Ajker Patrika

রাতারগুলে সমাবেশ, জলবায়ু সংকট ও স্বৈরাচারী রাষ্ট্রব্যবস্থার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট  
রাতারগুল জলার বনের মাঝের ঘাটে সমাবেশ করে ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা), সিলেট শাখা। ছবি: আজকের পত্রিকা
রাতারগুল জলার বনের মাঝের ঘাটে সমাবেশ করে ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা), সিলেট শাখা। ছবি: আজকের পত্রিকা

ব্রাজিলে অনুষ্ঠেয় কপ৩০ সম্মেলনের ছয় সপ্তাহ আগে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে একত্র হচ্ছেন বিশ্বনেতারা। এই সম্মেলন সামনে রেখে বিশ্বব্যাপী জলবায়ু সংকট, স্বৈরাচারী রাষ্ট্রব্যবস্থা এবং সামাজিক অবিচারের বিরুদ্ধে সম্মিলিত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানাল পরিবেশ ও জলবায়ুবিষয়ক নাগরিক সংগঠন ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা), সিলেট শাখা। রোববার দুপুরে রাতারগুল জলার বনের মাঝের ঘাটে সমাবেশ থেকে এই আহ্বান জানানো হয়।

কর্মসূচির মূল লক্ষ্য হলো বৈষম্য, স্বৈরাচার, গণহত্যা, ধ্বংস এবং বিশৃঙ্খলার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রনেতাদের ঐক্যবদ্ধ অবস্থান এবং জলবায়ু পরিবর্তনরোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে সবার জন্য একটি নিরাপদ ও স্বাস্থ্যকর ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করা। 

প্রান্তিক মানুষদের অংশগ্রহণে এই সমাবেশের প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন সমাবেশের সভাপতি ধরা সিলেটের সদস্য সচিব আব্দুল করিম কিম। তিনি বলেন, পৃথিবীব্যাপী ক্ষমতাধর সরকারগুলো যখন স্বৈরতন্ত্রের দিকে ঝুঁকছে এবং জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক প্রতিশ্রুতিগুলো বিলম্বিত বা ধ্বংস করছে, তখন এই প্রতিবাদ কর্মসূচি এক নতুন সংহতির বার্তা দিচ্ছে। ১৯-২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিশ্বের ১০০টি দেশের একাধিক নগরে এবং বাংলাদেশে ৩০টি স্থানে এই কর্মসুচি পালিত হচ্ছে। মূলত জলবায়ু সংকটের ফলে সৃষ্ট বিশৃঙ্খলা এবং ধ্বংসযজ্ঞের বিরুদ্ধে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানাতেই এই কর্মসূচির আয়োজন।

কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির উপাচার্য ও ধরার আজীবন সদস্য ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক বলেন, ‘আজকের এই কর্মসূচি হলো বিশ্বজুড়ে বৈষম্য, স্বৈরাচার, গণহত্যা, ধ্বংস ও বিশৃঙ্খলার বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া এবং সবার জন্য একটি নিরাপদ ও স্বাস্থ্যকর ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করা। বিশ্বজুড়ে ক্ষমতাধর সরকারগুলো স্বৈরতন্ত্রের দিকে ঝুঁকছে এবং জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক প্রতিশ্রুতিগুলো বিলম্বিত বা ধ্বংস করা হচ্ছে। তাই ২০২৫ সালকে একটি ‘মোড় ঘোরানোর বছর’ হিসেবে দেখা হচ্ছে, আমাদের গণমানুষের শক্তি ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করতে হবে।’

হাওর রক্ষায় আমরা-এর সংগঠক সজল কান্তি সরকার বলেন, ‘জনগণ সবসময় প্রত্যাশা করে, যেসব প্রতিশ্রুতির ভিত্তিতে একটি সরকার পরিবর্তিত হয়, ক্ষমতায় আসার পর সেই প্রতিশ্রুতিগুলো সরকার মনে রাখবে এবং বাস্তবায়নে উদ্যোগী হবে। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায়, অনেক সময় সরকার ক্ষমতায় আসার পর সেই অঙ্গীকার ভুলে যায় কিংবা সেগুলো নিয়ে কার্যকরভাবে কাজ করে না। অথচ জনগণের কাছে দেওয়া প্রতিশ্রুতি রক্ষা করা সরকারের নৈতিক ও গণতান্ত্রিক দায়িত্ব। এ দায়িত্ব পালিত না হলে প্রকৃত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হতে পারে না।’

ধরা সিলেটের সংগঠক রেজাউল কিবরিয়ার সঞ্চালনায় কর্মসূচিতে আরও বক্তব্য দেন ধরা সিলেটের সংগঠক আলমগীর আলম সাহান, সোহাগ তাজুল আমিন, আব্দুর রহমান হীরা, রুহুল কুদ্দুস মাসুম, রাতারগুল গ্রামের পরিবেশকর্মী সোনা মিয়া, রাতারগুল সমাজ কল্যাণ পরিষদের সভাপতি আল আমিন, কোষাধ্যক্ষ দুলু মিয়া, শাকিল আহমেদ প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত