সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার চরবেষ্টিত একটি ভোটকেন্দ্রে ২০ বছর ধরে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট হয় না বলে অভিযোগ রয়েছে। প্রতিবারই কেন্দ্র দখল, ব্যালট বাক্স ছিনতাই, জাল ভোট প্রদান ও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ ভোটারদের।
ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে ২৮ নভেম্বর ওই কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এ নিয়ে শঙ্কা বাড়ছে ভোটারদের মধ্যে।
ভোটকেন্দ্রটি উপজেলা সদর থেকে ২৬ কিলোমিটার দূরে কাপাসিয়া ইউনিয়নের নদীবেষ্টিত ১ নম্বর ওয়ার্ডে। এই কেন্দ্রের ভোটার সংখ্যা এক সময় ছিল ৪ হাজারের অধিক। নদী ভাঙনের কারণে এই এলাকার অনেকে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নসহ পার্শ্ববর্তী জেলাগুলোতে চলে গেছে। ফলে বর্তমানে এই কেন্দ্রের ভোটার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২১১ জনে। দুর্গম চরে অবস্থিত চর কাপাসিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই ওয়ার্ডের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
স্থানীয়রা বলছেন, কেন্দ্রটি ব্রহ্মপুত্র নদের বিপরীত পাড়ে হওয়ায় খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। গত প্রায় দুই দশকে এখানে কখনো সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়নি। এ অঞ্চলের প্রভাবশালী একটি পরিবার বরাবরই ভোটকেন্দ্র দখল করে। ওই পরিবার থেকেই বারবার ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়ে আসছে। ২০০৩ সালের পরে অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনগুলোতে মেম্বার পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ভোটকেন্দ্রে যেতেই পারেন না।
২০০৩ সালের আগে এ ওয়ার্ডে মেম্বার পদে কোনো ভোট হতো না। ভোটারদের কোণঠাসা করে একক প্রার্থী হিসেবে বীর মুক্তিযোদ্ধা লায়েক আলী খান মিন্টুর সিলেকশনে মেম্বার নির্বাচিত হতেন। এখন পর্যন্ত ওই ওয়ার্ডের মেম্বার হিসেবে লায়েক আলী খান মিন্টুর পরিবারের লোকজনই মেম্বার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
ভোটারদের অভিযোগ, এই কেন্দ্রে কখনো সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট না হওয়ায় ক্ষমতার পালাবদলও হয়নি। ২০১৬ সালের ইউপি নির্বাচনে বীর মুক্তিযোদ্ধা লায়েক আলী খান মিন্টু নৌকা প্রতীকে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেন। তখন তাঁর বড় ভাইয়ের স্ত্রী মেম্বার পদে নির্বাচন করেন। তাঁরা ভোটকেন্দ্র দখল করে প্রতিদ্বন্দ্বী মেম্বার প্রার্থী ইক্তিয়ার হোসেন বিপুলের এজেন্টদের বের করে দিয়ে এককভাবে সিল মারেন।
আসন্ন ইউপি নির্বাচনে লায়েক আলীর স্ত্রী খুরশিদ জাহান মেম্বার পদপ্রার্থী। এবারও ভোটকেন্দ্র দখলে নিতে তাঁরা কেন্দ্রের পাশে লাঠি-সোটা জড়ো করছেন বলে জানা গেছে।
স্থানীয় ভোটার খয়বার হোসেন (৫২) বলেন, ‘আমি কখনো এই কেন্দ্রে ভোট দিতে পারিনি। লায়েক আলী খান মিন্টু কেন্দ্র দখল করে ভোট মেরে নেয়। কেন্দ্রটি দুর্গম এলাকায় হওয়ায় তাঁরা প্রতিবারই জাল ভোট মেরে মেম্বার নির্বাচিত হয়।’
আরেক ভোটার আব্দুল কাদের বলেন, ‘আমার জীবনে আমি কখনো এখানে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট দেখিনি। এবার আমরা আশায় আছি, ভোটের দিন কেন্দ্রে গিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দেব।’
মেম্বার প্রার্থী ইক্তিয়ার হোসেন বিপুল বলেন, ‘আমি ১৫ বছর ধরে নির্বাচন করে আসছি। প্রভাবশালী লায়েক আলী খান মিন্টুর লোকজন আমাদের ভোটাধিকার হরণ করে বারবার নির্বাচিত হয়ে আসছে। আমি এবার ইউএনও, ওসি, নির্বাচন কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি, যাতে ভোটগ্রহণ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়। প্রশাসনের হস্তক্ষেপ ছাড়া এখানে সুষ্ঠু ভোট সম্ভব না। তাই প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’
অপর মেম্বার প্রার্থী লায়েক আলী খান মিন্টুর স্ত্রী খুরশিদ জাহান বলেন, ‘এই ওয়ার্ডে বরাবরই সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোটগ্রহণ হয়ে আসছে। আমাদের পরিবারের ঐতিহ্য থাকায় ভোটারেরা আমাদেরই নির্বাচিত করে আসছে। আমাদের প্রতিপক্ষ বারবার হেরে গিয়ে এসব অপবাদ দিচ্ছে। আমি আশাবাদী, জনগণ এবার আমাকে নির্বাচিত করবে।’
ভোট কেন্দ্রের পাশে লাঠিসোটা জড়ো করে রাখার বিষয়ে জানতে চাইলে খুরশিদ জাহান বলেন, ‘আমাদের ভোটাররা বিভিন্ন এলাকা থেকে আসবে। তাই নারী ভোটারদের নিরাপত্তার জন্য আমরা অস্থায়ী তাঁবু করে সেখানে রাখব। সে জন্য আমরা বাঁশ আর কাঠ সেখানে নিয়ে গিয়েছি। দাঙ্গা-হাঙ্গামা করার জন্য নয়।’
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে রিটার্নিং কর্মকর্তা ফজলুল করিম বলেন, ‘ওই কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ভোট সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে আমরা বদ্ধপরিকর। এ ছাড়া বাঁশ আর কাঠ অপসারণের জন্য আমি ইউএনও স্যারকে বলেছি। শিগগিরই সেগুলো অপসারণ করা হবে।’
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার চরবেষ্টিত একটি ভোটকেন্দ্রে ২০ বছর ধরে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট হয় না বলে অভিযোগ রয়েছে। প্রতিবারই কেন্দ্র দখল, ব্যালট বাক্স ছিনতাই, জাল ভোট প্রদান ও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ ভোটারদের।
ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে ২৮ নভেম্বর ওই কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এ নিয়ে শঙ্কা বাড়ছে ভোটারদের মধ্যে।
ভোটকেন্দ্রটি উপজেলা সদর থেকে ২৬ কিলোমিটার দূরে কাপাসিয়া ইউনিয়নের নদীবেষ্টিত ১ নম্বর ওয়ার্ডে। এই কেন্দ্রের ভোটার সংখ্যা এক সময় ছিল ৪ হাজারের অধিক। নদী ভাঙনের কারণে এই এলাকার অনেকে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নসহ পার্শ্ববর্তী জেলাগুলোতে চলে গেছে। ফলে বর্তমানে এই কেন্দ্রের ভোটার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২১১ জনে। দুর্গম চরে অবস্থিত চর কাপাসিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই ওয়ার্ডের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
স্থানীয়রা বলছেন, কেন্দ্রটি ব্রহ্মপুত্র নদের বিপরীত পাড়ে হওয়ায় খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। গত প্রায় দুই দশকে এখানে কখনো সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়নি। এ অঞ্চলের প্রভাবশালী একটি পরিবার বরাবরই ভোটকেন্দ্র দখল করে। ওই পরিবার থেকেই বারবার ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়ে আসছে। ২০০৩ সালের পরে অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনগুলোতে মেম্বার পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ভোটকেন্দ্রে যেতেই পারেন না।
২০০৩ সালের আগে এ ওয়ার্ডে মেম্বার পদে কোনো ভোট হতো না। ভোটারদের কোণঠাসা করে একক প্রার্থী হিসেবে বীর মুক্তিযোদ্ধা লায়েক আলী খান মিন্টুর সিলেকশনে মেম্বার নির্বাচিত হতেন। এখন পর্যন্ত ওই ওয়ার্ডের মেম্বার হিসেবে লায়েক আলী খান মিন্টুর পরিবারের লোকজনই মেম্বার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
ভোটারদের অভিযোগ, এই কেন্দ্রে কখনো সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট না হওয়ায় ক্ষমতার পালাবদলও হয়নি। ২০১৬ সালের ইউপি নির্বাচনে বীর মুক্তিযোদ্ধা লায়েক আলী খান মিন্টু নৌকা প্রতীকে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেন। তখন তাঁর বড় ভাইয়ের স্ত্রী মেম্বার পদে নির্বাচন করেন। তাঁরা ভোটকেন্দ্র দখল করে প্রতিদ্বন্দ্বী মেম্বার প্রার্থী ইক্তিয়ার হোসেন বিপুলের এজেন্টদের বের করে দিয়ে এককভাবে সিল মারেন।
আসন্ন ইউপি নির্বাচনে লায়েক আলীর স্ত্রী খুরশিদ জাহান মেম্বার পদপ্রার্থী। এবারও ভোটকেন্দ্র দখলে নিতে তাঁরা কেন্দ্রের পাশে লাঠি-সোটা জড়ো করছেন বলে জানা গেছে।
স্থানীয় ভোটার খয়বার হোসেন (৫২) বলেন, ‘আমি কখনো এই কেন্দ্রে ভোট দিতে পারিনি। লায়েক আলী খান মিন্টু কেন্দ্র দখল করে ভোট মেরে নেয়। কেন্দ্রটি দুর্গম এলাকায় হওয়ায় তাঁরা প্রতিবারই জাল ভোট মেরে মেম্বার নির্বাচিত হয়।’
আরেক ভোটার আব্দুল কাদের বলেন, ‘আমার জীবনে আমি কখনো এখানে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট দেখিনি। এবার আমরা আশায় আছি, ভোটের দিন কেন্দ্রে গিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দেব।’
মেম্বার প্রার্থী ইক্তিয়ার হোসেন বিপুল বলেন, ‘আমি ১৫ বছর ধরে নির্বাচন করে আসছি। প্রভাবশালী লায়েক আলী খান মিন্টুর লোকজন আমাদের ভোটাধিকার হরণ করে বারবার নির্বাচিত হয়ে আসছে। আমি এবার ইউএনও, ওসি, নির্বাচন কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি, যাতে ভোটগ্রহণ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়। প্রশাসনের হস্তক্ষেপ ছাড়া এখানে সুষ্ঠু ভোট সম্ভব না। তাই প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’
অপর মেম্বার প্রার্থী লায়েক আলী খান মিন্টুর স্ত্রী খুরশিদ জাহান বলেন, ‘এই ওয়ার্ডে বরাবরই সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোটগ্রহণ হয়ে আসছে। আমাদের পরিবারের ঐতিহ্য থাকায় ভোটারেরা আমাদেরই নির্বাচিত করে আসছে। আমাদের প্রতিপক্ষ বারবার হেরে গিয়ে এসব অপবাদ দিচ্ছে। আমি আশাবাদী, জনগণ এবার আমাকে নির্বাচিত করবে।’
ভোট কেন্দ্রের পাশে লাঠিসোটা জড়ো করে রাখার বিষয়ে জানতে চাইলে খুরশিদ জাহান বলেন, ‘আমাদের ভোটাররা বিভিন্ন এলাকা থেকে আসবে। তাই নারী ভোটারদের নিরাপত্তার জন্য আমরা অস্থায়ী তাঁবু করে সেখানে রাখব। সে জন্য আমরা বাঁশ আর কাঠ সেখানে নিয়ে গিয়েছি। দাঙ্গা-হাঙ্গামা করার জন্য নয়।’
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে রিটার্নিং কর্মকর্তা ফজলুল করিম বলেন, ‘ওই কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ভোট সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে আমরা বদ্ধপরিকর। এ ছাড়া বাঁশ আর কাঠ অপসারণের জন্য আমি ইউএনও স্যারকে বলেছি। শিগগিরই সেগুলো অপসারণ করা হবে।’
গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতাল ২৫০ শয্যায় উন্নীত হয় ২০১৪ সালে। এরপর কেটে গেছে প্রায় ১১ বছর। তবে রয়ে গেছে নানান সংকট। ২০১৮ সালে হাসপাতালটির নতুন ভবন উদ্বোধন করা হলেও জনবলসংকট ও অবকাঠামোর অভাবে সেটি আজও চালু করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। তারা বলছে, সংশ্লিষ্ট দপ্তরে বারবার চিঠি দিয়েও কাজ হচ্ছে না। ফলে পুরোনো ভবনে
৩ ঘণ্টা আগেআমের রাজধানী হিসেবে পরিচিত চাঁপাইনবাবগঞ্জে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে ক্যারেটের দাম বাড়ানোর অভিযোগ উঠেছে ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে। এতে বাড়তি লোকসানের মুখে পড়েছেন আমচাষি, ব্যবসায়ী ও ভোক্তারা। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ক্যারেট ব্যবসায়ীরা। আর নজরদারি বাড়ানোর কথা বলেছে প্রশাসন।
৪ ঘণ্টা আগেবরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের নতুন ভবনে স্থানান্তর করা মেডিসিন ওয়ার্ডে রোগীদের চরম দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। সেখানে নেই পর্যাপ্ত আলো-বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা ও শৌচাগার। বিভিন্ন কক্ষ থাকে অন্ধকার। এমন পরিবেশে দৈনিক চিকিৎসা নেন হাজারখানেক রোগী। যাঁদের একাংশের ঠাঁই হয় মেঝেতে। এমনকি চিকি
৪ ঘণ্টা আগেঢাকা মহানগরে নতুন ২১টি বাস রুটের অনুমোদন দিয়েছে ঢাকা মেট্রো যাত্রী ও পণ্য পরিবহন কমিটি (আরটিসি)। তবে সড়ক পরিবহন বিধিমালা, ২০২২ অনুযায়ী নতুন রুট অনুমোদনের আগে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের (ডিটিসিএ) মতামত বা সুপারিশ নেওয়া বাধ্যতামূলক হলেও তা পুরো আমলে নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে।
৪ ঘণ্টা আগে