Ajker Patrika

চিকিৎসকের অবহেলায় রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ, ফুলবাড়ী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হট্টগোল

ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
আপডেট : ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২০: ০৬
চিকিৎসকের অবহেলায় রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ, ফুলবাড়ী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হট্টগোল

দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসকের অবহেলায় দুলাল হোসেন (৪০) নামের এক রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে হাসপাতালের পুরুষ ওয়ার্ডে ওই রোগীর মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় চিকিৎসকদের বিচার দাবিতে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত রোগীর স্বজন ও স্থানীয়রা উত্তেজিত হয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে অবস্থান নিয়ে নানা স্লোগান দিতে থাকেন। 

নিহত দুলাল হোসেন উপজেলার শিবনগর ইউনিয়নের রাজারামপুর ঘাটপাড়া গ্রামের মৃত মোস্তাব আলীর ছেলে। তিনি পেশায় ভ্যানচালক ছিলেন। 

স্থানীয় সূত্র জানায়, আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে অসুস্থ বোধ করে দুলাল হোসেনকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসেন তাঁর স্ত্রী। এরপর তাঁকে হাসপাতালের পুরুষ ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়। এ সময় রোগীর স্বজনেরা চিকিৎসকের অবহেলার অভিযোগ তোলেন। বিষয়টি জানাজানি হলে রোগীর স্বজন ও স্থানীয়রা হাসপাতালের সামনে জমায়েত হয়ে হট্টগোল শুরু করেন। 

এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে হাসপাতাল চত্বরে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মশিউর রহমানের অপসারণ, দায়িত্ব অবহেলাকারী চিকিৎসক ও নার্সদের বিচার দাবিতে অবস্থান করে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন স্থানীয়রা। এ সময় পৌর মেয়র মাহমুদ আলম লিটনের হস্তক্ষেপে থানা–পুলিশের সহযোগিতায় প্রায় দুই ঘণ্টা পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয় এবং স্বজনেরা মরদেহ বাড়িতে নিয়ে যায়। 

নিহতের ছোট ভাই নূর আলম (৩৫) বলেন, ‘হাসপাতালে আমার ভাইয়ের অবস্থা ক্রমশ খারাপ হলে ডাক্তারকে ডেকেও পাওয়া যায়নি। চিকিৎসকের অবহেলাতেই ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে। আমরা এর বিচার চাই।’ 

রোগীর স্বজন ও স্থানীয়রা উত্তেজিত হয়ে হাসপাতালের সামনে অবস্থান নেন। ছবি: আজকের পত্রিকা এ বিষয়ে নার্সিং সুপারভাইজার বিলকিস বেগম বলেন, ‘ভর্তির পর জরুরি বিভাগ থেকে দেওয়া চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী তাঁকে ওষুধ খাওয়ানো হয়। এর কিছু সময় পর হঠাৎ তাঁর পরিস্থিতি খারাপ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। তার সেবায় আমাদের কোনো ত্রুটি ছিল না।’ 

জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মশিউর রহমান বলেন, ‘জরুরি মিটিংয়ে বাইরে আছি। ফিরে এসে বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে কোনো ত্রুটি থাকলে দোষীদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ 

পৌর মেয়র মাহমুদ আলম লিটন বলেন, ‘হট্টগোলের খবর পেয়ে দ্রুত হাসপাতালে আসি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা হয়েছে। পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ফিরে আসলে উভয় পক্ষকে নিয়ে আলোচনা করে বিষয়টি সমাধান করা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত