সিলেট প্রতিনিধি
সিলেটে এক সপ্তাহ ধরে ২২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। প্রতিদিন এক-তৃতীয়াংশ এলাকায় লোডশেডিং হচ্ছে। এতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষোভ ঝাড়ছেন ভুক্তভোগীরা। তবে কর্তৃপক্ষ বলছে, তারা বাইরে থেকে বিদ্যুৎ এনে ঘাটতি পূরণ করছে। এই স্টেশন বন্ধ থাকলেও কোনো প্রভাব পড়ছে না তাতে।
বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) সিলেট অফিস সূত্র জানায়, সিলেটে প্রতিদিন ২৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে। তবে দেশে লোডশেডিং বেড়ে যাওয়ায় ১৬০ মেগাওয়াট করে বিদ্যুৎ পাচ্ছে তারা। এতে এক-তৃতীয়াংশ সময় লোডশেডিং হয়।
সূত্র আরও জানায়, ২০ জুলাই থেকে সিলেটে অতিরিক্ত তাপমাত্রা থাকার কারণে নগরীর কুমারগাওয়ের ১৩২/৩৩ কেভি গ্রিড উপকেন্দ্রের ২২৫ মেগাওয়াট পাওয়ার স্টেশন বন্ধ রয়েছে। এর পর থেকে সিলেটে শুরু হয়েছে তীব্র লোডশেডিং।
একদিকে গরম, অন্যদিকে বিদ্যুতের ভেলকিবাজি। এ যেন মড়ার ওপর খাঁড়ার গা। বিদ্যুৎ অফিসে বারবার যোগাযোগ করেও কোনো সমাধান না পেয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষোভ ঝাড়ছেন গ্রাহকেরা।
দিনে রোদের তাপ আর রাতে প্রচণ্ড গরম, কোনোটাই সহ্য করতে পারছেন না মানুষ। বিড়ম্বনায় পড়ছে এইচএসসি ও স্নাতক চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থীরা। গরমের কারণে দিনে আর লোডশেডিংয়ের কারণে রাতে পড়তে পারছে না তারা।
অন্যদিকে যাঁরা ফ্রিল্যান্সিং করেন, তাঁরা এই বিদ্যুৎ–বিভ্রাটে বড় সমস্যায় পড়ছেন। অনেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষোভ ঝাড়ছেন।
ড্রিমস আইটি পার্কের মালিক আখলাকুল আম্বিয়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লেখেন, ‘সিলেট শহরে এখন দৈনিক ৪-৫ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে না। এভাবে চলতে থাকলে ফ্রিল্যান্সিং বাদ দিয়ে রাজনীতি শুরু করব ভাবতেছি!’
বালুচর এলাকার বাসিন্দা তৌফিক আহমেদ জানান, আগে এ রকম এক নাগাড়ে কয়েক ঘণ্টার জন্য বিদ্যুৎ নেয়নি। কিন্তু ইদানীং এমন হচ্ছে। এ জন্য দিনে কাজ করা যায় না, আর রাতে ঘুমানো যায় না। গরমও পড়েছে খুব। এভাবে চলতে থাকলে তো আর হয় না। বাচ্চারাও পড়ালেখা করতে পারছে না।
এমনকি স্কুলে গেলেও গরমের কারণে ক্লাস করতে পারছে না। গরম হলে লোডশেডিংটা না দিয়ে শীতের দিনে দিলেও পারত। একদিকে থাকে গরম, তারপর আবার লোডশেডিং।
জানতে চাইলে কুমারগাওয়ের ২২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী মিজানুর রহমান জানান, ২০ জুলাই থেকে ২২৫ মেগাওয়াটের পাওয়ার স্টেশন বন্ধ রয়েছে। এখন ঢাকা থেকে ইঞ্জিনিয়াররা আসছেন। তাঁরা এটি দেখেছেন। এটি ঠিক করতে আরও ১০ দিনের মতো লেগে যাবে।
বিপিডিবির সিলেট বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী মো. জারজিসুর রহমান রনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সিলেটে এই কয়েক দিন থেকে তাপমাত্রা বেড়েছে। এ কারণে অতিরিক্ত তাপের ফলে এটি বিকল হয়ে পড়েছে। এটি মেরামত করা হচ্ছে। এটি বন্ধ থাকলেও আমরা এখন ফেঞ্চুগঞ্জে আমাদের দুটা লাইন রয়েছে, সেটা দিয়ে চালাচ্ছি। সমস্যা হচ্ছে না। বিদ্যুতের উৎপাদন কম থাকার কারণে সারা দেশেই লোডশেডিং হচ্ছে।’
জারজিসুর রহমান আরও বলেন, ‘সিলেটে বিদ্যুতের চাহিদা ২৪০ মেগাওয়াট। লোডশেডিং না থাকলে জাতীয় গ্রিড থেকে আমরা পুরোটাই পাই। আর লোডশেডিং হলে ৮০ মেগাওয়াট কম পাই। এখন জ্বালানির ওপর নির্ভর করছে বিদ্যুতের এই ঘাটতি বা লোডশেডিং। জ্বালানি ঠিক থাকলে আর কোনো সমস্যা হবে না।’
সিলেটে এক সপ্তাহ ধরে ২২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। প্রতিদিন এক-তৃতীয়াংশ এলাকায় লোডশেডিং হচ্ছে। এতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষোভ ঝাড়ছেন ভুক্তভোগীরা। তবে কর্তৃপক্ষ বলছে, তারা বাইরে থেকে বিদ্যুৎ এনে ঘাটতি পূরণ করছে। এই স্টেশন বন্ধ থাকলেও কোনো প্রভাব পড়ছে না তাতে।
বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) সিলেট অফিস সূত্র জানায়, সিলেটে প্রতিদিন ২৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে। তবে দেশে লোডশেডিং বেড়ে যাওয়ায় ১৬০ মেগাওয়াট করে বিদ্যুৎ পাচ্ছে তারা। এতে এক-তৃতীয়াংশ সময় লোডশেডিং হয়।
সূত্র আরও জানায়, ২০ জুলাই থেকে সিলেটে অতিরিক্ত তাপমাত্রা থাকার কারণে নগরীর কুমারগাওয়ের ১৩২/৩৩ কেভি গ্রিড উপকেন্দ্রের ২২৫ মেগাওয়াট পাওয়ার স্টেশন বন্ধ রয়েছে। এর পর থেকে সিলেটে শুরু হয়েছে তীব্র লোডশেডিং।
একদিকে গরম, অন্যদিকে বিদ্যুতের ভেলকিবাজি। এ যেন মড়ার ওপর খাঁড়ার গা। বিদ্যুৎ অফিসে বারবার যোগাযোগ করেও কোনো সমাধান না পেয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষোভ ঝাড়ছেন গ্রাহকেরা।
দিনে রোদের তাপ আর রাতে প্রচণ্ড গরম, কোনোটাই সহ্য করতে পারছেন না মানুষ। বিড়ম্বনায় পড়ছে এইচএসসি ও স্নাতক চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থীরা। গরমের কারণে দিনে আর লোডশেডিংয়ের কারণে রাতে পড়তে পারছে না তারা।
অন্যদিকে যাঁরা ফ্রিল্যান্সিং করেন, তাঁরা এই বিদ্যুৎ–বিভ্রাটে বড় সমস্যায় পড়ছেন। অনেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষোভ ঝাড়ছেন।
ড্রিমস আইটি পার্কের মালিক আখলাকুল আম্বিয়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লেখেন, ‘সিলেট শহরে এখন দৈনিক ৪-৫ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে না। এভাবে চলতে থাকলে ফ্রিল্যান্সিং বাদ দিয়ে রাজনীতি শুরু করব ভাবতেছি!’
বালুচর এলাকার বাসিন্দা তৌফিক আহমেদ জানান, আগে এ রকম এক নাগাড়ে কয়েক ঘণ্টার জন্য বিদ্যুৎ নেয়নি। কিন্তু ইদানীং এমন হচ্ছে। এ জন্য দিনে কাজ করা যায় না, আর রাতে ঘুমানো যায় না। গরমও পড়েছে খুব। এভাবে চলতে থাকলে তো আর হয় না। বাচ্চারাও পড়ালেখা করতে পারছে না।
এমনকি স্কুলে গেলেও গরমের কারণে ক্লাস করতে পারছে না। গরম হলে লোডশেডিংটা না দিয়ে শীতের দিনে দিলেও পারত। একদিকে থাকে গরম, তারপর আবার লোডশেডিং।
জানতে চাইলে কুমারগাওয়ের ২২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী মিজানুর রহমান জানান, ২০ জুলাই থেকে ২২৫ মেগাওয়াটের পাওয়ার স্টেশন বন্ধ রয়েছে। এখন ঢাকা থেকে ইঞ্জিনিয়াররা আসছেন। তাঁরা এটি দেখেছেন। এটি ঠিক করতে আরও ১০ দিনের মতো লেগে যাবে।
বিপিডিবির সিলেট বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী মো. জারজিসুর রহমান রনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সিলেটে এই কয়েক দিন থেকে তাপমাত্রা বেড়েছে। এ কারণে অতিরিক্ত তাপের ফলে এটি বিকল হয়ে পড়েছে। এটি মেরামত করা হচ্ছে। এটি বন্ধ থাকলেও আমরা এখন ফেঞ্চুগঞ্জে আমাদের দুটা লাইন রয়েছে, সেটা দিয়ে চালাচ্ছি। সমস্যা হচ্ছে না। বিদ্যুতের উৎপাদন কম থাকার কারণে সারা দেশেই লোডশেডিং হচ্ছে।’
জারজিসুর রহমান আরও বলেন, ‘সিলেটে বিদ্যুতের চাহিদা ২৪০ মেগাওয়াট। লোডশেডিং না থাকলে জাতীয় গ্রিড থেকে আমরা পুরোটাই পাই। আর লোডশেডিং হলে ৮০ মেগাওয়াট কম পাই। এখন জ্বালানির ওপর নির্ভর করছে বিদ্যুতের এই ঘাটতি বা লোডশেডিং। জ্বালানি ঠিক থাকলে আর কোনো সমস্যা হবে না।’
ঢাকার আশুলিয়ায় উল্টো পথে চলা একটি অটোরিকশা লরির নিচে চাপা পড়ে নারী ও শিশুসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও একজন। নিহতরা হলেন আলতাফ (৫০), নূরজাহান (২৪) ও শিশু আব্দুল্লাহ (৪)। দুর্ঘটনাটি ঘটে রোববার (৩ আগস্ট) রাত সাড়ে ৯টার দিকে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের বাইপাইল কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে।
১ ঘণ্টা আগেপৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যকুল সরদারপাড়ায় সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, বাড়িঘরে পানি ঢুকে পড়েছে, তলিয়ে গেছে চলাচলের একমাত্র পথ। ১ নম্বর ওয়ার্ডের সাহাপাড়া খ্রিষ্টান মিশনের পাশের সড়কেও পানি উঠে এসেছে।
১ ঘণ্টা আগেপার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ও বিশিষ্ট কূটনীতিক সুপ্রদীপ চাকমা বলেছেন, ‘আজকের এই কৃষি যন্ত্রপাতি হস্তান্তর শুধু যন্ত্র সরবরাহ নয়, এটি রাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতি ও দায়বদ্ধতার প্রতিফলন। আমরা এমন একটি বাংলাদেশ গড়তে চাই, যেখানে সমতল হোক কিংবা পাহাড়—কোথাও খাদ্যঘাটতির জায়গা থাকবে না।’
১ ঘণ্টা আগেগত বছর ঢাকায় কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারান লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার মহিষখোঁচা ইউনিয়নের বারঘড়িয়া গ্রামের মিরাজ। তিনি ছিলেন মৃত আব্দুস ছালামের বড় ছেলে। মাত্র ৫ শতাংশ জমি কিনে বাড়ি করার ইচ্ছে ছিল তাঁদের। কিন্তু প্রতিবেশী দুলাল মণ্ডল দলিল থাকা সত্ত্বেও জমিটি দখলে নিতে দেননি।
২ ঘণ্টা আগে