সিলেট প্রতিনিধি
সিলেটে তাপপ্রবাহ ও শ্রাবণের খরতাপে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জনজীবন। সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন শ্রমজীবীরা। কদিন ধরে কোথাও বৃষ্টি নেই, নেই বাতাস। এর মধ্যে মরার ওপর খাঁড়ার ঘা হিসেবে রয়েছে লোডশেডিং। ঘণ্টার পর ঘণ্টা লোডশেডিংয়ে বিরক্ত নগরবাসী।
আজ শনিবার সিলেটের আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, এদিন দুপুরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৭ ডিগ্রি আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে তাপমাত্রা অনুভব ছিল ৪৭ ডিগ্রি। আর গতকাল শুক্রবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৭ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
সিলেট আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজিব হোসাইন জানান, সিলেটে বর্তমানে তাপপ্রবাহ চলছে। এটি বৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত কমবে না। বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা কবে, সেটা রাতে জানা যাবে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সূচক অনুযায়ী, ৩৬ থেকে ৩৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত মৃদু তাপপ্রবাহ ধরা হয়। ৩৮ থেকে ৩৯ দশমিক ৯ মাঝারি এবং ৪০ থেকে ৪১ দশমিক ৯ তীব্র তাপপ্রবাহের অন্তর্ভুক্ত। তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পেরিয়ে গেলে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ হিসেবে গণ্য করা হয়।
আজ শনিবার নগরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, একটু স্বস্তির নিশ্বাস ফেলতে গাছের তলা, বিভিন্ন দোকানে আশ্রয় নিচ্ছেন মানুষজন। এর সঙ্গে বেড়েছে শ্রমজীবী মানুষের ভোগান্তি। রিকশাওয়ালারা একটি খ্যাপ দিয়ে ক্লান্ত হয়ে ছায়ার নিচে এসে আশ্রয় নিচ্ছেন। সাধারণ মানুষেরাও গরমের কারণে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হচ্ছেন না। তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকায় রাতেও ঘুমাতে পারেননি নগরের বাসিন্দারা।
আর আজ শনিবার সকাল থেকেই তীব্র তাপপ্রবাহ শুরু হওয়ায় অস্বস্তিতে দিন কাটাচ্ছেন মানুষজন। এদিকে এই তীব্র গরমে মরার ওপর খাঁড়ার ঘা হয়ে দাঁড়িয়েছে লোডশেডিং। ঘণ্টার পর ঘণ্টা লোডশেডিং হওয়াতে মানুষজন তীব্র গরমের মধ্যেও শান্তি পাচ্ছেন না। এক ঘণ্টা বিদ্যুৎ দিয়ে আরেক ঘণ্টা লোডশেডিং শুরু হয়। এতে করে ঘর ছেড়ে বাইরে চলে আসেন মানুষজন একটু প্রশান্তির জন্য। কিন্তু বাইরেও নেই কোনো বাতাস।
নগরে রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করা নুর মিয়া বলেন, ‘আন্দোলনের কারণে এত দিন বাইরে রিকশা চালাতে পারিনি। বাইরে বের হলেও মানুষজন না থাকায় রুজি করতে পারিনি। এখন বাইরে বের হলেও গরমের কারণে রিকশা চালাতে পারতেছি না। এক খ্যাপ দিতে গিয়েই জান শেষ। আর গরমের কারণে মানুষজনও কম বের হচ্ছেন। এভাবে চলতে থাকলে খেয়ে বেঁচে থাকাই দায় হয়ে দাঁড়াবে।’
নগরের ব্যবসায়ী শাহীন আহমদ বলেন, ‘তীব্র গরমে কোনোভাবে অফিসে বসে কাজ করা যাচ্ছে না। তারওপর চলছে লোডশেডিং। এভাবে বেঁচে থাকাই দায়। আর নেটওয়ার্কের স্পিড কম থাকায় ঠিকমতো কাজও করতে পারছি না। বৃষ্টি না হলে আর উপায় নেই। রাতেও গরমের জন্য ঘুমাতে পারিনি। বৃষ্টি হলেই বেঁচে যাই।’
সিলেট বিভাগীয় বিদ্যুৎ অফিসের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আবু হোসাইন বলেন, ‘দুপুরের দিকে প্রচণ্ড গরম থাকায় বাসাবাড়িতে সবাই এসি ব্যবহার করছিল। যার কারণে আমরা সে পরিমাণ বিদ্যুৎ সাপ্লাই দিতে পারছিলাম না। সে জন্য লোডশেডিং হয়েছে। আর ইন্টারনেটের ধীর গতিতে আমাদের সব ওয়েবসাইটে ঢুকতে পারছিলাম না। যার কারণে বিদ্যুতের আপ-ডাউনের ব্যাপারে জানতে পারিনি।’
সিলেটে তাপপ্রবাহ ও শ্রাবণের খরতাপে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জনজীবন। সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন শ্রমজীবীরা। কদিন ধরে কোথাও বৃষ্টি নেই, নেই বাতাস। এর মধ্যে মরার ওপর খাঁড়ার ঘা হিসেবে রয়েছে লোডশেডিং। ঘণ্টার পর ঘণ্টা লোডশেডিংয়ে বিরক্ত নগরবাসী।
আজ শনিবার সিলেটের আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, এদিন দুপুরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৭ ডিগ্রি আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে তাপমাত্রা অনুভব ছিল ৪৭ ডিগ্রি। আর গতকাল শুক্রবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৭ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
সিলেট আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজিব হোসাইন জানান, সিলেটে বর্তমানে তাপপ্রবাহ চলছে। এটি বৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত কমবে না। বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা কবে, সেটা রাতে জানা যাবে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সূচক অনুযায়ী, ৩৬ থেকে ৩৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত মৃদু তাপপ্রবাহ ধরা হয়। ৩৮ থেকে ৩৯ দশমিক ৯ মাঝারি এবং ৪০ থেকে ৪১ দশমিক ৯ তীব্র তাপপ্রবাহের অন্তর্ভুক্ত। তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পেরিয়ে গেলে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ হিসেবে গণ্য করা হয়।
আজ শনিবার নগরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, একটু স্বস্তির নিশ্বাস ফেলতে গাছের তলা, বিভিন্ন দোকানে আশ্রয় নিচ্ছেন মানুষজন। এর সঙ্গে বেড়েছে শ্রমজীবী মানুষের ভোগান্তি। রিকশাওয়ালারা একটি খ্যাপ দিয়ে ক্লান্ত হয়ে ছায়ার নিচে এসে আশ্রয় নিচ্ছেন। সাধারণ মানুষেরাও গরমের কারণে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হচ্ছেন না। তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকায় রাতেও ঘুমাতে পারেননি নগরের বাসিন্দারা।
আর আজ শনিবার সকাল থেকেই তীব্র তাপপ্রবাহ শুরু হওয়ায় অস্বস্তিতে দিন কাটাচ্ছেন মানুষজন। এদিকে এই তীব্র গরমে মরার ওপর খাঁড়ার ঘা হয়ে দাঁড়িয়েছে লোডশেডিং। ঘণ্টার পর ঘণ্টা লোডশেডিং হওয়াতে মানুষজন তীব্র গরমের মধ্যেও শান্তি পাচ্ছেন না। এক ঘণ্টা বিদ্যুৎ দিয়ে আরেক ঘণ্টা লোডশেডিং শুরু হয়। এতে করে ঘর ছেড়ে বাইরে চলে আসেন মানুষজন একটু প্রশান্তির জন্য। কিন্তু বাইরেও নেই কোনো বাতাস।
নগরে রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করা নুর মিয়া বলেন, ‘আন্দোলনের কারণে এত দিন বাইরে রিকশা চালাতে পারিনি। বাইরে বের হলেও মানুষজন না থাকায় রুজি করতে পারিনি। এখন বাইরে বের হলেও গরমের কারণে রিকশা চালাতে পারতেছি না। এক খ্যাপ দিতে গিয়েই জান শেষ। আর গরমের কারণে মানুষজনও কম বের হচ্ছেন। এভাবে চলতে থাকলে খেয়ে বেঁচে থাকাই দায় হয়ে দাঁড়াবে।’
নগরের ব্যবসায়ী শাহীন আহমদ বলেন, ‘তীব্র গরমে কোনোভাবে অফিসে বসে কাজ করা যাচ্ছে না। তারওপর চলছে লোডশেডিং। এভাবে বেঁচে থাকাই দায়। আর নেটওয়ার্কের স্পিড কম থাকায় ঠিকমতো কাজও করতে পারছি না। বৃষ্টি না হলে আর উপায় নেই। রাতেও গরমের জন্য ঘুমাতে পারিনি। বৃষ্টি হলেই বেঁচে যাই।’
সিলেট বিভাগীয় বিদ্যুৎ অফিসের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আবু হোসাইন বলেন, ‘দুপুরের দিকে প্রচণ্ড গরম থাকায় বাসাবাড়িতে সবাই এসি ব্যবহার করছিল। যার কারণে আমরা সে পরিমাণ বিদ্যুৎ সাপ্লাই দিতে পারছিলাম না। সে জন্য লোডশেডিং হয়েছে। আর ইন্টারনেটের ধীর গতিতে আমাদের সব ওয়েবসাইটে ঢুকতে পারছিলাম না। যার কারণে বিদ্যুতের আপ-ডাউনের ব্যাপারে জানতে পারিনি।’
চট্টগ্রাম নগরে পরীর পাহাড়ে যাতায়াতের দুর্ভোগ কমাতে বছরখানেক আগে সড়কের পাশের ২৩ শতক জায়গার ওপর গড়ে ওঠা অবৈধ দখলদারদের স্থাপনা ভেঙে দিয়েছিলেন তৎকালীন জেলা প্রশাসক। উচ্ছেদের পর সেখানে জনস্বার্থে প্রকল্প বাস্তবায়নের কথা ছিল। জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের পর ডিসি রদবদল হলে সেই উদ্ধার করা জায়গা আরেক দখলদারের
২ ঘণ্টা আগেসিলেটের ১৩৩ বছরের পুরোনো এমসি কলেজ। এর ছাত্রাবাসের সপ্তম ব্লকে ১২৮ জন শিক্ষার্থীর পাশাপাশি কলেজের কয়েকজন কর্মচারীও থাকেন। কিন্তু বেশ কয়েক দিন ধরে পানির তীব্র সংকট থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। গোসল করা দূরে থাক, প্রয়োজনীয় খাওয়ার পানিও পাচ্ছেন না তাঁরা। তাই অনেকে বাধ্য হয়ে নিজ নিজ বাড়িতে চলে
২ ঘণ্টা আগেটানা বৃষ্টি আর উজানের ঢলে পদ্মা নদীতে বৃদ্ধি পাচ্ছে পানি। এতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলার চরাঞ্চল ডুবে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে পাঁচটি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের সাড়ে ৬ হাজার পরিবার। অন্যদিকে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের পদ্মার চরের নিম্নাঞ্চলের আবাদি জমি ও চলাচলের রাস্তা ডুবে গেছে। ইতিমধ্যে রামকৃষ্ণপুর
২ ঘণ্টা আগেরংপুরের তারাগঞ্জে গণপিটুনিতে শ্বশুর রূপলাল দাস (৪৫) ও জামাই প্রদীপ লালের (৩৫) প্রাণহানির পেছনে আইনশৃঙ্খলাহীনতাকে দুষছেন স্থানীয় লোকজন। তাঁরা বলছেন, গত কয়েক দিনের চুরি, ছিনতাই ও হত্যাকাণ্ড-সংশ্লিষ্ট অপরাধের কারণে স্থানীয় জনতার ভেতর মবের মনোভাব তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি পুলিশও সেভাবে তৎপর নয়। এসব কারণেই শ্
২ ঘণ্টা আগে