ভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
স্ত্রী স্বীকৃতির দাবিতে কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান নিয়েছেন এক স্কুলশিক্ষিকা। স্ত্রী স্বীকৃতি না পেলে আত্মহত্যা করবেন বলে হুমকি দিয়েছেন ওই নারী।
গত শনিবার থেকে আজ সোমবার পর্যন্ত উপজেলার তিলাই ইউনিয়নের দক্ষিণ ছাট গোপালপুর গ্রামের প্রেমিক আতিকুল ইসলামের বাড়িতে অবস্থান নেন ওই নারী। তিনি ওই এলাকার এক ব্যবসায়ীর স্ত্রী এবং একটি কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষক। তাঁর দুই সন্তান রয়েছে।
জানা গেছে, দুই সন্তানের জননী ওই নারী এলাকার একটি কিন্ডারগার্টেনে শিক্ষকতা করতেন। পাগলারহাট বাজার এলাকার জহির উদ্দিনের ছেলে আতিকুল ইসলাম ওই কিন্ডারগার্টেনে তাঁর ভাতিজাকে আনা-নেওয়া করতেন। সেই সুবাদে ওই শিক্ষিকার সঙ্গে আতিকুলের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তাঁরা উভয়ই ১৮ জুন আত্মীয়ের বাড়ি বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে ঢাকায় যান। সেখানে গিয়ে স্কুলশিক্ষিকা তাঁর আগের স্বামীকে তালাক দিয়ে আতিকুলকে বিয়ে করেন। আগের স্বামীর সঙ্গে তাঁর সংসারজীবন প্রায় ১০ বছরের। সেখানে তাঁর দুটি সন্তানও রয়েছে।
এ ঘটনায় আইনি ঝামেলা হতে পারে এমন আশঙ্কায় তাঁদের ঢাকা থেকে বাড়ি ফিরিয়ে আনেন আতিকুলের স্বজনেরা। ২১ জুন (মঙ্গলবার) বাড়ি আসার পথে ভূরুঙ্গামারীর আন্ধারীঝাড় নামক স্থানে পৌঁছালে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী তাঁদের দুজনকে বাস থেকে নামিয়ে দেন আতিকুলের স্বজনেরা। এরপর কৌশলে আতিকুলকে আবার ঢাকায় পাঠান তাঁরা।
অপরদিকে স্কুল শিক্ষিকার কাছ থেকে বিভিন্ন কাগজপত্র ও মোবাইল ফোন নিয়ে নেওয়া হয় এবং দ্রুত সমস্যার সমাধান করার আশ্বাসে তাঁকে তিলাই ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতিতে তাঁর বাড়িতে রাখা হয়।
এ নিয়ে ওই স্কুলশিক্ষিকা বলেন, ‘আগের স্বামীকে তালাক দিয়ে আতিকুলকে বিয়ে করেছি। সংসার করলে আতিকুলের সংসার করব। আতিকুলের স্ত্রী স্বীকৃতি না পেলে আত্মহত্যা করব।’
আতিকুলের পিতা জহির উদ্দিন বলেন, ‘আমার ছেলেকে ফাঁসানো হয়েছে এবং জোর করে বিয়ে করার জন্য মেয়েটি বাড়িতে এসে উঠেছে।’ এ সময় আতিকুল গা-ঢাকা দেওয়ায় এ বিষয়ে কিছু জানা যায়নি।
অপরদিকে একটি স্বার্থান্বেষী মহল আতিকুলের অভিভাবকের পক্ষ নিয়ে স্কুলশিক্ষিকার আগের স্বামীর সঙ্গে পুনরায় সংসার করতে বাধ্য করার পাঁয়তারা চালিয়ে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে স্কুলশিক্ষিকার আগের স্বামী বলেন, ‘আমি কোনো তালাকনামা পাইনি। এ ছাড়া কেউ তালাকের কাগজপত্রও দেখাতে পারেনি। তবে অনেকেই সংসার টিকিয়ে রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন।’
এ নিয়ে তিলাই ইউপি চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান কামরুল বলেন, ‘তদন্তে ঘটনার সত্যতা মিলেছে। উভয় পক্ষের উপস্থিতিতে বিষয়টির ফয়সালা করতে চেয়েছি। কিন্তু ছেলে পক্ষের গড়িমসির কারণে স্ত্রী স্বীকৃতির দাবি নিয়ে ওই শিক্ষিকা ২৫ জুন শনিবার থেকে আতিকুলের বাড়িতে অবস্থান করছেন।’
ভূরুঙ্গামারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন বলেন, ‘ঘটনাটি শুনেছি। দুই পরিবারের কেউই অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
স্ত্রী স্বীকৃতির দাবিতে কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান নিয়েছেন এক স্কুলশিক্ষিকা। স্ত্রী স্বীকৃতি না পেলে আত্মহত্যা করবেন বলে হুমকি দিয়েছেন ওই নারী।
গত শনিবার থেকে আজ সোমবার পর্যন্ত উপজেলার তিলাই ইউনিয়নের দক্ষিণ ছাট গোপালপুর গ্রামের প্রেমিক আতিকুল ইসলামের বাড়িতে অবস্থান নেন ওই নারী। তিনি ওই এলাকার এক ব্যবসায়ীর স্ত্রী এবং একটি কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষক। তাঁর দুই সন্তান রয়েছে।
জানা গেছে, দুই সন্তানের জননী ওই নারী এলাকার একটি কিন্ডারগার্টেনে শিক্ষকতা করতেন। পাগলারহাট বাজার এলাকার জহির উদ্দিনের ছেলে আতিকুল ইসলাম ওই কিন্ডারগার্টেনে তাঁর ভাতিজাকে আনা-নেওয়া করতেন। সেই সুবাদে ওই শিক্ষিকার সঙ্গে আতিকুলের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তাঁরা উভয়ই ১৮ জুন আত্মীয়ের বাড়ি বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে ঢাকায় যান। সেখানে গিয়ে স্কুলশিক্ষিকা তাঁর আগের স্বামীকে তালাক দিয়ে আতিকুলকে বিয়ে করেন। আগের স্বামীর সঙ্গে তাঁর সংসারজীবন প্রায় ১০ বছরের। সেখানে তাঁর দুটি সন্তানও রয়েছে।
এ ঘটনায় আইনি ঝামেলা হতে পারে এমন আশঙ্কায় তাঁদের ঢাকা থেকে বাড়ি ফিরিয়ে আনেন আতিকুলের স্বজনেরা। ২১ জুন (মঙ্গলবার) বাড়ি আসার পথে ভূরুঙ্গামারীর আন্ধারীঝাড় নামক স্থানে পৌঁছালে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী তাঁদের দুজনকে বাস থেকে নামিয়ে দেন আতিকুলের স্বজনেরা। এরপর কৌশলে আতিকুলকে আবার ঢাকায় পাঠান তাঁরা।
অপরদিকে স্কুল শিক্ষিকার কাছ থেকে বিভিন্ন কাগজপত্র ও মোবাইল ফোন নিয়ে নেওয়া হয় এবং দ্রুত সমস্যার সমাধান করার আশ্বাসে তাঁকে তিলাই ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতিতে তাঁর বাড়িতে রাখা হয়।
এ নিয়ে ওই স্কুলশিক্ষিকা বলেন, ‘আগের স্বামীকে তালাক দিয়ে আতিকুলকে বিয়ে করেছি। সংসার করলে আতিকুলের সংসার করব। আতিকুলের স্ত্রী স্বীকৃতি না পেলে আত্মহত্যা করব।’
আতিকুলের পিতা জহির উদ্দিন বলেন, ‘আমার ছেলেকে ফাঁসানো হয়েছে এবং জোর করে বিয়ে করার জন্য মেয়েটি বাড়িতে এসে উঠেছে।’ এ সময় আতিকুল গা-ঢাকা দেওয়ায় এ বিষয়ে কিছু জানা যায়নি।
অপরদিকে একটি স্বার্থান্বেষী মহল আতিকুলের অভিভাবকের পক্ষ নিয়ে স্কুলশিক্ষিকার আগের স্বামীর সঙ্গে পুনরায় সংসার করতে বাধ্য করার পাঁয়তারা চালিয়ে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে স্কুলশিক্ষিকার আগের স্বামী বলেন, ‘আমি কোনো তালাকনামা পাইনি। এ ছাড়া কেউ তালাকের কাগজপত্রও দেখাতে পারেনি। তবে অনেকেই সংসার টিকিয়ে রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন।’
এ নিয়ে তিলাই ইউপি চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান কামরুল বলেন, ‘তদন্তে ঘটনার সত্যতা মিলেছে। উভয় পক্ষের উপস্থিতিতে বিষয়টির ফয়সালা করতে চেয়েছি। কিন্তু ছেলে পক্ষের গড়িমসির কারণে স্ত্রী স্বীকৃতির দাবি নিয়ে ওই শিক্ষিকা ২৫ জুন শনিবার থেকে আতিকুলের বাড়িতে অবস্থান করছেন।’
ভূরুঙ্গামারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন বলেন, ‘ঘটনাটি শুনেছি। দুই পরিবারের কেউই অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
গত ২৮ জুলাই নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষক নিয়োগের লিখিত, মৌখিক ও প্রেজেন্টেশন পরীক্ষায় তারা উত্তীর্ণ হন। পরে নিয়ম অনুযায়ী ডোপ টেস্টে অংশ নিলে দুজনের শরীরে গাঁজা জাতীয় মাদকের উপস্থিতি মেলে।
২ মিনিট আগেমুফিজুল হক সিকদার দীর্ঘদিন ধরে শারীরিক নানা জটিলতায় ভুগছিলেন। শুক্রবার (৮ আগস্ট) আসরের নামাজের পর রাউজান উপজেলার নোয়াজিশপুর ইউনিয়নের ফতেহনগর গ্রামের ফতেহ মোহাম্মদ সিকদার বাড়ি জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
৭ মিনিট আগেসুনামগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় ২ শিক্ষার্থীসহ ৩ জনের প্রাণ কেড়ে নেওয়া ঘাতক বাসচালককে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার লামাকাজি এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত জাকির আলম (৩৫) সিলেটের বিশ্বনাথের...
১ ঘণ্টা আগেমাদারীপুর সদর, রাজৈর, কালকিনি, শিবচর ও ডাসার উপজেলায় কাগজে-কলমে ১৭টি নদনদী থাকলেও বর্তমানে দৃশ্যমান ১০টি। এর মধ্যে পদ্মা, পালরদী, আড়িয়াল খাঁ, ময়নাকাটা, বিষারকান্দি ও কুমার নদ উল্লেখযোগ্য। এসব নদনদী ঘিরে জেলার ৫ উপজেলায় ৩৪টি স্লুইস গেট নির্মাণ করা হয়েছিল। এর মধ্যে ২৯টি পুরোপুরি অকেজো, আর বাকি ৫টিও
১ ঘণ্টা আগে