Ajker Patrika

মিথ্যা চুরির মামলায় ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তারের অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে 

প্রতিনিধি, বালিয়াডাঙ্গী (ঠাকুরগাঁও)
মিথ্যা চুরির মামলায় ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তারের অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে 

ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে চুরির মামলায় প্রকৃত আসামিকে না ধরে ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে বালিয়াডাঙ্গী থানা-পুলিশের বিরুদ্ধে। আজ সোমবার রাত ১০টার সময় বালিয়াডাঙ্গী প্রেস ক্লাবের অস্থায়ী কার্যালয়ের সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন গ্রেপ্তার হওয়া ব্যবসায়ী আবদুর রাজ্জাকের স্ত্রী রুপসানা আকতার। 

গ্রেপ্তার হওয়া ওই ব্যবসায়ী উপজেলার মহামারি গ্রামের আলিম উদ্দীন ওরফে বৈশাখুর ছেলে আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বালিয়াডাঙ্গী বাজারের মেইন রোডে দীর্ঘদিন ধরে মুদি ও মুড়ির ব্যবসা করে আসছেন।

সংবাদ সম্মেলন লিখিত বক্তব্যে তাঁর স্ত্রী বলেন, সোমবার দুপুরে বালিয়াডাঙ্গী বাজারের মেইন রোডে আমার স্বামীর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পুলিশ পরিচয়ে সাদা পোশাকে কয়েকজন লোক তাঁকে তুলে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে আমিসহ পরিবারের স্বজনেরা থানায় গিয়ে খোঁজ নেওয়ার চেষ্টা করলে আমার স্বামীর নামে চুরির মামলা রয়েছে বলে বালিয়াডাঙ্গী থানা-পুলিশ জানায়। মামলার কাগজপত্র দেখতে চাইলে ঠাকুরগাঁও আদালতে গিয়ে খোঁজ নিতে বলে।

সোমবার বিকেলে ঠাকুরগাঁও আদালতে মামলার কাগজপত্র তুলে দেখি যে,২০১১ সালের ১৬ জুন রানীশংকৈল থানায় বাইসাইকেল চুরির একটি মামলায় আমার স্বামীকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। মামলার কাগজপত্র যাচাই করে দেখি যে, প্রকৃত মামলার আসামি বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার দুওসুও ইউনিয়নের জিয়াখোর গ্রামের তসলীম উদ্দীন ওরফে বুধু মোহাম্মদের ছেলে আব্দুর রাজ্জাক। তিনি নেকমরদ বাজারে বাইসাইকেল চুরি করতে গিয়ে ধরা পরে। ওই সময় বাজারের লোকজন বাইসাইকেলসহ তাকে রানীশংকৈল থানা-পুলিশের হাতে তুলে দিলে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে আদালতে পাঠায় পুলিশ। 

দীর্ঘ ১০ বছর ওই মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে বালিয়াডাঙ্গী থানা-পুলিশ প্রকৃত আসামিকে গ্রেপ্তার না করে উপজেলার মহামারি গ্রামের আলিম উদ্দীন ওরফে বৈশাখুর ছেলে আব্দুর রাজ্জাককে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠায়।

সংবাদ সম্মেলনে তাঁর বাবা আলিম উদ্দীন ওরফে বৈশাখু জানান, আমার ছেলের বিরুদ্ধে কোন মামলা নেই। কোন অপরাধ সে করেনি। অথচ আমার ছেলেকে চোর এবং আমাকে চোরের বাবা বানিয়ে নিরপরাধ ছেলেকে কারাগারে পাঠিয়েছে। আমি আমার ছেলেকে আগামীকাল সকালের মধ্যে ফেরত চাই। সেই সঙ্গে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় না এলে উচ্চ আদালত পর্যন্ত যাব। 

মামলার কাগজপত্রে দেখা গেছে, ২০১১ সালে আব্দুর রাজ্জাক নামের আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছিল। তখন তাঁর বয়স ছিল ৩৫ বছর। ২০২১ সালে তাঁর বয়স হবে ৪৫ বছর। অথচ ব্যবসায়ী আব্দুর রাজ্জাকের জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী বয়স ৩৩ বছর। 

বালিয়াডাঙ্গী বণিক সমিতির সভাপতি ও বড়বাড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আকরাম আলী আজকের পত্রিকাকে জানান, নির্দোষ ব্যবসায়ীকে তুলে নিয়ে আদালতে পাঠানোর প্রতিবাদে আগামীকাল কর্মসূচি দেবে বালিয়াডাঙ্গী বণিক সমিতি। সংগঠনের সকলের সঙ্গে রাতেই এ নিয়ে আলোচনায় বসা হবে। 

অভিযোগ অস্বীকার করে বালিয়াডাঙ্গী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাবিবুল হক প্রধান মুঠোফোনে আজকের পত্রিকাকে জানান, সঠিক আসামিকেই গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। 

ঠাকুরগাঁও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন মুঠোফোনে আজকের পত্রিকাকে জানান, মামলার নম্বর ও তারিখ আমাকে দিন। বিষয়টি নিয়ে ওসির সঙ্গে কথা বলে জানাব।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

অরকার আক্রমণে তরুণী প্রশিক্ষকের মৃত্যু, ভাইরাল ভিডিওটি সম্পর্কে যা জানা গেল

জি এম কাদেরের সাংগঠনিক কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা ও মামলা প্রত্যাহার

ভারতকে পাকিস্তানি সেনাপ্রধানের পারমাণবিক যুদ্ধের হুমকি, যা বলল যুক্তরাষ্ট্র

প্লট–ফ্ল্যাট বরাদ্দে সচিব, এমপি, মন্ত্রী, বিচারপতিসহ যাঁদের কোটা বাতিল

জর্ডান-মিসরকে নিয়ে বৃহত্তর ইসরায়েল প্রতিষ্ঠা করতে চান নেতানিয়াহু

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত