আশিস রহমান
দোয়ারাবাজার ( সুনামগঞ্জ): ভাঙা ঘরের মেঝেতে বসে গল্প করছিলেন পূর্ব মাছিমপুর গ্রামের বয়োবৃদ্ধ তিন নারী স্নেহলতা দাস, কমলা রানী দাস আর সুনীতি রানী দাস। এক এক করে শোনাচ্ছিলেন নিজেদের দুর্দশার কথা। সুরমা নদী ভাঙন বাড়তে বাড়তে এখন তাদের বসত ঘরের ভেতরে এসে হানা দিয়েছে। ঘরের অর্ধেক অংশ ভেঙে এরই মধ্যে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এখন বাকিটুকুও বিলীন হওয়ার অপেক্ষায়।
বিল্ডিং ঘরের পাকা মেঝেতে দেখা দিয়েছে বড় বড় ফাটল। অনেক কষ্টে উপার্জিত টাকায় বানানো নিজের এই ঘরে ভয়ে এখন আর কেউই থাকছেন না। বসতঘর, ভিটেমাটি হারানোর প্রস্তুতি নিয়ে নিয়েছেন তাঁরা। ঘরের চালার টিনশেড, মালামাল অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছেন। লাগোয়া আরও কয়েকটি ঘর ছিল। সেগুলোও মাস দু-এক আগে গ্রাস করে ফেলেছে সুরমা নদী। এবার এইটুকুও গ্রাস করার বাকি। চোখের সামনেই প্রতিনিয়ত দেখছেন নিজেদের ঘর ভাঙার দৃশ্য। স্বপ্নের সাজানো ঘর নিমেষেই বিলীন হয়ে যাচ্ছে নদীর জলে।
এখন তাঁরা কোথায় যাবেন, কোথায় থাকবেন আর কেইবা তাদের আশ্রয় দেবে তার কোনো ভরসা পাচ্ছেন না কেউই। খোলা আকাশের নিচে বসে দুশ্চিন্তায় দিন কাটছে সবার। যে-ই তাদের দুর্দশা দেখতে আসে সবাই বলে এখান থেকে ঘর অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাও, কিন্তু থাকার জায়গা দেয় না কেউ।
শুধু পূর্ব মাছিমপুরের এই তিন নারীর পরিবারই নয়, দোয়ারাবাজার উপজেলার সদর ইউনিয়নের মাছিমপুর, পশ্চিম মাছিমপুর, নৈনগাঁও, মাঝের গাঁও, মুরাদপুর এবং মংলার গাঁওয়ের প্রায় শতাধিক পরিবার সুরমা নদীতে নিজেদের বসতঘর, ভিটেমাটি, ফসলি জমি ও গাছগাছালি হারিয়ে এখন বেছে নিয়েছে উদ্বাস্তুর জীবন। সুরমা নদীর করালগ্রাসে ভেঙে চুরমার হয়ে গেছে এসব পরিবারের সাজানো স্বপ্নের ঘর-সংসার।
ভিটেমাটি হারিয়ে ভূমি না পেয়ে অনেকেই আশ্রয় নিয়েছেন পরিত্যক্ত ব্রিটিশ সড়কে। সন্তান-সন্ততি নিয়ে সুন্দরভাবে বেঁচে থাকতে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করে দেওয়া হোক, সরকারের কাছে এমনটাই দাবি নদী ভাঙনে উদ্বাস্তু ভূমিহীন এসব অসহায় পরিবারের।
দোয়ারাবাজার সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুল বারী জানান, দোয়ারাবাজার সদর ইউনিয়নটি উপজেলা সদরের ভেতরে পড়েছে। এই ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের মাছিমপুর, পশ্চিম মাছিমপুর, নৈনগাঁও, মাঝের গাঁও, মুরাদপুর এবং মংলার গাঁওয়ের অবস্থা পূর্ব থেকেই খারাপ। নদী ভাঙনে এই গ্রামগুলোর প্রায় সিংহভাগই এখন বিলীন হয়ে গেছে। প্রায় শতাধিক পরিবার বাস্তুভিটা হারিয়ে উদ্বাস্তু জীবন বেছে নিয়েছে। তাঁরা পুনর্বাসন ও আশ্রয়ের দাবি জানিয়েছে। আমাদের কাছে ভূমিহীনদের জন্য সরকারি ঘরের বরাদ্দ পর্যাপ্ত সংখ্যক আছে। কিন্তু ঘর প্রদানের ক্ষেত্রে সরকারি নীতিমালার জটিলতার দরুন ঘর দেওয়া যাচ্ছে না।
দোয়ারাবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোনিয়া সুলতানা জানান, দোয়ারাবাজার সদর ইউনিয়নের নদী ভাঙন কবলিত এই কয়েকটি গ্রামের অবস্থা খুবই করুণ। যাদের ঘর নেই তাদেরকে খাসজমি বন্দোবস্তসহ ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হবে। কিন্তু সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী উপজেলা সদরের এক কিলোমিটারের মধ্যে খাসজমি বন্দোবস্ত করার নিয়ম না থাকায় সদর ইউনিয়নের ক্ষতিগ্রস্ত কয়েকটি গ্রামের মানুষজনকে ঘর দেওয়া যাচ্ছে না। সদরের বাইরে ঘর নির্মাণ উপযোগী খাসজমি পাওয়া গেলে সেখানে তাদেরকে খাসজমি বন্দোবস্তসহ ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হবে।
সুনামগঞ্জে পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী সবিবুর রহমান বলেন, এরই মধ্যে সুরমা নদী ভাঙন রোধে কয়েকটি প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে, যা এখনো চলমান রয়েছে। নতুন করে আরও কয়েকটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। প্রকল্প অনুমোদন হলে কাজ শুরু হবে।
দোয়ারাবাজার ( সুনামগঞ্জ): ভাঙা ঘরের মেঝেতে বসে গল্প করছিলেন পূর্ব মাছিমপুর গ্রামের বয়োবৃদ্ধ তিন নারী স্নেহলতা দাস, কমলা রানী দাস আর সুনীতি রানী দাস। এক এক করে শোনাচ্ছিলেন নিজেদের দুর্দশার কথা। সুরমা নদী ভাঙন বাড়তে বাড়তে এখন তাদের বসত ঘরের ভেতরে এসে হানা দিয়েছে। ঘরের অর্ধেক অংশ ভেঙে এরই মধ্যে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এখন বাকিটুকুও বিলীন হওয়ার অপেক্ষায়।
বিল্ডিং ঘরের পাকা মেঝেতে দেখা দিয়েছে বড় বড় ফাটল। অনেক কষ্টে উপার্জিত টাকায় বানানো নিজের এই ঘরে ভয়ে এখন আর কেউই থাকছেন না। বসতঘর, ভিটেমাটি হারানোর প্রস্তুতি নিয়ে নিয়েছেন তাঁরা। ঘরের চালার টিনশেড, মালামাল অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছেন। লাগোয়া আরও কয়েকটি ঘর ছিল। সেগুলোও মাস দু-এক আগে গ্রাস করে ফেলেছে সুরমা নদী। এবার এইটুকুও গ্রাস করার বাকি। চোখের সামনেই প্রতিনিয়ত দেখছেন নিজেদের ঘর ভাঙার দৃশ্য। স্বপ্নের সাজানো ঘর নিমেষেই বিলীন হয়ে যাচ্ছে নদীর জলে।
এখন তাঁরা কোথায় যাবেন, কোথায় থাকবেন আর কেইবা তাদের আশ্রয় দেবে তার কোনো ভরসা পাচ্ছেন না কেউই। খোলা আকাশের নিচে বসে দুশ্চিন্তায় দিন কাটছে সবার। যে-ই তাদের দুর্দশা দেখতে আসে সবাই বলে এখান থেকে ঘর অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাও, কিন্তু থাকার জায়গা দেয় না কেউ।
শুধু পূর্ব মাছিমপুরের এই তিন নারীর পরিবারই নয়, দোয়ারাবাজার উপজেলার সদর ইউনিয়নের মাছিমপুর, পশ্চিম মাছিমপুর, নৈনগাঁও, মাঝের গাঁও, মুরাদপুর এবং মংলার গাঁওয়ের প্রায় শতাধিক পরিবার সুরমা নদীতে নিজেদের বসতঘর, ভিটেমাটি, ফসলি জমি ও গাছগাছালি হারিয়ে এখন বেছে নিয়েছে উদ্বাস্তুর জীবন। সুরমা নদীর করালগ্রাসে ভেঙে চুরমার হয়ে গেছে এসব পরিবারের সাজানো স্বপ্নের ঘর-সংসার।
ভিটেমাটি হারিয়ে ভূমি না পেয়ে অনেকেই আশ্রয় নিয়েছেন পরিত্যক্ত ব্রিটিশ সড়কে। সন্তান-সন্ততি নিয়ে সুন্দরভাবে বেঁচে থাকতে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করে দেওয়া হোক, সরকারের কাছে এমনটাই দাবি নদী ভাঙনে উদ্বাস্তু ভূমিহীন এসব অসহায় পরিবারের।
দোয়ারাবাজার সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুল বারী জানান, দোয়ারাবাজার সদর ইউনিয়নটি উপজেলা সদরের ভেতরে পড়েছে। এই ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের মাছিমপুর, পশ্চিম মাছিমপুর, নৈনগাঁও, মাঝের গাঁও, মুরাদপুর এবং মংলার গাঁওয়ের অবস্থা পূর্ব থেকেই খারাপ। নদী ভাঙনে এই গ্রামগুলোর প্রায় সিংহভাগই এখন বিলীন হয়ে গেছে। প্রায় শতাধিক পরিবার বাস্তুভিটা হারিয়ে উদ্বাস্তু জীবন বেছে নিয়েছে। তাঁরা পুনর্বাসন ও আশ্রয়ের দাবি জানিয়েছে। আমাদের কাছে ভূমিহীনদের জন্য সরকারি ঘরের বরাদ্দ পর্যাপ্ত সংখ্যক আছে। কিন্তু ঘর প্রদানের ক্ষেত্রে সরকারি নীতিমালার জটিলতার দরুন ঘর দেওয়া যাচ্ছে না।
দোয়ারাবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোনিয়া সুলতানা জানান, দোয়ারাবাজার সদর ইউনিয়নের নদী ভাঙন কবলিত এই কয়েকটি গ্রামের অবস্থা খুবই করুণ। যাদের ঘর নেই তাদেরকে খাসজমি বন্দোবস্তসহ ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হবে। কিন্তু সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী উপজেলা সদরের এক কিলোমিটারের মধ্যে খাসজমি বন্দোবস্ত করার নিয়ম না থাকায় সদর ইউনিয়নের ক্ষতিগ্রস্ত কয়েকটি গ্রামের মানুষজনকে ঘর দেওয়া যাচ্ছে না। সদরের বাইরে ঘর নির্মাণ উপযোগী খাসজমি পাওয়া গেলে সেখানে তাদেরকে খাসজমি বন্দোবস্তসহ ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হবে।
সুনামগঞ্জে পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী সবিবুর রহমান বলেন, এরই মধ্যে সুরমা নদী ভাঙন রোধে কয়েকটি প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে, যা এখনো চলমান রয়েছে। নতুন করে আরও কয়েকটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। প্রকল্প অনুমোদন হলে কাজ শুরু হবে।
ফরিদপুরে কুমার নদে গোসলে নেমে ডুবে যাওয়ার ২০ ঘন্টা পর শিশু সোয়াদের (৭) লাশ ভেসে ওঠেছে। আজ শুক্রবার সকালে লাশটি ভাসতে দেখে উদ্ধার করেন স্থানীয়রা।
২ ঘণ্টা আগেনীলফামারীতে কালী মন্দিরের চারটি প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সদর উপজেলার সংগলশী ইউনিয়নের সুবর্ণখুলী গ্রামের ডারার পার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এরফান আলী (১৮) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেলক্ষ্মীপুরে জেলা স্টেডিয়ামের পাশে রাশেদা বেগম (৬০) নামে এক বৃদ্ধাকে বটি দিয়ে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। আজ শুক্রবার ভোরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে। এ হত্যার ঘটনায় ইমন হোসেন নামে এক যুবককে আটক করা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেটাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার ঝাওয়াইল ইউনিয়নের দর্শনীয় স্থান যোগীর ঘোপায় মাদকবিরোধী অভিযান চালানো হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পুলিশ ও প্রশাসন সেখানে যৌথ অভিযান চালায়।
৩ ঘণ্টা আগে