সবুর শুভ, চট্টগ্রাম

কক্সবাজারের সঙ্গে এবার মিতালি হলো রেলপথের। চট্টগ্রামের দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথ প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে উন্মোচিত হয়েছে বহুমাত্রিক সম্ভাবনার দ্বার। যোগাযোগ, শিল্পায়ন, পর্যটন, বিনিয়োগ, ব্যবসা-বাণিজ্যসহ সব ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তনের রেলগাড়ি ছুটবে এ পথ ধরে। সব মিলিয়ে ১৮ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পটি এই অঞ্চলের সার্বিক অর্থনীতিতে আনবে নতুন প্রাণ। কক্সবাজার হয়ে উঠবে দেশের অর্থনীতির নতুন দুয়ার।
কক্সবাজারে অর্থনৈতিক উন্নয়নের সব অনুষঙ্গ বিদ্যমান। আছে পর্যটন থেকে শুরু করে মহেশখালীর মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর, কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র ও এলএনজি টার্মিনালের মতো বিনিয়োগ আকর্ষণযোগ্য বড় বড় প্রকল্প। এসব প্রকল্পের ছায়াসঙ্গী হিসেবে যোগ হলো দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথটি। ফলে পর্যটনের পাশাপাশি লবণ, কৃষি, আবাসন ও চিংড়ি শিল্পে নতুন বিনিয়োগ সম্ভাবনা তৈরি হলো। ঘুরে যাবে এই অঞ্চলের অর্থনীতির চাকা। ত্বরান্বিত হবে ব্যবসা-বাণিজ্যের গতি।
১০০ কিলোমিটারের এই রেলপথের ছোঁয়ায় সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, চকরিয়া, পটিয়া, চন্দনাইশ, বাঁশখালী, আনোয়ারাসহ আশপাশের অর্থনীতির চিত্র পাল্টে যাবে বলে জানান সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। কারণ এ প্রকল্পের আওতায় নির্মিত কক্সবাজার আইকনিক রেলস্টেশনসহ মোট ৯টি স্টেশনের মাধ্যমে রেলপথে সংযুক্ত হবে এলাকাগুলো।
দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন প্রকল্পের পরিচালক মো. সুবক্তগীন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার যোগাযোগব্যবস্থা উন্নত করার মধ্য দিয়ে এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর বিষয়কে সামনে রেখে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছে।
এই রেলপথ চালুর ফলে কক্সবাজারের উৎপাদিত পণ্য যেমন সহজে সারা দেশে নেওয়া যাবে, তেমনি সারা দেশ থেকে পণ্য কক্সবাজারে সাশ্রয়ীভাবে আনা যাবে। এতে উৎপাদকদের পাশাপাশি ক্রেতারাও হবেন লাভবান। সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে, রেল চালুর কারণে পচনশীল পণ্য পরিবহনে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত পণ্য পরিবহনব্যবস্থা চালু করা যাবে। মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর থেকে সহজে এবং কম খরচে কনটেইনার আনা-নেওয়া করা যাবে। সহজে ও কম খরচে মাছ, লবণ, সুপারি, শুঁটকি, পান ও রাবারের কাঁচামাল এবং বিভিন্ন বনজ ও কৃষিজ পণ্য পরিবহন করা সম্ভব হবে এ রেলপথে। কক্সবাজারের টেকনাফ স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যেও গতি আনতে পারে পথটি। ফলে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আসবে কক্সবাজারে। গতি পাবে অর্থনীতি। নানা ক্ষেত্রে কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে।
এই অঞ্চলের বেকারত্ব সামাল দেওয়া যাবে বলে মনে করেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক মু. সিকান্দার খান। বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি চট্টগ্রাম চেপ্টারের সাবেক এই সভাপতি বলেন, রেলপথে সংযুক্ত হওয়ার ফলে এই অঞ্চলে উৎপাদনশীলতা উৎসাহিত হবে। এখানে উৎপাদিত পণ্য সারা দেশে ছড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হবে। রাস্তাঘাটের সুবিধা তো সরকার নেবে না, নেবে দেশের জনগণ। এই ধরনের প্রকল্পের মাধ্যমে গ্রাম-শহর উন্নয়নে একাকার হবে।
তথ্যমতে, ২০১০ সালের ৬ জুলাই একনেকে অনুমোদন পায় দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণ প্রকল্প। ২০১৮ সালে নির্মাণকাজ শুরু হয়। প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২২ সালের ৩০ জুন। পরে এক দফা বাড়িয়ে প্রকল্পের মেয়াদ করা হয় ২০২৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত। এতে ব্যয় বেড়ে হয় ১৮ হাজার ৩৪ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। প্রকল্পে ঋণসহায়তা দেয় এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। ২০১৬ সালের ২৭ এপ্রিল প্রকল্পটি ফাস্ট ট্র্যাক প্রকল্প হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়।
রেলপথটি নির্মিত হওয়ায় মিয়ানমার, চীনসহ ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ের করিডোরে যুক্ত হবে বাংলাদেশ। কক্সবাজার পরিণত হবে ব্যবসা-বাণিজ্য ও পর্যটনের তীর্থ স্থান। কক্সবাজারে যেতে এখনো পর্যটকদের প্রধান ভরসা সড়কপথ। আকাশপথে আসা পর্যটকের সংখ্যা সীমিত। পর্যটন অর্থনীতি চাঙা থাকে মূলত শুষ্ক মৌসুমে। রেল যোগাযোগ স্থাপিত হওয়ার ফলে সারা বছর পর্যটক পাওয়ার আশা করছেন হোটেল-মোটেলের উদ্যোক্তারা। এ প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে প্রকৃত অর্থেই সারা বছর চাঙা থাকবে পর্যটন অর্থনীতি। রেলব্যবস্থা পুরোদমে চালু হলে প্রতিবছর প্রায় ১ কোটি পর্যটক কক্সবাজারে ভিড় জমাবে। সেসব পর্যটকের মধ্যে স্থানীয় থাকবেন ১৭ শতাংশ। এই অগ্রগতির ঢেউ এসে পড়বে চট্টগ্রামসহ সারা দেশের সার্বিক অর্থনীতির গতিধারায়। কারণ এই রেলপথ চট্টগ্রাম-ঢাকা রেলপথের সঙ্গে সংযুক্ত থাকবে। স্থানীয়দের মধ্যেও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে জানালেন কক্সবাজার সদরের রুমালিয়ার ছড়া এলাকার বাসিন্দা চট্টগ্রাম ওয়াসার কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা ও রেলওয়ের মাস্টারপ্ল্যান অনুযায়ী দোহাজারী-কক্সবাজার রেল প্রকল্পের মাধ্যমে রেলপথে ১৫ শতাংশ পণ্য পরিবহন বাড়ানো যাবে। লবণ, শুঁটকি, সামুদ্রিক মাছ, সুপারি ও পানের বড় আধার হচ্ছে কক্সবাজার। ট্রাকে করে এসব পণ্য পরিবহনে খরচ যেমন বাড়ে সময়ও বেশি লাগে। এতে অনেক ক্ষেত্রে পণ্য নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থাকে। রেলে পরিবহনে খরচ ও সময় দুটোই সাশ্রয় হবে।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেনের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. এ এন এম মইনুল ইসলাম বলেন, দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথের মতো বড় প্রকল্পগুলোর দীর্ঘমেয়াদি ইতিবাচক প্রভাব রয়েছে। এ প্রভাব বহুমাত্রিক ও সুদূরপ্রসারী। রেলপথে যোগাযোগ নিশ্চিত করার ফলে এই অঞ্চলের সার্বিক অর্থনীতিতে পরিবর্তন আসবে। দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট হবে। কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।

কক্সবাজারের সঙ্গে এবার মিতালি হলো রেলপথের। চট্টগ্রামের দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথ প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে উন্মোচিত হয়েছে বহুমাত্রিক সম্ভাবনার দ্বার। যোগাযোগ, শিল্পায়ন, পর্যটন, বিনিয়োগ, ব্যবসা-বাণিজ্যসহ সব ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তনের রেলগাড়ি ছুটবে এ পথ ধরে। সব মিলিয়ে ১৮ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পটি এই অঞ্চলের সার্বিক অর্থনীতিতে আনবে নতুন প্রাণ। কক্সবাজার হয়ে উঠবে দেশের অর্থনীতির নতুন দুয়ার।
কক্সবাজারে অর্থনৈতিক উন্নয়নের সব অনুষঙ্গ বিদ্যমান। আছে পর্যটন থেকে শুরু করে মহেশখালীর মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর, কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র ও এলএনজি টার্মিনালের মতো বিনিয়োগ আকর্ষণযোগ্য বড় বড় প্রকল্প। এসব প্রকল্পের ছায়াসঙ্গী হিসেবে যোগ হলো দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথটি। ফলে পর্যটনের পাশাপাশি লবণ, কৃষি, আবাসন ও চিংড়ি শিল্পে নতুন বিনিয়োগ সম্ভাবনা তৈরি হলো। ঘুরে যাবে এই অঞ্চলের অর্থনীতির চাকা। ত্বরান্বিত হবে ব্যবসা-বাণিজ্যের গতি।
১০০ কিলোমিটারের এই রেলপথের ছোঁয়ায় সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, চকরিয়া, পটিয়া, চন্দনাইশ, বাঁশখালী, আনোয়ারাসহ আশপাশের অর্থনীতির চিত্র পাল্টে যাবে বলে জানান সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। কারণ এ প্রকল্পের আওতায় নির্মিত কক্সবাজার আইকনিক রেলস্টেশনসহ মোট ৯টি স্টেশনের মাধ্যমে রেলপথে সংযুক্ত হবে এলাকাগুলো।
দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন প্রকল্পের পরিচালক মো. সুবক্তগীন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার যোগাযোগব্যবস্থা উন্নত করার মধ্য দিয়ে এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর বিষয়কে সামনে রেখে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছে।
এই রেলপথ চালুর ফলে কক্সবাজারের উৎপাদিত পণ্য যেমন সহজে সারা দেশে নেওয়া যাবে, তেমনি সারা দেশ থেকে পণ্য কক্সবাজারে সাশ্রয়ীভাবে আনা যাবে। এতে উৎপাদকদের পাশাপাশি ক্রেতারাও হবেন লাভবান। সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে, রেল চালুর কারণে পচনশীল পণ্য পরিবহনে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত পণ্য পরিবহনব্যবস্থা চালু করা যাবে। মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর থেকে সহজে এবং কম খরচে কনটেইনার আনা-নেওয়া করা যাবে। সহজে ও কম খরচে মাছ, লবণ, সুপারি, শুঁটকি, পান ও রাবারের কাঁচামাল এবং বিভিন্ন বনজ ও কৃষিজ পণ্য পরিবহন করা সম্ভব হবে এ রেলপথে। কক্সবাজারের টেকনাফ স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যেও গতি আনতে পারে পথটি। ফলে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আসবে কক্সবাজারে। গতি পাবে অর্থনীতি। নানা ক্ষেত্রে কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে।
এই অঞ্চলের বেকারত্ব সামাল দেওয়া যাবে বলে মনে করেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক মু. সিকান্দার খান। বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি চট্টগ্রাম চেপ্টারের সাবেক এই সভাপতি বলেন, রেলপথে সংযুক্ত হওয়ার ফলে এই অঞ্চলে উৎপাদনশীলতা উৎসাহিত হবে। এখানে উৎপাদিত পণ্য সারা দেশে ছড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হবে। রাস্তাঘাটের সুবিধা তো সরকার নেবে না, নেবে দেশের জনগণ। এই ধরনের প্রকল্পের মাধ্যমে গ্রাম-শহর উন্নয়নে একাকার হবে।
তথ্যমতে, ২০১০ সালের ৬ জুলাই একনেকে অনুমোদন পায় দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণ প্রকল্প। ২০১৮ সালে নির্মাণকাজ শুরু হয়। প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২২ সালের ৩০ জুন। পরে এক দফা বাড়িয়ে প্রকল্পের মেয়াদ করা হয় ২০২৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত। এতে ব্যয় বেড়ে হয় ১৮ হাজার ৩৪ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। প্রকল্পে ঋণসহায়তা দেয় এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। ২০১৬ সালের ২৭ এপ্রিল প্রকল্পটি ফাস্ট ট্র্যাক প্রকল্প হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়।
রেলপথটি নির্মিত হওয়ায় মিয়ানমার, চীনসহ ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ের করিডোরে যুক্ত হবে বাংলাদেশ। কক্সবাজার পরিণত হবে ব্যবসা-বাণিজ্য ও পর্যটনের তীর্থ স্থান। কক্সবাজারে যেতে এখনো পর্যটকদের প্রধান ভরসা সড়কপথ। আকাশপথে আসা পর্যটকের সংখ্যা সীমিত। পর্যটন অর্থনীতি চাঙা থাকে মূলত শুষ্ক মৌসুমে। রেল যোগাযোগ স্থাপিত হওয়ার ফলে সারা বছর পর্যটক পাওয়ার আশা করছেন হোটেল-মোটেলের উদ্যোক্তারা। এ প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে প্রকৃত অর্থেই সারা বছর চাঙা থাকবে পর্যটন অর্থনীতি। রেলব্যবস্থা পুরোদমে চালু হলে প্রতিবছর প্রায় ১ কোটি পর্যটক কক্সবাজারে ভিড় জমাবে। সেসব পর্যটকের মধ্যে স্থানীয় থাকবেন ১৭ শতাংশ। এই অগ্রগতির ঢেউ এসে পড়বে চট্টগ্রামসহ সারা দেশের সার্বিক অর্থনীতির গতিধারায়। কারণ এই রেলপথ চট্টগ্রাম-ঢাকা রেলপথের সঙ্গে সংযুক্ত থাকবে। স্থানীয়দের মধ্যেও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে জানালেন কক্সবাজার সদরের রুমালিয়ার ছড়া এলাকার বাসিন্দা চট্টগ্রাম ওয়াসার কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা ও রেলওয়ের মাস্টারপ্ল্যান অনুযায়ী দোহাজারী-কক্সবাজার রেল প্রকল্পের মাধ্যমে রেলপথে ১৫ শতাংশ পণ্য পরিবহন বাড়ানো যাবে। লবণ, শুঁটকি, সামুদ্রিক মাছ, সুপারি ও পানের বড় আধার হচ্ছে কক্সবাজার। ট্রাকে করে এসব পণ্য পরিবহনে খরচ যেমন বাড়ে সময়ও বেশি লাগে। এতে অনেক ক্ষেত্রে পণ্য নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থাকে। রেলে পরিবহনে খরচ ও সময় দুটোই সাশ্রয় হবে।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেনের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. এ এন এম মইনুল ইসলাম বলেন, দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথের মতো বড় প্রকল্পগুলোর দীর্ঘমেয়াদি ইতিবাচক প্রভাব রয়েছে। এ প্রভাব বহুমাত্রিক ও সুদূরপ্রসারী। রেলপথে যোগাযোগ নিশ্চিত করার ফলে এই অঞ্চলের সার্বিক অর্থনীতিতে পরিবর্তন আসবে। দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট হবে। কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।

এক বছরের ব্যবধানে (অক্টোবর থেকে অক্টোবর) দেশের ব্যাংকগুলোর স্বল্পকালীন (কলমানি) ঋণ বিপুল হারে বেড়েছে। চলতি বছরের অক্টোবর পর্যন্ত কলমানি ঋণ প্রায় দ্বিগুণ বা ৬৩ হাজার ২৪৮ কোটি টাকা বেড়েছে। এর মধ্যে এক দিনের জন্য ওভারনাইট ধার বেড়েছে ৪৯ হাজার ৯৩২ কোটি টাকা আর আন্তব্যাংক রেপোতে ধার বেড়েছে ৫৮ হাজার ৭৫৩
১৩ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশে চলমান অর্থনৈতিক সংস্কারের লক্ষ্য পূরণে অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও নীতির ধারাবাহিকতা অপরিহার্য বলে মনে করছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঢাকা সফররত মিশন প্রতিনিধিদল। তারা আরও বলেছে, রাজস্ব আয় ও ব্যয়ের ভারসাম্য আনতে করনীতিকে উৎপাদনমুখী করা এবং সামাজিক খাতে বরাদ্দের কার্যকারিতা
১৩ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে প্রাথমিক লাইসেন্স লেটার অব ইনটেন্ট (এলওআই) পেল সংকটে থাকা পাঁচটি ইসলামী ব্যাংক একীভূত করে গঠিত হওয়া ‘সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক’। একই সঙ্গে ব্যাংকটির পরিচালনা বোর্ডের নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারেক।
১৩ ঘণ্টা আগে
আমদানিকারকেরাই ফড়িয়া ও ব্যাপারীদের ‘হাওয়া দেওয়ায়’ দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। তবে এর সুফল কৃষকেরা পেয়েছেন কমই। লাভের গুড় মূলত খেয়েছে মধ্যস্বত্বভোগীরা।
১৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

এক বছরের ব্যবধানে (অক্টোবর থেকে অক্টোবর) দেশের ব্যাংকগুলোর স্বল্পকালীন (কলমানি) ঋণ বিপুল হারে বেড়েছে। চলতি বছরের অক্টোবর পর্যন্ত কলমানি ঋণ প্রায় দ্বিগুণ বা ৬৩ হাজার ২৪৮ কোটি টাকা বেড়েছে। এর মধ্যে এক দিনের জন্য ওভারনাইট ধার বেড়েছে ৪৯ হাজার ৯৩২ কোটি টাকা আর আন্তব্যাংক রেপোতে ধার বেড়েছে ৫৮ হাজার ৭৫৩ কোটি টাকা। গতকাল রোববার বাংলাদেশ ব্যাংক প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের অক্টোবর মাসে কলমানিতে এক দিন থেকে এক বছরের কম সময়ের জন্য ব্যাংকগুলো ধার করেছে ১ লাখ ৪৩ হাজার ২৭১ কোটি টাকা; যা গত অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৮০ হাজার ২৩ কোটি টাকা। সে হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে কলমানিতে ধার বেড়েছে ৬৩ হাজার ২৪৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে এক দিনের জন্য ওভারনাইটে ধার ছিল ১ লাখ ২১ হাজার ৯৮৮ কোটি টাকা, যা তার আগের বছরের অক্টোবরে ছিল ৭২ হাজার ৫৬ কোটি টাকা। সে হিসাবে ওভারনাইট ধার বেড়েছে ৪৯ হাজার ৯৩২ কোটি টাকা।
মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, পলিসি রেট (নীতি সুদহার) বাড়ার প্রভাব কলমানি মার্কেটে পড়েছে। এখন ঋণের খরচ বেড়েছে। অনেক ব্যাংক নগদ টাকার চাপ সামলাতে চড়া সুদে ঋণ করে ব্যাংকিং কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করেছে। ফলে বিনিয়োগে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি অক্টোবরে ২ থেকে ১৪ দিনের জন্য শর্ট নোটিশে ধারের পরিমাণ ছিল ১৯ হাজার ৪৬৩ কোটি টাকা, যা গত অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৬ হাজার ৫৪১ কোটি টাকা। সে হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে বেড়েছে ১২ হাজার ৯২২ কোটি টাকা। একইভাবে ১৫ দিন থেকে এক বছরের কম সময়ের জন্য টার্ম কল ঋণ গত অক্টোবরে ছিল ১ হাজার ৮২০ কোটি টাকা, যা ২০২৪ সালের অক্টোবরে ছিল ১ হাজার ৪২৬ কোটি টাকা। সে হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে ঋণ বেড়েছে ৩৯৪ কোটি টাকা।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ মুস্তফা কে মুজেরি বলেন, বর্তমানে ব্যাংক খাতে নগদ টাকার ব্যবস্থাপনায় বড় ধরনের সংকট রয়েছে। ডলারের দাম বাড়ায় ব্যাংকে তারল্যসংকট দেখা দিয়েছে। তারল্যসংকটের মোকাবিলা করতে এক ব্যাংক অন্য ব্যাংক থেকে চড়া সুদেও টাকা ধার নিচ্ছে। কারণ বাজারে খুব বেশি তারল্য নেই। এর মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকও রেপোর নিলাম কমিয়ে দিয়েছে। ফলে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ব্যাংকগুলো খুব বেশি টাকা ধার করতে পারছে। সব মিলিয়ে কলমানি বাজারে চড়া সুদে যেসব ব্যাংক টাকা ধার নিয়েছে তারা ধার পরিশোধে হিমশিম খাচ্ছে। কিন্তু কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে কলমানিতে সুদহার বেশি হলেও নিরুপায় হয়ে কলমানিতে লেনদেন করে অস্বস্তিতে পড়েছে ব্যাংকগুলো।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, গত অক্টোবরে কলমানির মধ্যে ওভারনাইটের গড় সুদহার (ডব্লিইএআর) ছিল ৯ দশমিক ৮১ শতাংশ, শর্ট নোটিশের গড় সুদহার ছিল ১০ দশমিক ১৩ শতাংশ এবং টার্ম কলে সুদহার ছিল ১০ দশমিক ৭০ শতাংশ। আর আন্তব্যাংক রেপোতে সুদের গড় হার ছিল ৯ দশমিক ৮৮ শতাংশ। আর চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের অক্টোবর মাসে আন্তব্যাংক লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৭১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ১৩ হাজার ৩২ কোটি টাকা। সে হিসাবে আন্তব্যাংক লেনদেন বেড়েছে ৫৮ হাজার ৭৫৩ কোটি টাকা।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একটি দুর্বল ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, এখন কিছু ব্যাংকের কাছে অতিরিক্ত তারল্য রয়েছে। তবে অন্য ব্যাংকগুলো দৈনন্দিন চাহিদা মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে, তারাই ধার নিচ্ছে। এখন যেসব ব্যাংকের ধার প্রয়োজন, তাদের বেশির ভাগেরই পর্যাপ্ত জামানত নেই। তারা কলমানির ধারের টাকায় ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান বলেন, ডলারের দর বেড়েছে, এতে টাকার মূল্য হ্রাস পেয়েছে। যে কারণে কিছু ব্যাংক তারল্যসংকটে পড়েছে। দুর্বল ব্যাংকগুলো তারল্যসুবিধা নিচ্ছে, স্বাভাবিক চাহিদা পূরণ করতে কলমানিতে ধার করছে। চাহিদা বাড়লে ধার বাড়ে, আবার চাহিদা কমলে ধার কমে।

এক বছরের ব্যবধানে (অক্টোবর থেকে অক্টোবর) দেশের ব্যাংকগুলোর স্বল্পকালীন (কলমানি) ঋণ বিপুল হারে বেড়েছে। চলতি বছরের অক্টোবর পর্যন্ত কলমানি ঋণ প্রায় দ্বিগুণ বা ৬৩ হাজার ২৪৮ কোটি টাকা বেড়েছে। এর মধ্যে এক দিনের জন্য ওভারনাইট ধার বেড়েছে ৪৯ হাজার ৯৩২ কোটি টাকা আর আন্তব্যাংক রেপোতে ধার বেড়েছে ৫৮ হাজার ৭৫৩ কোটি টাকা। গতকাল রোববার বাংলাদেশ ব্যাংক প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের অক্টোবর মাসে কলমানিতে এক দিন থেকে এক বছরের কম সময়ের জন্য ব্যাংকগুলো ধার করেছে ১ লাখ ৪৩ হাজার ২৭১ কোটি টাকা; যা গত অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৮০ হাজার ২৩ কোটি টাকা। সে হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে কলমানিতে ধার বেড়েছে ৬৩ হাজার ২৪৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে এক দিনের জন্য ওভারনাইটে ধার ছিল ১ লাখ ২১ হাজার ৯৮৮ কোটি টাকা, যা তার আগের বছরের অক্টোবরে ছিল ৭২ হাজার ৫৬ কোটি টাকা। সে হিসাবে ওভারনাইট ধার বেড়েছে ৪৯ হাজার ৯৩২ কোটি টাকা।
মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, পলিসি রেট (নীতি সুদহার) বাড়ার প্রভাব কলমানি মার্কেটে পড়েছে। এখন ঋণের খরচ বেড়েছে। অনেক ব্যাংক নগদ টাকার চাপ সামলাতে চড়া সুদে ঋণ করে ব্যাংকিং কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করেছে। ফলে বিনিয়োগে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি অক্টোবরে ২ থেকে ১৪ দিনের জন্য শর্ট নোটিশে ধারের পরিমাণ ছিল ১৯ হাজার ৪৬৩ কোটি টাকা, যা গত অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৬ হাজার ৫৪১ কোটি টাকা। সে হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে বেড়েছে ১২ হাজার ৯২২ কোটি টাকা। একইভাবে ১৫ দিন থেকে এক বছরের কম সময়ের জন্য টার্ম কল ঋণ গত অক্টোবরে ছিল ১ হাজার ৮২০ কোটি টাকা, যা ২০২৪ সালের অক্টোবরে ছিল ১ হাজার ৪২৬ কোটি টাকা। সে হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে ঋণ বেড়েছে ৩৯৪ কোটি টাকা।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ মুস্তফা কে মুজেরি বলেন, বর্তমানে ব্যাংক খাতে নগদ টাকার ব্যবস্থাপনায় বড় ধরনের সংকট রয়েছে। ডলারের দাম বাড়ায় ব্যাংকে তারল্যসংকট দেখা দিয়েছে। তারল্যসংকটের মোকাবিলা করতে এক ব্যাংক অন্য ব্যাংক থেকে চড়া সুদেও টাকা ধার নিচ্ছে। কারণ বাজারে খুব বেশি তারল্য নেই। এর মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকও রেপোর নিলাম কমিয়ে দিয়েছে। ফলে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ব্যাংকগুলো খুব বেশি টাকা ধার করতে পারছে। সব মিলিয়ে কলমানি বাজারে চড়া সুদে যেসব ব্যাংক টাকা ধার নিয়েছে তারা ধার পরিশোধে হিমশিম খাচ্ছে। কিন্তু কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে কলমানিতে সুদহার বেশি হলেও নিরুপায় হয়ে কলমানিতে লেনদেন করে অস্বস্তিতে পড়েছে ব্যাংকগুলো।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, গত অক্টোবরে কলমানির মধ্যে ওভারনাইটের গড় সুদহার (ডব্লিইএআর) ছিল ৯ দশমিক ৮১ শতাংশ, শর্ট নোটিশের গড় সুদহার ছিল ১০ দশমিক ১৩ শতাংশ এবং টার্ম কলে সুদহার ছিল ১০ দশমিক ৭০ শতাংশ। আর আন্তব্যাংক রেপোতে সুদের গড় হার ছিল ৯ দশমিক ৮৮ শতাংশ। আর চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের অক্টোবর মাসে আন্তব্যাংক লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৭১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ১৩ হাজার ৩২ কোটি টাকা। সে হিসাবে আন্তব্যাংক লেনদেন বেড়েছে ৫৮ হাজার ৭৫৩ কোটি টাকা।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একটি দুর্বল ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, এখন কিছু ব্যাংকের কাছে অতিরিক্ত তারল্য রয়েছে। তবে অন্য ব্যাংকগুলো দৈনন্দিন চাহিদা মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে, তারাই ধার নিচ্ছে। এখন যেসব ব্যাংকের ধার প্রয়োজন, তাদের বেশির ভাগেরই পর্যাপ্ত জামানত নেই। তারা কলমানির ধারের টাকায় ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান বলেন, ডলারের দর বেড়েছে, এতে টাকার মূল্য হ্রাস পেয়েছে। যে কারণে কিছু ব্যাংক তারল্যসংকটে পড়েছে। দুর্বল ব্যাংকগুলো তারল্যসুবিধা নিচ্ছে, স্বাভাবিক চাহিদা পূরণ করতে কলমানিতে ধার করছে। চাহিদা বাড়লে ধার বাড়ে, আবার চাহিদা কমলে ধার কমে।

কক্সবাজারের সঙ্গে এবার মিতালি হলো রেলপথের। চট্টগ্রামের দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথ প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে উন্মোচিত হয়েছে বহুমাত্রিক সম্ভাবনার দ্বার। যোগাযোগ, শিল্পায়ন, পর্যটন, বিনিয়োগ, ব্যবসা-বাণিজ্যসহ সব ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তনের রেলগাড়ি ছুটবে এ পথ ধরে। সব মিলিয়ে ১৮ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পটি
১১ নভেম্বর ২০২৩
বাংলাদেশে চলমান অর্থনৈতিক সংস্কারের লক্ষ্য পূরণে অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও নীতির ধারাবাহিকতা অপরিহার্য বলে মনে করছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঢাকা সফররত মিশন প্রতিনিধিদল। তারা আরও বলেছে, রাজস্ব আয় ও ব্যয়ের ভারসাম্য আনতে করনীতিকে উৎপাদনমুখী করা এবং সামাজিক খাতে বরাদ্দের কার্যকারিতা
১৩ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে প্রাথমিক লাইসেন্স লেটার অব ইনটেন্ট (এলওআই) পেল সংকটে থাকা পাঁচটি ইসলামী ব্যাংক একীভূত করে গঠিত হওয়া ‘সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক’। একই সঙ্গে ব্যাংকটির পরিচালনা বোর্ডের নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারেক।
১৩ ঘণ্টা আগে
আমদানিকারকেরাই ফড়িয়া ও ব্যাপারীদের ‘হাওয়া দেওয়ায়’ দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। তবে এর সুফল কৃষকেরা পেয়েছেন কমই। লাভের গুড় মূলত খেয়েছে মধ্যস্বত্বভোগীরা।
১৪ ঘণ্টা আগেআইএমএফ-বিএনপি বৈঠক
বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা

বাংলাদেশে চলমান অর্থনৈতিক সংস্কারের লক্ষ্য পূরণে অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও নীতির ধারাবাহিকতা অপরিহার্য বলে মনে করছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঢাকা সফররত মিশন প্রতিনিধিদল। তারা আরও বলেছে, রাজস্ব আয় ও ব্যয়ের ভারসাম্য আনতে করনীতিকে উৎপাদনমুখী করা এবং সামাজিক খাতে বরাদ্দের কার্যকারিতা বাড়ানো এখন সময়ের প্রধান চ্যালেঞ্জ।
গতকাল রোববার মিশনপ্রধান ক্রিস পাপাজর্জিউর নেতৃত্বাধীন আইএমএফ প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) সঙ্গে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে অংশ নেয়। বিএনপির পক্ষে নেতৃত্ব দেন দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক সচিব মো. ইসমাইল জবিউল্লাহ, বিশ্বব্যাংকের সাবেক কর্মকর্তা ড. জিয়াউদ্দিন হায়দার এবং সংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ।
গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকটি ছিল ভবিষ্যৎ প্রেক্ষাপটে একটি গুরুত্বপূর্ণ নীতিগত সংলাপের সুযোগ। এতে আলোচনা হয় আইএমএফের চলমান ঋণ কর্মসূচির মূল্যায়ন মিশনের প্রাথমিক প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে বাংলাদেশের আর্থিক কাঠামো, রাজস্ব সংগ্রহ, করনীতি এবং সামাজিক ব্যয় বৃদ্ধিসহ নানা দিক নিয়ে। বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়, মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) হরমোনাইজেশন, ভ্যাট ও করছাড় হ্রাসে নতুন টেকনিক্যাল সহায়তা, করপোরেট করকাঠামোর সংস্কার, ব্যাংকিং খাতের স্থিতিশীলতা এবং সামাজিক খাতে বরাদ্দ বাড়ানোর উদ্যোগ।
তাই বিএনপিও বৈঠকে আইএমএফ মিশনের প্রস্তাব ও মনোভাবের সঙ্গে সায় জানিয়েছে। বিএনপি প্রতিনিধিদল জোর দিয়ে উল্লেখ করেছে, দেশের টেকসই অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে হলে আর্থিক খাত, করনীতি এবং সামাজিক খাতে সমন্বিত সংস্কার অপরিহার্য। তারা বলছেন, জবাবদিহিমূলক ও স্বচ্ছ আর্থিক প্রশাসন ছাড়া দীর্ঘমেয়াদি প্রবৃদ্ধি স্থায়ী করা সম্ভব নয়। এ সময় দলের পক্ষ থেকে করকাঠামো সহজীকরণ, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের করসুবিধা পুনর্বিবেচনা এবং ব্যাংকিং খাতের দুর্বলতা দূর করার প্রস্তাবও উঠে আসে। দল জানিয়েছে, নির্বাচিত হলে তারা দেশ ও জনগণের স্বার্থসংশ্লিষ্ট চলমান সংস্কার কর্মসূচিকে আরও বেগবান করবে।
আইএমএফ প্রতিনিধিদল বিএনপির উপস্থাপিত নীতি-দৃষ্টিভঙ্গি ও সংস্কার প্রস্তাবের প্রশংসা করেছে। তারা জানিয়েছে, স্বচ্ছ ও টেকসই অর্থনৈতিক কাঠামো গড়ে তুলতে রাজনৈতিক দলগুলোর অংশগ্রহণমূলক সংলাপ ভবিষ্যতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
উভয় পক্ষই আশা প্রকাশ করেছে, এ সংলাপ বাংলাদেশের রাজস্ব কাঠামো, সামাজিক খাত এবং অর্থনৈতিক নীতিতে নতুন দিকনির্দেশনা তৈরি করবে—যেখানে থাকবে সংস্কার, স্বচ্ছতা এবং ন্যায্যতা।

বাংলাদেশে চলমান অর্থনৈতিক সংস্কারের লক্ষ্য পূরণে অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও নীতির ধারাবাহিকতা অপরিহার্য বলে মনে করছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঢাকা সফররত মিশন প্রতিনিধিদল। তারা আরও বলেছে, রাজস্ব আয় ও ব্যয়ের ভারসাম্য আনতে করনীতিকে উৎপাদনমুখী করা এবং সামাজিক খাতে বরাদ্দের কার্যকারিতা বাড়ানো এখন সময়ের প্রধান চ্যালেঞ্জ।
গতকাল রোববার মিশনপ্রধান ক্রিস পাপাজর্জিউর নেতৃত্বাধীন আইএমএফ প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) সঙ্গে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে অংশ নেয়। বিএনপির পক্ষে নেতৃত্ব দেন দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক সচিব মো. ইসমাইল জবিউল্লাহ, বিশ্বব্যাংকের সাবেক কর্মকর্তা ড. জিয়াউদ্দিন হায়দার এবং সংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ।
গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকটি ছিল ভবিষ্যৎ প্রেক্ষাপটে একটি গুরুত্বপূর্ণ নীতিগত সংলাপের সুযোগ। এতে আলোচনা হয় আইএমএফের চলমান ঋণ কর্মসূচির মূল্যায়ন মিশনের প্রাথমিক প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে বাংলাদেশের আর্থিক কাঠামো, রাজস্ব সংগ্রহ, করনীতি এবং সামাজিক ব্যয় বৃদ্ধিসহ নানা দিক নিয়ে। বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়, মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) হরমোনাইজেশন, ভ্যাট ও করছাড় হ্রাসে নতুন টেকনিক্যাল সহায়তা, করপোরেট করকাঠামোর সংস্কার, ব্যাংকিং খাতের স্থিতিশীলতা এবং সামাজিক খাতে বরাদ্দ বাড়ানোর উদ্যোগ।
তাই বিএনপিও বৈঠকে আইএমএফ মিশনের প্রস্তাব ও মনোভাবের সঙ্গে সায় জানিয়েছে। বিএনপি প্রতিনিধিদল জোর দিয়ে উল্লেখ করেছে, দেশের টেকসই অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে হলে আর্থিক খাত, করনীতি এবং সামাজিক খাতে সমন্বিত সংস্কার অপরিহার্য। তারা বলছেন, জবাবদিহিমূলক ও স্বচ্ছ আর্থিক প্রশাসন ছাড়া দীর্ঘমেয়াদি প্রবৃদ্ধি স্থায়ী করা সম্ভব নয়। এ সময় দলের পক্ষ থেকে করকাঠামো সহজীকরণ, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের করসুবিধা পুনর্বিবেচনা এবং ব্যাংকিং খাতের দুর্বলতা দূর করার প্রস্তাবও উঠে আসে। দল জানিয়েছে, নির্বাচিত হলে তারা দেশ ও জনগণের স্বার্থসংশ্লিষ্ট চলমান সংস্কার কর্মসূচিকে আরও বেগবান করবে।
আইএমএফ প্রতিনিধিদল বিএনপির উপস্থাপিত নীতি-দৃষ্টিভঙ্গি ও সংস্কার প্রস্তাবের প্রশংসা করেছে। তারা জানিয়েছে, স্বচ্ছ ও টেকসই অর্থনৈতিক কাঠামো গড়ে তুলতে রাজনৈতিক দলগুলোর অংশগ্রহণমূলক সংলাপ ভবিষ্যতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
উভয় পক্ষই আশা প্রকাশ করেছে, এ সংলাপ বাংলাদেশের রাজস্ব কাঠামো, সামাজিক খাত এবং অর্থনৈতিক নীতিতে নতুন দিকনির্দেশনা তৈরি করবে—যেখানে থাকবে সংস্কার, স্বচ্ছতা এবং ন্যায্যতা।

কক্সবাজারের সঙ্গে এবার মিতালি হলো রেলপথের। চট্টগ্রামের দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথ প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে উন্মোচিত হয়েছে বহুমাত্রিক সম্ভাবনার দ্বার। যোগাযোগ, শিল্পায়ন, পর্যটন, বিনিয়োগ, ব্যবসা-বাণিজ্যসহ সব ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তনের রেলগাড়ি ছুটবে এ পথ ধরে। সব মিলিয়ে ১৮ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পটি
১১ নভেম্বর ২০২৩
এক বছরের ব্যবধানে (অক্টোবর থেকে অক্টোবর) দেশের ব্যাংকগুলোর স্বল্পকালীন (কলমানি) ঋণ বিপুল হারে বেড়েছে। চলতি বছরের অক্টোবর পর্যন্ত কলমানি ঋণ প্রায় দ্বিগুণ বা ৬৩ হাজার ২৪৮ কোটি টাকা বেড়েছে। এর মধ্যে এক দিনের জন্য ওভারনাইট ধার বেড়েছে ৪৯ হাজার ৯৩২ কোটি টাকা আর আন্তব্যাংক রেপোতে ধার বেড়েছে ৫৮ হাজার ৭৫৩
১৩ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে প্রাথমিক লাইসেন্স লেটার অব ইনটেন্ট (এলওআই) পেল সংকটে থাকা পাঁচটি ইসলামী ব্যাংক একীভূত করে গঠিত হওয়া ‘সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক’। একই সঙ্গে ব্যাংকটির পরিচালনা বোর্ডের নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারেক।
১৩ ঘণ্টা আগে
আমদানিকারকেরাই ফড়িয়া ও ব্যাপারীদের ‘হাওয়া দেওয়ায়’ দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। তবে এর সুফল কৃষকেরা পেয়েছেন কমই। লাভের গুড় মূলত খেয়েছে মধ্যস্বত্বভোগীরা।
১৪ ঘণ্টা আগেকেন্দ্রীয় ব্যাংকের বোর্ড সভায় অনুমোদন
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে প্রাথমিক লাইসেন্স লেটার অব ইনটেন্ট (এলওআই) পেল সংকটে থাকা পাঁচটি ইসলামী ব্যাংক একীভূত করে গঠিত হওয়া ‘সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক’। একই সঙ্গে ব্যাংকটির পরিচালনা বোর্ডের নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারেক। এর মধ্য দিয়ে দেশের আর্থিক খাতে নতুন প্রজন্মের আরও একটি বাণিজ্যিক ব্যাংকের কার্যক্রম শুরু হতে যাচ্ছে।
গতকাল রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকের বিশেষ বোর্ড সভায় ব্যাংকটির নামে এলওআই অনুমোদনের নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বোর্ড সভায় সভাপতিত্ব করেন গভর্নর আহসান এইচ মনসুর এবং উপস্থিত ছিলেন অন্য সদস্যরা।
সূত্র জানিয়েছে, গত বুধবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে ‘সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক’ নামে প্রস্তাবিত ব্যাংকের অনুকূলে এলওআই ও লাইসেন্সের জন্য আবেদন করা হয়। প্রাথমিক যাচাই-বাছাই শেষে গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংকের বোর্ডে অনুমোদনের প্রস্তাব উত্থাপিত হয়, যা বোর্ড সভায় অনুমোদিত হয়েছে। এখন যৌথ মূলধন কোম্পানি ও ফার্মগুলোর পরিদপ্তর (আরজিএসসি) থেকে ব্যাংকের নাম অনুমোদন নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে পাঠালে চূড়ান্ত লাইসেন্স দেওয়া হবে।
নতুন ব্যাংকের পরিচালনা বোর্ডে নাজমা মোবারেক ছাড়াও সদস্য হিসেবে থাকছেন অর্থসচিব মো. খায়রুজ্জামান মজুমদার, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সচিব মো. সাইফুল্লাহ পান্না, ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় সচিব মো. কামাল উদ্দিন, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের ছিদ্দিকী, অর্থ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মুহা. রাশিদুল আমিন ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে বিভাগের যুগ্ম সচিব শেখ ফরিদ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, নতুন গঠিত ব্যাংকের বর্তমান পর্ষদের মেয়াদ হতে পারে সর্বোচ্চ ৬ মাস থেকে ১ বছর। এই সময়কালে বর্তমান পাঁচটি ব্যাংকের প্রশাসকেরা তাঁদের অ্যাসেট ও দায়দেনা যাচাই-বাছাই করবেন। পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংক বাজারের অভিজ্ঞ পেশাজীবীদের মাধ্যমে চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) নিয়োগ দেবে এবং ব্যাংকটি স্বাধীনভাবে পরিচালিত হবে।
প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংকের মূলধন হবে ৩৫ হাজার কোটি টাকা, যার মধ্যে ২০ হাজার কোটি সরকারের পক্ষ থেকে এবং ১৫ হাজার কোটি টাকা আমানতকারীদের শেয়ার হিসেবে থাকবে।

বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে প্রাথমিক লাইসেন্স লেটার অব ইনটেন্ট (এলওআই) পেল সংকটে থাকা পাঁচটি ইসলামী ব্যাংক একীভূত করে গঠিত হওয়া ‘সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক’। একই সঙ্গে ব্যাংকটির পরিচালনা বোর্ডের নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারেক। এর মধ্য দিয়ে দেশের আর্থিক খাতে নতুন প্রজন্মের আরও একটি বাণিজ্যিক ব্যাংকের কার্যক্রম শুরু হতে যাচ্ছে।
গতকাল রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকের বিশেষ বোর্ড সভায় ব্যাংকটির নামে এলওআই অনুমোদনের নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বোর্ড সভায় সভাপতিত্ব করেন গভর্নর আহসান এইচ মনসুর এবং উপস্থিত ছিলেন অন্য সদস্যরা।
সূত্র জানিয়েছে, গত বুধবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে ‘সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক’ নামে প্রস্তাবিত ব্যাংকের অনুকূলে এলওআই ও লাইসেন্সের জন্য আবেদন করা হয়। প্রাথমিক যাচাই-বাছাই শেষে গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংকের বোর্ডে অনুমোদনের প্রস্তাব উত্থাপিত হয়, যা বোর্ড সভায় অনুমোদিত হয়েছে। এখন যৌথ মূলধন কোম্পানি ও ফার্মগুলোর পরিদপ্তর (আরজিএসসি) থেকে ব্যাংকের নাম অনুমোদন নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে পাঠালে চূড়ান্ত লাইসেন্স দেওয়া হবে।
নতুন ব্যাংকের পরিচালনা বোর্ডে নাজমা মোবারেক ছাড়াও সদস্য হিসেবে থাকছেন অর্থসচিব মো. খায়রুজ্জামান মজুমদার, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সচিব মো. সাইফুল্লাহ পান্না, ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় সচিব মো. কামাল উদ্দিন, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের ছিদ্দিকী, অর্থ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মুহা. রাশিদুল আমিন ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে বিভাগের যুগ্ম সচিব শেখ ফরিদ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, নতুন গঠিত ব্যাংকের বর্তমান পর্ষদের মেয়াদ হতে পারে সর্বোচ্চ ৬ মাস থেকে ১ বছর। এই সময়কালে বর্তমান পাঁচটি ব্যাংকের প্রশাসকেরা তাঁদের অ্যাসেট ও দায়দেনা যাচাই-বাছাই করবেন। পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংক বাজারের অভিজ্ঞ পেশাজীবীদের মাধ্যমে চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) নিয়োগ দেবে এবং ব্যাংকটি স্বাধীনভাবে পরিচালিত হবে।
প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংকের মূলধন হবে ৩৫ হাজার কোটি টাকা, যার মধ্যে ২০ হাজার কোটি সরকারের পক্ষ থেকে এবং ১৫ হাজার কোটি টাকা আমানতকারীদের শেয়ার হিসেবে থাকবে।

কক্সবাজারের সঙ্গে এবার মিতালি হলো রেলপথের। চট্টগ্রামের দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথ প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে উন্মোচিত হয়েছে বহুমাত্রিক সম্ভাবনার দ্বার। যোগাযোগ, শিল্পায়ন, পর্যটন, বিনিয়োগ, ব্যবসা-বাণিজ্যসহ সব ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তনের রেলগাড়ি ছুটবে এ পথ ধরে। সব মিলিয়ে ১৮ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পটি
১১ নভেম্বর ২০২৩
এক বছরের ব্যবধানে (অক্টোবর থেকে অক্টোবর) দেশের ব্যাংকগুলোর স্বল্পকালীন (কলমানি) ঋণ বিপুল হারে বেড়েছে। চলতি বছরের অক্টোবর পর্যন্ত কলমানি ঋণ প্রায় দ্বিগুণ বা ৬৩ হাজার ২৪৮ কোটি টাকা বেড়েছে। এর মধ্যে এক দিনের জন্য ওভারনাইট ধার বেড়েছে ৪৯ হাজার ৯৩২ কোটি টাকা আর আন্তব্যাংক রেপোতে ধার বেড়েছে ৫৮ হাজার ৭৫৩
১৩ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশে চলমান অর্থনৈতিক সংস্কারের লক্ষ্য পূরণে অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও নীতির ধারাবাহিকতা অপরিহার্য বলে মনে করছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঢাকা সফররত মিশন প্রতিনিধিদল। তারা আরও বলেছে, রাজস্ব আয় ও ব্যয়ের ভারসাম্য আনতে করনীতিকে উৎপাদনমুখী করা এবং সামাজিক খাতে বরাদ্দের কার্যকারিতা
১৩ ঘণ্টা আগে
আমদানিকারকেরাই ফড়িয়া ও ব্যাপারীদের ‘হাওয়া দেওয়ায়’ দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। তবে এর সুফল কৃষকেরা পেয়েছেন কমই। লাভের গুড় মূলত খেয়েছে মধ্যস্বত্বভোগীরা।
১৪ ঘণ্টা আগেরোকন উদ্দীন, ঢাকা

আমদানিকারকেরাই ফড়িয়া ও ব্যাপারীদের ‘হাওয়া দেওয়ায়’ দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। তবে এর সুফল কৃষকেরা পেয়েছেন কমই। লাভের গুড় মূলত খেয়েছে মধ্যস্বত্বভোগীরা।
বাজারে পেঁয়াজের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে গত ৯ দিনে ভোক্তাদের পকেট থেকে বাড়তি ৩০ কোটি টাকার বেশি মুনাফা করেছে সংকট সৃষ্টিকারীরা।
এই অবস্থায় বাণিজ্য উপদেষ্টা গতকাল রোববার বলেছেন, চলতি সপ্তাহের মধ্যে দাম কমে কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে না এলে পেঁয়াজ আমদানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
গতকাল রাজধানীর পুরান ঢাকার শ্যামবাজারসহ বিভিন্ন পাইকারি ও খুচরা বাজার ঘুরে এবং সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে পেঁয়াজের বাজারের এ পরিস্থিতি জানা গেল। বর্তমানে ফরিদপুর ও পাবনার কয়েকটি হাট থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ হচ্ছে। প্রথমে হাটে আসা কৃষক কিংবা সংরক্ষণকারীর কাছ থেকে ব্যাপারী বা ফড়িয়ারা পেঁয়াজ কিনে নিজেদের গুদামে সংরক্ষণ করেন। তারপর চাহিদা ও দাম বুঝে পাইকারি বাজারের আড়তে পাঠান। এ সময় আড়তমালিককে বিক্রির দাম বেঁধে দেন ব্যাপারীরা। তবে আড়তদারেরাও অনেক সময় বাজারের চাহিদা অনুসারে দাম কমবেশি করে বিক্রি করেন।
বাজারে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, নতুন পেঁয়াজ রোপণের মৌসুম চলে আসায় কৃষকদের হাতে এখন তেমন পেঁয়াজ নেই। ৯৫ শতাংশ কৃষকই পেঁয়াজ বিক্রি করে দিয়েছেন। অথচ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাবে এখনো সাড়ে তিন লাখ টনের মতো পেঁয়াজ মজুত রয়েছে। দেশে প্রতিদিন পেঁয়াজের চাহিদা ৭ হাজার ৫০০ টন (৭৫ লাখ কেজি)। সে হিসাবে মজুত পেঁয়াজ দিয়ে কমপক্ষে দেড় মাস চলা সম্ভব। এর মধ্যে আসছে নতুন মৌসুমের মুড়িকাটা পেঁয়াজও। অথচ তারপরও দাম বেড়েছে।
এই অবস্থায় দাম বাড়ানোর জন্য অভিযোগের আঙুল উঠেছে ফড়িয়াদের দিকে। আর ফড়িয়াদের দাবি, দাম বাড়ার আগুনে হাওয়া দিয়েছেন আমদানিকারকেরা। কারণ, আমদানি বন্ধ থাকায় তাঁদের ব্যবসাও বন্ধ রয়েছে।
পেঁয়াজের বাজারের বিভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কৃষকেরা বিচ্ছিন্ন থাকলেও ফড়িয়ারা বেশ সংগঠিত। তাঁরা নিয়মিত আমদানিকারকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন।
পাইকারি ও খুচরা বাজারে নভেম্বরের শুরু থেকে পরবর্তী ৪-৫ দিনের মধ্যে পেঁয়াজের দাম হঠাৎ কেজিপ্রতি ৪৫ টাকা বেড়ে ১২৫ টাকা পর্যন্ত ওঠে। বাড়তি এই দামের কারণে নভেম্বরের শুরু থেকে গতকাল পর্যন্ত ৯ দিনে চাহিদা হিসাব করলে ভোক্তার পকেট থেকে কমবেশি ৩৩ কোটি টাকা বাড়তি খরচ হয়েছে। এর প্রায় পুরোটাই পেয়েছে ফড়িয়ারা।
ফড়িয়াদের তৎপরতার পেছনে শ্যামবাজার পেঁয়াজ সমিতির ভূমিকা রয়েছে বলে অনেকের অভিযোগ। জানা গেছে, ব্যবসায়ী হাজি মো. মাজেদ শ্যামবাজারের পেঁয়াজ আমদানিকারকদের নিয়ে একটি সমিতি করেছেন। এতে ৫০-৬০ জন আমদানিকারক যুক্ত। সমিতির সঙ্গে ফড়িয়াদের নিয়মিত যোগাযোগও রয়েছে বলে জানান মাজেদ।
মো. মাজেদ বলেন, ‘আমদানি না হলে আমাদের ব্যবসাও মন্দা থাকে। দেশে বর্তমানে প্রতিদিন যে চাহিদা, তার ২৫ শতাংশ পেঁয়াজ রয়েছে। তাই আরও আগে থেকে আমদানি করার দরকার ছিল।’
সরকার আমদানির অনুমোদন না দেওয়ায় মাজেদ অনেকটা ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন, ‘যেটুকু পেঁয়াজ আছে, তার দাম আরও বেড়ে যেত, যদি না আমি তাদের আমদানির কথা শোনাতাম। যাদের কাছে পেঁয়াজ রয়েছে, তারা আমার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে।’
তবে গতকাল রাজধানীর শ্যামবাজার ঘুরে পেঁয়াজের কোনো ঘাটতি দেখা যায়নি। প্রতিটি আড়তে ধারণক্ষমতার প্রায় কাছাকাছি পেঁয়াজ ছিল। কিন্তু ক্রেতারা অনেক দরদাম করলেও দাম কমাচ্ছেন না আড়তমালিকেরা।
গতকাল শ্যামবাজারে প্রতি কেজি ভালো মানের পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৯৭-৯৮ টাকা, মাঝারি ও ছোট আকারের পেঁয়াজ কেজিতে বিক্রি হয়েছে ৯৩-৯৫ টাকা এবং ৯০ টাকা।
মেসার্স অপু ট্রেডার্স নামের আড়তে গিয়ে দেখা যায়, পর্যাপ্ত পেঁয়াজ রয়েছে সেখানে। ক্রেতার সংখ্যাও চোখে পড়ার মতো। জানা গেল, আড়তটির ধারণক্ষমতা মোট ৮০০-৯০০ বস্তা (প্রতিটিতে ৭৫ কেজি)। গতকাল দুপুর পর্যন্ত ছিল ৭০০ বস্তা।
মেসার্স আনোয়ার বাণিজ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, পেঁয়াজ রয়েছে ২৭৭ বস্তা। আড়তমালিক মো. রঞ্জু শেখ জানান, তাঁদের ধারণক্ষমতা ৩০০ বস্তার কিছু বেশি।
মেসার্স মাতৃভান্ডারের মালিক মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, ব্যাপারীরা শুধু শ্যামবাজারেই পেঁয়াজ পাঠায় না, তারা সারা দেশের বিভিন্ন বাজারে সরবরাহ করে। যে বাজারে বাড়তি দামে বিক্রি করতে পারবে, সেখানেই পাঠায়।
কৃত্রিম সংকটে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে, এ কথা ট্যারিফ কমিশন এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ও বলছে। এ জন্য বাজারে মনিটরিং টিমও কাজ করছে বলে জানিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। গতকাল শ্যামবাজারে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের দেখা গেছে।
দাম না কমলে আমদানি
চলতি সপ্তাহের মধ্যে পেঁয়াজের দাম কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে না এলে আমদানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। গতকাল সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে উপদেষ্টা এ কথা বলেন।
শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, ‘আমরা ১০ দিন ধরে দেখছি, পেঁয়াজের মূল্যের একটা ঊর্ধ্বগতি হয়েছে। তবে পেঁয়াজের কোনো অভাব নেই। আমরা জানি, অনেকে আমদানির জন্য আবেদন করেছেন। বর্তমানে ২ হাজার ৮০০ আমদানির আবেদন আছে। তবে দাম স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে এলে আমদানির অনুমতি দেব না।’

আমদানিকারকেরাই ফড়িয়া ও ব্যাপারীদের ‘হাওয়া দেওয়ায়’ দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। তবে এর সুফল কৃষকেরা পেয়েছেন কমই। লাভের গুড় মূলত খেয়েছে মধ্যস্বত্বভোগীরা।
বাজারে পেঁয়াজের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে গত ৯ দিনে ভোক্তাদের পকেট থেকে বাড়তি ৩০ কোটি টাকার বেশি মুনাফা করেছে সংকট সৃষ্টিকারীরা।
এই অবস্থায় বাণিজ্য উপদেষ্টা গতকাল রোববার বলেছেন, চলতি সপ্তাহের মধ্যে দাম কমে কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে না এলে পেঁয়াজ আমদানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
গতকাল রাজধানীর পুরান ঢাকার শ্যামবাজারসহ বিভিন্ন পাইকারি ও খুচরা বাজার ঘুরে এবং সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে পেঁয়াজের বাজারের এ পরিস্থিতি জানা গেল। বর্তমানে ফরিদপুর ও পাবনার কয়েকটি হাট থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ হচ্ছে। প্রথমে হাটে আসা কৃষক কিংবা সংরক্ষণকারীর কাছ থেকে ব্যাপারী বা ফড়িয়ারা পেঁয়াজ কিনে নিজেদের গুদামে সংরক্ষণ করেন। তারপর চাহিদা ও দাম বুঝে পাইকারি বাজারের আড়তে পাঠান। এ সময় আড়তমালিককে বিক্রির দাম বেঁধে দেন ব্যাপারীরা। তবে আড়তদারেরাও অনেক সময় বাজারের চাহিদা অনুসারে দাম কমবেশি করে বিক্রি করেন।
বাজারে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, নতুন পেঁয়াজ রোপণের মৌসুম চলে আসায় কৃষকদের হাতে এখন তেমন পেঁয়াজ নেই। ৯৫ শতাংশ কৃষকই পেঁয়াজ বিক্রি করে দিয়েছেন। অথচ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাবে এখনো সাড়ে তিন লাখ টনের মতো পেঁয়াজ মজুত রয়েছে। দেশে প্রতিদিন পেঁয়াজের চাহিদা ৭ হাজার ৫০০ টন (৭৫ লাখ কেজি)। সে হিসাবে মজুত পেঁয়াজ দিয়ে কমপক্ষে দেড় মাস চলা সম্ভব। এর মধ্যে আসছে নতুন মৌসুমের মুড়িকাটা পেঁয়াজও। অথচ তারপরও দাম বেড়েছে।
এই অবস্থায় দাম বাড়ানোর জন্য অভিযোগের আঙুল উঠেছে ফড়িয়াদের দিকে। আর ফড়িয়াদের দাবি, দাম বাড়ার আগুনে হাওয়া দিয়েছেন আমদানিকারকেরা। কারণ, আমদানি বন্ধ থাকায় তাঁদের ব্যবসাও বন্ধ রয়েছে।
পেঁয়াজের বাজারের বিভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কৃষকেরা বিচ্ছিন্ন থাকলেও ফড়িয়ারা বেশ সংগঠিত। তাঁরা নিয়মিত আমদানিকারকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন।
পাইকারি ও খুচরা বাজারে নভেম্বরের শুরু থেকে পরবর্তী ৪-৫ দিনের মধ্যে পেঁয়াজের দাম হঠাৎ কেজিপ্রতি ৪৫ টাকা বেড়ে ১২৫ টাকা পর্যন্ত ওঠে। বাড়তি এই দামের কারণে নভেম্বরের শুরু থেকে গতকাল পর্যন্ত ৯ দিনে চাহিদা হিসাব করলে ভোক্তার পকেট থেকে কমবেশি ৩৩ কোটি টাকা বাড়তি খরচ হয়েছে। এর প্রায় পুরোটাই পেয়েছে ফড়িয়ারা।
ফড়িয়াদের তৎপরতার পেছনে শ্যামবাজার পেঁয়াজ সমিতির ভূমিকা রয়েছে বলে অনেকের অভিযোগ। জানা গেছে, ব্যবসায়ী হাজি মো. মাজেদ শ্যামবাজারের পেঁয়াজ আমদানিকারকদের নিয়ে একটি সমিতি করেছেন। এতে ৫০-৬০ জন আমদানিকারক যুক্ত। সমিতির সঙ্গে ফড়িয়াদের নিয়মিত যোগাযোগও রয়েছে বলে জানান মাজেদ।
মো. মাজেদ বলেন, ‘আমদানি না হলে আমাদের ব্যবসাও মন্দা থাকে। দেশে বর্তমানে প্রতিদিন যে চাহিদা, তার ২৫ শতাংশ পেঁয়াজ রয়েছে। তাই আরও আগে থেকে আমদানি করার দরকার ছিল।’
সরকার আমদানির অনুমোদন না দেওয়ায় মাজেদ অনেকটা ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন, ‘যেটুকু পেঁয়াজ আছে, তার দাম আরও বেড়ে যেত, যদি না আমি তাদের আমদানির কথা শোনাতাম। যাদের কাছে পেঁয়াজ রয়েছে, তারা আমার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে।’
তবে গতকাল রাজধানীর শ্যামবাজার ঘুরে পেঁয়াজের কোনো ঘাটতি দেখা যায়নি। প্রতিটি আড়তে ধারণক্ষমতার প্রায় কাছাকাছি পেঁয়াজ ছিল। কিন্তু ক্রেতারা অনেক দরদাম করলেও দাম কমাচ্ছেন না আড়তমালিকেরা।
গতকাল শ্যামবাজারে প্রতি কেজি ভালো মানের পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৯৭-৯৮ টাকা, মাঝারি ও ছোট আকারের পেঁয়াজ কেজিতে বিক্রি হয়েছে ৯৩-৯৫ টাকা এবং ৯০ টাকা।
মেসার্স অপু ট্রেডার্স নামের আড়তে গিয়ে দেখা যায়, পর্যাপ্ত পেঁয়াজ রয়েছে সেখানে। ক্রেতার সংখ্যাও চোখে পড়ার মতো। জানা গেল, আড়তটির ধারণক্ষমতা মোট ৮০০-৯০০ বস্তা (প্রতিটিতে ৭৫ কেজি)। গতকাল দুপুর পর্যন্ত ছিল ৭০০ বস্তা।
মেসার্স আনোয়ার বাণিজ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, পেঁয়াজ রয়েছে ২৭৭ বস্তা। আড়তমালিক মো. রঞ্জু শেখ জানান, তাঁদের ধারণক্ষমতা ৩০০ বস্তার কিছু বেশি।
মেসার্স মাতৃভান্ডারের মালিক মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, ব্যাপারীরা শুধু শ্যামবাজারেই পেঁয়াজ পাঠায় না, তারা সারা দেশের বিভিন্ন বাজারে সরবরাহ করে। যে বাজারে বাড়তি দামে বিক্রি করতে পারবে, সেখানেই পাঠায়।
কৃত্রিম সংকটে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে, এ কথা ট্যারিফ কমিশন এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ও বলছে। এ জন্য বাজারে মনিটরিং টিমও কাজ করছে বলে জানিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। গতকাল শ্যামবাজারে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের দেখা গেছে।
দাম না কমলে আমদানি
চলতি সপ্তাহের মধ্যে পেঁয়াজের দাম কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে না এলে আমদানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। গতকাল সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে উপদেষ্টা এ কথা বলেন।
শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, ‘আমরা ১০ দিন ধরে দেখছি, পেঁয়াজের মূল্যের একটা ঊর্ধ্বগতি হয়েছে। তবে পেঁয়াজের কোনো অভাব নেই। আমরা জানি, অনেকে আমদানির জন্য আবেদন করেছেন। বর্তমানে ২ হাজার ৮০০ আমদানির আবেদন আছে। তবে দাম স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে এলে আমদানির অনুমতি দেব না।’

কক্সবাজারের সঙ্গে এবার মিতালি হলো রেলপথের। চট্টগ্রামের দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথ প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে উন্মোচিত হয়েছে বহুমাত্রিক সম্ভাবনার দ্বার। যোগাযোগ, শিল্পায়ন, পর্যটন, বিনিয়োগ, ব্যবসা-বাণিজ্যসহ সব ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তনের রেলগাড়ি ছুটবে এ পথ ধরে। সব মিলিয়ে ১৮ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পটি
১১ নভেম্বর ২০২৩
এক বছরের ব্যবধানে (অক্টোবর থেকে অক্টোবর) দেশের ব্যাংকগুলোর স্বল্পকালীন (কলমানি) ঋণ বিপুল হারে বেড়েছে। চলতি বছরের অক্টোবর পর্যন্ত কলমানি ঋণ প্রায় দ্বিগুণ বা ৬৩ হাজার ২৪৮ কোটি টাকা বেড়েছে। এর মধ্যে এক দিনের জন্য ওভারনাইট ধার বেড়েছে ৪৯ হাজার ৯৩২ কোটি টাকা আর আন্তব্যাংক রেপোতে ধার বেড়েছে ৫৮ হাজার ৭৫৩
১৩ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশে চলমান অর্থনৈতিক সংস্কারের লক্ষ্য পূরণে অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও নীতির ধারাবাহিকতা অপরিহার্য বলে মনে করছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঢাকা সফররত মিশন প্রতিনিধিদল। তারা আরও বলেছে, রাজস্ব আয় ও ব্যয়ের ভারসাম্য আনতে করনীতিকে উৎপাদনমুখী করা এবং সামাজিক খাতে বরাদ্দের কার্যকারিতা
১৩ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে প্রাথমিক লাইসেন্স লেটার অব ইনটেন্ট (এলওআই) পেল সংকটে থাকা পাঁচটি ইসলামী ব্যাংক একীভূত করে গঠিত হওয়া ‘সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক’। একই সঙ্গে ব্যাংকটির পরিচালনা বোর্ডের নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারেক।
১৩ ঘণ্টা আগে