Ajker Patrika

আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে গঙ্গাচড়া থানা ঘেরাও

গঙ্গাচড়া (রংপুর) প্রতিনিধি
আপডেট : ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১০: ২৯
আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে গঙ্গাচড়া থানা ঘেরাও

রংপুরের গঙ্গাচড়ায় গৃহবধূর আত্মহত্যার প্ররোচনা মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও থানা ঘেরাও করেছেন নিহতের স্বজন ও স্থানীয়রা। আজ শুক্রবার রাত ৮টার দিকে তাঁরা থানা ঘেরাও করেন। পরে পুলিশের পক্ষ থেকে আসামি গ্রেপ্তারের আশ্বাস পেয়ে রাত ১১টার দিকে থানা থেকে সরে যান বিক্ষোভকারীরা। 

নিহত গৃহবধূ রোকসানা বেগম উপজেলার বেতগাড়ী ইউনিয়নের চারআনী শেরপুর গ্রামের তফেল উদ্দিনের মেয়ে। 

স্থানীয় সূত্র জানায়, ১৮ বছর আগে গঙ্গাচড়া সদর ইউনিয়নের শান্তিপাড়া গ্রামের আলমগীর হোসেনের বড় ছেলে শামসুজ্জামান বাবুর (৩৯) সঙ্গে বিয়ে হয় রোকসানা বেগমের। 

রোকসানার ছোট ভাই বুলবুল মিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার বোনকে বাবু ও তাঁর পরিবারের লোকজন মিলে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করেছে। বাবু দুই বছর ধরে রিংকি নামের একটি মেয়ের সঙ্গে পরকীয়ায় লিপ্ত। আমার বোন আগেই আমাদের পরকীয়ার বিষয়টি জানায়। আমরা দুই বছরে প্রায় ৮ থেকে ১০ বার এলাকার লোকজন মিলে বাবুর বাড়িতে গিয়ে সালিস করে দিয়েছি। সালিসের কিছুদিন যেতে না যেতে আবারও শুরু হয় ওই মেয়ের সঙ্গে মেলামেশা। এ বিষয়ে আমার বোন কিছু বললেই বাবু মারধর করত। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি রিংকি নামের ওই মেয়েকে বাবু বিয়ে করে। বিষয়টি জানতে পেরে আমার বোন চিল্লাচিল্লি করে। এরপর বাবু আমার বোনকে মারপিট করে। একপর্যায়ে যখন আমার বোন জ্ঞান হারিয়ে ফেলে, তখন আমার বোনকে বিষ খাইয়ে দেয় বাবু। আমরা থানায় অনেক বার এসে পুলিশকে বিষয়টি জানানোর পরেও কোনো মামলা নিতে চায়নি পুলিশ। বাবু এলাকায় একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি। এ জন্য বাবুর নামে থানা মামলা নিতে চায় না। আমার বোন মারা যাওয়ার ৪৮ ঘণ্টা পর অনেক শর্ত সাপেক্ষে মামলা নেয় পুলিশ।’ 

১৬ ফেব্রুয়ারি আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ এনে নিহত রোকসানা বেগমের বাবা তফেল উদ্দিন বাদী হয়ে গঙ্গাচড়া মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার আসামিরা হলেন শামসুজ্জামান বাবু (৩৯), আজমীর শরিফ (২৫), আলমগীর হোসেন (৬৫), শাহীদা বেগম (৫২), রিংকি বেগম (১৯) ও রিনা বেগম (৪৫)। 

নিহতের ছেলে নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া মোরসালিন আজকের পত্রিকাকে জানায়, ‘আমার মাকে আমার বাবা তাঁর প্রেমিকার কথামতো বিষপান করিয়ে হত্যা করেছেন। মামলা হওয়ার পরও আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এখন পর্যন্ত পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এ জন্য আমরা থানায় এসেছি। আমি আমার মায়ের হত্যাকারীদের ফাঁসি চাই।’ 

এ বিষয়ে গঙ্গাচড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দুলাল হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মামলা নিয়েছি। আসামিরা যত বড় প্রভাবশালীই হোক না কেন, দ্রুত তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে সব ধরনের সহযোগিতা নেওয়া হচ্ছে। আসামিরা ঘটনার দিন থেকেই পলাতক রয়েছে। আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে তথ্যটি সঠিক নয়।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ফেল করায় বকা খেয়ে বাড়ি ছাড়ে বাংলাদেশি কিশোরী, ভারতে ৩ মাসে ২০০ লোকের ধর্ষণ

‘বিচারপতি খায়রুলকে হাতকড়া পরানো মানে পুরো বিচার বিভাগকে হাতকড়া পরানো’

রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধী আটক

কোথাও ঘুরতে ইচ্ছা করলে আমাকে জানাবে—ছাত্রীকে খুবি অধ্যাপক

আগামী সপ্তাহের মধ্যে ৫ ইসলামী ব্যাংক একীভূত করার প্রক্রিয়া শুরু: গভর্নর

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত