গঙ্গাচড়া (রংপুর) প্রতিনিধি
লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে বিদ্যুৎ অফিসে হামলা ও ভাঙচুর চালানো হয়েছে। সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদের ছেলে রাকিবুজ্জামান আহমেদের সঙ্গে দেখা না করায় গতকাল মঙ্গলবার এই হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ করেন কালীগঞ্জ উপজেলা বিদ্যুৎ অফিসের (নেসকো) নির্বাহী প্রকৌশলী রবি চন্দ্র দাস। তবে রাকিবুজ্জামান আহমেদ এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, তাঁর নাম ব্যবহার করে কেউ অন্যায় কাজ করলে এর দায় তাঁর নয়।
নির্বাহী প্রকৌশলী রবি চন্দ্র দাস সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাকে সমাজকল্যাণমন্ত্রীর ছেলে রাকিবুজ্জামান আহমেদ বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন লোকের মাধ্যমে ডেকে পাঠান। আমি কেন তাঁর ডাকে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে যাইনি, এ জন্য আজ (মঙ্গলবার) অফিসে এসে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শরিফুল আমার ওপর চড়াও হন। তিনি আমাকে বলেন, বাইরে থেকে চাকরি করতে আসিস। তোর কোন বাপ তোকে আজ বাঁচাবে তাই দেখব—এই বলে আমার ওপর হামলা করে এবং অফিস ভাঙচুর করে।’
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, গতকাল মঙ্গলবার বেলা ২টার দিকে কালীগঞ্জ নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (নেসকো) অফিসে যান উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শরিফুল ও তুষভান্ডার ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য নূরুন্নবীর নেতৃত্বে আট-দশজন। তাঁরা নির্বাহী প্রকৌশলী রবি চন্দ্র দাসের কক্ষে ঢুকে জানতে চান, মন্ত্রীর ছেলে ডাকার পরও তিনি কেন তাঁর সঙ্গে দেখা করতে যাননি। এত সাহস তিনি কোথায় পেলেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এ সময় রবি চন্দ্র দাসকে অকথ্য ভাষায় গালাগালসহ জামায়াত-শিবিরের লোক আখ্যা দিয়ে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়। ২০ মিনিটের মধ্যে মন্ত্রীর ছেলে রাকিবুজ্জামান আহমেদের কাছে ক্ষমা চেয়ে আসতে বলেন তাঁরা। একপর্যায়ে তাঁরা অফিসের আলমারি, ডিজিটাল হাজিরা মেশিন ভাঙচুর করেন। এ সময় উপ-সহকারী প্রকৌশলী ও কর্মচারীদেরও মারধর করা হয়।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শরিফুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি তো কিছুই জানি না ভাই। কেন জানি এরা আমার নামে ষড়যন্ত্র করতেছে। আমি তো কিছুই বুঝতেছি না। আমি আজ দুপুরে আমার বন্ধুর ছোট ভাইয়ের বউভাতের দাওয়াতে গেছিলাম। আর আমি যে ওখানে গিয়ে ভাঙচুর করেছি, তার কোনো ছবি আছে তাদের কাছে? আমি বিদ্যুৎ অফিসে যাইনি।’
সমাজকল্যাণমন্ত্রীর ছেলে রাকিবুজ্জামান আহমেদও অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার সঙ্গে তাঁকে দেখা করতে হবে কেন? আর আমি তাঁকে ডাকছি তার কোনো প্রমাণ আছে? আমার বাবা একজন মন্ত্রী আর আমি একটা দায়িত্বের জায়গা থেকে এ ধরনের কাজ কেন করব? তিনি যে সরকারবিরোধী লোক, তা তাঁর বক্তব্যেই বোঝা যায়।’
অফিস ভাঙচুরের বিষয়ে জানতে চাইলে রাকিবুজ্জামান আহমেদ বলেন, ‘কেউ যদি আমার নাম ভাঙায়, সেই দায় কি আমার?’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমতিয়াজ কবির আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিষয়টি জানি, কিন্তু এখন পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ করেননি।’
কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জহির ইমাম এ বিষয়ে বলেন, ‘ভাঙচুরের বিষয়টি শুনেছি। তবে অফিশিয়ালি কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি।’
লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে বিদ্যুৎ অফিসে হামলা ও ভাঙচুর চালানো হয়েছে। সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদের ছেলে রাকিবুজ্জামান আহমেদের সঙ্গে দেখা না করায় গতকাল মঙ্গলবার এই হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ করেন কালীগঞ্জ উপজেলা বিদ্যুৎ অফিসের (নেসকো) নির্বাহী প্রকৌশলী রবি চন্দ্র দাস। তবে রাকিবুজ্জামান আহমেদ এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, তাঁর নাম ব্যবহার করে কেউ অন্যায় কাজ করলে এর দায় তাঁর নয়।
নির্বাহী প্রকৌশলী রবি চন্দ্র দাস সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাকে সমাজকল্যাণমন্ত্রীর ছেলে রাকিবুজ্জামান আহমেদ বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন লোকের মাধ্যমে ডেকে পাঠান। আমি কেন তাঁর ডাকে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে যাইনি, এ জন্য আজ (মঙ্গলবার) অফিসে এসে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শরিফুল আমার ওপর চড়াও হন। তিনি আমাকে বলেন, বাইরে থেকে চাকরি করতে আসিস। তোর কোন বাপ তোকে আজ বাঁচাবে তাই দেখব—এই বলে আমার ওপর হামলা করে এবং অফিস ভাঙচুর করে।’
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, গতকাল মঙ্গলবার বেলা ২টার দিকে কালীগঞ্জ নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (নেসকো) অফিসে যান উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শরিফুল ও তুষভান্ডার ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য নূরুন্নবীর নেতৃত্বে আট-দশজন। তাঁরা নির্বাহী প্রকৌশলী রবি চন্দ্র দাসের কক্ষে ঢুকে জানতে চান, মন্ত্রীর ছেলে ডাকার পরও তিনি কেন তাঁর সঙ্গে দেখা করতে যাননি। এত সাহস তিনি কোথায় পেলেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এ সময় রবি চন্দ্র দাসকে অকথ্য ভাষায় গালাগালসহ জামায়াত-শিবিরের লোক আখ্যা দিয়ে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়। ২০ মিনিটের মধ্যে মন্ত্রীর ছেলে রাকিবুজ্জামান আহমেদের কাছে ক্ষমা চেয়ে আসতে বলেন তাঁরা। একপর্যায়ে তাঁরা অফিসের আলমারি, ডিজিটাল হাজিরা মেশিন ভাঙচুর করেন। এ সময় উপ-সহকারী প্রকৌশলী ও কর্মচারীদেরও মারধর করা হয়।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শরিফুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি তো কিছুই জানি না ভাই। কেন জানি এরা আমার নামে ষড়যন্ত্র করতেছে। আমি তো কিছুই বুঝতেছি না। আমি আজ দুপুরে আমার বন্ধুর ছোট ভাইয়ের বউভাতের দাওয়াতে গেছিলাম। আর আমি যে ওখানে গিয়ে ভাঙচুর করেছি, তার কোনো ছবি আছে তাদের কাছে? আমি বিদ্যুৎ অফিসে যাইনি।’
সমাজকল্যাণমন্ত্রীর ছেলে রাকিবুজ্জামান আহমেদও অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার সঙ্গে তাঁকে দেখা করতে হবে কেন? আর আমি তাঁকে ডাকছি তার কোনো প্রমাণ আছে? আমার বাবা একজন মন্ত্রী আর আমি একটা দায়িত্বের জায়গা থেকে এ ধরনের কাজ কেন করব? তিনি যে সরকারবিরোধী লোক, তা তাঁর বক্তব্যেই বোঝা যায়।’
অফিস ভাঙচুরের বিষয়ে জানতে চাইলে রাকিবুজ্জামান আহমেদ বলেন, ‘কেউ যদি আমার নাম ভাঙায়, সেই দায় কি আমার?’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমতিয়াজ কবির আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিষয়টি জানি, কিন্তু এখন পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ করেননি।’
কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জহির ইমাম এ বিষয়ে বলেন, ‘ভাঙচুরের বিষয়টি শুনেছি। তবে অফিশিয়ালি কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি।’
রাজধানীর রামপুরা ব্রিজের দুই রেলিং ঢুকে আছে একটি বাসের মাঝ বরাবর। যাত্রী নিতে আরেক বাসের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নেমে চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে ‘রইছ’ নামের বাসটির এই দশা হয়। ৪ জুন সকালের এই দুর্ঘটনায় বাসটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। যাত্রী বেশি নিতে বাসচালকদের অসুস্থ প্রতিযোগিতা, লক্কড়ঝক্কড় ও ফিটনেসবিহীন বাস দুর্ঘটনা
১ ঘণ্টা আগেগোপালগঞ্জ জেলা শহরের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সড়কে বছরের পর বছর বাস, ট্রাক ও মাইক্রোবাস পার্ক করে রাখা হচ্ছে। বিভিন্ন সড়কের এক লেন দখল করে রাখা হচ্ছে এসব যানবাহন। এতে প্রতিদিন যানজটসহ নানা ভোগান্তিতে পড়ছে মানুষ। মালিক-শ্রমিকেরা বলছেন, নির্ধারিত স্ট্যান্ড না থাকায় বাধ্য হয়ে রাস্তায় গাড়ি রাখছেন তাঁরা।
২ ঘণ্টা আগেআলুতে বছরের পর বছর লাভ করে অভ্যস্ত জয়পুরহাটের কৃষক ও ব্যবসায়ীরা। তবে এবার পড়েছেন বড় ধরনের বিপাকে। একদিকে বাজারে আলুর দাম অস্থির, অন্যদিকে হিমাগারে সংরক্ষণ ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় হিমশিম খাচ্ছেন সবাই। সংরক্ষণ মৌসুমের শুরুতে স্থানীয় প্রশাসনের চাপে ভাড়া না বাড়াতে বাধ্য হলেও পরে কিছু হিমাগারের মালিক নানা অজুহা
২ ঘণ্টা আগেনীলফামারীর সৈয়দপুরে চলছে জুয়ার জমজমাট আসর। উপজেলার দেড় শতাধিক স্থানে এসব আসর বসে বলে জানা গেছে। প্রতিদিন ২০-৩০ লাখ টাকা লেনদেন হয় এসব আসরে। সেই হিসাবে প্রতি মাসে জুয়াড়িদের কাছে হাতবদল হয় ৬ থেকে ৯ কোটি টাকা। এদিকে, জুয়ার কারণে অনেক পরিবার সর্বস্বান্ত হচ্ছে। জুয়ার টাকা সংগ্রহ করতে গিয়ে এলাকায় বেড়েছে
২ ঘণ্টা আগে