সাতক্ষীরায় চিংড়ি উৎপাদন
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
সাতক্ষীরায় বাগদা চিংড়ির ঘেরে মড়ক লেগেছে। এতে দিশেহারা চাষিরা। বছরের শুরুতে মড়ক লাগায় লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মাছ মরার অভিযোগ উঠলেও মৎস্য বিভাগের দাবি, ঘেরে পানি কমে যাওয়ায় দাবদাহে মরে যাচ্ছে মাছ।
সদর উপজেলার এল্লারচর এলাকার ঘেরচাষি আহমেদ করিম বলেন, ‘মাস দেড়েক আগে ঘেরে বাগদা পোনা ছেড়েছিলাম। মাছ যতটুকু বড় হয়েছে, তাতে কেজিতে ৬০টি হবে। সাম্প্রতিক সময়ে মাছ মরা শুরু হয়েছে। সমিতি থেকে দেড় লাখ টাকা ঋণ নিয়ে মাছ চাষ করেছিলাম। সেই টাকা শোধ করার আমার কোনো উপায় নেই।’
বিনেরপোতা এলাকার ঘেরচাষি তারেক আহমেদ বলেন, ‘আমি ১৫ বিঘা জমিতে ১ লাখ পোনা ছেড়েছিলাম। এখন জাল টানলেই মরা বাগদা ওঠে। এ ছাড়া মরা মাছে পানি দূষিত হয়ে গেছে। সব মিলিয়ে আমরা ঘেরচাষিরা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে গেছি।’
জেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, সাতক্ষীরায় ৫৫ হাজার ঘের রয়েছে।
আয়তনে ৬৭ হাজার হেক্টর জমিতে বাগদা চাষ হয়। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩০ হাজার টন। তবে সরেজমিনে জানা যায়, এক-তৃতীয়াংশ ঘেরে মড়ক লেগেছে। তাই এবার লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
সাদা সোনাখ্যাত বাগদা জেলার প্রধান অর্থকরী পণ্য। অন্যান্য বছরের মতো এবারও চাষিরা ভালো ফলনের আশায় ঘেরে ছেড়েছেন বাগদার পোনা। তবে এবারও বিধি বাম। গত বছরের মতো এবারও পোনা ছাড়ার পরে একটু বড় হতে না হতেই মারা যাচ্ছে বাগদা। সপ্তাহ দুয়েক চলছে এই অবস্থা। প্রথম চালান পোনা ছাড়ার পরে মাছ ধরার মুহূর্তে মড়কে উজাড় হয়ে গেছে অধিকাংশ ঘের। এতে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত চাষিরা।
অনেকে বলছেন, কক্সবাজার থেকে আসা পোনা ভাইরাসমুক্ত ও পুষ্ট না থাকার কারণে মারা যাচ্ছে মাছ।
কালীগঞ্জ উপজেলার শ্রীকলা গ্রামের মৎস্যচাষি মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘ওষুধে কাজ না হওয়ায় ঘের শুকিয়ে মাছ চাষের উপযোগী করছি। কিন্তু আগে জমির হারি, মাছ ছাড়া ও খাদ্যের সব খরচ তো হয়ে গেছে। এই পুঁজি ফেরত আনার সুযোগ নেই।’
মৎস্য বিভাগের পরামর্শ না পাওয়ার অভিযোগ করছেন অনেক চাষি। তাঁদের দাবি, মৎস্য কর্মকর্তারা যেন সরেজমিনে দেখে চাষিদের পরামর্শ দেন।
মাছ মারা যাওয়ার অন্যতম কারণ হিসেবে পুষ্ট পোনার অভাবকে দায়ী করছেন মৎস্য বিশেষজ্ঞরা। এদিকে মানসম্মত পোনা স্ক্যান করার জন্য দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে কেনা একটি ল্যাবও রয়েছে এল্লারচর মৎস্য প্রজনন কেন্দ্রে। কিন্তু সেখানে পোনার ভাইরাস স্ক্যান করার সুযোগ পান না অধিকাংশ চাষি। এ নিয়ে ক্ষোভ চাষিদের।
সদর উপজেলার এল্লারচর এলাকার চাষি মিনহাজুল আবেদীন বলেন, ‘কক্সবাজারে যারা পোনা উৎপাদন করে, তাদের সমস্যা আছে। পুষ্ট পোনা তারা উৎপাদন করতে পারে না। তাই তো আমরা ২০১৯ থেকে এই ২০২৫ সাল পর্যন্ত ঘেরে মার খাচ্ছি। আমরা দেউলিয়া হয়ে যাচ্ছি। আমাদের ব্যবসা সব শেষ।’ প্রযুক্তির এই যুগে পোনার ভাইরাস স্ক্যান করার সুযোগ না পাওয়া এবং মৎস্য কর্মকর্তাদের সরেজমিনে এসে পরামর্শ না দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন মিনহাজ।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা জি এম সেলিম বলেন, ‘বাগদা মারা যাওয়ার কিছু অভিযোগ আসছে। আমরা পরিষ্কার বার্তা দিচ্ছি, নিম্নমানের পোনা ঘেরে ছাড়া যাবে না। এ ছাড়া আধানিবিড় পদ্ধতিতে মাছ চাষ করতে হবে। অবকাঠামোগত বিষয়টিও দেখতে হবে, যাতে পানি পরিমাণমতো থাকে। প্রয়োজনীয় খাদ্য ও পরিচর্যা করতে হবে। তাহলে মাছ মরবে না।’
সাতক্ষীরায় বাগদা চিংড়ির ঘেরে মড়ক লেগেছে। এতে দিশেহারা চাষিরা। বছরের শুরুতে মড়ক লাগায় লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মাছ মরার অভিযোগ উঠলেও মৎস্য বিভাগের দাবি, ঘেরে পানি কমে যাওয়ায় দাবদাহে মরে যাচ্ছে মাছ।
সদর উপজেলার এল্লারচর এলাকার ঘেরচাষি আহমেদ করিম বলেন, ‘মাস দেড়েক আগে ঘেরে বাগদা পোনা ছেড়েছিলাম। মাছ যতটুকু বড় হয়েছে, তাতে কেজিতে ৬০টি হবে। সাম্প্রতিক সময়ে মাছ মরা শুরু হয়েছে। সমিতি থেকে দেড় লাখ টাকা ঋণ নিয়ে মাছ চাষ করেছিলাম। সেই টাকা শোধ করার আমার কোনো উপায় নেই।’
বিনেরপোতা এলাকার ঘেরচাষি তারেক আহমেদ বলেন, ‘আমি ১৫ বিঘা জমিতে ১ লাখ পোনা ছেড়েছিলাম। এখন জাল টানলেই মরা বাগদা ওঠে। এ ছাড়া মরা মাছে পানি দূষিত হয়ে গেছে। সব মিলিয়ে আমরা ঘেরচাষিরা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে গেছি।’
জেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, সাতক্ষীরায় ৫৫ হাজার ঘের রয়েছে।
আয়তনে ৬৭ হাজার হেক্টর জমিতে বাগদা চাষ হয়। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩০ হাজার টন। তবে সরেজমিনে জানা যায়, এক-তৃতীয়াংশ ঘেরে মড়ক লেগেছে। তাই এবার লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
সাদা সোনাখ্যাত বাগদা জেলার প্রধান অর্থকরী পণ্য। অন্যান্য বছরের মতো এবারও চাষিরা ভালো ফলনের আশায় ঘেরে ছেড়েছেন বাগদার পোনা। তবে এবারও বিধি বাম। গত বছরের মতো এবারও পোনা ছাড়ার পরে একটু বড় হতে না হতেই মারা যাচ্ছে বাগদা। সপ্তাহ দুয়েক চলছে এই অবস্থা। প্রথম চালান পোনা ছাড়ার পরে মাছ ধরার মুহূর্তে মড়কে উজাড় হয়ে গেছে অধিকাংশ ঘের। এতে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত চাষিরা।
অনেকে বলছেন, কক্সবাজার থেকে আসা পোনা ভাইরাসমুক্ত ও পুষ্ট না থাকার কারণে মারা যাচ্ছে মাছ।
কালীগঞ্জ উপজেলার শ্রীকলা গ্রামের মৎস্যচাষি মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘ওষুধে কাজ না হওয়ায় ঘের শুকিয়ে মাছ চাষের উপযোগী করছি। কিন্তু আগে জমির হারি, মাছ ছাড়া ও খাদ্যের সব খরচ তো হয়ে গেছে। এই পুঁজি ফেরত আনার সুযোগ নেই।’
মৎস্য বিভাগের পরামর্শ না পাওয়ার অভিযোগ করছেন অনেক চাষি। তাঁদের দাবি, মৎস্য কর্মকর্তারা যেন সরেজমিনে দেখে চাষিদের পরামর্শ দেন।
মাছ মারা যাওয়ার অন্যতম কারণ হিসেবে পুষ্ট পোনার অভাবকে দায়ী করছেন মৎস্য বিশেষজ্ঞরা। এদিকে মানসম্মত পোনা স্ক্যান করার জন্য দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে কেনা একটি ল্যাবও রয়েছে এল্লারচর মৎস্য প্রজনন কেন্দ্রে। কিন্তু সেখানে পোনার ভাইরাস স্ক্যান করার সুযোগ পান না অধিকাংশ চাষি। এ নিয়ে ক্ষোভ চাষিদের।
সদর উপজেলার এল্লারচর এলাকার চাষি মিনহাজুল আবেদীন বলেন, ‘কক্সবাজারে যারা পোনা উৎপাদন করে, তাদের সমস্যা আছে। পুষ্ট পোনা তারা উৎপাদন করতে পারে না। তাই তো আমরা ২০১৯ থেকে এই ২০২৫ সাল পর্যন্ত ঘেরে মার খাচ্ছি। আমরা দেউলিয়া হয়ে যাচ্ছি। আমাদের ব্যবসা সব শেষ।’ প্রযুক্তির এই যুগে পোনার ভাইরাস স্ক্যান করার সুযোগ না পাওয়া এবং মৎস্য কর্মকর্তাদের সরেজমিনে এসে পরামর্শ না দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন মিনহাজ।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা জি এম সেলিম বলেন, ‘বাগদা মারা যাওয়ার কিছু অভিযোগ আসছে। আমরা পরিষ্কার বার্তা দিচ্ছি, নিম্নমানের পোনা ঘেরে ছাড়া যাবে না। এ ছাড়া আধানিবিড় পদ্ধতিতে মাছ চাষ করতে হবে। অবকাঠামোগত বিষয়টিও দেখতে হবে, যাতে পানি পরিমাণমতো থাকে। প্রয়োজনীয় খাদ্য ও পরিচর্যা করতে হবে। তাহলে মাছ মরবে না।’
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে গতকাল সোমবার প্রার্থীদের প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। এতে কেন্দ্রীয় সংসদে দুজন সহসভাপতি (ভিপি), একজন সাধারণ সম্পাদক (জিএস) প্রার্থীসহ বাদ পড়েছেন ১৯ প্রার্থী। অন্যদিকে হল সংসদ নির্বাচনে কোনো
৩ ঘণ্টা আগেবেতন-ভাতা বাড়ানোর দাবিতে পশ্চিমাঞ্চলের চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী ও নাটোর থেকে ঢাকা, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার রুটে চলাচলকারী বেশ কিছু পরিবহনশ্রমিকেরা অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি শুরু করেছেন। ফলে রাজশাহী, নাটোর ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে বেশির ভাগ পরিবহনের দূরপাল্লার বাস চলছে না।
৩ ঘণ্টা আগেদিনের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে নৌকার পর নৌকা ভিড়ছে চলনবিল অধ্যুষিত সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার মাকড়শনে। এটি শামুকের আড়ত। সকাল থেকে এখানে শুরু হয় জমজমাট ক্রয়-বিক্রয়।
৩ ঘণ্টা আগেদেশে মাদক আসা রোধ করতে স্থলপথে নজরদারি কড়াকড়ি করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এতে স্থলসীমান্ত দিয়ে খুব বেশি সুবিধা করতে না পারায় সাগরপথেই মাদকের চালান আনছে চোরাকারবারিরা। সীমান্ত রক্ষার দায়িত্বে থাকা বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মনে করছে, দেশে এখন মিয়ানমার থেকে যে মাদক আসছে, তার ৮০ শতাংশ সাগরপথ
৩ ঘণ্টা আগে