নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট
‘জালালাবাদ অন্ধ কল্যাণ সমিতি, সিলেট’–এর গঠনতন্ত্র লঙ্ঘন করে ক্ষমতার জোরে অ্যাডহক কমিটি গঠন, ব্যাংক হিসাব ও স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি পরিচালনার অভিযোগে এবার জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। সমিতির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ইশতিয়াক আহমদ সিদ্দিকী বাদী হয়ে জেলা প্রশাসকসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে সিলেটের যুগ্ম জেলা জজ দ্বিতীয় আদালতে এ মামলা করেন। শুনানি শেষে আদালতের বিচারক রশিদ আহমদ মিলন ডিসি মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদকে ১৫ দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দিয়েছেন।
আজ সোমবার বিকেলে আদালতের পেশকার আহলাল ফেরদৌস এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, গতকাল রোববার আদালত কারণ দর্শানোর নোটিশ ইস্যুর নির্দেশ দেন। এর আগে গত বৃহস্পতিবার বাদীপক্ষের আবেদন গ্রহণ করে আদেশ প্রাপ্তির ১৫ দিনের মধ্যে ১ নম্বর বিবাদীকে (ডিসি) কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেন।
জেলা প্রশাসক জালালাবাদ অন্ধ কল্যাণ সমিতির পদাধিকার বলে সভাপতি। সমিতির অনিয়ম নিয়ে গত ১৬ মার্চ ‘বিধির বাইরে টাকা তুললেন ডিসি’ শিরোনামে আজকের পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়।
জানতে চাইলে সিলেটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ রকম কোনো নোটিশ এসেছে বলে মনে হচ্ছে না। তবে বিষয়টি শুনেছি। মামলা হলে আমরা আদালতে সেটি মোকাবিলা করব। আমরা জালালাবাদ অন্ধ কল্যাণ সমিতির বিভিন্ন অনিয়মের তদন্ত করছি। তদন্ত শেষে আপনাদের (সাংবাদিকদের) জানানো হবে।’
বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট বেদানন্দ ভট্টাচার্য বলেন, নিয়মবহির্ভূতভাবে জালালাবাদ অন্ধ কল্যাণ সমিতির অ্যাডহক কমিটি গঠন ও হিসাব পরিচালনার দায়ে সিলেটের জেলা প্রশাসকসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মোকদ্দমা দাখিল করা হয়েছে। এতে সমিতির সভাপতি ও সিলেটের জেলা প্রশাসক নির্দিষ্ট দায়িত্ববহির্ভূত কোনো কার্যক্রম দ্বারা সমিতি পরিচালনা, তহবিল বা স্থাবর–অস্থাবর সম্পত্তির বিষয়ে কোনো কার্যক্রম গ্রহণ করতে না পারেন, সে ব্যাপারে অন্তর্বর্তী আদেশসহ অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারির আবেদন করা হয়। আদালত তা আমলে নিয়ে ১ নম্বর বিবাদীকে (ডিসি) ১৫ দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করেছেন।
মামলায় ডিসি ছাড়া সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ও সমিতির সহসভাপতি মো. আনোয়ারুজ্জামানের পাশাপাশি বিভাগীয় কমিশনার, রূপালী ব্যাংকের ইসলামপুর করপোরেট শাখার ব্যবস্থাপক, সিলেটের সিভিল সার্জন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক), জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক, সিলেট বিভাগীয় হিসাব নিয়ন্ত্রক, সুবিদবাজার এলাকার মাহবুব ছোবহান চৌধুরী, অ্যাডভোকেট কাওছার আহমদ ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও সহকারী কমিশনারকে বিবাদী করা হয়েছে।
সমিতির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ইশতিয়াক আহমদ সিদ্দিকী বলেন, ‘স্বাধীনতার আগ থেকেই অলাভজনক এই সমিতি আমরা নিজেদের অর্থায়নে পরিচালনা করে আসছি। সরকারি কোনো অনুদান ছাড়া সমিতি পরিচালিত হলেও জেলা প্রশাসককে পদাধিকার বলে সভাপতি করা হয়। বর্তমান ডিসি এসে সংবিধান লঙ্ঘন করেছেন। সংবিধানে অ্যাডহক কমিটি নেই। যেকোনো তদন্তে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। তবে সমিতির সংবিধান অনুযায়ী কার্যক্রম পরিচালনা করতে দেওয়া হোক। বারবার চেষ্টা করেও কোনো সমাধান না পেয়ে আমরা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি। আশা করি, ন্যায়বিচার পাব।’
‘জালালাবাদ অন্ধ কল্যাণ সমিতি, সিলেট’–এর গঠনতন্ত্র লঙ্ঘন করে ক্ষমতার জোরে অ্যাডহক কমিটি গঠন, ব্যাংক হিসাব ও স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি পরিচালনার অভিযোগে এবার জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। সমিতির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ইশতিয়াক আহমদ সিদ্দিকী বাদী হয়ে জেলা প্রশাসকসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে সিলেটের যুগ্ম জেলা জজ দ্বিতীয় আদালতে এ মামলা করেন। শুনানি শেষে আদালতের বিচারক রশিদ আহমদ মিলন ডিসি মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদকে ১৫ দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দিয়েছেন।
আজ সোমবার বিকেলে আদালতের পেশকার আহলাল ফেরদৌস এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, গতকাল রোববার আদালত কারণ দর্শানোর নোটিশ ইস্যুর নির্দেশ দেন। এর আগে গত বৃহস্পতিবার বাদীপক্ষের আবেদন গ্রহণ করে আদেশ প্রাপ্তির ১৫ দিনের মধ্যে ১ নম্বর বিবাদীকে (ডিসি) কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেন।
জেলা প্রশাসক জালালাবাদ অন্ধ কল্যাণ সমিতির পদাধিকার বলে সভাপতি। সমিতির অনিয়ম নিয়ে গত ১৬ মার্চ ‘বিধির বাইরে টাকা তুললেন ডিসি’ শিরোনামে আজকের পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়।
জানতে চাইলে সিলেটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ রকম কোনো নোটিশ এসেছে বলে মনে হচ্ছে না। তবে বিষয়টি শুনেছি। মামলা হলে আমরা আদালতে সেটি মোকাবিলা করব। আমরা জালালাবাদ অন্ধ কল্যাণ সমিতির বিভিন্ন অনিয়মের তদন্ত করছি। তদন্ত শেষে আপনাদের (সাংবাদিকদের) জানানো হবে।’
বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট বেদানন্দ ভট্টাচার্য বলেন, নিয়মবহির্ভূতভাবে জালালাবাদ অন্ধ কল্যাণ সমিতির অ্যাডহক কমিটি গঠন ও হিসাব পরিচালনার দায়ে সিলেটের জেলা প্রশাসকসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মোকদ্দমা দাখিল করা হয়েছে। এতে সমিতির সভাপতি ও সিলেটের জেলা প্রশাসক নির্দিষ্ট দায়িত্ববহির্ভূত কোনো কার্যক্রম দ্বারা সমিতি পরিচালনা, তহবিল বা স্থাবর–অস্থাবর সম্পত্তির বিষয়ে কোনো কার্যক্রম গ্রহণ করতে না পারেন, সে ব্যাপারে অন্তর্বর্তী আদেশসহ অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারির আবেদন করা হয়। আদালত তা আমলে নিয়ে ১ নম্বর বিবাদীকে (ডিসি) ১৫ দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করেছেন।
মামলায় ডিসি ছাড়া সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ও সমিতির সহসভাপতি মো. আনোয়ারুজ্জামানের পাশাপাশি বিভাগীয় কমিশনার, রূপালী ব্যাংকের ইসলামপুর করপোরেট শাখার ব্যবস্থাপক, সিলেটের সিভিল সার্জন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক), জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক, সিলেট বিভাগীয় হিসাব নিয়ন্ত্রক, সুবিদবাজার এলাকার মাহবুব ছোবহান চৌধুরী, অ্যাডভোকেট কাওছার আহমদ ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও সহকারী কমিশনারকে বিবাদী করা হয়েছে।
সমিতির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ইশতিয়াক আহমদ সিদ্দিকী বলেন, ‘স্বাধীনতার আগ থেকেই অলাভজনক এই সমিতি আমরা নিজেদের অর্থায়নে পরিচালনা করে আসছি। সরকারি কোনো অনুদান ছাড়া সমিতি পরিচালিত হলেও জেলা প্রশাসককে পদাধিকার বলে সভাপতি করা হয়। বর্তমান ডিসি এসে সংবিধান লঙ্ঘন করেছেন। সংবিধানে অ্যাডহক কমিটি নেই। যেকোনো তদন্তে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। তবে সমিতির সংবিধান অনুযায়ী কার্যক্রম পরিচালনা করতে দেওয়া হোক। বারবার চেষ্টা করেও কোনো সমাধান না পেয়ে আমরা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি। আশা করি, ন্যায়বিচার পাব।’
২০১৯ সালের গোড়ায় মডেল মসজিদের কাজ শুরু হয়। এখন ২০২৫ সালের মাঝামাঝি চলছে, প্রায় সাত বছর পার হলেও ৮০ শতাংশ কাজও শেষ হয়নি। অথচ তিন বছরের চুক্তিতে কাজ শুরু হয়েছিল।”
৩৩ মিনিট আগেজমানো পানি পচে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে, মশা ও মাছির জন্ম হয়ে পরিবেশ চরম আকারে দুষিত হচ্ছে। দ্রুত পৌর শহরের অর্ধলাখ মানুষকে রক্ষায় কালভার্ট ও ড্রেনেজ দখল করে স্থাপনা উচ্ছেদের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। অভিযোগ রয়েছে পৌর কর্তৃপক্ষ পানি নিস্কাশনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিলেও কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছেন
৩৬ মিনিট আগেসরেজমিনে কুর্নী ও বহনতলী এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, সড়কের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্তে বৃষ্টির পানি জমে আছে। এতে গর্তের গভীরতা ও অবস্থান বোঝা কঠিন হয়ে পড়েছে চালকদের জন্য। প্রতিনিয়ত যানবাহন এসব গর্তে পড়ে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে।
১ ঘণ্টা আগেউপজেলার বড়বিল-তুলাবিল-কালাপানি সড়কের পান্নাবিল এলাকায় একটি ব্রিজ সম্পূর্ণভাবে দেবে গেছে। এ ছাড়া একসত্যাপাড়া-বড়বিল, যোগ্যাছোলা-আছারতলী ও গচ্ছাবিল-চইক্যাবিল সড়কে চলমান কার্পেটিং প্রকল্পের ৪০-৫০ শতাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কংক্রিট-বালু দিয়ে প্রস্তুত সড়ক অংশ খরস্রোতে ভেসে গেছে।
১ ঘণ্টা আগে