Ajker Patrika

ব্লগার অনন্ত হত্যার ৯ বছর: মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের রায় দ্রুত কার্যকরের দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট
ব্লগার অনন্ত হত্যার ৯ বছর: মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের রায় দ্রুত কার্যকরের দাবি

বিজ্ঞান লেখক ও ব্লগার অনন্ত বিজয় দাশ হত্যা মামলার রায় দ্রুত কার্যকর ও সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানানো হয়েছে। আজ রোববার অনন্ত বিজয় দাশ হত্যার নবম বার্ষিকীতে তাঁর স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তারা এ দাবি জানান। 

২০১৫ সালের ১২ মে সিলেট নগরের সুবিদবাজার এলাকায় প্রকাশ্যে দিবালোকে কুপিয়ে হত্যা করা হয় ব্লগার ও বিজ্ঞান লেখক অনন্ত বিজয় দাশকে। এরপর ওই এলাকায় প্রয়াত বাংলাদেশ যুব ইউনিয়নের সাবেক কেন্দ্রীয় সহসভাপতি, সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সিলেট জেলা সংসদের সাবেক সভাপতি এবং আন্তর্জাতিক নদী অধিকারবিষয়ক সংগঠন অঙ্গীকার বাংলাদেশের পরিচালক মঈনুদ্দিন আহমদ জালালের উদ্যোগে অস্থায়ী স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হয়। 

প্রতি বছর ১২ মে ওই স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন সিলেটের প্রগতিশীল রাজনীতিবিদ, লেখক, শিক্ষক, সংস্কৃতিকর্মীসহ অনন্ত বিজয়ের সহযোদ্ধারা। আজ রোববার দুপুর ১২টার দিকে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে অনন্ত বিজয়ের স্মৃতি রক্ষার্থে তাঁকে হত্যার স্থানে স্থায়ী স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণেরও দাবি জানান বক্তারা। 

গণজাগরণ মঞ্চ, সিলেটের মুখপাত্র দেবাশীষ দেবুর সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তারা বলেন, অনন্ত হত্যাকাণ্ডের সাত বছর পর এই মামলায় রায় হয়। তবে রায় ঘোষণার দুই বছর কেটে গেলেও এখন পর্যন্ত রায় কার্যকরের কোনো উদ্যোগ নেই। এ ছাড়া মামলার রায়ে ৪ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হলেও তিনজন এখনো পলাতক রয়েছেন। 

বক্তারা পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তার ও রায় দ্রুত কার্যকরের দাবি জানিয়ে বলেন, অনন্তসহ বেশ কয়েকজন ব্লগার ও মুক্তমনা লোকদের হত্যার মাধ্যমে দেশে জঙ্গিবাদের উত্থান ঘটে। তাই রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা ও জঙ্গিবাদ নির্মূলের স্বার্থেই এই হত্যা মামলার রায় দ্রুত কার্যকর ও সব আসামিদের শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানান। অন্যথায় জঙ্গিরা আবার মাথা ছাড়া দিয়ে উঠতে পারে বলে শঙ্কা ব্যক্ত করেন তাঁরা। 

সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য দেন-আওয়ামী লীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, শাবিপ্রবির অধ্যাপক ড. নাজিয়া চৌধুরী, পরিবেশ কর্মী আব্দুল করিম কীম, আশরাফুল কবির, সম্মিলিত নাট্য পরিষদ সিলেটের সভাপতি রজতকান্তি গুপ্ত, সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক আহমদ, অনন্তর ভগ্নিপতি সমর বিজয় সী শেখর, লেখক এনাম আহমদ, প্রগতিশীল রাজনৈতিক কর্মী নিরঞ্জন সরকার অপু, বাসদ নেতা প্রণব জ্যোতি পাল, গণজাগরণ মঞ্চের সংগঠক মাহবুব রাসেল, রাজীব রাসেল, দেবজ্যোতি দেবু, অরূপ বাউল, উজ্জ্বল চক্রবর্তী, চক্রবর্তী, রনি দাশ প্রমুখ। 

অনন্ত বিজয় দাশ হত্যার নবম মৃত্যুবার্ষিকীতে অস্থায়ী স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা প্রসঙ্গত, পেশায় ব্যাংকার অনন্ত বিজয় দাশ ‘যুক্তি’ নামের একটি বিজ্ঞানবিষয়ক ম্যাগাজিন সম্পাদনা করতেন। তিনি মুক্তমনাসহ বিভিন্ন ব্লগে লেখালেখি করতেন। ২০১৫ সালের ১২ মে সকালে বোনকে সঙ্গে নিয়ে অফিসে যাওয়ার সময় সিলেট নগরের সুবিদবাজার এলাকার দস্তিদার দিঘীর পাশে তাঁর ওপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় একদল যুবক। তাঁকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করে তারা। পরে নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিম (এবিটি) এ হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে। 

সে রাতেই সিলেটের বিমানবন্দর থানায় অজ্ঞাতনামা হামলাকারীদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন অনন্ত বিজয় দাশের ভাই রত্নেশ্বর দাশ।  

২০২২ সালের ৩০ মার্চ সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনাল সিলেটের বিচারক নুরুল আমীন বিপ্লব এই হত্যা মামলার রায়ে ৪ জনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ ও একজনকে বেকসুর খালাস দেন। 

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন-সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার আবুল হোসেন, উপজেলার খালপাড় তালবাড়ির ফয়সাল আহমদ, সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের বিরেন্দ্রনগরের (বাগলী) মামুনুর রশীদ ও কানাইঘাটের ফালজুর গ্রামের আবুল খায়ের রশীদ আহমদ। 

আবুল খায়ের রশীদ আহমদ ছাড়া অপর তিনজন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি। অপর আসামি মান্নান রাহী কাশিমপুর কারাগারে অসুস্থ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাজধানীতে গুলিতে নিহত মামুন শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের প্রধান সহযোগী

আসিফ ক্ষমা না চাইলে অ্যাকশনে যাওয়ার হুমকি ফুটবলারদের

দিনদুপুরে রাজধানীতে হাসপাতালের সামনে এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা

উপদেষ্টা ফরিদা আখতারের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ

আজকের রাশিফল: প্রপোজের জন্য বিপজ্জনক দিন, গ্রহরা একগুঁয়েমিটা ছাড়তে বলছে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

রাজবাড়ীতে হত্যা মামলায় ১০ জনের যাবজ্জীবন

রাজবাড়ী প্রতিনিধি
ছবি: আজকের পত্রিকা
ছবি: আজকের পত্রিকা

রাজবাড়ীর পাংশায় পারিবারিক কলহের জেরে আব্দুল সাত্তার মৃধা নামে এক ব্যক্তিকে গলা কেটে হত্যা মামলায় ১০ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে প্রত্যেক আসামিকে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা ও অনাদায়ে ৩ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

আজ সোমবার দুপুরে রাজবাড়ীর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ২য় আদালতের বিচারক অশোক কুমার এ রায় দেন। রায়ের সময় দুই আসামি অনুপস্থিত ছিলেন। সরকারি কৌঁসুলি আব্দুর রাজ্জাক এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

দণ্ডিত ব্যক্তিরা হলেন মিরাজ মৃধা (পলাতক), সাঈদ মৃধা, মনিরুল শেখ, আশরাফুল শেখ, আশরাফ শেখ, আছাদ শেখ, দিলু মৃধা, তোফাজ্জেল ওরফে তোফা, মাহাতাব শেখ, ঠান্ডা মৃধা (পলাতক)।

মামলার নথি থেকে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ১৬ জুন পাংশা উপজেলার মৌরাট ইউনিয়নের জাগিরমালঞ্চি গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল সাত্তার মৃধাকে পারিবারিক কলহের জেরে ঈদের দিন সকালে গলা কেটে হত্যা করেন তাঁর ভাই-ভাতিজারা। পরদিন নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে পাংশা মডেল থানায় একটি মামলা করেন।

সরকারি কৌঁসুলি আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘আদালত দীর্ঘ শুনানি শেষে ১০ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও তিনজনকে খালাস দিয়েছেন। আমরা এই রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাজধানীতে গুলিতে নিহত মামুন শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের প্রধান সহযোগী

আসিফ ক্ষমা না চাইলে অ্যাকশনে যাওয়ার হুমকি ফুটবলারদের

দিনদুপুরে রাজধানীতে হাসপাতালের সামনে এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা

উপদেষ্টা ফরিদা আখতারের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ

আজকের রাশিফল: প্রপোজের জন্য বিপজ্জনক দিন, গ্রহরা একগুঁয়েমিটা ছাড়তে বলছে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

খালেদা জিয়ার স্থলে শেখ হাসিনার নাম বলা সেই বিএনপি নেতাকে শোকজ

হোমনা (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
মেহেদী হাসান সেলিম ভূইয়া। ছবি: সংগৃহীত
মেহেদী হাসান সেলিম ভূইয়া। ছবি: সংগৃহীত

৭ই নভেম্বরের জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের আলোচনা সভায় সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের স্ত্রী হিসেবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নামের স্থলে ‘জননেত্রী শেখ হাসিনা’ বলে ফেলা তিতাস উপজেলা বিএনপির সেক্রেটারী মেহেদী হাসান সেলিম ভূইয়াকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির আহবায়ক মোহাম্মদ আকতারুজ্জামান সরকার ও সদস্য সচিব এ এফ এম তারেক মুন্সী স্বাক্ষরিত একটি চিঠিতে তাকে এ নোটিশ দেওয়া হয়।

নোটিশে মেহেদী হাসান সেলিম ভূইয়াকে উদ্দেশ্য করে বলা হয়েছে, গত ৭ নভেম্বর তিতাস উপজেলা বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের যৌথ উদ্যোগে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত সভায় আপনি বক্তৃতার মাঝে ‘তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার’ স্থলে ‘জননেত্রী শেখ হাসিনা’ বলেছেন। যার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। আপনার এ বক্তব্যে দলীয় ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে এবং দলের নেতা কর্মীদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। আপনার বিরুদ্ধে কেন সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না তা আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে স্ব-শরীরে উপস্থিত হয়ে লিখিত জবাব দাখিল করবেন। ব্যর্থতায় আপনার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাজধানীতে গুলিতে নিহত মামুন শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের প্রধান সহযোগী

আসিফ ক্ষমা না চাইলে অ্যাকশনে যাওয়ার হুমকি ফুটবলারদের

দিনদুপুরে রাজধানীতে হাসপাতালের সামনে এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা

উপদেষ্টা ফরিদা আখতারের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ

আজকের রাশিফল: প্রপোজের জন্য বিপজ্জনক দিন, গ্রহরা একগুঁয়েমিটা ছাড়তে বলছে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

দেশের ক্ষতি করে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না: চট্টগ্রামে নৌ উপদেষ্টা

 নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
আজ চট্টগ্রামে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন নৌ পরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম শাখাওয়াত হোসেন। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ চট্টগ্রামে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন নৌ পরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম শাখাওয়াত হোসেন। ছবি: আজকের পত্রিকা

নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, ‘বন্দর নিয়ে অনেকে অনেক কথা বলবে। কিন্তু উন্নতি করতে হলে প্রযুক্তি, অর্থ ও দক্ষতা প্রয়োজন। বন্দর ঘিরে চার-পাঁচ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের সম্ভাবনা রয়েছে। বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতে বেশির ভাগ বন্দর বেসরকারি অপারেটররা পরিচালনা করে, আমরা কেন পিছিয়ে থাকব? তাই আমরাও এগিয়ে যেতে চাই।’

সাখাওয়াত হোসেন আরও বলেন, ‘আমি এখানে আছি, মরব এখানেই। দেশের ক্ষতি করে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না। ব্যবসায়ীরা যেন সুযোগ পায়, সেটিই আমাদের লক্ষ্য। আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় লালদিয়ার চর কনটেইনার ইয়ার্ড উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।

উপদেষ্টা বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনার রাখার সক্ষমতা ৫৬ হাজার টিইইউএস থেকে ১০ হাজার বেড়ে ৬৬ হাজারে উন্নীত হবে। যারা বিজনেস করে তাদের জন্য লালদিয়ার চর টার্মিনাল বড় সুযোগ। ১০ হাজার কনটেইনার রাখার ক্যাপাসিটি বাড়বে।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ১৪ একর জমিতে নির্মিত লালদিয়ার চর টার্মিনালে রয়েছে ১ হাজার ৫০০ ট্রাক রাখার ব্যবস্থা। এ ছাড়া ৮ একর জায়গায় হেভি লিফট কার্গো জেটির ব্যাকআপ ও ১০ একর জায়গায় এপিএম টার্মিনাল এলাকা তৈরি করা হয়েছে।

উপদেষ্টা সাখাওয়াত হোসেন আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) বে-টার্মিনাল এলাকায় পরিবহন টার্মিনাল, তালতলা কনটেইনার ইয়ার্ড (ইস্ট কলোনিসংলগ্ন) উদ্বোধন করেন এবং এক্সওয়াই শেড ও কাস্টমস অকশন শেড পরিদর্শন করেন।

বিকেলে চট্টগ্রাম বন্দরের নতুন ট্যারিফ ও পোর্ট চার্জেসসংক্রান্ত সভায় তাঁর অংশ নেওয়ার কথা থাকলেও তা স্থগিত করা হয়। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ব্যবসায়ীরাই ব্যবসা করবে। ১৯৮৪ সালে ট্যারিফ নির্ধারিত হয়েছিল–এখন সময় এসেছে তা হালনাগাদ করার। ব্যবসায়ীরা আয় করছে ১ হাজার টাকা, বন্দর পাচ্ছে ৫০০ টাকা। আমরা জনবল দিয়ে বন্দর চালাচ্ছি, তাই ট্যারিফ সংস্কার প্রয়োজন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাজধানীতে গুলিতে নিহত মামুন শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের প্রধান সহযোগী

আসিফ ক্ষমা না চাইলে অ্যাকশনে যাওয়ার হুমকি ফুটবলারদের

দিনদুপুরে রাজধানীতে হাসপাতালের সামনে এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা

উপদেষ্টা ফরিদা আখতারের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ

আজকের রাশিফল: প্রপোজের জন্য বিপজ্জনক দিন, গ্রহরা একগুঁয়েমিটা ছাড়তে বলছে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

রাবিতে রেজিস্ট্রার ও রাকসু জিএস আম্মারের বাগ্‌বিতণ্ডা ভাইরাল

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রারের সঙ্গে রাকসু জিএস আম্মারের উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়ের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ছবি: স্ক্রিনশট
ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রারের সঙ্গে রাকসু জিএস আম্মারের উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়ের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ছবি: স্ক্রিনশট

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ইফতিখারুল আলম ও বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (রাকসু) সাধারণ সম্পাদক (জিএস) সালাহউদ্দিন আম্মারের মধ্যে তীব্র বাগ্‌বিতণ্ডার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। এ নিয়ে ক্যাম্পাসজুড়ে এখন আলোচনার ঝড়। গত রোববার (৯ নভেম্বর) দুপুরে প্রশাসন ভবনের রেজিস্ট্রারের কক্ষে এই ঘটনা ঘটে। রাতের মধ্যেই একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে ক্যাম্পাস সরগরম হয়ে ওঠে।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, বিতর্কটির সূত্রপাত দুটি কারণে। প্রথমত, সম্প্রতি চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক এনামুল হকের অপসারণের দাবিতে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছিল। রোববার দুপুর ১২টার দিকে উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ্ হাসান নকীব ওই শিক্ষকের অব্যাহতির চিঠিতে সই করলেও, চিঠিটি রেজিস্ট্রার দপ্তর থেকে বিভাগে পাঠানোয় বিলম্ব হচ্ছিল বলে অভিযোগ ওঠে।

দ্বিতীয়ত, জিএস সালাহউদ্দিন আম্মার অভিযোগ পান, রেজিস্ট্রার তাঁর কক্ষে ‘মহানগর বিএনপির’ নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সভা করছেন।

এই দুটি বিষয় নিয়ে কথা বলতে গিয়েই আম্মার রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে প্রবেশ করেন।

রেজিস্ট্রার ও জিএস-এর মধ্যে সরাসরি বাগ্‌বিতণ্ডায় শোনা যায়, রেজিস্ট্রার তাঁর কক্ষে অনুমতি ছাড়াই প্রবেশ করায় আম্মারকে বের হয়ে যেতে বলছেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে যেসব বাগ্‌বিতণ্ডা দেখা যায়:

জিএস আম্মার: আমি স্যার ভেতরে আসব না?

রেজিস্ট্রার: তোমাকে আমি বাইরে ১০ মিনিট ওয়েট (অপেক্ষা) করতে বলেছি।

জিএস আম্মার: আপনি স্যার চিঠি (চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতিকে অপসারণের চিঠি) আটকে রাখছেন।

রেজিস্ট্রার (ক্ষুব্ধ হয়ে) : এই বেয়াদব ছেলে, কীসের চিঠি আটকে রাখছি আমি?

জিএস আম্মার: বেয়াদব তো আমি। ডেফিনেটলি বেয়াদব।

রেজিস্ট্রার: আমার সঙ্গে বেয়াদবি কেন? তুমি কে ওই ডিপার্টমেন্টের?

জিএস আম্মার: আমি কে মানে? আমি রাকসুর নির্বাচিত জিএস।

এ নিয়ে পরে সালাহউদ্দিন আম্মার সাংবাদিকদের জানান, রেজিস্ট্রার প্রায়ই শিক্ষার্থীদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন এবং সেদিনও তাঁকে বারবার ‘গেট আউট’ বলে চিৎকার করেন। তিনি বলেন, কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে নয়, বরং দায়িত্বশীল জায়গা থেকে তিনি ঘটনাটি যাচাই করতে গিয়েছিলেন।

অন্যদিকে অধ্যাপক ইফতিখারুল আলম অভিযোগ করেন, সালাহউদ্দিন আম্মার অনুমতি ছাড়াই তাঁর দপ্তরে ঢুকে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেছেন। তিনি দাবি করেন, চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান বিভাগে সভাপতি নিয়োগপ্রক্রিয়া চলমান ছিল, কোনো ফাইল আটকে রাখা হয়নি। তিনি প্রশ্ন তোলেন, শিক্ষার্থীসংক্রান্ত বিষয় হলেও প্রশাসনিক নিয়োগ নিয়ে রাকসু নেতাদের হস্তক্ষেপ করা অনুচিত।

এদিকে রেজিস্ট্রারের কক্ষে বিএনপির নেতা-কর্মীদের নিয়ে বৈঠক করার অভিযোগ নিয়ে ক্যাম্পাসে চলছে রাজনৈতিক বিতর্ক। জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) রাজশাহী মহানগর শাখার আহ্বায়ক মোবাশ্বের রাজ ফেসবুকে লিখেছেন, বাগ্‌বিতণ্ডার সময় সেখানে বিএনপির কেউ ছিলেন না, কেবল এনসিপি-এর নেতৃত্ব সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গিয়েছিলেন। তিনি অনুমান করেন, রেজিস্ট্রারের পিএস ভুলবশত এনসিপি নেতাদের ‘বিএনপির কর্মী’ ভেবে ভুল তথ্য দেন, যেখান থেকে ভুল–বোঝাবুঝি শুরু।

তবে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সভাপতি সুলতান আহমেদ (রাহী) এই ঘটনায় বিএনপির নাম জড়ানোয় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, ‘রেজিস্ট্রার অফিসে আম্মার ও শিক্ষক পরস্পরকে ধমকাচ্ছেন, অথচ বিএনপির নাম টেনে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে। সেখানে বিএনপির কেউ ছিল না।’

এদিকে, এই ঘটনায় প্রশাসনের একাংশের মনোভাব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রাকসুর সহসভাপতি (ভিপি) মোস্তাকুর রহমান (জাহিদ)। তিনি ফেসবুকে লিখেছেন, ‘নির্বাচন–পরবর্তী সময়ে তাঁদের এ আচরণ পরিবর্তন হওয়াটা সমীচীন ছিল; কিন্তু এখনো প্রশাসনের কারও কারও আচরণ দেখে মনে হচ্ছে, শিক্ষার্থীরা রাকসুর প্রতিনিধি নির্বাচিত করে তাঁদের বাড়া ভাতে ছাই দিয়েছেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাজধানীতে গুলিতে নিহত মামুন শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের প্রধান সহযোগী

আসিফ ক্ষমা না চাইলে অ্যাকশনে যাওয়ার হুমকি ফুটবলারদের

দিনদুপুরে রাজধানীতে হাসপাতালের সামনে এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা

উপদেষ্টা ফরিদা আখতারের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ

আজকের রাশিফল: প্রপোজের জন্য বিপজ্জনক দিন, গ্রহরা একগুঁয়েমিটা ছাড়তে বলছে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত