Ajker Patrika

রংপুরের গঙ্গাচড়ায় নদীগর্ভে ৭০ মিটার বাঁধ, হুমকিতে তিস্তা সেতু

আব্দুর রহিম পায়েল, গঙ্গাচড়া (রংপুর) 
আপডেট : ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৪: ৩৭
তিস্তা নদীতে পানি বাড়ায় রংপুরের গঙ্গাচড়ায় দ্বিতীয় তিস্তা সেতু রক্ষা বাঁধের ৭০ মিটার নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। গতকাল তোলা ছবি। আজকের পত্রিকা
তিস্তা নদীতে পানি বাড়ায় রংপুরের গঙ্গাচড়ায় দ্বিতীয় তিস্তা সেতু রক্ষা বাঁধের ৭০ মিটার নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। গতকাল তোলা ছবি। আজকের পত্রিকা

উজানের ঢলে বৃদ্ধি পেয়েছে তিস্তা নদীর পানি। এতে ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে রংপুরের গঙ্গাচড়ায় দ্বিতীয় তিস্তা সেতু রক্ষা বাঁধে। গতকাল বুধবার প্রায় ৮০০ মিটার দীর্ঘ এই বাঁধের অন্তত ৭০ মিটার নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এতে হুমকিতে পড়েছে দ্বিতীয় তিস্তা সেতু এবং রংপুর-লালমনিরহাট সড়ক।

জানা গেছে, উত্তরাঞ্চলের অন্যতম ব্যস্ত এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন ৩০ থেকে ৩৫ হাজার মানুষ চলাচল করে। বাঁধ সম্পূর্ণ ভেঙে গেলে বন্ধ হয়ে যেতে পারে এ অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ এই যোগাযোগব্যবস্থা।

গতকাল সকালে সরেজমিনে দেখা গেছে, গঙ্গাচড়া উপজেলার লক্ষ্মীটারী ইউনিয়নের মহিপুর এলাকায় দ্বিতীয় তিস্তা সেতুর উত্তর প্রান্তে সেতু রক্ষা বাঁধের বড় অংশ ভেঙে গেছে। এ নিয়ে আতঙ্কে রয়েছে স্থানীয়রা।

জানতে চাইলে সেতু এলাকার বাসিন্দা বুলবুল মিয়া বলেন, ‘প্রথমে ছোট ফাটল ছিল। ৪-৫ মাস ধরে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এখন তিস্তার পানি বাড়ায় বাঁধের বিশাল অংশ নদীতে বিলীন হয়ে গেছে।’

স্থানীয় পথচারী সাবিবুর রহমান বলেন, যেভাবে বাঁধ ভেঙে যাচ্ছে, পানি বাড়লে সেতুটি পুরোপুরি ঝুঁকিতে পড়বে। লক্ষ্মীটারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল হাদী আজকের পত্রিকাকে বলেন, এটি একটি ব্যস্ততম সড়ক ও সেতু। দ্রুত কাজ শুরু না হলে পুরো বাঁধ ভেঙে সেতুটি হুমকির মুখে পড়বে।

গঙ্গাচড়া উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘আমি ভাঙনের এই স্থানে প্রায় ২ ঘণ্টা ধরে আছি। এত পরিমাণে ভাঙছে যে যদি দ্রুত ভাঙনের স্থানটিতে কাজ করা না হয়, তাহলে তিস্তা সেতুসহ আশপাশের প্রায় ৩-৪টি গ্রাম নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে। এমনকি লালমনিরহাটের সঙ্গে আমাদের রংপুরের যে একটা যোগাযোগব্যবস্থা আছে, এটিও বন্ধ হয়ে যাবে। তাই ভাঙনরোধে কর্তৃপক্ষের দ্রুত জোরালো ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। তা না হলে ভয়াবহ আকার ধারণ করবে।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে রংপুর জেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী

মো. মুসা আজকের পত্রিকাকে

বলেন, ‘এর আগে ভাঙন ছিল না। আজকে আমরা ভাঙনের বিষয়টি জেনেছি। ভাঙনরোধে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বাংলাদেশসহ ৫ প্রতিবেশীকেই নিরাপত্তার জন্য হুমকি মনে করছে ভারত

পাসপোর্ট ছাড়াই ফ্লাইটে ক্যাপ্টেন মুনতাসির, জেদ্দায় আটক

ভুল করে মায়ের পাসপোর্ট নিয়ে জেদ্দায় যান বিমানের পাইলট মুনতাসির: কর্তৃপক্ষ

বিজিবির একজন আর্মি অফিসারকে এখনো গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না: নাহিদ

হইচই ফেলেছে ন্যানো ব্যানানা, চ্যাটজিপিটিকে টপকাল জেমিনি

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত