Ajker Patrika

উজানের ঢলে তিস্তাপাড়ে ভাঙন, বিলীন হচ্ছে বসতবাড়ি

ডিমলা (নীলফামারী) প্রতিনিধি
উজানের ঢলে তিস্তাপাড়ে ভাঙন, বিলীন হচ্ছে বসতবাড়ি

তিস্তার পানি কমলেও উজানের নেমে আসা ঢলে নদীতে তীব্র স্রোত দেখা দিয়েছে। ফলে নীলফামারীর ডিমলায় আবারও তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙন ঠেকাতে পানি উন্নয়ন বোর্ড ভাঙনকবলিত এলাকায় বালুভর্তি বস্তা ফেললেও তাতেও ভাঙন রোধ করা যাচ্ছে না। 

সরেজমিনে আজ সোমবার সকাল থেকে দেখা যায়, খালিশা চা পানি ইউনিয়নের ছোটখাতা মুন্সীপাড়া গ্রামের ৭টি বসতবাড়ি ভিটাসহ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। সেই সঙ্গে ভাঙছে ফসলি জমি। তীরবর্তী এলাকা বাসিন্দারা জানান, তিস্তায় পানি কমলেও স্রোত বৃদ্ধি পাওয়ায় উপজেলার পাঁচ ইউনিয়নের নদীর তীরবর্তী এলাকায় বসবাসকারীরা ভাঙনের কারণে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। কারণ পানি কমার সঙ্গে সঙ্গেই ভাঙনের তীব্রতা শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে ঘরবাড়ি ছাড়াও বেশ কিছু আবাদি জমিও নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। 

পানিবন্দী ও ভাঙনকবলিত পরিবারগুলোর সদস্যরা জানান, গত কয়েক দিন পানিবন্দী থাকার পর শুরু হয় তিস্তার ভয়াবহ ভাঙন। আতঙ্কে ঘরবাড়ি সরাতে থাকি। এর মধ্যে অনেকের ঘরবাড়ি প্রবল স্রোতে ভেসে গেছে। 

তিস্তার পানি কমলেও উজানের নেমে আসা ঢলে নদীতে তীব্র দেখা দিয়েছে তীব্র স্রোত, ফলে নীলফামারীর ডিমলায় আবারও পাড় ভাঙন দেখা দিয়েছে। ছবি: আজকের পত্রিকাভাঙন কবলিত হানিফ আলী কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘১ দিন আগেও আমার বসতভিটা ও ফসলি জমি ছিল, আজ সব নদীতে চলে গেছে। চারদিকে পানি আর পানি। এখন পরিবার নিয়া কোথায় যাব? এখন ঘর করে কই থাকব তারও জায়গা নাই। বৃদ্ধা মা ও ছেলে মেয়েকে নিয়ে কই যাব, কি খাব তা একমাত্র আল্লাহ জানে!’ 

খালিশা চাপানি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শহীদুজ্জামান কেঞ্জুল জানান, তার ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে ছোটখাতা, চর ভেন্ডাবাড়ি, বাইশপুকুরসহ কয়েকটি গ্রামের কমপক্ষে ১০টি পরিবারের বসতবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড বিভিন্ন সময়ে বালুর বস্তা ফেললেও ভাঙন ঠেকানো যাচ্ছে না। 

চেয়ারম্যান বলেন, ‘অব্যাহত ভাঙনে তিস্তার গতিপথ পরিবর্তিত হওয়ায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। নদী ড্রেজিং করে সোজা করা না হলে ভাঙন ঠেকানো সম্ভব হবে না।’ 

তিস্তার পানি কমলেও উজানের নেমে আসা ঢলে নদীতে তীব্র দেখা দিয়েছে তীব্র স্রোত, ফলে নীলফামারীর ডিমলায় আবারও পাড় ভাঙন দেখা দিয়েছে। ছবি: আজকের পত্রিকাডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদদৌলা জানান, তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৫০ সেন্টিমিটার নিচে প্রবাহিত হলেও নদীতে স্রোতের বেগ তীব্র। ভাঙন প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। পানি বৃদ্ধি পেলে ভাঙন আরও বাড়তে পারে। 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন বলেন, ‘ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছি। নদীতে স্রোতের বেগ বেশি থাকায় বেশ কয়েকটি বাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। ভাঙন কবলিত এলাকায় থেকে লোকজনকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্তদের সার্বিক সহযোগিতা ও সার্বক্ষণিক খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

অপারেশন সিন্দুর ঘিরে আলোচিত কে এই কর্নেল সোফিয়া কুরেশি

পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে ‘প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপের’ নির্দেশ

কাশ্মীরে বিধ্বস্ত বিমানের অংশবিশেষ ফরাসি কোম্পানির তৈরি, হতে পারে রাফাল

সীমান্তে সাদা পতাকা উড়িয়ে আত্মসমর্পণের ইঙ্গিত দিয়েছে ভারত: পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী

পাকিস্তানে হামলায় ‘লোইটারিং মিউনিশনস’ ব্যবহারের দাবি ভারতের, এটি কীভাবে কাজ করে

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত