Ajker Patrika

বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের স্থান পরিদর্শন করে সন্তুষ্ট ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
আপডেট : ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭: ৪২
বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের স্থান পরিদর্শন করে সন্তুষ্ট ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রাম সফরে এসে জিটুজিভিত্তিক প্রস্তাবিত ‘ভুটানিজ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল’-এর জন্য নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করেছেন ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগেল ওয়াংচুক। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে তিনি কুড়িগ্রাম পৌঁছান। নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন রাজা ওয়াংচুক। কুড়িগ্রামে রাজার সফর সঙ্গী ও বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

রাজা ওয়াংচুক ঢাকা থেকে বিমান যোগে সৈয়দপুর বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। পরে সড়কপথে কুড়িগ্রাম পৌঁছান। বেলা দেড়টার দিকে কুড়িগ্রামের ধরলার তীরবর্তী প্রস্তাবিত অর্থনৈতিক অঞ্চলের স্থান পরিদর্শন করেন। তিনি প্রায় ১৫ মিনিট অবস্থান করেন। পরে তিনি জেলার ভূরুঙ্গামারী উপজেলার সোনাহাট স্থলবন্দর পথে ভারত হয়ে ভুটানের উদ্দেশে যাত্রা করেন।

বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন সাংবাদিকদের বলেন, ‘রাজা এই জায়গাটিকে অর্থনৈতিক অঞ্চল হিসেবে গড়ে তোলার ব্যাপারে একমত হয়েছেন। জায়গাটি পরিদর্শনে এসে তিনি তাঁর পছন্দের কথা জানিয়েছেন। যৌথ উদ্যোগে অর্থনৈতিক অঞ্চলের কাজ শুরু হবে। কীভাবে এটি বাস্তবায়ন করা যায়, যত তাড়াতাড়ি কাজ শুরু করা যায় সে ব্যাপারে তিনি তাগিদ দিয়েছেন।’

চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন আরও বলেন, ‘রাজা এটিও বলেছেন, ‘‘যখন কাজ শুরু হবে, আমি নিজে আরও একবার কাজটি পরিদর্শন করতে এখানে (কুড়িগ্রামে) আসব।’’ তিনি এখানকার জায়গা ও যোগাযোগব্যবস্থা দেখে পুরোপুরি সন্তুষ্ট হয়েছেন।’

ভুটান প্রস্তাবিত অর্থনৈতিক অঞ্চলে কী ধরনের শিল্পাঞ্চল গড়ে তুলতে পারে, এমন প্রশ্নে শেখ ইউসুফ হারুন বলেন, ‘রাজা বলেছেন, স্থানীয় লোকজনের চাহিদা এবং বিনিয়োগকারীদের চাহিদার সমন্বয়ে এখানে কল-কারখানা গড়ে উঠবে। বিশেষ করে কৃষিভিত্তিক উৎপাদনশীল কারখানা গড়ে তোলা হবে।’

বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শন করেছেন ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগেল ওয়াংচুক।প্রস্তাবিত অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শনকালে ভুটানের রাজার সঙ্গে অন্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত, কুড়িগ্রাম-২ আসনের সংসদ সদস্য হামিদুল হক খন্দকার, কুড়িগ্রাম-৪ আসনের সংসদ সদস্য বিপ্লব হাসান পলাশ, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ, পুলিশ সুপার আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলাম, কুড়িগ্রাম পৌর মেয়র কাজিউল ইসলামসহ অন্য রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা।

২০২৩ সালের মে মাসে লন্ডনে ভুটানের রাজা ও রানির সঙ্গে এক দ্বিপক্ষীয় সভায় কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশ ও ভুটান সরকারের যৌথ উদ্যোগে কুড়িগ্রামে জিটুজিভিত্তিক প্রস্তাবিত ‘ভুটানিজ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল’ স্থাপনের জন্য জেলা শহরের পূর্ব প্রান্তে ধরলা ব্রিজের পূর্বে কুড়িগ্রাম-ভূরুঙ্গামারী সড়কের পূর্ব পাশে অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য জায়গা নির্ধারণ জেলা প্রশাসন ও বেজা।

জেলা সদরের ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের মাধবরাম মৌজার অন্তর্ভুক্ত ১৩৩ দশমিক ৯২ একর খাসজমি বেজাকে হস্তান্তর করেছে জেলা প্রশাসন। ধরলা ব্রিজের পূর্ব প্রান্তে সৈয়দ ফজলুল করিম (রহ.) জামিয়া ইসলামিয়া মাদ্রাসার উত্তর-পূর্ব দিকে এই খাসজমির অবস্থান। প্রয়োজনে ওই স্থানে জমি অধিগ্রহণেরও সুযোগ রয়েছে বলে জানা গেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সরকারি বাসভবনে একাই থাকতেন শরীয়তপুরের ডিসি, পরিবার থাকত ঢাকায়

কারাগারে ১০৫ মন্ত্রী-এমপি

‘তোরা তো পুলিশ মারছিস, ফাঁড়ি জ্বালাইছিস’ বলেই জুলাই যোদ্ধাকে মারধর

বুশেহরে হামলা হলে মধ্যপ্রাচ্যে ‘ফুকুশিমা’ ঘটতে পারে, বিশ্লেষকদের হুঁশিয়ারি

ইউআইইউ শিক্ষার্থীদের বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত ও পুলিশ কর্মকর্তা প্রত্যাহার

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত