রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার সদর ইউনিয়নের ইজলামারী সড়ক উপচে নতুন করে ১১টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে উপজেলার বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। ফলে উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের ৯১টি গ্রামের প্রায় ১ লাখ ৭ হাজার মানুষ পানিবন্দী।
জানা যায়, পানি বাড়ায় হলহলী নদীর ভাঙনে বিলীন হয়েছে ১১টি বাড়ি। পানিতে তলিয়ে গেছে দুই শতাধিক বাড়ি। এদের মধ্যে অনেকেই উঁচু স্থানে আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। কেউ কেউ চৌকি উঁচু করে বাড়িতেই আছেন। যে হারে পানি বাড়ছে, তাতে করে বড় ধরনের বন্যার আশঙ্কা করছে পানিবন্দী এলাকার মানুষ।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় কুড়িগ্রামের চিলমারী পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপৎসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার বেশির ভাগ এলাকায় এখন শুধু পানি আর পানি। বসতভিটা তলিয়ে যাওয়ায় উঁচু স্থানে চলে গেছে অনেক পরিবার। কেউ আবার কষ্ট মেনে নিয়ে ঘরের চৌকি উঁচু করে আঁকড়ে আছেন নিজের বসতভিটা। আবার পানি বাড়ায় সবকিছু হারিয়ে অন্যের জমিতে ঘরের চাল দুটো খাঁড়া করে তার মধ্যে বসবাস করছেন অনেকে।
চরশৌলমারী ইউনিয়নের পূর্ব কাজাইকাটা পাড়া গ্রামের মুক্তার ফকির (৭০) বলেন, ‘বন্যার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় হলহলী নদীর ভাঙনে আমার বসতভিটা বিলীন হয়ে গেছে। বৃষ্টিতে ঘরের জিনিসপত্র সব নষ্ট হয়ে গেছে। অন্যের উঁচু জমিতে কোনো রকমে আশ্রয় নিয়ে অনেক কষ্টে আছি। এখন পর্যন্ত কোনো জনপ্রতিনিধি আমাদের খোঁজ নেননি।’ একই কথা বলেন, বসতভিটা হারানো ওই গ্রামের সূর্য মিয়া (৬৬), নবাব আলী (৬২), ফুল চান (৪০), আব্দুল শেখ (৩৬), শাহাজামাল (৪০), সোহেল পাইক (৩৫), ছাবেদ আলী (৫৫) ও শুকুর আলী (৫৪)।
বন্দবেড় ইউনিয়নের পালেরচর গ্রামের আব্দুল কাইয়ুম বলেন, ‘বন্যার পানিতে ঘরদোর সব তলিয়ে গেছে। পরিবারের লোকজন নিয়ে খুব কষ্টে আছি। ঘরের জিনিসপত্র হারিয়ে যাওয়ার ভয়ে পানির ওপরে বসবাস করছি। কী করব? ভোটের সময় তো অনেক জনদরদি পাওয়া যায়, বিপদের সময় কেউ খোঁজ নেন না। পানি বাড়তে থাকলে বড় ধরনের বন্যা হতে পারে। তখন আর শত কষ্টেও বাড়িতে থাকা হবে না, অন্য কোথাও আশ্রয় নিতে হবে।’
বন্দবেড় ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ আব্দুল কাদের সরকার বলেন, ‘শতাধিক বাড়িতে হাঁটু থেকে কোমরপানি। পানিবন্দী হয়েছে প্রায় ২৫টি গ্রাম। উপজেলা প্রশাসনের কাছে প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে। নদীভাঙা পরিবারগুলোর জন্য ত্রাণসামগ্রীর ৩১ প্যাকেট পেয়েছি। সেগুলো বিতরণ করা হয়েছে। শুনেছি বানভাসিদের জন্য তিন মেট্রিক টন জিআর চাল বরাদ্দ হয়েছে। এখনো কোনো চিঠি পাইনি।’
রৌমারী সদর ইউপির চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘আমার ইউনিয়নে প্রথম দফার বন্যার পানি না শুকাতেই আবারও পাহাড়ি ঢলে ৩০টি গ্রামের মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে। পানি উঠেছে প্রায় ২৫টি বাড়িতে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় বড় ধরনের বন্যার আশঙ্কা করছি। যেসব বাড়িতে পানি উঠেছে, তাদের জন্য শুকেনা খাবার চিড়া, মুড়ি, চিনি, লবণ বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।’
রৌমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুল আলম রাসেল বলেন, ‘ভারী বর্ষণে এবং উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের বেশির ভাগ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দী হয়েছে প্রায় ১ লাখ ৭ হাজার মানুষ। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বক্ষণ মনিটরিং করা হচ্ছে। বন্যানিয়ন্ত্রণ সমন্বয় কক্ষ চালু করা হয়েছে। যেসব বাড়ি তলিয়ে গেছে, তাদের শুকনো খাবার বিতরণ করা হচ্ছে। ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত থাকবে।’
কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার সদর ইউনিয়নের ইজলামারী সড়ক উপচে নতুন করে ১১টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে উপজেলার বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। ফলে উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের ৯১টি গ্রামের প্রায় ১ লাখ ৭ হাজার মানুষ পানিবন্দী।
জানা যায়, পানি বাড়ায় হলহলী নদীর ভাঙনে বিলীন হয়েছে ১১টি বাড়ি। পানিতে তলিয়ে গেছে দুই শতাধিক বাড়ি। এদের মধ্যে অনেকেই উঁচু স্থানে আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। কেউ কেউ চৌকি উঁচু করে বাড়িতেই আছেন। যে হারে পানি বাড়ছে, তাতে করে বড় ধরনের বন্যার আশঙ্কা করছে পানিবন্দী এলাকার মানুষ।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় কুড়িগ্রামের চিলমারী পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপৎসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার বেশির ভাগ এলাকায় এখন শুধু পানি আর পানি। বসতভিটা তলিয়ে যাওয়ায় উঁচু স্থানে চলে গেছে অনেক পরিবার। কেউ আবার কষ্ট মেনে নিয়ে ঘরের চৌকি উঁচু করে আঁকড়ে আছেন নিজের বসতভিটা। আবার পানি বাড়ায় সবকিছু হারিয়ে অন্যের জমিতে ঘরের চাল দুটো খাঁড়া করে তার মধ্যে বসবাস করছেন অনেকে।
চরশৌলমারী ইউনিয়নের পূর্ব কাজাইকাটা পাড়া গ্রামের মুক্তার ফকির (৭০) বলেন, ‘বন্যার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় হলহলী নদীর ভাঙনে আমার বসতভিটা বিলীন হয়ে গেছে। বৃষ্টিতে ঘরের জিনিসপত্র সব নষ্ট হয়ে গেছে। অন্যের উঁচু জমিতে কোনো রকমে আশ্রয় নিয়ে অনেক কষ্টে আছি। এখন পর্যন্ত কোনো জনপ্রতিনিধি আমাদের খোঁজ নেননি।’ একই কথা বলেন, বসতভিটা হারানো ওই গ্রামের সূর্য মিয়া (৬৬), নবাব আলী (৬২), ফুল চান (৪০), আব্দুল শেখ (৩৬), শাহাজামাল (৪০), সোহেল পাইক (৩৫), ছাবেদ আলী (৫৫) ও শুকুর আলী (৫৪)।
বন্দবেড় ইউনিয়নের পালেরচর গ্রামের আব্দুল কাইয়ুম বলেন, ‘বন্যার পানিতে ঘরদোর সব তলিয়ে গেছে। পরিবারের লোকজন নিয়ে খুব কষ্টে আছি। ঘরের জিনিসপত্র হারিয়ে যাওয়ার ভয়ে পানির ওপরে বসবাস করছি। কী করব? ভোটের সময় তো অনেক জনদরদি পাওয়া যায়, বিপদের সময় কেউ খোঁজ নেন না। পানি বাড়তে থাকলে বড় ধরনের বন্যা হতে পারে। তখন আর শত কষ্টেও বাড়িতে থাকা হবে না, অন্য কোথাও আশ্রয় নিতে হবে।’
বন্দবেড় ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ আব্দুল কাদের সরকার বলেন, ‘শতাধিক বাড়িতে হাঁটু থেকে কোমরপানি। পানিবন্দী হয়েছে প্রায় ২৫টি গ্রাম। উপজেলা প্রশাসনের কাছে প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে। নদীভাঙা পরিবারগুলোর জন্য ত্রাণসামগ্রীর ৩১ প্যাকেট পেয়েছি। সেগুলো বিতরণ করা হয়েছে। শুনেছি বানভাসিদের জন্য তিন মেট্রিক টন জিআর চাল বরাদ্দ হয়েছে। এখনো কোনো চিঠি পাইনি।’
রৌমারী সদর ইউপির চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘আমার ইউনিয়নে প্রথম দফার বন্যার পানি না শুকাতেই আবারও পাহাড়ি ঢলে ৩০টি গ্রামের মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে। পানি উঠেছে প্রায় ২৫টি বাড়িতে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় বড় ধরনের বন্যার আশঙ্কা করছি। যেসব বাড়িতে পানি উঠেছে, তাদের জন্য শুকেনা খাবার চিড়া, মুড়ি, চিনি, লবণ বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।’
রৌমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুল আলম রাসেল বলেন, ‘ভারী বর্ষণে এবং উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের বেশির ভাগ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দী হয়েছে প্রায় ১ লাখ ৭ হাজার মানুষ। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বক্ষণ মনিটরিং করা হচ্ছে। বন্যানিয়ন্ত্রণ সমন্বয় কক্ষ চালু করা হয়েছে। যেসব বাড়ি তলিয়ে গেছে, তাদের শুকনো খাবার বিতরণ করা হচ্ছে। ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত থাকবে।’
দিনাজপুরের খানসামা উপজেলা বিএনপির সদস্য ও উপজেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা শরীফ উদ্দিন সরকারকে মারধরও চাঁদাবাজি-সংক্রান্ত মামলায় উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মোস্তাকিনুর রহমানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (১৫ আগস্ট) সকালে উপজেলার পাকেরহাট বাজার এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
৬ মিনিট আগেজানা গেছে, মঙ্গলবার কুষ্টিয়ায় আদালতে একটি মামলায় সাক্ষ্য দেওয়ার কথা বলে থানা থেকে বের হন শাকিল আহমেদ। এরপর থেকে মাসুরা খাতুনকেও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। বৃহস্পতিবার শাকিল আহমেদের থানায় ফেরার কথা থাকলেও শুক্রবার পর্যন্ত তিনি ফেরেননি। এদিকে মাসুরা খাতুনের শ্বশুর বজলুর রহমান বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি...
৭ মিনিট আগেরাজশাহীর বাঘায় মিনি ট্রাক চাপায় বানেরা বেগম ওরফে (বানু) (৫৫) নামে এক নারী নিহত হয়েছে। আজ শুক্রবার (১৫ আগস্ট) সকালে উপজেলার মীরগঞ্জ মোড়ের উত্তরে আব্দুর রহমান মাস্টারের বাড়ির সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
৩৩ মিনিট আগেদিনাজপুরের বিরামপুরে অটোরিকশার ধাক্কায় মোটরসাইকেল থেকে পড়ে যাওয়া কোহিনুর বেগম (২৭) ও তার ছেলে রিশাত কাইফ (২ মাস) ট্রাকচাপায় নিহত হয়েছে। শুক্রবার (১৫ আগস্ট) দুপর ১২টার দিকে পৌর শহরের সোনালী ব্যাংকের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত কোহিনুর উপজেলার ধানঘরা এলাকার গোলাম রব্বানীর স্ত্রী।
৩৪ মিনিট আগে