কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে এক নারী ধর্ষণের অভিযোগে এক ইউপি সদস্য ও তার এক কর্মীর নামে মামলা করেন। মামলাটি মিথ্যা প্রমাণিত হলে ভুক্তভোগী ওই ইউপি সদস্য ওই নারী ও ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে পাল্টা মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় ওই নারীসহ চেয়ারম্যান আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে, আদালত তাদের জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠিয়েছেন।
আজ সোমবার সোমবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল কুড়িগ্রামের বিচারক অম্লান কুসুম জিষ্ণু এ আদেশ দেন। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ওই আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. এরশাদ আলী।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালে কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার বল্লভেরখাস ইউনিয়নের মিলি বেগম (৪০) নামে এক নারী ওই ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মাহাতাব উদ্দিন (৪০) ও তাঁর কর্মী আজিবর রহমানের (৩৫) বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেন। ডাক্তারি প্রতিবেদন ও সাক্ষ্য প্রমাণে মামলাটি মিথ্যা ও বানোয়াট প্রমাণিত হওয়ায় দীর্ঘ ৪৮ মাস পর চলতি বছর মার্চ মাসে আদালত অভিযুক্ত সাবেক ইউপি সদস্যসহ দুই অভিযুক্তকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেন। পরে ২৫ সেপ্টেম্বর ভুক্তভোগী সাবেক ইউপি সদস্য মাহতাব উদ্দিন বাদী হয়ে মিলি বেগম এবং তাঁকে মামলা করতে প্ররোচনা দানকারী ওই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আকমল হোসেনের (৫৮) বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা ও হয়রানির অভিযোগে মামলা করেন।
আরও জানা যায়, মিলি বেগম ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আকমল হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা করলে আদালত অভিযোগ তদন্তের জন্য পুলিশের গোয়েন্দা শাখাকে (ডিবি) নির্দেশ দেন। ডিবি পুলিশের তদন্তকারী কর্মকর্তা অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে মর্মে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। এরপর আসামিরা আগাম জামিনের জন্য উচ্চ আদালতে গেলে আদালত তাদের জামিনের আবেদন না মঞ্জুর করেন। পরে সোমবার আসামিরা কুড়িগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে আদালত জামিন না মঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মামলার বাদী সাবেক ইউপি সদস্য মাহাতাব উদ্দিন বলেন, ‘আকমল হোসেন চেয়ারম্যান থাকাকালীন তাঁর দুর্নীতি নিয়ে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েছিলাম। এ জন্য তিনি আমার ও আমার নির্বাচনী কর্মীর বিরুদ্ধে মিলি বেগমকে দিয়ে ধর্ষণের মিথ্যা মামলা করান। আমরা কোনো অপরাধ না করেও তাদের মামলার কারণে মানসিক, সামাজিক ও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। এ জন্য তাদের বিরুদ্ধে একই আদালতে, একই আইনে মামলা করেছি।’
বাদী পক্ষের আইনজীবী ইশরাত হাসান বলেন, ‘নারীদের সুরক্ষার জন্যই নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। কিন্তু এই আইনের অপব্যবহার করে মিথ্যা মামলা করলে, অভিযোগকারীর বিরুদ্ধে শাস্তির বিধান রয়েছে। মিলি বেগম ও আকমল চেয়ারম্যান নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের অপব্যবহার করে মিথ্যা মামলা করেছেন, যা একই আদালতে প্রমাণিত হয়েছে। তারা নিরীহ নাগরিকদের অযথা হয়রানি করেছেন। এ জন্য তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে এবং উক্ত মামলায় আদালত তাদের জামিন না মঞ্জুর করে জেলে পাঠিয়েছেন। এটি মিথ্যা মামলাকারীদের জন্য সতর্কবার্তা এবং দেশে দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।’
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে এক নারী ধর্ষণের অভিযোগে এক ইউপি সদস্য ও তার এক কর্মীর নামে মামলা করেন। মামলাটি মিথ্যা প্রমাণিত হলে ভুক্তভোগী ওই ইউপি সদস্য ওই নারী ও ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে পাল্টা মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় ওই নারীসহ চেয়ারম্যান আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে, আদালত তাদের জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠিয়েছেন।
আজ সোমবার সোমবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল কুড়িগ্রামের বিচারক অম্লান কুসুম জিষ্ণু এ আদেশ দেন। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ওই আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. এরশাদ আলী।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালে কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার বল্লভেরখাস ইউনিয়নের মিলি বেগম (৪০) নামে এক নারী ওই ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মাহাতাব উদ্দিন (৪০) ও তাঁর কর্মী আজিবর রহমানের (৩৫) বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেন। ডাক্তারি প্রতিবেদন ও সাক্ষ্য প্রমাণে মামলাটি মিথ্যা ও বানোয়াট প্রমাণিত হওয়ায় দীর্ঘ ৪৮ মাস পর চলতি বছর মার্চ মাসে আদালত অভিযুক্ত সাবেক ইউপি সদস্যসহ দুই অভিযুক্তকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেন। পরে ২৫ সেপ্টেম্বর ভুক্তভোগী সাবেক ইউপি সদস্য মাহতাব উদ্দিন বাদী হয়ে মিলি বেগম এবং তাঁকে মামলা করতে প্ররোচনা দানকারী ওই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আকমল হোসেনের (৫৮) বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা ও হয়রানির অভিযোগে মামলা করেন।
আরও জানা যায়, মিলি বেগম ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আকমল হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা করলে আদালত অভিযোগ তদন্তের জন্য পুলিশের গোয়েন্দা শাখাকে (ডিবি) নির্দেশ দেন। ডিবি পুলিশের তদন্তকারী কর্মকর্তা অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে মর্মে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। এরপর আসামিরা আগাম জামিনের জন্য উচ্চ আদালতে গেলে আদালত তাদের জামিনের আবেদন না মঞ্জুর করেন। পরে সোমবার আসামিরা কুড়িগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে আদালত জামিন না মঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মামলার বাদী সাবেক ইউপি সদস্য মাহাতাব উদ্দিন বলেন, ‘আকমল হোসেন চেয়ারম্যান থাকাকালীন তাঁর দুর্নীতি নিয়ে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েছিলাম। এ জন্য তিনি আমার ও আমার নির্বাচনী কর্মীর বিরুদ্ধে মিলি বেগমকে দিয়ে ধর্ষণের মিথ্যা মামলা করান। আমরা কোনো অপরাধ না করেও তাদের মামলার কারণে মানসিক, সামাজিক ও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। এ জন্য তাদের বিরুদ্ধে একই আদালতে, একই আইনে মামলা করেছি।’
বাদী পক্ষের আইনজীবী ইশরাত হাসান বলেন, ‘নারীদের সুরক্ষার জন্যই নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। কিন্তু এই আইনের অপব্যবহার করে মিথ্যা মামলা করলে, অভিযোগকারীর বিরুদ্ধে শাস্তির বিধান রয়েছে। মিলি বেগম ও আকমল চেয়ারম্যান নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের অপব্যবহার করে মিথ্যা মামলা করেছেন, যা একই আদালতে প্রমাণিত হয়েছে। তারা নিরীহ নাগরিকদের অযথা হয়রানি করেছেন। এ জন্য তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে এবং উক্ত মামলায় আদালত তাদের জামিন না মঞ্জুর করে জেলে পাঠিয়েছেন। এটি মিথ্যা মামলাকারীদের জন্য সতর্কবার্তা এবং দেশে দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।’
শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার ৫০তম বার্ষিকী উপলক্ষে নরসিংদীর রায়পুরায় শোকসভা করার অভিযোগে আওয়ামী লীগের এক নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার উপজেলার পলাশতলী ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড এলাকা থেকে তাঁকে আটক করা হয়।
১৩ মিনিট আগেদগ্ধ ব্যক্তিরা হলেন ওই ভবনের বাসাভাড়া নিয়ে থাকা গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়া উপজেলার বান্ধাবাড়ী গ্রামের সবুজ শেখ (৪২), দুই ছেলে রবিউল শেখ (১৯), রমজান শেখ (১৩), দুই মেয়ে তাসনিয়া (৬) তাসফিয়া (২) ও বোন ঝুমুর বেগম (৩৮) এবং ভোলা জেলার চরফ্যাশন উপজেলার চরনাজিমউদ্দিন গ্রামের আব্বাস উদ্দীন (৩৯)।
২১ মিনিট আগেভোলাগঞ্জের পর জাফলংয়েও লুট হওয়া পাথর উদ্ধারে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। গত দুই দিন উপজেলা প্রশাসনের সমন্বয়ে গঠিত টাস্কফোর্স অভিযান চালিয়ে সাড়ে ৮ হাজার ঘনফুট পাথর উদ্ধার করেছে। পরে সেগুলো জাফলং জিরো পয়েন্টে প্রতিস্থাপন করা হয়।
২৭ মিনিট আগেসিলেটের ভোলাগঞ্জের সাদাপাথর লুটপাটের পর সেগুলো ভোলাগঞ্জ ও ধোপাগুল এলাকায় ক্রাশার মেশিনে ভাঙার জন্য স্তূপ করে রাখা হয়। পরে যখন অভিযান শুরু হয়, তখন সেগুলো ওই ব্যবসায়ীরা বালু ও মাটি দিয়ে ঢেকে ফেলেন। আজ শুক্রবার সেখানে অভিযান চালিয়ে পথরগুলো উদ্ধার করা হয়।
১ ঘণ্টা আগে