সহিবুর রহমান, হবিগঞ্জ
টানা বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলে হবিগঞ্জে আউশ ধানের খেত তলিয়ে গেছে। এতে করে সদর, লাখাই, আজমিরীগঞ্জ, মাধবপুর, নবীগঞ্জ ও বানিয়াচং উপজেলায় ব্যাপক ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি মৌসুমি শাক-সবজি ও মাছের খামারও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কৃষি বিভাগ বলছে, প্রকৃত ক্ষতির পরিমাণ জানতে এক সপ্তাহ অপেক্ষা করতে হবে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে জানা গেছে, এবার হবিগঞ্জে ৪৮ হাজার ১৪৬ হেক্টর জমিতে আউশ ধানের চাষ হয়েছে। কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিপাতের কারণে ইতিমধ্যে ৬৬৩ হেক্টর জমি তলিয়ে গেছে। এ ছাড়া জেলায় ৭ হাজার ৪২৩ হেক্টর জমিতে সবজি চাষ করা হয়েছে। যেখানে ৮৬ হেক্টরের ক্ষতি নিরূপণ করা সম্ভব হয়েছে।
লাখাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান মিজান বলেন, ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে লাখাইয়ের বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠের ক্ষতিসাধন হয়েছে। এরই মধ্যে ২৫ হেক্টর আউশ ধানের জমি পানিতে নিমজ্জিত হয়ে পড়েছে। বেশ কিছু জমি আংশিকভাবে নিমজ্জিত হয়েছে। ৪০ হেক্টর মৌসুমি শাকসবজির ক্ষতি হয়েছে। বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে ক্ষতির পরিমাণ আরও বেড়ে যেতে পারে।
মাধবপুরে টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের স্রোতে বাঁধ ভেঙে বাড়িঘর, কৃষিজমি ও রাস্তাঘাটের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে। উপজেলার আন্দিউড়া ইউনিয়নের হরিশ্যামা গ্রামের মরারচর নামক স্থানে সোনাই নদের বাঁধ ও নোয়াপাড়া ইউনিয়নের কড়রাছড়ার বাঁধ ভেঙে পাহাড়ি ঢলের পানি ঢুকে বাড়িঘর ও ফসলি জমি তলিয়ে গেছে। আন্দিউড়া, শাহজাহানপুর, নোয়াপাড়া, আদাঐর ও ছাতিয়াইন ইউনিয়নের কৃষিজমির ফসল, পুকুরের মাছ, ঘরবাড়ি ও রাস্তাঘাটের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
আন্দিউড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আতিকুর রহমান জানান, প্রায় ১০০ একর সবজির জমি পানিতে তলিয়ে ফসল নষ্ট হয়েছে। প্রায় সব পুকুর ডুবে মাছ চলে গেছে। শাহজাহানপুর ইউপি চেয়ারম্যান পারভেজ হোসেন চৌধুরী জানান, ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রামের প্রায় ২৫০ একর জমির সবজি নষ্ট হয়ে গেছে। অনেকের পুকুর ডুবে মাছ ভেসে গেছে। নোয়াপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ মোহাম্মদ সোহেল জানান, পাহাড়ি ঢলের সঙ্গে বালু এসে প্রায় ১৫ একর কৃষিজমিতে বালু ভরাট হয়ে ফসল নষ্ট হয়ে গেছে।
সদর উপজেলার রিচি ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম জানান, খোয়াই নদীর দুটি বাঁধ ভেঙে তাঁর ও পাশের লোকড়া ইউনিয়নের সব গ্রাম পানিতে প্লাবিত হয়েছে। গ্রামগুলোর আউশ ধান, শাকসবজি ও মাছের খামারের ক্ষতি হয়েছে।
যোগাযোগ করা হলে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. নূরে আলম সিদ্দিকী বলেন, টানা বৃষ্টিপাতের কারণ পুরো জেলায় আউশ ধানের ক্ষতি হয়েছে। পাশাপাশি শাকসবজি চাষেও ক্ষতি হয়েছে। তবে এই মুহূর্তে ক্ষতির সঠিক পরিমাণ নির্ণয় করা সম্ভব হচ্ছে না। এ জন্য এক সপ্তাহ অপেক্ষা করতে হবে। বৃষ্টি থামলে পানি নেমে যেতে পারে। এতে ক্ষতির পরিমাণ কমবে। তবে বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে অবশ্যই ক্ষতির পরিমাণ বাড়বে। এতে কৃষকেরা আরও ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।
টানা বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলে হবিগঞ্জে আউশ ধানের খেত তলিয়ে গেছে। এতে করে সদর, লাখাই, আজমিরীগঞ্জ, মাধবপুর, নবীগঞ্জ ও বানিয়াচং উপজেলায় ব্যাপক ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি মৌসুমি শাক-সবজি ও মাছের খামারও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কৃষি বিভাগ বলছে, প্রকৃত ক্ষতির পরিমাণ জানতে এক সপ্তাহ অপেক্ষা করতে হবে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে জানা গেছে, এবার হবিগঞ্জে ৪৮ হাজার ১৪৬ হেক্টর জমিতে আউশ ধানের চাষ হয়েছে। কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিপাতের কারণে ইতিমধ্যে ৬৬৩ হেক্টর জমি তলিয়ে গেছে। এ ছাড়া জেলায় ৭ হাজার ৪২৩ হেক্টর জমিতে সবজি চাষ করা হয়েছে। যেখানে ৮৬ হেক্টরের ক্ষতি নিরূপণ করা সম্ভব হয়েছে।
লাখাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান মিজান বলেন, ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে লাখাইয়ের বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠের ক্ষতিসাধন হয়েছে। এরই মধ্যে ২৫ হেক্টর আউশ ধানের জমি পানিতে নিমজ্জিত হয়ে পড়েছে। বেশ কিছু জমি আংশিকভাবে নিমজ্জিত হয়েছে। ৪০ হেক্টর মৌসুমি শাকসবজির ক্ষতি হয়েছে। বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে ক্ষতির পরিমাণ আরও বেড়ে যেতে পারে।
মাধবপুরে টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের স্রোতে বাঁধ ভেঙে বাড়িঘর, কৃষিজমি ও রাস্তাঘাটের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে। উপজেলার আন্দিউড়া ইউনিয়নের হরিশ্যামা গ্রামের মরারচর নামক স্থানে সোনাই নদের বাঁধ ও নোয়াপাড়া ইউনিয়নের কড়রাছড়ার বাঁধ ভেঙে পাহাড়ি ঢলের পানি ঢুকে বাড়িঘর ও ফসলি জমি তলিয়ে গেছে। আন্দিউড়া, শাহজাহানপুর, নোয়াপাড়া, আদাঐর ও ছাতিয়াইন ইউনিয়নের কৃষিজমির ফসল, পুকুরের মাছ, ঘরবাড়ি ও রাস্তাঘাটের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
আন্দিউড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আতিকুর রহমান জানান, প্রায় ১০০ একর সবজির জমি পানিতে তলিয়ে ফসল নষ্ট হয়েছে। প্রায় সব পুকুর ডুবে মাছ চলে গেছে। শাহজাহানপুর ইউপি চেয়ারম্যান পারভেজ হোসেন চৌধুরী জানান, ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রামের প্রায় ২৫০ একর জমির সবজি নষ্ট হয়ে গেছে। অনেকের পুকুর ডুবে মাছ ভেসে গেছে। নোয়াপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ মোহাম্মদ সোহেল জানান, পাহাড়ি ঢলের সঙ্গে বালু এসে প্রায় ১৫ একর কৃষিজমিতে বালু ভরাট হয়ে ফসল নষ্ট হয়ে গেছে।
সদর উপজেলার রিচি ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম জানান, খোয়াই নদীর দুটি বাঁধ ভেঙে তাঁর ও পাশের লোকড়া ইউনিয়নের সব গ্রাম পানিতে প্লাবিত হয়েছে। গ্রামগুলোর আউশ ধান, শাকসবজি ও মাছের খামারের ক্ষতি হয়েছে।
যোগাযোগ করা হলে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. নূরে আলম সিদ্দিকী বলেন, টানা বৃষ্টিপাতের কারণ পুরো জেলায় আউশ ধানের ক্ষতি হয়েছে। পাশাপাশি শাকসবজি চাষেও ক্ষতি হয়েছে। তবে এই মুহূর্তে ক্ষতির সঠিক পরিমাণ নির্ণয় করা সম্ভব হচ্ছে না। এ জন্য এক সপ্তাহ অপেক্ষা করতে হবে। বৃষ্টি থামলে পানি নেমে যেতে পারে। এতে ক্ষতির পরিমাণ কমবে। তবে বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে অবশ্যই ক্ষতির পরিমাণ বাড়বে। এতে কৃষকেরা আরও ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।
প্রধান উপদেষ্টা বা তাঁর কার্যালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ না করালে আগামীকাল মঙ্গলবার যমুনা ঘেরাও কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছেন চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্য ও তাঁদের পরিবারের সদস্যরা। আজ সোমবার দুপুরে জাতীয় জাদুঘরের সামনে এই ঘোষণা দেন চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্য ও তাদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে
২ মিনিট আগেরাজশাহী আঞ্চলিক নির্বাচন ভবনে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ সোমবার দুপুরে দুদক কর্মকর্তারা এ ভবনের বোয়ালিয়া থানা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়, জেলা নির্বাচন অফিস ও আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার দপ্তরে গিয়ে বেশ কিছু তথ্য নেন। এ ছাড়া অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সেবাগ্রহীতাদের সঙ্গে কথা..
২ মিনিট আগেসূর্যমুখীর এই মাছঘাট তিন দশকের পুরোনো। দীর্ঘদিন ধরে এখানকার ব্যবসায়ী ও জেলেরা শান্তিপূর্ণভাবে কার্যক্রম চালিয়ে আসছেন। হঠাৎ একটি মহল ঘাটের ঠিক পাশে খালের দক্ষিণ পাড়ে নতুন মাছঘাট তৈরি করছে, যা অনাকাঙ্ক্ষিত বিরোধ ও সংঘাতের সূত্রপাত করতে পারে।
৫ মিনিট আগেবগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলায় বিএনপির দলীয় কার্যালয়সহ বগুড়া-নাটোর মহাসড়ক এবং বগুড়া–ঢাকা মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলো আওয়ামী লীগের পোস্টারে ছেয়ে গেছে।
২৪ মিনিট আগে