Ajker Patrika

একটি কম্বলের জন্য পাঁচ দিন ধরে ঘুরছেন তাঁরা

রানীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি
একটি কম্বলের জন্য পাঁচ দিন ধরে ঘুরছেন তাঁরা

দেশজুড়ে তীব্র শীত আর কুয়াশার দাপট চলছে। দরিদ্র মানুষেরা মোটা কাপড়ের অভাবে কাহিল হয়ে পড়েছে। রাতে শীত নিবারণের মতো কাঁথা-কম্বলও নেই অনেকের। তেমনই চার বৃদ্ধার দেখা মিলল ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয় এলাকায়।

দরিদ্র চার বৃদ্ধা একটি করে কম্বলের জন্য পাঁচ দিন ধরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দেখা পেতে তাঁর কার্যালয় এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন তাঁরা। আজ বুধবার তাঁরা উপজেলা পরিষদের মূল ফটকের সামনে বসে ছিলেন। এই প্রতিবেদক পাশ দিয়ে যাওয়ার পথে তাঁরা জানতে চান ইউএনওকে কোথায় পাওয়া যাবে। ইউএনওর খোঁজ করার কারণ জানতে চাইলে তাঁরা বলেন, ‘পাঁচ দিন ধরে ঘুরছি একটি কম্বলের জন্য। কিন্তু ইউএনওর দেখা পাচ্ছি না।’

কম্বলের জন্য ঘোরা ওই চার নারী হলেন উপজেলার নন্দুয়ার ইউনিয়নের মৃত মোহাম্মদ আলীর স্ত্রী নুরজাহান (৯৪), বাচোর ইউনিয়নের মীরডাঙ্গী গ্রামের আইজুলের স্ত্রী লতিফা খাতুন (৬০), নেকমরদ ইউনিয়নের নেকমরদ এলাকার নাইমুদ্দিনের স্ত্রী রহিমা খাতুন (৭০) ও লেহেম্বা ইউনিয়নের গোগর এলাকার আজিজের স্ত্রী বানু খাতুন।

অসহায় নুরজাহান বলেন, ‘স্বামী মারা গেছে। তা ছাড়া চার মেয়ের মধ্যে দুই মেয়েও মারা গেছে। অন্য দুই মেয়ের বিয়ে হয়েছে। তীব্র ঠান্ডায় সাহায্য তুলতে পারেন না। গায়ে একটি পুরোনো চাদর দেওয়ার মতো ছাড়া কিছুই নেই। একটি কাঁথা রয়েছে, তবে তা দিয়ে ঠান্ডা যায় না। কয়েক দিন আগে মুনিষগাঁও এলাকায় ইউএনও কম্বল দিয়েছেন। কিন্তু আমার বলার মতো লোক না থাকায় ইউএনও আমাকে কম্বল দেননি। তাই একটি কম্বল নিতে আট কিলোমিটার পারি দিয়ে ইউএনও অফিস এসেছি। কিন্তু কম্বল কেউ দেয় না।’

লতিফা খাতুন বলেন, ‘ছেলেমেয়েরা দেখে না। ঠান্ডায় রাতে ঘুমাতে পারি না। বিগত পাঁচ দিন ধরে ঘুরছি ইউএনওর কাছে একটি কম্বল নিব। কিন্তু ইউএনওর কাছে কেউ ভিড়তে দেয় না।’ একই কথা বলেন, বানু ও রহিমা খাতুন।

শীতবস্ত্র বিতরণ প্রসঙ্গে উপজেলা ত্রাণ কর্মকর্তা সামিয়েল মার্ডি বলেন, উপজেলায় অনেক মানুষ আসে। সবাইকে তো সেভাবে দেওয়া যায় না। তবে ইউএনও অনেকের বাড়ি বাড়ি গিয়ে শীতবস্ত্র বিতরণ করছেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রকিবুল হাসান জরুরি সভায় ঠাকুরগাঁও ছিলেন। মোবাইলে ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কিশোরীকে রাতভর দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ, আটক ৩

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় অটোরিকশায় উঠিয়ে নিয়ে ১৪ বছরের এক কিশোরীকে চারজনে মিলে রাতভর পালাক্রমে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এলাকাবাসী তিনজনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন এবং অপরজন পালিয়েছেন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে মুক্তাগাছা থানায় মামলা করেছেন।

আটক তিনজন হলেন উপজেলার ধিতুয়া গ্রামের রমেশ চন্দ্র দের ছেলে পংকজ দে (১৯), চাপুরিয়া গ্রামের খাইরুল হকের ছেলে রোমান (২৩) ও আব্দুর রহিমের ছেলে এমরান হোসেন (৩২)। অপর আসামি চাপুরিয়া গ্রামের আমির হোসেন (২৮) পালিয়েছেন।

মুক্তাগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিপন চন্দ্র গোপ জানান, এলাকাবাসীর সহায়তায় পুলিশ গতকাল বুধবার রাতে তিনজনকে আটক করেছে। আজ বিকেলে গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়।

ওসি আরও বলেন, আজ ভুক্তভোগীকে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অপর আসামিকে গ্রেপ্তারে তৎপরতাসহ আইনিপ্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

পুলিশ, এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগীর পরিবার জানায়, উপজেলার মানকোন ইউনিয়নের ধিতুয়া গ্রামের ১৪ বছর বয়সী এক কিশোরী ঢাকায় একটি বাসায় গৃহকর্মীর কাজ করে। গত মঙ্গলবার ওই কিশোরী ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরার পথে রাত সাড়ে ৯টার দিকে মুক্তাগাছায় বাস থেকে নামে। পরে অটোরিকশায় করে পদুরবাড়ী বাজারে নেমে সেখান থেকে পায়ে হেঁটে নিজ বাড়িতে যেতে থাকে। পথে রাত সাড়ে ৯টার দিকে প্রতিবেশী রমেন্দ্র চন্দ্র দের ছেলে পংকজ দের সঙ্গে দেখা হয়। পংকজ তাকে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে একটি অটোরিকশায় তুলে নেন। পরে তাকে অটোরিকশায় করে ভিন্ন পথে ঘুরিয়ে চাপুরি গ্রামের একটি বাঁশবাগানে নিয়ে জোরপূর্ব মুখ চেপে ধরে পংকজ ও তাঁর তিন সহযোগী—অটোচালক রোমান, আমির হোসেন ও এমরান পালাক্রমে ধর্ষণ করেন।

ভুক্তভোগী জানায়, তাঁরা স্থান পরিবর্তন করে রাতেই তাকে তিনবার পালাক্রমে ধর্ষণ করেন। একপর্যায়ে তাকে অটোরিকশায় উঠিয়ে সেখানেও ধর্ষণ করেন। পরে ভুক্তভোগীকে রাত ২টার দিকে একটি ফিশারির পাড়ে ফেলে রেখে ধর্ষকেরা পালিয়ে যান। পরদিন গতকাল বুধবার দুপুরে স্থানীয় বাসিন্দারা ওই কিশোরীকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে বাড়িতে পৌঁছে দেন।

ঘটনা জানাজানি হলে এলাকাবাসী মিলে গতকাল রাতে সালিসের কথা বলে তিন ধর্ষককে ডেকে আনেন। এ সময় ধর্ষকেরা জনসম্মুখে ধর্ষণের ঘটনা স্বীকার করেন। পরে এলাকাবাসী তাঁদের তিনজনকে বেঁধে রেখে থানা-পুলিশে খবর দেন। পুলিশ তিনজনকে থানায় নিয়ে আসে। অপর একজন বাড়ি থেকে পালিয়ে যান। গতকাল রাতেই ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে চারজনকে আসামি করে থানায় মামলা করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

নাশকতার চেষ্টা করলে জনগণ বাসাবাড়ি থেকে ধরে এনে জেলে ভরবে: জামায়াত নেতা

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট  
সিলেট মহানগর জামায়াত আয়োজিত মিছিল। ছবি: আজকের পত্রিকা
সিলেট মহানগর জামায়াত আয়োজিত মিছিল। ছবি: আজকের পত্রিকা

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও সিলেট মহানগর আমির মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম বলেছেন, ‘গণহত্যাকারী, কার্যক্রম নিষিদ্ধ, পলাতক আওয়ামী লীগ পুরোনো কায়দায় দেশে আগুন-সন্ত্রাস ও নাশকতার ষড়যন্ত্র করছে। তাঁরা পালিয়ে থেকে দেশে লকডাউনের ডাক দিয়ে নাশকতা উসকে দিচ্ছে। এর পরিণতি ভালো হবে না। আগুন-সন্ত্রাসী ও নাশকতাকারীদের রাজপথে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।’

ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে দেশ ফ্যাসিবাদমুক্ত হয়েছে উল্লেখ করে মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘এ দেশের রাজনীতিতে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ ও তাঁর দোসরদের কোনো স্থান নেই। আমরা শান্তিপ্রিয় তাই এখনো বাসাবাড়িতে নিরাপদে থাকতে পারছেন। নাশকতার চেষ্টা করলে বাসাবাড়িতেও জায়গা হবে না। জনগণ বাড়ি থেকে ধরে এনে জেলে ভরবে।’

আজ বৃহস্পতিবার সকালে নগরের মদিনা মার্কেট এলাকায় ‘আওয়ামী লীগের অগ্নিসংযোগ ও নাশকতার হুমকির’ প্রতিবাদে এবং জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ও গণভোটের দাবিতে সিলেট মহানগর জামায়াত আয়োজিত মিছিল-পরবর্তী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম বলেন, এ দেশে আওয়ামী ফ্যাসিস্টের সব গণহত্যার বিচার দ্রুত নিশ্চিত করতে হবে। জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি প্রদানে দ্রুত গণভোটের আয়োজন করতে হবে। ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে গঠিত বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে নির্বাচনের আগে সব দলের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হবে।

সিলেট সদর উপজেলা জামায়াতের আমির নাজির আহমদের পরিচালনায় সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন জেলা জামায়াত নেতা উপাধ্যক্ষ সৈয়দ ফয়জুল্লাহ বাহার, মহানগর জামায়াতের বায়তুল মাল সেক্রেটারি মুফতি আলী হায়দার, জালালাবাদ থানা আমির কারি আলাউদ্দিন, বিমানবন্দর থানা আমির শফিকুল আলম মফিক, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি তুহিন আহমদ প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সৈয়দপুরে বাসচাপায় ভ্যানচালক নিহত

সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি 
সৈয়দপুরে বিক্ষোভ। ছবি: সংগৃহীত
সৈয়দপুরে বিক্ষোভ। ছবি: সংগৃহীত

নীলফামারীর সৈয়দপুরে বাসচাপায় আবুল হোসেন (৪৭) নামের এক ভ্যানচালক নিহত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে সৈয়দপুর-নীলফামারী মহাসড়কের ওয়াপদা মোড়সংলগ্ন এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ সময় ঘণ্টাব্যাপী সড়কে যানবাহন বন্ধ হয়ে যায়।

পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। নিহত আবুল হোসেনের বাড়ি পার্শ্ববর্তী জেলা দিনাজপুরের চিনিরবন্দর উপজেলার বিন্যাকুড়ী এলাকায়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল ওয়াদুদ।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, ওই দিন দুপুরে খাবার খেয়ে বাড়ি থেকে ভ্যান নিয়ে বেরিয়ে পড়েন আবুল হোসেন। যাত্রী নিয়ে নিজ এলাকায় ফিরছিলেন। এমন সময় ডোমার ভাউলাগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা সৈয়দপুরগামী একটি বাস চাপা দিলে ঘটনাস্থলে ওই ভ্যানচালকের মৃত্যু হয়।

ওসি আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বাসটি জব্দ করা হয়েছে। তবে চালক ও চালকের সহকারী পালিয়ে যাওয়ায় আটক করা যায়নি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

দোলাইরপাড়ে কিশোরকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার ১

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

রাজধানীর দোলাইরপাড়ে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে এক কিশোরকে (১৫) আটকে রেখে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল বুধবার দোলাইরপাড়ের শেখপাড়া এলাকায় তার লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ফৌজিয়া রওশন আক্তার ওরফে প্রীতি নামের এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

নিহত কিশোরের নাম মো. বাপ্পী। তার বাবা মো. শাহজাহান পেশায় রিকশাচালক। তাদের গ্রামের বাড়ি বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার নলবুনিয়ায়। বাপ্পী মায়ের সঙ্গে যাত্রাবাড়ীর একটি কারখানায় শ্রমিকের কাজ করত।

আজ বৃহস্পতিবার নিহত ব্যক্তির বড় ভাই মো. পারভেজ জানান, গত মঙ্গলবার স্থানীয় কয়েকজন চিহ্নিত মাদক কারবারি বাপ্পীকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে এলাকার ফৌজিয়া রওশনের বাসায় নিয়ে যান। ওই নারীর বাসায় চুরির অভিযোগে বাপ্পীকে আটক রেখে নির্মমভাবে লাঠিপেটা করা হয়। তাঁদের বাসায় এসেও তল্লাশির নামে কাপড়চোপড় ও জিনিসপত্র এলোমেলো করে। কিছু না পেয়ে ফিরে যায়। সারা দিন ধরে ওকে নির্যাতন করে হত্যা করে।

পরে বুধবার সন্ধ্যায় শেখপাড়ার বায়তুল রহমত নুরানি মাদ্রাসার সামনে বাপ্পীর লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়।

যাত্রাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আসাদুজ্জামান জুয়েল বলেন, শেখপাড়ার মাদ্রাসার সামনে থেকে কিশোর বাপ্পীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, চোর সন্দেহে তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

মো. আসাদুজ্জামান জুয়েল আরও জানান, নিহত ব্যক্তির পরিবারের পক্ষ থেকে কয়েকজনকে আসামি করে যাত্রাবাড়ী থানায় হত্যা মামলা করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত