পলাশবাড়ী (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি
কয়েক দিনের বৃষ্টিতে গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে দুই নদীর পানি উপচে তীরবর্তী এলাকার ফসলি খেত তলিয়ে গেছে। এর মধ্যেই কৃষকেরা ডুব দিয়ে তলিয়ে যাওয়া ধান কাটছেন। তবে যে পরিমাণ ধান তুলতে পারছেন, তা তলিয়ে থাকা ধানের তুলনায় খুবই নগণ্য।
আজ শুক্রবার বিকেলে উপজেলার কিশোরগাড়ি ইউনিয়নের সুলতানপুর ঘাট এলাকায় এই দৃশ্য চোখে পড়ে। টানা বৃষ্টিতে ইউনিয়নের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া করতোয়া ও আখিরা নদীর পানি বেড়ে তীরবর্তী খেত তলিয়ে যাওয়ায় কৃষকদের এখন মাথায় হাত।
সরেজমিন দেখা যায়, সুলতানপুর গ্রামের ইউনুস আলী (৬০) ডুব দিয়ে বেশ কয়েক বস্তা ধান পানির নিচ থেকে কেটে পাড়ে তুলেছেন। তিনি বলেন, ছয় বিঘা জমিতে ধান এবং তিন বিঘা জমিতে ভুট্টা রোপণ করেছিলেন। ধান-ভুট্টা পেকে কাটাও উপর্যুক্ত হয়েছে। কিন্তু হঠাৎই সব তলিয়ে গেছে। সে জন্য সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত তিনি তলিয়ে যাওয়া ফসল কাটার কাজ করছেন।
একটু সামনে এগোতেই চোখে পড়ে একই গ্রামের সাজু মিয়া (২৭) নামের এক যুবক ধান কেটে নৌকায় করে আনছেন। জানতে চাইলে তিনি বলেন, তাঁর পাঁচ বিঘা জমির পাকা ধান পানিতে তলিয়ে গেছে। অনেক কষ্ট করে মাত্র দেড় বিঘা জমির ধান কাটতে পেরেছেন।
সাজু মিয়া বলেন, ‘আমাদের তো জীবিকার অন্য কোনো পথ নাই। পরিবারের সদস্যদের পেটে তো কিছু দিতে হবে। তাই জীবন বাজি রেখে দম আটকিয়ে পানির নিচ থেকে ধান কেটে আনতে বাধ্য হচ্ছি।’
কিশোরগাড়ি গ্রামের ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘চার-পাঁচ দিনের মধ্যেই চোখের সামনে সব তলিয়ে গেল। এলাকাবাসীর শত শত বিঘা জমির ধান-ভুট্টা এখন পানির নিচে। এখন আমরা সম্পূর্ণভাবে অসহায় হয়ে পড়েছি।’
এ ব্যাপারে কিশোরগাড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবু বক্কর সিদ্দিক আজকের পত্রিকাকে জানান, আকস্মিক বন্যায় অতীতের ধারাবাহিকতায় এবারও এলাকার ১৬টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে ২০ থেকে ২২ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
এ অবস্থা থেকে উত্তরণ পেতে করণীয় জানতে চাইলে চেয়ারম্যান বলেন, ভবিষ্যতে এ ধরনের ক্ষতি এড়াতে করতোয়া ও আখিরা নদী নিয়মিত খনন করতে হবে। এতে পানির ধারণক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। পাশাপাশি প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমের আগেই বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধগুলো সংস্কার করতে হবে।
পলাশবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কামরুল হাসান জানান, সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান-মেম্বারদের মাধ্যমে ভাঙন এলাকার খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
পাশাপাশি কৃষি বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারাও সরেজমিন পরিদর্শন করছেন। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা তৈরি করে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে তাঁদের সম্ভাব্য সাহায্য-সহযোগিতা করা হবে বলেও জানান তিনি।
কয়েক দিনের বৃষ্টিতে গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে দুই নদীর পানি উপচে তীরবর্তী এলাকার ফসলি খেত তলিয়ে গেছে। এর মধ্যেই কৃষকেরা ডুব দিয়ে তলিয়ে যাওয়া ধান কাটছেন। তবে যে পরিমাণ ধান তুলতে পারছেন, তা তলিয়ে থাকা ধানের তুলনায় খুবই নগণ্য।
আজ শুক্রবার বিকেলে উপজেলার কিশোরগাড়ি ইউনিয়নের সুলতানপুর ঘাট এলাকায় এই দৃশ্য চোখে পড়ে। টানা বৃষ্টিতে ইউনিয়নের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া করতোয়া ও আখিরা নদীর পানি বেড়ে তীরবর্তী খেত তলিয়ে যাওয়ায় কৃষকদের এখন মাথায় হাত।
সরেজমিন দেখা যায়, সুলতানপুর গ্রামের ইউনুস আলী (৬০) ডুব দিয়ে বেশ কয়েক বস্তা ধান পানির নিচ থেকে কেটে পাড়ে তুলেছেন। তিনি বলেন, ছয় বিঘা জমিতে ধান এবং তিন বিঘা জমিতে ভুট্টা রোপণ করেছিলেন। ধান-ভুট্টা পেকে কাটাও উপর্যুক্ত হয়েছে। কিন্তু হঠাৎই সব তলিয়ে গেছে। সে জন্য সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত তিনি তলিয়ে যাওয়া ফসল কাটার কাজ করছেন।
একটু সামনে এগোতেই চোখে পড়ে একই গ্রামের সাজু মিয়া (২৭) নামের এক যুবক ধান কেটে নৌকায় করে আনছেন। জানতে চাইলে তিনি বলেন, তাঁর পাঁচ বিঘা জমির পাকা ধান পানিতে তলিয়ে গেছে। অনেক কষ্ট করে মাত্র দেড় বিঘা জমির ধান কাটতে পেরেছেন।
সাজু মিয়া বলেন, ‘আমাদের তো জীবিকার অন্য কোনো পথ নাই। পরিবারের সদস্যদের পেটে তো কিছু দিতে হবে। তাই জীবন বাজি রেখে দম আটকিয়ে পানির নিচ থেকে ধান কেটে আনতে বাধ্য হচ্ছি।’
কিশোরগাড়ি গ্রামের ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘চার-পাঁচ দিনের মধ্যেই চোখের সামনে সব তলিয়ে গেল। এলাকাবাসীর শত শত বিঘা জমির ধান-ভুট্টা এখন পানির নিচে। এখন আমরা সম্পূর্ণভাবে অসহায় হয়ে পড়েছি।’
এ ব্যাপারে কিশোরগাড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবু বক্কর সিদ্দিক আজকের পত্রিকাকে জানান, আকস্মিক বন্যায় অতীতের ধারাবাহিকতায় এবারও এলাকার ১৬টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে ২০ থেকে ২২ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
এ অবস্থা থেকে উত্তরণ পেতে করণীয় জানতে চাইলে চেয়ারম্যান বলেন, ভবিষ্যতে এ ধরনের ক্ষতি এড়াতে করতোয়া ও আখিরা নদী নিয়মিত খনন করতে হবে। এতে পানির ধারণক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। পাশাপাশি প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমের আগেই বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধগুলো সংস্কার করতে হবে।
পলাশবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কামরুল হাসান জানান, সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান-মেম্বারদের মাধ্যমে ভাঙন এলাকার খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
পাশাপাশি কৃষি বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারাও সরেজমিন পরিদর্শন করছেন। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা তৈরি করে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে তাঁদের সম্ভাব্য সাহায্য-সহযোগিতা করা হবে বলেও জানান তিনি।
তিনি টেকের বাজারে কাগজপত্র ফটোকপি করতে গেলে স্থানীয় বিএনপির কর্মী গিয়াস উদ্দিন দেওয়ান, তাঁর ছেলে রিয়াজুল ইসলাম জিসান এবং সহযোগী আজমাইন চৌধুরীসহ আরও তিন-চারজন মিলে তাঁর পথরোধ করে। একপর্যায়ে গিয়াস উদ্দিন বাঁশের লাঠি দিয়ে তাঁর মাথায় আঘাত করেন এবং অন্যরা এলোপাতাড়ি মারধর করেন। এতে তিনি গুরুতর আহত হন।
৪১ মিনিট আগেনারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে চাঁদা চেয়ে না পেয়ে বন্দুক দিয়ে গুলি করে হত্যার হুমকির অভিযোগে অস্ত্রধারী এক বিএনপি নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার রাতে তাঁকে উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়নের আমগাঁও এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম শাহজাহান ভূঁইয়া।
১ ঘণ্টা আগে২২ জুন রাতে বিস্ফোরণের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত সাচড়া ইউনিয়নের দেউলা শিবপুর গ্রামের দুটি পরিবারের জন্য হাফিজ ইব্রাহিমের পক্ষ থেকে ২৩ জুন (সোমবার) সকালে এক লাখ টাকার আর্থিক সহায়তা প্রদান করে উপজেলা বিএনপি। মিছির কাজীর ছেলে মোজাম্মেলকে ৭০ হাজার ও আজাহার চৌকিদারকে ৩০ হাজার টাকা দেওয়া হয়।
১ ঘণ্টা আগেসাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ কে এম নূরুল হুদার সঙ্গে তাঁর আটকের আগে যেভাবে আচরণ করা হয়েছে, তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয় বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
১ ঘণ্টা আগে