টাঙ্গাইল প্রতিনিধি

টাঙ্গাইলের মধুপুরে সাবরেজিস্ট্রি অফিসে ঘুষ ছাড়া কোনো দলিল নিবন্ধন হয় না বলে অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগীরা বলছেন, মনঃপূত ঘুষ না দিলে জমির দলিল নিবন্ধন ছাড়াই ফিরে আসতে হয় ক্রেতা-বিক্রেতাদের। এ নিয়ে লিখিত অভিযোগও দেওয়া হয়েছে। গত মঙ্গলবার জেলা রেজিস্ট্রার ও দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) এ বিষয়ে লিখিত দেন আয়েজ উদ্দিন আজাদ নামের এক ব্যক্তি। তাঁর অভিযোগ, ৫০ হাজার টাকা ঘুষ না দেওয়ায় দলিল করা হয়নি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মধুপুর উপজেলা থেকে সরকারের রাজস্ব আয়ের সবচেয়ে বড় মাধ্যম সাবরেজিস্ট্রার অফিস। রাজস্ব আদায়ে সহযোগিতা করেন দেড় শতাধিক দলিল লেখক ও ভেন্ডর। দলিলের কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে রাজস্ব আদায় নিশ্চিত করে দলিল সম্পাদন করেন সাবরেজিস্ট্রার। অভিযোগ রয়েছে, মধুপুরের সাবরেজিস্ট্রার অঞ্জনা রানী দেবনাথ যোগদানের পর থেকেই তাঁর অধস্তন কর্মচারী, নকলনবিশ, দলিল লেখক, ভেন্ডররা তাঁর বেঁধে দেওয়া নিয়মেই দলিল নিবন্ধনের কার্যক্রম চালাতে বাধ্য হচ্ছেন। চলতি বছরের মে মাসে অঞ্জনা রানী দেবনাথ এখানে যোগদান করেন।
বিধি অনুসারে একটি জমির দলিল সম্পাদনের ক্ষেত্রে জমি বিক্রেতার স্বত্ব নিশ্চিত করার জন্য পরচা, খাজনা-খারিজ, এনআইডি ও ছবি অত্যাবশ্যকীয়। এসব কাগজপত্র সঠিক থাকলে সরকারি রেজিস্ট্রেশন ফি ১ হাজার ১০০ টাকা ও ইউনিয়ন পরিষদের ক্ষেত্রে দলিল মূল্যের সাড়ে ৭ ভাগ এবং পৌর এলাকায় সাড়ে ৯ ভাগ হারে কর জমা দিতে হয়। তারপরই একটি দলিল সুষ্ঠুভাবে সম্পাদিত হওয়ার কথা। তবে মধুপুরে এই বিধি অনুসরণে নানা ঘোরপ্যাঁচ অবলম্বন করা হয়। ফলে এতে ধাপে ধাপে টাকা (ঘুষ) দিতে হয় বলে অভিযোগ।
জমির ক্রেতা-বিক্রেতা, দলিল লেখক ও ভেন্ডররা বলছেন, এখানে দলিলসহ অন্যান্য কাগজপত্রের ফটোকপি হলে নির্ধারিত ফিসের বাইরে ন্যূনতম ৩ হাজার টাকা দিতে হয়। একই দাতার একাধিক দলিল হলে, হেবা দলিল, হেবার ঘোষণাপত্র, দানপত্র এবং জমি বিক্রেতার বাবা-মায়ের নামে পরচা হলে ২-৫ হাজার টাকা দিতে হয়। জমি বিক্রেতার দাদা, দাদি, নানা, নানির নামে পরচা থাকলে, নামের সঙ্গে যুক্ত অন্য নাম বা ডাকনাম থাকলে ৫-১০ হাজার টাকা গুনতে হয়। বণ্টননামা দলিল ও রেজিস্ট্রি বায়না এবং আয়কর বা টিন সার্টিফিকেট না থাকলে নির্ধারিত ৫ হাজার টাকা দিতে হয়। সাবরেজিস্ট্রার অঞ্জনা রানী দেবনাথের এই নিয়ম তিনি যোগদানের পরই চালু করেছেন। তবে তিনি নিজ হাতে কোনো টাকা নেন না। এই টাকা তাঁর হাতে পৌঁছায় দলিল লেখক বা নকলনবিশদের মাধ্যমে। ঘুষের টাকা না দিলে দলিল নিবন্ধন হয় না, এমন অভিযোগও রয়েছে অনেকের।
আয়েজ উদ্দিনের অভিযোগ, ২৮ সেপ্টেম্বর ৫৫ হাজার টাকা ঘুষ না দেওয়ায় এবং তাঁর অপর ৬ অংশীদার জমির দলিল করতে পারেননি। ৮১ বছর বয়স্ক জমি বিক্রেতা আব্দুল মজিদকে নিয়ে সাবরেজিস্ট্রার অফিসে টানা চার ঘণ্টা অপেক্ষা করে দলিল নিবন্ধন করতে ব্যর্থ হয়ে ফিরে এসেছেন তাঁরা। পরে তিনি ৩০ সেপ্টেম্বর টাঙ্গাইল জেলা রেজিস্ট্রার ও দুদকে অভিযোগ জমা দিয়েছেন।
আয়েজ উদ্দিন বলেন, ‘আমিসহ সাতজন অংশীদার মিলে মালাউড়ী গ্রামের আব্দুল মজিদের নিকট থেকে ছয় শতাংশ জমি ক্রয়ের জন্য ৩১ লাখ ৮০ হাজার টাকা নির্ধারণ করে নগদ ১ লাখ টাকা বায়না করি। আমরা জমি ক্রেতা সাতজন এবং বিক্রেতাসহ তাঁর সন্তানেরা মিলে ২৮ সেপ্টেম্বর রোববার জমির দলিল নিবন্ধন করতে যাই।’
আয়েজ উদ্দিন বলেন, ‘ভেন্ডর আব্দুস সামাদের সহযোগিতায় প্রয়োজনীয় সরকারি ফি ব্যাংকে জমা দিয়ে সাবরেজিস্ট্রারের কাছে দলিল নিবন্ধনের জন্য কাগজপত্র উপস্থাপন করি। জমি বিক্রেতা বার্ধক্যজনিত কারণে দোতলায় উঠতে পারেননি। তাই সাবরেজিস্ট্রার অঞ্জনা রানী দেবনাথ নিচে হুইল চেয়ারে বসা আব্দুল মজিদের সম্মতি নেওয়ার জন্য নকলনবিশ জসিম উদ্দিনকে পাঠান। জসিম উদ্দিন দলিলদাতা আব্দুল মজিদের সঙ্গে কথা বলেন। কিছুক্ষণ পরে ভেন্ডর মিরাজ আলী ও আব্দুস সামাদের মাধ্যমে আমাদের জানানো হয়, ৫০ হাজার টাকা দিলে দলিল হবে, অন্যথায় নয়। পরে আবার জানানো হয়, জমি ক্রেতাদের মধ্যে একজনের আয়কর সনদ নেই, তাই আরও ৫ হাজার টাকা দিতে হবে। ৫৫ হাজার টাকা দিলে দলিল হবে, অন্যথায় হবে না। পরে চার ঘণ্টা চেষ্টা ও অপেক্ষার পর আমরা জমির দলিল করতে ব্যর্থ হয়ে ফিরে আসি।’
ভেন্ডর মিরাজ আলী বলেন, ‘জমিদাতা আব্দুল মজিদ বৃদ্ধ মানুষ। ভালোভাবে কথা বলতে পারেন না। জমি বিক্রিতে তাঁর সম্মতি আছে কি না, বিষয়টি অস্পষ্ট। তাই সাবরেজিস্ট্রার ৫০ হাজার টাকা চাইছেন। বিষয়টি সামাদ ভেন্ডর জমির ক্রেতা আয়েজ উদ্দিন আজাদকে জানিয়েছিলেন। টাকা না দেওয়ায় তাঁর দলিল নিবন্ধন হয়নি। পরবর্তীকালে ব্যাংকে জমাকৃত ফিসের টাকাও তাঁদের ফেরত দেওয়া হয়েছে।’
এ ব্যাপারে মধুপুর সাবরেজিস্ট্রার অঞ্জনা রানী দেবনাথ বলেন, ‘আমি দলিল গ্রহণে কোনো প্রকার টাকা নিই না। যদি কেউ নিয়ে থাকেন, তাহলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব।’ আয়েজ উদ্দিনের অভিযোগের ব্যাপারে বলেন, ‘জমিদাতা খুবই বৃদ্ধ। আদালতের সম্মতি সাপেক্ষে তাঁর দলিল সম্পাদন করা সম্ভব হবে।’
টাঙ্গাইল জেলা রেজিস্ট্রার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘৫০ হাজার টাকা ঘুষ না দেওয়ায় দলিল করতে পারেনি, এমন অভিযোগ পেয়েছি। এ ব্যাপারে তদন্ত কমিটি করা হবে।’

টাঙ্গাইলের মধুপুরে সাবরেজিস্ট্রি অফিসে ঘুষ ছাড়া কোনো দলিল নিবন্ধন হয় না বলে অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগীরা বলছেন, মনঃপূত ঘুষ না দিলে জমির দলিল নিবন্ধন ছাড়াই ফিরে আসতে হয় ক্রেতা-বিক্রেতাদের। এ নিয়ে লিখিত অভিযোগও দেওয়া হয়েছে। গত মঙ্গলবার জেলা রেজিস্ট্রার ও দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) এ বিষয়ে লিখিত দেন আয়েজ উদ্দিন আজাদ নামের এক ব্যক্তি। তাঁর অভিযোগ, ৫০ হাজার টাকা ঘুষ না দেওয়ায় দলিল করা হয়নি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মধুপুর উপজেলা থেকে সরকারের রাজস্ব আয়ের সবচেয়ে বড় মাধ্যম সাবরেজিস্ট্রার অফিস। রাজস্ব আদায়ে সহযোগিতা করেন দেড় শতাধিক দলিল লেখক ও ভেন্ডর। দলিলের কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে রাজস্ব আদায় নিশ্চিত করে দলিল সম্পাদন করেন সাবরেজিস্ট্রার। অভিযোগ রয়েছে, মধুপুরের সাবরেজিস্ট্রার অঞ্জনা রানী দেবনাথ যোগদানের পর থেকেই তাঁর অধস্তন কর্মচারী, নকলনবিশ, দলিল লেখক, ভেন্ডররা তাঁর বেঁধে দেওয়া নিয়মেই দলিল নিবন্ধনের কার্যক্রম চালাতে বাধ্য হচ্ছেন। চলতি বছরের মে মাসে অঞ্জনা রানী দেবনাথ এখানে যোগদান করেন।
বিধি অনুসারে একটি জমির দলিল সম্পাদনের ক্ষেত্রে জমি বিক্রেতার স্বত্ব নিশ্চিত করার জন্য পরচা, খাজনা-খারিজ, এনআইডি ও ছবি অত্যাবশ্যকীয়। এসব কাগজপত্র সঠিক থাকলে সরকারি রেজিস্ট্রেশন ফি ১ হাজার ১০০ টাকা ও ইউনিয়ন পরিষদের ক্ষেত্রে দলিল মূল্যের সাড়ে ৭ ভাগ এবং পৌর এলাকায় সাড়ে ৯ ভাগ হারে কর জমা দিতে হয়। তারপরই একটি দলিল সুষ্ঠুভাবে সম্পাদিত হওয়ার কথা। তবে মধুপুরে এই বিধি অনুসরণে নানা ঘোরপ্যাঁচ অবলম্বন করা হয়। ফলে এতে ধাপে ধাপে টাকা (ঘুষ) দিতে হয় বলে অভিযোগ।
জমির ক্রেতা-বিক্রেতা, দলিল লেখক ও ভেন্ডররা বলছেন, এখানে দলিলসহ অন্যান্য কাগজপত্রের ফটোকপি হলে নির্ধারিত ফিসের বাইরে ন্যূনতম ৩ হাজার টাকা দিতে হয়। একই দাতার একাধিক দলিল হলে, হেবা দলিল, হেবার ঘোষণাপত্র, দানপত্র এবং জমি বিক্রেতার বাবা-মায়ের নামে পরচা হলে ২-৫ হাজার টাকা দিতে হয়। জমি বিক্রেতার দাদা, দাদি, নানা, নানির নামে পরচা থাকলে, নামের সঙ্গে যুক্ত অন্য নাম বা ডাকনাম থাকলে ৫-১০ হাজার টাকা গুনতে হয়। বণ্টননামা দলিল ও রেজিস্ট্রি বায়না এবং আয়কর বা টিন সার্টিফিকেট না থাকলে নির্ধারিত ৫ হাজার টাকা দিতে হয়। সাবরেজিস্ট্রার অঞ্জনা রানী দেবনাথের এই নিয়ম তিনি যোগদানের পরই চালু করেছেন। তবে তিনি নিজ হাতে কোনো টাকা নেন না। এই টাকা তাঁর হাতে পৌঁছায় দলিল লেখক বা নকলনবিশদের মাধ্যমে। ঘুষের টাকা না দিলে দলিল নিবন্ধন হয় না, এমন অভিযোগও রয়েছে অনেকের।
আয়েজ উদ্দিনের অভিযোগ, ২৮ সেপ্টেম্বর ৫৫ হাজার টাকা ঘুষ না দেওয়ায় এবং তাঁর অপর ৬ অংশীদার জমির দলিল করতে পারেননি। ৮১ বছর বয়স্ক জমি বিক্রেতা আব্দুল মজিদকে নিয়ে সাবরেজিস্ট্রার অফিসে টানা চার ঘণ্টা অপেক্ষা করে দলিল নিবন্ধন করতে ব্যর্থ হয়ে ফিরে এসেছেন তাঁরা। পরে তিনি ৩০ সেপ্টেম্বর টাঙ্গাইল জেলা রেজিস্ট্রার ও দুদকে অভিযোগ জমা দিয়েছেন।
আয়েজ উদ্দিন বলেন, ‘আমিসহ সাতজন অংশীদার মিলে মালাউড়ী গ্রামের আব্দুল মজিদের নিকট থেকে ছয় শতাংশ জমি ক্রয়ের জন্য ৩১ লাখ ৮০ হাজার টাকা নির্ধারণ করে নগদ ১ লাখ টাকা বায়না করি। আমরা জমি ক্রেতা সাতজন এবং বিক্রেতাসহ তাঁর সন্তানেরা মিলে ২৮ সেপ্টেম্বর রোববার জমির দলিল নিবন্ধন করতে যাই।’
আয়েজ উদ্দিন বলেন, ‘ভেন্ডর আব্দুস সামাদের সহযোগিতায় প্রয়োজনীয় সরকারি ফি ব্যাংকে জমা দিয়ে সাবরেজিস্ট্রারের কাছে দলিল নিবন্ধনের জন্য কাগজপত্র উপস্থাপন করি। জমি বিক্রেতা বার্ধক্যজনিত কারণে দোতলায় উঠতে পারেননি। তাই সাবরেজিস্ট্রার অঞ্জনা রানী দেবনাথ নিচে হুইল চেয়ারে বসা আব্দুল মজিদের সম্মতি নেওয়ার জন্য নকলনবিশ জসিম উদ্দিনকে পাঠান। জসিম উদ্দিন দলিলদাতা আব্দুল মজিদের সঙ্গে কথা বলেন। কিছুক্ষণ পরে ভেন্ডর মিরাজ আলী ও আব্দুস সামাদের মাধ্যমে আমাদের জানানো হয়, ৫০ হাজার টাকা দিলে দলিল হবে, অন্যথায় নয়। পরে আবার জানানো হয়, জমি ক্রেতাদের মধ্যে একজনের আয়কর সনদ নেই, তাই আরও ৫ হাজার টাকা দিতে হবে। ৫৫ হাজার টাকা দিলে দলিল হবে, অন্যথায় হবে না। পরে চার ঘণ্টা চেষ্টা ও অপেক্ষার পর আমরা জমির দলিল করতে ব্যর্থ হয়ে ফিরে আসি।’
ভেন্ডর মিরাজ আলী বলেন, ‘জমিদাতা আব্দুল মজিদ বৃদ্ধ মানুষ। ভালোভাবে কথা বলতে পারেন না। জমি বিক্রিতে তাঁর সম্মতি আছে কি না, বিষয়টি অস্পষ্ট। তাই সাবরেজিস্ট্রার ৫০ হাজার টাকা চাইছেন। বিষয়টি সামাদ ভেন্ডর জমির ক্রেতা আয়েজ উদ্দিন আজাদকে জানিয়েছিলেন। টাকা না দেওয়ায় তাঁর দলিল নিবন্ধন হয়নি। পরবর্তীকালে ব্যাংকে জমাকৃত ফিসের টাকাও তাঁদের ফেরত দেওয়া হয়েছে।’
এ ব্যাপারে মধুপুর সাবরেজিস্ট্রার অঞ্জনা রানী দেবনাথ বলেন, ‘আমি দলিল গ্রহণে কোনো প্রকার টাকা নিই না। যদি কেউ নিয়ে থাকেন, তাহলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব।’ আয়েজ উদ্দিনের অভিযোগের ব্যাপারে বলেন, ‘জমিদাতা খুবই বৃদ্ধ। আদালতের সম্মতি সাপেক্ষে তাঁর দলিল সম্পাদন করা সম্ভব হবে।’
টাঙ্গাইল জেলা রেজিস্ট্রার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘৫০ হাজার টাকা ঘুষ না দেওয়ায় দলিল করতে পারেনি, এমন অভিযোগ পেয়েছি। এ ব্যাপারে তদন্ত কমিটি করা হবে।’
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি

টাঙ্গাইলের মধুপুরে সাবরেজিস্ট্রি অফিসে ঘুষ ছাড়া কোনো দলিল নিবন্ধন হয় না বলে অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগীরা বলছেন, মনঃপূত ঘুষ না দিলে জমির দলিল নিবন্ধন ছাড়াই ফিরে আসতে হয় ক্রেতা-বিক্রেতাদের। এ নিয়ে লিখিত অভিযোগও দেওয়া হয়েছে। গত মঙ্গলবার জেলা রেজিস্ট্রার ও দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) এ বিষয়ে লিখিত দেন আয়েজ উদ্দিন আজাদ নামের এক ব্যক্তি। তাঁর অভিযোগ, ৫০ হাজার টাকা ঘুষ না দেওয়ায় দলিল করা হয়নি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মধুপুর উপজেলা থেকে সরকারের রাজস্ব আয়ের সবচেয়ে বড় মাধ্যম সাবরেজিস্ট্রার অফিস। রাজস্ব আদায়ে সহযোগিতা করেন দেড় শতাধিক দলিল লেখক ও ভেন্ডর। দলিলের কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে রাজস্ব আদায় নিশ্চিত করে দলিল সম্পাদন করেন সাবরেজিস্ট্রার। অভিযোগ রয়েছে, মধুপুরের সাবরেজিস্ট্রার অঞ্জনা রানী দেবনাথ যোগদানের পর থেকেই তাঁর অধস্তন কর্মচারী, নকলনবিশ, দলিল লেখক, ভেন্ডররা তাঁর বেঁধে দেওয়া নিয়মেই দলিল নিবন্ধনের কার্যক্রম চালাতে বাধ্য হচ্ছেন। চলতি বছরের মে মাসে অঞ্জনা রানী দেবনাথ এখানে যোগদান করেন।
বিধি অনুসারে একটি জমির দলিল সম্পাদনের ক্ষেত্রে জমি বিক্রেতার স্বত্ব নিশ্চিত করার জন্য পরচা, খাজনা-খারিজ, এনআইডি ও ছবি অত্যাবশ্যকীয়। এসব কাগজপত্র সঠিক থাকলে সরকারি রেজিস্ট্রেশন ফি ১ হাজার ১০০ টাকা ও ইউনিয়ন পরিষদের ক্ষেত্রে দলিল মূল্যের সাড়ে ৭ ভাগ এবং পৌর এলাকায় সাড়ে ৯ ভাগ হারে কর জমা দিতে হয়। তারপরই একটি দলিল সুষ্ঠুভাবে সম্পাদিত হওয়ার কথা। তবে মধুপুরে এই বিধি অনুসরণে নানা ঘোরপ্যাঁচ অবলম্বন করা হয়। ফলে এতে ধাপে ধাপে টাকা (ঘুষ) দিতে হয় বলে অভিযোগ।
জমির ক্রেতা-বিক্রেতা, দলিল লেখক ও ভেন্ডররা বলছেন, এখানে দলিলসহ অন্যান্য কাগজপত্রের ফটোকপি হলে নির্ধারিত ফিসের বাইরে ন্যূনতম ৩ হাজার টাকা দিতে হয়। একই দাতার একাধিক দলিল হলে, হেবা দলিল, হেবার ঘোষণাপত্র, দানপত্র এবং জমি বিক্রেতার বাবা-মায়ের নামে পরচা হলে ২-৫ হাজার টাকা দিতে হয়। জমি বিক্রেতার দাদা, দাদি, নানা, নানির নামে পরচা থাকলে, নামের সঙ্গে যুক্ত অন্য নাম বা ডাকনাম থাকলে ৫-১০ হাজার টাকা গুনতে হয়। বণ্টননামা দলিল ও রেজিস্ট্রি বায়না এবং আয়কর বা টিন সার্টিফিকেট না থাকলে নির্ধারিত ৫ হাজার টাকা দিতে হয়। সাবরেজিস্ট্রার অঞ্জনা রানী দেবনাথের এই নিয়ম তিনি যোগদানের পরই চালু করেছেন। তবে তিনি নিজ হাতে কোনো টাকা নেন না। এই টাকা তাঁর হাতে পৌঁছায় দলিল লেখক বা নকলনবিশদের মাধ্যমে। ঘুষের টাকা না দিলে দলিল নিবন্ধন হয় না, এমন অভিযোগও রয়েছে অনেকের।
আয়েজ উদ্দিনের অভিযোগ, ২৮ সেপ্টেম্বর ৫৫ হাজার টাকা ঘুষ না দেওয়ায় এবং তাঁর অপর ৬ অংশীদার জমির দলিল করতে পারেননি। ৮১ বছর বয়স্ক জমি বিক্রেতা আব্দুল মজিদকে নিয়ে সাবরেজিস্ট্রার অফিসে টানা চার ঘণ্টা অপেক্ষা করে দলিল নিবন্ধন করতে ব্যর্থ হয়ে ফিরে এসেছেন তাঁরা। পরে তিনি ৩০ সেপ্টেম্বর টাঙ্গাইল জেলা রেজিস্ট্রার ও দুদকে অভিযোগ জমা দিয়েছেন।
আয়েজ উদ্দিন বলেন, ‘আমিসহ সাতজন অংশীদার মিলে মালাউড়ী গ্রামের আব্দুল মজিদের নিকট থেকে ছয় শতাংশ জমি ক্রয়ের জন্য ৩১ লাখ ৮০ হাজার টাকা নির্ধারণ করে নগদ ১ লাখ টাকা বায়না করি। আমরা জমি ক্রেতা সাতজন এবং বিক্রেতাসহ তাঁর সন্তানেরা মিলে ২৮ সেপ্টেম্বর রোববার জমির দলিল নিবন্ধন করতে যাই।’
আয়েজ উদ্দিন বলেন, ‘ভেন্ডর আব্দুস সামাদের সহযোগিতায় প্রয়োজনীয় সরকারি ফি ব্যাংকে জমা দিয়ে সাবরেজিস্ট্রারের কাছে দলিল নিবন্ধনের জন্য কাগজপত্র উপস্থাপন করি। জমি বিক্রেতা বার্ধক্যজনিত কারণে দোতলায় উঠতে পারেননি। তাই সাবরেজিস্ট্রার অঞ্জনা রানী দেবনাথ নিচে হুইল চেয়ারে বসা আব্দুল মজিদের সম্মতি নেওয়ার জন্য নকলনবিশ জসিম উদ্দিনকে পাঠান। জসিম উদ্দিন দলিলদাতা আব্দুল মজিদের সঙ্গে কথা বলেন। কিছুক্ষণ পরে ভেন্ডর মিরাজ আলী ও আব্দুস সামাদের মাধ্যমে আমাদের জানানো হয়, ৫০ হাজার টাকা দিলে দলিল হবে, অন্যথায় নয়। পরে আবার জানানো হয়, জমি ক্রেতাদের মধ্যে একজনের আয়কর সনদ নেই, তাই আরও ৫ হাজার টাকা দিতে হবে। ৫৫ হাজার টাকা দিলে দলিল হবে, অন্যথায় হবে না। পরে চার ঘণ্টা চেষ্টা ও অপেক্ষার পর আমরা জমির দলিল করতে ব্যর্থ হয়ে ফিরে আসি।’
ভেন্ডর মিরাজ আলী বলেন, ‘জমিদাতা আব্দুল মজিদ বৃদ্ধ মানুষ। ভালোভাবে কথা বলতে পারেন না। জমি বিক্রিতে তাঁর সম্মতি আছে কি না, বিষয়টি অস্পষ্ট। তাই সাবরেজিস্ট্রার ৫০ হাজার টাকা চাইছেন। বিষয়টি সামাদ ভেন্ডর জমির ক্রেতা আয়েজ উদ্দিন আজাদকে জানিয়েছিলেন। টাকা না দেওয়ায় তাঁর দলিল নিবন্ধন হয়নি। পরবর্তীকালে ব্যাংকে জমাকৃত ফিসের টাকাও তাঁদের ফেরত দেওয়া হয়েছে।’
এ ব্যাপারে মধুপুর সাবরেজিস্ট্রার অঞ্জনা রানী দেবনাথ বলেন, ‘আমি দলিল গ্রহণে কোনো প্রকার টাকা নিই না। যদি কেউ নিয়ে থাকেন, তাহলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব।’ আয়েজ উদ্দিনের অভিযোগের ব্যাপারে বলেন, ‘জমিদাতা খুবই বৃদ্ধ। আদালতের সম্মতি সাপেক্ষে তাঁর দলিল সম্পাদন করা সম্ভব হবে।’
টাঙ্গাইল জেলা রেজিস্ট্রার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘৫০ হাজার টাকা ঘুষ না দেওয়ায় দলিল করতে পারেনি, এমন অভিযোগ পেয়েছি। এ ব্যাপারে তদন্ত কমিটি করা হবে।’

টাঙ্গাইলের মধুপুরে সাবরেজিস্ট্রি অফিসে ঘুষ ছাড়া কোনো দলিল নিবন্ধন হয় না বলে অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগীরা বলছেন, মনঃপূত ঘুষ না দিলে জমির দলিল নিবন্ধন ছাড়াই ফিরে আসতে হয় ক্রেতা-বিক্রেতাদের। এ নিয়ে লিখিত অভিযোগও দেওয়া হয়েছে। গত মঙ্গলবার জেলা রেজিস্ট্রার ও দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) এ বিষয়ে লিখিত দেন আয়েজ উদ্দিন আজাদ নামের এক ব্যক্তি। তাঁর অভিযোগ, ৫০ হাজার টাকা ঘুষ না দেওয়ায় দলিল করা হয়নি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মধুপুর উপজেলা থেকে সরকারের রাজস্ব আয়ের সবচেয়ে বড় মাধ্যম সাবরেজিস্ট্রার অফিস। রাজস্ব আদায়ে সহযোগিতা করেন দেড় শতাধিক দলিল লেখক ও ভেন্ডর। দলিলের কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে রাজস্ব আদায় নিশ্চিত করে দলিল সম্পাদন করেন সাবরেজিস্ট্রার। অভিযোগ রয়েছে, মধুপুরের সাবরেজিস্ট্রার অঞ্জনা রানী দেবনাথ যোগদানের পর থেকেই তাঁর অধস্তন কর্মচারী, নকলনবিশ, দলিল লেখক, ভেন্ডররা তাঁর বেঁধে দেওয়া নিয়মেই দলিল নিবন্ধনের কার্যক্রম চালাতে বাধ্য হচ্ছেন। চলতি বছরের মে মাসে অঞ্জনা রানী দেবনাথ এখানে যোগদান করেন।
বিধি অনুসারে একটি জমির দলিল সম্পাদনের ক্ষেত্রে জমি বিক্রেতার স্বত্ব নিশ্চিত করার জন্য পরচা, খাজনা-খারিজ, এনআইডি ও ছবি অত্যাবশ্যকীয়। এসব কাগজপত্র সঠিক থাকলে সরকারি রেজিস্ট্রেশন ফি ১ হাজার ১০০ টাকা ও ইউনিয়ন পরিষদের ক্ষেত্রে দলিল মূল্যের সাড়ে ৭ ভাগ এবং পৌর এলাকায় সাড়ে ৯ ভাগ হারে কর জমা দিতে হয়। তারপরই একটি দলিল সুষ্ঠুভাবে সম্পাদিত হওয়ার কথা। তবে মধুপুরে এই বিধি অনুসরণে নানা ঘোরপ্যাঁচ অবলম্বন করা হয়। ফলে এতে ধাপে ধাপে টাকা (ঘুষ) দিতে হয় বলে অভিযোগ।
জমির ক্রেতা-বিক্রেতা, দলিল লেখক ও ভেন্ডররা বলছেন, এখানে দলিলসহ অন্যান্য কাগজপত্রের ফটোকপি হলে নির্ধারিত ফিসের বাইরে ন্যূনতম ৩ হাজার টাকা দিতে হয়। একই দাতার একাধিক দলিল হলে, হেবা দলিল, হেবার ঘোষণাপত্র, দানপত্র এবং জমি বিক্রেতার বাবা-মায়ের নামে পরচা হলে ২-৫ হাজার টাকা দিতে হয়। জমি বিক্রেতার দাদা, দাদি, নানা, নানির নামে পরচা থাকলে, নামের সঙ্গে যুক্ত অন্য নাম বা ডাকনাম থাকলে ৫-১০ হাজার টাকা গুনতে হয়। বণ্টননামা দলিল ও রেজিস্ট্রি বায়না এবং আয়কর বা টিন সার্টিফিকেট না থাকলে নির্ধারিত ৫ হাজার টাকা দিতে হয়। সাবরেজিস্ট্রার অঞ্জনা রানী দেবনাথের এই নিয়ম তিনি যোগদানের পরই চালু করেছেন। তবে তিনি নিজ হাতে কোনো টাকা নেন না। এই টাকা তাঁর হাতে পৌঁছায় দলিল লেখক বা নকলনবিশদের মাধ্যমে। ঘুষের টাকা না দিলে দলিল নিবন্ধন হয় না, এমন অভিযোগও রয়েছে অনেকের।
আয়েজ উদ্দিনের অভিযোগ, ২৮ সেপ্টেম্বর ৫৫ হাজার টাকা ঘুষ না দেওয়ায় এবং তাঁর অপর ৬ অংশীদার জমির দলিল করতে পারেননি। ৮১ বছর বয়স্ক জমি বিক্রেতা আব্দুল মজিদকে নিয়ে সাবরেজিস্ট্রার অফিসে টানা চার ঘণ্টা অপেক্ষা করে দলিল নিবন্ধন করতে ব্যর্থ হয়ে ফিরে এসেছেন তাঁরা। পরে তিনি ৩০ সেপ্টেম্বর টাঙ্গাইল জেলা রেজিস্ট্রার ও দুদকে অভিযোগ জমা দিয়েছেন।
আয়েজ উদ্দিন বলেন, ‘আমিসহ সাতজন অংশীদার মিলে মালাউড়ী গ্রামের আব্দুল মজিদের নিকট থেকে ছয় শতাংশ জমি ক্রয়ের জন্য ৩১ লাখ ৮০ হাজার টাকা নির্ধারণ করে নগদ ১ লাখ টাকা বায়না করি। আমরা জমি ক্রেতা সাতজন এবং বিক্রেতাসহ তাঁর সন্তানেরা মিলে ২৮ সেপ্টেম্বর রোববার জমির দলিল নিবন্ধন করতে যাই।’
আয়েজ উদ্দিন বলেন, ‘ভেন্ডর আব্দুস সামাদের সহযোগিতায় প্রয়োজনীয় সরকারি ফি ব্যাংকে জমা দিয়ে সাবরেজিস্ট্রারের কাছে দলিল নিবন্ধনের জন্য কাগজপত্র উপস্থাপন করি। জমি বিক্রেতা বার্ধক্যজনিত কারণে দোতলায় উঠতে পারেননি। তাই সাবরেজিস্ট্রার অঞ্জনা রানী দেবনাথ নিচে হুইল চেয়ারে বসা আব্দুল মজিদের সম্মতি নেওয়ার জন্য নকলনবিশ জসিম উদ্দিনকে পাঠান। জসিম উদ্দিন দলিলদাতা আব্দুল মজিদের সঙ্গে কথা বলেন। কিছুক্ষণ পরে ভেন্ডর মিরাজ আলী ও আব্দুস সামাদের মাধ্যমে আমাদের জানানো হয়, ৫০ হাজার টাকা দিলে দলিল হবে, অন্যথায় নয়। পরে আবার জানানো হয়, জমি ক্রেতাদের মধ্যে একজনের আয়কর সনদ নেই, তাই আরও ৫ হাজার টাকা দিতে হবে। ৫৫ হাজার টাকা দিলে দলিল হবে, অন্যথায় হবে না। পরে চার ঘণ্টা চেষ্টা ও অপেক্ষার পর আমরা জমির দলিল করতে ব্যর্থ হয়ে ফিরে আসি।’
ভেন্ডর মিরাজ আলী বলেন, ‘জমিদাতা আব্দুল মজিদ বৃদ্ধ মানুষ। ভালোভাবে কথা বলতে পারেন না। জমি বিক্রিতে তাঁর সম্মতি আছে কি না, বিষয়টি অস্পষ্ট। তাই সাবরেজিস্ট্রার ৫০ হাজার টাকা চাইছেন। বিষয়টি সামাদ ভেন্ডর জমির ক্রেতা আয়েজ উদ্দিন আজাদকে জানিয়েছিলেন। টাকা না দেওয়ায় তাঁর দলিল নিবন্ধন হয়নি। পরবর্তীকালে ব্যাংকে জমাকৃত ফিসের টাকাও তাঁদের ফেরত দেওয়া হয়েছে।’
এ ব্যাপারে মধুপুর সাবরেজিস্ট্রার অঞ্জনা রানী দেবনাথ বলেন, ‘আমি দলিল গ্রহণে কোনো প্রকার টাকা নিই না। যদি কেউ নিয়ে থাকেন, তাহলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব।’ আয়েজ উদ্দিনের অভিযোগের ব্যাপারে বলেন, ‘জমিদাতা খুবই বৃদ্ধ। আদালতের সম্মতি সাপেক্ষে তাঁর দলিল সম্পাদন করা সম্ভব হবে।’
টাঙ্গাইল জেলা রেজিস্ট্রার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘৫০ হাজার টাকা ঘুষ না দেওয়ায় দলিল করতে পারেনি, এমন অভিযোগ পেয়েছি। এ ব্যাপারে তদন্ত কমিটি করা হবে।’

আল-আমিনের বাবা আব্দুর রাজ্জাক জানান, ডাকাতদের হাতে দা, চায়নিজ কুড়াল ও আগ্নেয়াস্ত্র (শটগান) ছিল। ডাকাতি শেষে ডাকাত দলটি পুনরায় নৌপথে ট্রলারযোগে পালিয়ে যায়।
৭ মিনিট আগে
মেহেরপুরের গাংনীতে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে রাকেশ আহমেদ নামের একজন নিহত হয়েছে। এই ঘটনায় আহত হয়েছে আরও দুজন। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার বামন্দী বাসস্ট্যান্ডে এই ঘটনা ঘটে। নিহত রাকেশ আহমেদ উপজেলার তেরাইল গ্রামের মো. কামরুল ইসলামের ছেলে।
১৯ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসন থেকে সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর সশস্ত্র হামলার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিরা যাতে দেশ ছেড়ে পালাতে না পারে, সে জন্য পঞ্চগড় সীমান্ত এলাকায় বিশেষ টহল ও তল্লাশি জোরদার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
১ ঘণ্টা আগে
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে যমুনা নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় পাঁচজনকে জরিমানা করা হয়েছে। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার যমুনা নদীতে এই অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহবুব হাসান।
১ ঘণ্টা আগেমুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি

মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ও আগ্নেয়াস্ত্রের মুখে জিম্মি করে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকাসহ প্রায় ৫০ লাখ টাকার মালপত্র লুটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার দিবাগত রাত ২টা থেকে ৩টার মধ্যে উপজেলার বালুচর ইউনিয়নের চান্দেরচর গ্রামের কুয়েতপ্রবাসী মো. আল-আমিনের ডুপ্লেক্স বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। নৌপথে ট্রলারযোগে এসে ১২-১৫ জন মুখোশ পরা ডাকাত এই ডাকাতি করে।
ভুক্তভোগী পরিবার জানায়, কুয়েত থেকে দেশে ফেরার মাত্র পাঁচ দিনের মাথায় ডাকাতির কবলে পড়েন মো. আল-আমিন। ডাকাতেরা ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্র প্রদর্শন করে এবং একাধিক ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পরিবারের সদস্যদের আতঙ্কিত করে তোলে। এ সময় তারা আনুমানিক ২৬ ভরি স্বর্ণালংকার, নগদ প্রায় ৫ লাখ টাকা, কুয়েতি মুদ্রা প্রায় ১০০ দিনার এবং দুটি মোবাইল ফোন লুট করে নেয়। লুট হওয়া মালপত্রের আনুমানিক মূল্য প্রায় ৫০ লাখ টাকা বলে দাবি করেছেন ভুক্তভোগীরা।
আল-আমিনের বাবা আব্দুর রাজ্জাক জানান, ডাকাতদের হাতে দা, চায়নিজ কুড়াল ও আগ্নেয়াস্ত্র (শটগান) ছিল। ডাকাতি শেষে ডাকাত দলটি পুনরায় নৌপথে ট্রলারযোগে পালিয়ে যায়।
এই ঘটনায় বাড়ির সিসিটিভি ফুটেজ উদ্ধার করা হয়েছে। ফুটেজে ১০-১৫ জনের একটি সশস্ত্র ডাকাত দলকে বাড়িতে প্রবেশ করতে দেখা গেছে।

সিরাজদিখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আ. হান্নান বলেন, ‘ডাকাতির খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত রয়েছি। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও অন্য কর্মকর্তারাও ঘটনাস্থলে রয়েছেন। এই ঘটনায় আমরা তদন্ত শুরু করেছি। আশা করছি, দ্রুত সময়ের মধ্যে ডাকাতদের শনাক্ত করতে পারব। তবে এখন পর্যন্ত এই ঘটনায় কোনো লিখিত অভিযোগ বা মামলা হয়নি।’

মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ও আগ্নেয়াস্ত্রের মুখে জিম্মি করে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকাসহ প্রায় ৫০ লাখ টাকার মালপত্র লুটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার দিবাগত রাত ২টা থেকে ৩টার মধ্যে উপজেলার বালুচর ইউনিয়নের চান্দেরচর গ্রামের কুয়েতপ্রবাসী মো. আল-আমিনের ডুপ্লেক্স বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। নৌপথে ট্রলারযোগে এসে ১২-১৫ জন মুখোশ পরা ডাকাত এই ডাকাতি করে।
ভুক্তভোগী পরিবার জানায়, কুয়েত থেকে দেশে ফেরার মাত্র পাঁচ দিনের মাথায় ডাকাতির কবলে পড়েন মো. আল-আমিন। ডাকাতেরা ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্র প্রদর্শন করে এবং একাধিক ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পরিবারের সদস্যদের আতঙ্কিত করে তোলে। এ সময় তারা আনুমানিক ২৬ ভরি স্বর্ণালংকার, নগদ প্রায় ৫ লাখ টাকা, কুয়েতি মুদ্রা প্রায় ১০০ দিনার এবং দুটি মোবাইল ফোন লুট করে নেয়। লুট হওয়া মালপত্রের আনুমানিক মূল্য প্রায় ৫০ লাখ টাকা বলে দাবি করেছেন ভুক্তভোগীরা।
আল-আমিনের বাবা আব্দুর রাজ্জাক জানান, ডাকাতদের হাতে দা, চায়নিজ কুড়াল ও আগ্নেয়াস্ত্র (শটগান) ছিল। ডাকাতি শেষে ডাকাত দলটি পুনরায় নৌপথে ট্রলারযোগে পালিয়ে যায়।
এই ঘটনায় বাড়ির সিসিটিভি ফুটেজ উদ্ধার করা হয়েছে। ফুটেজে ১০-১৫ জনের একটি সশস্ত্র ডাকাত দলকে বাড়িতে প্রবেশ করতে দেখা গেছে।

সিরাজদিখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আ. হান্নান বলেন, ‘ডাকাতির খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত রয়েছি। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও অন্য কর্মকর্তারাও ঘটনাস্থলে রয়েছেন। এই ঘটনায় আমরা তদন্ত শুরু করেছি। আশা করছি, দ্রুত সময়ের মধ্যে ডাকাতদের শনাক্ত করতে পারব। তবে এখন পর্যন্ত এই ঘটনায় কোনো লিখিত অভিযোগ বা মামলা হয়নি।’

টাঙ্গাইলের মধুপুরে সাবরেজিস্ট্রি অফিসে ঘুষ ছাড়া কোনো দলিল নিবন্ধন হয় না বলে অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগীরা বলছেন, মনঃপূত ঘুষ না দিলে জমির দলিল নিবন্ধন ছাড়াই ফিরে আসতে হয় ক্রেতা-বিক্রেতাদের। এ নিয়ে লিখিত অভিযোগও দেওয়া হয়েছে। গত মঙ্গলবার জেলা রেজিস্ট্রার ও দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) এ বিষয়ে লিখিত...
০২ অক্টোবর ২০২৫
মেহেরপুরের গাংনীতে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে রাকেশ আহমেদ নামের একজন নিহত হয়েছে। এই ঘটনায় আহত হয়েছে আরও দুজন। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার বামন্দী বাসস্ট্যান্ডে এই ঘটনা ঘটে। নিহত রাকেশ আহমেদ উপজেলার তেরাইল গ্রামের মো. কামরুল ইসলামের ছেলে।
১৯ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসন থেকে সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর সশস্ত্র হামলার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিরা যাতে দেশ ছেড়ে পালাতে না পারে, সে জন্য পঞ্চগড় সীমান্ত এলাকায় বিশেষ টহল ও তল্লাশি জোরদার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
১ ঘণ্টা আগে
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে যমুনা নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় পাঁচজনকে জরিমানা করা হয়েছে। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার যমুনা নদীতে এই অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহবুব হাসান।
১ ঘণ্টা আগেগাংনী (মেহেরপুর) প্রতিনিধি

মেহেরপুরের গাংনীতে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে রাকেশ আহমেদ নামের একজন নিহত হয়েছে। এই ঘটনায় আহত হয়েছে আরও দুজন।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার বামন্দী বাসস্ট্যান্ডে এই ঘটনা ঘটে। নিহত রাকেশ আহমেদ উপজেলার তেরাইল গ্রামের মো. কামরুল ইসলামের ছেলে। সে স্থানীয় বামন্দী নিশিপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির ছাত্র ছিল।
আহত ব্যক্তিরা হলো মেহেরপুর মল্লিকপাড়ার আব্দুল বাকির ছেলে অভিক আহমেদ (২৮) ও বামন্দী মিনকুল ইসলামের ছেলে শয়ন আলী (১৬)।
প্রত্যক্ষদর্শী হাসেম আলী বলেন, দুটি মোটরসাইকেল বামন্দী বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছালে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক একজনকে মৃত ঘোষণা করেন। অন্যজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর কর হয়। একজন স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে।
বামন্দী সেন্ট্রাল হাসপাতালের চিকিৎসক মাহফুজুর রহমান বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হওয়া রাকেশ আহমেদ নামের একজন মারা গেছে। হাসপাতালে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। আহত একজনকে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। আরেকজন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উত্তম কুমার দাস বলেন, দুর্ঘটনার সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।

মেহেরপুরের গাংনীতে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে রাকেশ আহমেদ নামের একজন নিহত হয়েছে। এই ঘটনায় আহত হয়েছে আরও দুজন।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার বামন্দী বাসস্ট্যান্ডে এই ঘটনা ঘটে। নিহত রাকেশ আহমেদ উপজেলার তেরাইল গ্রামের মো. কামরুল ইসলামের ছেলে। সে স্থানীয় বামন্দী নিশিপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির ছাত্র ছিল।
আহত ব্যক্তিরা হলো মেহেরপুর মল্লিকপাড়ার আব্দুল বাকির ছেলে অভিক আহমেদ (২৮) ও বামন্দী মিনকুল ইসলামের ছেলে শয়ন আলী (১৬)।
প্রত্যক্ষদর্শী হাসেম আলী বলেন, দুটি মোটরসাইকেল বামন্দী বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছালে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক একজনকে মৃত ঘোষণা করেন। অন্যজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর কর হয়। একজন স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে।
বামন্দী সেন্ট্রাল হাসপাতালের চিকিৎসক মাহফুজুর রহমান বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হওয়া রাকেশ আহমেদ নামের একজন মারা গেছে। হাসপাতালে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। আহত একজনকে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। আরেকজন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উত্তম কুমার দাস বলেন, দুর্ঘটনার সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।

টাঙ্গাইলের মধুপুরে সাবরেজিস্ট্রি অফিসে ঘুষ ছাড়া কোনো দলিল নিবন্ধন হয় না বলে অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগীরা বলছেন, মনঃপূত ঘুষ না দিলে জমির দলিল নিবন্ধন ছাড়াই ফিরে আসতে হয় ক্রেতা-বিক্রেতাদের। এ নিয়ে লিখিত অভিযোগও দেওয়া হয়েছে। গত মঙ্গলবার জেলা রেজিস্ট্রার ও দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) এ বিষয়ে লিখিত...
০২ অক্টোবর ২০২৫
আল-আমিনের বাবা আব্দুর রাজ্জাক জানান, ডাকাতদের হাতে দা, চায়নিজ কুড়াল ও আগ্নেয়াস্ত্র (শটগান) ছিল। ডাকাতি শেষে ডাকাত দলটি পুনরায় নৌপথে ট্রলারযোগে পালিয়ে যায়।
৭ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসন থেকে সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর সশস্ত্র হামলার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিরা যাতে দেশ ছেড়ে পালাতে না পারে, সে জন্য পঞ্চগড় সীমান্ত এলাকায় বিশেষ টহল ও তল্লাশি জোরদার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
১ ঘণ্টা আগে
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে যমুনা নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় পাঁচজনকে জরিমানা করা হয়েছে। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার যমুনা নদীতে এই অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহবুব হাসান।
১ ঘণ্টা আগেপঞ্চগড় প্রতিনিধি

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসন থেকে সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর সশস্ত্র হামলার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিরা যাতে দেশ ছেড়ে পালাতে না পারে, সে জন্য পঞ্চগড় সীমান্ত এলাকায় বিশেষ টহল ও তল্লাশি জোরদার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
বিজিবি সূত্র জানায়, সীমান্ত এলাকায় নিজস্ব গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। ব্যাটালিয়ন সদর ও বিওপির নিয়মিত টহলের পাশাপাশি বিশেষ টহল দল মোতায়েন করে সীমান্তবর্তী গুরুত্বপূর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলোতে তল্লাশি কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। বিশেষ টহলের অংশ হিসেবে সীমান্ত এলাকায় চলাচলকারী যানবাহন ও সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের তল্লাশি অব্যাহত রয়েছে।
এ ছাড়া ব্যাটালিয়নের অধীন বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে (আইসিপি) নজরদারি আরও জোরদার করা হয়েছে। আইসিপি দিয়ে যাতায়াতকারী যানবাহন ও যাত্রীদের নিবিড়ভাবে তল্লাশি করা হচ্ছে। পাশাপাশি কে-৯ ইউনিটের (ডগ স্কোয়াড) মাধ্যমে বিশেষ তল্লাশি কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।

পঞ্চগড় ১৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ কায়েস বলেন, ‘আমাদের দায়িত্বপূর্ণ এলাকা দিয়ে কোনো সন্দেহভাজন ব্যক্তি যাতে পার্শ্ববর্তী দেশে পালাতে না পারে, সে বিষয়ে বিজিবি সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানোর পাশাপাশি সীমান্ত নিরাপত্তাও জোরদার করা হয়েছে।’

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসন থেকে সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর সশস্ত্র হামলার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিরা যাতে দেশ ছেড়ে পালাতে না পারে, সে জন্য পঞ্চগড় সীমান্ত এলাকায় বিশেষ টহল ও তল্লাশি জোরদার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
বিজিবি সূত্র জানায়, সীমান্ত এলাকায় নিজস্ব গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। ব্যাটালিয়ন সদর ও বিওপির নিয়মিত টহলের পাশাপাশি বিশেষ টহল দল মোতায়েন করে সীমান্তবর্তী গুরুত্বপূর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলোতে তল্লাশি কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। বিশেষ টহলের অংশ হিসেবে সীমান্ত এলাকায় চলাচলকারী যানবাহন ও সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের তল্লাশি অব্যাহত রয়েছে।
এ ছাড়া ব্যাটালিয়নের অধীন বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে (আইসিপি) নজরদারি আরও জোরদার করা হয়েছে। আইসিপি দিয়ে যাতায়াতকারী যানবাহন ও যাত্রীদের নিবিড়ভাবে তল্লাশি করা হচ্ছে। পাশাপাশি কে-৯ ইউনিটের (ডগ স্কোয়াড) মাধ্যমে বিশেষ তল্লাশি কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।

পঞ্চগড় ১৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ কায়েস বলেন, ‘আমাদের দায়িত্বপূর্ণ এলাকা দিয়ে কোনো সন্দেহভাজন ব্যক্তি যাতে পার্শ্ববর্তী দেশে পালাতে না পারে, সে বিষয়ে বিজিবি সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানোর পাশাপাশি সীমান্ত নিরাপত্তাও জোরদার করা হয়েছে।’

টাঙ্গাইলের মধুপুরে সাবরেজিস্ট্রি অফিসে ঘুষ ছাড়া কোনো দলিল নিবন্ধন হয় না বলে অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগীরা বলছেন, মনঃপূত ঘুষ না দিলে জমির দলিল নিবন্ধন ছাড়াই ফিরে আসতে হয় ক্রেতা-বিক্রেতাদের। এ নিয়ে লিখিত অভিযোগও দেওয়া হয়েছে। গত মঙ্গলবার জেলা রেজিস্ট্রার ও দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) এ বিষয়ে লিখিত...
০২ অক্টোবর ২০২৫
আল-আমিনের বাবা আব্দুর রাজ্জাক জানান, ডাকাতদের হাতে দা, চায়নিজ কুড়াল ও আগ্নেয়াস্ত্র (শটগান) ছিল। ডাকাতি শেষে ডাকাত দলটি পুনরায় নৌপথে ট্রলারযোগে পালিয়ে যায়।
৭ মিনিট আগে
মেহেরপুরের গাংনীতে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে রাকেশ আহমেদ নামের একজন নিহত হয়েছে। এই ঘটনায় আহত হয়েছে আরও দুজন। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার বামন্দী বাসস্ট্যান্ডে এই ঘটনা ঘটে। নিহত রাকেশ আহমেদ উপজেলার তেরাইল গ্রামের মো. কামরুল ইসলামের ছেলে।
১৯ মিনিট আগে
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে যমুনা নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় পাঁচজনকে জরিমানা করা হয়েছে। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার যমুনা নদীতে এই অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহবুব হাসান।
১ ঘণ্টা আগেভূঞাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে যমুনা নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় পাঁচজনকে জরিমানা করা হয়েছে। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার যমুনা নদীতে এই অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহবুব হাসান।
বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন অনুযায়ী দায়ের করা পাঁচটি পৃথক মামলায় অভিযুক্ত পাঁচজনকে ৫০ হাজার টাকা করে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন সিরাজগঞ্জের অছির আলীর ছেলে ইজতেহার (৫০), নড়াইলের দাউদ মোল্লার ছেলে নুর মোহাম্মদ (৩৬), বরগুনার নাসির খানের ছেলে হাসান (২৪), ভূঞাপুরের মোকতেল হোসেনের ছেলে করিম (৩৫) ও সানু মিয়ার ছেলে জহুরুল (৩০)।
এ সময় ভূঞাপুর থানা-পুলিশ, নৌ পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহবুব হাসান বলেন, যমুনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে পাঁচজনকে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন রোধে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে যমুনা নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় পাঁচজনকে জরিমানা করা হয়েছে। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার যমুনা নদীতে এই অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহবুব হাসান।
বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন অনুযায়ী দায়ের করা পাঁচটি পৃথক মামলায় অভিযুক্ত পাঁচজনকে ৫০ হাজার টাকা করে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন সিরাজগঞ্জের অছির আলীর ছেলে ইজতেহার (৫০), নড়াইলের দাউদ মোল্লার ছেলে নুর মোহাম্মদ (৩৬), বরগুনার নাসির খানের ছেলে হাসান (২৪), ভূঞাপুরের মোকতেল হোসেনের ছেলে করিম (৩৫) ও সানু মিয়ার ছেলে জহুরুল (৩০)।
এ সময় ভূঞাপুর থানা-পুলিশ, নৌ পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহবুব হাসান বলেন, যমুনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে পাঁচজনকে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন রোধে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

টাঙ্গাইলের মধুপুরে সাবরেজিস্ট্রি অফিসে ঘুষ ছাড়া কোনো দলিল নিবন্ধন হয় না বলে অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগীরা বলছেন, মনঃপূত ঘুষ না দিলে জমির দলিল নিবন্ধন ছাড়াই ফিরে আসতে হয় ক্রেতা-বিক্রেতাদের। এ নিয়ে লিখিত অভিযোগও দেওয়া হয়েছে। গত মঙ্গলবার জেলা রেজিস্ট্রার ও দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) এ বিষয়ে লিখিত...
০২ অক্টোবর ২০২৫
আল-আমিনের বাবা আব্দুর রাজ্জাক জানান, ডাকাতদের হাতে দা, চায়নিজ কুড়াল ও আগ্নেয়াস্ত্র (শটগান) ছিল। ডাকাতি শেষে ডাকাত দলটি পুনরায় নৌপথে ট্রলারযোগে পালিয়ে যায়।
৭ মিনিট আগে
মেহেরপুরের গাংনীতে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে রাকেশ আহমেদ নামের একজন নিহত হয়েছে। এই ঘটনায় আহত হয়েছে আরও দুজন। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার বামন্দী বাসস্ট্যান্ডে এই ঘটনা ঘটে। নিহত রাকেশ আহমেদ উপজেলার তেরাইল গ্রামের মো. কামরুল ইসলামের ছেলে।
১৯ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসন থেকে সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর সশস্ত্র হামলার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিরা যাতে দেশ ছেড়ে পালাতে না পারে, সে জন্য পঞ্চগড় সীমান্ত এলাকায় বিশেষ টহল ও তল্লাশি জোরদার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
১ ঘণ্টা আগে