Ajker Patrika

ক্ষমা না চাইলে জামায়াত ক্ষমতায় যেতে পারবে না: জামায়াত নেতাকে পাশে বসিয়ে কাদের সিদ্দিকী

সখীপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
সখীপুর কেন্দ্রীয় মন্দিরে বক্তব্য দেন কাদের সিদ্দিকী, পাশে বসা উপজেলা জামায়াত নেতা। ছবি: আজকের পত্রিকা
সখীপুর কেন্দ্রীয় মন্দিরে বক্তব্য দেন কাদের সিদ্দিকী, পাশে বসা উপজেলা জামায়াত নেতা। ছবি: আজকের পত্রিকা

কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকী (বীরউত্তম) বলেছেন, ‘১৯৭১ সালে জামায়াতে ইসলামী যে কাজ করেছে, তার জন্য যদি ক্ষমা প্রার্থনা না করে, বাংলাদেশের শাসনক্ষমতায় কোনো দিন যেতে পারবে না।’

আজ মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার কেন্দ্রীয় মন্দির পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় টাঙ্গাইল-৮ (সখীপুর-বাসাইল) আসনের জামায়াতে ইসলামী মনোনীত প্রার্থী অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম মন্দির পরিদর্শনে গিয়ে পাশে বসে কাদের সিদ্দিকীর বক্তব্য শোনেন।

কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘এই যে জামায়াতের লোকেরা আমার পাশে বসে আছে, এটাও আমার কাছে কিছু না। তাদের সঙ্গে আমার বিরোধ, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে তারা যা করেছে, সেটা অন্যায় ছিল।

আজকের সন্তানেরা সেই কাজের সঙ্গে ছিল না। বাংলাদেশে যাদের জন্ম, তারা জামায়াতে ইসলামের সন্তানই হোক আর আওয়ামী লীগের সন্তানই হোক, আমার কাছে কোনো পার্থক্য নেই।

কিন্তু সেই সময়ে জামায়াতে ইসলামী যে কাজ করেছে, তার জন্য যদি ক্ষমা প্রার্থনা না করে এবং সেই রকম ক্ষমা প্রার্থনা, যেরকম ক্ষমা আল্লাহ রাব্বুল আলামিন গ্রহণ করেন। সেই রকম ক্ষমা প্রার্থনা না করলে যত হাজার আর লাখই লোক হোক, দেশের শাসনক্ষমতায় কোনো দিন জামায়াত যেতে পারবে না।’

কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বলেন, ‘আমি মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম পাকিস্তানি হানাদারদের বিরুদ্ধে, তাদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে। তারা যদি আমার দেশের বাড়িঘর না পুড়ত, আমার মা-বোনদের সম্মান নষ্ট না করত, তাহলে পাকিস্তানি হানাদারদের সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধে জয়ী হওয়া সহজ হতো না।

কারণ আমাদের হাতে যে অস্ত্র ছিল, তার চেয়ে হাজার গুণ শক্তিশালী অস্ত্র ছিল পাকিস্তানিদের হাতে। কিন্তু অস্ত্র কোনো শক্তি না, আল্লাহ রাজি-খুশি না থাকলে পৃথিবীতে কেউ কিছু করতে পারে না।’

কাদের সিদ্দিকী আরও বলেন, ‘আমি সেবক হিসেবে জন্মেছি, আমার কাজ মানুষের সেবা করা। সেখানে জাতপাত, ধর্ম, দলমত কোনো কিছুই নির্ভর করে না।

বঙ্গবন্ধুর মাথার ওপর যখন প্রস্রাব করা হয়েছে, তারপর আর আমি কিছু চাই না। আমাকে এখন প্রস্রাব করুক আর গলা কাটুক কিছুই যায় আসে না। আল্লাহ আর রাসুলকে বিশ্বাস করে আমি এতটা পথ চলেছি, আগামীতেও চলব।

এর আগে উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম মন্দিরে প্রবেশ করেন। এর পাঁচ মিনিট পর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম নেতা-কর্মীদের নিয়ে মন্দিরে আসেন। এই সময় উভয় নেতা কুশল বিনিময় করেন।

জামায়াতের নেতাকে কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘আমি কয়েক মিনিট কথা বলেই অন্য একটি প্রোগ্রামে চলে যাব।’ পরে কাদের সিদ্দিকী বক্তব্য দিয়ে নেতা-কর্মীদের নিয়ে মন্দির ত্যাগ করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সাবেক শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদের জানাজায় মানুষের ঢল

খুব কষ্ট পেলাম! লাশের হাতে হ্যান্ডকাফ— সাবেক শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদের মৃত্যু প্রসঙ্গে মান্না

বিএনপি নেতার কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি যুবদল নেতার, থানায় অভিযোগ

ময়মনসিংহে পূজা দেখতে বেরিয়ে ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রী

আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে ফেরা নিয়ে যা বললেন প্রধান উপদেষ্টা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত