রাসেল মাহমুদ, ঢাকা
শরীয়তপুরের জাজিরা এলাকা থেকে ২০২২ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি আজমান আলী (৫০) নামের এক ভারতীয়কে আটক করে পুলিশ। অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রমের দায়ে সেই বছরের ১৪ নভেম্বর আদালত তাঁকে ছয় মাসের সাজা দেন। ২০২৩ সালের মে মাসে সাজা শেষ হওয়ার পর তাঁকে ফিরিয়ে নিতে ভারতকে অনুরোধ জানায় বাংলাদেশ। কিন্তু আজমান আলীকে ফিরিয়ে নেয়নি ভারত। এই অবস্থায় ২০২৩ সালের ৯ অক্টোবর শরীয়তপুর জেলা কারাগারে মারা যান আজমান আলী। এখনো তাঁর লাশ ফেরত নেয়নি ভারত। ১ বছর ৯ মাস ধরে লাশ রয়েছে ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে।
আজমানের মতো আরও কয়েকজন বিদেশি নাগরিকের লাশ নিয়ে বিপাকে পড়েছে কারা কর্তৃপক্ষ। সংশ্লিষ্ট দেশ লাশ ফিরিয়ে নিচ্ছে না, আবার তা দাফন-সৎকারও করা যাচ্ছে না। মর্গে প্রতিদিন বাড়ছে লাশ রাখার খরচ।
কারা অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি বছর কারাগারে ভারত ও পাকিস্তানের ১১ জন নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। এসব লাশও দীর্ঘদিন হাসপাতালের মর্গে ছিল। সংশ্লিষ্ট দেশ লাশ না নেওয়ায় সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সাতটি লাশ আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামকে দেওয়া হয়। তারা এসব লাশ দাফন ও সৎকার করে।
কারা অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজমান আলীর লাশ প্রায় দুই বছর ধরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে রয়েছে। একই হাসপাতালের মর্গে ছোট নির্মল দাস নামের আরেক ভারতীয় নাগরিকের লাশ রয়েছে প্রায় ৫ মাস ধরে। আর রাজন নামের অপর ভারতীয় নাগরিকের লাশ দেড় মাস ধরে রয়েছে শরীয়তপুর জেলা হাসপাতাল মর্গে। বিদেশি নাগরিক হওয়ায় ওই সব দেশের সরকারের অনুমতি ছাড়া তাঁদের লাশ দাফনেরও সুযোগ নেই। তাই হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
হাসপাতাল ও কারা অধিদপ্তরের তথ্যমতে, মর্গে প্রত্যেক লাশ সংরক্ষণের জন্য দিনপ্রতি খরচ ১ হাজার ২০০ টাকা। সেই হিসাবে ওই তিন ভারতীয়র লাশ সংরক্ষণের জন্য এখন পর্যন্ত প্রায় ১০ লাখ টাকা বিল হয়েছে। লাশ নেওয়ার আগপর্যন্ত এই ব্যয় আরও বাড়বে। মর্গ থেকে লাশ বের করে পাঠানোর পর ব্যয়ের বিল দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
কারা অধিদপ্তরের সহকারী কারা মহাপরিদর্শক (উন্নয়ন) মো. জান্নাত-উল ফরহাদ আজকের পত্রিকা'কে বলেন, সরকার এসব নাগরিককে ফিরিয়ে নিতে অনুরোধ জানালেও সাড়া মেলে না। পরে অনেকে কারাগারে মারা যান। পরে লাশগুলো সংরক্ষণ নিয়ে বিপাকে পড়তে হচ্ছে। কারা কর্তৃপক্ষ আশা করছে, সরকার হয়তো এ বিষয়ে শিগগির সিদ্ধান্ত নেবে।
সাজাপ্রাপ্ত বিদেশি বন্দীদের লাশ পাঠানো কিংবা এগুলোর দাফন ও সৎকারের বিষয়ে জানতে রাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের কারা অধিশাখার যুগ্ম সচিব তৌহিদুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
আরও খবর পড়ুন:
শরীয়তপুরের জাজিরা এলাকা থেকে ২০২২ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি আজমান আলী (৫০) নামের এক ভারতীয়কে আটক করে পুলিশ। অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রমের দায়ে সেই বছরের ১৪ নভেম্বর আদালত তাঁকে ছয় মাসের সাজা দেন। ২০২৩ সালের মে মাসে সাজা শেষ হওয়ার পর তাঁকে ফিরিয়ে নিতে ভারতকে অনুরোধ জানায় বাংলাদেশ। কিন্তু আজমান আলীকে ফিরিয়ে নেয়নি ভারত। এই অবস্থায় ২০২৩ সালের ৯ অক্টোবর শরীয়তপুর জেলা কারাগারে মারা যান আজমান আলী। এখনো তাঁর লাশ ফেরত নেয়নি ভারত। ১ বছর ৯ মাস ধরে লাশ রয়েছে ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে।
আজমানের মতো আরও কয়েকজন বিদেশি নাগরিকের লাশ নিয়ে বিপাকে পড়েছে কারা কর্তৃপক্ষ। সংশ্লিষ্ট দেশ লাশ ফিরিয়ে নিচ্ছে না, আবার তা দাফন-সৎকারও করা যাচ্ছে না। মর্গে প্রতিদিন বাড়ছে লাশ রাখার খরচ।
কারা অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি বছর কারাগারে ভারত ও পাকিস্তানের ১১ জন নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। এসব লাশও দীর্ঘদিন হাসপাতালের মর্গে ছিল। সংশ্লিষ্ট দেশ লাশ না নেওয়ায় সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সাতটি লাশ আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামকে দেওয়া হয়। তারা এসব লাশ দাফন ও সৎকার করে।
কারা অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজমান আলীর লাশ প্রায় দুই বছর ধরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে রয়েছে। একই হাসপাতালের মর্গে ছোট নির্মল দাস নামের আরেক ভারতীয় নাগরিকের লাশ রয়েছে প্রায় ৫ মাস ধরে। আর রাজন নামের অপর ভারতীয় নাগরিকের লাশ দেড় মাস ধরে রয়েছে শরীয়তপুর জেলা হাসপাতাল মর্গে। বিদেশি নাগরিক হওয়ায় ওই সব দেশের সরকারের অনুমতি ছাড়া তাঁদের লাশ দাফনেরও সুযোগ নেই। তাই হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
হাসপাতাল ও কারা অধিদপ্তরের তথ্যমতে, মর্গে প্রত্যেক লাশ সংরক্ষণের জন্য দিনপ্রতি খরচ ১ হাজার ২০০ টাকা। সেই হিসাবে ওই তিন ভারতীয়র লাশ সংরক্ষণের জন্য এখন পর্যন্ত প্রায় ১০ লাখ টাকা বিল হয়েছে। লাশ নেওয়ার আগপর্যন্ত এই ব্যয় আরও বাড়বে। মর্গ থেকে লাশ বের করে পাঠানোর পর ব্যয়ের বিল দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
কারা অধিদপ্তরের সহকারী কারা মহাপরিদর্শক (উন্নয়ন) মো. জান্নাত-উল ফরহাদ আজকের পত্রিকা'কে বলেন, সরকার এসব নাগরিককে ফিরিয়ে নিতে অনুরোধ জানালেও সাড়া মেলে না। পরে অনেকে কারাগারে মারা যান। পরে লাশগুলো সংরক্ষণ নিয়ে বিপাকে পড়তে হচ্ছে। কারা কর্তৃপক্ষ আশা করছে, সরকার হয়তো এ বিষয়ে শিগগির সিদ্ধান্ত নেবে।
সাজাপ্রাপ্ত বিদেশি বন্দীদের লাশ পাঠানো কিংবা এগুলোর দাফন ও সৎকারের বিষয়ে জানতে রাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের কারা অধিশাখার যুগ্ম সচিব তৌহিদুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
আরও খবর পড়ুন:
পানছড়িতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হয়রানি ও নির্যাতনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ছাত্র-জনতার সংগ্রাম পরিষদ। আজ সোমবার সকালে এ বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
১২ মিনিট আগেগাজীপুরের টঙ্গীতে একটি রাসায়নিক পদার্থের (কেমিক্যাল) গুদাম আগুন লেগে পুড়ে গেছে। আজ সোমবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে টঙ্গীর সাহারা মার্কেট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে টঙ্গী ফায়ার সার্ভিসের তিনটি, উত্তরা ফায়ার সার্ভিসের দুটি, কুর্মিটোলা ফায়ার সার্ভিসের আরও দুটিসহ মোট সাতটি ইউনিটের প্রচেষ্টায় আগুন...
৩৪ মিনিট আগেবরিশালের মুলাদীতে বাস থেকে মাথা বের করে বমি করার সময় বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে ধাক্কা লেগে রিনা বেগম (৪০) নামের এক নারী নিহত হয়েছেন। আজ সোমবার দুপুরে মুলাদী বন্দরের খাদ্যগুদাম সড়ক এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
৪০ মিনিট আগেপ্রশাসনের অনুমতি নেই—অভিযোগ তুলে কিশোরগঞ্জে হেযবুত তাওহীদের আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠক বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ। আজ সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে শহরের একটি রেস্তোরাঁয় সংগঠনটির বৈঠক শুরু হলে কিছুক্ষণ পর পুলিশ গিয়ে অনুষ্ঠান বন্ধের নির্দেশনা দেয়।
১ ঘণ্টা আগে