৫৫ হাজার টাকা পরিশোধ করার পর মামলার শিকার হন। শেষ পর্যন্ত উভয়কে খেলাপি মামলায় জেল খাটতে হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, ২০২৪ সালের ডিসেম্বর শেষে কৃষক ও ছোট ঋণগ্রহীতাদের বিরুদ্ধে সার্টিফিকেট মামলা হয়েছে ১ লাখ ১ হাজার ১২৩টি, যেখানে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৩৯৩ কোটি টাকা। ২০২৩ সালে মামলা ছিল ১ লাখ ৯ হাজার ৮৩টি ও খেলাপি ৪০০ কোটি, আর ২০২২ সালে ১ লাখ ২২ হাজার ২৬৯টি মামলায় খেলাপি ছিল ৪১২ কোটি টাকা।
ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে পাবনার কৃষক আতিয়ার রহমান আজকের পত্রিকা'কে বলেন, ‘আমাদের কি মানসম্মান নাই? ৪০০ টাহার জন্যি জেল খাটা লাগল। হগলে মনে করল, কত টেহা জিনি মারে খাইছি। গেরামে মুখ দেহাবের পারিনে।’ মজনু প্রামাণিক বলেন, ‘৪০ হাজারে ১৫ হাজার সুদ দিলেম। তারপরেও জেলে গেলেম। ইডা কুন নিয়ম, বুঝলেম না। আমাগের এই হয়রানির বিচার চাই।’
তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালে ১ লাখ ৩৫ হাজার ৭৯৩টি মামলায় খেলাপি ঋণ ছিল ৪৩৯ কোটি টাকা। চার বছরে মামলা কমেছে ৩৪ হাজার ৬৭০টি এবং আদায় হয়েছে মাত্র ৪৬ কোটি টাকা। ফলে গড়ে প্রতিটি মামলায় অনাদায়ি অর্থ দাঁড়িয়েছে মাত্র ১ হাজার ৩২৬ টাকা।
ব্যাংক এশিয়ার সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরফান আলী বলেন, ‘নোটিশ না দিয়ে কৃষকের বিরুদ্ধে মামলা করা নীতিবিরোধী। মাত্র ৪০০-৫০০ টাকার জন্য জেল ইস্যুর সমাধান জরুরি।’
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, ১৯৯১ থেকে ২০২৩ সালের নভেম্বর পর্যন্ত রাষ্ট্রায়ত্ত ছয় ব্যাংক মোট ২ লাখ ৫ হাজারের বেশি কৃষকের বিরুদ্ধে সার্টিফিকেট মামলা করেছে। চলতি বছরের জুলাই পর্যন্ত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে প্রায় ১০ হাজার কৃষকের বিরুদ্ধে। সবচেয়ে বেশি মামলা করেছে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক; এরপর অগ্রণী, জনতা, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন, রূপালী ও সোনালী ব্যাংক।
অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মইনুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, দরিদ্র, ভূমিহীন ও প্রান্তিক কৃষকদের বিরুদ্ধে এ ধরনের সার্টিফিকেট মামলার বিধান থাকা উচিত নয়। মাত্র কয়েক শ বা কয়েক হাজার টাকার ঋণ থাকলে কেস টু কেস ভিত্তিতে মওকুফ করা উচিত।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান বলেন, ‘কৃষকের বিরুদ্ধে মাত্র ৫ হাজার টাকার জন্য মামলা করা কতটা ন্যায্য, সেটা সাধারণভাবে বলা মুশকিল।’
আরও খবর পড়ুন:
নিষেধাজ্ঞা শেষে গত ১ জুলাই থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে ইলিশ ধরার মৌসুম, যা চলবে আগস্টের শেষ পর্যন্ত। কিন্তু অবাক করার মতো বিষয় হলো—ভরা মৌসুমেও সাগর-নদী থেকে জেলেরা প্রত্যাশিত ইলিশ পাচ্ছেন না। প্রতিবছর এই সময় দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার জেলেরা রুপালি ইলিশ শিকারে ব্যস্ত সময়...
১৫ আগস্ট ২০২৫ব্যবসায়ীদের তীব্র বিরোধিতার মধ্যেই চট্টগ্রাম বন্দরে বহুল আলোচিত বর্ধিত মাশুল কার্যকর হয়েছে। বুধবার থেকে এই নতুন হার অনুযায়ী বন্দর ফি আদায় শুরু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব ও মুখপাত্র ওমর ফারুক। তিনি জানান, গত মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) রাত ১২টার পর থেকে বন্দরে অবস্থানরত জাহাজ...
৩ ঘণ্টা আগেউপদেষ্টা বলেন, প্রায় ১০০ কোটি টাকার ফান্ড দিয়ে জেডিপিসির মাধ্যমে প্রায় ১ হাজার ৬ জন উদ্যোক্তার অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে চেষ্টা করছি বাজারে পাটের একটা সাংস্কৃতিক পরিবর্তন আনতে। পাটের স্কয়ার মিটার, মাইলেজের পরিধি বাড়াতে গবেষণার দরকার। র্যাপিং (মোড়ক) উপকরণ হিসেবে বিশ্বব্যাপী পাটের বিশাল বাজার আছে।
৯ ঘণ্টা আগেসিঙ্গার বাংলাদেশ লিমিটেড এবং মেটলাইফ বাংলাদেশের মধ্যে সম্প্রতি একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়েছে। এই অংশীদারত্বের মাধ্যমে মেটলাইফ বাংলাদেশের নির্দিষ্ট গ্রাহকেরা উপভোগ করতে পারবেন সিঙ্গার বাংলাদেশের নির্বাচিত পণ্যের ওপর বিশেষ ছাড় এবং এক্সক্লুসিভ সুবিধা।
১৩ ঘণ্টা আগে