মাহফুজুল ইসলাম, ঢাকা

বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সংকটে দীর্ঘ সময় ধরে শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি মোকাবিলা করছে দেশ। এ অবস্থায় পূর্ববর্তী সরকারের মতো অন্তর্বর্তী সরকারও এখন বিদেশি ঋণের প্রতি বেশি মনোযোগী। তবে উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে এখনো আশানুরূপ প্রতিশ্রুত সাহায্য মেলেনি। ফলে বৈদেশিক ঋণপ্রবাহের পতন ও ডলারের অভাবে দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি স্থবির হয়ে পড়েছে।
চলতি অর্থবছরের প্রথম আট মাসে সরকারের ঋণ পরিশোধের চাপ বেড়েছে। আগের ঋণের অর্থছাড় কমেছে, নতুন ঋণের প্রতিশ্রুতি আরও কমেছে এবং দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি সেই সংকটাপন্ন অবস্থা থেকে বেরোতে পারছে না। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, গত অর্থবছরের তুলনায় এখন প্রায় দ্বিগুণ ঋণ পরিশোধ করা হচ্ছে; তবে ঋণের অর্থছাড়ের পরিমাণ কমেছে। ঋণের সুদ পরিশোধের চাপও বেড়েছে। এ পরিস্থিতিতে যখন সরকার নতুন ঋণ নিচ্ছে, তখন তার বড় অংশ চলে যাচ্ছে সুদ ও মূলধন পরিশোধে, যা দেশের অর্থনীতিকে আরও জটিল পরিস্থিতিতে ফেলছে।
এ প্রসঙ্গে পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দেশের প্রকল্পগুলোর মধ্যে ব্যাপক দুর্নীতি ও অনিয়মের কারণে ঋণছাড়ে বিলম্ব হচ্ছে। প্রকল্প পরিচালকদের পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে ঋণের অর্থছাড়ে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে। অন্যদিকে পূর্ববর্তী বছরের ঋণ পরিশোধ করতে হচ্ছে।’
ইআরডির তথ্যমতে, চলতি অর্থবছরের প্রথম ৮ মাসে (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) প্রকল্পগুলোর জন্য ৪১৩ কোটি ৪৪ লাখ ডলার বৈদেশিক ঋণের অর্থছাড় হয়েছে, যার মধ্যে ২৬৩ কোটি ৬৪ লাখ ডলার গেছে আগের ঋণ পরিশোধে। অর্থাৎ প্রায় পুরো ঋণের অর্থ পুরোনো ঋণ পরিশোধে চলে গেছে।
এ ছাড়া চলতি অর্থবছরের প্রথম আট মাসে সরকার ঋণ পরিশোধ করেছে ২৬৩ কোটি ৬৪ লাখ ডলার, যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ২০৩ কোটি ডলার। ফলে ঋণ পরিশোধের পরিমাণ ৬০ কোটি ডলার বেড়েছে। একই সময়ে ঋণের বিপরীতে সুদ পরিশোধ করা হয়েছে ৯৪ কোটি ৪০ লাখ ডলার, যা আগের অর্থবছরের তুলনায় ১৪ কোটি ডলার বেশি।
এখন যেখানে ঋণ পরিশোধের চাপ বেড়েছে, সেখানে অর্থছাড়ও কমেছে। চলতি বছরের প্রথম আট মাসে বিদেশি ঋণের অর্থছাড় হয়েছে ৪১৩ কোটি ৪৪ লাখ ডলার, যা আগের বছর ছিল ৪৯৯ কোটি ৭৫ লাখ ডলার। অর্থাৎ ৮৬ কোটি ডলার কমেছে।
এ সময়ে সবচেয়ে বেশি অর্থছাড় করেছে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি), যা ১১৩ কোটি ডলার। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অর্থছাড় করেছে আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (আইডিএ), ৯৫ কোটি ৯১ লাখ ডলার। অন্যদিকে জাপান, রাশিয়া, চীন, ভারত ও অন্যান্য দাতা সংস্থা নিজেদের সাহায্য প্রদান করেছে। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, ঋণের প্রতিশ্রুতিতে দেখা দিয়েছে একধরনের অব্যক্ত অনীহা। চলতি বছরের প্রথম ৮ মাসে ঋণের প্রতিশ্রুতি ছিল ২৩৫ কোটি ৩৩ লাখ ডলার, যা গত বছর ছিল ৭২০ কোটি ১১ লাখ ডলার। প্রতিশ্রুতি কমেছে ৪৮৫ কোটি ডলার। এ পরিস্থিতি সরকারের জন্য বড় সংকট হিসেবে দেখা দিচ্ছে।
এ বিষয়ে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা ইনস্টিটিউট ফর ইনক্লুসিভ ফাইন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (আইএনএম) নির্বাহী পরিচালক ড. মুস্তফা কে মুজেরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে প্রকল্পের কাজের গতি শ্লথ হয়েছে। ফলে ঋণের অর্থছাড়ও কমেছে। যদি কাজের গতি বাড়ে, অর্থছাড়ের পরিমাণও বাড়বে।’
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মতে, পরিস্থিতি এমন যে বর্তমান সরকারকে আর্থিক সংকট মেটাতে, ঋণ পরিশোধের চাপ কমাতে ও নতুন ঋণের প্রতিশ্রুতি অর্জনে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। তা না হলে দেশের অর্থনীতি আরও গভীর সংকটে পড়তে পারে।

বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সংকটে দীর্ঘ সময় ধরে শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি মোকাবিলা করছে দেশ। এ অবস্থায় পূর্ববর্তী সরকারের মতো অন্তর্বর্তী সরকারও এখন বিদেশি ঋণের প্রতি বেশি মনোযোগী। তবে উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে এখনো আশানুরূপ প্রতিশ্রুত সাহায্য মেলেনি। ফলে বৈদেশিক ঋণপ্রবাহের পতন ও ডলারের অভাবে দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি স্থবির হয়ে পড়েছে।
চলতি অর্থবছরের প্রথম আট মাসে সরকারের ঋণ পরিশোধের চাপ বেড়েছে। আগের ঋণের অর্থছাড় কমেছে, নতুন ঋণের প্রতিশ্রুতি আরও কমেছে এবং দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি সেই সংকটাপন্ন অবস্থা থেকে বেরোতে পারছে না। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, গত অর্থবছরের তুলনায় এখন প্রায় দ্বিগুণ ঋণ পরিশোধ করা হচ্ছে; তবে ঋণের অর্থছাড়ের পরিমাণ কমেছে। ঋণের সুদ পরিশোধের চাপও বেড়েছে। এ পরিস্থিতিতে যখন সরকার নতুন ঋণ নিচ্ছে, তখন তার বড় অংশ চলে যাচ্ছে সুদ ও মূলধন পরিশোধে, যা দেশের অর্থনীতিকে আরও জটিল পরিস্থিতিতে ফেলছে।
এ প্রসঙ্গে পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দেশের প্রকল্পগুলোর মধ্যে ব্যাপক দুর্নীতি ও অনিয়মের কারণে ঋণছাড়ে বিলম্ব হচ্ছে। প্রকল্প পরিচালকদের পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে ঋণের অর্থছাড়ে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে। অন্যদিকে পূর্ববর্তী বছরের ঋণ পরিশোধ করতে হচ্ছে।’
ইআরডির তথ্যমতে, চলতি অর্থবছরের প্রথম ৮ মাসে (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) প্রকল্পগুলোর জন্য ৪১৩ কোটি ৪৪ লাখ ডলার বৈদেশিক ঋণের অর্থছাড় হয়েছে, যার মধ্যে ২৬৩ কোটি ৬৪ লাখ ডলার গেছে আগের ঋণ পরিশোধে। অর্থাৎ প্রায় পুরো ঋণের অর্থ পুরোনো ঋণ পরিশোধে চলে গেছে।
এ ছাড়া চলতি অর্থবছরের প্রথম আট মাসে সরকার ঋণ পরিশোধ করেছে ২৬৩ কোটি ৬৪ লাখ ডলার, যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ২০৩ কোটি ডলার। ফলে ঋণ পরিশোধের পরিমাণ ৬০ কোটি ডলার বেড়েছে। একই সময়ে ঋণের বিপরীতে সুদ পরিশোধ করা হয়েছে ৯৪ কোটি ৪০ লাখ ডলার, যা আগের অর্থবছরের তুলনায় ১৪ কোটি ডলার বেশি।
এখন যেখানে ঋণ পরিশোধের চাপ বেড়েছে, সেখানে অর্থছাড়ও কমেছে। চলতি বছরের প্রথম আট মাসে বিদেশি ঋণের অর্থছাড় হয়েছে ৪১৩ কোটি ৪৪ লাখ ডলার, যা আগের বছর ছিল ৪৯৯ কোটি ৭৫ লাখ ডলার। অর্থাৎ ৮৬ কোটি ডলার কমেছে।
এ সময়ে সবচেয়ে বেশি অর্থছাড় করেছে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি), যা ১১৩ কোটি ডলার। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অর্থছাড় করেছে আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (আইডিএ), ৯৫ কোটি ৯১ লাখ ডলার। অন্যদিকে জাপান, রাশিয়া, চীন, ভারত ও অন্যান্য দাতা সংস্থা নিজেদের সাহায্য প্রদান করেছে। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, ঋণের প্রতিশ্রুতিতে দেখা দিয়েছে একধরনের অব্যক্ত অনীহা। চলতি বছরের প্রথম ৮ মাসে ঋণের প্রতিশ্রুতি ছিল ২৩৫ কোটি ৩৩ লাখ ডলার, যা গত বছর ছিল ৭২০ কোটি ১১ লাখ ডলার। প্রতিশ্রুতি কমেছে ৪৮৫ কোটি ডলার। এ পরিস্থিতি সরকারের জন্য বড় সংকট হিসেবে দেখা দিচ্ছে।
এ বিষয়ে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা ইনস্টিটিউট ফর ইনক্লুসিভ ফাইন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (আইএনএম) নির্বাহী পরিচালক ড. মুস্তফা কে মুজেরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে প্রকল্পের কাজের গতি শ্লথ হয়েছে। ফলে ঋণের অর্থছাড়ও কমেছে। যদি কাজের গতি বাড়ে, অর্থছাড়ের পরিমাণও বাড়বে।’
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মতে, পরিস্থিতি এমন যে বর্তমান সরকারকে আর্থিক সংকট মেটাতে, ঋণ পরিশোধের চাপ কমাতে ও নতুন ঋণের প্রতিশ্রুতি অর্জনে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। তা না হলে দেশের অর্থনীতি আরও গভীর সংকটে পড়তে পারে।
মাহফুজুল ইসলাম, ঢাকা

বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সংকটে দীর্ঘ সময় ধরে শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি মোকাবিলা করছে দেশ। এ অবস্থায় পূর্ববর্তী সরকারের মতো অন্তর্বর্তী সরকারও এখন বিদেশি ঋণের প্রতি বেশি মনোযোগী। তবে উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে এখনো আশানুরূপ প্রতিশ্রুত সাহায্য মেলেনি। ফলে বৈদেশিক ঋণপ্রবাহের পতন ও ডলারের অভাবে দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি স্থবির হয়ে পড়েছে।
চলতি অর্থবছরের প্রথম আট মাসে সরকারের ঋণ পরিশোধের চাপ বেড়েছে। আগের ঋণের অর্থছাড় কমেছে, নতুন ঋণের প্রতিশ্রুতি আরও কমেছে এবং দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি সেই সংকটাপন্ন অবস্থা থেকে বেরোতে পারছে না। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, গত অর্থবছরের তুলনায় এখন প্রায় দ্বিগুণ ঋণ পরিশোধ করা হচ্ছে; তবে ঋণের অর্থছাড়ের পরিমাণ কমেছে। ঋণের সুদ পরিশোধের চাপও বেড়েছে। এ পরিস্থিতিতে যখন সরকার নতুন ঋণ নিচ্ছে, তখন তার বড় অংশ চলে যাচ্ছে সুদ ও মূলধন পরিশোধে, যা দেশের অর্থনীতিকে আরও জটিল পরিস্থিতিতে ফেলছে।
এ প্রসঙ্গে পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দেশের প্রকল্পগুলোর মধ্যে ব্যাপক দুর্নীতি ও অনিয়মের কারণে ঋণছাড়ে বিলম্ব হচ্ছে। প্রকল্প পরিচালকদের পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে ঋণের অর্থছাড়ে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে। অন্যদিকে পূর্ববর্তী বছরের ঋণ পরিশোধ করতে হচ্ছে।’
ইআরডির তথ্যমতে, চলতি অর্থবছরের প্রথম ৮ মাসে (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) প্রকল্পগুলোর জন্য ৪১৩ কোটি ৪৪ লাখ ডলার বৈদেশিক ঋণের অর্থছাড় হয়েছে, যার মধ্যে ২৬৩ কোটি ৬৪ লাখ ডলার গেছে আগের ঋণ পরিশোধে। অর্থাৎ প্রায় পুরো ঋণের অর্থ পুরোনো ঋণ পরিশোধে চলে গেছে।
এ ছাড়া চলতি অর্থবছরের প্রথম আট মাসে সরকার ঋণ পরিশোধ করেছে ২৬৩ কোটি ৬৪ লাখ ডলার, যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ২০৩ কোটি ডলার। ফলে ঋণ পরিশোধের পরিমাণ ৬০ কোটি ডলার বেড়েছে। একই সময়ে ঋণের বিপরীতে সুদ পরিশোধ করা হয়েছে ৯৪ কোটি ৪০ লাখ ডলার, যা আগের অর্থবছরের তুলনায় ১৪ কোটি ডলার বেশি।
এখন যেখানে ঋণ পরিশোধের চাপ বেড়েছে, সেখানে অর্থছাড়ও কমেছে। চলতি বছরের প্রথম আট মাসে বিদেশি ঋণের অর্থছাড় হয়েছে ৪১৩ কোটি ৪৪ লাখ ডলার, যা আগের বছর ছিল ৪৯৯ কোটি ৭৫ লাখ ডলার। অর্থাৎ ৮৬ কোটি ডলার কমেছে।
এ সময়ে সবচেয়ে বেশি অর্থছাড় করেছে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি), যা ১১৩ কোটি ডলার। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অর্থছাড় করেছে আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (আইডিএ), ৯৫ কোটি ৯১ লাখ ডলার। অন্যদিকে জাপান, রাশিয়া, চীন, ভারত ও অন্যান্য দাতা সংস্থা নিজেদের সাহায্য প্রদান করেছে। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, ঋণের প্রতিশ্রুতিতে দেখা দিয়েছে একধরনের অব্যক্ত অনীহা। চলতি বছরের প্রথম ৮ মাসে ঋণের প্রতিশ্রুতি ছিল ২৩৫ কোটি ৩৩ লাখ ডলার, যা গত বছর ছিল ৭২০ কোটি ১১ লাখ ডলার। প্রতিশ্রুতি কমেছে ৪৮৫ কোটি ডলার। এ পরিস্থিতি সরকারের জন্য বড় সংকট হিসেবে দেখা দিচ্ছে।
এ বিষয়ে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা ইনস্টিটিউট ফর ইনক্লুসিভ ফাইন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (আইএনএম) নির্বাহী পরিচালক ড. মুস্তফা কে মুজেরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে প্রকল্পের কাজের গতি শ্লথ হয়েছে। ফলে ঋণের অর্থছাড়ও কমেছে। যদি কাজের গতি বাড়ে, অর্থছাড়ের পরিমাণও বাড়বে।’
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মতে, পরিস্থিতি এমন যে বর্তমান সরকারকে আর্থিক সংকট মেটাতে, ঋণ পরিশোধের চাপ কমাতে ও নতুন ঋণের প্রতিশ্রুতি অর্জনে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। তা না হলে দেশের অর্থনীতি আরও গভীর সংকটে পড়তে পারে।

বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সংকটে দীর্ঘ সময় ধরে শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি মোকাবিলা করছে দেশ। এ অবস্থায় পূর্ববর্তী সরকারের মতো অন্তর্বর্তী সরকারও এখন বিদেশি ঋণের প্রতি বেশি মনোযোগী। তবে উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে এখনো আশানুরূপ প্রতিশ্রুত সাহায্য মেলেনি। ফলে বৈদেশিক ঋণপ্রবাহের পতন ও ডলারের অভাবে দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি স্থবির হয়ে পড়েছে।
চলতি অর্থবছরের প্রথম আট মাসে সরকারের ঋণ পরিশোধের চাপ বেড়েছে। আগের ঋণের অর্থছাড় কমেছে, নতুন ঋণের প্রতিশ্রুতি আরও কমেছে এবং দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি সেই সংকটাপন্ন অবস্থা থেকে বেরোতে পারছে না। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, গত অর্থবছরের তুলনায় এখন প্রায় দ্বিগুণ ঋণ পরিশোধ করা হচ্ছে; তবে ঋণের অর্থছাড়ের পরিমাণ কমেছে। ঋণের সুদ পরিশোধের চাপও বেড়েছে। এ পরিস্থিতিতে যখন সরকার নতুন ঋণ নিচ্ছে, তখন তার বড় অংশ চলে যাচ্ছে সুদ ও মূলধন পরিশোধে, যা দেশের অর্থনীতিকে আরও জটিল পরিস্থিতিতে ফেলছে।
এ প্রসঙ্গে পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দেশের প্রকল্পগুলোর মধ্যে ব্যাপক দুর্নীতি ও অনিয়মের কারণে ঋণছাড়ে বিলম্ব হচ্ছে। প্রকল্প পরিচালকদের পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে ঋণের অর্থছাড়ে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে। অন্যদিকে পূর্ববর্তী বছরের ঋণ পরিশোধ করতে হচ্ছে।’
ইআরডির তথ্যমতে, চলতি অর্থবছরের প্রথম ৮ মাসে (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) প্রকল্পগুলোর জন্য ৪১৩ কোটি ৪৪ লাখ ডলার বৈদেশিক ঋণের অর্থছাড় হয়েছে, যার মধ্যে ২৬৩ কোটি ৬৪ লাখ ডলার গেছে আগের ঋণ পরিশোধে। অর্থাৎ প্রায় পুরো ঋণের অর্থ পুরোনো ঋণ পরিশোধে চলে গেছে।
এ ছাড়া চলতি অর্থবছরের প্রথম আট মাসে সরকার ঋণ পরিশোধ করেছে ২৬৩ কোটি ৬৪ লাখ ডলার, যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ২০৩ কোটি ডলার। ফলে ঋণ পরিশোধের পরিমাণ ৬০ কোটি ডলার বেড়েছে। একই সময়ে ঋণের বিপরীতে সুদ পরিশোধ করা হয়েছে ৯৪ কোটি ৪০ লাখ ডলার, যা আগের অর্থবছরের তুলনায় ১৪ কোটি ডলার বেশি।
এখন যেখানে ঋণ পরিশোধের চাপ বেড়েছে, সেখানে অর্থছাড়ও কমেছে। চলতি বছরের প্রথম আট মাসে বিদেশি ঋণের অর্থছাড় হয়েছে ৪১৩ কোটি ৪৪ লাখ ডলার, যা আগের বছর ছিল ৪৯৯ কোটি ৭৫ লাখ ডলার। অর্থাৎ ৮৬ কোটি ডলার কমেছে।
এ সময়ে সবচেয়ে বেশি অর্থছাড় করেছে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি), যা ১১৩ কোটি ডলার। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অর্থছাড় করেছে আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (আইডিএ), ৯৫ কোটি ৯১ লাখ ডলার। অন্যদিকে জাপান, রাশিয়া, চীন, ভারত ও অন্যান্য দাতা সংস্থা নিজেদের সাহায্য প্রদান করেছে। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, ঋণের প্রতিশ্রুতিতে দেখা দিয়েছে একধরনের অব্যক্ত অনীহা। চলতি বছরের প্রথম ৮ মাসে ঋণের প্রতিশ্রুতি ছিল ২৩৫ কোটি ৩৩ লাখ ডলার, যা গত বছর ছিল ৭২০ কোটি ১১ লাখ ডলার। প্রতিশ্রুতি কমেছে ৪৮৫ কোটি ডলার। এ পরিস্থিতি সরকারের জন্য বড় সংকট হিসেবে দেখা দিচ্ছে।
এ বিষয়ে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা ইনস্টিটিউট ফর ইনক্লুসিভ ফাইন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (আইএনএম) নির্বাহী পরিচালক ড. মুস্তফা কে মুজেরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে প্রকল্পের কাজের গতি শ্লথ হয়েছে। ফলে ঋণের অর্থছাড়ও কমেছে। যদি কাজের গতি বাড়ে, অর্থছাড়ের পরিমাণও বাড়বে।’
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মতে, পরিস্থিতি এমন যে বর্তমান সরকারকে আর্থিক সংকট মেটাতে, ঋণ পরিশোধের চাপ কমাতে ও নতুন ঋণের প্রতিশ্রুতি অর্জনে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। তা না হলে দেশের অর্থনীতি আরও গভীর সংকটে পড়তে পারে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতি ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে রাজনৈতিক প্রভাব এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের অযাচিত হস্তক্ষেপে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রতিনিধিদল। ঢাকায় সফররত সংস্থাটির সদস্যরা বলছেন, বাংলাদেশ ব্যাংক আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ পাচ্ছে না।
৭ ঘণ্টা আগে
কয়েক দিন চড়া থাকার পর রাজধানীর খুচরা বাজারে দেশি পেঁয়াজের দাম কেজিপ্রতি ৫ টাকা কমেছে। তবে পাইকারি বাজারে দেখা গেছে ওঠানামা। সকালে কিছুটা বেড়েছে, বিকেলে আবার নেমেছে।
৭ ঘণ্টা আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যালট পেপার ছাপার জন্য নির্বাচন কমিশন রাঙামাটির কাপ্তাইয়ে অবস্থিত রাষ্ট্রায়ত্ত কাগজ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান কর্ণফুলী পেপার মিলস লিমিটেড (কেপিএম) থেকে ৯১৪ দশমিক ০০৯ টন কাগজ কিনছে। এর আর্থিক মূল্য প্রায় ১১ কোটি ১১ লাখ টাকা। ইতিমধ্যে সরবরাহ সম্পন্ন হয়েছে ১৭৮ দশমিক ০০৯
৭ ঘণ্টা আগে
দেশের সবগুলো ক্যাডেট কলেজে ভর্তি আবেদন ফি সহজেই দেওয়া যাচ্ছে ডাক বিভাগের মোবাইল আর্থিক সেবা ‘নগদ’-এর মাধ্যমে। বরাবরের মতো এবারও এ ক্ষেত্রে কোনো বাড়তি খরচ প্রয়োজন হবে না।
১৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতি ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে রাজনৈতিক প্রভাব এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের অযাচিত হস্তক্ষেপে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রতিনিধিদল। ঢাকায় সফররত সংস্থাটির সদস্যরা বলছেন, বাংলাদেশ ব্যাংক আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ পাচ্ছে না। তাদের পর্যবেক্ষণে, ব্যাংক লাইসেন্স বিতরণ থেকে শুরু করে খেলাপি ঋণকে ‘নীতি-সুবিধা’র আড়ালে বৈধ করা পর্যন্ত প্রতিটি স্তরেই প্রভাবশালী গোষ্ঠীর ছায়া স্পষ্ট, যা দেশের আর্থিক স্থিতিশীলতার জন্য বড় হুমকি ও গভীর উদ্বেগের বিষয় হয়ে উঠছে।
গতকাল সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকে অনুষ্ঠিত একাধিক বৈঠকে আইএমএফ মিশনের সদস্যরা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেন। বৈঠকে প্রধান আলোচ্য বিষয় ছিল, বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিগত স্বায়ত্তশাসন এবং স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণের বাস্তব পরিস্থিতি।
বৈঠকে উপস্থিত একাধিক সূত্র জানায়, আইএমএফ প্রতিনিধিদল বাংলাদেশের ব্যাংক খাতের সার্বিক কার্যক্রম নিয়ে ধারাবাহিকভাবে প্রশ্ন তোলে। তাদের মতে, অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ (এফআইডি) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় অতিরিক্ত প্রভাব বিস্তার করছে। রাজনৈতিক বিবেচনায় ব্যাংক অনুমোদন, প্রভাবশালী ব্যবসায়ীদের বিশেষ সুবিধা দেওয়া এবং নিয়মের ফাঁকে খেলাপি ঋণ বৈধ করার প্রবণতাকেই আইএমএফ বাংলাদেশের ব্যাংক খাতের স্থিতিশীলতা ও বিশ্বাসযোগ্যতার জন্য বড় বাধা হিসেবে দেখছে।
আইএমএফ প্রতিনিধিরা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন, অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা রক্ষায় একটি স্বাধীন কেন্দ্রীয় ব্যাংক অপরিহার্য। কিন্তু রাজনৈতিক প্রভাব ও প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ ব্যাংকের সিদ্ধান্ত নেওয়ার স্বাধীনতা এখন প্রায় নামমাত্র হয়ে পড়েছে। ফলে আর্থিক শৃঙ্খলা ও নীতিগত স্বচ্ছতা পুনঃপ্রতিষ্ঠা এখন সময়ের দাবি।
তাঁরা সতর্ক করেছেন, ব্যাংক খাতের এ কাঠামোগত দুর্বলতা ভবিষ্যতে রিজার্ভ ব্যবস্থাপনা, মুদ্রানীতি বাস্তবায়ন এবং ঋণ নিয়ন্ত্রণে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। প্রতিনিধিদল ইঙ্গিত দিয়েছে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বাধীনতা পুনরুদ্ধারকে তারা চলমান ঋণ কর্মসূচির আওতায় পরবর্তী কিস্তি ছাড়ের অন্যতম পূর্বশর্ত হিসেবে বিবেচনা করছে।
বৈঠকে আইএমএফ সদস্যরা অভিযোগ করেন, ২০০৯ সালে যেখানে খেলাপি ঋণ ছিল ২২ হাজার কোটি টাকা, সেটি এখন দাঁড়িয়েছে প্রায় পৌনে ৭ লাখ কোটিতে। অথচ এত দিন সরকারি পরিসংখ্যানে এটি দেখানো হতো মাত্র ২ লাখ কোটি টাকার মতো। সুদের হার ৯ শতাংশে বেঁধে রাখার নীতিকে তাঁরা ‘অবৈধ অর্থ পাচারে প্রণোদনা’ হিসেবে ব্যাখ্যা করেছেন। প্রতিনিধিদল জানায়, রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী কিছু গোষ্ঠী নাম-বেনামে ঋণ নিয়ে সেই অর্থ ডলার ক্রয়ে ব্যবহার করে বিদেশে পাচার করেছে। ফলে ২০২১ সালের মহামারিকালে ৪৮ বিলিয়ন ডলারের বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ নেমে এসেছে ২০ বিলিয়নের ঘরে।
বৈঠকে আরও জানানো হয়, কিছু দুর্বল ব্যাংক কোনো কার্যকর তদারকি ছাড়াই প্রায় ৭০ হাজার কোটি টাকার ঋণ নিয়েছে। এ অবস্থায় আইএমএফ ব্যাংক খাতের ঝুঁকি মোকাবিলায় কঠোর জামানত ব্যবস্থা ও স্বচ্ছ তদারকি কাঠামো প্রবর্তনের পরামর্শ দিয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান বলেন, আইএমএফ মিশনের নিয়মিত পরিদর্শন চলছে। তারা মূলত ঋণ কর্মসূচির শর্ত বাস্তবায়নের অগ্রগতি যাচাই করছে। কিছু ইস্যুতে তাদের উদ্বেগ থাকলেও সার্বিকভাবে তারা অগ্রগতিতে সন্তুষ্ট।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতি ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে রাজনৈতিক প্রভাব এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের অযাচিত হস্তক্ষেপে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রতিনিধিদল। ঢাকায় সফররত সংস্থাটির সদস্যরা বলছেন, বাংলাদেশ ব্যাংক আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ পাচ্ছে না। তাদের পর্যবেক্ষণে, ব্যাংক লাইসেন্স বিতরণ থেকে শুরু করে খেলাপি ঋণকে ‘নীতি-সুবিধা’র আড়ালে বৈধ করা পর্যন্ত প্রতিটি স্তরেই প্রভাবশালী গোষ্ঠীর ছায়া স্পষ্ট, যা দেশের আর্থিক স্থিতিশীলতার জন্য বড় হুমকি ও গভীর উদ্বেগের বিষয় হয়ে উঠছে।
গতকাল সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকে অনুষ্ঠিত একাধিক বৈঠকে আইএমএফ মিশনের সদস্যরা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেন। বৈঠকে প্রধান আলোচ্য বিষয় ছিল, বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিগত স্বায়ত্তশাসন এবং স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণের বাস্তব পরিস্থিতি।
বৈঠকে উপস্থিত একাধিক সূত্র জানায়, আইএমএফ প্রতিনিধিদল বাংলাদেশের ব্যাংক খাতের সার্বিক কার্যক্রম নিয়ে ধারাবাহিকভাবে প্রশ্ন তোলে। তাদের মতে, অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ (এফআইডি) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় অতিরিক্ত প্রভাব বিস্তার করছে। রাজনৈতিক বিবেচনায় ব্যাংক অনুমোদন, প্রভাবশালী ব্যবসায়ীদের বিশেষ সুবিধা দেওয়া এবং নিয়মের ফাঁকে খেলাপি ঋণ বৈধ করার প্রবণতাকেই আইএমএফ বাংলাদেশের ব্যাংক খাতের স্থিতিশীলতা ও বিশ্বাসযোগ্যতার জন্য বড় বাধা হিসেবে দেখছে।
আইএমএফ প্রতিনিধিরা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন, অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা রক্ষায় একটি স্বাধীন কেন্দ্রীয় ব্যাংক অপরিহার্য। কিন্তু রাজনৈতিক প্রভাব ও প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ ব্যাংকের সিদ্ধান্ত নেওয়ার স্বাধীনতা এখন প্রায় নামমাত্র হয়ে পড়েছে। ফলে আর্থিক শৃঙ্খলা ও নীতিগত স্বচ্ছতা পুনঃপ্রতিষ্ঠা এখন সময়ের দাবি।
তাঁরা সতর্ক করেছেন, ব্যাংক খাতের এ কাঠামোগত দুর্বলতা ভবিষ্যতে রিজার্ভ ব্যবস্থাপনা, মুদ্রানীতি বাস্তবায়ন এবং ঋণ নিয়ন্ত্রণে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। প্রতিনিধিদল ইঙ্গিত দিয়েছে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বাধীনতা পুনরুদ্ধারকে তারা চলমান ঋণ কর্মসূচির আওতায় পরবর্তী কিস্তি ছাড়ের অন্যতম পূর্বশর্ত হিসেবে বিবেচনা করছে।
বৈঠকে আইএমএফ সদস্যরা অভিযোগ করেন, ২০০৯ সালে যেখানে খেলাপি ঋণ ছিল ২২ হাজার কোটি টাকা, সেটি এখন দাঁড়িয়েছে প্রায় পৌনে ৭ লাখ কোটিতে। অথচ এত দিন সরকারি পরিসংখ্যানে এটি দেখানো হতো মাত্র ২ লাখ কোটি টাকার মতো। সুদের হার ৯ শতাংশে বেঁধে রাখার নীতিকে তাঁরা ‘অবৈধ অর্থ পাচারে প্রণোদনা’ হিসেবে ব্যাখ্যা করেছেন। প্রতিনিধিদল জানায়, রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী কিছু গোষ্ঠী নাম-বেনামে ঋণ নিয়ে সেই অর্থ ডলার ক্রয়ে ব্যবহার করে বিদেশে পাচার করেছে। ফলে ২০২১ সালের মহামারিকালে ৪৮ বিলিয়ন ডলারের বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ নেমে এসেছে ২০ বিলিয়নের ঘরে।
বৈঠকে আরও জানানো হয়, কিছু দুর্বল ব্যাংক কোনো কার্যকর তদারকি ছাড়াই প্রায় ৭০ হাজার কোটি টাকার ঋণ নিয়েছে। এ অবস্থায় আইএমএফ ব্যাংক খাতের ঝুঁকি মোকাবিলায় কঠোর জামানত ব্যবস্থা ও স্বচ্ছ তদারকি কাঠামো প্রবর্তনের পরামর্শ দিয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান বলেন, আইএমএফ মিশনের নিয়মিত পরিদর্শন চলছে। তারা মূলত ঋণ কর্মসূচির শর্ত বাস্তবায়নের অগ্রগতি যাচাই করছে। কিছু ইস্যুতে তাদের উদ্বেগ থাকলেও সার্বিকভাবে তারা অগ্রগতিতে সন্তুষ্ট।

বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সংকটে দীর্ঘ সময় ধরে শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি মোকাবিলা করছে দেশ। এ অবস্থায় পূর্ববর্তী সরকারের মতো অন্তর্বর্তী সরকারও এখন বিদেশি ঋণের প্রতি বেশি মনোযোগী। তবে উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে এখনো আশানুরূপ প্রতিশ্রুত সাহায্য মেলেনি। ফলে বৈদেশিক ঋণপ্রবাহের পতন ও ডলারের অভাবে দেশের অর্থনৈত
২৫ মার্চ ২০২৫
কয়েক দিন চড়া থাকার পর রাজধানীর খুচরা বাজারে দেশি পেঁয়াজের দাম কেজিপ্রতি ৫ টাকা কমেছে। তবে পাইকারি বাজারে দেখা গেছে ওঠানামা। সকালে কিছুটা বেড়েছে, বিকেলে আবার নেমেছে।
৭ ঘণ্টা আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যালট পেপার ছাপার জন্য নির্বাচন কমিশন রাঙামাটির কাপ্তাইয়ে অবস্থিত রাষ্ট্রায়ত্ত কাগজ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান কর্ণফুলী পেপার মিলস লিমিটেড (কেপিএম) থেকে ৯১৪ দশমিক ০০৯ টন কাগজ কিনছে। এর আর্থিক মূল্য প্রায় ১১ কোটি ১১ লাখ টাকা। ইতিমধ্যে সরবরাহ সম্পন্ন হয়েছে ১৭৮ দশমিক ০০৯
৭ ঘণ্টা আগে
দেশের সবগুলো ক্যাডেট কলেজে ভর্তি আবেদন ফি সহজেই দেওয়া যাচ্ছে ডাক বিভাগের মোবাইল আর্থিক সেবা ‘নগদ’-এর মাধ্যমে। বরাবরের মতো এবারও এ ক্ষেত্রে কোনো বাড়তি খরচ প্রয়োজন হবে না।
১৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

কয়েক দিন চড়া থাকার পর রাজধানীর খুচরা বাজারে দেশি পেঁয়াজের দাম কেজিপ্রতি ৫ টাকা কমেছে। তবে পাইকারি বাজারে দেখা গেছে ওঠানামা। সকালে কিছুটা বেড়েছে, বিকেলে আবার নেমেছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, পাইকারি বিক্রেতা ও ব্যাপারীরা দোলাচলে আছেন। সরকারের আমদানির ঘোষণা এবং নতুন মুড়িকাটা পেঁয়াজ বাজারে আসায় দাম কমার আশঙ্কায় রয়েছেন তাঁরা। ফলে কেউ মজুত পেঁয়াজ দ্রুত বিক্রি করতে চাইছেন, আবার কেউ আশা করছেন দাম বাড়বে।
গতকাল সোমবার রাজধানীর সেগুনবাগিচা বাজারের আগোরায় দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে কেজিপ্রতি ১১৫ টাকায়, পাশের কাঁচাবাজারে দাম ছিল ১১৫-১২০ টাকার মধ্যে। আগের দিন এসব বাজারে দাম ছিল ১২০-১২৫ টাকা।
তবে কোনো কোনো বাজারে ১১০ টাকায়ও পেঁয়াজ মিলছে। মুগদা বাজারের বিক্রেতা কাউসার বলেন, ‘গত রোববার পাইকারিতে ৯৫ টাকায় কিনেছি। পরিবহন খরচ, কুলি খরচ, নষ্টের ঝুঁকি ও সামান্য মুনাফা যোগ করে ১১০ টাকায় বিক্রি করছি।’
শ্যামবাজারে সকালে ভালো মানের পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে কেজিপ্রতি ১০৫, মাঝারি মানের ১০২ এবং ছোট পেঁয়াজ ৯৮-১০০ টাকায়। তবে দুপুরের পর দাম কমে যথাক্রমে ১০০-৯৮ এবং ৯৬-৯৭ টাকায় নেমেছে। আগের দিন এই বাজারে দাম ছিল ৯৭-৯৮, ৯৫-৯৬ এবং ৯২-৯৩ টাকা।
রাজধানীর প্রায় সব বাজারে নতুন মৌসুমের মুড়িকাটা জাতের পেঁয়াজ বিক্রি করতে দেখা গেছে। পাতাসহ এসব পেঁয়াজের দাম কেজিপ্রতি ৭০-৮০ টাকা। বিক্রেতারা বলছেন, খেতের পেঁয়াজ ঘন হয়ে গেলে কৃষকেরা কিছু তুলে ফেলেন, যাতে বাকি গাছগুলো দ্রুত বড় হয় এবং কৃষক কিছু আয়ও পান। ভালো দাম পেয়ে কৃষকেরা এখন বেশি করে মুড়িকাটা পেঁয়াজ বাজারে আনছেন।

কয়েক দিন চড়া থাকার পর রাজধানীর খুচরা বাজারে দেশি পেঁয়াজের দাম কেজিপ্রতি ৫ টাকা কমেছে। তবে পাইকারি বাজারে দেখা গেছে ওঠানামা। সকালে কিছুটা বেড়েছে, বিকেলে আবার নেমেছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, পাইকারি বিক্রেতা ও ব্যাপারীরা দোলাচলে আছেন। সরকারের আমদানির ঘোষণা এবং নতুন মুড়িকাটা পেঁয়াজ বাজারে আসায় দাম কমার আশঙ্কায় রয়েছেন তাঁরা। ফলে কেউ মজুত পেঁয়াজ দ্রুত বিক্রি করতে চাইছেন, আবার কেউ আশা করছেন দাম বাড়বে।
গতকাল সোমবার রাজধানীর সেগুনবাগিচা বাজারের আগোরায় দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে কেজিপ্রতি ১১৫ টাকায়, পাশের কাঁচাবাজারে দাম ছিল ১১৫-১২০ টাকার মধ্যে। আগের দিন এসব বাজারে দাম ছিল ১২০-১২৫ টাকা।
তবে কোনো কোনো বাজারে ১১০ টাকায়ও পেঁয়াজ মিলছে। মুগদা বাজারের বিক্রেতা কাউসার বলেন, ‘গত রোববার পাইকারিতে ৯৫ টাকায় কিনেছি। পরিবহন খরচ, কুলি খরচ, নষ্টের ঝুঁকি ও সামান্য মুনাফা যোগ করে ১১০ টাকায় বিক্রি করছি।’
শ্যামবাজারে সকালে ভালো মানের পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে কেজিপ্রতি ১০৫, মাঝারি মানের ১০২ এবং ছোট পেঁয়াজ ৯৮-১০০ টাকায়। তবে দুপুরের পর দাম কমে যথাক্রমে ১০০-৯৮ এবং ৯৬-৯৭ টাকায় নেমেছে। আগের দিন এই বাজারে দাম ছিল ৯৭-৯৮, ৯৫-৯৬ এবং ৯২-৯৩ টাকা।
রাজধানীর প্রায় সব বাজারে নতুন মৌসুমের মুড়িকাটা জাতের পেঁয়াজ বিক্রি করতে দেখা গেছে। পাতাসহ এসব পেঁয়াজের দাম কেজিপ্রতি ৭০-৮০ টাকা। বিক্রেতারা বলছেন, খেতের পেঁয়াজ ঘন হয়ে গেলে কৃষকেরা কিছু তুলে ফেলেন, যাতে বাকি গাছগুলো দ্রুত বড় হয় এবং কৃষক কিছু আয়ও পান। ভালো দাম পেয়ে কৃষকেরা এখন বেশি করে মুড়িকাটা পেঁয়াজ বাজারে আনছেন।

বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সংকটে দীর্ঘ সময় ধরে শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি মোকাবিলা করছে দেশ। এ অবস্থায় পূর্ববর্তী সরকারের মতো অন্তর্বর্তী সরকারও এখন বিদেশি ঋণের প্রতি বেশি মনোযোগী। তবে উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে এখনো আশানুরূপ প্রতিশ্রুত সাহায্য মেলেনি। ফলে বৈদেশিক ঋণপ্রবাহের পতন ও ডলারের অভাবে দেশের অর্থনৈত
২৫ মার্চ ২০২৫
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতি ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে রাজনৈতিক প্রভাব এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের অযাচিত হস্তক্ষেপে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রতিনিধিদল। ঢাকায় সফররত সংস্থাটির সদস্যরা বলছেন, বাংলাদেশ ব্যাংক আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ পাচ্ছে না।
৭ ঘণ্টা আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যালট পেপার ছাপার জন্য নির্বাচন কমিশন রাঙামাটির কাপ্তাইয়ে অবস্থিত রাষ্ট্রায়ত্ত কাগজ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান কর্ণফুলী পেপার মিলস লিমিটেড (কেপিএম) থেকে ৯১৪ দশমিক ০০৯ টন কাগজ কিনছে। এর আর্থিক মূল্য প্রায় ১১ কোটি ১১ লাখ টাকা। ইতিমধ্যে সরবরাহ সম্পন্ন হয়েছে ১৭৮ দশমিক ০০৯
৭ ঘণ্টা আগে
দেশের সবগুলো ক্যাডেট কলেজে ভর্তি আবেদন ফি সহজেই দেওয়া যাচ্ছে ডাক বিভাগের মোবাইল আর্থিক সেবা ‘নগদ’-এর মাধ্যমে। বরাবরের মতো এবারও এ ক্ষেত্রে কোনো বাড়তি খরচ প্রয়োজন হবে না।
১৩ ঘণ্টা আগে৯১৪ টনের ক্রয়াদেশ ইসির
কাপ্তাই (রাঙামাটি) প্রতিনিধি

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যালট পেপার ছাপার জন্য নির্বাচন কমিশন রাঙামাটির কাপ্তাইয়ে অবস্থিত রাষ্ট্রায়ত্ত কাগজ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান কর্ণফুলী পেপার মিলস লিমিটেড (কেপিএম) থেকে ৯১৪ দশমিক ০০৯ টন কাগজ কিনছে। এর আর্থিক মূল্য প্রায় ১১ কোটি ১১ লাখ টাকা। ইতিমধ্যে সরবরাহ সম্পন্ন হয়েছে ১৭৮ দশমিক ০০৯ টন কাগজ, অবশিষ্ট ৭৩৬ টন ধাপে ধাপে উৎপাদন করে ২০২৬ সালের জানুয়ারির মধ্যে নির্বাচন কমিশনের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে।
কেপিএমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ শহীদ উল্লাহ্ গতকাল সোমবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে জানান, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে নির্বাচন কমিশনের জন্য রঙিন (সবুজ, গোলাপি, এজুরলেইড) ও বাদামি সালফেট কাগজের মোট ৯১৪ টন ব্যালট ছাপার কাগজের অর্ডার এসেছে। ব্যালট ছাপার জন্য এসব বিশেষ কাগজের মান, ঘনত্ব ও টেক্সচার নিয়ে মিলের প্রযুক্তিবিদেরা ইতিমধ্যে নির্দিষ্ট মান নিশ্চিত করেছেন।
ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরও বলেন, ‘রাষ্ট্রীয় নির্বাচন কমিশনের পাশাপাশি বাংলাদেশ স্টেশনারি অফিস (বিএসও), বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ড, বিশ্ববিদ্যালয় এবং কিছু বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকেও এখন পর্যন্ত প্রায় ২,৮৯৪ টন কাগজের অর্ডার পেয়েছে কেপিএম, যার আর্থিক মূল্য প্রায় ৩৭ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। ৮ নভেম্বর পর্যন্ত আমরা ৯২৩ টন কাগজ সরবরাহ করেছি।’
কেপিএমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থবছরে মিলটির বার্ষিক কাগজ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩,৫০০ টন, যার সম্ভাব্য বাজারদর ৪০-৪৫ কোটি টাকা। ৯ নভেম্বর পর্যন্ত উৎপাদন হয়েছে ১,০৯৩ টন কাগজ এবং উৎপাদন কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
কাপ্তাইয়ের এই কর্ণফুলী পেপার মিলস দেশের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী শিল্পপ্রতিষ্ঠান। ১৯৫৩ সালে স্থাপিত এ মিলটি দীর্ঘদিন ধরে সরকারি দপ্তর, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং সরকারি পরীক্ষার উত্তরপত্র ছাপানোসহ বিভিন্ন জাতীয় প্রয়োজনে কাগজ সরবরাহ করে আসছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে যন্ত্রপাতি সংস্কার, উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং ব্যবস্থাপনা দক্ষতা উন্নয়নের ফলে মিলটির উৎপাদন আগের তুলনায় অনেক স্থিতিশীল হয়েছে।

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যালট পেপার ছাপার জন্য নির্বাচন কমিশন রাঙামাটির কাপ্তাইয়ে অবস্থিত রাষ্ট্রায়ত্ত কাগজ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান কর্ণফুলী পেপার মিলস লিমিটেড (কেপিএম) থেকে ৯১৪ দশমিক ০০৯ টন কাগজ কিনছে। এর আর্থিক মূল্য প্রায় ১১ কোটি ১১ লাখ টাকা। ইতিমধ্যে সরবরাহ সম্পন্ন হয়েছে ১৭৮ দশমিক ০০৯ টন কাগজ, অবশিষ্ট ৭৩৬ টন ধাপে ধাপে উৎপাদন করে ২০২৬ সালের জানুয়ারির মধ্যে নির্বাচন কমিশনের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে।
কেপিএমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ শহীদ উল্লাহ্ গতকাল সোমবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে জানান, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে নির্বাচন কমিশনের জন্য রঙিন (সবুজ, গোলাপি, এজুরলেইড) ও বাদামি সালফেট কাগজের মোট ৯১৪ টন ব্যালট ছাপার কাগজের অর্ডার এসেছে। ব্যালট ছাপার জন্য এসব বিশেষ কাগজের মান, ঘনত্ব ও টেক্সচার নিয়ে মিলের প্রযুক্তিবিদেরা ইতিমধ্যে নির্দিষ্ট মান নিশ্চিত করেছেন।
ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরও বলেন, ‘রাষ্ট্রীয় নির্বাচন কমিশনের পাশাপাশি বাংলাদেশ স্টেশনারি অফিস (বিএসও), বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ড, বিশ্ববিদ্যালয় এবং কিছু বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকেও এখন পর্যন্ত প্রায় ২,৮৯৪ টন কাগজের অর্ডার পেয়েছে কেপিএম, যার আর্থিক মূল্য প্রায় ৩৭ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। ৮ নভেম্বর পর্যন্ত আমরা ৯২৩ টন কাগজ সরবরাহ করেছি।’
কেপিএমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থবছরে মিলটির বার্ষিক কাগজ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩,৫০০ টন, যার সম্ভাব্য বাজারদর ৪০-৪৫ কোটি টাকা। ৯ নভেম্বর পর্যন্ত উৎপাদন হয়েছে ১,০৯৩ টন কাগজ এবং উৎপাদন কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
কাপ্তাইয়ের এই কর্ণফুলী পেপার মিলস দেশের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী শিল্পপ্রতিষ্ঠান। ১৯৫৩ সালে স্থাপিত এ মিলটি দীর্ঘদিন ধরে সরকারি দপ্তর, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং সরকারি পরীক্ষার উত্তরপত্র ছাপানোসহ বিভিন্ন জাতীয় প্রয়োজনে কাগজ সরবরাহ করে আসছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে যন্ত্রপাতি সংস্কার, উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং ব্যবস্থাপনা দক্ষতা উন্নয়নের ফলে মিলটির উৎপাদন আগের তুলনায় অনেক স্থিতিশীল হয়েছে।

বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সংকটে দীর্ঘ সময় ধরে শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি মোকাবিলা করছে দেশ। এ অবস্থায় পূর্ববর্তী সরকারের মতো অন্তর্বর্তী সরকারও এখন বিদেশি ঋণের প্রতি বেশি মনোযোগী। তবে উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে এখনো আশানুরূপ প্রতিশ্রুত সাহায্য মেলেনি। ফলে বৈদেশিক ঋণপ্রবাহের পতন ও ডলারের অভাবে দেশের অর্থনৈত
২৫ মার্চ ২০২৫
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতি ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে রাজনৈতিক প্রভাব এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের অযাচিত হস্তক্ষেপে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রতিনিধিদল। ঢাকায় সফররত সংস্থাটির সদস্যরা বলছেন, বাংলাদেশ ব্যাংক আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ পাচ্ছে না।
৭ ঘণ্টা আগে
কয়েক দিন চড়া থাকার পর রাজধানীর খুচরা বাজারে দেশি পেঁয়াজের দাম কেজিপ্রতি ৫ টাকা কমেছে। তবে পাইকারি বাজারে দেখা গেছে ওঠানামা। সকালে কিছুটা বেড়েছে, বিকেলে আবার নেমেছে।
৭ ঘণ্টা আগে
দেশের সবগুলো ক্যাডেট কলেজে ভর্তি আবেদন ফি সহজেই দেওয়া যাচ্ছে ডাক বিভাগের মোবাইল আর্থিক সেবা ‘নগদ’-এর মাধ্যমে। বরাবরের মতো এবারও এ ক্ষেত্রে কোনো বাড়তি খরচ প্রয়োজন হবে না।
১৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দেশের সব ক্যাডেট কলেজে ভর্তি আবেদন ফি সহজেই দেওয়া যাচ্ছে ডাক বিভাগের মোবাইল আর্থিক সেবা ‘নগদ’-এর মাধ্যমে। বরাবরের মতো এবারও এ ক্ষেত্রে কোনো বাড়তি খরচ প্রয়োজন হবে না।
বর্তমানে বাংলাদেশে ১২টি ক্যাডেট কলেজ রয়েছে, যার মধ্যে ৯টি ছেলেদের ও তিনটি মেয়েদের জন্য। ইতিমধ্যে এসব ক্যাডেট কলেজের ভর্তি আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এই প্রক্রিয়া চলবে আগামী ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
সব ক্যাডেট কলেজে যেকোনো আবেদনকারী নগদের মাধ্যমে ভর্তি আবেদন ফি দিতে পারবে কোনো রকম ঝামেলা ছাড়াই। তা ছাড়া নগদের এই ভর্তি ফির চার্জবিহীন পেমেন্ট সুবিধার ফলে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের জন্য ভর্তিপ্রক্রিয়া এখন আরও সহজ ও সাশ্রয়ী হয়েছে।
আবেদনকারী বা অভিভাবকেরা ক্যাডেট কলেজের অফিশিয়াল ওয়েবসাইট
অথবা https://cadetcollegeadmission.army.mil.bd/ -এ গিয়ে অনলাইনে আবেদন সম্পন্ন
করে ফি পরিশোধ করতে পারবে।
‘Apply Now/Sign Up’-এ ক্লিক করে নাম, মোবাইল নম্বর, পাসওয়ার্ড, ই-মেইল অ্যাড্রেস, জন্মতারিখসহ প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করতে হবে। এরপর ‘User ID’ ও ‘Password’ দিয়ে লগইন করে ‘Payment’ অপশন থেকে ‘Nagad’ নির্বাচন করে দুই হাজার টাকা আবেদন ফি তাৎক্ষণিক পরিশোধ করা যাবে। নগদ ব্যবহারকারীদের ক্ষেত্রে এই ফি প্রদানে কোনো সার্ভিস চার্জ বা ট্রানজেকশন ফি প্রযোজ্য হবে না। পেমেন্ট সফলভাবে সম্পন্ন হলে আবেদনকারীর মোবাইলে সঙ্গে সঙ্গে একটি এসএমএস নিশ্চিতকরণ বার্তা পাঠানো হবে।
ক্যাডেট কলেজ ভর্তি ফি সম্পূর্ণ চার্জমুক্ত করার বিষয়ে নগদের চিফ কমার্শিয়াল অফিসার মোহাম্মদ শাহীন সরওয়ার ভূঁইয়া বলেন, ‘আমরা নগদের মাধ্যমে ক্যাডেট কলেজে ভর্তি ফি প্রদান সম্পূর্ণ চার্জমুক্ত করেছি, যাতে সারা দেশের যেকোনো স্থান থেকে অভিভাবকেরা সহজে, দ্রুত ও সবচেয়ে কম খরচে প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে পারে। শিক্ষাসংক্রান্ত যেকোনো ডিজিটাল পেমেন্ট আরও সহজ করতে নগদ বরাবরই কাজ করে যাচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও এই ধারা অব্যাহত রাখবে।’
দেশের অন্যতম জনপ্রিয় মোবাইল আর্থিক সেবা নগদের মাধ্যমে বর্তমানে সরকারি ও বেসরকারি বহু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ভর্তি ও টিউশন ফি দিচ্ছে। এই সুবিধা শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের জন্য দ্রুত, নিরাপদ ও নির্ভরযোগ্য পেমেন্ট সলিউশন হিসেবে কাজ করছে।

দেশের সব ক্যাডেট কলেজে ভর্তি আবেদন ফি সহজেই দেওয়া যাচ্ছে ডাক বিভাগের মোবাইল আর্থিক সেবা ‘নগদ’-এর মাধ্যমে। বরাবরের মতো এবারও এ ক্ষেত্রে কোনো বাড়তি খরচ প্রয়োজন হবে না।
বর্তমানে বাংলাদেশে ১২টি ক্যাডেট কলেজ রয়েছে, যার মধ্যে ৯টি ছেলেদের ও তিনটি মেয়েদের জন্য। ইতিমধ্যে এসব ক্যাডেট কলেজের ভর্তি আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এই প্রক্রিয়া চলবে আগামী ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
সব ক্যাডেট কলেজে যেকোনো আবেদনকারী নগদের মাধ্যমে ভর্তি আবেদন ফি দিতে পারবে কোনো রকম ঝামেলা ছাড়াই। তা ছাড়া নগদের এই ভর্তি ফির চার্জবিহীন পেমেন্ট সুবিধার ফলে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের জন্য ভর্তিপ্রক্রিয়া এখন আরও সহজ ও সাশ্রয়ী হয়েছে।
আবেদনকারী বা অভিভাবকেরা ক্যাডেট কলেজের অফিশিয়াল ওয়েবসাইট
অথবা https://cadetcollegeadmission.army.mil.bd/ -এ গিয়ে অনলাইনে আবেদন সম্পন্ন
করে ফি পরিশোধ করতে পারবে।
‘Apply Now/Sign Up’-এ ক্লিক করে নাম, মোবাইল নম্বর, পাসওয়ার্ড, ই-মেইল অ্যাড্রেস, জন্মতারিখসহ প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করতে হবে। এরপর ‘User ID’ ও ‘Password’ দিয়ে লগইন করে ‘Payment’ অপশন থেকে ‘Nagad’ নির্বাচন করে দুই হাজার টাকা আবেদন ফি তাৎক্ষণিক পরিশোধ করা যাবে। নগদ ব্যবহারকারীদের ক্ষেত্রে এই ফি প্রদানে কোনো সার্ভিস চার্জ বা ট্রানজেকশন ফি প্রযোজ্য হবে না। পেমেন্ট সফলভাবে সম্পন্ন হলে আবেদনকারীর মোবাইলে সঙ্গে সঙ্গে একটি এসএমএস নিশ্চিতকরণ বার্তা পাঠানো হবে।
ক্যাডেট কলেজ ভর্তি ফি সম্পূর্ণ চার্জমুক্ত করার বিষয়ে নগদের চিফ কমার্শিয়াল অফিসার মোহাম্মদ শাহীন সরওয়ার ভূঁইয়া বলেন, ‘আমরা নগদের মাধ্যমে ক্যাডেট কলেজে ভর্তি ফি প্রদান সম্পূর্ণ চার্জমুক্ত করেছি, যাতে সারা দেশের যেকোনো স্থান থেকে অভিভাবকেরা সহজে, দ্রুত ও সবচেয়ে কম খরচে প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে পারে। শিক্ষাসংক্রান্ত যেকোনো ডিজিটাল পেমেন্ট আরও সহজ করতে নগদ বরাবরই কাজ করে যাচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও এই ধারা অব্যাহত রাখবে।’
দেশের অন্যতম জনপ্রিয় মোবাইল আর্থিক সেবা নগদের মাধ্যমে বর্তমানে সরকারি ও বেসরকারি বহু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ভর্তি ও টিউশন ফি দিচ্ছে। এই সুবিধা শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের জন্য দ্রুত, নিরাপদ ও নির্ভরযোগ্য পেমেন্ট সলিউশন হিসেবে কাজ করছে।

বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সংকটে দীর্ঘ সময় ধরে শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি মোকাবিলা করছে দেশ। এ অবস্থায় পূর্ববর্তী সরকারের মতো অন্তর্বর্তী সরকারও এখন বিদেশি ঋণের প্রতি বেশি মনোযোগী। তবে উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে এখনো আশানুরূপ প্রতিশ্রুত সাহায্য মেলেনি। ফলে বৈদেশিক ঋণপ্রবাহের পতন ও ডলারের অভাবে দেশের অর্থনৈত
২৫ মার্চ ২০২৫
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতি ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে রাজনৈতিক প্রভাব এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের অযাচিত হস্তক্ষেপে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রতিনিধিদল। ঢাকায় সফররত সংস্থাটির সদস্যরা বলছেন, বাংলাদেশ ব্যাংক আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ পাচ্ছে না।
৭ ঘণ্টা আগে
কয়েক দিন চড়া থাকার পর রাজধানীর খুচরা বাজারে দেশি পেঁয়াজের দাম কেজিপ্রতি ৫ টাকা কমেছে। তবে পাইকারি বাজারে দেখা গেছে ওঠানামা। সকালে কিছুটা বেড়েছে, বিকেলে আবার নেমেছে।
৭ ঘণ্টা আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যালট পেপার ছাপার জন্য নির্বাচন কমিশন রাঙামাটির কাপ্তাইয়ে অবস্থিত রাষ্ট্রায়ত্ত কাগজ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান কর্ণফুলী পেপার মিলস লিমিটেড (কেপিএম) থেকে ৯১৪ দশমিক ০০৯ টন কাগজ কিনছে। এর আর্থিক মূল্য প্রায় ১১ কোটি ১১ লাখ টাকা। ইতিমধ্যে সরবরাহ সম্পন্ন হয়েছে ১৭৮ দশমিক ০০৯
৭ ঘণ্টা আগে