Ajker Patrika

সিলেট-সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি

সিলেট প্রতিনিধি
আপডেট : ২১ জুন ২০২২, ১৫: ১০
সিলেট-সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি

কুশিয়ারা নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। ফলে সিলেট-সুনামগঞ্জের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে এখনো সুরমা ও কুশিয়ারার পানি বিপৎসীমার অনেক ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে পানি কমতে শুরু করেছে।

এর আগে শনিবার দুপুরের পর থেকে বৃষ্টিপাত থামায় সিলেটের সুরমা, ধলাই, পিয়াইন, সারি ও লোভা তীরবর্তী উপজেলাগুলোতে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছিল কুশিয়ারা নদী। ভারতের আসামের পাহাড়ি এলাকায় বৃষ্টিপাত হওয়ায় গত দুই দিন পানি বেড়েই চলছিল। কুশিয়ারার ডাইকের বিভিন্ন স্থানে দেখা দেয় ভাঙন। ভাঙন ও ডাইক উপচে পানি ঢুকে জেলার ছয়টি উপজেলার বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছিল। উপজেলাগুলোর মধ্যে রয়েছে জকিগঞ্জ, ফেঞ্চুগঞ্জ, বিয়ানীবাজার, বালাগঞ্জ, ওসমানীনগর ও গোলাপগঞ্জ।

জানা গেছে, প্রথম দিকে কুশিয়ারা নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছিল ধীরগতিতে। কিন্তু গত রোববার থেকে অস্বাভাবিক গতিতে পানি বৃদ্ধি পাওয়া শুরু হয়। সোমবার কুশিয়ারা তীরবর্তী উপজেলাগুলোর বিভিন্ন স্থানে ভাঙন দেখা দেয়। এক মাসের পূর্বের বন্যার সময় যেসব স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছিল, তার পাশাপাশি নতুন নতুন স্থানে ভাঙন দেখা দেয়। এ ছাড়া বিভিন্ন স্থানে ডাইকের ওপর দিয়ে পানি লোকালয়ে প্রবেশ করে। ফলে কুশিয়ারা তীরবর্তী উপজেলাগুলোতে লাখ লাখ মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। এসব উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটেছে। কুশিয়ারা তীরবর্তী জকিগঞ্জ উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে, সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত উপজেলার ৩৯টি স্থান দিয়ে পানি প্রবেশ করছিল। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভাঙন দেখা দিয়েছে সুলতানপুর ইউনিয়নের ভক্তিপুর, সদর ইউনিয়নের রারাই, বীরশ্রীর সুপ্রাকান্দি, কাজলসারের বড়বন্দ এলাকায়। বর্তমানে উপজেলার লাখো মানুষ পানিবন্দী অবস্থায় রয়েছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় নতুন করে আরও ভাঙনের আশঙ্কা করছে স্থানীয়রা।

সিলেট-সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে।ফেঞ্চুগঞ্জে কুশিয়ারা নদী ও তীরবর্তী এলাকা পানিতে একাকার হয়ে গেছে। বানের পানিতে ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা সদরসহ ৬০ শতাংশ এলাকা প্লাবিত হয়েছে।

বালাগঞ্জ উপজেলার অবস্থাও একই। কুশিয়ারা নদীর ডাইক ভেঙে এবং ওপর দিয়ে পানি প্রবেশ করে প্লাবিত হয়েছে বাড়িঘর, হাটবাজার ও রাস্তাঘাট। বন্যার পানিতে তলিয়ে গিয়ে বালাগঞ্জ-খছরুপুর ও ফেঞ্চুগঞ্জ-বালাগঞ্জ সড়ক দিয়ে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।

জেলা সদরের সঙ্গে এখনো বিয়ানীবাজার উপজেলার সড়কযোগাযোগ ঠিকে থাকলেও যেকোনো সময় তা বিচ্ছিন্ন হওয়ার আশঙ্কা করছে স্থানীয়রা। পানি বাড়ার পাশাপাশি নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। উপজেলার চারখাই, আলীনগর, শেওলা, দুবাগ, কুড়ারবাজার ও থানা বাজারসহ বিভিন্ন এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। উপজেলার লাখো মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।

ওসমানীনগর উপজেলার বন্যা পরিস্থিতিও ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। উপজেলার গোয়ালাবাজার, তাজপুর, দয়ামীর, বুরঙ্গা, সাদিপুর, পশ্চিম পৈলনপুর, উসমানপুর ও উমরপুর ইউনিয়নের পুরোটাই পানিতে তলিয়ে গেছে। কুশিয়ারা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় সময়ে সময়ে বন্যা পরিস্থিতিরও অবনতি ঘটছে।

গোলাপগঞ্জ উপজেলার সুরমা তীরবর্তী বাঘাসহ কয়েকটি ইউনিয়নে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে কুশিয়ারা তীরবর্তী এলাকায় অবনতি হয়েছে। উপজেলার শরীফগঞ্জ, বাদেপাশা, ঢাকা দক্ষিণ, আমুড়া ও ভাদেশ্বর ইউনিয়নে বন্যা পরিস্থিতির বেশ অবনতি হয়েছে। পানি বৃদ্ধি পেয়ে কুশিয়ারার তীরবর্তী ইউনিয়নগুলোর নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

সিলেট-সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। এদিকে, সুরমাতীরবর্তী সিলেট নগরী, সদর, বিশ্বনাথ, কানাইঘাট ও সুনামগঞ্জ সদর, ছাতক, দোয়ারাবাজার, বিশ্বম্ভরপুর, তাহিরপুর, মধ্যনগর, ধর্মপাশা ও জামালগঞ্জ উপজেলার বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। সিলেট নগরীর উঁচু এলাকা থেকে পানি নেমে গেছে। নদীতীরবর্তী এলাকায় এখনো লাখো মানুষ পানিবন্দী রয়েছে। বাকি উপজেলাগুলোতেও লাখ লাখ মানুষ পানিবন্দী অবস্থায় দিনাতিপাত করছে। ধলাই, পিয়াইন, সারি ও লোভা নদীর পানি কমায় জেলার সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত কোম্পানীগঞ্জ, গোয়াইনঘাট ও জৈন্তাপুর উপজেলার বন্যাকবলিত এলাকার পানি কমেছে। তবে পানি কমার গতি খুবই ধীর বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। এই তিন উপজেলার এখনো ৯০ শতাংশ এলাকা প্লাবিত রয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টার সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, সুরমা নদীর সিলেট পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সুরমা নদীর সিলেট পয়েন্টে বিপৎসীমা ১০ দশমিক ৮০ সেন্টিমিটার, সেখানে পানি ১১ দশমিক ২১ সেন্টিমিটার; কানাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমা ১২ দশমিক ৭৫ সেন্টিমিটার, সেখানে পানি ১৩ দশমিক ৮৪ সেন্টিমিটার; সুনামগঞ্জ পয়েন্টে বিপৎসীমা ৭ দশমিক ৮০ সেন্টিমিটার, সেখানে ৮ দশমিক ০৭ সেন্টিমিটার পানি রয়েছে।

কমছে কুশিয়ারা নদীর পানিও। কুশিয়ারার অমলসীদ পয়েন্টে বিপৎসীমা ১৫ দশমিক ৪০ সেন্টিমিটার, সেখানে পানি ১৭ দশমিক ২৪ সেন্টিমিটার; ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে বিপৎসীমা ১০ দশমিক ৪৫ সেন্টিমিটার, সেখানে পানি ১০ দশমিক ৫৩ সেন্টিমিটার; শেওলা পয়েন্টের বিপৎসীমা ১৩ দশমিক ০৫ সেন্টিমিটার, সেখানে পানি ১৩ দশমিক ৬৮ সেন্টিমিটার। শেরপুর পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার নিচে। সিলেট-সুনামগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হচ্ছে। একই অবস্থা সিলেট নগরীরও। তবে কিছু জায়গা থেকে পানি দু-এক হাত নেমে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

আজ সকাল ১০টা পর্যন্ত সুরমা নদীর সব পয়েন্টে ও কুশিয়ারার তিনটি পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের সিলেট বিভাগীয় অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী এস এম শহিদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে জানান, সিলেট-সুনামগঞ্জ দুই জেলাতেই পানি কমতে শুরু করেছে। কুশিয়ারার পানি গত দুই দিন বাড়লেও আজ থেকে সেটাও কমতে শুরু করেছে। তবে এখনো সুরমা নদীর সব পয়েন্ট ও কুশিয়ারার তিনটি পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। দুই জেলার নদ-নদীর পানিও কমতে শুরু করেছে। ফলে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত না হলে আশা করা যায় পানি আর বাড়বে না।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

হাদিকে হত্যাচেষ্টায় জড়িত মোটরসাইকেল শনাক্ত, মালিক সন্দেহে একজন আটক

হাদির মস্তিষ্কের অবস্থা ‘খুবই খারাপ’, এখনো আশঙ্কাজনক: চিকিৎসক

হাদিকে হত্যাচেষ্টা: সন্দেহভাজন ফয়সালের ব্যাংক হিসাব জব্দ

সুদানে নিহত ও আহত শান্তিরক্ষীদের পরিচয় জানাল আইএসপিআর

আজকের রাশিফল: প্রাক্তন ফোন করবে ও পুরোনো পাওনা টাকার কথা স্মরণ হবে, তবে পরিণতি একই

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

নোয়াখালীতে ব্যানার, তোরণ ও বিলবোর্ড অপসারণ করছে প্রশাসন

সুবর্ণচর (নোয়াখালী) প্রতিনিধি 
বিলবোর্ড অপসারণ। ছবি: আজকের পত্রিকা
বিলবোর্ড অপসারণ। ছবি: আজকের পত্রিকা

নোয়াখালীর সুবর্ণচরে নির্বাচনী আচরণবিধি বাস্তবায়নে ব্যানার, ফেস্টুন, তোরণ ও বিলবোর্ড অপসারণ করেছে উপজেলা প্রশাসন।

রোববার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আকিব ওসমানের নেতৃত্বে এই অভিযান চালানো হয়।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সব ধরনের রাজনৈতিক প্রচারসামগ্রী অপসারণের কথা থাকলেও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তা সরানো হয়নি। ফলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সরাসরি উদ্যোগ নেওয়া হয়।

এর আগে গত শনিবার রাতে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মাইকিং করে রাজনৈতিক দলগুলোকে নিজ নিজ ব্যানার, ফেস্টুন, তোরণ ও বিলবোর্ড নিজ দায়িত্বে অপসারণের জন্য অনুরোধ জানানো হয়। নির্দেশনা অমান্য করায় রোববার দুপুরে প্রশাসন নিজ উদ্যোগে এসব প্রচারসামগ্রী অপসারণ করে।

অভিযান পরিচালনায় সহযোগিতা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ছেনমং রাখাইন ও চরজব্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লুৎফর রহমানসহ পুলিশ সদস্যরা। এ ছাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও অভিযানে অংশ নেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আকিব ওসমান বলেন, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী উপজেলায় সব রাজনৈতিক ব্যানার, ফেস্টুন, তোরণ ও বিলবোর্ড অপসারণ করা হচ্ছে। আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্যভাবে আয়োজন করতে উপজেলা প্রশাসন বদ্ধপরিকর।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

হাদিকে হত্যাচেষ্টায় জড়িত মোটরসাইকেল শনাক্ত, মালিক সন্দেহে একজন আটক

হাদির মস্তিষ্কের অবস্থা ‘খুবই খারাপ’, এখনো আশঙ্কাজনক: চিকিৎসক

হাদিকে হত্যাচেষ্টা: সন্দেহভাজন ফয়সালের ব্যাংক হিসাব জব্দ

সুদানে নিহত ও আহত শান্তিরক্ষীদের পরিচয় জানাল আইএসপিআর

আজকের রাশিফল: প্রাক্তন ফোন করবে ও পুরোনো পাওনা টাকার কথা স্মরণ হবে, তবে পরিণতি একই

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পাবিপ্রবি ও জাপানের ইয়ামানাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সমঝোতা স্মারক চুক্তি

পাবনা প্রতিনিধি
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং জাপানের ইয়ামানাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সমঝোতা স্মারক চুক্তি। ছবি: আজকের পত্রিকা
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং জাপানের ইয়ামানাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সমঝোতা স্মারক চুক্তি। ছবি: আজকের পত্রিকা

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পাবিপ্রবি) এবং জাপানের ইয়ামানাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সমঝোতা স্মারক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। আজ রোববার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে এই চুক্তি স্বাক্ষর হয়। পাবিপ্রবির পক্ষে উপাচার্য প্রফেসর ড. এস এম আব্দুল আওয়াল এবং ইয়ামানাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে ভাইস প্রেডিডেন্ট প্রফেসর ড. মাসানারি হানাওয়া চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।

এই সমঝোতা স্মারক চুক্তির ফলে উভয় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষাগত ও একাডেমিক সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করবে। পাবিপ্রবির শিক্ষার্থীরা জাপানের মর্যাদাপূর্ণ মেক্সট স্কলারশিপ লাভ করবে। স্কলারশিপ প্রাপ্তরা জাপানে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ, নতুন প্রযুক্তি ও গবেষণার সঙ্গে পরিচিত হবেন এবং একাডেমিক অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারবেন।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপাচার্য প্রফেসর ড. এস এম আব্দুল আওয়াল বলেন, ‘১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর আমাদের বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে মেধাশূন্য করা হয়েছিল। আমরা আজকে সমঝোতা স্মারক চুক্তির দিন হিসেবে বেছে নিয়েছি। কারণ, আমরা বুদ্ধিবৃত্তিক মানুষ গড়তে চাই। আমরা প্রমাণ করতে চাই আমরা হেরে যাইনি।’

প্রফেসর ড. মাসানারি হানাওয়া বলেন, ‘সমঝোতা স্মারক চুক্তির ফলে শিক্ষা, গবেষণা, রিসোর্স এবং মানবসম্পদ তৈরির লক্ষ্যে আমরা উভয়ে মিলে কাজ করব। আমরা কার্যকর সমঝোতা গড়ে তুলব। আমাদের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্ক তৈরি হবে। ফলে আমাদের মধ্যে জ্ঞানের অংশীদারত্বের পথ সৃষ্টি হবে। এতে আমরা দুই পক্ষই লাভবান হব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

হাদিকে হত্যাচেষ্টায় জড়িত মোটরসাইকেল শনাক্ত, মালিক সন্দেহে একজন আটক

হাদির মস্তিষ্কের অবস্থা ‘খুবই খারাপ’, এখনো আশঙ্কাজনক: চিকিৎসক

হাদিকে হত্যাচেষ্টা: সন্দেহভাজন ফয়সালের ব্যাংক হিসাব জব্দ

সুদানে নিহত ও আহত শান্তিরক্ষীদের পরিচয় জানাল আইএসপিআর

আজকের রাশিফল: প্রাক্তন ফোন করবে ও পুরোনো পাওনা টাকার কথা স্মরণ হবে, তবে পরিণতি একই

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বুদ্ধিজীবী দিবসের অনুষ্ঠানে জামায়াত নেতারা, বয়কট মুক্তিযোদ্ধাদের

নেত্রকোনা, প্রতিনিধি
মোহনগঞ্জে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সংবাদ সম্মেলন। ছবি: আজকের পত্রিকা
মোহনগঞ্জে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সংবাদ সম্মেলন। ছবি: আজকের পত্রিকা

জামায়াত নেতারা আসায় নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের অনুষ্ঠান থেকে বেরিয়ে গেলেন মুক্তিযোদ্ধারা। আজ রোববার উপজেলার অডিটরিয়ামে এ ঘটনা ঘটে।

এর আগে সকালে দিবসটি উপলক্ষে উপজেলা পরিষদ চত্বরে স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। পরে বেলা ১১টার দিকে উপজেলার অডিটরিয়ামে আলোচনা সভার আয়োজন করে প্রশাসন।

আলোচনা সভায় জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের দাওয়াত দেওয়ায় স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা সভা বর্জন করে চলে যান। পরে শহরের স্টেশন রোডে মুক্তিযোদ্ধা সংসদে জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডাকেন তাঁরা।

এ সময় মুক্তিযোদ্ধারা বলেন, ‘স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের মঞ্চে স্থান দেওয়ায় আমরা আলোচনা সভা বর্জন করি। যারা আমাদের স্বাধীনতাযুদ্ধে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করল, তাদের সঙ্গে আমরা বসতে পারি না। এখানে আমরা কোনো আপস করতে পারি না।’

তাঁরা আরও বলেন, ‘এর আগে আমরা উপজেলা প্রশাসনকে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের আলোচনা সভায় জামায়াতকে না রাখতে ইউএনওর প্রতি অনুরোধ জানাই। কিন্তু আমাদের অনুরোধ তিনি রাখেননি।’

এ সময় বক্তব্য দেন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডের আহ্বায়ক আব্দুল খালেক, যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুর রহমান ও সদস্যসচিব গোলাম মোস্তফা।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আমেনা খাতুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক সব রাজনৈতিক নেতাকে দাওয়াত দিয়েছি। বীর মুক্তিযোদ্ধারা সভায় বিলম্বে যাওয়ায় আমাদের পাশেই তাঁদের জন্য আলাদা চেয়ারও রেখেছিলাম। কিন্তু উনারা চেয়ারে না বসে ব্যস্ততা দেখিয়ে হলরুম ত্যাগ করেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

হাদিকে হত্যাচেষ্টায় জড়িত মোটরসাইকেল শনাক্ত, মালিক সন্দেহে একজন আটক

হাদির মস্তিষ্কের অবস্থা ‘খুবই খারাপ’, এখনো আশঙ্কাজনক: চিকিৎসক

হাদিকে হত্যাচেষ্টা: সন্দেহভাজন ফয়সালের ব্যাংক হিসাব জব্দ

সুদানে নিহত ও আহত শান্তিরক্ষীদের পরিচয় জানাল আইএসপিআর

আজকের রাশিফল: প্রাক্তন ফোন করবে ও পুরোনো পাওনা টাকার কথা স্মরণ হবে, তবে পরিণতি একই

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

হাদিকে হত্যাচেষ্টা: শেরপুর থেকে দুজন আটক

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৮: ৪১
মোটরসাইকেলে এসে হাদিকে গুলি করা হয়। ছবি: সিসিটিভির ফুটেজ
মোটরসাইকেলে এসে হাদিকে গুলি করা হয়। ছবি: সিসিটিভির ফুটেজ

রাজধানীর পল্টনে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ওসমান শরিফ হাদি গুলিবিদ্ধের ঘটনায় আরও দুজনকে আটক করা হয়েছে। সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে লোক পারাপারের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে শেরপুর থেকে তাঁদের আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।

এর আগে হাদির ওপর হামলায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক আব্দুল হান্নানকে আটক করে র‍্যাব। তাঁকে পল্টন থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর মিন্টু রোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার এন এস নজরুল ইসলাম।

ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার জানান, গত শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুর আনুমানিক ২টা ২৫ মিনিটে রাজধানীর পল্টন এলাকার বক্স কালভার্ট ডিয়ার টাওয়ারের সামনে মোটরসাইকেল আরোহী দুজন দুর্বৃত্ত ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ওসমান হাদির ওপর নেক্কারজনক হামলা চালায়। হেলমেট পরিহিত অবস্থায় হামলাকারীরা খুব কাছ থেকে গুলি করে পালিয়ে যায়। এতে হাদি গুরুতর আহত হন এবং বর্তমানে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে তিনি চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

শেরপুরের নালিতাবাড়ী এলাকায় অভিযান চালিয়ে সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে লোক পারাপারের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে দুজনকে আটক করা হয়েছে। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। বিস্তারিত পরে জানানো যাবে বলেও জানান তিনি।

পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, হামলার সঙ্গে জড়িতরা শেরপুর সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালিয়ে গেছে, তাঁদের যারা সীমান্ত পার করে দিয়েছিলেন, আটককৃত এই দুজন তাঁদের মধ্যে অন্যতম।

নজরুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনার পরপরই ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ হামলাকারীদের গ্রেপ্তারে জোর তৎপরতা শুরু করে। ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করে ইতিমধ্যে হামলাকারী দুই সন্দেহভাজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে গুলি করেছে ফয়সাল করিম এবং মোটরসাইকেল চালক ছিলেন মোহাম্মদ আলমগীর শেখ।’

ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার এন এস নজরুল ইসলাম। ছবি: আজকের পত্রিকা
ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার এন এস নজরুল ইসলাম। ছবি: আজকের পত্রিকা

ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার জানান, প্রাথমিক তদন্তে মোট তিনজনের সম্পৃক্ততার তথ্য পাওয়া গেছে। ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি ইতিমধ্যে উদ্ধার করা হয়েছে। মোটরসাইকেলের মালিক মান্নানকে র‍্যাব আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের ইমিগ্রেশন ডাটাবেজ চেক করে এখন পর্যন্ত সন্দেহভাজনদের বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।’ তিনি বলেন, ফয়সাল করিম মাসুদের পাসপোর্ট নম্বর পাওয়া গেছে এবং তাঁর পাসপোর্ট ইতিমধ্যে ব্লক করা হয়েছে। ইমিগ্রেশন রেকর্ড অনুযায়ী, ফয়সালের সর্বশেষ বিদেশযাত্রা ছিল গত জুলাই মাসে। তিনি থাইল্যান্ড থেকে দেশে ফিরে আসেন। এরপর আর কোনো ডিপার্চারের তথ্য নেই।

অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, স্থল সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে পালানোর সম্ভাবনা মাথায় রেখে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশকে (বিজিবি) সতর্ক করা হয়েছে। সব ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে সন্দেহভাজনদের বিষয়ে নজরদারি জোরদার করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা গুজব থাকলেও আমাদের কাছে এখন পর্যন্ত বিদেশে পালানোর কোনো অথেনটিক তথ্য নেই।’

ঘটনার পর এখনো কোনো মামলা দায়ের হয়নি। এ বিষয়ে অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, ‘আহত ওসমান হাদির পরিবার বর্তমানে চিকিৎসা নিয়ে ব্যস্ত থাকায় মামলা করতে দেরি হচ্ছে। আমরা তাদের সঙ্গে দুইদিন ধরে যোগাযোগ করছি। প্রয়োজনে হাসপাতাল থেকে স্বাক্ষর নিয়ে মামলা করা হবে। তা না হলে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা রেকর্ড করা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

হাদিকে হত্যাচেষ্টায় জড়িত মোটরসাইকেল শনাক্ত, মালিক সন্দেহে একজন আটক

হাদির মস্তিষ্কের অবস্থা ‘খুবই খারাপ’, এখনো আশঙ্কাজনক: চিকিৎসক

হাদিকে হত্যাচেষ্টা: সন্দেহভাজন ফয়সালের ব্যাংক হিসাব জব্দ

সুদানে নিহত ও আহত শান্তিরক্ষীদের পরিচয় জানাল আইএসপিআর

আজকের রাশিফল: প্রাক্তন ফোন করবে ও পুরোনো পাওনা টাকার কথা স্মরণ হবে, তবে পরিণতি একই

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত