রংপুর প্রতিনিধি
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহা. মাহমুদুল হক দাবি করেছেন, তাঁকে গ্রেপ্তারের জন্য পরিকল্পিতভাবে একটি সংঘবদ্ধ চক্র মামলা করেছে। জুলাই আন্দোলনের ঘটনায় করা হত্যা মামলায় জামিনের দুই দিন পর আজ মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
আজ বেলা ২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি হেয়াত মামুদ ভবনের সামনে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। মাহমুদুল হক বলেন, ‘হাজিরহাট থানায় যে মামলা আমার নামে দেওয়া হয়েছে, সেই ব্যক্তি হার্ট অ্যাটাকে মারা গিয়েছিলেন। মামলাটি পরিকল্পিতভাবে শুধু আমাকে গ্রেপ্তারের জন্যই তৈরি করা হয়েছে। সংঘবদ্ধ চক্র আমার বিরুদ্ধে সক্রিয় হয়ে উঠেছে। তারাই এসব মামলা করাচ্ছে।’
সংবাদ সম্মেলনে বেরোবির সহকারী অধ্যাপক কিছু দাবি উত্থাপন করেন। দাবিগুলো হলো, তাঁর নামে থাকা দুটি মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। হাজিরহাট থানার ওসিকে বরখাস্ত করে আইনের আওতায় এনে তদন্ত কমিটি গঠন করতে হবে এবং কারা কারা এই গ্রেপ্তারের সঙ্গে জড়িত, তাঁদের চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। মাহমুদুল হক আরও বলেন, ‘এর আগেও মানিক হত্যা মামলায় আমাকে হয়রানি করা হয়েছিল। সেখানে আমি ছিলাম ১৯ নম্বর আসামি। কেন এসব হয়রানিমূলক মামলা করা হচ্ছে, তা আমি বুঝতে পেরেছি। দীর্ঘদিন আমি অধিকার নিয়ে কথা বলেছি, মানুষের পক্ষে দাঁড়িয়েছি, এসব কারণেই একটি সংঘবদ্ধ চক্র আমার বিরুদ্ধে সক্রিয় হয়ে উঠেছে। তারাই এসব মামলা করাচ্ছে এবং বাদীকে প্রভাবিত করছে। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আমাকে সরাতে, আমার পরিবারকে হেয় করতে এসব মামলা করা হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘পুলিশ সদস্য আমার বাসায় আসে। আমি জিজ্ঞাসা করি আমাকে কি গ্রেপ্তার করবেন? পুলিশ জানায়, হ্যাঁ, আপনার সঙ্গে কথা বলতে হবে। আপনাকে থানায় যেতে হবে, আপনি মামলার ৫৪ নম্বর আসামি। এরপর আমাকে সরাসরি কোতোয়ালি থানায় নেওয়া হয়। আমি অবাক হয়ে যাই, কারণ মামলা ছিল হাজিরহাট থানায়, অথচ আমাকে কোতোয়ালি থানায় নেওয়া হয়। কিছু কাগজপত্র তৈরি করে দ্রুত আমাকে কারাগারে পাঠানো হয়।’
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার বিকেলে মাহমুদুল হককে রংপুর নগরের ধাপ ইঞ্জিনিয়ারপাড়া এলাকার বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে হাজীরহাট থানা-পুলিশ। গত রোববার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মাহমুদুল হকের আইনজীবীরা রংপুর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১-এর (হাজীরহাট আমলি আদালত) বিচারক মো. সোয়েবুর রহমানের আদালতে জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক আজ মঙ্গলবার জামিন শুনানির তারিখ নির্ধারণ করেন। তবে মাহমুদুল হক শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকায় তাঁর আইনজীবীরা পুনরায় জামিন আবেদন করেন এবং কারাগারে থেকেও তাঁর অসুস্থতার বিষয়টি আদালতকে জানানো হয়। এরপর বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ আদালত-১-এর (অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত মহানগর দায়রা জজ) বিচারক মোছা. মার্জিয়া খাতুন জামিন মঞ্জুর করেন। পরে সন্ধ্যা ৬টার দিকে কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে চিকিৎসাসেবা নিয়ে বাসায় ফেরেন।
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহা. মাহমুদুল হক দাবি করেছেন, তাঁকে গ্রেপ্তারের জন্য পরিকল্পিতভাবে একটি সংঘবদ্ধ চক্র মামলা করেছে। জুলাই আন্দোলনের ঘটনায় করা হত্যা মামলায় জামিনের দুই দিন পর আজ মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
আজ বেলা ২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি হেয়াত মামুদ ভবনের সামনে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। মাহমুদুল হক বলেন, ‘হাজিরহাট থানায় যে মামলা আমার নামে দেওয়া হয়েছে, সেই ব্যক্তি হার্ট অ্যাটাকে মারা গিয়েছিলেন। মামলাটি পরিকল্পিতভাবে শুধু আমাকে গ্রেপ্তারের জন্যই তৈরি করা হয়েছে। সংঘবদ্ধ চক্র আমার বিরুদ্ধে সক্রিয় হয়ে উঠেছে। তারাই এসব মামলা করাচ্ছে।’
সংবাদ সম্মেলনে বেরোবির সহকারী অধ্যাপক কিছু দাবি উত্থাপন করেন। দাবিগুলো হলো, তাঁর নামে থাকা দুটি মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। হাজিরহাট থানার ওসিকে বরখাস্ত করে আইনের আওতায় এনে তদন্ত কমিটি গঠন করতে হবে এবং কারা কারা এই গ্রেপ্তারের সঙ্গে জড়িত, তাঁদের চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। মাহমুদুল হক আরও বলেন, ‘এর আগেও মানিক হত্যা মামলায় আমাকে হয়রানি করা হয়েছিল। সেখানে আমি ছিলাম ১৯ নম্বর আসামি। কেন এসব হয়রানিমূলক মামলা করা হচ্ছে, তা আমি বুঝতে পেরেছি। দীর্ঘদিন আমি অধিকার নিয়ে কথা বলেছি, মানুষের পক্ষে দাঁড়িয়েছি, এসব কারণেই একটি সংঘবদ্ধ চক্র আমার বিরুদ্ধে সক্রিয় হয়ে উঠেছে। তারাই এসব মামলা করাচ্ছে এবং বাদীকে প্রভাবিত করছে। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আমাকে সরাতে, আমার পরিবারকে হেয় করতে এসব মামলা করা হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘পুলিশ সদস্য আমার বাসায় আসে। আমি জিজ্ঞাসা করি আমাকে কি গ্রেপ্তার করবেন? পুলিশ জানায়, হ্যাঁ, আপনার সঙ্গে কথা বলতে হবে। আপনাকে থানায় যেতে হবে, আপনি মামলার ৫৪ নম্বর আসামি। এরপর আমাকে সরাসরি কোতোয়ালি থানায় নেওয়া হয়। আমি অবাক হয়ে যাই, কারণ মামলা ছিল হাজিরহাট থানায়, অথচ আমাকে কোতোয়ালি থানায় নেওয়া হয়। কিছু কাগজপত্র তৈরি করে দ্রুত আমাকে কারাগারে পাঠানো হয়।’
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার বিকেলে মাহমুদুল হককে রংপুর নগরের ধাপ ইঞ্জিনিয়ারপাড়া এলাকার বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে হাজীরহাট থানা-পুলিশ। গত রোববার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মাহমুদুল হকের আইনজীবীরা রংপুর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১-এর (হাজীরহাট আমলি আদালত) বিচারক মো. সোয়েবুর রহমানের আদালতে জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক আজ মঙ্গলবার জামিন শুনানির তারিখ নির্ধারণ করেন। তবে মাহমুদুল হক শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকায় তাঁর আইনজীবীরা পুনরায় জামিন আবেদন করেন এবং কারাগারে থেকেও তাঁর অসুস্থতার বিষয়টি আদালতকে জানানো হয়। এরপর বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ আদালত-১-এর (অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত মহানগর দায়রা জজ) বিচারক মোছা. মার্জিয়া খাতুন জামিন মঞ্জুর করেন। পরে সন্ধ্যা ৬টার দিকে কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে চিকিৎসাসেবা নিয়ে বাসায় ফেরেন।
টাঙ্গাইলের সখীপুরে স্ত্রীর দাবি নিয়ে আসা এক তরুণীকে (২৭) গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। পরে পরিবারের লোকজন ওই তরুণীকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেন। ঘটনাটি ঘটে আজ বৃহস্পতিবার উপজেলার হতেয়া রাজাবাড়ি ইউনিয়নের বাজাইল এলাকায়।
৩ মিনিট আগেগাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ীর আমবাগ এলাকায় একটি ঝুটের গুদামে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। পরে আগুন আশপাশের আরও ছয়টি ঝুটের গুদামে ছড়িয়ে পড়ে। আজ বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাত সোয়া ৮টার দিকে আগুন লাগে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ছয়টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।
৯ মিনিট আগেকুড়িগ্রামের উলিপুরে ভারপ্রাপ্ত খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলীর বিরুদ্ধে দুস্থ ও অসহায় নারীদের মধ্যে বিতরণের জন্য পচা, দুর্গন্ধময় ও ছাতা পড়ে যাওয়া চাল সরবরাহের অভিযোগ উঠেছে।
১২ মিনিট আগেফরিদপুরে কুমার নদে গোসল করতে গিয়ে দুই নাতিসহ দাদি পানিতে ডুবে যাওয়ার পর দুজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনার সোয়াদ নামের সাত বছরের এক শিশু নিখোঁজ রয়েছে। ফায়ার সার্ভিস বলছে, সন্ধ্যা হওয়ায় উদ্ধার কার্যক্রম বন্ধ করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে