ইয়াহ্ইয়া মারুফ, সিলেট

সুনামগঞ্জে হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণকাজের নির্ধারিত সময়সীমা গতকাল শেষ হয়েছে। তবে কাজ শেষ করতে পারেনি পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। পাউবোর দাবি, জেলায় বাঁধের কাজ গড়ে ৮৮ শতাংশ শেষ হয়েছে। বাকি কাজ শেষ করতে আরও সাত দিন সময় বাড়ানোর কথা জানিয়েছেন তাঁরা। তবে স্থানীয় কৃষক ও হাওর আন্দোলনের নেতারা বলছেন, হাওরে বাঁধের কাজ এখনো ৪৫ শতাংশ বাকি। অনেক বাঁধে মাটির কাজই শেষ হয়নি। সঠিক সময়ে কাজ শেষ না হওয়ায় ঢলে ফসল রক্ষা বাঁধ ভেঙে বোরো ফসলের ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষকেরা।
দেশের অন্যান্য জেলার তুলনায় সুনামগঞ্জে বৃষ্টির পরিমাণ তুলনামূলক বেশি। এ কারণে প্রবল বৃষ্টি এবং ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জে দেখা দেয় অকালবন্যা। মার্চের দিকে শুরু হওয়া এই বন্যা হাওরের বোরো ধান ভাসিয়ে নিয়ে যায়। ফলে ধান রক্ষায় প্রতিবছর সুনামগঞ্জ জেলায় হাওরে নির্মাণ করা হয় ফসল রক্ষা বাঁধ।
সুনামগঞ্জ পাউবো সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে জেলার ১২টি উপজেলার বিভিন্ন হাওরের ৫৮৮ কিলোমিটার ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণ ও সংস্কারের কাজ শুরু হয় গত ১৫ ডিসেম্বর। বাঁধের কাজ বাস্তবায়ন করতে ৬৮৭টি প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি (পিআইসি) গঠন করা হয়। এ জন্য ১২৭ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে সরকার। চার কিস্তিতে এই টাকা পরিশোধ হওয়ার কথা। এরই মধ্যে দুই কিস্তির অর্থ ছাড় দেওয়া হয়েছে। তিন নম্বর কিস্তি ছাড় দেওয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
কিন্তু এ বছর বাঁধ নির্মাণ সরকারের বেঁধে দেওয়া সময়সীমা গতকাল শেষ হলেও সুনামগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলায় বেশির ভাগ বাঁধের কাজ এখনো শেষ হয়নি। হাওর বাঁচাও আন্দোলনের নেতা ও কৃষকদের দাবি, এখন পর্যন্ত ৪৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়নি। একই সঙ্গে ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। যদিও প্রকল্পসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, ১৫ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই বাঁধের কাজ ৮৮ শতাংশ শেষ হয়েছে।
এদিকে সুনামগঞ্জে বাঁধের কাজে অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা ও নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ না হওয়ার প্রতিবাদে গত বুধবার শহরের আলফাত স্কয়ারে ‘হাওর বাঁচাও আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন হয়। এ সময় বক্তারা বলেন, ১১ ডিসেম্বর বোরো ফসল রক্ষায় বাঁধের কাজ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও এই সময়ে পিআইসি গঠন করা হয়নি। অনেক হাওরে পিআইসি গঠনে অনিয়ম হয়েছে। দেরিতে বাঁধের কাজ শুরু হওয়ায় নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ হয়নি। কাজে রয়েছে ব্যাপক অব্যবস্থাপনা ও অনিয়ম। রাজনৈতিক নেতারা পিআইসি ভাগাভাগি করে নিয়েছেন।
গণশুনানি না হওয়ায় কাজে ব্যাপক গাফিলতি দেখা যাচ্ছে। বাঁধে দুরমুজ দেওয়া হয়নি।
বক্তারা আরও বলেন, ‘সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা ইচ্ছেমতো কাজ করেন আর পাউবো সুনামগঞ্জে বসে কাজের অগ্রগতির প্রতিবেদন তৈরি করে। আমরা এই অগ্রগতির প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করি। এ বছর বাঁধের অনিয়ম, দুর্নীতিতে যাঁরা যুক্ত, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যাঁদের অবহেলায় হাওরের ফসল নষ্ট হবে, তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে। প্রয়োজনে জেলা প্রশাসন ও পাউবোর বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।’
দিরাই উপজেলার চাপতির হাওরের কৃষক সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘আমরা সাধারণ কৃষক। টাকাপয়সা ঋণ করে হাওরে ধান চাষ করছি। এখন যদি সঠিক কাজের অভাবে হাওর ডোবে, তাহলে ঋণ পরিশোধ করব কীভাবে? পরিবার নিয়ে খাব কী, আর চলব কীভাবে? খুব চিন্তায় আছি। সরকারের প্রতি অনুরোধ জানাই, যাতে পানি আসার আগেই বাঁধের কাজ সঠিকভাবে শেষ হয়।’
আরেক কৃষক মাজিদ মিয়া বলেন, ‘হাওরের ধান নিয়ে সব সময় আমাদের চিন্তা করতে হয়। হাওরে এখনো মাটির কাজ চলছে। কবে শেষ হবে, তা-ও জানি না। ২০২২ সালে পানির চাপে হাওরের বাঁধ ভেঙে সব ধান নষ্ট হয়েছিল। জানি না এবার কী আছে কপালে।’
‘হাওর বাঁচাও আন্দোলন’-এর সুনামগঞ্জ জেলার সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল হক মিলন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাঁধের কাজ চলমান রয়েছে, এখন পর্যন্ত ৪৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়নি। বিভিন্ন উপজেলায় সরেজমিনে দেখেছি, বালু মাটি দিয়ে বাঁধ তৈরি করা হচ্ছে। এখানে কৃষকদের নিয়ে একটা তামাশা শুরু করছে প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ড। অক্ষত বাঁধের ঘাস কেটে, মাটি খুঁড়ে আবার বাঁধের ওপর দিচ্ছে। মূলত এটা একটি শুভংকরের ফাঁকি, মানে জায়গার মাল জায়গায়।’
ওবায়দুল হক আরও বলেন, ‘যেখানে এখন পর্যন্ত সব কটি উপজেলায় মাটির কাজ চলমান, সেখানে ৮৮ বা ৯০ শতাংশ কাজ শেষ হয় কীভাবে? কয়েকটি বাঁধকে মডেল হিসেবে উপস্থাপন করা হচ্ছে, যে বাঁধগুলোর মাটির কাজ শেষ। কিন্তু বাস্তবে কিছুই হয়নি।’
হাওর বাঁচাও আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিজন সেন রায় বলেন, ‘হাওর রক্ষা বাঁধের কাজের অবস্থা খুবই নাজুক। এখন পর্যন্ত কাজের কোনো দিক-বেদিক নেই, এখনো মাটি ফেলছে। বারবার তাগিদ দিলেও এখনো বাঁধের কাজ শেষ হয়নি। এবার যদি হাওরের ফসল পানিতে তলিয়ে যায়, তার দায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নিতে হবে। তাঁদের বিরুদ্ধে আমরা দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলব, প্রয়োজনে আইনি পদক্ষেপ নেব।’
এ বিষয়ে সুনামগঞ্জ পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, কিছু কিছু জায়গায় মাটির কাজ চলছে। তবে জেলার হাওরগুলোর ফসল রক্ষা বাঁধের কাজের ৮৮ শতাংশ শেষ হয়েছে। নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ না হওয়া প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মামুন হাওলাদার বলেন, ‘আমরা এখনো বিভিন্ন উপজেলায় তথ্য নিচ্ছি। আমরা কাজের সময় আরও সাত দিন বাড়াব।’

সুনামগঞ্জে হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণকাজের নির্ধারিত সময়সীমা গতকাল শেষ হয়েছে। তবে কাজ শেষ করতে পারেনি পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। পাউবোর দাবি, জেলায় বাঁধের কাজ গড়ে ৮৮ শতাংশ শেষ হয়েছে। বাকি কাজ শেষ করতে আরও সাত দিন সময় বাড়ানোর কথা জানিয়েছেন তাঁরা। তবে স্থানীয় কৃষক ও হাওর আন্দোলনের নেতারা বলছেন, হাওরে বাঁধের কাজ এখনো ৪৫ শতাংশ বাকি। অনেক বাঁধে মাটির কাজই শেষ হয়নি। সঠিক সময়ে কাজ শেষ না হওয়ায় ঢলে ফসল রক্ষা বাঁধ ভেঙে বোরো ফসলের ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষকেরা।
দেশের অন্যান্য জেলার তুলনায় সুনামগঞ্জে বৃষ্টির পরিমাণ তুলনামূলক বেশি। এ কারণে প্রবল বৃষ্টি এবং ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জে দেখা দেয় অকালবন্যা। মার্চের দিকে শুরু হওয়া এই বন্যা হাওরের বোরো ধান ভাসিয়ে নিয়ে যায়। ফলে ধান রক্ষায় প্রতিবছর সুনামগঞ্জ জেলায় হাওরে নির্মাণ করা হয় ফসল রক্ষা বাঁধ।
সুনামগঞ্জ পাউবো সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে জেলার ১২টি উপজেলার বিভিন্ন হাওরের ৫৮৮ কিলোমিটার ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণ ও সংস্কারের কাজ শুরু হয় গত ১৫ ডিসেম্বর। বাঁধের কাজ বাস্তবায়ন করতে ৬৮৭টি প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি (পিআইসি) গঠন করা হয়। এ জন্য ১২৭ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে সরকার। চার কিস্তিতে এই টাকা পরিশোধ হওয়ার কথা। এরই মধ্যে দুই কিস্তির অর্থ ছাড় দেওয়া হয়েছে। তিন নম্বর কিস্তি ছাড় দেওয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
কিন্তু এ বছর বাঁধ নির্মাণ সরকারের বেঁধে দেওয়া সময়সীমা গতকাল শেষ হলেও সুনামগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলায় বেশির ভাগ বাঁধের কাজ এখনো শেষ হয়নি। হাওর বাঁচাও আন্দোলনের নেতা ও কৃষকদের দাবি, এখন পর্যন্ত ৪৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়নি। একই সঙ্গে ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। যদিও প্রকল্পসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, ১৫ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই বাঁধের কাজ ৮৮ শতাংশ শেষ হয়েছে।
এদিকে সুনামগঞ্জে বাঁধের কাজে অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা ও নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ না হওয়ার প্রতিবাদে গত বুধবার শহরের আলফাত স্কয়ারে ‘হাওর বাঁচাও আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন হয়। এ সময় বক্তারা বলেন, ১১ ডিসেম্বর বোরো ফসল রক্ষায় বাঁধের কাজ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও এই সময়ে পিআইসি গঠন করা হয়নি। অনেক হাওরে পিআইসি গঠনে অনিয়ম হয়েছে। দেরিতে বাঁধের কাজ শুরু হওয়ায় নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ হয়নি। কাজে রয়েছে ব্যাপক অব্যবস্থাপনা ও অনিয়ম। রাজনৈতিক নেতারা পিআইসি ভাগাভাগি করে নিয়েছেন।
গণশুনানি না হওয়ায় কাজে ব্যাপক গাফিলতি দেখা যাচ্ছে। বাঁধে দুরমুজ দেওয়া হয়নি।
বক্তারা আরও বলেন, ‘সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা ইচ্ছেমতো কাজ করেন আর পাউবো সুনামগঞ্জে বসে কাজের অগ্রগতির প্রতিবেদন তৈরি করে। আমরা এই অগ্রগতির প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করি। এ বছর বাঁধের অনিয়ম, দুর্নীতিতে যাঁরা যুক্ত, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যাঁদের অবহেলায় হাওরের ফসল নষ্ট হবে, তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে। প্রয়োজনে জেলা প্রশাসন ও পাউবোর বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।’
দিরাই উপজেলার চাপতির হাওরের কৃষক সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘আমরা সাধারণ কৃষক। টাকাপয়সা ঋণ করে হাওরে ধান চাষ করছি। এখন যদি সঠিক কাজের অভাবে হাওর ডোবে, তাহলে ঋণ পরিশোধ করব কীভাবে? পরিবার নিয়ে খাব কী, আর চলব কীভাবে? খুব চিন্তায় আছি। সরকারের প্রতি অনুরোধ জানাই, যাতে পানি আসার আগেই বাঁধের কাজ সঠিকভাবে শেষ হয়।’
আরেক কৃষক মাজিদ মিয়া বলেন, ‘হাওরের ধান নিয়ে সব সময় আমাদের চিন্তা করতে হয়। হাওরে এখনো মাটির কাজ চলছে। কবে শেষ হবে, তা-ও জানি না। ২০২২ সালে পানির চাপে হাওরের বাঁধ ভেঙে সব ধান নষ্ট হয়েছিল। জানি না এবার কী আছে কপালে।’
‘হাওর বাঁচাও আন্দোলন’-এর সুনামগঞ্জ জেলার সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল হক মিলন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাঁধের কাজ চলমান রয়েছে, এখন পর্যন্ত ৪৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়নি। বিভিন্ন উপজেলায় সরেজমিনে দেখেছি, বালু মাটি দিয়ে বাঁধ তৈরি করা হচ্ছে। এখানে কৃষকদের নিয়ে একটা তামাশা শুরু করছে প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ড। অক্ষত বাঁধের ঘাস কেটে, মাটি খুঁড়ে আবার বাঁধের ওপর দিচ্ছে। মূলত এটা একটি শুভংকরের ফাঁকি, মানে জায়গার মাল জায়গায়।’
ওবায়দুল হক আরও বলেন, ‘যেখানে এখন পর্যন্ত সব কটি উপজেলায় মাটির কাজ চলমান, সেখানে ৮৮ বা ৯০ শতাংশ কাজ শেষ হয় কীভাবে? কয়েকটি বাঁধকে মডেল হিসেবে উপস্থাপন করা হচ্ছে, যে বাঁধগুলোর মাটির কাজ শেষ। কিন্তু বাস্তবে কিছুই হয়নি।’
হাওর বাঁচাও আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিজন সেন রায় বলেন, ‘হাওর রক্ষা বাঁধের কাজের অবস্থা খুবই নাজুক। এখন পর্যন্ত কাজের কোনো দিক-বেদিক নেই, এখনো মাটি ফেলছে। বারবার তাগিদ দিলেও এখনো বাঁধের কাজ শেষ হয়নি। এবার যদি হাওরের ফসল পানিতে তলিয়ে যায়, তার দায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নিতে হবে। তাঁদের বিরুদ্ধে আমরা দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলব, প্রয়োজনে আইনি পদক্ষেপ নেব।’
এ বিষয়ে সুনামগঞ্জ পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, কিছু কিছু জায়গায় মাটির কাজ চলছে। তবে জেলার হাওরগুলোর ফসল রক্ষা বাঁধের কাজের ৮৮ শতাংশ শেষ হয়েছে। নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ না হওয়া প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মামুন হাওলাদার বলেন, ‘আমরা এখনো বিভিন্ন উপজেলায় তথ্য নিচ্ছি। আমরা কাজের সময় আরও সাত দিন বাড়াব।’

গভীর রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) পাঁচটি স্থাপনার মূল ফটকে তালা ঝোলানো হয়েছে। তালার ওপর লেখা ছিল ‘লকডাউন, বিএসএল’। তালা লাগানোর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ।
৬ মিনিট আগে
একজন ‘জুলাই যোদ্ধার’ একটি ফেসবুক স্ট্যাটাসের ভিত্তিতে তাঁর বাড়িতে এই অভিযান চালানো হয়েছে। ওই স্ট্যাটাসের বরাত দিয়ে পুলিশ জানিয়েছে, ‘ঢাকা লকডাউন’ কর্মসূচি সফল করতে নওফেলের বাসায় কার্যক্রম স্থগিত থাকা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা ‘বৈঠক করছেন’ বলে তথ্য পাওয়া যায়।
১২ মিনিট আগে
খুলনা মহানগরীর পাওয়ার হাউস মোড় ও সাচিবুনিয়া বাইপাস সড়কে ঝটিকা মিছিল করেছে নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগ ও কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন যুবলীগ। গতকাল মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) রাতে এই ঝটিকা মিছিল হয়। এ ঘটনায় পুলিশ পাঁচজনকে আটক করেছে।
১৭ মিনিট আগে
আনাসের বাবা আল আমিন বলেন, ‘খুনি মোমেন খাঁ আমাদের সঙ্গে বিভিন্ন স্থানে আমার ছেলেকে খোঁজাখুঁজি করেছে। সে যে আমার মানিককে খুন করেছে, এটা তো বুঝতে পারিনি। কোন বিচার হলে আমার মানিক শান্তি পাবে, আল্লাহ যেন তা-ই করেন।’
২০ মিনিট আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

গভীর রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) পাঁচটি স্থাপনার মূল ফটকে তালা ঝোলানো হয়েছে। তালার ওপর লেখা ছিল ‘লকডাউন, বিএসএল’। তালা লাগানোর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ।
গতকাল মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) দিবাগত রাত ৩টা ৩৭ মিনিটে চারুকলা অনুষদ, হাইকোর্টসংলগ্ন কার্জন হল গেট, পুষ্টি ও খাদ্যবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটসহ পাঁচটি একাডেমিক স্থাপনায় তালা ঝোলানো হয় বলে জানা যায়। এর প্রায় এক ঘণ্টা পর ৪টা ৩০ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তালা খুলে ফেলে।
শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তালা লাগিয়েছে ৩টা ৩৭ মিনিটের দিকে, জানার পরেই আমার টিম ৪টা থেকে ৪টা ৩০ মিনিটের (তখনই) মধ্যে তালা ভেঙে ফেলে। ছবি ও সিসিটিভি অলরেডি (ইতিমধ্যে) আমরা হাতে পেয়েছি। তাদের চিহ্নিত করার জন্য পুলিশ ও আমরা এটা নিয়ে কাজ করছি। তদন্ত করে অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ঘটনাস্থলে দায়িত্বরত নিরাপত্তাকর্মীদের সাময়িক প্রত্যাহার করা হয়েছে জানিয়ে প্রক্টর অধ্যাপক সাইফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘সেই সময়ে যেসব গার্ড এসব গেটে দায়িত্বে ছিলেন, তাঁদের সাময়িকভাবে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এরই মধ্যে আমাদের সহকারী প্রক্টররা ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন, সেখানে সিসিটিভি ক্যামেরা আছে কি না, তা আমরা যাচাই করছি। এ ধরনের ঘটনায় কোনো ধরনের ছাড় দেওয়া হবে না।’
তালা লাগানোর সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়শিক্ষার্থীরা জড়িত কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে প্রক্টর বলেন, ‘আমাদের এখানে হাজার হাজার শিক্ষার্থী, ১০ বছরের আগের শিক্ষার্থীকেও চেনা খুব ডিফিকাল্ট। আমরা চিহ্নিত করার চেষ্টা করছি আমাদের শিক্ষার্থী নাকি কোথাকার কী। সেটা পুলিশও দেখছে।’
আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) রাজধানী ঢাকায় লকডাউন কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগসহ আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনগুলো। কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে এর মধ্যে ৮ থেকে ১২ নভেম্বর পর্যন্ত (পাঁচ দিন) বিভিন্ন জায়গায় নানান সহিংস ঘটনা ঘটতে দেখা গেছে। এরই অংশ হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) পাঁচটি স্থাপনার মূল ফটকে তালা ঝুলিয়েছেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা।
তালা লাগানোর কিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের (নিষিদ্ধ) সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন ও যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এইচ এম আল আমিন আহমেদ।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘তালা লাগানোর ঘটনাটি সত্য। সকালে তালাগুলো ভেঙে ফেলা হয়েছে। আমরা আমাদের ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা আরও বাড়ানোর ব্যাপারে কাজ করছি এবং সিকিউরিটি অফিসারকে এ বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’

গভীর রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) পাঁচটি স্থাপনার মূল ফটকে তালা ঝোলানো হয়েছে। তালার ওপর লেখা ছিল ‘লকডাউন, বিএসএল’। তালা লাগানোর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ।
গতকাল মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) দিবাগত রাত ৩টা ৩৭ মিনিটে চারুকলা অনুষদ, হাইকোর্টসংলগ্ন কার্জন হল গেট, পুষ্টি ও খাদ্যবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটসহ পাঁচটি একাডেমিক স্থাপনায় তালা ঝোলানো হয় বলে জানা যায়। এর প্রায় এক ঘণ্টা পর ৪টা ৩০ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তালা খুলে ফেলে।
শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তালা লাগিয়েছে ৩টা ৩৭ মিনিটের দিকে, জানার পরেই আমার টিম ৪টা থেকে ৪টা ৩০ মিনিটের (তখনই) মধ্যে তালা ভেঙে ফেলে। ছবি ও সিসিটিভি অলরেডি (ইতিমধ্যে) আমরা হাতে পেয়েছি। তাদের চিহ্নিত করার জন্য পুলিশ ও আমরা এটা নিয়ে কাজ করছি। তদন্ত করে অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ঘটনাস্থলে দায়িত্বরত নিরাপত্তাকর্মীদের সাময়িক প্রত্যাহার করা হয়েছে জানিয়ে প্রক্টর অধ্যাপক সাইফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘সেই সময়ে যেসব গার্ড এসব গেটে দায়িত্বে ছিলেন, তাঁদের সাময়িকভাবে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এরই মধ্যে আমাদের সহকারী প্রক্টররা ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন, সেখানে সিসিটিভি ক্যামেরা আছে কি না, তা আমরা যাচাই করছি। এ ধরনের ঘটনায় কোনো ধরনের ছাড় দেওয়া হবে না।’
তালা লাগানোর সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়শিক্ষার্থীরা জড়িত কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে প্রক্টর বলেন, ‘আমাদের এখানে হাজার হাজার শিক্ষার্থী, ১০ বছরের আগের শিক্ষার্থীকেও চেনা খুব ডিফিকাল্ট। আমরা চিহ্নিত করার চেষ্টা করছি আমাদের শিক্ষার্থী নাকি কোথাকার কী। সেটা পুলিশও দেখছে।’
আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) রাজধানী ঢাকায় লকডাউন কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগসহ আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনগুলো। কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে এর মধ্যে ৮ থেকে ১২ নভেম্বর পর্যন্ত (পাঁচ দিন) বিভিন্ন জায়গায় নানান সহিংস ঘটনা ঘটতে দেখা গেছে। এরই অংশ হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) পাঁচটি স্থাপনার মূল ফটকে তালা ঝুলিয়েছেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা।
তালা লাগানোর কিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের (নিষিদ্ধ) সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন ও যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এইচ এম আল আমিন আহমেদ।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘তালা লাগানোর ঘটনাটি সত্য। সকালে তালাগুলো ভেঙে ফেলা হয়েছে। আমরা আমাদের ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা আরও বাড়ানোর ব্যাপারে কাজ করছি এবং সিকিউরিটি অফিসারকে এ বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’

সুনামগঞ্জে হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণকাজের নির্ধারিত সময়সীমা গতকাল শেষ হয়েছে। তবে কাজ শেষ করতে পারেনি পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। পাউবোর দাবি, জেলায় বাঁধের কাজ গড়ে ৮৮ শতাংশ শেষ হয়েছে। বাকি কাজ শেষ করতে আরও সাত দিন সময় বাড়ানোর কথা জানিয়েছেন তাঁরা। তবে স্থানীয় কৃষক ও হাওর আন্দোলনের...
০১ মার্চ ২০২৫
একজন ‘জুলাই যোদ্ধার’ একটি ফেসবুক স্ট্যাটাসের ভিত্তিতে তাঁর বাড়িতে এই অভিযান চালানো হয়েছে। ওই স্ট্যাটাসের বরাত দিয়ে পুলিশ জানিয়েছে, ‘ঢাকা লকডাউন’ কর্মসূচি সফল করতে নওফেলের বাসায় কার্যক্রম স্থগিত থাকা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা ‘বৈঠক করছেন’ বলে তথ্য পাওয়া যায়।
১২ মিনিট আগে
খুলনা মহানগরীর পাওয়ার হাউস মোড় ও সাচিবুনিয়া বাইপাস সড়কে ঝটিকা মিছিল করেছে নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগ ও কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন যুবলীগ। গতকাল মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) রাতে এই ঝটিকা মিছিল হয়। এ ঘটনায় পুলিশ পাঁচজনকে আটক করেছে।
১৭ মিনিট আগে
আনাসের বাবা আল আমিন বলেন, ‘খুনি মোমেন খাঁ আমাদের সঙ্গে বিভিন্ন স্থানে আমার ছেলেকে খোঁজাখুঁজি করেছে। সে যে আমার মানিককে খুন করেছে, এটা তো বুঝতে পারিনি। কোন বিচার হলে আমার মানিক শান্তি পাবে, আল্লাহ যেন তা-ই করেন।’
২০ মিনিট আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামে সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের বাসায় অভিযান চালিয়ে সাতজনকে আটক করেছে পুলিশ। একজন ‘জুলাই যোদ্ধার’ একটি ফেসবুক স্ট্যাটাসের ভিত্তিতে তাঁর বাড়িতে এই অভিযান চালানো হয়েছে। ওই স্ট্যাটাসের বরাত দিয়ে পুলিশ জানিয়েছে, ‘ঢাকা লকডাউন’ কর্মসূচি সফল করতে নওফেলের বাসায় কার্যক্রম স্থগিত থাকা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা ‘বৈঠক করছেন’ বলে তথ্য পাওয়া যায়।
আজ বুধবার (১২ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ৩টা থেকে আধা ঘণ্টার বেশি সময় ধরে নগরীর পাঁচলাইশ থানার পূর্ব নাসিরাবাদের চশমাহিলে নওফেলের বাসায় এই অভিযান চলে, যেটি সাবেক মেয়র প্রয়াত এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর বাসভবন হিসেবে পরিচিত। এ ঘটনায় আটক ব্যক্তিদের পরিচয় যাচাই করে দেখা হচ্ছে বলে জানান পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোলাইমান। তবে আটক ব্যক্তিদের নাম-ঠিকানা জানাননি তিনি।
ওসি মোহাম্মদ সোলাইমান জানান, আজ (বুধবার) দুপুরে ফেসবুকে একজন ‘জুলাই যোদ্ধার’ দেওয়া একটি স্ট্যাটাস তাঁদের নজরে আসে। সেখানে উল্লেখ ছিল, ১৩ নভেম্বরের ঢাকা লকডাউন কর্মসূচি সফল করতে মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের বাসায় আওয়ামী লীগের অনেক নেতা-কর্মী একত্র হয়ে মিটিং করছেন। এমন স্ট্যাটাসের পর আরও কয়েকজন নিজেদের জুলাই যোদ্ধা দাবি করে ওসিকে ফোনে বিষয়টি অবহিত করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে নওফেলের বাসায় অভিযান চালানো হয়েছে।
ওসি বলেন, ‘ওই বাসার গেটে তালা লাগানো। বাইরে থেকে কোনো লোক ঢোকার সুযোগ নেই। যেসব জুলাই যোদ্ধা আমাদের তথ্য দিয়েছেন, তাঁরাও আমাদের সঙ্গে এই বাসায় আসতে চেয়েছিলেন। আমরা শুধু দুজন ছাড়া কাউকে অ্যালাউ করিনি। পুলিশের অনুমতি ব্যতীত কেউ যাতে সেখানে ঢুকতে না পারে, আমরা সজাগ ছিলাম। আমরা পুরো ভবনে অভিযান চালিয়েছি। ওই বাসায় এখন পরিবারের সদস্য কেউ থাকে না। সাতজনকে পেয়েছি, যারা নিজেদের কর্মচারী হিসেবে পরিচয় দিয়েছে। তাদের আমরা আটক করে থানায় নিয়ে এসেছি। যাচাই-বাছাই করে তাদের মধ্যে যদি নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ কিংবা ফ্যাসিস্টের সহযোগী কেউ থাকে, তাহলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ওসি সোলাইমানের দেওয়া তথ্যমতে, নওফেলের ছয়তলা বাসার চতুর্থ তলায় রান্নাবান্নার বিভিন্ন সরঞ্জাম ও নিয়মিত রান্না হয়, এমন প্রমাণ পাওয়া গেছে। তাঁর ছোট ভাই বোরহানুল হাসান চৌধুরী সালেহীন ও বিএনপি নেতা নিয়াজের যৌথ মালিকানায় নগরীর পূর্ব নাসিরাবাদে ইয়াকুব সেন্টারে ক্যাফে মিলানো নামে একটি রেস্তোরাঁ আছে। ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর রেস্তোরাঁটি বন্ধ হয়ে গেছে। কিন্তু ওই হোটেলের নামে ফুডপান্ডা বা অনলাইনের মাধ্যমে অর্ডার নিয়ে খাবার সরবরাহ করা হয়। ওই বাসার চতুর্থ তলার ওই রান্নাঘরে সেই খাবার রান্না করা হয় এবং প্যাকেটে ভরে সেটা সরবরাহ করা হয়। আজ দুটি অর্ডার পেয়েছিলেন হোটেলকর্মীরা, বেলা ২টার মধ্যে সেই খাবার সরবরাহ করা হয়। অনলাইনে কার্ডের মাধ্যমে বা নগদ টাকা গ্রহণ করে বিল দেওয়ার দুটি মেশিন ওই বাসায় পেয়ে সেগুলো জব্দ করেছে পুলিশ। তবে নওফেলের বাসায় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের একত্র হয়ে সভা করার খবরটি ‘গুজব’ ছিল বলে জানান ওসি মোহাম্মদ সোলাইমান।
তথ্যমতে, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র প্রয়াত এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর সন্তান মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ২০১৮ সালে শিক্ষা উপমন্ত্রী এবং ২০২৪ সালের দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পর শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর নওফেল দেশত্যাগ করেন।

চট্টগ্রামে সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের বাসায় অভিযান চালিয়ে সাতজনকে আটক করেছে পুলিশ। একজন ‘জুলাই যোদ্ধার’ একটি ফেসবুক স্ট্যাটাসের ভিত্তিতে তাঁর বাড়িতে এই অভিযান চালানো হয়েছে। ওই স্ট্যাটাসের বরাত দিয়ে পুলিশ জানিয়েছে, ‘ঢাকা লকডাউন’ কর্মসূচি সফল করতে নওফেলের বাসায় কার্যক্রম স্থগিত থাকা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা ‘বৈঠক করছেন’ বলে তথ্য পাওয়া যায়।
আজ বুধবার (১২ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ৩টা থেকে আধা ঘণ্টার বেশি সময় ধরে নগরীর পাঁচলাইশ থানার পূর্ব নাসিরাবাদের চশমাহিলে নওফেলের বাসায় এই অভিযান চলে, যেটি সাবেক মেয়র প্রয়াত এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর বাসভবন হিসেবে পরিচিত। এ ঘটনায় আটক ব্যক্তিদের পরিচয় যাচাই করে দেখা হচ্ছে বলে জানান পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোলাইমান। তবে আটক ব্যক্তিদের নাম-ঠিকানা জানাননি তিনি।
ওসি মোহাম্মদ সোলাইমান জানান, আজ (বুধবার) দুপুরে ফেসবুকে একজন ‘জুলাই যোদ্ধার’ দেওয়া একটি স্ট্যাটাস তাঁদের নজরে আসে। সেখানে উল্লেখ ছিল, ১৩ নভেম্বরের ঢাকা লকডাউন কর্মসূচি সফল করতে মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের বাসায় আওয়ামী লীগের অনেক নেতা-কর্মী একত্র হয়ে মিটিং করছেন। এমন স্ট্যাটাসের পর আরও কয়েকজন নিজেদের জুলাই যোদ্ধা দাবি করে ওসিকে ফোনে বিষয়টি অবহিত করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে নওফেলের বাসায় অভিযান চালানো হয়েছে।
ওসি বলেন, ‘ওই বাসার গেটে তালা লাগানো। বাইরে থেকে কোনো লোক ঢোকার সুযোগ নেই। যেসব জুলাই যোদ্ধা আমাদের তথ্য দিয়েছেন, তাঁরাও আমাদের সঙ্গে এই বাসায় আসতে চেয়েছিলেন। আমরা শুধু দুজন ছাড়া কাউকে অ্যালাউ করিনি। পুলিশের অনুমতি ব্যতীত কেউ যাতে সেখানে ঢুকতে না পারে, আমরা সজাগ ছিলাম। আমরা পুরো ভবনে অভিযান চালিয়েছি। ওই বাসায় এখন পরিবারের সদস্য কেউ থাকে না। সাতজনকে পেয়েছি, যারা নিজেদের কর্মচারী হিসেবে পরিচয় দিয়েছে। তাদের আমরা আটক করে থানায় নিয়ে এসেছি। যাচাই-বাছাই করে তাদের মধ্যে যদি নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ কিংবা ফ্যাসিস্টের সহযোগী কেউ থাকে, তাহলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ওসি সোলাইমানের দেওয়া তথ্যমতে, নওফেলের ছয়তলা বাসার চতুর্থ তলায় রান্নাবান্নার বিভিন্ন সরঞ্জাম ও নিয়মিত রান্না হয়, এমন প্রমাণ পাওয়া গেছে। তাঁর ছোট ভাই বোরহানুল হাসান চৌধুরী সালেহীন ও বিএনপি নেতা নিয়াজের যৌথ মালিকানায় নগরীর পূর্ব নাসিরাবাদে ইয়াকুব সেন্টারে ক্যাফে মিলানো নামে একটি রেস্তোরাঁ আছে। ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর রেস্তোরাঁটি বন্ধ হয়ে গেছে। কিন্তু ওই হোটেলের নামে ফুডপান্ডা বা অনলাইনের মাধ্যমে অর্ডার নিয়ে খাবার সরবরাহ করা হয়। ওই বাসার চতুর্থ তলার ওই রান্নাঘরে সেই খাবার রান্না করা হয় এবং প্যাকেটে ভরে সেটা সরবরাহ করা হয়। আজ দুটি অর্ডার পেয়েছিলেন হোটেলকর্মীরা, বেলা ২টার মধ্যে সেই খাবার সরবরাহ করা হয়। অনলাইনে কার্ডের মাধ্যমে বা নগদ টাকা গ্রহণ করে বিল দেওয়ার দুটি মেশিন ওই বাসায় পেয়ে সেগুলো জব্দ করেছে পুলিশ। তবে নওফেলের বাসায় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের একত্র হয়ে সভা করার খবরটি ‘গুজব’ ছিল বলে জানান ওসি মোহাম্মদ সোলাইমান।
তথ্যমতে, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র প্রয়াত এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর সন্তান মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ২০১৮ সালে শিক্ষা উপমন্ত্রী এবং ২০২৪ সালের দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পর শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর নওফেল দেশত্যাগ করেন।

সুনামগঞ্জে হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণকাজের নির্ধারিত সময়সীমা গতকাল শেষ হয়েছে। তবে কাজ শেষ করতে পারেনি পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। পাউবোর দাবি, জেলায় বাঁধের কাজ গড়ে ৮৮ শতাংশ শেষ হয়েছে। বাকি কাজ শেষ করতে আরও সাত দিন সময় বাড়ানোর কথা জানিয়েছেন তাঁরা। তবে স্থানীয় কৃষক ও হাওর আন্দোলনের...
০১ মার্চ ২০২৫
গভীর রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) পাঁচটি স্থাপনার মূল ফটকে তালা ঝোলানো হয়েছে। তালার ওপর লেখা ছিল ‘লকডাউন, বিএসএল’। তালা লাগানোর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ।
৬ মিনিট আগে
খুলনা মহানগরীর পাওয়ার হাউস মোড় ও সাচিবুনিয়া বাইপাস সড়কে ঝটিকা মিছিল করেছে নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগ ও কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন যুবলীগ। গতকাল মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) রাতে এই ঝটিকা মিছিল হয়। এ ঘটনায় পুলিশ পাঁচজনকে আটক করেছে।
১৭ মিনিট আগে
আনাসের বাবা আল আমিন বলেন, ‘খুনি মোমেন খাঁ আমাদের সঙ্গে বিভিন্ন স্থানে আমার ছেলেকে খোঁজাখুঁজি করেছে। সে যে আমার মানিককে খুন করেছে, এটা তো বুঝতে পারিনি। কোন বিচার হলে আমার মানিক শান্তি পাবে, আল্লাহ যেন তা-ই করেন।’
২০ মিনিট আগেখুলনা প্রতিনিধি

খুলনা মহানগরীর পাওয়ার হাউস মোড় ও সাচিবুনিয়া বাইপাস সড়কে ঝটিকা মিছিল করেছে নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগ ও কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন যুবলীগ। গতকাল মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) রাতে এই ঝটিকা মিছিল হয়। এ ঘটনায় পুলিশ পাঁচজনকে আটক করেছে।
এদিকে গভীর রাতে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) খুলনা জেলা ও মহানগর কার্যালয়ে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল রাতে নগরীর টাইগার গার্ডেনসংলগ্ন কার্যালয়ে এ ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
এনসিপি সূত্রে জানা যায়, রাত ১টার দিকে একদল দুর্বৃত্ত হঠাৎ দলীয় কার্যালয়ে ঢুকে ভাঙচুর চালায় এবং আসবাবপত্র নষ্ট করে। স্থানীয় বাসিন্দারা বিষয়টি টের পেয়ে এগিয়ে এলে হামলাকারীরা দ্রুত পালিয়ে যায়। ঘটনার পরপরই দলীয় নেতা-কর্মীরা কার্যালয়ে পৌঁছে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করেন।
এ বিষয়ে এনসিপির খুলনা জেলা শাখার প্রধান সমন্বয়কারী মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। আজই আমরা মামলা করব।’
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়, লবণচরার সাচিবুনিয়া টেক্সটাইল মিলের পাশে বাইপাস সড়কে রাত ৮টার দিকে ৪০-৫০ জন ঝটিকা মশালমিছিল করে। খুলনা জেলা যুবলীগের উদ্যোগে এ মিছিল বের হয় বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ পৌঁছালে তারা পালিয়ে যায়।
একই সময় মহানগরীর পাওয়ার হাউস মোড়ে ছাত্রলীগের কয়েকজন ঝটিকা মিছিল বের করে।খবর পেয়ে সদর ও সোনাডাঙ্গা মডেল থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়।
জানতে চাইলে কেএমপির উপপুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) সুদর্শন কুমার রায় বলেন, কার্যক্রম নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের ৮-১০ জন রাতে ফেরিঘাটের মোড় থেকে মিছিল বের করার চেষ্টা করেন। স্থানীয় জনতার সহযোগিতায় খুলনা ও সোনাডাঙ্গা থানা-পুলিশ সেখান থেকে তিনজনকে আটক করে। এর আগে আরও দুজনকে আটক করা হয়।
উপপুলিশ কমিশনার (উত্তর) তাজুল ইসলাম বলেন, ১৩ নভেম্বর নিরাপত্তায় মাঠে থাকবে ইউনিফর্ম পরা পুলিশ ও সিটিএসবি এবং সঙ্গে থাকবে সাদা পোশাকের পুলিশ। মোবাইল টিম ও চেকপোস্ট বাড়ানো হয়েছে।

খুলনা মহানগরীর পাওয়ার হাউস মোড় ও সাচিবুনিয়া বাইপাস সড়কে ঝটিকা মিছিল করেছে নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগ ও কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন যুবলীগ। গতকাল মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) রাতে এই ঝটিকা মিছিল হয়। এ ঘটনায় পুলিশ পাঁচজনকে আটক করেছে।
এদিকে গভীর রাতে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) খুলনা জেলা ও মহানগর কার্যালয়ে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল রাতে নগরীর টাইগার গার্ডেনসংলগ্ন কার্যালয়ে এ ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
এনসিপি সূত্রে জানা যায়, রাত ১টার দিকে একদল দুর্বৃত্ত হঠাৎ দলীয় কার্যালয়ে ঢুকে ভাঙচুর চালায় এবং আসবাবপত্র নষ্ট করে। স্থানীয় বাসিন্দারা বিষয়টি টের পেয়ে এগিয়ে এলে হামলাকারীরা দ্রুত পালিয়ে যায়। ঘটনার পরপরই দলীয় নেতা-কর্মীরা কার্যালয়ে পৌঁছে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করেন।
এ বিষয়ে এনসিপির খুলনা জেলা শাখার প্রধান সমন্বয়কারী মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। আজই আমরা মামলা করব।’
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়, লবণচরার সাচিবুনিয়া টেক্সটাইল মিলের পাশে বাইপাস সড়কে রাত ৮টার দিকে ৪০-৫০ জন ঝটিকা মশালমিছিল করে। খুলনা জেলা যুবলীগের উদ্যোগে এ মিছিল বের হয় বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ পৌঁছালে তারা পালিয়ে যায়।
একই সময় মহানগরীর পাওয়ার হাউস মোড়ে ছাত্রলীগের কয়েকজন ঝটিকা মিছিল বের করে।খবর পেয়ে সদর ও সোনাডাঙ্গা মডেল থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়।
জানতে চাইলে কেএমপির উপপুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) সুদর্শন কুমার রায় বলেন, কার্যক্রম নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের ৮-১০ জন রাতে ফেরিঘাটের মোড় থেকে মিছিল বের করার চেষ্টা করেন। স্থানীয় জনতার সহযোগিতায় খুলনা ও সোনাডাঙ্গা থানা-পুলিশ সেখান থেকে তিনজনকে আটক করে। এর আগে আরও দুজনকে আটক করা হয়।
উপপুলিশ কমিশনার (উত্তর) তাজুল ইসলাম বলেন, ১৩ নভেম্বর নিরাপত্তায় মাঠে থাকবে ইউনিফর্ম পরা পুলিশ ও সিটিএসবি এবং সঙ্গে থাকবে সাদা পোশাকের পুলিশ। মোবাইল টিম ও চেকপোস্ট বাড়ানো হয়েছে।

সুনামগঞ্জে হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণকাজের নির্ধারিত সময়সীমা গতকাল শেষ হয়েছে। তবে কাজ শেষ করতে পারেনি পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। পাউবোর দাবি, জেলায় বাঁধের কাজ গড়ে ৮৮ শতাংশ শেষ হয়েছে। বাকি কাজ শেষ করতে আরও সাত দিন সময় বাড়ানোর কথা জানিয়েছেন তাঁরা। তবে স্থানীয় কৃষক ও হাওর আন্দোলনের...
০১ মার্চ ২০২৫
গভীর রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) পাঁচটি স্থাপনার মূল ফটকে তালা ঝোলানো হয়েছে। তালার ওপর লেখা ছিল ‘লকডাউন, বিএসএল’। তালা লাগানোর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ।
৬ মিনিট আগে
একজন ‘জুলাই যোদ্ধার’ একটি ফেসবুক স্ট্যাটাসের ভিত্তিতে তাঁর বাড়িতে এই অভিযান চালানো হয়েছে। ওই স্ট্যাটাসের বরাত দিয়ে পুলিশ জানিয়েছে, ‘ঢাকা লকডাউন’ কর্মসূচি সফল করতে নওফেলের বাসায় কার্যক্রম স্থগিত থাকা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা ‘বৈঠক করছেন’ বলে তথ্য পাওয়া যায়।
১২ মিনিট আগে
আনাসের বাবা আল আমিন বলেন, ‘খুনি মোমেন খাঁ আমাদের সঙ্গে বিভিন্ন স্থানে আমার ছেলেকে খোঁজাখুঁজি করেছে। সে যে আমার মানিককে খুন করেছে, এটা তো বুঝতে পারিনি। কোন বিচার হলে আমার মানিক শান্তি পাবে, আল্লাহ যেন তা-ই করেন।’
২০ মিনিট আগেশ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি

গাজীপুরের শ্রীপুরে আলোচিত শিশু আনাস খান (৪) হত্যার রহস্য উদ্ঘাটনের দাবি করেছে পুলিশ। পুলিশ বলছে, আনাসের প্রতিবেশী গৃহবধূকে তাঁর প্রেমিকের সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলে আনাস। এ জন্য তাকে গলা টিপে ও কাঁচি দিয়ে নৃশংসভাবে আঘাত করে মেরে লাশ বিলে ফেলে দেন ওই প্রেমিক। পরে আনাসের পরিবারের সঙ্গে লাশ খোঁজাখুঁজিতেও অংশ নেন ওই প্রেমিক। প্রতিবেশী নারীকে জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে গতকাল মঙ্গলবার রাতে গাজীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গোয়েন্দা) আমিনুল ইসলাম এসব কথা জানান। এ ঘটনায় ওই নারী ও তাঁর প্রেমিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আনাস উপজেলার রাজাবাড়ী ইউনিয়নের চিনাশুকানিয়া মধ্যপাড়া (নতুন বাজার) গ্রামের সৌদিপ্রবাসী আল আমিন খান ও লিজা আক্তার দম্পতির দ্বিতীয় ছেলে। সে স্থানীয় একটি কিন্ডারগার্টেনে শিশু শ্রেণিতে পড়ত।
আনাস হত্যায় গ্রেপ্তার প্রতিবেশী নারী শাহিনূর বেগম ওরফে হাসিনা (৩০) চিনাশুকানিয়া (মধ্যপাড়া) গ্রামের নজরুল মোল্লার স্ত্রী। গ্রেপ্তার প্রেমিক মোমেন খাঁ উপজেলার রাজাবাড়ী ইউনিয়নের চিনাশুকানিয়া মধ্যপাড়া (নতুন বাজার) গ্রামের মোতালেব খাঁর ছেলে।

আনাসের বাবা আল আমিন বলেন, ‘আমার ছেলে নিখোঁজ হওয়ার খবর পেয়ে সৌদি আরব থেকে দেশে চলে আসি। খুনি মোমেন খাঁ আমাদের সঙ্গে বিভিন্ন স্থানে আমার ছেলেকে খোঁজাখুঁজি করেছে। সে যে আমার মানিককে খুন করেছে, এটা তো বুঝতে পারিনি। কী বিচার চাইব। কোন বিচার হলে আমার মানিক শান্তি পাবে, আল্লাহ যেন তা-ই করেন।’
গাজীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গোয়েন্দা) আমিনুল ইসলাম জানান, গত শুক্রবার সকালে আনাস তার বাইসাইকেল নিয়ে প্রতিবেশী নজরুল মোল্লার ছেলে আবদুল্লাহর (৫) সঙ্গে খেলতে তার বাড়িতে যায়। কিছুক্ষণ পর আনাসের দাদি তাকে খোঁজার জন্য নজরুল মোল্লার বাড়িতে যান। তখন নজরুল মোল্লার স্ত্রী হাসিনা তাঁকে জানান, আনাস তাঁদের বাড়িতে সাইকেলটি রেখে কোথায় যেন চলে গেছে। শিশু নিখোঁজের ঘটনায় তার দাদা শ্রীপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। আনাসকে উদ্ধারে গাজীপুর জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ ছায়া তদন্ত শুরু করে। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে হাসিনা ও তাঁর স্বামী নজরুল মোল্লাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে হাসিনা স্বীকার করেন, পাশের বাড়ির মোতালেব খাঁর ছেলে মোমেনের সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। ঘটনার দিন শুক্রবার সকালে স্বামী বের হয়ে গেলে প্রেমিককে ঘরে নিয়ে আসেন হাসিনা। আনাস তাঁর বাড়িতে এসে খেলার সাথি আবদুল্লাহকে খুঁজতে খুঁজতে ঘরে ঢুকে পড়ে। সেখানে হাসিনা ও তাঁর প্রেমিক মোমেনকে একসঙ্গে দেখে ফেলে সে। নিজেদের অপকর্ম লুকাতে মোমেন আনাসের গলা টিপে ধরেন এবং কাঁচি দিয়ে তাকে নৃশংসভাবে আঘাত করে হত্যা করেন। পরে সুযোগ বুঝে মোমেন আনাসের লাশ বাড়ির উত্তর পাশের বাঙ্গালপাড়া বিলে ফেলে আসেন। অন্যদিকে হাসিনা আনাসের সাইকেলটি আনাসের বাড়ির কাছে রাস্তায় রেখে আসেন এবং হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত কাঁচিটি ধুয়ে রান্নাঘরের চালে গুঁজে রাখেন। পরে হাসিনার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ গত সোমবার দুপুরে বিল থেকে আনাসের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে।

গাজীপুরের শ্রীপুরে আলোচিত শিশু আনাস খান (৪) হত্যার রহস্য উদ্ঘাটনের দাবি করেছে পুলিশ। পুলিশ বলছে, আনাসের প্রতিবেশী গৃহবধূকে তাঁর প্রেমিকের সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলে আনাস। এ জন্য তাকে গলা টিপে ও কাঁচি দিয়ে নৃশংসভাবে আঘাত করে মেরে লাশ বিলে ফেলে দেন ওই প্রেমিক। পরে আনাসের পরিবারের সঙ্গে লাশ খোঁজাখুঁজিতেও অংশ নেন ওই প্রেমিক। প্রতিবেশী নারীকে জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে গতকাল মঙ্গলবার রাতে গাজীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গোয়েন্দা) আমিনুল ইসলাম এসব কথা জানান। এ ঘটনায় ওই নারী ও তাঁর প্রেমিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আনাস উপজেলার রাজাবাড়ী ইউনিয়নের চিনাশুকানিয়া মধ্যপাড়া (নতুন বাজার) গ্রামের সৌদিপ্রবাসী আল আমিন খান ও লিজা আক্তার দম্পতির দ্বিতীয় ছেলে। সে স্থানীয় একটি কিন্ডারগার্টেনে শিশু শ্রেণিতে পড়ত।
আনাস হত্যায় গ্রেপ্তার প্রতিবেশী নারী শাহিনূর বেগম ওরফে হাসিনা (৩০) চিনাশুকানিয়া (মধ্যপাড়া) গ্রামের নজরুল মোল্লার স্ত্রী। গ্রেপ্তার প্রেমিক মোমেন খাঁ উপজেলার রাজাবাড়ী ইউনিয়নের চিনাশুকানিয়া মধ্যপাড়া (নতুন বাজার) গ্রামের মোতালেব খাঁর ছেলে।

আনাসের বাবা আল আমিন বলেন, ‘আমার ছেলে নিখোঁজ হওয়ার খবর পেয়ে সৌদি আরব থেকে দেশে চলে আসি। খুনি মোমেন খাঁ আমাদের সঙ্গে বিভিন্ন স্থানে আমার ছেলেকে খোঁজাখুঁজি করেছে। সে যে আমার মানিককে খুন করেছে, এটা তো বুঝতে পারিনি। কী বিচার চাইব। কোন বিচার হলে আমার মানিক শান্তি পাবে, আল্লাহ যেন তা-ই করেন।’
গাজীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গোয়েন্দা) আমিনুল ইসলাম জানান, গত শুক্রবার সকালে আনাস তার বাইসাইকেল নিয়ে প্রতিবেশী নজরুল মোল্লার ছেলে আবদুল্লাহর (৫) সঙ্গে খেলতে তার বাড়িতে যায়। কিছুক্ষণ পর আনাসের দাদি তাকে খোঁজার জন্য নজরুল মোল্লার বাড়িতে যান। তখন নজরুল মোল্লার স্ত্রী হাসিনা তাঁকে জানান, আনাস তাঁদের বাড়িতে সাইকেলটি রেখে কোথায় যেন চলে গেছে। শিশু নিখোঁজের ঘটনায় তার দাদা শ্রীপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। আনাসকে উদ্ধারে গাজীপুর জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ ছায়া তদন্ত শুরু করে। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে হাসিনা ও তাঁর স্বামী নজরুল মোল্লাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে হাসিনা স্বীকার করেন, পাশের বাড়ির মোতালেব খাঁর ছেলে মোমেনের সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। ঘটনার দিন শুক্রবার সকালে স্বামী বের হয়ে গেলে প্রেমিককে ঘরে নিয়ে আসেন হাসিনা। আনাস তাঁর বাড়িতে এসে খেলার সাথি আবদুল্লাহকে খুঁজতে খুঁজতে ঘরে ঢুকে পড়ে। সেখানে হাসিনা ও তাঁর প্রেমিক মোমেনকে একসঙ্গে দেখে ফেলে সে। নিজেদের অপকর্ম লুকাতে মোমেন আনাসের গলা টিপে ধরেন এবং কাঁচি দিয়ে তাকে নৃশংসভাবে আঘাত করে হত্যা করেন। পরে সুযোগ বুঝে মোমেন আনাসের লাশ বাড়ির উত্তর পাশের বাঙ্গালপাড়া বিলে ফেলে আসেন। অন্যদিকে হাসিনা আনাসের সাইকেলটি আনাসের বাড়ির কাছে রাস্তায় রেখে আসেন এবং হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত কাঁচিটি ধুয়ে রান্নাঘরের চালে গুঁজে রাখেন। পরে হাসিনার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ গত সোমবার দুপুরে বিল থেকে আনাসের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে।

সুনামগঞ্জে হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণকাজের নির্ধারিত সময়সীমা গতকাল শেষ হয়েছে। তবে কাজ শেষ করতে পারেনি পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। পাউবোর দাবি, জেলায় বাঁধের কাজ গড়ে ৮৮ শতাংশ শেষ হয়েছে। বাকি কাজ শেষ করতে আরও সাত দিন সময় বাড়ানোর কথা জানিয়েছেন তাঁরা। তবে স্থানীয় কৃষক ও হাওর আন্দোলনের...
০১ মার্চ ২০২৫
গভীর রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) পাঁচটি স্থাপনার মূল ফটকে তালা ঝোলানো হয়েছে। তালার ওপর লেখা ছিল ‘লকডাউন, বিএসএল’। তালা লাগানোর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ।
৬ মিনিট আগে
একজন ‘জুলাই যোদ্ধার’ একটি ফেসবুক স্ট্যাটাসের ভিত্তিতে তাঁর বাড়িতে এই অভিযান চালানো হয়েছে। ওই স্ট্যাটাসের বরাত দিয়ে পুলিশ জানিয়েছে, ‘ঢাকা লকডাউন’ কর্মসূচি সফল করতে নওফেলের বাসায় কার্যক্রম স্থগিত থাকা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা ‘বৈঠক করছেন’ বলে তথ্য পাওয়া যায়।
১২ মিনিট আগে
খুলনা মহানগরীর পাওয়ার হাউস মোড় ও সাচিবুনিয়া বাইপাস সড়কে ঝটিকা মিছিল করেছে নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগ ও কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন যুবলীগ। গতকাল মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) রাতে এই ঝটিকা মিছিল হয়। এ ঘটনায় পুলিশ পাঁচজনকে আটক করেছে।
১৭ মিনিট আগে