Ajker Patrika

রাতেই রংপুরে পৌঁছেছেন ঠাকুরগাঁও স্বেচ্ছাসেবক দলের কয়েক হাজার নেতা-কর্মী 

আল মামুন জীবন ও শিপুল ইসলাম, রংপুর থেকে
আপডেট : ২৮ অক্টোবর ২০২২, ১১: ২৭
রাতেই রংপুরে পৌঁছেছেন ঠাকুরগাঁও স্বেচ্ছাসেবক দলের কয়েক হাজার নেতা-কর্মী 

বিএনপির ডাকা বিভাগীয় সমাবেশ সফল করতে ঠাকুরগাঁও থেকে স্বেচ্ছাসেবক দলের ২০ হাজার নেতা-কর্মী রংপুরে আসবেন বলে জানিয়েছেন ঠাকুরগাঁও জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি সরকার মো. নুরুজ্জামান নুর। তিনি জানান, এরই মধ্যে ৫ হাজার নেতা-কর্মী রংপুরে এসে উপস্থিত হয়েছেন। বাকি ১৫ হাজার নেতা-কর্মী সমাবেশস্থলের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেছেন।

বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১১টায় সমাবেশস্থল কালেক্টরেট মাঠে নেতা-কর্মীদের নিয়ে অবস্থান নেন নুর। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, পরিবহন ধর্মঘট ঘোষণার পর ঠাকুরগাঁওয়ের পাঁচ উপজেলা থেকে মাইক্রোবাস, পিকআপ ও মোটরসাইকেলে বৃহস্পতিবার রাত ১০টা থেকে ক্রমান্বয়ে রংপুরের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন নেতা-কর্মীরা। এরই মধ্যে প্রায় পাঁচ হাজার নেতা-কর্মী রংপুরে পৌঁছেছেন। রংপুরের বাজার, অলিগলি ও স্থানীয় নেতা-কর্মীদের বাড়িতে তাঁরা অবস্থান করছেন। অনেকে রাতেই সমাবেশস্থলে এসে উপস্থিত হবেন।

সমাবেশের দুই দিন আগেই কালেক্টরেট ঈদগাহ মাঠে আসতে শুরু করেছেন নেতা-কর্মীরা। ছবি: আজকের পত্রিকাস্বেচ্ছাসেবক দলের এই নেতা আরও বলেন, রাস্তায় আসার পথে দিনাজপুরের দশমাইল, সৈয়দপুরের বাস টার্মিনালসহ বেশ কয়েকটি স্থানে পুলিশ গাড়ি থামিয়ে তল্লাশি চালিয়েছে। সমাবেশের উদ্দেশে আসা নেতা-কর্মীদের রংপুরে আসতে বাধা দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

মো. নুরুজ্জামান নুরের সঙ্গে মাঠে স্বেচ্ছাসেবক দলের ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার সাধারণ সম্পাদক মো. কামরুজ্জামান কামু, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. বুলেট, সহসভাপতি রোকন, শাহেন শাহ, যুগ্ম সম্পাদক খালেকুজ্জামানসহ অনেক নেতা-কর্মীর উপস্থিতি লক্ষ করা গেছে।

স্বেচ্ছাসেবক দলের ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার সাধারণ সম্পাদক মো. কামরুজ্জামান কামু অভিযোগ করে বলেন, বিভিন্ন হোটেলে গিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর লোকজন তল্লাশি চালাচ্ছেন। তাই হোটেলে অনেক নেতা-কর্মী উঠতে নিরাপদ মনে করছেন না। নিরাপদ স্থান হিসেবে আজ রাত থেকে সমাবেশের শেষ পর্যন্ত তারা মাঠেই থাকবেন বলে জানান।

সমাবেশের দুদিন আগেই কালেক্টরেট ঈদগাহ মাঠে আসতে শুরু করেছেন নেতা-কর্মীরা। ছবি: আজকের পত্রিকাতবে পুলিশের পক্ষ থেকে বিষয়টি অস্বীকার করে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার (অপরাধ) আবু মারুফ হোসেন বলেন, ‘হোটেলে অবস্থান নেওয়া লোকজনের খোঁজ নেওয়ার বিষয়টি পুলিশের নিয়মিত কাজ। এটি আমরা সংগ্রহ করি এবং হোটেল মালিকগণ আমাদের জানান। আমরা কাউকে হয়রানি করছি না। অভিযোগ করতেই পারে, আমরা তো কাউকে ধরে নিয়ে আসিনি।’

উল্লেখ্য, আগামী শনিবার (২৯ অক্টোবর) বিএনপির চতুর্থ বিভাগীয় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে রংপুর কালেক্টরেট ঈদগাহ মাঠে। দুই দিন আগে থেকেই নেতা-কর্মীরা সমাবেশস্থলে আসা শুরু করেছেন। সভামঞ্চ প্রস্তুতের কাজ ৮০ ভাগ সম্পন্ন হয়েছে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত