Ajker Patrika

নির্বাচনের অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করা রাজনৈতিক নেতৃত্বের দায়িত্ব: সিইসি

রংপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ১৩ ডিসেম্বর ২০২২, ০৯: ৪৫
নির্বাচনের অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করা রাজনৈতিক নেতৃত্বের দায়িত্ব: সিইসি

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, নির্বাচন কমিশনের ওপর আস্থার বিষয়ে রাজনৈতিক নেতৃত্বের নিজস্ব দায়িত্ব রয়েছে। নির্বাচন আয়োজনে দায়িত্ব পালন করবে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু রাজনৈতিক নেতৃত্বের দায়িত্ব নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা করে, সমঝোতা করে, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরিসহ অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করা। আমরা তাদের সহযোগিতা করব।

সোমবার রাতে রংপুর শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। 

প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে আমরা আশাবাদী। একটি নির্বাচনে অনেক অর্থ ও শক্তি ব্যয় হয়। ভোটাররা যেন নির্বিঘ্নে-নির্ভয়ে ভোটকেন্দ্রে এসে গোপন কক্ষে তাদের পছন্দের ব্যক্তিকে ভোট দিয়ে যেতে পারেন, সেই ব্যবস্থা নির্বাচন কমিশন করবে। এর জন্য নির্বাচন কমিশন, পুলিশ প্রশাসন, জেলা প্রশাসন কাজ করছে। আমরা প্রার্থীদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের নানা সমস্যা শুনেছি এবং বিধি অনুযায়ী সেগুলো সমাধানের চেষ্টা করছি। 

প্রিসাইডিং কর্মকর্তা নিয়োগের বিষয়ে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, একজন প্রিসাইডিং কর্মকর্তা কখনো কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকতে পারে না। যদি তিনি কোনো দলের সমর্থক হন, সেটি চুলচেরা বিশ্লেষণ করা নির্বাচন কমিশনের পক্ষে সম্ভব নয়। 

ইভিএমে সিটি নির্বাচন নিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘ইভিএম নিয়ে অনেক প্রার্থীর শঙ্কা ছিল। আজ আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলে সেই শঙ্কা দূর করেছি। ইভিএমের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ সহজ, অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচন করা সম্ভব হয়, যেটি ব্যালটে করলে কিছুটা সমস্যা হওয়ার শঙ্কা থাকবে। তবে ইভিএমে একজনের ভোট যাতে জোর করে অন্যজন দিতে না পারে, সেদিকে আমাদের কঠোর নজরদারি রয়েছে। আমরা এটি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এসেছি, আগামীতে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে থাকবে। সিটি নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য আমাদের কাছে পর্যাপ্ত ইভিএম মেশিন রয়েছে। সেগুলো দিয়েই আমরা নির্বাচন অনুষ্ঠান করব।’ 

জাতীয় নির্বাচন ১৫০ কিংবা ৩০০ আসনে ইভিএমের মাধ্যমে হবে কি না, তা সরকারের সহযোগিতার ওপর নির্ভর করছে বলে জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার।

গাইবান্ধা নির্বাচনের বিষয়ে সিইসি বলেন, গাইবান্ধার উপনির্বাচনে দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মত পুরো নির্বাচন বাতিল করা হয়েছে। আমরা প্রায় ১৩০ থেকে ১৪০ জন ভোট গ্রহণ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। সেই সঙ্গে পুলিশের দুজন কর্মকর্তা, একজন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও একজন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। তবে ওই নির্বাচনে জেলা প্রশাসন কিংবা পুলিশ প্রশাসনের তেমন গাফিলতি পাওয়া যায়নি। 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনার অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আহসান হাবীব খান, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব জাহাংগীর আলম, রংপুর বিভাগীয় কমিশনার সাবিরুল ইসলাম, মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার নুরে আলম মিনাসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা। 

প্রধান নির্বাচন কর্মকর্তা আগামীকাল মঙ্গলবার রংপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে মতবিনিময় করবেন।

উল্লেখ্য, রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে ৯ জন, কাউন্সিলর পদে ১৭৯ জন এবং সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ৬৭ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সিটি করপোরেশনের ৩৩টি ওয়ার্ডে ভোটার ৪ লাখ ২৬ হাজার ৪৬৯ জন। আগামী ২৭ ডিসেম্বর ইভিএমের মাধ্যমে সিটি নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

তোরা যারা রাজাকার, সময় থাকতে বাংলা ছাড়: ফেসবুকে বাকের মজুমদার

সমাবেশে দলীয় স্লোগান ও জাতীয় সংগীত পরিবেশনে বাধা দেওয়া প্রসঙ্গে এনসিপির বিবৃতি

কঠোর হচ্ছে যুক্তরাজ্যের অভিবাসন নীতি, স্থায়ী বসবাসের আবেদনে অপেক্ষা ১০ বছর

যুদ্ধ বলিউডের সিনেমা নয়: ভারতের সাবেক সেনাপ্রধান

রাজপথের চাপে কোনো বিচার করা সম্ভব নয়: চিফ প্রসিকিউটর

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত