বালিয়াডাঙ্গী (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি
শিউলি বেগম ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ভানোর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। ভালনারেবল উইমেন বেনিফিট (ভিডব্লিউবি) কর্মসূচির আওতায় চাল সহায়তা পাওয়ার তালিকায় তাঁর নাম রয়েছে ১০০ নম্বরে। আজ শনিবার দুপুরে তাঁর স্বামী সেনারুল ইসলাম চাল নিতে আসেন ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) কার্যালয়ে। সংশ্লিষ্ট স্লিপে লেখা ‘১০০ টাকা বাকি’।
কারণ জানতে চাইলে সেনারুল জানান, সরকারি সহায়তার এই চাল পাওয়ার জন্য ইউপি সদস্য কুলসুম আক্তারের স্বামী হানিফকে ১ হাজার টাকা ঘুষ দিতে হয়েছে। এখন পরিষদে আরও ১০০ টাকা দিতে হবে। সেটাই স্লিপে লিখে দিয়েছে।
একই ওয়ার্ডের আরেক বাসিন্দা মরিয়ম বেগমও এসেছেন চাল নিতে। তিনি জানান, তাঁর স্বামী খোরশেদ আলী ইউপি সদস্য শরিফুল ইসলামকে ১ হাজার টাকা দিয়েছেন। বাকি ১০০ টাকা দিলে ইউপি কার্যালয় থেকে ভিডব্লিউবি কর্মসূচির পাঁচ মাসের পাঁচ বস্তা (প্রতিটি ৩০ কেজি) চাল পাবেন।
এমন অভিযোগ শুধু মরিয়ম বা সেনারুলের নয়, চাল নিতে আসা প্রায় সব সুবিধাভোগীরই। প্রত্যেকে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ইউপি সদস্যকে অগ্রিম ১ হাজার টাকা এবং ইউপি কার্যালয়ে ১০০ টাকা দেওয়ার শর্তে চাল সংগ্রহের স্লিপ পেয়েছেন। এতে ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যদের স্বাক্ষর রয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের অধীনে ভিডব্লিউবি কর্মসূচির আওতায় ভানোর ইউনিয়নের ৩০৫ সুবিধাভোগীর মধ্যে চাল বিতরণ শুরু হয় শনিবার সকাল থেকে। জানুয়ারি থেকে মে—এই পাঁচ মাসের চাল দেওয়া হয়। একসঙ্গে ১৫০ কেজি চাল পাওয়ার কথা থাকায় প্রত্যেক সুবিধাভোগীর কাছ থেকে ১ হাজার টাকা করে নেন ইউপি সদস্যরা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ইউপি কার্যালয়ে চাল বিতরণ করেন ইউপিসচিব হাবিবুল্লাহ। ট্যাগ অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মমিনুর রহমান। সেখানে সুবিধাভোগীদের কাছ থেকে স্লিপ এবং অতিরিক্ত আরেকটি কাগজ জমা নেন ইউপিসচিব। ওই কাগজে লেখা, ‘চাল উত্তোলনের জন্য কাউকে টাকা দিইনি।’
এ নিয়ে কথা হলে ক্ষোভ প্রকাশ করে ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সুবিধাভোগী রূপসানা আক্তারের স্বামী এহেসান আলী বলেন, ‘মেম্বারেরা টাকা নিয়েছে আমাদের কাছ থেকে। এখন আবার আমাদের কাছ থেকেই লিখিত নিচ্ছে যে আমরা কোনো টাকা দিইনি। প্রথমে টাকা দিয়ে পাপ করেছি, এখন লিখিত দিয়ে আরও পাপ বাড়াচ্ছি। অনিয়ম এখানে নিয়মে পরিণত হয়ে গেছে।’
এ বিষয়ে কথা বলতে চাইলে উপস্থিত ইউপি সদস্যরা সাংবাদিকদের দেখে দ্রুত সটকে পড়েন। পরে একাধিক ইউপি সদস্যকে ফোন দিলেও কেউ রিসিভ করেননি। অন্যদিকে ইউপি সদস্য কুলসুম আক্তারের স্বামী হানিফ ১ হাজার টাকা করে নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘১০০ টাকা করে ইউপি কার্যালয়ে জমা দিয়ে চাল নেবেন। এই টাকা চাল আনা-নেওয়ার খরচ হিসেবে দিতে বলেছি।’
এদিকে ইউপিসচিব হাবিবুল্লাহ জানান, চালের বিপরীতে টাকা নেওয়ার বিষয়টি জানাজানি হলে সকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পলাশ কুমার দেবনাথ নিজেই এসে সুবিধাভোগীদের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁরা ইউএনওকে টাকা নেওয়ার বিষয়ে জানিয়েছেন। তারপরও সুবিধাভোগীদের কাছ থেকে ‘চাল উত্তোলনের জন্য কাউকে টাকা দিইনি’ এমন স্বীকারোক্তি কেন নিচ্ছেন—জানতে চাইলে হাবিবুল্লাহ বলেন, ‘এটা বাঁচার জন্য নিচ্ছি।’
যোগাযোগ করা হলে ইউএনও পলাশ বলেন, ‘ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। সুবিধাভোগীদের নিকট থেকে টাকা নেওয়ার বিষয়টির সত্যতা পাওয়া গেছে। ইউপিসচিবকে একটা লিখিত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। যেসব ইউপি সদস্য জড়িত, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিত আকারে জানানো হবে।’
শিউলি বেগম ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ভানোর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। ভালনারেবল উইমেন বেনিফিট (ভিডব্লিউবি) কর্মসূচির আওতায় চাল সহায়তা পাওয়ার তালিকায় তাঁর নাম রয়েছে ১০০ নম্বরে। আজ শনিবার দুপুরে তাঁর স্বামী সেনারুল ইসলাম চাল নিতে আসেন ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) কার্যালয়ে। সংশ্লিষ্ট স্লিপে লেখা ‘১০০ টাকা বাকি’।
কারণ জানতে চাইলে সেনারুল জানান, সরকারি সহায়তার এই চাল পাওয়ার জন্য ইউপি সদস্য কুলসুম আক্তারের স্বামী হানিফকে ১ হাজার টাকা ঘুষ দিতে হয়েছে। এখন পরিষদে আরও ১০০ টাকা দিতে হবে। সেটাই স্লিপে লিখে দিয়েছে।
একই ওয়ার্ডের আরেক বাসিন্দা মরিয়ম বেগমও এসেছেন চাল নিতে। তিনি জানান, তাঁর স্বামী খোরশেদ আলী ইউপি সদস্য শরিফুল ইসলামকে ১ হাজার টাকা দিয়েছেন। বাকি ১০০ টাকা দিলে ইউপি কার্যালয় থেকে ভিডব্লিউবি কর্মসূচির পাঁচ মাসের পাঁচ বস্তা (প্রতিটি ৩০ কেজি) চাল পাবেন।
এমন অভিযোগ শুধু মরিয়ম বা সেনারুলের নয়, চাল নিতে আসা প্রায় সব সুবিধাভোগীরই। প্রত্যেকে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ইউপি সদস্যকে অগ্রিম ১ হাজার টাকা এবং ইউপি কার্যালয়ে ১০০ টাকা দেওয়ার শর্তে চাল সংগ্রহের স্লিপ পেয়েছেন। এতে ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যদের স্বাক্ষর রয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের অধীনে ভিডব্লিউবি কর্মসূচির আওতায় ভানোর ইউনিয়নের ৩০৫ সুবিধাভোগীর মধ্যে চাল বিতরণ শুরু হয় শনিবার সকাল থেকে। জানুয়ারি থেকে মে—এই পাঁচ মাসের চাল দেওয়া হয়। একসঙ্গে ১৫০ কেজি চাল পাওয়ার কথা থাকায় প্রত্যেক সুবিধাভোগীর কাছ থেকে ১ হাজার টাকা করে নেন ইউপি সদস্যরা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ইউপি কার্যালয়ে চাল বিতরণ করেন ইউপিসচিব হাবিবুল্লাহ। ট্যাগ অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মমিনুর রহমান। সেখানে সুবিধাভোগীদের কাছ থেকে স্লিপ এবং অতিরিক্ত আরেকটি কাগজ জমা নেন ইউপিসচিব। ওই কাগজে লেখা, ‘চাল উত্তোলনের জন্য কাউকে টাকা দিইনি।’
এ নিয়ে কথা হলে ক্ষোভ প্রকাশ করে ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সুবিধাভোগী রূপসানা আক্তারের স্বামী এহেসান আলী বলেন, ‘মেম্বারেরা টাকা নিয়েছে আমাদের কাছ থেকে। এখন আবার আমাদের কাছ থেকেই লিখিত নিচ্ছে যে আমরা কোনো টাকা দিইনি। প্রথমে টাকা দিয়ে পাপ করেছি, এখন লিখিত দিয়ে আরও পাপ বাড়াচ্ছি। অনিয়ম এখানে নিয়মে পরিণত হয়ে গেছে।’
এ বিষয়ে কথা বলতে চাইলে উপস্থিত ইউপি সদস্যরা সাংবাদিকদের দেখে দ্রুত সটকে পড়েন। পরে একাধিক ইউপি সদস্যকে ফোন দিলেও কেউ রিসিভ করেননি। অন্যদিকে ইউপি সদস্য কুলসুম আক্তারের স্বামী হানিফ ১ হাজার টাকা করে নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘১০০ টাকা করে ইউপি কার্যালয়ে জমা দিয়ে চাল নেবেন। এই টাকা চাল আনা-নেওয়ার খরচ হিসেবে দিতে বলেছি।’
এদিকে ইউপিসচিব হাবিবুল্লাহ জানান, চালের বিপরীতে টাকা নেওয়ার বিষয়টি জানাজানি হলে সকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পলাশ কুমার দেবনাথ নিজেই এসে সুবিধাভোগীদের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁরা ইউএনওকে টাকা নেওয়ার বিষয়ে জানিয়েছেন। তারপরও সুবিধাভোগীদের কাছ থেকে ‘চাল উত্তোলনের জন্য কাউকে টাকা দিইনি’ এমন স্বীকারোক্তি কেন নিচ্ছেন—জানতে চাইলে হাবিবুল্লাহ বলেন, ‘এটা বাঁচার জন্য নিচ্ছি।’
যোগাযোগ করা হলে ইউএনও পলাশ বলেন, ‘ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। সুবিধাভোগীদের নিকট থেকে টাকা নেওয়ার বিষয়টির সত্যতা পাওয়া গেছে। ইউপিসচিবকে একটা লিখিত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। যেসব ইউপি সদস্য জড়িত, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিত আকারে জানানো হবে।’
গত জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহ থেকে ভারী বৃষ্টির কারণে নোয়াখালীর আটটি উপজেলার বেশির ভাগ এলাকায় দেখা দেয় জলাবদ্ধতা। অব্যাহত বৃষ্টি ও পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় ডুবে যায় জেলার বিভিন্ন সড়ক, মহল্লা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। জেলার ১৭৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সেই জলাবদ্ধতা এখনো রয়ে গেছে। এক মাসের বেশি এই জলাবদ্ধতায়
২৭ মিনিট আগেসরকারি কেনাকাটার ক্ষেত্রে যে ঠিকাদার সর্বনিম্ন দরে মালপত্র সরবরাহ করবেন, তাকেই কাজ দেওয়ার কথা। তবে উল্টো চিত্র দেখা যাচ্ছে রাজশাহী আঞ্চলিক দুগ্ধ ও গবাদি উন্নয়ন খামারে। এখানে সর্বনিম্ন নয়, যাঁরা সর্বোচ্চ দর দিয়েছেন—তাঁদেরই কাজ দেওয়া হয়েছে। এতে সরকারের প্রায় ৯২ লাখ টাকা বাড়তি খরচ হচ্ছে।
৩২ মিনিট আগেবিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) নিয়োগ-বাণিজ্যসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় সম্প্রতি কারাগারে যেতে হয়েছে সাবেক উপাচার্য আব্দুস সাত্তারকে। তবে এসব বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গঠিত তদন্ত কমিটি গত পাঁচ মাসেও কাজ
৩৭ মিনিট আগেউড়োজাহাজের অনলাইন টিকিট বুকিংয়ে দেশের অন্যতম প্ল্যাটফর্ম ফ্লাইট এক্সপার্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সালমান বিন রশিদ শাহ সাইমের গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরের কচুয়ার মুরাদপুর গ্রামে। এই গ্রাম, উপজেলা, এমনকি পাশের ফরিদগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দাদের কাছ থেকেও তাঁরা টাকাপয়সা হাতিয়ে নিয়েছেন ব্যবসার নামে।
১ ঘণ্টা আগে