লালমনিরহাট ও পাটগ্রাম প্রতিনিধি
জন্ম থেকেই ফেরদৌস আলম ফিরোজের দুই হাত অচল। তাই বলে থেমে না থেকে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পা, এর পর থেকে মুখ দিয়ে লেখা চালিয়ে গেছেন। ১৯৯৮ সালে জন্ম নেওয়া এই অদম্য তরুণ এভাবেই অনার্স পাস করেছেন।
ফিরোজের জন্ম লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়নের কাউয়ামারী গ্রামে। তাঁর বাবার নাম শাহাব উদ্দিন। চার ভাইয়ের মধ্যে ফিরোজ সবার বড়।
ফিরোজ ২০১৩ সালে কাউয়ামারী আপ্তার প্রধান হোসেন উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এস. এস. সি পাস করেন। ২০১৫ সালে পাটগ্রাম আদর্শ কলেজ থেকে এইচ. সি. পাস করেন। একই কলেজ থেকে ২০১৯ সালে অনার্স পাস করেছেন; এবার মাস্টার্সের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ফিরোজের তিন ভাইও উপজেলার অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করছেন।
ফিরোজ বলেন, ‘যেহেতু দুটি হাত অচল অবস্থায় আমার জন্ম। ছোট থেকে সংগ্রাম করে অদম্য ইচ্ছে আর মনোবলকে সঙ্গী করে পড়াশোনা করছি। নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে মানসিক পিছুটানকে পাত্তা না দিয়ে সবক্ষেত্রে সংগ্রাম আর কষ্ট হলেও মুখ দিয়ে লিখে অনার্স পাস করেছি। নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পড়া-লেখা চালিয়ে যেতে চাই। বেঁচে আছি অনেক স্বপ্ন নিয়ে।’ তিনি আরও বলেন, ‘জন্ম থেকে মা-বাবা আমার জন্য কষ্ট সহ্য করছেন। এখনো করছেন। তাঁর সাহায্য ছাড়া আমার সবক্ষেত্রে চলা কঠিন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধান, শিক্ষক ও সহপাঠীরা আমাকে সহযোগিতা করে। সাহস জোগায়। আর্থিক সমস্যা থাকলেও কিছু করার থাকে না। আমি প্রতিষ্ঠিত হতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাহায্য চাই।’
ফিরোজের স্নাতক পর্যায়ের সহপাঠী সোহেল রানা বলেন, ‘ফিরোজ মানসিক দিক থেকে অত্যন্ত শক্তিশালী। শারীরিক বাধা তাঁর পড়ালেখায় বাধা হতে পারেনি। মুখ দিয়ে লিখে সে প্রতিবন্ধকতাকে হার মানিয়েছে। ফিরোজ সমাজে একটা উদাহরণ।’
পাটগ্রাম আদর্শ কলেজের প্রভাষক আসিফ ইকবাল রাশেদ বলেন, ‘শারীরিক প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে শিক্ষার আলোয় আলোকিত হওয়ার প্রত্যয়ে সে যে পারে তা দেখিয়ে দিয়েছে ফিরোজ। তাঁর প্রতিষ্ঠিত হওয়ার স্বপ্ন সফল হোক এ প্রত্যাশা করি। আমরা কলেজ থেকে তাঁকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার চেষ্টা করেছি। সে খুব ভালো ছেলে।’
ফিরোজের মা বলেন, ‘জন্ম থেকে ফিরোজের হাত দুটি অচল। তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পা দিয়ে লিখেছে। পরে মুখে কলম আটকিয়ে লেখা শুরু করে। ছোট থেকে সংসারের পাশাপাশি ফিরোজের সব ব্যাপারে আমাকে খেয়াল রাখতে হয়। ফিরোজ নিজে গোসল করতে, খেতে, পোশাক পড়তে পারে না। আমাকে করে দিতে হয়।’
ফিরোজের বাবা কৃষক শাহাব উদ্দিন বলেন, ‘৫ বিঘা জমির চাষ করে চার ছেলের পড়ালেখা ও সংসার পরিচালনা করতে হয়। ফিরোজের জন্য বেশি খেয়াল রাখতে হয়। জমির আবাদ দিয়ে পরিচালনা করা কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফিরোজ অনেক কষ্ট করে পড়াশোনা করছে।’
জন্ম থেকেই ফেরদৌস আলম ফিরোজের দুই হাত অচল। তাই বলে থেমে না থেকে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পা, এর পর থেকে মুখ দিয়ে লেখা চালিয়ে গেছেন। ১৯৯৮ সালে জন্ম নেওয়া এই অদম্য তরুণ এভাবেই অনার্স পাস করেছেন।
ফিরোজের জন্ম লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়নের কাউয়ামারী গ্রামে। তাঁর বাবার নাম শাহাব উদ্দিন। চার ভাইয়ের মধ্যে ফিরোজ সবার বড়।
ফিরোজ ২০১৩ সালে কাউয়ামারী আপ্তার প্রধান হোসেন উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এস. এস. সি পাস করেন। ২০১৫ সালে পাটগ্রাম আদর্শ কলেজ থেকে এইচ. সি. পাস করেন। একই কলেজ থেকে ২০১৯ সালে অনার্স পাস করেছেন; এবার মাস্টার্সের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ফিরোজের তিন ভাইও উপজেলার অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করছেন।
ফিরোজ বলেন, ‘যেহেতু দুটি হাত অচল অবস্থায় আমার জন্ম। ছোট থেকে সংগ্রাম করে অদম্য ইচ্ছে আর মনোবলকে সঙ্গী করে পড়াশোনা করছি। নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে মানসিক পিছুটানকে পাত্তা না দিয়ে সবক্ষেত্রে সংগ্রাম আর কষ্ট হলেও মুখ দিয়ে লিখে অনার্স পাস করেছি। নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পড়া-লেখা চালিয়ে যেতে চাই। বেঁচে আছি অনেক স্বপ্ন নিয়ে।’ তিনি আরও বলেন, ‘জন্ম থেকে মা-বাবা আমার জন্য কষ্ট সহ্য করছেন। এখনো করছেন। তাঁর সাহায্য ছাড়া আমার সবক্ষেত্রে চলা কঠিন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধান, শিক্ষক ও সহপাঠীরা আমাকে সহযোগিতা করে। সাহস জোগায়। আর্থিক সমস্যা থাকলেও কিছু করার থাকে না। আমি প্রতিষ্ঠিত হতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাহায্য চাই।’
ফিরোজের স্নাতক পর্যায়ের সহপাঠী সোহেল রানা বলেন, ‘ফিরোজ মানসিক দিক থেকে অত্যন্ত শক্তিশালী। শারীরিক বাধা তাঁর পড়ালেখায় বাধা হতে পারেনি। মুখ দিয়ে লিখে সে প্রতিবন্ধকতাকে হার মানিয়েছে। ফিরোজ সমাজে একটা উদাহরণ।’
পাটগ্রাম আদর্শ কলেজের প্রভাষক আসিফ ইকবাল রাশেদ বলেন, ‘শারীরিক প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে শিক্ষার আলোয় আলোকিত হওয়ার প্রত্যয়ে সে যে পারে তা দেখিয়ে দিয়েছে ফিরোজ। তাঁর প্রতিষ্ঠিত হওয়ার স্বপ্ন সফল হোক এ প্রত্যাশা করি। আমরা কলেজ থেকে তাঁকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার চেষ্টা করেছি। সে খুব ভালো ছেলে।’
ফিরোজের মা বলেন, ‘জন্ম থেকে ফিরোজের হাত দুটি অচল। তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পা দিয়ে লিখেছে। পরে মুখে কলম আটকিয়ে লেখা শুরু করে। ছোট থেকে সংসারের পাশাপাশি ফিরোজের সব ব্যাপারে আমাকে খেয়াল রাখতে হয়। ফিরোজ নিজে গোসল করতে, খেতে, পোশাক পড়তে পারে না। আমাকে করে দিতে হয়।’
ফিরোজের বাবা কৃষক শাহাব উদ্দিন বলেন, ‘৫ বিঘা জমির চাষ করে চার ছেলের পড়ালেখা ও সংসার পরিচালনা করতে হয়। ফিরোজের জন্য বেশি খেয়াল রাখতে হয়। জমির আবাদ দিয়ে পরিচালনা করা কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফিরোজ অনেক কষ্ট করে পড়াশোনা করছে।’
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) প্রসিকিউশন কার্যালয়ে দুর্নীতি সংক্রান্ত বিষয় তদন্ত করে সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ঢাকার মহানগর দায়রা জজ মো. জাকির হোসেন এই নির্দেশ দিয়েছেন।
২৮ মিনিট আগেগতকাল শনিবার (৩ মে) বেলা পৌনে ৩টার দিকে খিলক্ষেতে হোটেল লা মেরিডিয়ানের বিপরীত পাশের রেললাইনে এক যুবক আর ওই কিশোর ট্রেনে কাটা পড়ে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় আনুমানিক ২৫ বছর বয়সী ওই যুবকের। আহতাবস্থায় কিশোরটিকে পথচারীরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।
১ ঘণ্টা আগেরাজবাড়ীর পদ্মা নদীতে জেলের জালে ধরা পড়েছে ৩২ কেজি ৬০০ গ্রাম ওজনের একটি কাতল মাছ। যা বিক্রি হয়েছে ৫২ হাজার ১৬০ টাকায়।
১ ঘণ্টা আগেনরসিংদীর শিবপুরে মাকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে মাদকাসক্ত ছেলের বিরুদ্ধে। আজ রোববার সকালে উপজেলার বৈলাব গ্রামের নিজ ঘর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
২ ঘণ্টা আগে