Ajker Patrika

রংপুর মোটর মালিক সমিতির নেতাকে গুলির ঘটনায় গ্রেপ্তার ৪ 

রংপুর প্রতিনিধি
রংপুর মোটর মালিক সমিতির নেতাকে গুলির ঘটনায় গ্রেপ্তার ৪ 

মোটর মালিক ও শ্রমিকদের দুটি গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে রংপুর জেলা মোটর মালিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আফতাবুজ্জামান লিপনকে গুলি করে হত্যাচেষ্টা করা হয়। এ ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁদের মধ্যে তিনজনের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে পুলিশ এ তথ্য জানিয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে নগরীর নবাবগঞ্জ ডিসি ক্রাইম অফিসে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) আবু মারুফ হোসেন। এর আগে, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি রাত ১০টার দিকে নগরীর কামারপাড়া ঢাকা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় লিপনকে লক্ষ্য করে প্রাইভেটকারে গুলিবর্ষণ করা হয়।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন, সাতগাড়া মিস্ত্রিপাড়ার কাওছার আলী (৪৩), ধাপ চেকপোস্ট হাজী কলনীর আসাদুল ইসলাম সুমন (৩৮), ধাপ শ্যামলী লেনের আহসান হাবীব মিলন (৩৫) এবং ধাপ শিমুলবাগ এলাকার হান্নান মিন বাবু (৩০)।

পুলিশ জানায়, রংপুর নগরীর ধাপ এলাকায় স্বপ্ন শপিংমলের সামনে মাইক্রোবাস স্ট্যান্ডে মোটর মালিক সমিতির নামে চাঁদা আদায়ের অভিযোগে মোটর মালিক সমিতির নিয়োগ দেওয়া কাওছার আলীকে বাস টার্মিনাল থেকে মেডিকেল মোড় এলাকায় বদলি করা হয়। এ ছাড়া আসাদুল ইসলাম সুমন ও আহসান হাবীব মিলনকে বরখাস্ত করা হয়। তাঁদের বদলি ও বরখাস্তে রংপুর জেলা মোটর মালিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আফতাবুজ্জামান লিপনের হস্তক্ষেপ রয়েছে বলে তাঁরা সন্দেহ করেন।

গত ১৮ ফেব্রুয়ারি রাত আনুমানিক ১০টার দিকে আসাদুল ইসলাম সুমনের দেওয়া তথ্যে নগরীর কামারপাড়া ঢাকা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সৈয়দ আফতাবুজ্জামান লিপনকে লক্ষ্য করে প্রাইভেটকারে গুলিবর্ষণ করে কাওছার আলী। গুলিবর্ষণ শেষে হান্নান মিন বাবুর মোটরসাইকেলে করে তাৎক্ষণিকভাবে তাঁরা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় প্রাইভেটকারের ক্ষতি হলেও অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা হয় লিপনের।

এ ঘটনায় লিপন গত ১৯ ফেব্রুয়ারি রংপুর মেট্রোপলিটন কোতয়ালী থানায় একটি মামলা করেন। এরপর রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে অভিযুক্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তার চারজনের মধ্যে তিনজন সরাসরি ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে। 

রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি ক্রাইম আবু মারুফ হোসেন বলেন, মোটর মালিক ও শ্রমিকদের দুটি গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারের উদ্দেশ্যেই গুলিবর্ষণের ঘটনাটি ঘটেছে। এখনো রিভলবারটি (অস্ত্র) উদ্ধার সম্ভব হয়নি। অস্ত্র উদ্ধারে তাদের পুনরায় রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে করা হবে। এই ঘটনায় আরও কারা কারা জড়িত তাদের শনাক্তে পুলিশ কাজ করছে। অচিরেই হয়তো তা জানানো সম্ভব হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

স্ত্রী রাজি নন, সাবেক সেনাপ্রধান হারুনের মরদেহের ময়নাতদন্ত হবে না: পুলিশ

বাকৃবির ৫৭ শিক্ষকসহ ১৫৪ জনের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা

বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে পারে সরকার, ভয়ে কলকাতায় দিলীপ কুমারের আত্মহত্যা

সাবেক সেনাপ্রধান হারুন ছিলেন চট্টগ্রাম ক্লাবের গেস্ট হাউসে, দরজা ভেঙে বিছানায় মিলল তাঁর লাশ

শাহজালালের তৃতীয় টার্মিনালে অবতরণ করল প্রথম ফ্লাইট

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত