Ajker Patrika

পৃথক হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার আ.লীগ নেতার ওপর হামলা, পুলিশ কর্মকর্তাকে ‘কিল-ঘুষি’

সিলেট প্রতিনিধি
সাদেক কাউসার দস্তগীর ও আমির হোসেন নূরু। ছবি: সংগৃহীত
সাদেক কাউসার দস্তগীর ও আমির হোসেন নূরু। ছবি: সংগৃহীত

সিলেটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে সাংবাদিক এ টি এম তুরাব হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার পুলিশ কর্মকর্তা সাদেক কাউসার দস্তগীরকে আদালতে নেওয়া হলে তাঁকে কিল-ঘুষি মারা হয় বলে জানা গেছে। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে আদালতের ভেতর এ ঘটনা ঘটে।

এদিকে আজ বৃহস্পতিবার একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গুলি করে যুবক হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার আওয়ামী লীগের এক নেতা আদালত চত্বরে হামলার শিকার হন। আহত অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করেছে পুলিশ।

সাংবাদিক এ টি এম তুরাব হত্যা মামলার ২ নম্বর আসামি সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) সাবেক অতিরিক্ত উপ-কমিশনার সাদেক কাওসার দস্তগীরের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। পুলিশ সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করলে অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. আব্দুল মোমেন পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেন।

আদালত ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে অতিরিক্ত উপকমিশনারকে সেনা ও পুলিশের কড়া পাহারায় আদালতে তোলা হয়। এ সময় আদালত চত্বরে উৎসুক জনতার উপস্থিত ছিল চোখে পড়ার মতো। কঠোর নিরাপত্তা বেষ্টনী নিয়ে দস্তগীরকে একটি প্রিজন ভ্যানে করে আদালত চত্বরে নেওয়া হয়। এ সময় আরেকটি খালি প্রিজনভ্যান সঙ্গে করে নিয়ে আসা হয়।

আদালত চত্বরের চারদিকে সেনাবাহিনী ও পুলিশের কঠোর নিরাপত্তা থাকায় কেউ আঘাত করতে পারেনি দস্তগীরকে। তবে ভেতরে গেলে দু–একজন তাঁকে কিল-ঘুষি মারেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এপিপি আব্দুল মুকিত অপি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সাংবাদিক এ টি এম তুরাবের হত্যাকাণ্ড একটি আলোচিত নির্মম ঘটনা। আমরা বিভিন্ন সিসি ক্যামেরা ফুটেজে দেখেছি, গত ১৯ জুলাই সিলেটের একটি মিছিলে দস্তগীর পেছন থেকে একজনের হাত থেকে অস্ত্র নিয়ে সরাসরি গুলি করেছেন। তাঁকে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়। আদালত পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।’

এর আগে গতকাল বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) বিকেল ৫টার দিকে শেরপুরের একটি এলাকা থেকে সাদেক কাওসার দস্তগীরকে পুলিশে কর্মরত অবস্থায় গ্রেপ্তার করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলার সময় ১৯ জুলাই জুমার নামাজের পর সিলেট নগরের বন্দরবাজারের কালেক্টরেট জামে মসজিদের সামনে থেকে মিছিল বের করে বিএনপি। মিছিলের পেছনে ধাওয়া করে পুলিশ গুলি ছুড়ে। এ সময় গুলিবিদ্ধ হন দৈনিক নয়া দিগন্তের প্রতিনিধি ও স্থানীয় একটি দৈনিকের নিজস্ব প্রতিবেদক এ টি এম তুরাব।

প্রথমে তাঁকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে নগরের সোবহানীঘাটের ইবনে সিনা হাসপাতালে আনা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যায় মারা যান তুরাব।

এ ঘটনায় ১৯ আগস্ট নিহতের ভাই আবুল হোসেন মোহাম্মদ আজরফ জাবুর বাদী হয়ে সিলেটের অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে মামলা করেন। মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, পুলিশ ও আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের নেতা–কর্মীসহ ১৮ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও ২৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. সাদেক কাউসার দস্তগীর মামলার এজাহার নামীয় দ্বিতীয় আসামি।

আওয়ামী লীগ নেতার ওপর হামলা
সিলেটে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গুলি করে হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার আমির হোসেন নূরুকে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালত প্রাঙ্গণে নিয়ে এলে তাঁর ওপর হামলা হয়। আদালত চত্বর ও বারান্দায় তাঁকে কয়েকজন কিল-ঘুষি মারতে থাকেন। এ সময় পুলিশ তাদের বাধা দেয়। হামলায় তাঁর নাক দিয়ে রক্ত বের হতে থাকে। যার কারণে তাঁকে আর আদালতে তোলা সম্ভব হয়নি। পরে তাঁকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

হত্যা মামলার প্রধান আসামি হিসেবে গতকাল বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) বিকেলে তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব-৯, সিলেট। সিলেট নগরের কেওয়াপাড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানিয়েছেন র‍্যাব-৯ এর সহকারী পুলিশ সুপার মো. মশিহুর রহমান সোহেল।

গ্রেপ্তার আমির হোসেন নূরু (৫৯) সিলেটের বালাগঞ্জের আজিজপুরের মৃত আব্দুর রউফের ছেলে। তিনি পশ্চিম গৌরীপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি।

২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর সিলেট-৩ আসনের বালাগঞ্জে ভোটকেন্দ্র দখলকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। পশ্চিম গৌরীপুর ইউনিয়নের আজিজপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শান্তিপূর্ণ ভোট চলার সময় উচ্ছৃঙ্খল জনতা লাঠি ও অস্ত্র নিয়ে ব্যালট বাক্স ছিনতাইয়ের চেষ্টা করে। সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ সায়েম আহমেদ (২৪) সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন।

এ ঘটনায় পুলিশ একটি হত্যা মামলা এবং নিহত সায়েমের চাচাতো ভাই ৫ জনের নাম উল্লেখসহ ২৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা করেন।

বালাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফয়েজ আহমদ আজকের পত্রিকাকে জানান, তাকে আদালতে নেওয়া হলে সেখানে উৎসুক জনতা তাঁর ওপর হামলা করে। সেখানে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

লক্ষ্মীপুরে অবৈধ ইটভাটা বন্ধে অভিযান শুরু, অবরুদ্ধ কর্মকর্তারা

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
ছবি: আজকের পত্রিকা
ছবি: আজকের পত্রিকা

লক্ষ্মীপুরে শতাধিক অবৈধ ইটভাটায় অভিযান শুরু করেছে জেলা প্রশাসন। আজ বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে রামগতি উপজেলার চর আফজাল এলাকা থেকে শুরু হয় এই অভিযান। দুপুর পর্যন্ত আমানত ইটভাটা, জেসমিন সারোয়ার, আবদুল ওয়াহাবসহ তিনটি ইটভাটা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।

পাঁচটি ভেকু মেশিনের সাহায্যে ভাটার চুল্লি, চিমনি ও কাঁচা ইট বিনষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। এরপর অন্য ইটভাটায় অভিযানে যাওয়ার সময় চৌধুরী বাজার এলাকায় রাস্তায় গাছের গুঁড়ি ও টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করেন শ্রমিকেরা।

এ সময় প্রশাসনের কর্মকর্তারা অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন। ঘণ্টাখানেক অবরুদ্ধ থাকেন তাঁরা।

অভিযানে অংশ নেন রামগতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ আমজাদ হোসেন, পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম কার্যালয়ের পরিচালক জমির উদ্দিন, ঢাকা কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আশিকুর রহমান, লক্ষ্মীপুর কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক হারুন অর রশিদ পাঠান, রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেনসহ পুলিশ ও র‍্যাবের সদস্যরা।

রামগতি থানার ওসি মো. কবির হোসেন বলেন, পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সরকারি কাজে বাধা দেওয়ায় জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

লক্ষ্মীপুরের পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক হারুন অর রশিদ পাঠান বলেন, রামগতি ও কমলনগরে ৫১টি ইটভাটা রয়েছে। এর মধ্যে ৪৯টি ভাটা অবৈধ। জেলা-উপজেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় এসব ভাটার বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর। টানা সাত দিন অভিযান চলবে। অবৈধ ভাটা ভেঙে দেওয়ার পরেও যাতে চালু করতে না পারে, সে জন্য অভিযান অব্যাহত থাকবে। পাশাপাশি জেলায় শতাধিক ইটভাটার কোনো কাগজপত্র নেই। এগুলো পুরোপুরি অবৈধ।

পরিবেশ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগের উপপরিচালক মো. জমির উদ্দিন বলেন, শুধু লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে ৫১টি ইটভাটার মধ্যে ৪৯টি ইটভাটার কোনো কাগজপত্র নেই। এগুলো পুরোপুরি অবৈধ। তাই এসব অবৈধ ইটভাটা কোনোভাবে চলতে দেওয়া হবে না। এগুলো সব বন্ধ করে দেওয়া হবে। কোনো শক্তির কাছে মাথা নত করা হবে না।

ইউএনও মো. আমজাদ হোসেন বলেন, সকাল থেকে অভিযান চালিয়ে অবৈধ তিনটি ইটভাটা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। দুপুরের পর অন্য ইটভাটায় অভিযানে যাওয়ার সময় শ্রমিকেরা রাস্তায় গাছের গুঁড়ি ও টায়ার জ্বালিয়ে বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করেন। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের হাজতির ঢামেকে মৃত্যু

ঢামেক প্রতিবেদক
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের হাজতির ঢামেকে মৃত্যু

ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের (কেরানীগঞ্জ) এক হাজতির ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) বিকেল সোয়া ৪টার দিকে কারারক্ষীরা ওই বন্দীকে কারাগার থেকে ঢামেকে নিয়ে আসলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

মৃত হাজতির নাম মামুনুর রশীদ (৩৪)। তাঁর বাবার নাম শহিদুল ইসলাম।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে কারারক্ষীরা অচেতন অবস্থায় ওই বন্দীকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। এরপর চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে মৃত ঘোষণা করেন। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।

মো. ফারুক আরও জানান, ওই ব্যক্তি হাজতি হিসেবে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী ছিলেন। তবে তাৎক্ষণিকভাবে তাঁর মামলার বিবরণ জানা যায়নি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বুড়িমারী স্থলবন্দর: ভারতীয় ট্রাক থেকে ওষুধ ও সিসা জব্দ, চালক আটক

পাটগ্রাম (লালমনিরহাট) প্রতিনিধি
লালমনিরহাটের পাটগ্রামের বুড়িমারী স্থলবন্দরের শূন্যরেখায় ভারতীয় একটি ট্রাক থেকে বাংলাদেশি ওষুধ ও সিসা জব্দ করে বিজিবি। ছবি: আজকের পত্রিকা
লালমনিরহাটের পাটগ্রামের বুড়িমারী স্থলবন্দরের শূন্যরেখায় ভারতীয় একটি ট্রাক থেকে বাংলাদেশি ওষুধ ও সিসা জব্দ করে বিজিবি। ছবি: আজকের পত্রিকা

লালমনিরহাটের পাটগ্রামের বুড়িমারী স্থলবন্দরের শূন্যরেখায় ভারতীয় একটি ট্রাক থেকে বাংলাদেশি ওষুধ ও সিসা জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এ সময় ট্রাকচালককে আটক করা হয়। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বাংলাদেশ থেকে ভারতে অবৈধভাবে এসব পণ্য পাচারের সময় সেগুলো জব্দ করা হয়।

আটক ট্রাকচালক সমির পালের বাড়ি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার জেলার মেখলিগঞ্জ থানার চ্যাংড়াবান্ধা গ্রামে। তাঁর বাবার নাম গৌরঙ্গ পাল।

বিজিবি ও প্রত্যক্ষদর্শীদের তথ্যে জানা গেছে, সকাল ১০টার দিকে পশ্চিমবঙ্গের চ্যাংড়াবান্ধা স্থলবন্দরগামী ভারতীয় ট্রাকচালক সমির পাল (৩৫) খালি ট্রাক নিয়ে শূন্যরেখা সড়কপথে যাচ্ছিলেন। এ সময় তল্লাশিচৌকিতে দায়িত্বরত বুড়িমারী আইসিপি বিজিবির সদস্যদের সন্দেহ হলে তাঁরা ট্রাকটিতে তল্লাশি চালান। এতে চালকের আসনের নিচে বিশেষভাবে লুকানো অবস্থায় বাংলাদেশি ওষুধ কোম্পানি এভারেস্ট ফার্মাসিউটিক্যালসের ক্যানসার প্রতিরোধী ওষুধ ‘ওসিমার্ট’ বড়ি ১ হাজার ৫০০টি, জিসকা ফার্মাসিউটিক্যালসের ‘ওসিকিন’ বড়ি ১ হাজার ৫০০টি এবং ২৭২ কেজি সিসা পাওয়া যায়।

বিজিবি জানায়, জব্দ করা ওষুধ ও ধাতব সিসার মূল্য ১২ লাখ ৪৫ হাজার ৮০০ টাকা এবং ট্রাকসহ মোট মূল্য ৫৭ লাখ ৪৫ হাজার ৮০০ টাকা ধরা হয়েছে। এ বিষয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) রংপুরের ৬১ বিজিবি (তিস্তা-২) ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল শেখ মোহাম্মদ মুসাহিদ মাসুম বলেন, চোরাচালানের পণ্যসহ আটক ভারতীয় চালকের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে তাঁকেসহ জব্দ পণ্য পাটগ্রাম থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চকবাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান, নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ

কেরানীগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

রাজধানীর চকবাজারে র‍্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে সাড়ে তিন লাখ টাকা জরিমানা ও বিপুল পরিমাণ ব্যবহার নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান সিলগালা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) সকালে র‍্যাব সদর দপ্তরের আইন কর্মকর্তা সিনিয়র সহকারী সচিব মো. আবু হাসান ও পরিবেশ অধিদপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফয়জুনেছা আক্তারের নেতৃত্বে র‍্যাব-১০-এর সহযোগিতায় এ অভিযান চালানো হয়।

অভিযানে মো. জসিমকে দেড় লাখ, মো. আলামিনকে এক লাখ ও বাবুলকে এক লাখ টাকা জরিমানা করে। এ সময় বিপুল পরিমাণ নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করে প্রতিষ্ঠানগুলো সিলগালা করা হয়।

র‍্যাব জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধানে দেখা যায় দীর্ঘদিন ধরে এসব ব্যবসায়ী নিষিদ্ধ পলিথিন বিক্রি করে পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি করছিলেন। তাঁদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

র‍্যাব-১০-এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার তাপস কর্মকার জানান, জনস্বার্থে নিষিদ্ধ পলিথিনের বিরুদ্ধে র‍্যাবের অভিযান চলমান থাকবে এবং এ বিষয়ে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত