শিপুল ইসলাম, রংপুর
রংপুর থেকে প্রতিদিন আন্তজেলা ও দূরপাল্লার প্রায় তিন শতাধিক বাস দেশের বিভিন্ন স্থানে চলাচল করে। দফায় দফায় বিএনপি-জামায়াত হরতালের অবরোধে যাত্রী সংকটে বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে যেমন পথচারীরা দুর্ভোগের কথা জানিয়েছেন। তেমনি পরিবহন মালিক-শ্রমিকেরা বলছেন, হরতাল অবরোধে এ অঞ্চলের প্রতিদিন প্রায় ১০ লাখ টাকা লোকসান হচ্ছে। আয়হীন হয়ে পড়েছে কয়েক হাজার মোটর শ্রমিক।
রংপুর জেলা মোটর মালিক সমিতির সিনিয়র সহ-সভাপতি এ কে চৌধুরী ক্যাপ্টেন বলেন, রংপুর থেকে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রতিদিন ১০০ বাস যাতায়াত করে। আর রংপুর বিভাগের যে কয়েকটি জেলা রয়েছে সেগুলো আন্তপরিবহন চলাচল করে ১৮১টি বাস।
কয়েক দিন ধরে বাসগুলো বন্ধ থাকায় রংপুর জেলা মোটর মালিকদের প্রতিদিন প্রায় ১০ লাখ টাকা ক্ষতি হচ্ছে। যদি এই ধরনের কর্মসূচি আরও বাড়ায়, তাহলে ক্ষতির পরিমাণও বাড়বে বলে জানান তিনি।
মোটর মালিক-শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গেল ২৯ অক্টোবর সারা দেশে হরতাল ডাকে বিএনপি-জামায়াত। এরপর দিন সকাল থেকে সারাদেশের সঙ্গে রংপুরের বাস চলাচল বন্ধ ছিল। এর একদিন পর ৩১ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত টানা তিন দিনের অবরোধ কর্মসূচি পালন করে জামায়েত বিএনপি। আবারও দ্বিতীয় দফায় ৪৮ ঘন্টার অবরোধ কর্মসূচী পালন করে বিএনপি ও জামায়াত। এরই মধ্যে আবারও আগামী বুধবার থেকে দুদিনের অবরোধের ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি।
এ কারণেই রংপুরের সঙ্গে সারা দেশের বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। কয়েক দিন ধরে বাস চলাচল বন্ধ থাকায় সাধারণ যাত্রীদের যাতায়াতে যেমন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। তেমনি আর্থিক ক্ষতি গুনতে হচ্ছে বাস মালিকদের। বেকার সময় পার করছে জেলায় এই খাতে জড়িত কয়েক হাজার শ্রমিক।
সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, দ্বিতীয় দফার অবরোধ কর্মসূচির দ্বিতীয় দিন আজ সোমবার সকাল থেকে বাস চলাচল বন্ধ থাকলেও বিকেল থেকে যাত্রী নিয়ে চলাচল শুরু করেছে। সারাদিন নগরীতে তেমন লোকসমাগম ছিল না।
রংপুর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে কথা হয় পরিবহন শ্রমিক রুবেলের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘যেদিন হরতাল দিছে সেদিন থেকে গাড়ি বন্ধ আছে। মাঝে দুদিন গাড়ি চলাচল করলেও আবার অবরোধ দিয়েছে। এতে গাড়ি বন্ধ আছে। গাড়ি বন্ধ থাকলে তো আমাদের ইনকাম বন্ধ থাকবে। এমন চলতে থাকলে আমরা চলব কী করে। পরিবার নিয়ে না খেয়ে থাকতে হবে।’
আরেক পরিবহন শ্রমিক আমিন আলী বলেন, ‘গাড়ির চাকা ঘুরলে তবেই সংসার খরচের টাকা হয়। কিন্তু সেই গাড়ি চলাচল বন্ধ করে রাখছে। তরিতরকারির যে দাম কয়েকদিন ধরে খুব কষ্টে সংসার চলছে। যে অবরোধ প্যাটের ভাত কাড়ি নেয়, তাক দিয়া লাভ কি কন?’
রংপুর থেকে ঢাকাগামী বাসগুলো কামারপাড়া স্টান্ডে থাকে। সেগুলো ধুয়ে সংসারের খরচ যোগান শাহীপাড়ার সজিব রহমান। কিন্তু হরতাল অবরোধে গাড়ি বন্ধ থাকায় তাঁর আয়ের পথ বন্ধ হয়ে যায়। ঋণ করে সংসার চালাচ্ছেন।
সজিব রহমান বলেন, ‘কামারপাড়া বাসস্টান্ডে যে গাড়িগুলো আসে, সেই গাড়িগুলো ধুয়ে দিয়ে প্রতিদিন যে টাকা পাই তা দিয়ে বউ বাচ্চা নিয়ে খাই। এখন তো কয়েক দিন থেকে বাস বন্ধ আছে। সংসার খরচ চালাতে দেনাত পড়ছি। আরও কয়েকদিন এমন থাকলে না খায়া মরির না নাগবে।’
বাসচালক মোকলেছ বলেন, ‘বাস মালিকেরা তো বলে বাস বের করতে। কিন্তু রাস্তায় বের হলে যদি কোনো দুর্ঘটনা ঘটে তাহলে তো আমাদের দেখার মানুষ থাকবে না। বাস মালিক তো নতুন আরেকটা বাস পাবে; কিন্তু আমাদের কি হবে। তাই দুই দল এক হয়ে মানুষের সেবা করুক। আমরা কোনো সংঘাত চাই না।’
এইচএ পরিবহনের চালক আজিজ মিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ছেলে মেয়েদের লেখাপড়ার খরচ, সংসার চালাতে হয় গাড়ি চালিয়ে। হরতাল অবরোধ হলে রুটি রুজিতে আঘাত আসে। চালকেরা তো আর মাসিক বেতন পায় না। গাড়ি চললে টাকা পাই, না চললে টাকা পাই না। হরতাল অবরোধের মতো কর্মসূচি বেশিদিন চলতে থাকলেও কয়েক হাজার মানুষের সংসার চালাতে কষ্ট হবে। তাই আমাদের আহ্বান সাধারণ মানুষ ও শ্রমিকদের কথা চিন্তা করে রাজনৈতিক দলগুলো যেন এমন কর্মসূচি না দেয়।’
দুদিন আগে চিকিৎসক দেখাতে রংপুরে আসেন ঠাকুরগাঁও হরিপুর এলাকার শ্যামল চন্দ্র। চিকিৎসক দেখাতে রাত হয়ে যাওয়ায় আটকা পড়েন। কারণ পরদিন অবরোধ শুরু হলে বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বাস চলাচল স্বাভাবিক হলে তিনি আজ বাড়ি ফেরেন।
এ বিষয়ে রংপুর মেডিকেল মোড়ে শ্যামল চন্দ্র বলেন, ‘অবরোধের জন্য দুই দিন রংপুরোত খায়া নাখায়া পড়ি আছনু। খুব কষ্ট হইছে, বাস খুলিল শান্তি তাতে চড়ি এলা বাড়ি যাওছু।’
রংপুর থেকে প্রতিদিন আন্তজেলা ও দূরপাল্লার প্রায় তিন শতাধিক বাস দেশের বিভিন্ন স্থানে চলাচল করে। দফায় দফায় বিএনপি-জামায়াত হরতালের অবরোধে যাত্রী সংকটে বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে যেমন পথচারীরা দুর্ভোগের কথা জানিয়েছেন। তেমনি পরিবহন মালিক-শ্রমিকেরা বলছেন, হরতাল অবরোধে এ অঞ্চলের প্রতিদিন প্রায় ১০ লাখ টাকা লোকসান হচ্ছে। আয়হীন হয়ে পড়েছে কয়েক হাজার মোটর শ্রমিক।
রংপুর জেলা মোটর মালিক সমিতির সিনিয়র সহ-সভাপতি এ কে চৌধুরী ক্যাপ্টেন বলেন, রংপুর থেকে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রতিদিন ১০০ বাস যাতায়াত করে। আর রংপুর বিভাগের যে কয়েকটি জেলা রয়েছে সেগুলো আন্তপরিবহন চলাচল করে ১৮১টি বাস।
কয়েক দিন ধরে বাসগুলো বন্ধ থাকায় রংপুর জেলা মোটর মালিকদের প্রতিদিন প্রায় ১০ লাখ টাকা ক্ষতি হচ্ছে। যদি এই ধরনের কর্মসূচি আরও বাড়ায়, তাহলে ক্ষতির পরিমাণও বাড়বে বলে জানান তিনি।
মোটর মালিক-শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গেল ২৯ অক্টোবর সারা দেশে হরতাল ডাকে বিএনপি-জামায়াত। এরপর দিন সকাল থেকে সারাদেশের সঙ্গে রংপুরের বাস চলাচল বন্ধ ছিল। এর একদিন পর ৩১ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত টানা তিন দিনের অবরোধ কর্মসূচি পালন করে জামায়েত বিএনপি। আবারও দ্বিতীয় দফায় ৪৮ ঘন্টার অবরোধ কর্মসূচী পালন করে বিএনপি ও জামায়াত। এরই মধ্যে আবারও আগামী বুধবার থেকে দুদিনের অবরোধের ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি।
এ কারণেই রংপুরের সঙ্গে সারা দেশের বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। কয়েক দিন ধরে বাস চলাচল বন্ধ থাকায় সাধারণ যাত্রীদের যাতায়াতে যেমন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। তেমনি আর্থিক ক্ষতি গুনতে হচ্ছে বাস মালিকদের। বেকার সময় পার করছে জেলায় এই খাতে জড়িত কয়েক হাজার শ্রমিক।
সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, দ্বিতীয় দফার অবরোধ কর্মসূচির দ্বিতীয় দিন আজ সোমবার সকাল থেকে বাস চলাচল বন্ধ থাকলেও বিকেল থেকে যাত্রী নিয়ে চলাচল শুরু করেছে। সারাদিন নগরীতে তেমন লোকসমাগম ছিল না।
রংপুর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে কথা হয় পরিবহন শ্রমিক রুবেলের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘যেদিন হরতাল দিছে সেদিন থেকে গাড়ি বন্ধ আছে। মাঝে দুদিন গাড়ি চলাচল করলেও আবার অবরোধ দিয়েছে। এতে গাড়ি বন্ধ আছে। গাড়ি বন্ধ থাকলে তো আমাদের ইনকাম বন্ধ থাকবে। এমন চলতে থাকলে আমরা চলব কী করে। পরিবার নিয়ে না খেয়ে থাকতে হবে।’
আরেক পরিবহন শ্রমিক আমিন আলী বলেন, ‘গাড়ির চাকা ঘুরলে তবেই সংসার খরচের টাকা হয়। কিন্তু সেই গাড়ি চলাচল বন্ধ করে রাখছে। তরিতরকারির যে দাম কয়েকদিন ধরে খুব কষ্টে সংসার চলছে। যে অবরোধ প্যাটের ভাত কাড়ি নেয়, তাক দিয়া লাভ কি কন?’
রংপুর থেকে ঢাকাগামী বাসগুলো কামারপাড়া স্টান্ডে থাকে। সেগুলো ধুয়ে সংসারের খরচ যোগান শাহীপাড়ার সজিব রহমান। কিন্তু হরতাল অবরোধে গাড়ি বন্ধ থাকায় তাঁর আয়ের পথ বন্ধ হয়ে যায়। ঋণ করে সংসার চালাচ্ছেন।
সজিব রহমান বলেন, ‘কামারপাড়া বাসস্টান্ডে যে গাড়িগুলো আসে, সেই গাড়িগুলো ধুয়ে দিয়ে প্রতিদিন যে টাকা পাই তা দিয়ে বউ বাচ্চা নিয়ে খাই। এখন তো কয়েক দিন থেকে বাস বন্ধ আছে। সংসার খরচ চালাতে দেনাত পড়ছি। আরও কয়েকদিন এমন থাকলে না খায়া মরির না নাগবে।’
বাসচালক মোকলেছ বলেন, ‘বাস মালিকেরা তো বলে বাস বের করতে। কিন্তু রাস্তায় বের হলে যদি কোনো দুর্ঘটনা ঘটে তাহলে তো আমাদের দেখার মানুষ থাকবে না। বাস মালিক তো নতুন আরেকটা বাস পাবে; কিন্তু আমাদের কি হবে। তাই দুই দল এক হয়ে মানুষের সেবা করুক। আমরা কোনো সংঘাত চাই না।’
এইচএ পরিবহনের চালক আজিজ মিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ছেলে মেয়েদের লেখাপড়ার খরচ, সংসার চালাতে হয় গাড়ি চালিয়ে। হরতাল অবরোধ হলে রুটি রুজিতে আঘাত আসে। চালকেরা তো আর মাসিক বেতন পায় না। গাড়ি চললে টাকা পাই, না চললে টাকা পাই না। হরতাল অবরোধের মতো কর্মসূচি বেশিদিন চলতে থাকলেও কয়েক হাজার মানুষের সংসার চালাতে কষ্ট হবে। তাই আমাদের আহ্বান সাধারণ মানুষ ও শ্রমিকদের কথা চিন্তা করে রাজনৈতিক দলগুলো যেন এমন কর্মসূচি না দেয়।’
দুদিন আগে চিকিৎসক দেখাতে রংপুরে আসেন ঠাকুরগাঁও হরিপুর এলাকার শ্যামল চন্দ্র। চিকিৎসক দেখাতে রাত হয়ে যাওয়ায় আটকা পড়েন। কারণ পরদিন অবরোধ শুরু হলে বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বাস চলাচল স্বাভাবিক হলে তিনি আজ বাড়ি ফেরেন।
এ বিষয়ে রংপুর মেডিকেল মোড়ে শ্যামল চন্দ্র বলেন, ‘অবরোধের জন্য দুই দিন রংপুরোত খায়া নাখায়া পড়ি আছনু। খুব কষ্ট হইছে, বাস খুলিল শান্তি তাতে চড়ি এলা বাড়ি যাওছু।’
সাংবাদিক মো. ফজলে রাব্বি বলেন, `আমরা পেশাগত দায়িত্ব থেকে তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে সংবাদ প্রকাশ করেছি। এ মামলা হয়রানিমূলক এবং সাংবাদিকদের কণ্ঠরোধের চেষ্টা। অবিলম্বে এই হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।’
৫ মিনিট আগে৫ মিনিট ২১ সেকেন্ডের ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, শনিবার রাত ৯টার দিকে বুড়িরহাট উচ্চবিদ্যালয় মাঠে ভ্যানের ওপর শোয়া রুপলাল ও প্রদীপ লাল। ভ্যানটির তিন দিকে পুলিশ সদস্য। পুলিশ সদস্যরা হাত তুলে বাঁশিতে ফু দিয়ে লোকজনকে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করছে। এতেই হৈ-চৈ বেড়ে যায়। পুলিশের সামনেই রুপলাল-প্রদীপকে মারধর শুর
১২ মিনিট আগেপানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানিয়েছে, সকালে ৬টায় পানির উচ্চতা ছিল ৫২ দশমিক ২২ মিটার, যা ছিল বিপৎসীমার ৭ সেন্টিমিটার ওপরে। সকাল ৯টার দিকে কিছুটা কমে তা এসে দাঁড়ায় বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার ওপরে। বিপৎসীমা অতিক্রম করায় ব্যারেজের ৪৪টি জলকপাট খুলে দেয়া হয়েছে।
৩৬ মিনিট আগেসরেজমিনে জানা যায়, থানচিতে মোট চারটি গণশৌচাগার রয়েছে। এর মধ্যে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) এবং বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের অর্থায়নে নির্মিত দুটি শৌচাগার ব্যবসায়ীরা ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করছেন। একটি শৌচাগার বন্যার পানিতে নষ্ট হয়ে গেছে এবং আরেকটি তালাবদ্ধ অবস্থায় পড়ে আছে।
৩৯ মিনিট আগে