Ajker Patrika

সাটুরিয়ায় বিদ্যালয়ের মাঠ দখল করে ক্লাবঘর নির্মাণ

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি
বিদ্যালয়ের খেলার মাঠের এক কোনায় ক্লাবঘর নির্মাণ করা হয়েছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
বিদ্যালয়ের খেলার মাঠের এক কোনায় ক্লাবঘর নির্মাণ করা হয়েছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলায় রাধানগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ দখল করে ঘর নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল শুক্রবার ভোররাতে স্থানীয় একটি অনিবন্ধিত ক্লাবের সদস্যরা মাঠের একাংশ দখল করে দোচালা টিনের ঘরটি তৈরি করেন।

বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানায়, রাধানগর গ্রামের রাখালচন্দ্র রায় নামে এক ব্যক্তি ১৯৭৩ সালে ৩৩ শতাংশ জমি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য দান করেন। পরবর্তী সময়ে ১৯৮৮ সালে তাঁর নাতি অরূপ রায় ওই জমিতে বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। অবশিষ্ট ৫৫ শতাংশ জমি সরকারি নথিতে খেলার মাঠ হিসেবে উল্লেখ করা আছে। ২০১৩ সালে বিদ্যালয়টি জাতীয়করণ করা হয়। শুক্রবার ভোররাতে অনিবন্ধিত ‘রাধানগর যুব উন্নয়ন ক্লাব’ মাঠের পূর্ব পাশের একাংশ দখল করে এই ঘর তুলেছে।

জমি দখলের খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), সাটুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এবং জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে। এর কয়েক ঘণ্টা পর সাটুরিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তানভীর আহমদ ঘটনাস্থলে যান, কিন্তু ততক্ষণে ঘর নির্মাণের কাজ শেষ হয়ে যায়। পরে সাটুরিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোজাম্মেল হোসেনও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

এর আগে ২০২৩ সালে আব্দুল কাদের নামে এক ব্যক্তি বিদ্যালয়ের ৪ শতাংশ জমি দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করলে তার বিরুদ্ধে ভূমি আইনে মামলা করা হয়, যা বর্তমানে চলমান।

যোগাযোগ করা হলে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বিথিকা রায় বলেন, ‘শুক্রবার ভোরে ক্লাব সদস্যরা ৩৩ শতাংশ জমির এক কোণ দখল করে ঘর তুলেছে। ক্লাবটির কোনো নিবন্ধন নেই। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।’

ক্লাবের সভাপতি কামাল হোসেন বলেন, ‘নথি অনুযায়ী জমির মালিক রাখাল চন্দ্র রায়। তিনি নথিতে রাধানগর স্পোর্টিং ক্লাবের সেক্রেটারি হিসেবেও উল্লেখ আছেন। তাই আমরা সেখানে ঘর তুলেছি।’

সহকারী কমিশনার (ভূমি) তানভীর আহমদ বলেন, ‘আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম, কিন্তু তারা আগেই ঘর তুলে ফেলেছে। আমি তাদের কাগজপত্র নিয়ে ইউএনওর সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেছি।’ তিনি আরও নিশ্চিত করেন, যেখানে ঘর তোলা হয়েছে, তা বিদ্যালয়েরই জমি।

ইউএনও মো. ইকবাল হোসেন বলেন, ‘জমির মালিকের ক্লাব হলে তারা রাতের আঁধারে ঘর তুলত না। আমি তাদের কাগজপত্র নিয়ে যোগাযোগ করতে বলেছি। এর আগে গত বৃহস্পতিবার তাদের ঘর তুলতে বারণ করা হয়েছিল, এরপরও তারা ঘর তুলেছে। এখন তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

যুক্তরাষ্ট্রে পা রাখামাত্র পুতিনকে গ্রেপ্তারের আহ্বান

যুবককে আটক করা নিয়ে বিজিবি ও এলাকাবাসীর পাল্টাপাল্টি দাবি

বরিশাল-৩ আসনে বিএনপির দুই হেভিওয়েট নেতার দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে

বরখাস্ত সৈনিককে অস্ত্র দিয়েছেন বিএনপি নেতা, অডিও নিয়ে তোলপাড়

ভূমি অফিসের কাণ্ড: এসি ল্যান্ড দপ্তরের নামে দেড় কোটি টাকা আদায়

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত