ইয়াহ্ইয়া মারুফ, সিলেট

সিলেট নগরীর ছড়ারপাড়ের বাসিন্দা রেহেনা বেগম। বাড়িতে বুকসমান পানি। চার দিন ধরে আছেন নগরীর প্রাণকেন্দ্র দুর্গাকুমার পাঠশালা আশ্রয়কেন্দ্রে। গতকাল সোমবার তিনি বলেন, ‘বাসায় তো থাকার উপায় নেই। এখানে আছি চার দিন হলো। কিন্তু পানি ও গ্যাস না থাকায় রান্নাবান্নাও করা যাচ্ছে না এখানে। কালকে একবার খাবার পেয়েছি আর পাইনি।’
নগরীর ছড়ারপাড়ের রামকৃষ্ণ বালিকা উচ্চবিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্রের বারান্দায় স্ত্রী-সন্তান নিয়ে তিন দিন ধরে আছেন আবদুল জাহির। তিনি বলেন, ‘ভেতরে জায়গা নেই, এ জন্য বারান্দায় আছি। দুই ছেলে ও দুই মেয়ে। এখনো সরকারি কোনো সহায়তা মেলেনি।’ তাঁর সঙ্গে কথা বলতে বলতেই সেখানে রান্না করা খাবার নিয়ে আসেন নগরীর ১৫ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি শুয়েব আহমেদ শানু। সংবাদকর্মী দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করে শানু বলেন, ‘এই এলাকায় তিনটি আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় হাজারখানেক মানুষ রয়েছে। এখনো কোনো সরকারি সহায়তা আসেনি। সিটি করপোরেশন থেকেও কোনো খাবার দেয়নি। আমরা নিজ উদ্যোগে সামান্য খাবার দিচ্ছি।’
সিলেট নগরীর আশ্রয়কেন্দ্রগুলোর অবস্থা এমনই। একই অবস্থা সিলেট-সুনামগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলার বেশির ভাগ আশ্রয়কেন্দ্রে। অর্ধাহারে-অনাহারে দিন কাটাচ্ছেন বানভাসি মানুষেরা। খাবারের সংকটের পাশাপাশি রয়েছে বিশুদ্ধ পানি ও পয়োনিষ্কাশনের তীব্র সংকটও। সোমবার সিলেট নগরী ঘুরে ও বিভিন্ন উপজেলার কয়েকটি আশ্রয়কেন্দ্রের খোঁজ নিয়ে এমন চিত্র মিলেছে।
বানভাসি মানুষের অভিযোগ, প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের কোনো খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে না। আশ্রয়কেন্দ্রে ব্যক্তি উদ্যোগে চলছে খাবার ও বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা।
সিলেট সিটি করপোরেশনের বিদ্যুৎ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী (আশ্রয় কেন্দ্রের অতিরিক্ত দায়িত্ব) রুহুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত ত্রাণ বিতরণ শুরু না হলেও কাউন্সিলরা ব্যক্তি উদ্যোগে বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে খাবার বিতরণ করছেন। আমরা সামান্য বরাদ্দ পেয়েছি, এগুলো শেষ। বরাদ্দ পেলে বিতরণ করা হবে।’
সুরমা কমছে, কুশিয়ারায় বাড়ছে
সিলেট-সুনামগঞ্জের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি প্রায় অপরিবর্তিত রয়েছে। সিলেট নগরীতে কিছু কিছু জায়গা থেকে পানি দু-এক হাত নেমে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। সুরমা নদীর পনি কমলেও বাড়ছে কুশিয়ারায়। তবে অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত না হলে বন্যা পরিস্থিতির আর অবনতি হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানায়, গতকাল সন্ধ্যা ৬টায় সুরমা নদী সিলেট পয়েন্টে বিপৎসীমার ১০ দশমিক ৮০ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। আগের দিন এ সময় ছিল ১১ দশমিক ৩২ সেন্টিমিটার। কুশিয়ারার অমলসীদ পয়েন্টে আগের দিন ছিল বিপদসীমার ১৫ দশমিক ৪০ সেন্টিমিটার ওপরে। গতকাল সন্ধ্যা ৬টায় সেটা পৌঁছায় ১৭ দশমিক ২৬ সেন্টিমিটারে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের সিলেট বিভাগীয় অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী এস এম শহিদুল ইসলাম গতকাল রাত ৯টায় আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সিলেট-সুনামগঞ্জ দুই জেলাতেই পানি কমতে শুরু করেছে। তবে কুশিয়ারার তিনটি পয়েন্টে পানি কিছুটা বেড়েছে। অতিরিক্ত বৃষ্টি না হলে আশা করা যায় পানি আর বাড়বে না।’
সিলেটের গোয়াইনঘাটের সালুটিকর ডিগ্রি কলেজ আশ্রয়কেন্দ্রে পরিবারের তিন সদস্য নিয়ে আছেন তমিজ মিয়া। তিনি বলেন, ‘সোমবার থেকে এই আশ্রয়কেন্দ্রে রয়েছি। সরকারি কোনো সহায়তা তো দূরের কথা, কোনো খাবারও দিচ্ছে না। খেয়ে না-খেয়ে বেঁচে আছি। সরকার কলেজ বিল্ডিং করে দেওয়ায় আশ্রয় পেয়েছি। এটাই শুকরিয়া।’
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ এলাকার বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্র ঘুরে দেখেছেন ওই উপজেলার বাসিন্দা শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. জফির সেতু। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে ত্রাণের জন্য হাহাকারের চিত্র তুলে ধরে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দীঘলবাঁকের পাড়-ফেদারগাঁও উচ্চবিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্রে গিয়েছিলাম। তাদের খাওয়ার পানি নেই, খাবার নেই। বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত এই আশ্রয়কেন্দ্রে কাউকে এক প্যাকেট ত্রাণ নিয়ে আসতে দেখিনি। খাবারের অভাবে মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়েছে। বাচ্চারাও কান্না করছিল।’
কোম্পানীগঞ্জ থানা সদর উচ্চবিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্রে পরিবার নিয়ে আছেন বুড়দেও গ্রামের মাসুম মিয়া। তিনি জানান, মাঝেমধ্যে ব্যক্তি উদ্যোগে কেউ কেউ খাবার ও পানি নিয়ে আসেন। তবে সরকারি কোনো বরাদ্দ আসেনি।
সুনামগঞ্জের ছাতকের গোবিন্দগঞ্জ ডিগ্রি কলেজে আশ্রয় নেওয়া মিলন বেগম জানান, বন্যায় মাথা গোঁজার ঠাঁইটুকু ভেসে গেছে। গরু-ছাগল রক্ষা করতে পারেননি। ছেলেমেয়েসহ পরিবারের সবাই উঠেছেন গোবিন্দগঞ্জ কলেজের আশ্রয়কেন্দ্রে। তিনি বলেন, ‘এখানে খাবারের সংকট। এক বেলা খেয়ে কোনো রকম দিন পার করছি।’
বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার ফতেহপুর আশ্রয়কেন্দ্রে পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন অনেকেই। এঁদের একজন সুমন মিয়া। তিনি বলেন, ‘খাবার-পানি কিছু নাই। কামকাজ না থাকায় টাকাও নাই। তাই কিনেও খেতে পারতেছি না।’
ত্রাণ তৎপরতার বিষয়ে জানতে চাইলে সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান বলেন, জেলায় এ পর্যন্ত ৬১২ টন চাল, প্রায় ৮ হাজার প্যাকেট খাবার ও ৩৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে। নৌকার সংকট ও যোগাযোগ বিচ্ছিন্নতার কারণে অনেক দুর্গম এলাকায় পৌঁছানো যাচ্ছে না।’
সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের দাবি, ত্রাণের কোনো সংকট নেই। তিনি বলেন, ‘ইতিমধ্যে ৭৭০ মেট্রিক টন জিআর চাল, ৮ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার, ৫০ বস্তা চিড়া-মুড়ি ও নগদ ৮০ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। এ ছাড়া প্রতিদিন রান্না করা ২০ হাজার প্যাকেট খিচুড়ি বিতরণ করা হচ্ছে। পর্যাপ্ত ত্রাণ আমাদের আছে।’

সিলেট নগরীর ছড়ারপাড়ের বাসিন্দা রেহেনা বেগম। বাড়িতে বুকসমান পানি। চার দিন ধরে আছেন নগরীর প্রাণকেন্দ্র দুর্গাকুমার পাঠশালা আশ্রয়কেন্দ্রে। গতকাল সোমবার তিনি বলেন, ‘বাসায় তো থাকার উপায় নেই। এখানে আছি চার দিন হলো। কিন্তু পানি ও গ্যাস না থাকায় রান্নাবান্নাও করা যাচ্ছে না এখানে। কালকে একবার খাবার পেয়েছি আর পাইনি।’
নগরীর ছড়ারপাড়ের রামকৃষ্ণ বালিকা উচ্চবিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্রের বারান্দায় স্ত্রী-সন্তান নিয়ে তিন দিন ধরে আছেন আবদুল জাহির। তিনি বলেন, ‘ভেতরে জায়গা নেই, এ জন্য বারান্দায় আছি। দুই ছেলে ও দুই মেয়ে। এখনো সরকারি কোনো সহায়তা মেলেনি।’ তাঁর সঙ্গে কথা বলতে বলতেই সেখানে রান্না করা খাবার নিয়ে আসেন নগরীর ১৫ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি শুয়েব আহমেদ শানু। সংবাদকর্মী দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করে শানু বলেন, ‘এই এলাকায় তিনটি আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় হাজারখানেক মানুষ রয়েছে। এখনো কোনো সরকারি সহায়তা আসেনি। সিটি করপোরেশন থেকেও কোনো খাবার দেয়নি। আমরা নিজ উদ্যোগে সামান্য খাবার দিচ্ছি।’
সিলেট নগরীর আশ্রয়কেন্দ্রগুলোর অবস্থা এমনই। একই অবস্থা সিলেট-সুনামগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলার বেশির ভাগ আশ্রয়কেন্দ্রে। অর্ধাহারে-অনাহারে দিন কাটাচ্ছেন বানভাসি মানুষেরা। খাবারের সংকটের পাশাপাশি রয়েছে বিশুদ্ধ পানি ও পয়োনিষ্কাশনের তীব্র সংকটও। সোমবার সিলেট নগরী ঘুরে ও বিভিন্ন উপজেলার কয়েকটি আশ্রয়কেন্দ্রের খোঁজ নিয়ে এমন চিত্র মিলেছে।
বানভাসি মানুষের অভিযোগ, প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের কোনো খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে না। আশ্রয়কেন্দ্রে ব্যক্তি উদ্যোগে চলছে খাবার ও বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা।
সিলেট সিটি করপোরেশনের বিদ্যুৎ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী (আশ্রয় কেন্দ্রের অতিরিক্ত দায়িত্ব) রুহুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত ত্রাণ বিতরণ শুরু না হলেও কাউন্সিলরা ব্যক্তি উদ্যোগে বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে খাবার বিতরণ করছেন। আমরা সামান্য বরাদ্দ পেয়েছি, এগুলো শেষ। বরাদ্দ পেলে বিতরণ করা হবে।’
সুরমা কমছে, কুশিয়ারায় বাড়ছে
সিলেট-সুনামগঞ্জের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি প্রায় অপরিবর্তিত রয়েছে। সিলেট নগরীতে কিছু কিছু জায়গা থেকে পানি দু-এক হাত নেমে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। সুরমা নদীর পনি কমলেও বাড়ছে কুশিয়ারায়। তবে অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত না হলে বন্যা পরিস্থিতির আর অবনতি হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানায়, গতকাল সন্ধ্যা ৬টায় সুরমা নদী সিলেট পয়েন্টে বিপৎসীমার ১০ দশমিক ৮০ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। আগের দিন এ সময় ছিল ১১ দশমিক ৩২ সেন্টিমিটার। কুশিয়ারার অমলসীদ পয়েন্টে আগের দিন ছিল বিপদসীমার ১৫ দশমিক ৪০ সেন্টিমিটার ওপরে। গতকাল সন্ধ্যা ৬টায় সেটা পৌঁছায় ১৭ দশমিক ২৬ সেন্টিমিটারে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের সিলেট বিভাগীয় অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী এস এম শহিদুল ইসলাম গতকাল রাত ৯টায় আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সিলেট-সুনামগঞ্জ দুই জেলাতেই পানি কমতে শুরু করেছে। তবে কুশিয়ারার তিনটি পয়েন্টে পানি কিছুটা বেড়েছে। অতিরিক্ত বৃষ্টি না হলে আশা করা যায় পানি আর বাড়বে না।’
সিলেটের গোয়াইনঘাটের সালুটিকর ডিগ্রি কলেজ আশ্রয়কেন্দ্রে পরিবারের তিন সদস্য নিয়ে আছেন তমিজ মিয়া। তিনি বলেন, ‘সোমবার থেকে এই আশ্রয়কেন্দ্রে রয়েছি। সরকারি কোনো সহায়তা তো দূরের কথা, কোনো খাবারও দিচ্ছে না। খেয়ে না-খেয়ে বেঁচে আছি। সরকার কলেজ বিল্ডিং করে দেওয়ায় আশ্রয় পেয়েছি। এটাই শুকরিয়া।’
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ এলাকার বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্র ঘুরে দেখেছেন ওই উপজেলার বাসিন্দা শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. জফির সেতু। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে ত্রাণের জন্য হাহাকারের চিত্র তুলে ধরে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দীঘলবাঁকের পাড়-ফেদারগাঁও উচ্চবিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্রে গিয়েছিলাম। তাদের খাওয়ার পানি নেই, খাবার নেই। বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত এই আশ্রয়কেন্দ্রে কাউকে এক প্যাকেট ত্রাণ নিয়ে আসতে দেখিনি। খাবারের অভাবে মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়েছে। বাচ্চারাও কান্না করছিল।’
কোম্পানীগঞ্জ থানা সদর উচ্চবিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্রে পরিবার নিয়ে আছেন বুড়দেও গ্রামের মাসুম মিয়া। তিনি জানান, মাঝেমধ্যে ব্যক্তি উদ্যোগে কেউ কেউ খাবার ও পানি নিয়ে আসেন। তবে সরকারি কোনো বরাদ্দ আসেনি।
সুনামগঞ্জের ছাতকের গোবিন্দগঞ্জ ডিগ্রি কলেজে আশ্রয় নেওয়া মিলন বেগম জানান, বন্যায় মাথা গোঁজার ঠাঁইটুকু ভেসে গেছে। গরু-ছাগল রক্ষা করতে পারেননি। ছেলেমেয়েসহ পরিবারের সবাই উঠেছেন গোবিন্দগঞ্জ কলেজের আশ্রয়কেন্দ্রে। তিনি বলেন, ‘এখানে খাবারের সংকট। এক বেলা খেয়ে কোনো রকম দিন পার করছি।’
বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার ফতেহপুর আশ্রয়কেন্দ্রে পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন অনেকেই। এঁদের একজন সুমন মিয়া। তিনি বলেন, ‘খাবার-পানি কিছু নাই। কামকাজ না থাকায় টাকাও নাই। তাই কিনেও খেতে পারতেছি না।’
ত্রাণ তৎপরতার বিষয়ে জানতে চাইলে সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান বলেন, জেলায় এ পর্যন্ত ৬১২ টন চাল, প্রায় ৮ হাজার প্যাকেট খাবার ও ৩৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে। নৌকার সংকট ও যোগাযোগ বিচ্ছিন্নতার কারণে অনেক দুর্গম এলাকায় পৌঁছানো যাচ্ছে না।’
সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের দাবি, ত্রাণের কোনো সংকট নেই। তিনি বলেন, ‘ইতিমধ্যে ৭৭০ মেট্রিক টন জিআর চাল, ৮ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার, ৫০ বস্তা চিড়া-মুড়ি ও নগদ ৮০ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। এ ছাড়া প্রতিদিন রান্না করা ২০ হাজার প্যাকেট খিচুড়ি বিতরণ করা হচ্ছে। পর্যাপ্ত ত্রাণ আমাদের আছে।’

পাবনার সাঁথিয়া ও বেড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাগেশ্বরী-ডি-২ ক্যানালের (কৈটলা পাম্প হাউস থেকে মুক্তার ধর পর্যন্ত খাল) প্রায় ৩০ কিলোমিটার এলাকায় অন্তত ১০টি স্থানে অবৈধভাবে সুতি জালের বাঁধ দিয়ে মাছ শিকার করা হচ্ছে। এতে পানিপ্রবাহে বাধা সৃষ্টি হয়ে ক্যানাল পাড়ের জমিতে পানি জমে রয়েছে। ফলে পাকা ও আধা...
৬ মিনিট আগে
ভোরের কুয়াশা কাটেনি তখনো। রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার চকগোচর গ্রামের সরু পথে হাঁটলে দূর থেকে দেখা যায়—সারি সারি খেজুরগাছে ঝুলছে মাটির হাঁড়ি। গাছের মাথা থেকে ঝরছে রস। একটার পর একটা গাছে উঠে গাছিরা নামিয়ে আনছেন রসের হাঁড়ি।
১৪ মিনিট আগে
গাজীপুর মহানগরের জয়দেবপুর রেলক্রসিং এলাকায় অবৈধভাবে গড়ে ওঠা শতাধিক দোকান, অস্থায়ী স্থাপনা ও হকারদের উচ্ছেদ করেছে প্রশাসন। বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) সকালে গাজীপুর সিটি করপোরেশন (গাসিক), জেলা প্রশাসন, মহানগর পুলিশ ও রেলওয়ের সমন্বয়ে উচ্ছেদ চালানো হয়।
৩৪ মিনিট আগে
ঢাকা ইপিজেড, আশুলিয়া, নবীনগর ও গাজীপুরের আংশিক এলাকায় আগামীকাল শুক্রবার সকাল থেকে শনিবার পর্যন্ত গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে। আজ বৃহস্পতিবার তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেআবুল কাশেম, সাঁথিয়া (পাবনা)

পাবনার সাঁথিয়া ও বেড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাগেশ্বরী-ডি-২ ক্যানালের (কৈটলা পাম্প হাউস থেকে মুক্তার ধর পর্যন্ত খাল) প্রায় ৩০ কিলোমিটার এলাকায় অন্তত ১০টি স্থানে অবৈধভাবে সুতি জালের বাঁধ দিয়ে মাছ শিকার করা হচ্ছে। এতে পানিপ্রবাহে বাধা সৃষ্টি হয়ে ক্যানাল পাড়ের জমিতে পানি জমে রয়েছে। ফলে পাকা ও আধা পাকা আমন ধান পানির নিচে ডুবে আছে।
এ ছাড়া চলতি রবি মৌসুমে হাজার হাজার হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ, মরিচ, রসুন ও সরিষার আবাদ ব্যাহত হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অবহেলায় এমনটি হচ্ছে অভিযোগ করে বাঁধ অপসারণের দাবিতে ইউএনও ও জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন কৃষকেরা।
লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, কৈটলা পাম্প হাউস থেকে মুক্তার ধর পর্যন্ত প্রায় ৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই ক্যানাল দিয়ে বর্ষা শেষে সাঁথিয়ার প্রায় ১৫টি বিলের পানি নিষ্কাশন হয়। কিন্তু মাছ ধরার জন্য প্রায় ১০টি স্থানে সুতি জালের বাঁধ তৈরি করা হয়েছে। এর মধ্যে ৫টি স্থানে ইতিমধ্যে জাল টানানো হয়েছে। ফলে মুক্তার ধর, সোনাই বিল, ঘুঘুদহ বিল, জামাইদহ, বড়গ্রাম বিল, খোলসা খালি বিল, কাটিয়াদহ বিল, গাঙভাঙা বিল ও টেংরাগাড়ী বিলের পানি বের হতে না পারায় হাজার হাজার হেক্টর জমির ধান নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা করছেন কৃষকেরা।
অন্যদিকে পানি না নামায় কৃষকেরা পেঁয়াজের বীজতলা তৈরি করতে পারছেন না। প্রতিবছর কাদামাটির ওপর বীজতলা তৈরি হলেও এবার জমিতে পানি থাকায় কাজ শুরু করা সম্ভব হচ্ছে না। বিলপাড়ে কৃষকেরা বীজতলার জন্য হাজার হাজার বস্তা ছাই মজুত করে রেখেছেন, পানি নামলেই বীজতলা তৈরি করবেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এ ক্যানালের বিভিন্ন অংশে সুফলভোগী মৎস্যজীবীরা লিজ নিয়ে মাছের অভয়ারণ্য গড়ে তুলেছেন। কিন্তু মৎস্য অফিস ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের তদারকির অভাবে লিজকে পুঁজি করে প্রভাবশালীদের সহযোগিতায় এসব সুফলভোগী সুতি জালের অবৈধ বাঁধ নির্মাণ করেন। প্রতিবছর যা কৃষকদের জন্য বড় বিপদ হয়ে দেখা দেয়।
কাশিনাথপুর ইউনিয়নের দোয়ারগাড়ী বিলে দেখা গেছে, কোমরসমান পানিতে আধা পাকা ধান পড়ে আছে। কোথাও কোথাও কৃষকেরা হাঁটুপানিতে জমি পরিষ্কার করে পেঁয়াজের বীজতলা তৈরির ব্যর্থ চেষ্টা করছেন। সরেজমিনে দেখা গেছে, শামুকজানী বাজারের দক্ষিণে, দত্তপাড়া গ্রামের পশ্চিমে, বড়গ্রাম, তালপট্টি নামক স্থানের ব্রিজের পূর্ব ও পশ্চিম পাশে, সৈয়দপুর মৌজা এবং পুন্ডুরিয়া ব্রিজের পাশে অন্তত ৫টি স্থানে সুতি জালের বাঁধ দেওয়া হয়েছে। তালাই, পলিথিন ও বাঁশ দিয়ে তৈরি এসব বাঁধে কচুরিপানা জমে পানিপ্রবাহ সম্পূর্ণভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
জানতে চাইলে সৈয়দপুর গ্রামের মোস্তফা প্রামাণিক বলেন, ‘মাছের অভয়ারণ্যের জন্য লিজ নিয়ে মাছ শিকার করি। তবে সুতি জালের জন্য লিজ নেওয়া হয়নি।’
অনেক চেষ্টার পরেও অবৈধভাবে সুতি জালের বাঁধ দেওয়া ব্যক্তিদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে বাঁধে মাছ শিকার করা ব্যক্তিরা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘আমরা পানি উন্নয়ন বোর্ড ও উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তর থেকে লিজ নিয়ে মাছ শিকার করছি।’
এ বিষয়ে বেড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল হামিদ বলেন, ‘পানিপ্রবাহে বাধা সৃষ্টি করে সুতি জালের বাঁধ দিয়ে মাছশিকারের জন্য কাউকে কোনো লিজ দেওয়া হয়নি।’ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সামসুল রহমান বলেন, ‘আমরা খবর পেয়ে উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় অভিযান চালাই। সুতি জাল কেটে দিয়ে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করি। তাঁরা তিন দিনের মধ্যে বাঁশ অপসারণের আশ্বাস দিয়েছেন। তা না করলে আবারও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
সাঁথিয়া ইউএনও রিজু তামান্না বলেন, ‘বিষয়টি আমরা জানি। এসি ল্যান্ডকে পাঠানো হয়েছিল। তাঁরা সময় চেয়েছেন। দ্রুত অপসারণ না হলে মৎস্য অফিস, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও প্রশাসন একসঙ্গে অভিযান চালিয়ে বাঁধ উচ্ছেদ করা হবে।’

পাবনার সাঁথিয়া ও বেড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাগেশ্বরী-ডি-২ ক্যানালের (কৈটলা পাম্প হাউস থেকে মুক্তার ধর পর্যন্ত খাল) প্রায় ৩০ কিলোমিটার এলাকায় অন্তত ১০টি স্থানে অবৈধভাবে সুতি জালের বাঁধ দিয়ে মাছ শিকার করা হচ্ছে। এতে পানিপ্রবাহে বাধা সৃষ্টি হয়ে ক্যানাল পাড়ের জমিতে পানি জমে রয়েছে। ফলে পাকা ও আধা পাকা আমন ধান পানির নিচে ডুবে আছে।
এ ছাড়া চলতি রবি মৌসুমে হাজার হাজার হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ, মরিচ, রসুন ও সরিষার আবাদ ব্যাহত হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অবহেলায় এমনটি হচ্ছে অভিযোগ করে বাঁধ অপসারণের দাবিতে ইউএনও ও জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন কৃষকেরা।
লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, কৈটলা পাম্প হাউস থেকে মুক্তার ধর পর্যন্ত প্রায় ৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই ক্যানাল দিয়ে বর্ষা শেষে সাঁথিয়ার প্রায় ১৫টি বিলের পানি নিষ্কাশন হয়। কিন্তু মাছ ধরার জন্য প্রায় ১০টি স্থানে সুতি জালের বাঁধ তৈরি করা হয়েছে। এর মধ্যে ৫টি স্থানে ইতিমধ্যে জাল টানানো হয়েছে। ফলে মুক্তার ধর, সোনাই বিল, ঘুঘুদহ বিল, জামাইদহ, বড়গ্রাম বিল, খোলসা খালি বিল, কাটিয়াদহ বিল, গাঙভাঙা বিল ও টেংরাগাড়ী বিলের পানি বের হতে না পারায় হাজার হাজার হেক্টর জমির ধান নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা করছেন কৃষকেরা।
অন্যদিকে পানি না নামায় কৃষকেরা পেঁয়াজের বীজতলা তৈরি করতে পারছেন না। প্রতিবছর কাদামাটির ওপর বীজতলা তৈরি হলেও এবার জমিতে পানি থাকায় কাজ শুরু করা সম্ভব হচ্ছে না। বিলপাড়ে কৃষকেরা বীজতলার জন্য হাজার হাজার বস্তা ছাই মজুত করে রেখেছেন, পানি নামলেই বীজতলা তৈরি করবেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এ ক্যানালের বিভিন্ন অংশে সুফলভোগী মৎস্যজীবীরা লিজ নিয়ে মাছের অভয়ারণ্য গড়ে তুলেছেন। কিন্তু মৎস্য অফিস ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের তদারকির অভাবে লিজকে পুঁজি করে প্রভাবশালীদের সহযোগিতায় এসব সুফলভোগী সুতি জালের অবৈধ বাঁধ নির্মাণ করেন। প্রতিবছর যা কৃষকদের জন্য বড় বিপদ হয়ে দেখা দেয়।
কাশিনাথপুর ইউনিয়নের দোয়ারগাড়ী বিলে দেখা গেছে, কোমরসমান পানিতে আধা পাকা ধান পড়ে আছে। কোথাও কোথাও কৃষকেরা হাঁটুপানিতে জমি পরিষ্কার করে পেঁয়াজের বীজতলা তৈরির ব্যর্থ চেষ্টা করছেন। সরেজমিনে দেখা গেছে, শামুকজানী বাজারের দক্ষিণে, দত্তপাড়া গ্রামের পশ্চিমে, বড়গ্রাম, তালপট্টি নামক স্থানের ব্রিজের পূর্ব ও পশ্চিম পাশে, সৈয়দপুর মৌজা এবং পুন্ডুরিয়া ব্রিজের পাশে অন্তত ৫টি স্থানে সুতি জালের বাঁধ দেওয়া হয়েছে। তালাই, পলিথিন ও বাঁশ দিয়ে তৈরি এসব বাঁধে কচুরিপানা জমে পানিপ্রবাহ সম্পূর্ণভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
জানতে চাইলে সৈয়দপুর গ্রামের মোস্তফা প্রামাণিক বলেন, ‘মাছের অভয়ারণ্যের জন্য লিজ নিয়ে মাছ শিকার করি। তবে সুতি জালের জন্য লিজ নেওয়া হয়নি।’
অনেক চেষ্টার পরেও অবৈধভাবে সুতি জালের বাঁধ দেওয়া ব্যক্তিদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে বাঁধে মাছ শিকার করা ব্যক্তিরা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘আমরা পানি উন্নয়ন বোর্ড ও উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তর থেকে লিজ নিয়ে মাছ শিকার করছি।’
এ বিষয়ে বেড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল হামিদ বলেন, ‘পানিপ্রবাহে বাধা সৃষ্টি করে সুতি জালের বাঁধ দিয়ে মাছশিকারের জন্য কাউকে কোনো লিজ দেওয়া হয়নি।’ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সামসুল রহমান বলেন, ‘আমরা খবর পেয়ে উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় অভিযান চালাই। সুতি জাল কেটে দিয়ে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করি। তাঁরা তিন দিনের মধ্যে বাঁশ অপসারণের আশ্বাস দিয়েছেন। তা না করলে আবারও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
সাঁথিয়া ইউএনও রিজু তামান্না বলেন, ‘বিষয়টি আমরা জানি। এসি ল্যান্ডকে পাঠানো হয়েছিল। তাঁরা সময় চেয়েছেন। দ্রুত অপসারণ না হলে মৎস্য অফিস, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও প্রশাসন একসঙ্গে অভিযান চালিয়ে বাঁধ উচ্ছেদ করা হবে।’

সিলেট নগরীর ছড়ারপাড়ের বাসিন্দা রেহেনা বেগম। বাড়িতে বুকসমান পানি। চার দিন ধরে আছেন নগরীর প্রাণকেন্দ্র দুর্গাকুমার পাঠশালা আশ্রয়কেন্দ্রে। গতকাল সোমবার তিনি বলেন, ‘বাসায় তো থাকার উপায় নেই। এখানে আছি চার দিন হলো। কিন্তু পানি ও গ্যাস না থাকায় রান্নাবান্নাও করা যাচ্ছে না এখানে। কালকে একবার খাবার পেয়েছি আর
২১ জুন ২০২২
ভোরের কুয়াশা কাটেনি তখনো। রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার চকগোচর গ্রামের সরু পথে হাঁটলে দূর থেকে দেখা যায়—সারি সারি খেজুরগাছে ঝুলছে মাটির হাঁড়ি। গাছের মাথা থেকে ঝরছে রস। একটার পর একটা গাছে উঠে গাছিরা নামিয়ে আনছেন রসের হাঁড়ি।
১৪ মিনিট আগে
গাজীপুর মহানগরের জয়দেবপুর রেলক্রসিং এলাকায় অবৈধভাবে গড়ে ওঠা শতাধিক দোকান, অস্থায়ী স্থাপনা ও হকারদের উচ্ছেদ করেছে প্রশাসন। বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) সকালে গাজীপুর সিটি করপোরেশন (গাসিক), জেলা প্রশাসন, মহানগর পুলিশ ও রেলওয়ের সমন্বয়ে উচ্ছেদ চালানো হয়।
৩৪ মিনিট আগে
ঢাকা ইপিজেড, আশুলিয়া, নবীনগর ও গাজীপুরের আংশিক এলাকায় আগামীকাল শুক্রবার সকাল থেকে শনিবার পর্যন্ত গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে। আজ বৃহস্পতিবার তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেরাজশাহীতে খেজুর রসের মৌসুম
রিমন রহমান, রাজশাহী

ভোরের কুয়াশা কাটেনি তখনো। রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার চকগোচর গ্রামের সরু পথে হাঁটলে দূর থেকে দেখা যায়—সারি সারি খেজুরগাছে ঝুলছে মাটির হাঁড়ি। গাছের মাথা থেকে ঝরছে রস। একটার পর একটা গাছে উঠে গাছিরা নামিয়ে আনছেন রসের হাঁড়ি।
প্রতিবছর অক্টোবরের শেষ দিকে রাজশাহীর বাঘা, চারঘাট ও পুঠিয়া উপজেলায় শুরু হয় খেজুরের রস আহরণ ও গুড় তৈরির মৌসুম। রস সংগ্রহের জন্য গাছ প্রস্তুত করে পাতা হয় মাটির হাঁড়ি। সারা রাত ধরে ফোঁটা ফোঁটা রস জমে হাঁড়িতে। সকালে সেই রস নিয়ে শুরু হয় গুড় তৈরির ব্যস্ততা। বড় চুলায় ফুটন্ত রসের ঘ্রাণে তখন মিষ্টি হয়ে ওঠে পুরো গ্রাম।
রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, জেলায় খেজুরগাছের সংখ্যা ১১ লাখ ৮ হাজার ১৮টি। প্রতিটি গাছ থেকে গড়ে ২৫ লিটার রস পাওয়া যায়, যা থেকে প্রায় ১০ কেজি গুড় তৈরি হয়। নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলে রস সংগ্রহ মৌসুম। গত বছর রাজশাহীতে প্রায় ১০ হাজার টন গুড় উৎপাদিত হয়েছে। এতে প্রায় ৫০ হাজার গাছির আয় হয়েছে প্রায় ২০০ কোটি টাকা। চলতি মৌসুমে আরও বেশি গুড় উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে।
চারঘাট উপজেলার চকগোচর গ্রামের গাছি মো. ওবায়দুল বলেন, গ্রামের প্রায় ৮০ শতাংশ মানুষ এই কাজের সঙ্গে যুক্ত। চিনির দাম কম হওয়ায় অনেকে আবার রসের সঙ্গে চিনিও মিশিয়ে দিচ্ছেন। এতে লাভ বেশি হচ্ছে। তবে যাঁরা চিনি দিয়ে গুড় তৈরি করেন না, তাঁদের গুড়ের দাম কিছুটা বেশি। এখন অনলাইনে খাঁটি গুড়ের ভালো চাহিদা আছে।
গত বুধবার ভোরে পুঠিয়ার ভুবননগর গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, গাছ থেকে রস নামাচ্ছেন মো. রানা। তাঁর বাইসাইকেলে দুটি বড় বড় জার বাঁধা। গাছ থেকে নামানো রস নেওয়া হচ্ছে ওই জারে। রানা বলেন, ‘আমার ইজারা নেওয়া ৫২টি গাছ থেকে প্রতিদিন প্রায় ৬০ লিটার রস পাই। এতে ১০-১১ কেজি গুড় হয়।’ একই গ্রামের জালাল উদ্দিনের বাড়িতে দেখা গেল, তাঁর স্ত্রী রওশন আরা রস জ্বাল দিচ্ছেন। রওশন বলেন, এবার মৌসুমের শুরুতেই ১৬০ টাকা কেজি দরে গুড় বিক্রি হচ্ছে।
পুঠিয়ার জরমডাঙ্গা গ্রামের গাছি সাইফুল ইসলাম মিলু বলেন, যাঁদের গাছ আছে তাঁদের বেশির ভাগই রস নামাতে পারেন না। তাই তাঁরা এক মৌসুমের জন্য গাছ ইজারা দিয়ে দেন। গাছ দেখে ইজারার দাম হয়। কোনো গাছের জন্য দিতে হয় ৫০০ টাকা, কোনোটির ইজারামূল্য ১ হাজার। একজন গাছি সাধারণত ৩০ থেকে ১০০টি গাছ ইজারা নেন।
রাজশাহী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন বলেন, ‘রাজশাহীর খেজুর গুড়ের সুনাম সারা দেশে। গেল মৌসুমে প্রায় ২০০ কোটি টাকার গুড় বিক্রি হয়েছে। এবার আরও বেশি উৎপাদন হবে বলে আশা করছি। তবে কিছু অসাধু গাছি গুড়ের সঙ্গে চিনি মেশাচ্ছেন, যা রাজশাহীর খাঁটি গুড়ের সুনামের জন্য হুমকি।’

ভোরের কুয়াশা কাটেনি তখনো। রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার চকগোচর গ্রামের সরু পথে হাঁটলে দূর থেকে দেখা যায়—সারি সারি খেজুরগাছে ঝুলছে মাটির হাঁড়ি। গাছের মাথা থেকে ঝরছে রস। একটার পর একটা গাছে উঠে গাছিরা নামিয়ে আনছেন রসের হাঁড়ি।
প্রতিবছর অক্টোবরের শেষ দিকে রাজশাহীর বাঘা, চারঘাট ও পুঠিয়া উপজেলায় শুরু হয় খেজুরের রস আহরণ ও গুড় তৈরির মৌসুম। রস সংগ্রহের জন্য গাছ প্রস্তুত করে পাতা হয় মাটির হাঁড়ি। সারা রাত ধরে ফোঁটা ফোঁটা রস জমে হাঁড়িতে। সকালে সেই রস নিয়ে শুরু হয় গুড় তৈরির ব্যস্ততা। বড় চুলায় ফুটন্ত রসের ঘ্রাণে তখন মিষ্টি হয়ে ওঠে পুরো গ্রাম।
রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, জেলায় খেজুরগাছের সংখ্যা ১১ লাখ ৮ হাজার ১৮টি। প্রতিটি গাছ থেকে গড়ে ২৫ লিটার রস পাওয়া যায়, যা থেকে প্রায় ১০ কেজি গুড় তৈরি হয়। নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলে রস সংগ্রহ মৌসুম। গত বছর রাজশাহীতে প্রায় ১০ হাজার টন গুড় উৎপাদিত হয়েছে। এতে প্রায় ৫০ হাজার গাছির আয় হয়েছে প্রায় ২০০ কোটি টাকা। চলতি মৌসুমে আরও বেশি গুড় উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে।
চারঘাট উপজেলার চকগোচর গ্রামের গাছি মো. ওবায়দুল বলেন, গ্রামের প্রায় ৮০ শতাংশ মানুষ এই কাজের সঙ্গে যুক্ত। চিনির দাম কম হওয়ায় অনেকে আবার রসের সঙ্গে চিনিও মিশিয়ে দিচ্ছেন। এতে লাভ বেশি হচ্ছে। তবে যাঁরা চিনি দিয়ে গুড় তৈরি করেন না, তাঁদের গুড়ের দাম কিছুটা বেশি। এখন অনলাইনে খাঁটি গুড়ের ভালো চাহিদা আছে।
গত বুধবার ভোরে পুঠিয়ার ভুবননগর গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, গাছ থেকে রস নামাচ্ছেন মো. রানা। তাঁর বাইসাইকেলে দুটি বড় বড় জার বাঁধা। গাছ থেকে নামানো রস নেওয়া হচ্ছে ওই জারে। রানা বলেন, ‘আমার ইজারা নেওয়া ৫২টি গাছ থেকে প্রতিদিন প্রায় ৬০ লিটার রস পাই। এতে ১০-১১ কেজি গুড় হয়।’ একই গ্রামের জালাল উদ্দিনের বাড়িতে দেখা গেল, তাঁর স্ত্রী রওশন আরা রস জ্বাল দিচ্ছেন। রওশন বলেন, এবার মৌসুমের শুরুতেই ১৬০ টাকা কেজি দরে গুড় বিক্রি হচ্ছে।
পুঠিয়ার জরমডাঙ্গা গ্রামের গাছি সাইফুল ইসলাম মিলু বলেন, যাঁদের গাছ আছে তাঁদের বেশির ভাগই রস নামাতে পারেন না। তাই তাঁরা এক মৌসুমের জন্য গাছ ইজারা দিয়ে দেন। গাছ দেখে ইজারার দাম হয়। কোনো গাছের জন্য দিতে হয় ৫০০ টাকা, কোনোটির ইজারামূল্য ১ হাজার। একজন গাছি সাধারণত ৩০ থেকে ১০০টি গাছ ইজারা নেন।
রাজশাহী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন বলেন, ‘রাজশাহীর খেজুর গুড়ের সুনাম সারা দেশে। গেল মৌসুমে প্রায় ২০০ কোটি টাকার গুড় বিক্রি হয়েছে। এবার আরও বেশি উৎপাদন হবে বলে আশা করছি। তবে কিছু অসাধু গাছি গুড়ের সঙ্গে চিনি মেশাচ্ছেন, যা রাজশাহীর খাঁটি গুড়ের সুনামের জন্য হুমকি।’

সিলেট নগরীর ছড়ারপাড়ের বাসিন্দা রেহেনা বেগম। বাড়িতে বুকসমান পানি। চার দিন ধরে আছেন নগরীর প্রাণকেন্দ্র দুর্গাকুমার পাঠশালা আশ্রয়কেন্দ্রে। গতকাল সোমবার তিনি বলেন, ‘বাসায় তো থাকার উপায় নেই। এখানে আছি চার দিন হলো। কিন্তু পানি ও গ্যাস না থাকায় রান্নাবান্নাও করা যাচ্ছে না এখানে। কালকে একবার খাবার পেয়েছি আর
২১ জুন ২০২২
পাবনার সাঁথিয়া ও বেড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাগেশ্বরী-ডি-২ ক্যানালের (কৈটলা পাম্প হাউস থেকে মুক্তার ধর পর্যন্ত খাল) প্রায় ৩০ কিলোমিটার এলাকায় অন্তত ১০টি স্থানে অবৈধভাবে সুতি জালের বাঁধ দিয়ে মাছ শিকার করা হচ্ছে। এতে পানিপ্রবাহে বাধা সৃষ্টি হয়ে ক্যানাল পাড়ের জমিতে পানি জমে রয়েছে। ফলে পাকা ও আধা...
৬ মিনিট আগে
গাজীপুর মহানগরের জয়দেবপুর রেলক্রসিং এলাকায় অবৈধভাবে গড়ে ওঠা শতাধিক দোকান, অস্থায়ী স্থাপনা ও হকারদের উচ্ছেদ করেছে প্রশাসন। বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) সকালে গাজীপুর সিটি করপোরেশন (গাসিক), জেলা প্রশাসন, মহানগর পুলিশ ও রেলওয়ের সমন্বয়ে উচ্ছেদ চালানো হয়।
৩৪ মিনিট আগে
ঢাকা ইপিজেড, আশুলিয়া, নবীনগর ও গাজীপুরের আংশিক এলাকায় আগামীকাল শুক্রবার সকাল থেকে শনিবার পর্যন্ত গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে। আজ বৃহস্পতিবার তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেগাজীপুর প্রতিনিধি

গাজীপুর মহানগরের জয়দেবপুর রেলক্রসিং এলাকায় অবৈধভাবে গড়ে ওঠা শতাধিক দোকান, অস্থায়ী স্থাপনা ও হকারদের উচ্ছেদ করেছে প্রশাসন। বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) সকালে গাজীপুর সিটি করপোরেশন (গাসিক), জেলা প্রশাসন, মহানগর পুলিশ ও রেলওয়ের সমন্বয়ে উচ্ছেদ চালানো হয়।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন গাসিকের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ফিরোজ আল মামুন, জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফারিয়া তাসনিম, জয়দেবপুর রেল জংশনের স্টেশনমাস্টার মাহমুদুল হাসান এবং রেলওয়ে নিরাপত্তা বিভাগের ইমরান হোসেন।
গাসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সোহেল হাসান বলেন, ইতিমধ্যে রেলক্রসিং ও আশপাশের এলাকা আধুনিকায়নের লক্ষ্যে জয়দেবপুর মোবিলিটি ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্ট হাতে নেওয়া হয়েছে। এর আওতায় ফ্লাইওভার নির্মাণ, বিকল্প সড়ক সম্প্রসারণ, ট্রাফিক সিগন্যাল অটোমেশন ও ফুটপাত সংস্কার করা হবে। ফলে গাজীপুর হবে দখলমুক্ত, পরিচ্ছন্ন ও স্মার্ট নগর।
উচ্ছেদের পর ভাসমান হকার ও ফল ব্যবসায়ীরা জানান, তাঁরা বছরের পর বছর সেখানে ব্যবসা করে জীবিকা নির্বাহ করছিলেন। এখন তাঁরা কোথায় দাঁড়াবেন। তাই তাঁরা প্রশাসনের কাছে পুনর্বাসনের দাবি জানান।
এ প্রসঙ্গে সোহেল হাসান বলেন, ‘আমরা যেমন নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করতে দখল উচ্ছেদ করছি, তেমনি যারা ভাসমান ব্যবসায়ী তাদের বিষয়টিও মানবিকভাবে বিবেচনা করা হবে। সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে আইনানুগভাবে তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে।’
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের প্রশাসক ও ঢাকা বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার সরফ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘গাজীপুরের উন্নয়ন এখন সময়ের দাবি। নাগরিকদের চলাচল সহজ করা, রাস্তাঘাট ও ফুটপাত দখলমুক্ত রাখা আমাদের প্রধান অগ্রাধিকার। আজকের এই সমন্বিত উদ্যোগ শহর পুনরুদ্ধারের একটি দৃষ্টান্ত।’

গাজীপুর মহানগরের জয়দেবপুর রেলক্রসিং এলাকায় অবৈধভাবে গড়ে ওঠা শতাধিক দোকান, অস্থায়ী স্থাপনা ও হকারদের উচ্ছেদ করেছে প্রশাসন। বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) সকালে গাজীপুর সিটি করপোরেশন (গাসিক), জেলা প্রশাসন, মহানগর পুলিশ ও রেলওয়ের সমন্বয়ে উচ্ছেদ চালানো হয়।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন গাসিকের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ফিরোজ আল মামুন, জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফারিয়া তাসনিম, জয়দেবপুর রেল জংশনের স্টেশনমাস্টার মাহমুদুল হাসান এবং রেলওয়ে নিরাপত্তা বিভাগের ইমরান হোসেন।
গাসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সোহেল হাসান বলেন, ইতিমধ্যে রেলক্রসিং ও আশপাশের এলাকা আধুনিকায়নের লক্ষ্যে জয়দেবপুর মোবিলিটি ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্ট হাতে নেওয়া হয়েছে। এর আওতায় ফ্লাইওভার নির্মাণ, বিকল্প সড়ক সম্প্রসারণ, ট্রাফিক সিগন্যাল অটোমেশন ও ফুটপাত সংস্কার করা হবে। ফলে গাজীপুর হবে দখলমুক্ত, পরিচ্ছন্ন ও স্মার্ট নগর।
উচ্ছেদের পর ভাসমান হকার ও ফল ব্যবসায়ীরা জানান, তাঁরা বছরের পর বছর সেখানে ব্যবসা করে জীবিকা নির্বাহ করছিলেন। এখন তাঁরা কোথায় দাঁড়াবেন। তাই তাঁরা প্রশাসনের কাছে পুনর্বাসনের দাবি জানান।
এ প্রসঙ্গে সোহেল হাসান বলেন, ‘আমরা যেমন নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করতে দখল উচ্ছেদ করছি, তেমনি যারা ভাসমান ব্যবসায়ী তাদের বিষয়টিও মানবিকভাবে বিবেচনা করা হবে। সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে আইনানুগভাবে তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে।’
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের প্রশাসক ও ঢাকা বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার সরফ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘গাজীপুরের উন্নয়ন এখন সময়ের দাবি। নাগরিকদের চলাচল সহজ করা, রাস্তাঘাট ও ফুটপাত দখলমুক্ত রাখা আমাদের প্রধান অগ্রাধিকার। আজকের এই সমন্বিত উদ্যোগ শহর পুনরুদ্ধারের একটি দৃষ্টান্ত।’

সিলেট নগরীর ছড়ারপাড়ের বাসিন্দা রেহেনা বেগম। বাড়িতে বুকসমান পানি। চার দিন ধরে আছেন নগরীর প্রাণকেন্দ্র দুর্গাকুমার পাঠশালা আশ্রয়কেন্দ্রে। গতকাল সোমবার তিনি বলেন, ‘বাসায় তো থাকার উপায় নেই। এখানে আছি চার দিন হলো। কিন্তু পানি ও গ্যাস না থাকায় রান্নাবান্নাও করা যাচ্ছে না এখানে। কালকে একবার খাবার পেয়েছি আর
২১ জুন ২০২২
পাবনার সাঁথিয়া ও বেড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাগেশ্বরী-ডি-২ ক্যানালের (কৈটলা পাম্প হাউস থেকে মুক্তার ধর পর্যন্ত খাল) প্রায় ৩০ কিলোমিটার এলাকায় অন্তত ১০টি স্থানে অবৈধভাবে সুতি জালের বাঁধ দিয়ে মাছ শিকার করা হচ্ছে। এতে পানিপ্রবাহে বাধা সৃষ্টি হয়ে ক্যানাল পাড়ের জমিতে পানি জমে রয়েছে। ফলে পাকা ও আধা...
৬ মিনিট আগে
ভোরের কুয়াশা কাটেনি তখনো। রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার চকগোচর গ্রামের সরু পথে হাঁটলে দূর থেকে দেখা যায়—সারি সারি খেজুরগাছে ঝুলছে মাটির হাঁড়ি। গাছের মাথা থেকে ঝরছে রস। একটার পর একটা গাছে উঠে গাছিরা নামিয়ে আনছেন রসের হাঁড়ি।
১৪ মিনিট আগে
ঢাকা ইপিজেড, আশুলিয়া, নবীনগর ও গাজীপুরের আংশিক এলাকায় আগামীকাল শুক্রবার সকাল থেকে শনিবার পর্যন্ত গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে। আজ বৃহস্পতিবার তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেসাভার (ঢাকা) প্রতিনিধি

ঢাকা ইপিজেড, আশুলিয়া, নবীনগর ও গাজীপুরের আংশিক এলাকায় আগামীকাল শুক্রবার সকাল থেকে শনিবার পর্যন্ত গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে। আজ বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের আশুলিয়া জোনের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী আবু ছালেহ মুহাম্মদ খালেদ খন্দকার স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের সেকশন-৩-এর আওতায় পাইপলাইন স্থানান্তর ও নির্মাণকাজ সম্পাদনের জন্য সাময়িক এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আগামীকাল সকাল ৯টা থেকে শনিবার (৮ নভেম্বর) সকাল ৭টা পর্যন্ত গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে। এ সময়ের মধ্যে ইপিজেডের বিদ্যুৎ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ইউনাইটেড পাওয়ারসহ নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের ও বাইপাইল-আব্দুল্লাহপুর সড়কের উভয় পাশে সব এলাকায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে। এর পার্শ্ববর্তী এলাকায় গ্যাসের চাপ কম থাকতে পারে।
যেসব এলাকায় গ্যাস থাকবে না:
ঢাকা ইপিজেড, গাজীপুরের কাশিমপুর, সারদাগঞ্জ, হাজী মার্কেট, শ্রীপুর, কবিরপুর, বাড়ইপাড়া, চন্দ্রা, আশুলিয়ার নবীনগর, সাভার ক্যান্টনমেন্ট, কাঠগড়া, জিরাবো, গাজীরচট, নয়াপাড়া, দেওয়ান ইদ্রিস সড়কের উভয় পাশের এলাকা, নয়ারহাট, বলিভদ্র, পল্লীবিদ্যুৎ, ডেণ্ডাবর, ভাদাইল, লতিফপুর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় বিদ্যমান সব শ্রেণির গ্রাহকের গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে। এর আশপাশের এলাকায় গ্যাসের চাপ কম থাকতে পারে।
তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রয়োজনীয় কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক করা হবে। সাময়িক এই অসুবিধার জন্য তারা দুঃখ প্রকাশ করেছে এবং গ্রাহকদের সহযোগিতা কামনা করেছে।

ঢাকা ইপিজেড, আশুলিয়া, নবীনগর ও গাজীপুরের আংশিক এলাকায় আগামীকাল শুক্রবার সকাল থেকে শনিবার পর্যন্ত গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে। আজ বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের আশুলিয়া জোনের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী আবু ছালেহ মুহাম্মদ খালেদ খন্দকার স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের সেকশন-৩-এর আওতায় পাইপলাইন স্থানান্তর ও নির্মাণকাজ সম্পাদনের জন্য সাময়িক এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আগামীকাল সকাল ৯টা থেকে শনিবার (৮ নভেম্বর) সকাল ৭টা পর্যন্ত গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে। এ সময়ের মধ্যে ইপিজেডের বিদ্যুৎ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ইউনাইটেড পাওয়ারসহ নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের ও বাইপাইল-আব্দুল্লাহপুর সড়কের উভয় পাশে সব এলাকায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে। এর পার্শ্ববর্তী এলাকায় গ্যাসের চাপ কম থাকতে পারে।
যেসব এলাকায় গ্যাস থাকবে না:
ঢাকা ইপিজেড, গাজীপুরের কাশিমপুর, সারদাগঞ্জ, হাজী মার্কেট, শ্রীপুর, কবিরপুর, বাড়ইপাড়া, চন্দ্রা, আশুলিয়ার নবীনগর, সাভার ক্যান্টনমেন্ট, কাঠগড়া, জিরাবো, গাজীরচট, নয়াপাড়া, দেওয়ান ইদ্রিস সড়কের উভয় পাশের এলাকা, নয়ারহাট, বলিভদ্র, পল্লীবিদ্যুৎ, ডেণ্ডাবর, ভাদাইল, লতিফপুর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় বিদ্যমান সব শ্রেণির গ্রাহকের গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে। এর আশপাশের এলাকায় গ্যাসের চাপ কম থাকতে পারে।
তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রয়োজনীয় কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক করা হবে। সাময়িক এই অসুবিধার জন্য তারা দুঃখ প্রকাশ করেছে এবং গ্রাহকদের সহযোগিতা কামনা করেছে।

সিলেট নগরীর ছড়ারপাড়ের বাসিন্দা রেহেনা বেগম। বাড়িতে বুকসমান পানি। চার দিন ধরে আছেন নগরীর প্রাণকেন্দ্র দুর্গাকুমার পাঠশালা আশ্রয়কেন্দ্রে। গতকাল সোমবার তিনি বলেন, ‘বাসায় তো থাকার উপায় নেই। এখানে আছি চার দিন হলো। কিন্তু পানি ও গ্যাস না থাকায় রান্নাবান্নাও করা যাচ্ছে না এখানে। কালকে একবার খাবার পেয়েছি আর
২১ জুন ২০২২
পাবনার সাঁথিয়া ও বেড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাগেশ্বরী-ডি-২ ক্যানালের (কৈটলা পাম্প হাউস থেকে মুক্তার ধর পর্যন্ত খাল) প্রায় ৩০ কিলোমিটার এলাকায় অন্তত ১০টি স্থানে অবৈধভাবে সুতি জালের বাঁধ দিয়ে মাছ শিকার করা হচ্ছে। এতে পানিপ্রবাহে বাধা সৃষ্টি হয়ে ক্যানাল পাড়ের জমিতে পানি জমে রয়েছে। ফলে পাকা ও আধা...
৬ মিনিট আগে
ভোরের কুয়াশা কাটেনি তখনো। রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার চকগোচর গ্রামের সরু পথে হাঁটলে দূর থেকে দেখা যায়—সারি সারি খেজুরগাছে ঝুলছে মাটির হাঁড়ি। গাছের মাথা থেকে ঝরছে রস। একটার পর একটা গাছে উঠে গাছিরা নামিয়ে আনছেন রসের হাঁড়ি।
১৪ মিনিট আগে
গাজীপুর মহানগরের জয়দেবপুর রেলক্রসিং এলাকায় অবৈধভাবে গড়ে ওঠা শতাধিক দোকান, অস্থায়ী স্থাপনা ও হকারদের উচ্ছেদ করেছে প্রশাসন। বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) সকালে গাজীপুর সিটি করপোরেশন (গাসিক), জেলা প্রশাসন, মহানগর পুলিশ ও রেলওয়ের সমন্বয়ে উচ্ছেদ চালানো হয়।
৩৪ মিনিট আগে