ইয়াহ্ইয়া মারুফ, সিলেট

২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর থেকে সিলেট বিভাগের চার জেলায় পরিবেশ ধ্বংস করে ব্যাপকভাবে বালু-পাথর লুটপাট শুরু হয়। ২ ডিসেম্বর সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার হিসেবে যোগ দেন অতিরিক্ত সচিব খান মো. রেজা-উন-নবী। গত ৯ মাসে পরিবেশ ও খনিজ সম্পদ রক্ষায় তিনি কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেননি। উল্টো তাঁর বক্তব্যে উৎসাহিত হয় লুটপাটকারীরা। পাথর লুট শেষ পর্যন্ত হরিলুটে রূপ নেয়। বিখ্যাত পর্যটনকেন্দ্র সাদাপাথর, জাফলং, রাংপানি, বিছনাকান্দি, লালাখাল, উৎমাছড়াসহ বিভাগের অধিকাংশ পাথর কোয়ারি ও বালুমহাল প্রায় পাথর-বালু শূন্য হয়।
ইতিমধ্যে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রাথমিক অনুসন্ধানেও বিষয়টি উঠে এসেছে। পাথর লুটপাটে কার কতটা দায়, তা স্পষ্ট হয়েছে দুদকের পেশ করা প্রতিবেদনে। এতে বলা হয়, মূলত স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজশে পাথর নিঃশেষ হয়।
সিলেটের পরিবেশ আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক আব্দুল করিম কিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, দুই উপদেষ্টার সিলেট সফরের পর জেলা প্রশাসন ক্রাশার মিলের (পাথর ভাঙার কল) বৈদ্যুতিক সংযোগবিচ্ছিন্ন শুরু করে। সেই অভিযান থেমে যায় রাজনৈতিক নেতাদের অংশগ্রহণে সিলেটে আয়োজিত বিভিন্ন সভা-সমাবেশে। কিন্তু পাথর উত্তোলন, বিপণন ও লুটতরাজের সঙ্গে যুক্ত সব পক্ষকে নিয়ে সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার যে সভা করেন, সে সভায় বিভাগীয় কমিশনারের দেওয়া দায়িত্বজ্ঞানহীন বক্তব্যে পাথরখেকোরা মূলত প্রশ্রয় পায়। পাথর লুট বন্ধে প্রশাসন যে নিষ্ক্রিয় থাকবে, সে বার্তাতেই লুটপাট লাগামহীনভাবে শুরু হয়।
বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) সিলেটের সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট শাহ শাহেদা আখতার বলেন, গত বছরের ৫ আগস্টের পর থেকে যে অবৈধভাবে বালু-পাথর উত্তোলন শুরু হয়েছে, তা বন্ধ করার জন্য কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। বেলার পক্ষ থেকে বারবার বলার পরও কর্তৃপক্ষ আমলে নেয়নি; বরং পাথর উত্তোলনকারীদের সাহস জোগানো হয়েছে। বিভাগীয় কমিশনারের এ ধরনের বক্তব্য আদালত অবমাননার মতো অপরাধ।
খনিজ সম্পদ উন্নয়ন ব্যুরো-বিএমডি: দুদকের প্রতিবেদনে বলা হয়, খনি ও খনিজ সম্পদ বিধিমালা, ২০১২-এর বিধি ৯১ ও ৯৩ অনুযায়ী, অবৈধ কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করে স্থানীয় প্রশাসনকে অবহিত করা ও তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের ক্ষমতা বিএমডির ওপর ন্যস্ত। কিন্তু সাদাপাথর লুটপাটের ঘটনা প্রতিরোধে বিএমডি থেকে কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
বিভাগীয় কমিশনার, সিলেট: প্রতিবেদনে বলা হয়, সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার খান মো. রেজা-উন-নবী ৮ জুলাই তাঁর কার্যালয়ে পাথরসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী, পরিবহনশ্রমিক ও রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘সারা দেশে পাথর উত্তোলন করা গেলে সিলেটে যাবে না কেন? এর সঙ্গে মানুষের জীবন ও জীবিকা জড়িত।’ তাঁর এ বক্তব্য সাদাপাথর লুটপাটে ব্যাপক উৎসাহ জুগিয়েছে।
এ ব্যাপারে বক্তব্য জানতে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে সিলেটের বিভাগীয় কমিশনারকে মোবাইল ফোনে কয়েকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। খুদে বার্তা পাঠানো হলেও তিনি কোনো সাড়া দেননি। রাত ৯টার দিকে তাঁর পিএস ফজলে রাব্বানী ফোন রিসিভ করে প্রশ্ন শুনে বলেন, ‘স্যারের মিটিং শেষ হলে আমি আলাপ করব।’
জেলা প্রশাসক, সিলেট: প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, পাথর, বালু লুটপাট ও পর্যটন স্থানগুলোর নান্দনিক সৌন্দর্য বজায় রাখাসহ পরিবেশ সংরক্ষণে যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণে সিলেটের তৎকালীন জেলা প্রশাসক ও সদ্য ওএসডি হওয়া মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদের সদিচ্ছার অভাব, অবহেলা, ব্যর্থতা ও নিষ্ক্রিয়তা স্পষ্ট। তিনি তাঁর অধীন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনকে সাদাপাথর পর্যটন স্থান রক্ষায় সঠিক দিকনির্দেশনা দিতে অদক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। জানতে চাইলে মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ বলেন, ‘দুদক যা লিখেছে, লিখুক।’
পুলিশ সুপার, সিলেট: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ২৭ এপ্রিল অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন ও পরিবহন বন্ধের জন্য পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নির্দেশ দিলেও সিলেট জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান সাদাপাথর লুটপাটের বিষয়ে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেননি।
বক্তব্য জানতে পুলিশ সুপারকে মোবাইল ফোনে কয়েকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। খুদে বার্তা পাঠানো হলেও কোনো সাড়া মেলেনি।
ইউএনও: প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত এক বছরে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় বিশেষ করে সাদাপাথর পর্যটন এলাকায় দৃশ্যমানভাবে দিনদুপুরে উপজেলা প্রশাসনের গোচরেই পাথর লুটপাট হয়েছে। ওই সময় কোম্পানীগঞ্জে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হিসেবে আজিজুন্নাহার, মোহাম্মদ আবুল হাছনাত, ঊর্মি রায় ও আবিদা সুলতানা কর্মরত ছিলেন। ইউএনওরা নামমাত্র ও লোকদেখানো কিছু ব্যবস্থা গ্রহণ ছাড়া পাথর লুট বন্ধে তেমন কোনো ব্যবস্থা নেননি।
ওসি, কোম্পানীগঞ্জ থানা: প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওসি উজায়ের আল মাহমুদ আদনানসহ সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশ সদস্যরা অবৈধ পাথর ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে বিভিন্ন অঙ্কের কমিশন নিয়ে সাদাপাথর লুটপাটে সক্রিয়ভাবে সহযোগিতা করেছেন। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, অবৈধভাবে উত্তোলিত পাথর প্রতি ট্রাকে প্রায় ৫০০ ঘনফুট করে লোড (ভরা) করা হয়। পরিবহনের ভাড়া ছাড়া প্রতি ট্রাকের পাথরের দাম ধরা হয় ৯১ হাজার টাকা। এর মধ্যে প্রতি ট্রাক থেকে ১০ হাজার টাকা পুলিশ ও প্রশাসনের জন্য আলাদা করা হয়। তাঁরা তা সমান ভাগ করে নিতেন। বাকি ৮১ হাজার টাকা অবৈধভাবে পাথর উত্তোলনকারীরা নিজেদের মধ্যে বণ্টন করে নেন। অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন কাজে ব্যবহৃত প্রতিটি বারকি নৌকা থেকে ১ হাজার টাকা করে নেওয়া হয়। যার মধ্যে পুলিশ বিভাগ পায় ৫০০ এবং প্রশাসন (ডিসি ও ইউএনও) পান ৫০০ টাকা। পুলিশ নির্দিষ্ট সোর্সের মাধ্যমে প্রতিটি ট্রাক ও নৌকা থেকে এসব চাঁদা বা অবৈধ অর্থ সংগ্রহ করে।
প্রতিবেদনে সাদাপাথর লুটে বর্ডার গার্ড বিজিবিকেও দায়ী করা হয়েছে। এতে বলা হয়, সাদাপাথর এলাকায় ৩টি বিজিবি পোস্ট রয়েছে। এগুলো থেকে লুটের ঘটনাস্থলের দূরত্ব ৫০০ মিটারেরও কম। এত কম দূরত্ব থাকা সত্ত্বেও কোম্পানি কমান্ডার ইকবাল হোসেনসহ বিজিবি সদস্যদের আর্থিক সুবিধা গ্রহণ ও নিষ্ক্রিয়তার কারণে লুটেরারা খুব সহজেই পাথর লুটপাট করতে পেরেছে। বিজিবির সদস্যরা নৌকাপ্রতি ৫০০ টাকা নিয়ে এলাকায় ঢোকার অনুমতি দেন এবং পাথর উত্তোলনে বাধা দেননি।
আরএনবির চিঠি
চলতি বছরের ৫ জানুয়ারি ‘কোম্পানীগঞ্জ উপজেলাধীন ভোলাগঞ্জে অবস্থিত রেলওয়ের ট্রেসেলসহ পাথর কোয়ারি সরকারি সম্পদ রক্ষা প্রসঙ্গে’ জেলা প্রশাসনকে চিঠি দেয় রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী (আরএনবি)। চিঠির অনুলিপি দেওয়া হয় সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার, পুলিশ সুপার, ইউএনও, ওসি ও বিজিবিসহ সংশ্লিষ্টদের। কিন্তু কোনো পক্ষই তাতে সাড়া দেয়নি। বারবার জেলা প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও কাজ হয়নি।
এ ব্যাপারে সদ্য ওএসডি হওয়া জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ বলেন, ‘চিঠি দিয়ে অবগত করলে করতে পারে। এ মুহূর্তে আমার মনে নেই।’
‘লুট নয়, হরিলুট হয়েছে’
সিলেট প্রতিনিধি জানান, গতকাল সকালে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোখলেস উর রহমান সাদাপাথর পর্যটনকেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন। পরিদর্শন শেষে তিনি বলেন, ‘সাদাপাথরের কাছেই বিজিবির সুন্দর একটি ক্যাম্প দেখতে পাচ্ছি, এই ক্যাম্পের সামনে এত বড় একটা ঘটনা ঘটল এবং এক দিনে না, কয়েক দিনে। আমরা পত্রিকায় দেখেছি যে লুট হয়েছে। আর আজকে এসে মনে হলো, মোর দ্যান লুট, হরিলুট। দেশের সম্পদ, রাষ্ট্রীয় সম্পদ দু-চারজন, কে বা কারা লুট করেছে, এটা আমরা তদন্ত করে তো নাম পাচ্ছি; সে যে-ই হোক আমাদের দেশের, যত বড় অফিসার হোক, এখানে কিন্তু ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে এবং নেওয়া হবে।’
এ সময় সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. সারোয়ার আলম বলেন, ‘পুরো এলাকা আমরা ক্যামেরার আওতায় নিয়ে আসব এবং ২৪ ঘণ্টা নিয়ন্ত্রণে থাকবে আমাদের। আমরা কয়েক ঘণ্টা সময় দেব, যার কাছে যত পাথর আছে, এটা ফেরত দিতে হবে। যার কাছে পাথর পাওয়া যাবে এবং স্ট্রেইট বলে দিই, তাকে কারাদণ্ড বরণ করতে হবে।’
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব সাইফুল ইসলাম, সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার খান মো. রেজা-উন-নবীসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা।

২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর থেকে সিলেট বিভাগের চার জেলায় পরিবেশ ধ্বংস করে ব্যাপকভাবে বালু-পাথর লুটপাট শুরু হয়। ২ ডিসেম্বর সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার হিসেবে যোগ দেন অতিরিক্ত সচিব খান মো. রেজা-উন-নবী। গত ৯ মাসে পরিবেশ ও খনিজ সম্পদ রক্ষায় তিনি কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেননি। উল্টো তাঁর বক্তব্যে উৎসাহিত হয় লুটপাটকারীরা। পাথর লুট শেষ পর্যন্ত হরিলুটে রূপ নেয়। বিখ্যাত পর্যটনকেন্দ্র সাদাপাথর, জাফলং, রাংপানি, বিছনাকান্দি, লালাখাল, উৎমাছড়াসহ বিভাগের অধিকাংশ পাথর কোয়ারি ও বালুমহাল প্রায় পাথর-বালু শূন্য হয়।
ইতিমধ্যে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রাথমিক অনুসন্ধানেও বিষয়টি উঠে এসেছে। পাথর লুটপাটে কার কতটা দায়, তা স্পষ্ট হয়েছে দুদকের পেশ করা প্রতিবেদনে। এতে বলা হয়, মূলত স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজশে পাথর নিঃশেষ হয়।
সিলেটের পরিবেশ আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক আব্দুল করিম কিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, দুই উপদেষ্টার সিলেট সফরের পর জেলা প্রশাসন ক্রাশার মিলের (পাথর ভাঙার কল) বৈদ্যুতিক সংযোগবিচ্ছিন্ন শুরু করে। সেই অভিযান থেমে যায় রাজনৈতিক নেতাদের অংশগ্রহণে সিলেটে আয়োজিত বিভিন্ন সভা-সমাবেশে। কিন্তু পাথর উত্তোলন, বিপণন ও লুটতরাজের সঙ্গে যুক্ত সব পক্ষকে নিয়ে সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার যে সভা করেন, সে সভায় বিভাগীয় কমিশনারের দেওয়া দায়িত্বজ্ঞানহীন বক্তব্যে পাথরখেকোরা মূলত প্রশ্রয় পায়। পাথর লুট বন্ধে প্রশাসন যে নিষ্ক্রিয় থাকবে, সে বার্তাতেই লুটপাট লাগামহীনভাবে শুরু হয়।
বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) সিলেটের সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট শাহ শাহেদা আখতার বলেন, গত বছরের ৫ আগস্টের পর থেকে যে অবৈধভাবে বালু-পাথর উত্তোলন শুরু হয়েছে, তা বন্ধ করার জন্য কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। বেলার পক্ষ থেকে বারবার বলার পরও কর্তৃপক্ষ আমলে নেয়নি; বরং পাথর উত্তোলনকারীদের সাহস জোগানো হয়েছে। বিভাগীয় কমিশনারের এ ধরনের বক্তব্য আদালত অবমাননার মতো অপরাধ।
খনিজ সম্পদ উন্নয়ন ব্যুরো-বিএমডি: দুদকের প্রতিবেদনে বলা হয়, খনি ও খনিজ সম্পদ বিধিমালা, ২০১২-এর বিধি ৯১ ও ৯৩ অনুযায়ী, অবৈধ কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করে স্থানীয় প্রশাসনকে অবহিত করা ও তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের ক্ষমতা বিএমডির ওপর ন্যস্ত। কিন্তু সাদাপাথর লুটপাটের ঘটনা প্রতিরোধে বিএমডি থেকে কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
বিভাগীয় কমিশনার, সিলেট: প্রতিবেদনে বলা হয়, সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার খান মো. রেজা-উন-নবী ৮ জুলাই তাঁর কার্যালয়ে পাথরসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী, পরিবহনশ্রমিক ও রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘সারা দেশে পাথর উত্তোলন করা গেলে সিলেটে যাবে না কেন? এর সঙ্গে মানুষের জীবন ও জীবিকা জড়িত।’ তাঁর এ বক্তব্য সাদাপাথর লুটপাটে ব্যাপক উৎসাহ জুগিয়েছে।
এ ব্যাপারে বক্তব্য জানতে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে সিলেটের বিভাগীয় কমিশনারকে মোবাইল ফোনে কয়েকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। খুদে বার্তা পাঠানো হলেও তিনি কোনো সাড়া দেননি। রাত ৯টার দিকে তাঁর পিএস ফজলে রাব্বানী ফোন রিসিভ করে প্রশ্ন শুনে বলেন, ‘স্যারের মিটিং শেষ হলে আমি আলাপ করব।’
জেলা প্রশাসক, সিলেট: প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, পাথর, বালু লুটপাট ও পর্যটন স্থানগুলোর নান্দনিক সৌন্দর্য বজায় রাখাসহ পরিবেশ সংরক্ষণে যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণে সিলেটের তৎকালীন জেলা প্রশাসক ও সদ্য ওএসডি হওয়া মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদের সদিচ্ছার অভাব, অবহেলা, ব্যর্থতা ও নিষ্ক্রিয়তা স্পষ্ট। তিনি তাঁর অধীন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনকে সাদাপাথর পর্যটন স্থান রক্ষায় সঠিক দিকনির্দেশনা দিতে অদক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। জানতে চাইলে মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ বলেন, ‘দুদক যা লিখেছে, লিখুক।’
পুলিশ সুপার, সিলেট: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ২৭ এপ্রিল অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন ও পরিবহন বন্ধের জন্য পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নির্দেশ দিলেও সিলেট জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান সাদাপাথর লুটপাটের বিষয়ে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেননি।
বক্তব্য জানতে পুলিশ সুপারকে মোবাইল ফোনে কয়েকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। খুদে বার্তা পাঠানো হলেও কোনো সাড়া মেলেনি।
ইউএনও: প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত এক বছরে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় বিশেষ করে সাদাপাথর পর্যটন এলাকায় দৃশ্যমানভাবে দিনদুপুরে উপজেলা প্রশাসনের গোচরেই পাথর লুটপাট হয়েছে। ওই সময় কোম্পানীগঞ্জে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হিসেবে আজিজুন্নাহার, মোহাম্মদ আবুল হাছনাত, ঊর্মি রায় ও আবিদা সুলতানা কর্মরত ছিলেন। ইউএনওরা নামমাত্র ও লোকদেখানো কিছু ব্যবস্থা গ্রহণ ছাড়া পাথর লুট বন্ধে তেমন কোনো ব্যবস্থা নেননি।
ওসি, কোম্পানীগঞ্জ থানা: প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওসি উজায়ের আল মাহমুদ আদনানসহ সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশ সদস্যরা অবৈধ পাথর ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে বিভিন্ন অঙ্কের কমিশন নিয়ে সাদাপাথর লুটপাটে সক্রিয়ভাবে সহযোগিতা করেছেন। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, অবৈধভাবে উত্তোলিত পাথর প্রতি ট্রাকে প্রায় ৫০০ ঘনফুট করে লোড (ভরা) করা হয়। পরিবহনের ভাড়া ছাড়া প্রতি ট্রাকের পাথরের দাম ধরা হয় ৯১ হাজার টাকা। এর মধ্যে প্রতি ট্রাক থেকে ১০ হাজার টাকা পুলিশ ও প্রশাসনের জন্য আলাদা করা হয়। তাঁরা তা সমান ভাগ করে নিতেন। বাকি ৮১ হাজার টাকা অবৈধভাবে পাথর উত্তোলনকারীরা নিজেদের মধ্যে বণ্টন করে নেন। অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন কাজে ব্যবহৃত প্রতিটি বারকি নৌকা থেকে ১ হাজার টাকা করে নেওয়া হয়। যার মধ্যে পুলিশ বিভাগ পায় ৫০০ এবং প্রশাসন (ডিসি ও ইউএনও) পান ৫০০ টাকা। পুলিশ নির্দিষ্ট সোর্সের মাধ্যমে প্রতিটি ট্রাক ও নৌকা থেকে এসব চাঁদা বা অবৈধ অর্থ সংগ্রহ করে।
প্রতিবেদনে সাদাপাথর লুটে বর্ডার গার্ড বিজিবিকেও দায়ী করা হয়েছে। এতে বলা হয়, সাদাপাথর এলাকায় ৩টি বিজিবি পোস্ট রয়েছে। এগুলো থেকে লুটের ঘটনাস্থলের দূরত্ব ৫০০ মিটারেরও কম। এত কম দূরত্ব থাকা সত্ত্বেও কোম্পানি কমান্ডার ইকবাল হোসেনসহ বিজিবি সদস্যদের আর্থিক সুবিধা গ্রহণ ও নিষ্ক্রিয়তার কারণে লুটেরারা খুব সহজেই পাথর লুটপাট করতে পেরেছে। বিজিবির সদস্যরা নৌকাপ্রতি ৫০০ টাকা নিয়ে এলাকায় ঢোকার অনুমতি দেন এবং পাথর উত্তোলনে বাধা দেননি।
আরএনবির চিঠি
চলতি বছরের ৫ জানুয়ারি ‘কোম্পানীগঞ্জ উপজেলাধীন ভোলাগঞ্জে অবস্থিত রেলওয়ের ট্রেসেলসহ পাথর কোয়ারি সরকারি সম্পদ রক্ষা প্রসঙ্গে’ জেলা প্রশাসনকে চিঠি দেয় রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী (আরএনবি)। চিঠির অনুলিপি দেওয়া হয় সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার, পুলিশ সুপার, ইউএনও, ওসি ও বিজিবিসহ সংশ্লিষ্টদের। কিন্তু কোনো পক্ষই তাতে সাড়া দেয়নি। বারবার জেলা প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও কাজ হয়নি।
এ ব্যাপারে সদ্য ওএসডি হওয়া জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ বলেন, ‘চিঠি দিয়ে অবগত করলে করতে পারে। এ মুহূর্তে আমার মনে নেই।’
‘লুট নয়, হরিলুট হয়েছে’
সিলেট প্রতিনিধি জানান, গতকাল সকালে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোখলেস উর রহমান সাদাপাথর পর্যটনকেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন। পরিদর্শন শেষে তিনি বলেন, ‘সাদাপাথরের কাছেই বিজিবির সুন্দর একটি ক্যাম্প দেখতে পাচ্ছি, এই ক্যাম্পের সামনে এত বড় একটা ঘটনা ঘটল এবং এক দিনে না, কয়েক দিনে। আমরা পত্রিকায় দেখেছি যে লুট হয়েছে। আর আজকে এসে মনে হলো, মোর দ্যান লুট, হরিলুট। দেশের সম্পদ, রাষ্ট্রীয় সম্পদ দু-চারজন, কে বা কারা লুট করেছে, এটা আমরা তদন্ত করে তো নাম পাচ্ছি; সে যে-ই হোক আমাদের দেশের, যত বড় অফিসার হোক, এখানে কিন্তু ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে এবং নেওয়া হবে।’
এ সময় সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. সারোয়ার আলম বলেন, ‘পুরো এলাকা আমরা ক্যামেরার আওতায় নিয়ে আসব এবং ২৪ ঘণ্টা নিয়ন্ত্রণে থাকবে আমাদের। আমরা কয়েক ঘণ্টা সময় দেব, যার কাছে যত পাথর আছে, এটা ফেরত দিতে হবে। যার কাছে পাথর পাওয়া যাবে এবং স্ট্রেইট বলে দিই, তাকে কারাদণ্ড বরণ করতে হবে।’
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব সাইফুল ইসলাম, সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার খান মো. রেজা-উন-নবীসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
ইয়াহ্ইয়া মারুফ, সিলেট

২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর থেকে সিলেট বিভাগের চার জেলায় পরিবেশ ধ্বংস করে ব্যাপকভাবে বালু-পাথর লুটপাট শুরু হয়। ২ ডিসেম্বর সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার হিসেবে যোগ দেন অতিরিক্ত সচিব খান মো. রেজা-উন-নবী। গত ৯ মাসে পরিবেশ ও খনিজ সম্পদ রক্ষায় তিনি কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেননি। উল্টো তাঁর বক্তব্যে উৎসাহিত হয় লুটপাটকারীরা। পাথর লুট শেষ পর্যন্ত হরিলুটে রূপ নেয়। বিখ্যাত পর্যটনকেন্দ্র সাদাপাথর, জাফলং, রাংপানি, বিছনাকান্দি, লালাখাল, উৎমাছড়াসহ বিভাগের অধিকাংশ পাথর কোয়ারি ও বালুমহাল প্রায় পাথর-বালু শূন্য হয়।
ইতিমধ্যে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রাথমিক অনুসন্ধানেও বিষয়টি উঠে এসেছে। পাথর লুটপাটে কার কতটা দায়, তা স্পষ্ট হয়েছে দুদকের পেশ করা প্রতিবেদনে। এতে বলা হয়, মূলত স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজশে পাথর নিঃশেষ হয়।
সিলেটের পরিবেশ আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক আব্দুল করিম কিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, দুই উপদেষ্টার সিলেট সফরের পর জেলা প্রশাসন ক্রাশার মিলের (পাথর ভাঙার কল) বৈদ্যুতিক সংযোগবিচ্ছিন্ন শুরু করে। সেই অভিযান থেমে যায় রাজনৈতিক নেতাদের অংশগ্রহণে সিলেটে আয়োজিত বিভিন্ন সভা-সমাবেশে। কিন্তু পাথর উত্তোলন, বিপণন ও লুটতরাজের সঙ্গে যুক্ত সব পক্ষকে নিয়ে সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার যে সভা করেন, সে সভায় বিভাগীয় কমিশনারের দেওয়া দায়িত্বজ্ঞানহীন বক্তব্যে পাথরখেকোরা মূলত প্রশ্রয় পায়। পাথর লুট বন্ধে প্রশাসন যে নিষ্ক্রিয় থাকবে, সে বার্তাতেই লুটপাট লাগামহীনভাবে শুরু হয়।
বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) সিলেটের সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট শাহ শাহেদা আখতার বলেন, গত বছরের ৫ আগস্টের পর থেকে যে অবৈধভাবে বালু-পাথর উত্তোলন শুরু হয়েছে, তা বন্ধ করার জন্য কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। বেলার পক্ষ থেকে বারবার বলার পরও কর্তৃপক্ষ আমলে নেয়নি; বরং পাথর উত্তোলনকারীদের সাহস জোগানো হয়েছে। বিভাগীয় কমিশনারের এ ধরনের বক্তব্য আদালত অবমাননার মতো অপরাধ।
খনিজ সম্পদ উন্নয়ন ব্যুরো-বিএমডি: দুদকের প্রতিবেদনে বলা হয়, খনি ও খনিজ সম্পদ বিধিমালা, ২০১২-এর বিধি ৯১ ও ৯৩ অনুযায়ী, অবৈধ কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করে স্থানীয় প্রশাসনকে অবহিত করা ও তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের ক্ষমতা বিএমডির ওপর ন্যস্ত। কিন্তু সাদাপাথর লুটপাটের ঘটনা প্রতিরোধে বিএমডি থেকে কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
বিভাগীয় কমিশনার, সিলেট: প্রতিবেদনে বলা হয়, সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার খান মো. রেজা-উন-নবী ৮ জুলাই তাঁর কার্যালয়ে পাথরসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী, পরিবহনশ্রমিক ও রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘সারা দেশে পাথর উত্তোলন করা গেলে সিলেটে যাবে না কেন? এর সঙ্গে মানুষের জীবন ও জীবিকা জড়িত।’ তাঁর এ বক্তব্য সাদাপাথর লুটপাটে ব্যাপক উৎসাহ জুগিয়েছে।
এ ব্যাপারে বক্তব্য জানতে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে সিলেটের বিভাগীয় কমিশনারকে মোবাইল ফোনে কয়েকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। খুদে বার্তা পাঠানো হলেও তিনি কোনো সাড়া দেননি। রাত ৯টার দিকে তাঁর পিএস ফজলে রাব্বানী ফোন রিসিভ করে প্রশ্ন শুনে বলেন, ‘স্যারের মিটিং শেষ হলে আমি আলাপ করব।’
জেলা প্রশাসক, সিলেট: প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, পাথর, বালু লুটপাট ও পর্যটন স্থানগুলোর নান্দনিক সৌন্দর্য বজায় রাখাসহ পরিবেশ সংরক্ষণে যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণে সিলেটের তৎকালীন জেলা প্রশাসক ও সদ্য ওএসডি হওয়া মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদের সদিচ্ছার অভাব, অবহেলা, ব্যর্থতা ও নিষ্ক্রিয়তা স্পষ্ট। তিনি তাঁর অধীন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনকে সাদাপাথর পর্যটন স্থান রক্ষায় সঠিক দিকনির্দেশনা দিতে অদক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। জানতে চাইলে মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ বলেন, ‘দুদক যা লিখেছে, লিখুক।’
পুলিশ সুপার, সিলেট: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ২৭ এপ্রিল অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন ও পরিবহন বন্ধের জন্য পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নির্দেশ দিলেও সিলেট জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান সাদাপাথর লুটপাটের বিষয়ে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেননি।
বক্তব্য জানতে পুলিশ সুপারকে মোবাইল ফোনে কয়েকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। খুদে বার্তা পাঠানো হলেও কোনো সাড়া মেলেনি।
ইউএনও: প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত এক বছরে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় বিশেষ করে সাদাপাথর পর্যটন এলাকায় দৃশ্যমানভাবে দিনদুপুরে উপজেলা প্রশাসনের গোচরেই পাথর লুটপাট হয়েছে। ওই সময় কোম্পানীগঞ্জে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হিসেবে আজিজুন্নাহার, মোহাম্মদ আবুল হাছনাত, ঊর্মি রায় ও আবিদা সুলতানা কর্মরত ছিলেন। ইউএনওরা নামমাত্র ও লোকদেখানো কিছু ব্যবস্থা গ্রহণ ছাড়া পাথর লুট বন্ধে তেমন কোনো ব্যবস্থা নেননি।
ওসি, কোম্পানীগঞ্জ থানা: প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওসি উজায়ের আল মাহমুদ আদনানসহ সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশ সদস্যরা অবৈধ পাথর ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে বিভিন্ন অঙ্কের কমিশন নিয়ে সাদাপাথর লুটপাটে সক্রিয়ভাবে সহযোগিতা করেছেন। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, অবৈধভাবে উত্তোলিত পাথর প্রতি ট্রাকে প্রায় ৫০০ ঘনফুট করে লোড (ভরা) করা হয়। পরিবহনের ভাড়া ছাড়া প্রতি ট্রাকের পাথরের দাম ধরা হয় ৯১ হাজার টাকা। এর মধ্যে প্রতি ট্রাক থেকে ১০ হাজার টাকা পুলিশ ও প্রশাসনের জন্য আলাদা করা হয়। তাঁরা তা সমান ভাগ করে নিতেন। বাকি ৮১ হাজার টাকা অবৈধভাবে পাথর উত্তোলনকারীরা নিজেদের মধ্যে বণ্টন করে নেন। অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন কাজে ব্যবহৃত প্রতিটি বারকি নৌকা থেকে ১ হাজার টাকা করে নেওয়া হয়। যার মধ্যে পুলিশ বিভাগ পায় ৫০০ এবং প্রশাসন (ডিসি ও ইউএনও) পান ৫০০ টাকা। পুলিশ নির্দিষ্ট সোর্সের মাধ্যমে প্রতিটি ট্রাক ও নৌকা থেকে এসব চাঁদা বা অবৈধ অর্থ সংগ্রহ করে।
প্রতিবেদনে সাদাপাথর লুটে বর্ডার গার্ড বিজিবিকেও দায়ী করা হয়েছে। এতে বলা হয়, সাদাপাথর এলাকায় ৩টি বিজিবি পোস্ট রয়েছে। এগুলো থেকে লুটের ঘটনাস্থলের দূরত্ব ৫০০ মিটারেরও কম। এত কম দূরত্ব থাকা সত্ত্বেও কোম্পানি কমান্ডার ইকবাল হোসেনসহ বিজিবি সদস্যদের আর্থিক সুবিধা গ্রহণ ও নিষ্ক্রিয়তার কারণে লুটেরারা খুব সহজেই পাথর লুটপাট করতে পেরেছে। বিজিবির সদস্যরা নৌকাপ্রতি ৫০০ টাকা নিয়ে এলাকায় ঢোকার অনুমতি দেন এবং পাথর উত্তোলনে বাধা দেননি।
আরএনবির চিঠি
চলতি বছরের ৫ জানুয়ারি ‘কোম্পানীগঞ্জ উপজেলাধীন ভোলাগঞ্জে অবস্থিত রেলওয়ের ট্রেসেলসহ পাথর কোয়ারি সরকারি সম্পদ রক্ষা প্রসঙ্গে’ জেলা প্রশাসনকে চিঠি দেয় রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী (আরএনবি)। চিঠির অনুলিপি দেওয়া হয় সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার, পুলিশ সুপার, ইউএনও, ওসি ও বিজিবিসহ সংশ্লিষ্টদের। কিন্তু কোনো পক্ষই তাতে সাড়া দেয়নি। বারবার জেলা প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও কাজ হয়নি।
এ ব্যাপারে সদ্য ওএসডি হওয়া জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ বলেন, ‘চিঠি দিয়ে অবগত করলে করতে পারে। এ মুহূর্তে আমার মনে নেই।’
‘লুট নয়, হরিলুট হয়েছে’
সিলেট প্রতিনিধি জানান, গতকাল সকালে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোখলেস উর রহমান সাদাপাথর পর্যটনকেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন। পরিদর্শন শেষে তিনি বলেন, ‘সাদাপাথরের কাছেই বিজিবির সুন্দর একটি ক্যাম্প দেখতে পাচ্ছি, এই ক্যাম্পের সামনে এত বড় একটা ঘটনা ঘটল এবং এক দিনে না, কয়েক দিনে। আমরা পত্রিকায় দেখেছি যে লুট হয়েছে। আর আজকে এসে মনে হলো, মোর দ্যান লুট, হরিলুট। দেশের সম্পদ, রাষ্ট্রীয় সম্পদ দু-চারজন, কে বা কারা লুট করেছে, এটা আমরা তদন্ত করে তো নাম পাচ্ছি; সে যে-ই হোক আমাদের দেশের, যত বড় অফিসার হোক, এখানে কিন্তু ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে এবং নেওয়া হবে।’
এ সময় সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. সারোয়ার আলম বলেন, ‘পুরো এলাকা আমরা ক্যামেরার আওতায় নিয়ে আসব এবং ২৪ ঘণ্টা নিয়ন্ত্রণে থাকবে আমাদের। আমরা কয়েক ঘণ্টা সময় দেব, যার কাছে যত পাথর আছে, এটা ফেরত দিতে হবে। যার কাছে পাথর পাওয়া যাবে এবং স্ট্রেইট বলে দিই, তাকে কারাদণ্ড বরণ করতে হবে।’
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব সাইফুল ইসলাম, সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার খান মো. রেজা-উন-নবীসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা।

২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর থেকে সিলেট বিভাগের চার জেলায় পরিবেশ ধ্বংস করে ব্যাপকভাবে বালু-পাথর লুটপাট শুরু হয়। ২ ডিসেম্বর সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার হিসেবে যোগ দেন অতিরিক্ত সচিব খান মো. রেজা-উন-নবী। গত ৯ মাসে পরিবেশ ও খনিজ সম্পদ রক্ষায় তিনি কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেননি। উল্টো তাঁর বক্তব্যে উৎসাহিত হয় লুটপাটকারীরা। পাথর লুট শেষ পর্যন্ত হরিলুটে রূপ নেয়। বিখ্যাত পর্যটনকেন্দ্র সাদাপাথর, জাফলং, রাংপানি, বিছনাকান্দি, লালাখাল, উৎমাছড়াসহ বিভাগের অধিকাংশ পাথর কোয়ারি ও বালুমহাল প্রায় পাথর-বালু শূন্য হয়।
ইতিমধ্যে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রাথমিক অনুসন্ধানেও বিষয়টি উঠে এসেছে। পাথর লুটপাটে কার কতটা দায়, তা স্পষ্ট হয়েছে দুদকের পেশ করা প্রতিবেদনে। এতে বলা হয়, মূলত স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজশে পাথর নিঃশেষ হয়।
সিলেটের পরিবেশ আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক আব্দুল করিম কিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, দুই উপদেষ্টার সিলেট সফরের পর জেলা প্রশাসন ক্রাশার মিলের (পাথর ভাঙার কল) বৈদ্যুতিক সংযোগবিচ্ছিন্ন শুরু করে। সেই অভিযান থেমে যায় রাজনৈতিক নেতাদের অংশগ্রহণে সিলেটে আয়োজিত বিভিন্ন সভা-সমাবেশে। কিন্তু পাথর উত্তোলন, বিপণন ও লুটতরাজের সঙ্গে যুক্ত সব পক্ষকে নিয়ে সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার যে সভা করেন, সে সভায় বিভাগীয় কমিশনারের দেওয়া দায়িত্বজ্ঞানহীন বক্তব্যে পাথরখেকোরা মূলত প্রশ্রয় পায়। পাথর লুট বন্ধে প্রশাসন যে নিষ্ক্রিয় থাকবে, সে বার্তাতেই লুটপাট লাগামহীনভাবে শুরু হয়।
বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) সিলেটের সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট শাহ শাহেদা আখতার বলেন, গত বছরের ৫ আগস্টের পর থেকে যে অবৈধভাবে বালু-পাথর উত্তোলন শুরু হয়েছে, তা বন্ধ করার জন্য কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। বেলার পক্ষ থেকে বারবার বলার পরও কর্তৃপক্ষ আমলে নেয়নি; বরং পাথর উত্তোলনকারীদের সাহস জোগানো হয়েছে। বিভাগীয় কমিশনারের এ ধরনের বক্তব্য আদালত অবমাননার মতো অপরাধ।
খনিজ সম্পদ উন্নয়ন ব্যুরো-বিএমডি: দুদকের প্রতিবেদনে বলা হয়, খনি ও খনিজ সম্পদ বিধিমালা, ২০১২-এর বিধি ৯১ ও ৯৩ অনুযায়ী, অবৈধ কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করে স্থানীয় প্রশাসনকে অবহিত করা ও তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের ক্ষমতা বিএমডির ওপর ন্যস্ত। কিন্তু সাদাপাথর লুটপাটের ঘটনা প্রতিরোধে বিএমডি থেকে কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
বিভাগীয় কমিশনার, সিলেট: প্রতিবেদনে বলা হয়, সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার খান মো. রেজা-উন-নবী ৮ জুলাই তাঁর কার্যালয়ে পাথরসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী, পরিবহনশ্রমিক ও রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘সারা দেশে পাথর উত্তোলন করা গেলে সিলেটে যাবে না কেন? এর সঙ্গে মানুষের জীবন ও জীবিকা জড়িত।’ তাঁর এ বক্তব্য সাদাপাথর লুটপাটে ব্যাপক উৎসাহ জুগিয়েছে।
এ ব্যাপারে বক্তব্য জানতে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে সিলেটের বিভাগীয় কমিশনারকে মোবাইল ফোনে কয়েকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। খুদে বার্তা পাঠানো হলেও তিনি কোনো সাড়া দেননি। রাত ৯টার দিকে তাঁর পিএস ফজলে রাব্বানী ফোন রিসিভ করে প্রশ্ন শুনে বলেন, ‘স্যারের মিটিং শেষ হলে আমি আলাপ করব।’
জেলা প্রশাসক, সিলেট: প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, পাথর, বালু লুটপাট ও পর্যটন স্থানগুলোর নান্দনিক সৌন্দর্য বজায় রাখাসহ পরিবেশ সংরক্ষণে যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণে সিলেটের তৎকালীন জেলা প্রশাসক ও সদ্য ওএসডি হওয়া মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদের সদিচ্ছার অভাব, অবহেলা, ব্যর্থতা ও নিষ্ক্রিয়তা স্পষ্ট। তিনি তাঁর অধীন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনকে সাদাপাথর পর্যটন স্থান রক্ষায় সঠিক দিকনির্দেশনা দিতে অদক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। জানতে চাইলে মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ বলেন, ‘দুদক যা লিখেছে, লিখুক।’
পুলিশ সুপার, সিলেট: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ২৭ এপ্রিল অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন ও পরিবহন বন্ধের জন্য পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নির্দেশ দিলেও সিলেট জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান সাদাপাথর লুটপাটের বিষয়ে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেননি।
বক্তব্য জানতে পুলিশ সুপারকে মোবাইল ফোনে কয়েকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। খুদে বার্তা পাঠানো হলেও কোনো সাড়া মেলেনি।
ইউএনও: প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত এক বছরে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় বিশেষ করে সাদাপাথর পর্যটন এলাকায় দৃশ্যমানভাবে দিনদুপুরে উপজেলা প্রশাসনের গোচরেই পাথর লুটপাট হয়েছে। ওই সময় কোম্পানীগঞ্জে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হিসেবে আজিজুন্নাহার, মোহাম্মদ আবুল হাছনাত, ঊর্মি রায় ও আবিদা সুলতানা কর্মরত ছিলেন। ইউএনওরা নামমাত্র ও লোকদেখানো কিছু ব্যবস্থা গ্রহণ ছাড়া পাথর লুট বন্ধে তেমন কোনো ব্যবস্থা নেননি।
ওসি, কোম্পানীগঞ্জ থানা: প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওসি উজায়ের আল মাহমুদ আদনানসহ সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশ সদস্যরা অবৈধ পাথর ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে বিভিন্ন অঙ্কের কমিশন নিয়ে সাদাপাথর লুটপাটে সক্রিয়ভাবে সহযোগিতা করেছেন। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, অবৈধভাবে উত্তোলিত পাথর প্রতি ট্রাকে প্রায় ৫০০ ঘনফুট করে লোড (ভরা) করা হয়। পরিবহনের ভাড়া ছাড়া প্রতি ট্রাকের পাথরের দাম ধরা হয় ৯১ হাজার টাকা। এর মধ্যে প্রতি ট্রাক থেকে ১০ হাজার টাকা পুলিশ ও প্রশাসনের জন্য আলাদা করা হয়। তাঁরা তা সমান ভাগ করে নিতেন। বাকি ৮১ হাজার টাকা অবৈধভাবে পাথর উত্তোলনকারীরা নিজেদের মধ্যে বণ্টন করে নেন। অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন কাজে ব্যবহৃত প্রতিটি বারকি নৌকা থেকে ১ হাজার টাকা করে নেওয়া হয়। যার মধ্যে পুলিশ বিভাগ পায় ৫০০ এবং প্রশাসন (ডিসি ও ইউএনও) পান ৫০০ টাকা। পুলিশ নির্দিষ্ট সোর্সের মাধ্যমে প্রতিটি ট্রাক ও নৌকা থেকে এসব চাঁদা বা অবৈধ অর্থ সংগ্রহ করে।
প্রতিবেদনে সাদাপাথর লুটে বর্ডার গার্ড বিজিবিকেও দায়ী করা হয়েছে। এতে বলা হয়, সাদাপাথর এলাকায় ৩টি বিজিবি পোস্ট রয়েছে। এগুলো থেকে লুটের ঘটনাস্থলের দূরত্ব ৫০০ মিটারেরও কম। এত কম দূরত্ব থাকা সত্ত্বেও কোম্পানি কমান্ডার ইকবাল হোসেনসহ বিজিবি সদস্যদের আর্থিক সুবিধা গ্রহণ ও নিষ্ক্রিয়তার কারণে লুটেরারা খুব সহজেই পাথর লুটপাট করতে পেরেছে। বিজিবির সদস্যরা নৌকাপ্রতি ৫০০ টাকা নিয়ে এলাকায় ঢোকার অনুমতি দেন এবং পাথর উত্তোলনে বাধা দেননি।
আরএনবির চিঠি
চলতি বছরের ৫ জানুয়ারি ‘কোম্পানীগঞ্জ উপজেলাধীন ভোলাগঞ্জে অবস্থিত রেলওয়ের ট্রেসেলসহ পাথর কোয়ারি সরকারি সম্পদ রক্ষা প্রসঙ্গে’ জেলা প্রশাসনকে চিঠি দেয় রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী (আরএনবি)। চিঠির অনুলিপি দেওয়া হয় সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার, পুলিশ সুপার, ইউএনও, ওসি ও বিজিবিসহ সংশ্লিষ্টদের। কিন্তু কোনো পক্ষই তাতে সাড়া দেয়নি। বারবার জেলা প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও কাজ হয়নি।
এ ব্যাপারে সদ্য ওএসডি হওয়া জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ বলেন, ‘চিঠি দিয়ে অবগত করলে করতে পারে। এ মুহূর্তে আমার মনে নেই।’
‘লুট নয়, হরিলুট হয়েছে’
সিলেট প্রতিনিধি জানান, গতকাল সকালে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোখলেস উর রহমান সাদাপাথর পর্যটনকেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন। পরিদর্শন শেষে তিনি বলেন, ‘সাদাপাথরের কাছেই বিজিবির সুন্দর একটি ক্যাম্প দেখতে পাচ্ছি, এই ক্যাম্পের সামনে এত বড় একটা ঘটনা ঘটল এবং এক দিনে না, কয়েক দিনে। আমরা পত্রিকায় দেখেছি যে লুট হয়েছে। আর আজকে এসে মনে হলো, মোর দ্যান লুট, হরিলুট। দেশের সম্পদ, রাষ্ট্রীয় সম্পদ দু-চারজন, কে বা কারা লুট করেছে, এটা আমরা তদন্ত করে তো নাম পাচ্ছি; সে যে-ই হোক আমাদের দেশের, যত বড় অফিসার হোক, এখানে কিন্তু ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে এবং নেওয়া হবে।’
এ সময় সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. সারোয়ার আলম বলেন, ‘পুরো এলাকা আমরা ক্যামেরার আওতায় নিয়ে আসব এবং ২৪ ঘণ্টা নিয়ন্ত্রণে থাকবে আমাদের। আমরা কয়েক ঘণ্টা সময় দেব, যার কাছে যত পাথর আছে, এটা ফেরত দিতে হবে। যার কাছে পাথর পাওয়া যাবে এবং স্ট্রেইট বলে দিই, তাকে কারাদণ্ড বরণ করতে হবে।’
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব সাইফুল ইসলাম, সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার খান মো. রেজা-উন-নবীসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা।

ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত দোকানগুলোর মধ্যে রয়েছে পারভেজ সওদাগরের দোকান, মনু বেকারি, সেলিম বেকারি, সেলিম সওদাগরের দোকান, সেলিম সওদাগরের গুদাম এবং একটি সেলুন। এতে প্রায় ৫০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
১৫ মিনিট আগে
রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার বড় আলমপুর ইউনিয়নের মক্তাগাড়ি গ্রাম থেকে ওমরপুরগামী কাঁচা রাস্তার পাশে ধানখেত থেকে এক অটোভ্যানচালকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত ব্যক্তি হলেন উপজেলার চতরা ইউনিয়নের সোনাতলা গোবিন্দপাড়া গ্রামের মোয়াজ্জেম আলীর ছেলে নুরুল ইসলাম (৫৫)।
৩১ মিনিট আগে
রাজধানীর উত্তরায় জুলাই রেভেলস নামক একটি সংগঠনের সদস্য মোহাম্মদ রেজওয়ানের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। গ্রেপ্তাররা হলেন—মো. মাসুম ও মো. ফাহিম খান।
৪২ মিনিট আগে
আল-আমিনের বাবা আব্দুর রাজ্জাক জানান, ডাকাতদের হাতে দা, চায়নিজ কুড়াল ও আগ্নেয়াস্ত্র (শটগান) ছিল। ডাকাতি শেষে ডাকাত দলটি পুনরায় নৌপথে ট্রলারযোগে পালিয়ে যায়।
১ ঘণ্টা আগেপটিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলায় আগুনে গুদামসহ সাতটি দোকান পুড়ে গেছে। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার গৈড়লার টেক এলাকায় এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। আগুনে দোকানগুলোর নগদ টাকা ও বিপুল পরিমাণ মালপত্র পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। তবে কীভাবে আগুনের সূত্রপাত, তা এখনো নিশ্চিত করতে পারেনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত দোকানগুলোর মধ্যে রয়েছে পারভেজ সওদাগরের দোকান, মনু বেকারি, সেলিম বেকারি, সেলিম সওদাগরের দোকান, সেলিম সওদাগরের গুদাম এবং একটি সেলুন। এতে প্রায় ৫০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
স্থানীয় ব্যবসায়ী আকিব জাবেদ বলেন, মনু বেকারিতে গ্যাস সংযোগ ছিল। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, গ্যাস লিকেজ থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে।
পটিয়া ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার রাজেশ বড়ুয়া জানান, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। তা না হলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা ছিল।

চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলায় আগুনে গুদামসহ সাতটি দোকান পুড়ে গেছে। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার গৈড়লার টেক এলাকায় এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। আগুনে দোকানগুলোর নগদ টাকা ও বিপুল পরিমাণ মালপত্র পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। তবে কীভাবে আগুনের সূত্রপাত, তা এখনো নিশ্চিত করতে পারেনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত দোকানগুলোর মধ্যে রয়েছে পারভেজ সওদাগরের দোকান, মনু বেকারি, সেলিম বেকারি, সেলিম সওদাগরের দোকান, সেলিম সওদাগরের গুদাম এবং একটি সেলুন। এতে প্রায় ৫০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
স্থানীয় ব্যবসায়ী আকিব জাবেদ বলেন, মনু বেকারিতে গ্যাস সংযোগ ছিল। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, গ্যাস লিকেজ থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে।
পটিয়া ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার রাজেশ বড়ুয়া জানান, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। তা না হলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা ছিল।

২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর থেকে সিলেট বিভাগের চার জেলায় পরিবেশ ধ্বংস করে ব্যাপকভাবে বালু-পাথর লুটপাট শুরু হয়। ২ ডিসেম্বর সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার হিসেবে যোগ দেন অতিরিক্ত সচিব খান মো. রেজা-উন-নবী। গত ৯ মাসে পরিবেশ ও খনিজ সম্পদ রক্ষায় তিনি কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেননি। উল্টো তাঁর বক্তব্যে উৎসাহিত হয়...
২৩ আগস্ট ২০২৫
রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার বড় আলমপুর ইউনিয়নের মক্তাগাড়ি গ্রাম থেকে ওমরপুরগামী কাঁচা রাস্তার পাশে ধানখেত থেকে এক অটোভ্যানচালকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত ব্যক্তি হলেন উপজেলার চতরা ইউনিয়নের সোনাতলা গোবিন্দপাড়া গ্রামের মোয়াজ্জেম আলীর ছেলে নুরুল ইসলাম (৫৫)।
৩১ মিনিট আগে
রাজধানীর উত্তরায় জুলাই রেভেলস নামক একটি সংগঠনের সদস্য মোহাম্মদ রেজওয়ানের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। গ্রেপ্তাররা হলেন—মো. মাসুম ও মো. ফাহিম খান।
৪২ মিনিট আগে
আল-আমিনের বাবা আব্দুর রাজ্জাক জানান, ডাকাতদের হাতে দা, চায়নিজ কুড়াল ও আগ্নেয়াস্ত্র (শটগান) ছিল। ডাকাতি শেষে ডাকাত দলটি পুনরায় নৌপথে ট্রলারযোগে পালিয়ে যায়।
১ ঘণ্টা আগেপীরগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি

রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার বড় আলমপুর ইউনিয়নের মক্তাগাড়ি গ্রাম থেকে ওমরপুরগামী কাঁচা রাস্তার পাশে ধানখেত থেকে এক অটোভ্যানচালকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত ব্যক্তি হলেন উপজেলার চতরা ইউনিয়নের সোনাতলা গোবিন্দপাড়া গ্রামের মোয়াজ্জেম আলীর ছেলে নুরুল ইসলাম (৫৫)।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সকালে ধানখেতে একটি মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দিলে পীরগঞ্জ থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে পীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল রানা বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করেছি। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।’

রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার বড় আলমপুর ইউনিয়নের মক্তাগাড়ি গ্রাম থেকে ওমরপুরগামী কাঁচা রাস্তার পাশে ধানখেত থেকে এক অটোভ্যানচালকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত ব্যক্তি হলেন উপজেলার চতরা ইউনিয়নের সোনাতলা গোবিন্দপাড়া গ্রামের মোয়াজ্জেম আলীর ছেলে নুরুল ইসলাম (৫৫)।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সকালে ধানখেতে একটি মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দিলে পীরগঞ্জ থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে পীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল রানা বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করেছি। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।’

২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর থেকে সিলেট বিভাগের চার জেলায় পরিবেশ ধ্বংস করে ব্যাপকভাবে বালু-পাথর লুটপাট শুরু হয়। ২ ডিসেম্বর সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার হিসেবে যোগ দেন অতিরিক্ত সচিব খান মো. রেজা-উন-নবী। গত ৯ মাসে পরিবেশ ও খনিজ সম্পদ রক্ষায় তিনি কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেননি। উল্টো তাঁর বক্তব্যে উৎসাহিত হয়...
২৩ আগস্ট ২০২৫
ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত দোকানগুলোর মধ্যে রয়েছে পারভেজ সওদাগরের দোকান, মনু বেকারি, সেলিম বেকারি, সেলিম সওদাগরের দোকান, সেলিম সওদাগরের গুদাম এবং একটি সেলুন। এতে প্রায় ৫০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
১৫ মিনিট আগে
রাজধানীর উত্তরায় জুলাই রেভেলস নামক একটি সংগঠনের সদস্য মোহাম্মদ রেজওয়ানের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। গ্রেপ্তাররা হলেন—মো. মাসুম ও মো. ফাহিম খান।
৪২ মিনিট আগে
আল-আমিনের বাবা আব্দুর রাজ্জাক জানান, ডাকাতদের হাতে দা, চায়নিজ কুড়াল ও আগ্নেয়াস্ত্র (শটগান) ছিল। ডাকাতি শেষে ডাকাত দলটি পুনরায় নৌপথে ট্রলারযোগে পালিয়ে যায়।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর উত্তরায় জুলাই রেভেলস নামক একটি সংগঠনের সদস্য মোহাম্মদ রেজওয়ানের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। গ্রেপ্তাররা হলেন—মো. মাসুম ও মো. ফাহিম খান।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
উত্তরা-পূর্ব থানা সূত্রে জানা যায়, গতকাল শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা আনুমানিক সাড়ে ৭টার দিকে উত্তরার ৬ নম্বর সেক্টর এলাকায় জুলাই রেভেলস সংগঠনের সদস্য মোহাম্মদ রেজওয়ানের ওপর হামলা চালায় কতিপয় দুর্বৃত্ত। এতে তিনি আহত হলে দ্রুত তাঁকে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়।
হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য পুলিশ রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে। অভিযান চলাকালে আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) ভোর আনুমানিক ৫টা ৩০ মিনিটের দিকে রাজধানীর দক্ষিণখান এলাকা থেকে দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে উত্তরা পূর্ব থানা পুলিশ।
তালেবুর রহমান জানান, মামলার সুষ্ঠু তদন্ত এবং এজাহারনামীয় অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান চলছে।
গতকাল শনিবার বিকেলে উত্তরার বিএনএস সেন্টারের সামনে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক এবং আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধনে অংশ নিয়েছিলেন মোহাম্মদ রেজওয়ান। সেখান থেকে জুলাই রেভেলসের অফিসে এসে বসেছিলেন।
এ বিষয়ে জুলাই রেভেলসের সহসংগঠক মো. পারভেজ জানান, ‘হাদি ভাইয়ের ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন শেষ করে সন্ধ্যায় অফিসে বিশ্রাম নেওয়ার জন্য গিয়েছিলেন রেজওয়ান। এ সময় কিছু সন্ত্রাসী রেজওয়ানকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। আহত রেজওয়ান সংগঠনের প্রস্তাবিত সহসংগঠক।’

রাজধানীর উত্তরায় জুলাই রেভেলস নামক একটি সংগঠনের সদস্য মোহাম্মদ রেজওয়ানের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। গ্রেপ্তাররা হলেন—মো. মাসুম ও মো. ফাহিম খান।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
উত্তরা-পূর্ব থানা সূত্রে জানা যায়, গতকাল শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা আনুমানিক সাড়ে ৭টার দিকে উত্তরার ৬ নম্বর সেক্টর এলাকায় জুলাই রেভেলস সংগঠনের সদস্য মোহাম্মদ রেজওয়ানের ওপর হামলা চালায় কতিপয় দুর্বৃত্ত। এতে তিনি আহত হলে দ্রুত তাঁকে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়।
হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য পুলিশ রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে। অভিযান চলাকালে আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) ভোর আনুমানিক ৫টা ৩০ মিনিটের দিকে রাজধানীর দক্ষিণখান এলাকা থেকে দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে উত্তরা পূর্ব থানা পুলিশ।
তালেবুর রহমান জানান, মামলার সুষ্ঠু তদন্ত এবং এজাহারনামীয় অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান চলছে।
গতকাল শনিবার বিকেলে উত্তরার বিএনএস সেন্টারের সামনে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক এবং আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধনে অংশ নিয়েছিলেন মোহাম্মদ রেজওয়ান। সেখান থেকে জুলাই রেভেলসের অফিসে এসে বসেছিলেন।
এ বিষয়ে জুলাই রেভেলসের সহসংগঠক মো. পারভেজ জানান, ‘হাদি ভাইয়ের ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন শেষ করে সন্ধ্যায় অফিসে বিশ্রাম নেওয়ার জন্য গিয়েছিলেন রেজওয়ান। এ সময় কিছু সন্ত্রাসী রেজওয়ানকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। আহত রেজওয়ান সংগঠনের প্রস্তাবিত সহসংগঠক।’

২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর থেকে সিলেট বিভাগের চার জেলায় পরিবেশ ধ্বংস করে ব্যাপকভাবে বালু-পাথর লুটপাট শুরু হয়। ২ ডিসেম্বর সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার হিসেবে যোগ দেন অতিরিক্ত সচিব খান মো. রেজা-উন-নবী। গত ৯ মাসে পরিবেশ ও খনিজ সম্পদ রক্ষায় তিনি কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেননি। উল্টো তাঁর বক্তব্যে উৎসাহিত হয়...
২৩ আগস্ট ২০২৫
ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত দোকানগুলোর মধ্যে রয়েছে পারভেজ সওদাগরের দোকান, মনু বেকারি, সেলিম বেকারি, সেলিম সওদাগরের দোকান, সেলিম সওদাগরের গুদাম এবং একটি সেলুন। এতে প্রায় ৫০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
১৫ মিনিট আগে
রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার বড় আলমপুর ইউনিয়নের মক্তাগাড়ি গ্রাম থেকে ওমরপুরগামী কাঁচা রাস্তার পাশে ধানখেত থেকে এক অটোভ্যানচালকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত ব্যক্তি হলেন উপজেলার চতরা ইউনিয়নের সোনাতলা গোবিন্দপাড়া গ্রামের মোয়াজ্জেম আলীর ছেলে নুরুল ইসলাম (৫৫)।
৩১ মিনিট আগে
আল-আমিনের বাবা আব্দুর রাজ্জাক জানান, ডাকাতদের হাতে দা, চায়নিজ কুড়াল ও আগ্নেয়াস্ত্র (শটগান) ছিল। ডাকাতি শেষে ডাকাত দলটি পুনরায় নৌপথে ট্রলারযোগে পালিয়ে যায়।
১ ঘণ্টা আগেমুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি

মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ও আগ্নেয়াস্ত্রের মুখে জিম্মি করে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকাসহ প্রায় ৫০ লাখ টাকার মালপত্র লুটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার দিবাগত রাত ২টা থেকে ৩টার মধ্যে উপজেলার বালুচর ইউনিয়নের চান্দেরচর গ্রামের কুয়েতপ্রবাসী মো. আল-আমিনের ডুপ্লেক্স বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। নৌপথে ট্রলারযোগে এসে ১২-১৫ জন মুখোশ পরা ডাকাত এই ডাকাতি করে।
ভুক্তভোগী পরিবার জানায়, কুয়েত থেকে দেশে ফেরার মাত্র পাঁচ দিনের মাথায় ডাকাতির কবলে পড়েন মো. আল-আমিন। ডাকাতেরা ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্র প্রদর্শন করে এবং একাধিক ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পরিবারের সদস্যদের আতঙ্কিত করে তোলে। এ সময় তারা আনুমানিক ২৬ ভরি স্বর্ণালংকার, নগদ প্রায় ৫ লাখ টাকা, কুয়েতি মুদ্রা প্রায় ১০০ দিনার এবং দুটি মোবাইল ফোন লুট করে নেয়। লুট হওয়া মালপত্রের আনুমানিক মূল্য প্রায় ৫০ লাখ টাকা বলে দাবি করেছেন ভুক্তভোগীরা।
আল-আমিনের বাবা আব্দুর রাজ্জাক জানান, ডাকাতদের হাতে দা, চায়নিজ কুড়াল ও আগ্নেয়াস্ত্র (শটগান) ছিল। ডাকাতি শেষে ডাকাত দলটি পুনরায় নৌপথে ট্রলারযোগে পালিয়ে যায়।
এই ঘটনায় বাড়ির সিসিটিভি ফুটেজ উদ্ধার করা হয়েছে। ফুটেজে ১০-১৫ জনের একটি সশস্ত্র ডাকাত দলকে বাড়িতে প্রবেশ করতে দেখা গেছে।

সিরাজদিখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আ. হান্নান বলেন, ‘ডাকাতির খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত রয়েছি। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও অন্য কর্মকর্তারাও ঘটনাস্থলে রয়েছেন। এই ঘটনায় আমরা তদন্ত শুরু করেছি। আশা করছি, দ্রুত সময়ের মধ্যে ডাকাতদের শনাক্ত করতে পারব। তবে এখন পর্যন্ত এই ঘটনায় কোনো লিখিত অভিযোগ বা মামলা হয়নি।’

মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ও আগ্নেয়াস্ত্রের মুখে জিম্মি করে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকাসহ প্রায় ৫০ লাখ টাকার মালপত্র লুটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার দিবাগত রাত ২টা থেকে ৩টার মধ্যে উপজেলার বালুচর ইউনিয়নের চান্দেরচর গ্রামের কুয়েতপ্রবাসী মো. আল-আমিনের ডুপ্লেক্স বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। নৌপথে ট্রলারযোগে এসে ১২-১৫ জন মুখোশ পরা ডাকাত এই ডাকাতি করে।
ভুক্তভোগী পরিবার জানায়, কুয়েত থেকে দেশে ফেরার মাত্র পাঁচ দিনের মাথায় ডাকাতির কবলে পড়েন মো. আল-আমিন। ডাকাতেরা ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্র প্রদর্শন করে এবং একাধিক ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পরিবারের সদস্যদের আতঙ্কিত করে তোলে। এ সময় তারা আনুমানিক ২৬ ভরি স্বর্ণালংকার, নগদ প্রায় ৫ লাখ টাকা, কুয়েতি মুদ্রা প্রায় ১০০ দিনার এবং দুটি মোবাইল ফোন লুট করে নেয়। লুট হওয়া মালপত্রের আনুমানিক মূল্য প্রায় ৫০ লাখ টাকা বলে দাবি করেছেন ভুক্তভোগীরা।
আল-আমিনের বাবা আব্দুর রাজ্জাক জানান, ডাকাতদের হাতে দা, চায়নিজ কুড়াল ও আগ্নেয়াস্ত্র (শটগান) ছিল। ডাকাতি শেষে ডাকাত দলটি পুনরায় নৌপথে ট্রলারযোগে পালিয়ে যায়।
এই ঘটনায় বাড়ির সিসিটিভি ফুটেজ উদ্ধার করা হয়েছে। ফুটেজে ১০-১৫ জনের একটি সশস্ত্র ডাকাত দলকে বাড়িতে প্রবেশ করতে দেখা গেছে।

সিরাজদিখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আ. হান্নান বলেন, ‘ডাকাতির খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত রয়েছি। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও অন্য কর্মকর্তারাও ঘটনাস্থলে রয়েছেন। এই ঘটনায় আমরা তদন্ত শুরু করেছি। আশা করছি, দ্রুত সময়ের মধ্যে ডাকাতদের শনাক্ত করতে পারব। তবে এখন পর্যন্ত এই ঘটনায় কোনো লিখিত অভিযোগ বা মামলা হয়নি।’

২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর থেকে সিলেট বিভাগের চার জেলায় পরিবেশ ধ্বংস করে ব্যাপকভাবে বালু-পাথর লুটপাট শুরু হয়। ২ ডিসেম্বর সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার হিসেবে যোগ দেন অতিরিক্ত সচিব খান মো. রেজা-উন-নবী। গত ৯ মাসে পরিবেশ ও খনিজ সম্পদ রক্ষায় তিনি কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেননি। উল্টো তাঁর বক্তব্যে উৎসাহিত হয়...
২৩ আগস্ট ২০২৫
ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত দোকানগুলোর মধ্যে রয়েছে পারভেজ সওদাগরের দোকান, মনু বেকারি, সেলিম বেকারি, সেলিম সওদাগরের দোকান, সেলিম সওদাগরের গুদাম এবং একটি সেলুন। এতে প্রায় ৫০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
১৫ মিনিট আগে
রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার বড় আলমপুর ইউনিয়নের মক্তাগাড়ি গ্রাম থেকে ওমরপুরগামী কাঁচা রাস্তার পাশে ধানখেত থেকে এক অটোভ্যানচালকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত ব্যক্তি হলেন উপজেলার চতরা ইউনিয়নের সোনাতলা গোবিন্দপাড়া গ্রামের মোয়াজ্জেম আলীর ছেলে নুরুল ইসলাম (৫৫)।
৩১ মিনিট আগে
রাজধানীর উত্তরায় জুলাই রেভেলস নামক একটি সংগঠনের সদস্য মোহাম্মদ রেজওয়ানের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। গ্রেপ্তাররা হলেন—মো. মাসুম ও মো. ফাহিম খান।
৪২ মিনিট আগে