রাহুল শর্মা, ঢাকা

দেশে মানসম্মত শিক্ষার ঘাটতি আছে। রয়েছে কর্মসংস্থানের অভাব, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অস্থিরতা। এতে তরুণদের বড় অংশের মধ্যে ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা কাজ করছে। এমন পরিস্থিতিতে উন্নত ভবিষ্যতের আশায় বিদেশমুখী হচ্ছেন তরুণ মেধাবী শিক্ষার্থীরা। জাতিসংঘ শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থার (ইউনেসকো) তথ্য বলছে, উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে যাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা এক দশকে দ্বিগুণের বেশি বেড়েছে। অন্যদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, বিগত ৯ অর্থবছরে শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে বৈধ চ্যানেলে দেশ থেকে বেরিয়ে গেছে প্রায় ৩১১ কোটি ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩০ হাজার ২৭৭ কোটি টাকা (হিসাবটি গত ৯টি অর্থবছরের ডলারের দর অনুযায়ী)।
শিক্ষার্থীদের দেশ ছাড়ার প্রবণতা বাড়ার কারণ জানতে বিদেশে পড়াশোনা করা শিক্ষার্থী, বিদেশে পড়তে যেতে ইচ্ছুক শিক্ষার্থী এবং তাঁদের অভিভাবক, শিক্ষকসহ অন্তত ৩০ জনের সঙ্গে কথা বলেছে আজকের পত্রিকা। তাঁরা মোটাদাগে পাঁচটি কারণের কথাই বলেছেন। কারণগুলো হলো মানসম্মত উচ্চশিক্ষার অভাব, কর্মসংস্থানের ঘাটতি ও বেকারত্ব বৃদ্ধি, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা, উন্নত ভবিষ্যতের হাতছানি এবং নিরাপদ ও আধুনিক জীবনযাত্রার আকাঙ্ক্ষা। এর সঙ্গে একমত শিক্ষাবিদেরাও। তাঁরা বলছেন, দেশে উচ্চশিক্ষার মান ও গবেষণার সুযোগ এবং কর্মসংস্থান না বাড়লে এই প্রবণতা আরও বাড়বে।
সার্বিক বিষয়ে মন্তব্য জানতে শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব রেহানা পারভীনের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য একাধিকবার চেষ্টা করা হলেও তাঁরা সাড়া দেননি। পরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিশ্ববিদ্যালয় শাখায় যোগাযোগ করা হলে তাঁরা দেশের উচ্চশিক্ষা দেখভালের দায়িত্বে থাকা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সঙ্গে যোগাযোগের পরামর্শ দেন।
জানতে চাইলে ইউজিসি সদস্য ১৯ অক্টোবর অধ্যাপক ড. মো. সাইদুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আপাতদৃষ্টে যে চিত্র আপনারা তুলে এনেছেন, তার সঙ্গে আমি একমত।’ মানসম্মত উচ্চশিক্ষার বিষয়টি সামগ্রিক শিক্ষার ওপর নির্ভর করে জানিয়ে তিনি বলেন, প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিকে যে শিক্ষার ঘাটতি তৈরি হয়েছে, এর প্রভাব পড়ছে উচ্চশিক্ষায়। এটা সত্য যে দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চ-শিক্ষার মান এক নয়; বিশেষ করে নতুন প্রতিষ্ঠিত হওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মান নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।
কেন বিদেশমুখীনতা
গত এক সপ্তাহে রাজধানীর গুলশান ও বনানীতে অবস্থিত ভিএফএস গ্লোবাল (বিভিন্ন দেশের সরকার ও দূতাবাসের জন্য ভিসা আবেদন প্রক্রিয়াকরণে সহায়তাকারী প্রতিষ্ঠান) অফিসের সামনে অন্তত ১৫ জন শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা হয় এই প্রতিবেদকের। তাঁরা সবাই এখানে এসেছেন উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে যেতে ভিসার আবেদন জমা দেওয়ার জন্য।
উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে যাওয়ার উদ্দেশ্য জানতে চাইলে ওই সব শিক্ষার্থীর ভাষ্য, দেশে পর্যাপ্ত কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা নেই, অথবা যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরি পাওয়ার নিশ্চয়তা নেই। কেউ কেউ দেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অস্থিরতার বিষয়টি বিবেচনা করে উন্নত ভবিষ্যৎ, আধুনিক ও নিরাপদ জীবনের জন্য বিদেশকে বেছে নিচ্ছেন বলে জানান।
গুলশানে ভিএফএস গ্লোবাল অফিসের সামনে কথা হয় ২০২৪ সালে ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাস করা শাখাওয়াত হোসেনের সঙ্গে। তিনি জানান, দেশে পড়াশোনার মান দিন দিন কমছে। তাই পরিবার চাইছে বিদেশে উচ্চশিক্ষা শেষে সেখানেই ক্যারিয়ার গড়তে। আর দেশের পরিস্থিতি তো দিন দিন খারাপ হচ্ছে, তাই না?
দেশের উচ্চশিক্ষার মান কমার বিষয়টি উঠে এসেছে বিশ্বব্যাংকের চলতি বছর প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একটি শিশু ১৮ বছর বয়সে সাধারণত ১১ বছর মেয়াদি আনুষ্ঠানিক শিক্ষা সম্পন্ন করে (প্রথম শ্রেণি থেকে একাদশ শ্রেণি)। কিন্তু বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের শেখার মান আন্তর্জাতিক মানদণ্ড বিবেচনায় ৬ দশমিক ৫ বছরের সমতুল্য। অর্থাৎ শিক্ষায় আন্তর্জাতিক মানে অন্তত সাড়ে ৪ বছর পিছিয়ে বাংলাদেশ।
বিদেশে পড়াশোনা শেষে সেখানেই স্থায়ী হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যায় স্নাতকোত্তর পাস করা মো. শাহরিয়ার। কথা হলে তিনি জানান, দেশে চাকরির নিশ্চয়তা কম। এ ছাড়া যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরিও পাওয়া যাচ্ছে না। তাই সব মিলিয়ে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) পরিচালিত সর্বশেষ শ্রমশক্তি জরিপের তথ্য বলছে, ২০২৪ সালে দেশে মোট ২৬ লাখ ২৪ হাজার বেকার ছিলেন। তাঁদের মধ্যে ৮ লাখ ৮৫ হাজার ছিলেন স্নাতক ডিগ্রিধারী।
ভিসার আবেদন জমা দিতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট থেকে পাস করা জহির রায়হান জয়ের সঙ্গে এসেছিলেন তাঁর বাবা তবিরুল রায়হান। উচ্চশিক্ষার জন্য ছেলেকে বিদেশে পাঠানো প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘দিন দিন আমাদের পড়ালেখার মান কমে যাচ্ছে। এ তো সবাই জানে। তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছি, ছেলেকে বিদেশে পড়তে পাঠাব। পড়াশোনা শেষে যেন সে সেখানেই চাকরি পায়।’
সম্প্রতি উচ্চশিক্ষার জন্য ইউরোপের দেশ সুইডেনে গিয়েছেন সাইম আখন্দ। উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশকে বেছে নেওয়ার কারণ জানতে চাইলে সেখান থেকে তিনি এ প্রতিবেদককে জানান, বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা যুগোপযোগী নয়, বিশ্ববাজারে প্রতিযোগিতা করার মতো নয়। এ জন্যই বিদেশে উচ্চশিক্ষা নিতে আসা।
উচ্চশিক্ষার জন্য মেধাবীদের বিদেশে যাওয়ার প্রবণতা বাড়ার পেছনে পাঁচ কারণের সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. মো. আলী জিন্নাহ। তাঁর মতে, এই কারণগুলোর পাশাপাশি আরও কিছু ছোটখাটো কারণ থাকতে পারে।
আলী জিন্নাহ বলেন, রাজনৈতিক অস্থিরতা তো আছেই, ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা ও ঝুঁকি, কর্মসংস্থানের ঘাটতি, উপযুক্ত সম্মান, মেধার ভিত্তিতে চাকরি পাওয়ার নিশ্চয়তা না থাকা, বসবাসের অনুপযুক্ততা, জীবনমান নিম্নমুখী হওয়া—এমন বহুমাত্রিক কারণে দেশ ছাড়ছেন মেধাবী শিক্ষার্থীরা। মেধাবীদের দেশে রাখতে উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন বলেও মনে করেন এই অধ্যাপক।
একই ভাষ্য ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক মনজুর আহমেদের। তিনি বলেন, ‘আমাদের শিক্ষা-দীক্ষার অবস্থা খুবই শোচনীয়। যোগ্যতা অনুযায়ী উপযুক্ত কর্মসংস্থানেরও ঘাটতি রয়েছে। এগুলোই প্রধান কারণ। এ ছাড়া রাজনৈতিক, সামাজিক নানান সংকট তো রয়েছেই।’
বছরে বিদেশে যান অর্ধলক্ষাধিক শিক্ষার্থী
ইউনেসকোর সর্বশেষ ‘গ্লোবাল ফ্লো অব টারশিয়ারি লেভেল স্টুডেন্টস’ শীর্ষক প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, ২০২৩ সালে বাংলাদেশ থেকে ৫৫টি দেশে পড়াশোনার জন্য গেছেন ৫২ হাজার ৭৯৯ শিক্ষার্থী। ২০২২ সালে এই সংখ্যা ছিল ৪৯ হাজার ১৫১ আর ২০২১ সালে ৪৪ হাজার ৩৩৮ জন। এ সংখ্যা ২০১৩ সালে ছিল ২৪ হাজার ১১২ জন।
তথ্য বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, ২০১৩ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত অর্থাৎ ১০ বছরের ব্যবধানে উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে যাওয়া শিক্ষার্থী বেড়েছে দ্বিগুণের বেশি।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, এ সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে। অ্যাডমিশন অ্যান্ড ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট কনসালট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. জুলফিকার আলী জুয়েল বলেন, ইউনেসকোর যে পরিসংখ্যান, তার চেয়ে বেশিসংখ্যক শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে গেছেন।
রাজধানীতে আইইএলটিএস ও জিআরই কোচিং করায় এমন প্রতিষ্ঠানগুলোতে ভিড় বাড়া দেখেই বোঝা যায়, শিক্ষার্থীদের বিদেশে যাওয়ার আগ্রহ কতটা। বর্তমানে অনলাইনেও বাড়ছে ইংরেজি শেখা ও আইইএলটিএস, টোয়েফল, জিআরই এবং বিভিন্ন দেশের ভাষা শেখার আগ্রহ।
রাবেয়া তানহা নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘দেশের অনিরাপদ পরিবেশ আমাকে খুবই ভাবাচ্ছে। তাই বিদেশে পড়তে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
বৈধ পথেই ৯ বছরে গেছে ৩০ হাজার কোটি টাকা
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশ করা বিগত ৯ অর্থবছরের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, দেশে উচ্চশিক্ষা বাবদ ব্যাংকের মাধ্যমে পাঠানো টাকার পরিমাণ প্রতিবছর বাড়ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাংলাদেশিদের বিদেশে শিক্ষার ব্যয় ছিল ৬৬ কোটি ২০ লাখ ডলার, যা ইতিহাসের সর্বোচ্চ। বাংলাদেশি মুদ্রায় ব্যয় করা এই অর্থের পরিমাণ ৮ হাজার ৭৬ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১২২ টাকা হিসাবে)। একইভাবে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৫৩ কোটি ৩২ লাখ, ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৫২ কোটি ৮ লাখ, ২০২১-২২ অর্থবছরে ৪১ কোটি ৪৫ লাখ, ২০২০-২১ অর্থবছরে ২৪ কোটি ৩১ লাখ, ২০১৯-২০ অর্থবছরে ২১ কোটি ৮০ লাখ, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ১৯ কোটি ৬১ লাখ, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ১৭ কোটি ৭ লাখ এবং ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ১৫ কোটি ৪ লাখ ডলার বৈধ চ্যানেলে নিয়ে গেছেন শিক্ষার্থীরা।
টাকা বেশি যাচ্ছে অবৈধ পথে
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা সাধারণত ভর্তি ফি, এক সেমিস্টারের টিউশন ফি এবং বাসস্থান ও অন্যান্য ফি ইত্যাদি দিয়ে বিদেশে পড়তে চলে যান। এ টাকা পাঠানোর ক্ষেত্রে দুটি পথ—একটি ব্যাংকিং চ্যানেল, অন্যটি অবৈধ পথ হুন্ডি।
একাধিক স্টুডেন্ট কাউন্সেলিং ফার্মের কর্ণধার এবং একাধিক ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বৈধ পথে বা ব্যাংকের মাধ্যমে যত টাকা যায়, তার চার-পাঁচ গুণ টাকা অবৈধ পথে যায়। এ ছাড়া উচ্চশিক্ষার অর্থ পাঠানোর নামে অর্থ পাচারের অভিযোগও রয়েছে। গত ১০ মার্চ এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, একজন তাঁর সন্তানের টিউশন ফি হিসেবে এক সেমিস্টারেই ৪০০-৫০০ কোটি টাকা পাঠিয়েছেন।
হুন্ডিতে টাকা পাঠানোর কারণ জানতে চাইলে একটি কাউন্সেলিং প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার জানান, কোনো শিক্ষার্থী বিদেশে পড়াশোনার জন্য যেতে চাইলে স্থানীয় ব্যাংকে স্টুডেন্ট অ্যাকাউন্ট খুলতে হয়। ওই অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে (বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন সাপেক্ষে) বিশ্ববিদ্যালয়ের যাবতীয় ফি পরিশোধ করা হয়। অনেক ক্ষেত্রে আয়ের উৎস জানাতে অভিভাবকের অনীহা থাকে। ফলে তাঁরা হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পাঠান। আবার অনেকে কিছু ব্যাংকের মাধ্যমে আর কিছু হুন্ডিতে পাঠান। আবার অনেকে টাকা পাচারের জন্যও শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
সম্প্রতি কানাডার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতে গেছেন ঢাকার ধানমন্ডির এক তরুণ। তিনি জানান, বৈধ পথে শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের খরচই আনা সম্ভব হয়। এর বাইরে আরও অনেক খরচ রয়েছে। হুন্ডির মাধ্যমে এই টাকা আনা অনেক সহজ। ওই তরুণ বলেন, তাঁর পরিচিত এক কনসালট্যান্ট ফার্মকে নগদ টাকা দিয়েছেন, তারাই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করেছে।
বিষয়টি নজরে আনা হলে অ্যাডমিশন অ্যান্ড ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট কনসালট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. জুলফিকার আলী জুয়েল অবশ্য বলেন, ‘আমাদের সদস্যদের কঠোরভাবে নির্দেশনা দিয়েছি, এ ধরনের বেআইনি কাজ যেন কেউ না করে। এতে দেশের ক্ষতি হয়।’
প্রতারণার শিকার হচ্ছেন অনেকে
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য চটকদার বিজ্ঞাপনে প্রতারিত হচ্ছেন অনেক শিক্ষার্থী। রাজধানীতে গড়ে ওঠা একাধিক কনসালট্যান্সি ফার্ম এসব প্রতারণার সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে। ভুক্তভোগীরা বলছেন, সরকারের মনিটরিং না থাকা এবং বিদেশ গমনে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ায় প্রতারক চক্রগুলো এখন লাগামহীন।
অনুসন্ধানে জানা যায়, চটকদার প্রচারণার মাধ্যমে অসাধু এজেন্সিগুলো প্রধানত তিন ধরনের প্রতারণা করে। এগুলো হচ্ছে শিক্ষার্থীদের টাকা আত্মসাৎ করে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিপ্রক্রিয়া অসম্পূর্ণ রাখা এবং বিদেশে না পাঠানো, আগ্রহী প্রার্থীদের ভুয়া কাগজ তৈরি করে টাকা আত্মসাৎ করা এবং ভিসা করে বাইরে পাঠিয়ে প্রতিশ্রুত সুযোগ-সুবিধা না দেওয়া।
এরই মধ্যে গত বছরের ১৭ অক্টোবর ক্যামব্রিয়ান এডুকেশন গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান বিএসবি গ্লোবাল নেটওয়ার্কের চেয়ারম্যান মো. খায়রুল বাশার বাহার এবং তাঁর সহযোগীদের বিরুদ্ধে ১ হাজারের বেশি শিক্ষার্থীর ২০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ জানান ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা। পরে গত ১৪ জুলাই খায়রুল বাশারকে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
ভিসাপ্রাপ্তিও কঠিন হচ্ছে
শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, ভিসা জটিলতায় ইউরোপের অনেক দেশে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন কঠিন হয়ে পড়েছে। কারণ, ইউরোপের বেশ কিছু দেশের ভিসা নিতে শিক্ষার্থীদের ভারতে যেতে হয়। কিন্তু এখন ভারতের ডাবল এন্ট্রি ভিসা পাওয়া কঠিন হওয়ায় ইউরোপে যাওয়া জটিল হয়ে পড়ছে। এর বাইরে ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর সারা বিশ্বের জন্য ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি আরোপ করেছেন।
এ ছাড়া শুধু জার্মানিতে ভিসা আবেদনে ব্যয় হয় লম্বা সময়। জার্মান দূতাবাসের তথ্য অনুযায়ী, তারা বছরে দুই হাজার আবেদন প্রক্রিয়াকরণ করতে পারে। কিন্তু এর বিপরীতে প্রায় ৪০ গুণ আবেদন জমা পড়ে জার্মান দূতাবাসে। যে কারণে এই ধীরগতি।
৮ অক্টোবর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, জার্মানিতে শিক্ষাব্যবস্থা খুবই উচ্চমানের এবং সম্পূর্ণ বিনা মূল্যে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কোনো ফি লাগে না। কাজেই বাংলাদেশি ছাত্ররা খুবই আগ্রহী হয়ে উঠেছেন জার্মানির বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যাওয়ার জন্য। ৮০ হাজার আবেদন পড়েছে।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, জার্মান রাষ্ট্রদূত কয়েক দিন আগে চলে গেছেন। তিনি বলেছিলেন, ‘দেখুন, আমার কিছুই করার নেই। কারণ, আমার মোট সামর্থ্যই হচ্ছে দুই হাজার কেস প্রতিবছর ডিল করা। তার মানে, এত আবেদন তাঁরা গ্রহণ করতে পারবেন না।’
দেশে কমছে বিদেশি শিক্ষার্থী
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৩ সালে দেশের ৫৩টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ২১টি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বিদেশি শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৬৩৩ জন। তাঁদের মধ্যে ছাত্রী ১৭১ ও ছাত্র ৪৬২। ২০২২ সালে এই সংখ্যা ছিল ৬৭০ জন। সেই হিসাবে ২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে বিদেশি শিক্ষার্থী কমেছে ৩৭ জন।

দেশে মানসম্মত শিক্ষার ঘাটতি আছে। রয়েছে কর্মসংস্থানের অভাব, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অস্থিরতা। এতে তরুণদের বড় অংশের মধ্যে ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা কাজ করছে। এমন পরিস্থিতিতে উন্নত ভবিষ্যতের আশায় বিদেশমুখী হচ্ছেন তরুণ মেধাবী শিক্ষার্থীরা। জাতিসংঘ শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থার (ইউনেসকো) তথ্য বলছে, উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে যাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা এক দশকে দ্বিগুণের বেশি বেড়েছে। অন্যদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, বিগত ৯ অর্থবছরে শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে বৈধ চ্যানেলে দেশ থেকে বেরিয়ে গেছে প্রায় ৩১১ কোটি ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩০ হাজার ২৭৭ কোটি টাকা (হিসাবটি গত ৯টি অর্থবছরের ডলারের দর অনুযায়ী)।
শিক্ষার্থীদের দেশ ছাড়ার প্রবণতা বাড়ার কারণ জানতে বিদেশে পড়াশোনা করা শিক্ষার্থী, বিদেশে পড়তে যেতে ইচ্ছুক শিক্ষার্থী এবং তাঁদের অভিভাবক, শিক্ষকসহ অন্তত ৩০ জনের সঙ্গে কথা বলেছে আজকের পত্রিকা। তাঁরা মোটাদাগে পাঁচটি কারণের কথাই বলেছেন। কারণগুলো হলো মানসম্মত উচ্চশিক্ষার অভাব, কর্মসংস্থানের ঘাটতি ও বেকারত্ব বৃদ্ধি, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা, উন্নত ভবিষ্যতের হাতছানি এবং নিরাপদ ও আধুনিক জীবনযাত্রার আকাঙ্ক্ষা। এর সঙ্গে একমত শিক্ষাবিদেরাও। তাঁরা বলছেন, দেশে উচ্চশিক্ষার মান ও গবেষণার সুযোগ এবং কর্মসংস্থান না বাড়লে এই প্রবণতা আরও বাড়বে।
সার্বিক বিষয়ে মন্তব্য জানতে শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব রেহানা পারভীনের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য একাধিকবার চেষ্টা করা হলেও তাঁরা সাড়া দেননি। পরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিশ্ববিদ্যালয় শাখায় যোগাযোগ করা হলে তাঁরা দেশের উচ্চশিক্ষা দেখভালের দায়িত্বে থাকা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সঙ্গে যোগাযোগের পরামর্শ দেন।
জানতে চাইলে ইউজিসি সদস্য ১৯ অক্টোবর অধ্যাপক ড. মো. সাইদুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আপাতদৃষ্টে যে চিত্র আপনারা তুলে এনেছেন, তার সঙ্গে আমি একমত।’ মানসম্মত উচ্চশিক্ষার বিষয়টি সামগ্রিক শিক্ষার ওপর নির্ভর করে জানিয়ে তিনি বলেন, প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিকে যে শিক্ষার ঘাটতি তৈরি হয়েছে, এর প্রভাব পড়ছে উচ্চশিক্ষায়। এটা সত্য যে দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চ-শিক্ষার মান এক নয়; বিশেষ করে নতুন প্রতিষ্ঠিত হওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মান নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।
কেন বিদেশমুখীনতা
গত এক সপ্তাহে রাজধানীর গুলশান ও বনানীতে অবস্থিত ভিএফএস গ্লোবাল (বিভিন্ন দেশের সরকার ও দূতাবাসের জন্য ভিসা আবেদন প্রক্রিয়াকরণে সহায়তাকারী প্রতিষ্ঠান) অফিসের সামনে অন্তত ১৫ জন শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা হয় এই প্রতিবেদকের। তাঁরা সবাই এখানে এসেছেন উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে যেতে ভিসার আবেদন জমা দেওয়ার জন্য।
উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে যাওয়ার উদ্দেশ্য জানতে চাইলে ওই সব শিক্ষার্থীর ভাষ্য, দেশে পর্যাপ্ত কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা নেই, অথবা যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরি পাওয়ার নিশ্চয়তা নেই। কেউ কেউ দেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অস্থিরতার বিষয়টি বিবেচনা করে উন্নত ভবিষ্যৎ, আধুনিক ও নিরাপদ জীবনের জন্য বিদেশকে বেছে নিচ্ছেন বলে জানান।
গুলশানে ভিএফএস গ্লোবাল অফিসের সামনে কথা হয় ২০২৪ সালে ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাস করা শাখাওয়াত হোসেনের সঙ্গে। তিনি জানান, দেশে পড়াশোনার মান দিন দিন কমছে। তাই পরিবার চাইছে বিদেশে উচ্চশিক্ষা শেষে সেখানেই ক্যারিয়ার গড়তে। আর দেশের পরিস্থিতি তো দিন দিন খারাপ হচ্ছে, তাই না?
দেশের উচ্চশিক্ষার মান কমার বিষয়টি উঠে এসেছে বিশ্বব্যাংকের চলতি বছর প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একটি শিশু ১৮ বছর বয়সে সাধারণত ১১ বছর মেয়াদি আনুষ্ঠানিক শিক্ষা সম্পন্ন করে (প্রথম শ্রেণি থেকে একাদশ শ্রেণি)। কিন্তু বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের শেখার মান আন্তর্জাতিক মানদণ্ড বিবেচনায় ৬ দশমিক ৫ বছরের সমতুল্য। অর্থাৎ শিক্ষায় আন্তর্জাতিক মানে অন্তত সাড়ে ৪ বছর পিছিয়ে বাংলাদেশ।
বিদেশে পড়াশোনা শেষে সেখানেই স্থায়ী হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যায় স্নাতকোত্তর পাস করা মো. শাহরিয়ার। কথা হলে তিনি জানান, দেশে চাকরির নিশ্চয়তা কম। এ ছাড়া যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরিও পাওয়া যাচ্ছে না। তাই সব মিলিয়ে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) পরিচালিত সর্বশেষ শ্রমশক্তি জরিপের তথ্য বলছে, ২০২৪ সালে দেশে মোট ২৬ লাখ ২৪ হাজার বেকার ছিলেন। তাঁদের মধ্যে ৮ লাখ ৮৫ হাজার ছিলেন স্নাতক ডিগ্রিধারী।
ভিসার আবেদন জমা দিতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট থেকে পাস করা জহির রায়হান জয়ের সঙ্গে এসেছিলেন তাঁর বাবা তবিরুল রায়হান। উচ্চশিক্ষার জন্য ছেলেকে বিদেশে পাঠানো প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘দিন দিন আমাদের পড়ালেখার মান কমে যাচ্ছে। এ তো সবাই জানে। তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছি, ছেলেকে বিদেশে পড়তে পাঠাব। পড়াশোনা শেষে যেন সে সেখানেই চাকরি পায়।’
সম্প্রতি উচ্চশিক্ষার জন্য ইউরোপের দেশ সুইডেনে গিয়েছেন সাইম আখন্দ। উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশকে বেছে নেওয়ার কারণ জানতে চাইলে সেখান থেকে তিনি এ প্রতিবেদককে জানান, বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা যুগোপযোগী নয়, বিশ্ববাজারে প্রতিযোগিতা করার মতো নয়। এ জন্যই বিদেশে উচ্চশিক্ষা নিতে আসা।
উচ্চশিক্ষার জন্য মেধাবীদের বিদেশে যাওয়ার প্রবণতা বাড়ার পেছনে পাঁচ কারণের সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. মো. আলী জিন্নাহ। তাঁর মতে, এই কারণগুলোর পাশাপাশি আরও কিছু ছোটখাটো কারণ থাকতে পারে।
আলী জিন্নাহ বলেন, রাজনৈতিক অস্থিরতা তো আছেই, ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা ও ঝুঁকি, কর্মসংস্থানের ঘাটতি, উপযুক্ত সম্মান, মেধার ভিত্তিতে চাকরি পাওয়ার নিশ্চয়তা না থাকা, বসবাসের অনুপযুক্ততা, জীবনমান নিম্নমুখী হওয়া—এমন বহুমাত্রিক কারণে দেশ ছাড়ছেন মেধাবী শিক্ষার্থীরা। মেধাবীদের দেশে রাখতে উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন বলেও মনে করেন এই অধ্যাপক।
একই ভাষ্য ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক মনজুর আহমেদের। তিনি বলেন, ‘আমাদের শিক্ষা-দীক্ষার অবস্থা খুবই শোচনীয়। যোগ্যতা অনুযায়ী উপযুক্ত কর্মসংস্থানেরও ঘাটতি রয়েছে। এগুলোই প্রধান কারণ। এ ছাড়া রাজনৈতিক, সামাজিক নানান সংকট তো রয়েছেই।’
বছরে বিদেশে যান অর্ধলক্ষাধিক শিক্ষার্থী
ইউনেসকোর সর্বশেষ ‘গ্লোবাল ফ্লো অব টারশিয়ারি লেভেল স্টুডেন্টস’ শীর্ষক প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, ২০২৩ সালে বাংলাদেশ থেকে ৫৫টি দেশে পড়াশোনার জন্য গেছেন ৫২ হাজার ৭৯৯ শিক্ষার্থী। ২০২২ সালে এই সংখ্যা ছিল ৪৯ হাজার ১৫১ আর ২০২১ সালে ৪৪ হাজার ৩৩৮ জন। এ সংখ্যা ২০১৩ সালে ছিল ২৪ হাজার ১১২ জন।
তথ্য বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, ২০১৩ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত অর্থাৎ ১০ বছরের ব্যবধানে উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে যাওয়া শিক্ষার্থী বেড়েছে দ্বিগুণের বেশি।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, এ সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে। অ্যাডমিশন অ্যান্ড ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট কনসালট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. জুলফিকার আলী জুয়েল বলেন, ইউনেসকোর যে পরিসংখ্যান, তার চেয়ে বেশিসংখ্যক শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে গেছেন।
রাজধানীতে আইইএলটিএস ও জিআরই কোচিং করায় এমন প্রতিষ্ঠানগুলোতে ভিড় বাড়া দেখেই বোঝা যায়, শিক্ষার্থীদের বিদেশে যাওয়ার আগ্রহ কতটা। বর্তমানে অনলাইনেও বাড়ছে ইংরেজি শেখা ও আইইএলটিএস, টোয়েফল, জিআরই এবং বিভিন্ন দেশের ভাষা শেখার আগ্রহ।
রাবেয়া তানহা নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘দেশের অনিরাপদ পরিবেশ আমাকে খুবই ভাবাচ্ছে। তাই বিদেশে পড়তে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
বৈধ পথেই ৯ বছরে গেছে ৩০ হাজার কোটি টাকা
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশ করা বিগত ৯ অর্থবছরের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, দেশে উচ্চশিক্ষা বাবদ ব্যাংকের মাধ্যমে পাঠানো টাকার পরিমাণ প্রতিবছর বাড়ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাংলাদেশিদের বিদেশে শিক্ষার ব্যয় ছিল ৬৬ কোটি ২০ লাখ ডলার, যা ইতিহাসের সর্বোচ্চ। বাংলাদেশি মুদ্রায় ব্যয় করা এই অর্থের পরিমাণ ৮ হাজার ৭৬ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১২২ টাকা হিসাবে)। একইভাবে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৫৩ কোটি ৩২ লাখ, ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৫২ কোটি ৮ লাখ, ২০২১-২২ অর্থবছরে ৪১ কোটি ৪৫ লাখ, ২০২০-২১ অর্থবছরে ২৪ কোটি ৩১ লাখ, ২০১৯-২০ অর্থবছরে ২১ কোটি ৮০ লাখ, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ১৯ কোটি ৬১ লাখ, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ১৭ কোটি ৭ লাখ এবং ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ১৫ কোটি ৪ লাখ ডলার বৈধ চ্যানেলে নিয়ে গেছেন শিক্ষার্থীরা।
টাকা বেশি যাচ্ছে অবৈধ পথে
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা সাধারণত ভর্তি ফি, এক সেমিস্টারের টিউশন ফি এবং বাসস্থান ও অন্যান্য ফি ইত্যাদি দিয়ে বিদেশে পড়তে চলে যান। এ টাকা পাঠানোর ক্ষেত্রে দুটি পথ—একটি ব্যাংকিং চ্যানেল, অন্যটি অবৈধ পথ হুন্ডি।
একাধিক স্টুডেন্ট কাউন্সেলিং ফার্মের কর্ণধার এবং একাধিক ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বৈধ পথে বা ব্যাংকের মাধ্যমে যত টাকা যায়, তার চার-পাঁচ গুণ টাকা অবৈধ পথে যায়। এ ছাড়া উচ্চশিক্ষার অর্থ পাঠানোর নামে অর্থ পাচারের অভিযোগও রয়েছে। গত ১০ মার্চ এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, একজন তাঁর সন্তানের টিউশন ফি হিসেবে এক সেমিস্টারেই ৪০০-৫০০ কোটি টাকা পাঠিয়েছেন।
হুন্ডিতে টাকা পাঠানোর কারণ জানতে চাইলে একটি কাউন্সেলিং প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার জানান, কোনো শিক্ষার্থী বিদেশে পড়াশোনার জন্য যেতে চাইলে স্থানীয় ব্যাংকে স্টুডেন্ট অ্যাকাউন্ট খুলতে হয়। ওই অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে (বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন সাপেক্ষে) বিশ্ববিদ্যালয়ের যাবতীয় ফি পরিশোধ করা হয়। অনেক ক্ষেত্রে আয়ের উৎস জানাতে অভিভাবকের অনীহা থাকে। ফলে তাঁরা হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পাঠান। আবার অনেকে কিছু ব্যাংকের মাধ্যমে আর কিছু হুন্ডিতে পাঠান। আবার অনেকে টাকা পাচারের জন্যও শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
সম্প্রতি কানাডার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতে গেছেন ঢাকার ধানমন্ডির এক তরুণ। তিনি জানান, বৈধ পথে শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের খরচই আনা সম্ভব হয়। এর বাইরে আরও অনেক খরচ রয়েছে। হুন্ডির মাধ্যমে এই টাকা আনা অনেক সহজ। ওই তরুণ বলেন, তাঁর পরিচিত এক কনসালট্যান্ট ফার্মকে নগদ টাকা দিয়েছেন, তারাই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করেছে।
বিষয়টি নজরে আনা হলে অ্যাডমিশন অ্যান্ড ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট কনসালট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. জুলফিকার আলী জুয়েল অবশ্য বলেন, ‘আমাদের সদস্যদের কঠোরভাবে নির্দেশনা দিয়েছি, এ ধরনের বেআইনি কাজ যেন কেউ না করে। এতে দেশের ক্ষতি হয়।’
প্রতারণার শিকার হচ্ছেন অনেকে
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য চটকদার বিজ্ঞাপনে প্রতারিত হচ্ছেন অনেক শিক্ষার্থী। রাজধানীতে গড়ে ওঠা একাধিক কনসালট্যান্সি ফার্ম এসব প্রতারণার সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে। ভুক্তভোগীরা বলছেন, সরকারের মনিটরিং না থাকা এবং বিদেশ গমনে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ায় প্রতারক চক্রগুলো এখন লাগামহীন।
অনুসন্ধানে জানা যায়, চটকদার প্রচারণার মাধ্যমে অসাধু এজেন্সিগুলো প্রধানত তিন ধরনের প্রতারণা করে। এগুলো হচ্ছে শিক্ষার্থীদের টাকা আত্মসাৎ করে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিপ্রক্রিয়া অসম্পূর্ণ রাখা এবং বিদেশে না পাঠানো, আগ্রহী প্রার্থীদের ভুয়া কাগজ তৈরি করে টাকা আত্মসাৎ করা এবং ভিসা করে বাইরে পাঠিয়ে প্রতিশ্রুত সুযোগ-সুবিধা না দেওয়া।
এরই মধ্যে গত বছরের ১৭ অক্টোবর ক্যামব্রিয়ান এডুকেশন গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান বিএসবি গ্লোবাল নেটওয়ার্কের চেয়ারম্যান মো. খায়রুল বাশার বাহার এবং তাঁর সহযোগীদের বিরুদ্ধে ১ হাজারের বেশি শিক্ষার্থীর ২০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ জানান ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা। পরে গত ১৪ জুলাই খায়রুল বাশারকে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
ভিসাপ্রাপ্তিও কঠিন হচ্ছে
শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, ভিসা জটিলতায় ইউরোপের অনেক দেশে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন কঠিন হয়ে পড়েছে। কারণ, ইউরোপের বেশ কিছু দেশের ভিসা নিতে শিক্ষার্থীদের ভারতে যেতে হয়। কিন্তু এখন ভারতের ডাবল এন্ট্রি ভিসা পাওয়া কঠিন হওয়ায় ইউরোপে যাওয়া জটিল হয়ে পড়ছে। এর বাইরে ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর সারা বিশ্বের জন্য ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি আরোপ করেছেন।
এ ছাড়া শুধু জার্মানিতে ভিসা আবেদনে ব্যয় হয় লম্বা সময়। জার্মান দূতাবাসের তথ্য অনুযায়ী, তারা বছরে দুই হাজার আবেদন প্রক্রিয়াকরণ করতে পারে। কিন্তু এর বিপরীতে প্রায় ৪০ গুণ আবেদন জমা পড়ে জার্মান দূতাবাসে। যে কারণে এই ধীরগতি।
৮ অক্টোবর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, জার্মানিতে শিক্ষাব্যবস্থা খুবই উচ্চমানের এবং সম্পূর্ণ বিনা মূল্যে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কোনো ফি লাগে না। কাজেই বাংলাদেশি ছাত্ররা খুবই আগ্রহী হয়ে উঠেছেন জার্মানির বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যাওয়ার জন্য। ৮০ হাজার আবেদন পড়েছে।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, জার্মান রাষ্ট্রদূত কয়েক দিন আগে চলে গেছেন। তিনি বলেছিলেন, ‘দেখুন, আমার কিছুই করার নেই। কারণ, আমার মোট সামর্থ্যই হচ্ছে দুই হাজার কেস প্রতিবছর ডিল করা। তার মানে, এত আবেদন তাঁরা গ্রহণ করতে পারবেন না।’
দেশে কমছে বিদেশি শিক্ষার্থী
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৩ সালে দেশের ৫৩টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ২১টি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বিদেশি শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৬৩৩ জন। তাঁদের মধ্যে ছাত্রী ১৭১ ও ছাত্র ৪৬২। ২০২২ সালে এই সংখ্যা ছিল ৬৭০ জন। সেই হিসাবে ২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে বিদেশি শিক্ষার্থী কমেছে ৩৭ জন।

২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) স্নাতক বা স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা আগামী ১৮ ও ১৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. এস এম মাহবুবুর রহমান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে অফিসের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
প্রতিবছর বাংলাদেশের অসংখ্য শিক্ষার্থীর স্বপ্ন থাকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি কাঙ্ক্ষিত আসনে জায়গা করে নেওয়ার। তুলনামূলক কম খরচে মানসম্মত শিক্ষা, অভিজ্ঞ শিক্ষক ও আবাসিক সুযোগ-সুবিধার কারণে দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এখনো শিক্ষার্থীদের কাছে সবচেয়ে আকর্ষণীয় গন্তব্য।
৪ ঘণ্টা আগে
চীনে নানজিং বিশ্ববিদ্যালয় সিএসসি বৃত্তির আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী এ স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারবেন। এই বৃত্তিতে অর্থায়ন করবে চীনা সরকার। বৃত্তিটির জন্য নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা দেশটির নানজিং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ও ডক্টরাল (পিএইচডি) ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন।
৪ ঘণ্টা আগে
সম্পত্তি-সংক্রান্ত আইন বলতে মোট পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ আইনকে বোঝায়। বিচার বিভাগীয় পরীক্ষার প্রস্তুতিতে এগুলোর প্রতিটিই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। অনেক শিক্ষার্থীর কাছেই বিষয়গুলো শুরুতে জটিল মনে হয়। তবে একটু পরিকল্পিত ও গোছানোভাবে পড়াশোনা করলে প্রিলিমিনারি ও লিখিত—দুই পরীক্ষাতেই এখানে ভালো...
৫ ঘণ্টা আগেশিক্ষা ডেস্ক

২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) স্নাতক বা স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা আগামী ১৮ ও ১৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. এস এম মাহবুবুর রহমান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে অফিসের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ১৮ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) অনুষ্ঠিত হবে ‘এ’ ও ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা। এর মধ্যে ‘এ’ ইউনিটে অংশ নেবে বিজ্ঞান, প্রকৌশল ও প্রযুক্তিবিদ্যা স্কুলের ডিসিপ্লিনগুলো এবং ‘বি’ ইউনিটে থাকবে জীববিজ্ঞান স্কুলের ডিসিপ্লিনগুলো।
পরদিন ১৯ ডিসেম্বর (শুক্রবার) অনুষ্ঠিত হবে ‘সি’ ও ‘ডি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা। ‘সি’ ইউনিটে থাকবে কলা ও মানবিক স্কুল, সামাজিক বিজ্ঞান স্কুল, আইন স্কুল, শিক্ষা স্কুল এবং চারুকলা স্কুলের ডিসিপ্লিনগুলো।
অন্যদিকে ‘ডি’ ইউনিটে অনুষ্ঠিত হবে ব্যবস্থাপনা ও ব্যবসায় প্রশাসন স্কুলের ভর্তি পরীক্ষা। ভর্তি পরীক্ষা ও ভর্তিপ্রক্রিয়া-সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য আগামী ২৯ অক্টোবর খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে।

২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) স্নাতক বা স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা আগামী ১৮ ও ১৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. এস এম মাহবুবুর রহমান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে অফিসের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ১৮ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) অনুষ্ঠিত হবে ‘এ’ ও ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা। এর মধ্যে ‘এ’ ইউনিটে অংশ নেবে বিজ্ঞান, প্রকৌশল ও প্রযুক্তিবিদ্যা স্কুলের ডিসিপ্লিনগুলো এবং ‘বি’ ইউনিটে থাকবে জীববিজ্ঞান স্কুলের ডিসিপ্লিনগুলো।
পরদিন ১৯ ডিসেম্বর (শুক্রবার) অনুষ্ঠিত হবে ‘সি’ ও ‘ডি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা। ‘সি’ ইউনিটে থাকবে কলা ও মানবিক স্কুল, সামাজিক বিজ্ঞান স্কুল, আইন স্কুল, শিক্ষা স্কুল এবং চারুকলা স্কুলের ডিসিপ্লিনগুলো।
অন্যদিকে ‘ডি’ ইউনিটে অনুষ্ঠিত হবে ব্যবস্থাপনা ও ব্যবসায় প্রশাসন স্কুলের ভর্তি পরীক্ষা। ভর্তি পরীক্ষা ও ভর্তিপ্রক্রিয়া-সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য আগামী ২৯ অক্টোবর খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে।

দেশে মানসম্মত শিক্ষার ঘাটতি আছে। রয়েছে কর্মসংস্থানের অভাব, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অস্থিরতা। এতে তরুণদের বড় অংশের মধ্যে ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা কাজ করছে। এমন পরিস্থিতিতে উন্নত ভবিষ্যতের আশায় বিদেশমুখী হচ্ছেন তরুণ মেধাবী শিক্ষার্থীরা। জাতিসংঘ শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থার (ইউনেসকো) তথ্য বলছে, উচ্চশি
১২ ঘণ্টা আগে
প্রতিবছর বাংলাদেশের অসংখ্য শিক্ষার্থীর স্বপ্ন থাকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি কাঙ্ক্ষিত আসনে জায়গা করে নেওয়ার। তুলনামূলক কম খরচে মানসম্মত শিক্ষা, অভিজ্ঞ শিক্ষক ও আবাসিক সুযোগ-সুবিধার কারণে দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এখনো শিক্ষার্থীদের কাছে সবচেয়ে আকর্ষণীয় গন্তব্য।
৪ ঘণ্টা আগে
চীনে নানজিং বিশ্ববিদ্যালয় সিএসসি বৃত্তির আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী এ স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারবেন। এই বৃত্তিতে অর্থায়ন করবে চীনা সরকার। বৃত্তিটির জন্য নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা দেশটির নানজিং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ও ডক্টরাল (পিএইচডি) ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন।
৪ ঘণ্টা আগে
সম্পত্তি-সংক্রান্ত আইন বলতে মোট পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ আইনকে বোঝায়। বিচার বিভাগীয় পরীক্ষার প্রস্তুতিতে এগুলোর প্রতিটিই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। অনেক শিক্ষার্থীর কাছেই বিষয়গুলো শুরুতে জটিল মনে হয়। তবে একটু পরিকল্পিত ও গোছানোভাবে পড়াশোনা করলে প্রিলিমিনারি ও লিখিত—দুই পরীক্ষাতেই এখানে ভালো...
৫ ঘণ্টা আগেশিক্ষা ডেস্ক

প্রতিবছর বাংলাদেশের অসংখ্য শিক্ষার্থীর স্বপ্ন থাকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি কাঙ্ক্ষিত আসনে জায়গা করে নেওয়ার। তুলনামূলক কম খরচে মানসম্মত শিক্ষা, অভিজ্ঞ শিক্ষক ও আবাসিক সুযোগ-সুবিধার কারণে দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এখনো শিক্ষার্থীদের কাছে সবচেয়ে আকর্ষণীয় গন্তব্য। তবে সীমিত আসনের বিপরীতে আবেদনকারীর সংখ্যা কয়েক গুণ বেশি হওয়ায় ভর্তি পরীক্ষায় প্রতিযোগিতা হয় অত্যন্ত তীব্র। যেখানে সাফল্য পেতে প্রয়োজন সঠিক পরিকল্পনা, ধারাবাহিক অধ্যবসায় ও মানসিক প্রস্তুতি।
এ বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক-প্রশাসন ও সরকার পরিচালনা বিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. হারুনুর রশিদ। তাঁর পরামর্শ শুনে লিখেছেন মো. আশিকুর রহমান।
কখন থেকে প্রস্তুতি শুরু করবেন
অনেকে ভাবেন, এইচএসসি পরীক্ষার পর থেকেই ভর্তি প্রস্তুতির সময় শুরু হয়। এটা আসলে কিছুটা ভুল ধারণা। বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় যে ধরনের প্রশ্ন হয়, তার জন্য ভিত্তি তৈরি হয় নবম-দশম শ্রেণিতে। তাই যারা আগে থেকেই মৌলিক বিষয়গুলো আয়ত্ত করে রাখে, তারা ভর্তি প্রস্তুতিতেও এগিয়ে থাকে।
তবে একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়ার সময় থেকে পরিকল্পিতভাবে প্রস্তুতি শুরু করাই বুদ্ধিমানের কাজ। বিশেষ করে প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময় পাঠ্যবই, অনুশীলন প্রশ্ন এবং পুরোনো ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন বিশ্লেষণের অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।
ভর্তি প্রক্রিয়া বোঝা জরুরি
সাধারণত এইচএসসি ফল প্রকাশের পর বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ধাপে ধাপে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় নিজস্বভাবে ভর্তি পরীক্ষা নেয়। অন্যদিকে গুচ্ছ পদ্ধতিতে এখন ২২টি সাধারণ ও বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় একসঙ্গে ভর্তি পরীক্ষার আয়োজন করে।
এ ছাড়া বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, কৃষি গুচ্ছ ও প্রযুক্তি গুচ্ছের পরীক্ষার ধরনও আলাদা। তাই প্রার্থীদের নিয়মিতভাবে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট ও অফিশিয়াল ফেসবুক পেজ অনুসরণ করতে হবে, যাতে কোনো সময়সীমা বা নির্দেশনা মিস না হয়।
কীভাবে নিজেকে প্রস্তুত করবেন
■ বিষয়ভিত্তিক পড়াশোনা: পাঠ্যবই থেকেই শুরু করতে হবে। অনেক শিক্ষার্থী রেফারেন্স বইয়ের পেছনে সময় নষ্ট করে অথচ মূল ধারণাগুলো ঠিকভাবে বোঝে না। বোর্ড বইয়ের প্রতিটি অধ্যায় পরিষ্কারভাবে বুঝে নিতে হবে।
■ প্রশ্ন অনুশীলন: পূর্ববর্তী বছরের প্রশ্নপত্র বিশ্লেষণ করলে প্রশ্নের ধরন সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। এতে সময় ব্যবস্থাপনাও অনুশীলিত হয়।
■ মডেল টেস্ট: পরীক্ষার পরিবেশে মডেল টেস্ট দিলে আত্মবিশ্বাস বাড়ে এবং দুর্বল দিকগুলো চিহ্নিত করা যায়।
■ লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতি: যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে লিখিত অংশ রয়েছে, সেখানে উত্তর লেখার কৌশল শেখা জরুরি—সংক্ষিপ্ত, প্রাসঙ্গিক ও সঠিক উপস্থাপনাই মূল চাবিকাঠি।
পরীক্ষার হলে করণীয়
পরীক্ষার আগে নিজের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, প্রবেশপত্র, কলম, ঘড়ি ইত্যাদি গুছিয়ে নিন। পরীক্ষার হলে অযথা উদ্বিগ্ন না হয়ে মনোযোগ ধরে রাখুন। প্রশ্ন পড়ে বুঝে তারপর উত্তর দিন। কারণ অনেক পরীক্ষায় ভুল উত্তরের জন্য নম্বর কাটা হয়। সময়ের সঠিক ব্যবহারই হতে পারে সাফল্যের অন্যতম চাবিকাঠি।
এইচএসসির ফল প্রকাশের পর ফল প্রকাশের পরপরই বিশ্ববিদ্যালয়ভিত্তিক
ভর্তি নির্দেশনা ভালোভাবে পড়ে নিতে হবে। প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস যেমন: সনদ, প্রশংসাপত্র, ছবি, ফি পরিশোধের রসিদ ইত্যাদি আগে থেকেই প্রস্তুত রাখলে শেষ মুহূর্তে ঝামেলা কমবে। বিষয় ও বিশ্ববিদ্যালয় বেছে নেওয়ার সময় অভিজ্ঞ কারও পরামর্শ নেওয়া এবং নিজের আগ্রহ-দক্ষতা বিবেচনা করাই শ্রেয়।
অভিভাবকদের জন্য বার্তা
অভিভাবকেরা সন্তানদের ওপর কোনো বিষয় চাপিয়ে না দিয়ে তাদের আগ্রহ, সামর্থ্য ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা বিবেচনায় সহায়ক ভূমিকা পালন করুন। শিশুদের ছোটবেলা থেকেই পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ তৈরি করা এবং মৌলিক দক্ষতা অর্জনের পরিবেশ তৈরি করাই ভবিষ্যতের প্রস্তুতির প্রথম ধাপ। পরিকল্পিত পরিশ্রম, ধারাবাহিক অনুশীলন ও আত্মবিশ্বাস থাকলে যে কেউ নিজের কাঙ্ক্ষিত বিশ্ববিদ্যালয়ে জায়গা করে নিতে পারে। মনে রাখবেন, সাফল্যের কোনো শর্টকাট নেই—সঠিক পথে নিরবচ্ছিন্ন চেষ্টা চালিয়ে যান, স্বপ্ন একদিন আপনাকেই ডাকবে।

প্রতিবছর বাংলাদেশের অসংখ্য শিক্ষার্থীর স্বপ্ন থাকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি কাঙ্ক্ষিত আসনে জায়গা করে নেওয়ার। তুলনামূলক কম খরচে মানসম্মত শিক্ষা, অভিজ্ঞ শিক্ষক ও আবাসিক সুযোগ-সুবিধার কারণে দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এখনো শিক্ষার্থীদের কাছে সবচেয়ে আকর্ষণীয় গন্তব্য। তবে সীমিত আসনের বিপরীতে আবেদনকারীর সংখ্যা কয়েক গুণ বেশি হওয়ায় ভর্তি পরীক্ষায় প্রতিযোগিতা হয় অত্যন্ত তীব্র। যেখানে সাফল্য পেতে প্রয়োজন সঠিক পরিকল্পনা, ধারাবাহিক অধ্যবসায় ও মানসিক প্রস্তুতি।
এ বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক-প্রশাসন ও সরকার পরিচালনা বিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. হারুনুর রশিদ। তাঁর পরামর্শ শুনে লিখেছেন মো. আশিকুর রহমান।
কখন থেকে প্রস্তুতি শুরু করবেন
অনেকে ভাবেন, এইচএসসি পরীক্ষার পর থেকেই ভর্তি প্রস্তুতির সময় শুরু হয়। এটা আসলে কিছুটা ভুল ধারণা। বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় যে ধরনের প্রশ্ন হয়, তার জন্য ভিত্তি তৈরি হয় নবম-দশম শ্রেণিতে। তাই যারা আগে থেকেই মৌলিক বিষয়গুলো আয়ত্ত করে রাখে, তারা ভর্তি প্রস্তুতিতেও এগিয়ে থাকে।
তবে একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়ার সময় থেকে পরিকল্পিতভাবে প্রস্তুতি শুরু করাই বুদ্ধিমানের কাজ। বিশেষ করে প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময় পাঠ্যবই, অনুশীলন প্রশ্ন এবং পুরোনো ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন বিশ্লেষণের অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।
ভর্তি প্রক্রিয়া বোঝা জরুরি
সাধারণত এইচএসসি ফল প্রকাশের পর বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ধাপে ধাপে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় নিজস্বভাবে ভর্তি পরীক্ষা নেয়। অন্যদিকে গুচ্ছ পদ্ধতিতে এখন ২২টি সাধারণ ও বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় একসঙ্গে ভর্তি পরীক্ষার আয়োজন করে।
এ ছাড়া বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, কৃষি গুচ্ছ ও প্রযুক্তি গুচ্ছের পরীক্ষার ধরনও আলাদা। তাই প্রার্থীদের নিয়মিতভাবে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট ও অফিশিয়াল ফেসবুক পেজ অনুসরণ করতে হবে, যাতে কোনো সময়সীমা বা নির্দেশনা মিস না হয়।
কীভাবে নিজেকে প্রস্তুত করবেন
■ বিষয়ভিত্তিক পড়াশোনা: পাঠ্যবই থেকেই শুরু করতে হবে। অনেক শিক্ষার্থী রেফারেন্স বইয়ের পেছনে সময় নষ্ট করে অথচ মূল ধারণাগুলো ঠিকভাবে বোঝে না। বোর্ড বইয়ের প্রতিটি অধ্যায় পরিষ্কারভাবে বুঝে নিতে হবে।
■ প্রশ্ন অনুশীলন: পূর্ববর্তী বছরের প্রশ্নপত্র বিশ্লেষণ করলে প্রশ্নের ধরন সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। এতে সময় ব্যবস্থাপনাও অনুশীলিত হয়।
■ মডেল টেস্ট: পরীক্ষার পরিবেশে মডেল টেস্ট দিলে আত্মবিশ্বাস বাড়ে এবং দুর্বল দিকগুলো চিহ্নিত করা যায়।
■ লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতি: যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে লিখিত অংশ রয়েছে, সেখানে উত্তর লেখার কৌশল শেখা জরুরি—সংক্ষিপ্ত, প্রাসঙ্গিক ও সঠিক উপস্থাপনাই মূল চাবিকাঠি।
পরীক্ষার হলে করণীয়
পরীক্ষার আগে নিজের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, প্রবেশপত্র, কলম, ঘড়ি ইত্যাদি গুছিয়ে নিন। পরীক্ষার হলে অযথা উদ্বিগ্ন না হয়ে মনোযোগ ধরে রাখুন। প্রশ্ন পড়ে বুঝে তারপর উত্তর দিন। কারণ অনেক পরীক্ষায় ভুল উত্তরের জন্য নম্বর কাটা হয়। সময়ের সঠিক ব্যবহারই হতে পারে সাফল্যের অন্যতম চাবিকাঠি।
এইচএসসির ফল প্রকাশের পর ফল প্রকাশের পরপরই বিশ্ববিদ্যালয়ভিত্তিক
ভর্তি নির্দেশনা ভালোভাবে পড়ে নিতে হবে। প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস যেমন: সনদ, প্রশংসাপত্র, ছবি, ফি পরিশোধের রসিদ ইত্যাদি আগে থেকেই প্রস্তুত রাখলে শেষ মুহূর্তে ঝামেলা কমবে। বিষয় ও বিশ্ববিদ্যালয় বেছে নেওয়ার সময় অভিজ্ঞ কারও পরামর্শ নেওয়া এবং নিজের আগ্রহ-দক্ষতা বিবেচনা করাই শ্রেয়।
অভিভাবকদের জন্য বার্তা
অভিভাবকেরা সন্তানদের ওপর কোনো বিষয় চাপিয়ে না দিয়ে তাদের আগ্রহ, সামর্থ্য ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা বিবেচনায় সহায়ক ভূমিকা পালন করুন। শিশুদের ছোটবেলা থেকেই পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ তৈরি করা এবং মৌলিক দক্ষতা অর্জনের পরিবেশ তৈরি করাই ভবিষ্যতের প্রস্তুতির প্রথম ধাপ। পরিকল্পিত পরিশ্রম, ধারাবাহিক অনুশীলন ও আত্মবিশ্বাস থাকলে যে কেউ নিজের কাঙ্ক্ষিত বিশ্ববিদ্যালয়ে জায়গা করে নিতে পারে। মনে রাখবেন, সাফল্যের কোনো শর্টকাট নেই—সঠিক পথে নিরবচ্ছিন্ন চেষ্টা চালিয়ে যান, স্বপ্ন একদিন আপনাকেই ডাকবে।

দেশে মানসম্মত শিক্ষার ঘাটতি আছে। রয়েছে কর্মসংস্থানের অভাব, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অস্থিরতা। এতে তরুণদের বড় অংশের মধ্যে ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা কাজ করছে। এমন পরিস্থিতিতে উন্নত ভবিষ্যতের আশায় বিদেশমুখী হচ্ছেন তরুণ মেধাবী শিক্ষার্থীরা। জাতিসংঘ শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থার (ইউনেসকো) তথ্য বলছে, উচ্চশি
১২ ঘণ্টা আগে
২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) স্নাতক বা স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা আগামী ১৮ ও ১৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. এস এম মাহবুবুর রহমান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে অফিসের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
চীনে নানজিং বিশ্ববিদ্যালয় সিএসসি বৃত্তির আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী এ স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারবেন। এই বৃত্তিতে অর্থায়ন করবে চীনা সরকার। বৃত্তিটির জন্য নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা দেশটির নানজিং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ও ডক্টরাল (পিএইচডি) ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন।
৪ ঘণ্টা আগে
সম্পত্তি-সংক্রান্ত আইন বলতে মোট পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ আইনকে বোঝায়। বিচার বিভাগীয় পরীক্ষার প্রস্তুতিতে এগুলোর প্রতিটিই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। অনেক শিক্ষার্থীর কাছেই বিষয়গুলো শুরুতে জটিল মনে হয়। তবে একটু পরিকল্পিত ও গোছানোভাবে পড়াশোনা করলে প্রিলিমিনারি ও লিখিত—দুই পরীক্ষাতেই এখানে ভালো...
৫ ঘণ্টা আগেশিক্ষা ডেস্ক

চীনে নানজিং বিশ্ববিদ্যালয় সিএসসি বৃত্তির আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী এ স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারবেন। এই বৃত্তিতে অর্থায়ন করবে চীনা সরকার। বৃত্তিটির জন্য নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা দেশটির নানজিং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ও ডক্টরাল (পিএইচডি) ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন। ২০২৬-২৭ শিক্ষাবর্ষের জন্য বৃত্তিটি কার্যকর থাকবে।
নানজিং বিশ্ববিদ্যালয় চীনের অন্যতম প্রাচীন ও খ্যাতনামা গবেষণাধর্মী বিশ্ববিদ্যালয়। এটি দেশটির জিয়াংসু প্রদেশের রাজধানী নানজিং শহরে অবস্থিত। ১৯০২ সালে প্রতিষ্ঠিত এই বিশ্ববিদ্যালয় বর্তমানে চীনের শীর্ষস্থানীয় উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে একটি। এ বিশ্ববিদ্যালয়টিতে বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য ইংরেজি ও চীনা মাধ্যমে ডিগ্রি প্রোগ্রাম এবং বৃত্তির সুযোগ রয়েছে।
সুযোগ-সুবিধা
নানজিং বিশ্ববিদ্যালয় সিএসসি বৃত্তিটি সম্পূর্ণ অর্থায়িত। এ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে কোনো আবেদন ফি নেই। নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের সম্পূর্ণ টিউশন ফি মওকুফ করা হবে। দেওয়া হবে রেজিস্ট্রেশন ফি, বিনা মূল্যে আবাসন ব্যবস্থা, স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা বিমা এবং সুরক্ষা সুবিধা। এ ছাড়া স্নাতকের শিক্ষার্থীদের জন্য মাসিক ভাতা হিসাবে থাকছে ৩ হাজার চায়নিজ ইউয়ান এবং পিএইচডি শিক্ষার্থীদের জন্য থাকছে সাড়ে ৩ হাজার চায়নিজ ইউয়ান।
আবেদনের যোগ্যতা
প্রার্থীদের চীনের নাগরিকত্ব থাকা যাবে না এবং শারীরিকভাবে সুস্থ হতে হবে। পাশাপাশি বর্তমানে চীনের কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত, এমন শিক্ষার্থীরাও এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন না। স্নাতকোত্তর প্রোগ্রামে আবেদন করতে হলে প্রার্থীর স্নাতক ডিগ্রি থাকতে হবে এবং বয়স ৩৫ বছরের নিচে হতে হবে। পিএইচডি প্রোগ্রামে আবেদন করতে হলে প্রার্থীর স্নাতকোত্তর ডিগ্রি থাকতে হবে এবং বয়স ৪০ বছরের নিচে হতে হবে।
আবেদনের প্রয়োজনীয় তথ্য
সিএসসি অনলাইন আবেদন ফরম, নানজিং বিশ্ববিদ্যালয়ের অনলাইন আবেদন ফরম, পাসপোর্টের স্পষ্ট স্ক্যান কপি, নোটারাইজড করা পূর্ববর্তী ডিগ্রির সনদ, ভাষা দক্ষতার নোটারাইজড করা সনদ, দুটি সুপারিশপত্র, চীনে অধ্যয়নের পরিকল্পনা, নন-ক্রিমিনাল রেকর্ড (সর্বশেষ ৫ মাসের ইস্যু করা) ও স্বাস্থ্য পরীক্ষার সনদ। এই নথিগুলো সঠিকভাবে জমা দিলে আবেদনপ্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।
অধ্যয়নের ক্ষেত্রগুলো
স্নাতকোত্তর পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে চীনা ভাষা শিক্ষার মাস্টার্স, চীনা দর্শন, ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য, কমিউনিকেশন, অর্থনৈতিক আইন, সেলেস্টিয়াল ফিজিকস, অ্যাপ্লাইড ম্যাথমেটিকস, ম্যানেজমেন্ট সায়েন্স ও ইঞ্জিনিয়ারিং এবং আর্কিটেকচার। পিএইচডি পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে লাইব্রেরি ইনফরমেশন ও আর্কাইভ ম্যানেজমেন্ট, চীনা ভাষা ও সাহিত্য, সমাজবিজ্ঞান, চীনা ইতিহাস, বায়োলজি, পরিবেশ বিজ্ঞান ও ইঞ্জিনিয়ারিং, কম্পিউটার সায়েন্স ও টেকনোলজি, রসায়ন, ভূগোল এবং মেটারিয়াল সায়েন্স ও ইঞ্জিনিয়ারিং।
আবেদন পদ্ধতি
আগ্রহী প্রার্থীরা এই লিংকে গিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।
আবেদনের শেষ সময়
২০ জানুয়ারি, ২০২৬।
নানজিং বিশ্ববিদ্যালয়।

চীনে নানজিং বিশ্ববিদ্যালয় সিএসসি বৃত্তির আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী এ স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারবেন। এই বৃত্তিতে অর্থায়ন করবে চীনা সরকার। বৃত্তিটির জন্য নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা দেশটির নানজিং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ও ডক্টরাল (পিএইচডি) ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন। ২০২৬-২৭ শিক্ষাবর্ষের জন্য বৃত্তিটি কার্যকর থাকবে।
নানজিং বিশ্ববিদ্যালয় চীনের অন্যতম প্রাচীন ও খ্যাতনামা গবেষণাধর্মী বিশ্ববিদ্যালয়। এটি দেশটির জিয়াংসু প্রদেশের রাজধানী নানজিং শহরে অবস্থিত। ১৯০২ সালে প্রতিষ্ঠিত এই বিশ্ববিদ্যালয় বর্তমানে চীনের শীর্ষস্থানীয় উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে একটি। এ বিশ্ববিদ্যালয়টিতে বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য ইংরেজি ও চীনা মাধ্যমে ডিগ্রি প্রোগ্রাম এবং বৃত্তির সুযোগ রয়েছে।
সুযোগ-সুবিধা
নানজিং বিশ্ববিদ্যালয় সিএসসি বৃত্তিটি সম্পূর্ণ অর্থায়িত। এ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে কোনো আবেদন ফি নেই। নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের সম্পূর্ণ টিউশন ফি মওকুফ করা হবে। দেওয়া হবে রেজিস্ট্রেশন ফি, বিনা মূল্যে আবাসন ব্যবস্থা, স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা বিমা এবং সুরক্ষা সুবিধা। এ ছাড়া স্নাতকের শিক্ষার্থীদের জন্য মাসিক ভাতা হিসাবে থাকছে ৩ হাজার চায়নিজ ইউয়ান এবং পিএইচডি শিক্ষার্থীদের জন্য থাকছে সাড়ে ৩ হাজার চায়নিজ ইউয়ান।
আবেদনের যোগ্যতা
প্রার্থীদের চীনের নাগরিকত্ব থাকা যাবে না এবং শারীরিকভাবে সুস্থ হতে হবে। পাশাপাশি বর্তমানে চীনের কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত, এমন শিক্ষার্থীরাও এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন না। স্নাতকোত্তর প্রোগ্রামে আবেদন করতে হলে প্রার্থীর স্নাতক ডিগ্রি থাকতে হবে এবং বয়স ৩৫ বছরের নিচে হতে হবে। পিএইচডি প্রোগ্রামে আবেদন করতে হলে প্রার্থীর স্নাতকোত্তর ডিগ্রি থাকতে হবে এবং বয়স ৪০ বছরের নিচে হতে হবে।
আবেদনের প্রয়োজনীয় তথ্য
সিএসসি অনলাইন আবেদন ফরম, নানজিং বিশ্ববিদ্যালয়ের অনলাইন আবেদন ফরম, পাসপোর্টের স্পষ্ট স্ক্যান কপি, নোটারাইজড করা পূর্ববর্তী ডিগ্রির সনদ, ভাষা দক্ষতার নোটারাইজড করা সনদ, দুটি সুপারিশপত্র, চীনে অধ্যয়নের পরিকল্পনা, নন-ক্রিমিনাল রেকর্ড (সর্বশেষ ৫ মাসের ইস্যু করা) ও স্বাস্থ্য পরীক্ষার সনদ। এই নথিগুলো সঠিকভাবে জমা দিলে আবেদনপ্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।
অধ্যয়নের ক্ষেত্রগুলো
স্নাতকোত্তর পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে চীনা ভাষা শিক্ষার মাস্টার্স, চীনা দর্শন, ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য, কমিউনিকেশন, অর্থনৈতিক আইন, সেলেস্টিয়াল ফিজিকস, অ্যাপ্লাইড ম্যাথমেটিকস, ম্যানেজমেন্ট সায়েন্স ও ইঞ্জিনিয়ারিং এবং আর্কিটেকচার। পিএইচডি পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে লাইব্রেরি ইনফরমেশন ও আর্কাইভ ম্যানেজমেন্ট, চীনা ভাষা ও সাহিত্য, সমাজবিজ্ঞান, চীনা ইতিহাস, বায়োলজি, পরিবেশ বিজ্ঞান ও ইঞ্জিনিয়ারিং, কম্পিউটার সায়েন্স ও টেকনোলজি, রসায়ন, ভূগোল এবং মেটারিয়াল সায়েন্স ও ইঞ্জিনিয়ারিং।
আবেদন পদ্ধতি
আগ্রহী প্রার্থীরা এই লিংকে গিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।
আবেদনের শেষ সময়
২০ জানুয়ারি, ২০২৬।
নানজিং বিশ্ববিদ্যালয়।

দেশে মানসম্মত শিক্ষার ঘাটতি আছে। রয়েছে কর্মসংস্থানের অভাব, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অস্থিরতা। এতে তরুণদের বড় অংশের মধ্যে ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা কাজ করছে। এমন পরিস্থিতিতে উন্নত ভবিষ্যতের আশায় বিদেশমুখী হচ্ছেন তরুণ মেধাবী শিক্ষার্থীরা। জাতিসংঘ শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থার (ইউনেসকো) তথ্য বলছে, উচ্চশি
১২ ঘণ্টা আগে
২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) স্নাতক বা স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা আগামী ১৮ ও ১৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. এস এম মাহবুবুর রহমান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে অফিসের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
প্রতিবছর বাংলাদেশের অসংখ্য শিক্ষার্থীর স্বপ্ন থাকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি কাঙ্ক্ষিত আসনে জায়গা করে নেওয়ার। তুলনামূলক কম খরচে মানসম্মত শিক্ষা, অভিজ্ঞ শিক্ষক ও আবাসিক সুযোগ-সুবিধার কারণে দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এখনো শিক্ষার্থীদের কাছে সবচেয়ে আকর্ষণীয় গন্তব্য।
৪ ঘণ্টা আগে
সম্পত্তি-সংক্রান্ত আইন বলতে মোট পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ আইনকে বোঝায়। বিচার বিভাগীয় পরীক্ষার প্রস্তুতিতে এগুলোর প্রতিটিই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। অনেক শিক্ষার্থীর কাছেই বিষয়গুলো শুরুতে জটিল মনে হয়। তবে একটু পরিকল্পিত ও গোছানোভাবে পড়াশোনা করলে প্রিলিমিনারি ও লিখিত—দুই পরীক্ষাতেই এখানে ভালো...
৫ ঘণ্টা আগেবিজেএস পরীক্ষা
সহকারী জজ নিয়োগ পরীক্ষায় সফল হতে হলে সম্পত্তি-সংক্রান্ত আইনগুলোতে পরিষ্কার ধারণা থাকতে হবে। চুক্তি আইন থেকে শুরু করে দলিল নিবন্ধন, ভূমি অধিগ্রহণ কিংবা সম্পত্তি হস্তান্তর—প্রতিটি আইনেই রয়েছে সূক্ষ্ম অথচ গুরুত্বপূর্ণ ধারা ও নীতিমালা। সম্পত্তি-সংক্রান্ত আইন নিয়ে নিজের অভিজ্ঞতা থেকে পরামর্শ দিয়েছেন ১৭তম বিজেএস পরীক্ষায় ষষ্ঠ স্থান অর্জন করা মোছা. মারুফা ইয়াসমিন। তাঁর পরামর্শ শুনেছেন শাহ বিলিয়া জুলফিকার।
শাহ বিলিয়া জুলফিকার

বিষয়ভিত্তিক পরামর্শ
সম্পত্তি-সংক্রান্ত আইন বলতে মোট পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ আইনকে বোঝায়। বিচার বিভাগীয় পরীক্ষার প্রস্তুতিতে এগুলোর প্রতিটিই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। অনেক শিক্ষার্থীর কাছেই বিষয়গুলো শুরুতে জটিল মনে হয়। তবে একটু পরিকল্পিত ও গোছানোভাবে পড়াশোনা করলে প্রিলিমিনারি ও লিখিত—দুই পরীক্ষাতেই এখানে ভালো নম্বর পাওয়া সম্ভব।
১. চুক্তি আইন, ১৮৭২
চুক্তি আইন (Contract Act, 1872) এমন একটি বিষয়, যার নাম শুনলে অনেকেই ভয় পান। অনেক শিক্ষার্থীর ধারণা এটা অগোছালো এবং কঠিন। কিন্তু বাস্তবে লিখিত পরীক্ষায় দেখা যায়, প্রশ্নগুলো বেশ সাধারণ ও মৌলিক ধারণাভিত্তিক হয়। তাই এই আইনটি বাদ না দিয়ে গুছিয়ে পড়লে প্রিলি ও লিখিত—দুই পরীক্ষাতেই ভালো নম্বর পাওয়া সম্ভব। প্রিলি পরীক্ষার জন্য সব ধারা মুখস্থ না করে গুরুত্বপূর্ণ ধারাগুলোতে ফোকাস করা উচিত। আর লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতিতে মনোযোগ দিতে হবে গুরুত্বপূর্ণ ডকট্রিনগুলো বোঝায়, দু-একটি ল্যান্ডমার্ক কেস অধ্যয়ন, প্রবলেমেটিক প্রশ্ন অনুশীলন, চুক্তির পক্ষদের অধিকার ও দায়দায়িত্ব এবং বিভিন্ন ধরনের চুক্তির বৈশিষ্ট্য ও পার্থক্য বুঝে নেওয়ায়। খাতার মান বাড়াতে দু-একটি ল্যাটিন টার্ম বা ম্যাক্সিম যোগ করা যেতে পারে, এতে উত্তরের উপস্থাপনা আরও আকর্ষণীয় হয়। গুরুত্বপূর্ণ ধারা: (2, 4, 5-7, 10, 11-36, 53-56, 58, 68-75, 124-126, 129, 130, 137, 138, 148-150, 151-169, 170-176, 179, 169-176, 182-191, 195, 197, 201-207, 211, 213, 214, 216, 218, 220, 223-225, 227-228, 235, 237)।
২. The Registration Act, 1908
এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আইন। প্রিলি পরীক্ষায় এই আইন থেকে প্রশ্ন আসে সরাসরি বেয়ার অ্যাক্ট থেকে, তাই বেয়ার অ্যাক্ট ভালোভাবে পড়াই মূল কৌশল। বিশেষ করে ডেফিনেশনের ধারা ও এর উপধারাগুলো, কোন দলিল রেজিস্ট্রেশন করা বাধ্যতামূলক আর কোনটি নয়, কত দিনের মধ্যে রেজিস্ট্রেশনের জন্য জমা দিতে হয়, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে না করলে তার ফলাফল কী—এসব অংশে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। রেজিস্ট্রেশন ফি ও শাস্তিসম্পর্কিত ধারাগুলোও ভালোভাবে পড়া জরুরি। লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য টপিকভিত্তিক পড়াশোনা সবচেয়ে কার্যকর। যেমন রেজিস্ট্রেশনের উদ্দেশ্য, কোন দলিলগুলো বাধ্যতামূলকভাবে রেজিস্ট্রেশন করতে হয়, প্রবলেমেটিক প্রশ্ন (যেমন: একাধিক দলিলের মধ্যে কোনটি আগে প্রাধান্য পাবে), দলিল প্রেজেন্ট করার সময়সীমা, জমি ভিন্ন ভিন্ন স্থানে হলে রেজিস্ট্রেশনের পদ্ধতি, Power of Attorney, Will-সম্পর্কিত ধারা, রেজিস্ট্রেশন না করার ফলাফল এবং Registering Officer-এর
দায়িত্ব ও ক্ষমতা।
৩. The State Acquisition and Tenancy Act, 1950
সম্পত্তি আইন প্রস্তুতিতে The State Acquisition and Tenancy Act, 1950 একটি গুরুত্বপূর্ণ ও কিছুটা জটিল আইন। প্রিলিমিনারি ও লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতি একসঙ্গে নিলে এখানে ভালো নম্বর পাওয়া সম্ভব। লিখিত পরীক্ষায় সবচেয়ে বেশি প্রশ্ন আসে ধারা ২ থেকে। বিশেষ করে ২ (২, ৬, ৯, ৯ ক, ১১, ১২, ১৪, ১৬, ২০, ২২, ২৭, ৩০)। ধারা ২০ ভালোভাবে বুঝে পড়া জরুরি। ল্যান্ড সিলিং (এই অংশে Land Reforms Act ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য আইনের রেফারেন্সসহ পড়া উচিত), সাব-লেটিং (৭৫ ক, ৮১ ক, ৯৩ ধারা), সিকস্তি-পয়স্তি (ল্যান্ডমার্ক কেসসহ), রেকর্ড অব রাইটস, খাজনা ও খাজনার হার, রায়তের অধিকার ও বিলুপ্তি, মর্টগেজ, অগ্রক্রয়, ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনাল ও ল্যান্ড সার্ভে আপিলেট ট্রাইব্যুনাল, আপিল-রিভিশন, আদিবাসীদের দ্বারা ভূমি হস্তান্তর, অ্যামালগামেশন, সাবডিভিশন, কনসলিডেশন ও নামজারি—এসব বিষয় মনোযোগ দিয়ে পড়া প্রয়োজন। প্রিলি পরীক্ষায় ফোকাস করতে হবে আপিল ও রিভিশনের সময়সীমা, ফোরাম, বিভিন্ন অথরিটির ক্ষমতা, দরখাস্তের প্রক্রিয়া, খাজনা নির্ধারণ ও মওকুফের ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি কারা, অগ্রক্রয়ের সময়সীমা, কোর্ট ফিসহ ৯৬ ধারার উপধারাগুলো ভালোভাবে পড়ে ফেলতে হবে।
৪. The Non-Agricultural Tenancy Act, 1949
এটি সম্পত্তি আইনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আইন। প্রিলির জন্য বিশেষভাবে ধারা ৩, ৬, ১০, ২০, ২১, ২৩, ২৪, ২৬, ২৬ ক, ৬৪-৬৬, ৭০, ৭১, ৭৫-৭৭, ৮৫, ৮৫ক ও ৮৭-এর ওপর মনোযোগ দেওয়া উচিত। অন্যদিকে লিখিত পরীক্ষায় দেখা যায়, প্রশ্ন প্রায় একই টপিক ঘিরে আসে। বিশেষ করে অগ্রক্রয়-সম্পর্কিত অধ্যায়টি থেকে প্রবলেমেটিক প্রশ্ন আসার প্রবণতা বেশি।
তাই অগ্রক্রয় টপিক-সম্পর্কিত সব আইনের তুলনামূলক আলোচনাগুলো অধ্যয়ন করা
জরুরি। লিখিত পরীক্ষায় ধারা ২, ৩, ৪, ৬, ৭, ৮, ৯, ১০, ২০, ২৩, ২৬ ক, ৭০, ৭৭ ও ৮৫ এগুলোর ওপর ভালো ধারণা রাখতে হবে। এ ছাড়া ডেফিনেশন ও উন্নয়ন-সম্পর্কিত বিষয়গুলো থেকে নিয়মিতভাবে প্রশ্ন আসে।
৫. The Transfer of Property Act, 1882
এটি ডকট্রিনভিত্তিক একটি আইন। এই আইনটিতে প্রিলি ও রিটেন পরীক্ষার প্রস্তুতি একসঙ্গে নিলে ভালো ফল পাওয়া যায়। প্রথমে বেয়ার অ্যাক্টের ধারাগুলো ভালোভাবে পড়তে হবে, বিশেষ করে যেখানে উদাহরণ দেওয়া আছে। কারণ প্রবলেমেটিক প্রশ্ন সাধারণত সেই উদাহরণ থেকেই আসে। এই আইনের বড় অংশ জুড়ে রয়েছে ডকট্রিনভিত্তিক পড়াশোনা। কোন ধারায় কোন ডকট্রিন প্রতিফলিত হয়েছে, তা উদাহরণসহ বুঝে পড়া জরুরি। বিক্রয়, রেহেন, ইজারা, চার্জ ও অ্যাকশনেবল ক্লেইমের সৃষ্টি, বৈশিষ্ট্য, পক্ষদের দায়দায়িত্ব ও পার্থক্য ভালোভাবে আয়ত্তে আনতে হবে। ধারা ৩ থেকে প্রায়ই প্রশ্ন আসে, তাই এটি বিশেষভাবে পড়তে হবে।
পরীক্ষায় ভালো করতে ৫ করণীয়
■ বেয়ার অ্যাক্ট পড়ুন: প্রিলি পরীক্ষার জন্য অবশ্যই বেয়ার অ্যাক্ট পড়া উচিত। ধারাগুলো, সংজ্ঞা এবং মূল ধারা বোঝা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ প্রিলি পরীক্ষার প্রশ্ন প্রায়ই সরাসরি
আইন থেকে আসে।
■ বিগত বছরের প্রশ্ন বিশ্লেষণ: লিখিত পরীক্ষার জন্য প্রথমে বিগত বছরের প্রশ্ন পড়া উচিত। এতে বোঝা যাবে কোন টপিক থেকে বারবার প্রশ্ন আসছে এবং আপনার প্রস্তুতি সেই অনুযায়ী সাজানো সম্ভব হবে। এটি আপনার সময় এবং পরিশ্রম সঠিকভাবে ব্যবহার করতে সাহায্য করবে।
■ খাতার সৌন্দর্য বৃদ্ধি: লিখিত পরীক্ষায় খাতার সৌন্দর্য এবং প্রেজেন্টেশন গুরুত্বপূর্ণ। এর জন্য ল্যাটিন টার্ম বা ম্যাক্সিম, প্রয়োজনীয় ডকট্রিন উল্লেখ ও দু-তিনটি উদাহরণ খাতায় লিখুন। এ পদ্ধতি ছাড়া খাতার সৌন্দর্য ও প্রভাব বাড়ানো সম্ভব নয়।
■ প্রবলেমেটিক প্রশ্নে গুরুত্ব দিন: প্রবলেমেটিক প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিতে পারলে লিখিত পরীক্ষায় উচ্চ মার্কস পাওয়া যায়। তাই এ ধরনের প্রশ্নগুলোর প্রস্তুতিতে বিশেষ গুরুত্ব দিন।
■ সাজানো ও গোছানো প্রস্তুতি: আপনার প্রস্তুতি যা-ই হোক, তা সাজানো ও গোছানো রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এলোমেলো পড়াশোনা থেকে ভালো লিখতে পারা কঠিন। তাই এখন থেকেই পড়াশোনার সবকিছু গুছিয়ে রাখা শুরু করুন।

বিষয়ভিত্তিক পরামর্শ
সম্পত্তি-সংক্রান্ত আইন বলতে মোট পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ আইনকে বোঝায়। বিচার বিভাগীয় পরীক্ষার প্রস্তুতিতে এগুলোর প্রতিটিই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। অনেক শিক্ষার্থীর কাছেই বিষয়গুলো শুরুতে জটিল মনে হয়। তবে একটু পরিকল্পিত ও গোছানোভাবে পড়াশোনা করলে প্রিলিমিনারি ও লিখিত—দুই পরীক্ষাতেই এখানে ভালো নম্বর পাওয়া সম্ভব।
১. চুক্তি আইন, ১৮৭২
চুক্তি আইন (Contract Act, 1872) এমন একটি বিষয়, যার নাম শুনলে অনেকেই ভয় পান। অনেক শিক্ষার্থীর ধারণা এটা অগোছালো এবং কঠিন। কিন্তু বাস্তবে লিখিত পরীক্ষায় দেখা যায়, প্রশ্নগুলো বেশ সাধারণ ও মৌলিক ধারণাভিত্তিক হয়। তাই এই আইনটি বাদ না দিয়ে গুছিয়ে পড়লে প্রিলি ও লিখিত—দুই পরীক্ষাতেই ভালো নম্বর পাওয়া সম্ভব। প্রিলি পরীক্ষার জন্য সব ধারা মুখস্থ না করে গুরুত্বপূর্ণ ধারাগুলোতে ফোকাস করা উচিত। আর লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতিতে মনোযোগ দিতে হবে গুরুত্বপূর্ণ ডকট্রিনগুলো বোঝায়, দু-একটি ল্যান্ডমার্ক কেস অধ্যয়ন, প্রবলেমেটিক প্রশ্ন অনুশীলন, চুক্তির পক্ষদের অধিকার ও দায়দায়িত্ব এবং বিভিন্ন ধরনের চুক্তির বৈশিষ্ট্য ও পার্থক্য বুঝে নেওয়ায়। খাতার মান বাড়াতে দু-একটি ল্যাটিন টার্ম বা ম্যাক্সিম যোগ করা যেতে পারে, এতে উত্তরের উপস্থাপনা আরও আকর্ষণীয় হয়। গুরুত্বপূর্ণ ধারা: (2, 4, 5-7, 10, 11-36, 53-56, 58, 68-75, 124-126, 129, 130, 137, 138, 148-150, 151-169, 170-176, 179, 169-176, 182-191, 195, 197, 201-207, 211, 213, 214, 216, 218, 220, 223-225, 227-228, 235, 237)।
২. The Registration Act, 1908
এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আইন। প্রিলি পরীক্ষায় এই আইন থেকে প্রশ্ন আসে সরাসরি বেয়ার অ্যাক্ট থেকে, তাই বেয়ার অ্যাক্ট ভালোভাবে পড়াই মূল কৌশল। বিশেষ করে ডেফিনেশনের ধারা ও এর উপধারাগুলো, কোন দলিল রেজিস্ট্রেশন করা বাধ্যতামূলক আর কোনটি নয়, কত দিনের মধ্যে রেজিস্ট্রেশনের জন্য জমা দিতে হয়, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে না করলে তার ফলাফল কী—এসব অংশে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। রেজিস্ট্রেশন ফি ও শাস্তিসম্পর্কিত ধারাগুলোও ভালোভাবে পড়া জরুরি। লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য টপিকভিত্তিক পড়াশোনা সবচেয়ে কার্যকর। যেমন রেজিস্ট্রেশনের উদ্দেশ্য, কোন দলিলগুলো বাধ্যতামূলকভাবে রেজিস্ট্রেশন করতে হয়, প্রবলেমেটিক প্রশ্ন (যেমন: একাধিক দলিলের মধ্যে কোনটি আগে প্রাধান্য পাবে), দলিল প্রেজেন্ট করার সময়সীমা, জমি ভিন্ন ভিন্ন স্থানে হলে রেজিস্ট্রেশনের পদ্ধতি, Power of Attorney, Will-সম্পর্কিত ধারা, রেজিস্ট্রেশন না করার ফলাফল এবং Registering Officer-এর
দায়িত্ব ও ক্ষমতা।
৩. The State Acquisition and Tenancy Act, 1950
সম্পত্তি আইন প্রস্তুতিতে The State Acquisition and Tenancy Act, 1950 একটি গুরুত্বপূর্ণ ও কিছুটা জটিল আইন। প্রিলিমিনারি ও লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতি একসঙ্গে নিলে এখানে ভালো নম্বর পাওয়া সম্ভব। লিখিত পরীক্ষায় সবচেয়ে বেশি প্রশ্ন আসে ধারা ২ থেকে। বিশেষ করে ২ (২, ৬, ৯, ৯ ক, ১১, ১২, ১৪, ১৬, ২০, ২২, ২৭, ৩০)। ধারা ২০ ভালোভাবে বুঝে পড়া জরুরি। ল্যান্ড সিলিং (এই অংশে Land Reforms Act ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য আইনের রেফারেন্সসহ পড়া উচিত), সাব-লেটিং (৭৫ ক, ৮১ ক, ৯৩ ধারা), সিকস্তি-পয়স্তি (ল্যান্ডমার্ক কেসসহ), রেকর্ড অব রাইটস, খাজনা ও খাজনার হার, রায়তের অধিকার ও বিলুপ্তি, মর্টগেজ, অগ্রক্রয়, ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনাল ও ল্যান্ড সার্ভে আপিলেট ট্রাইব্যুনাল, আপিল-রিভিশন, আদিবাসীদের দ্বারা ভূমি হস্তান্তর, অ্যামালগামেশন, সাবডিভিশন, কনসলিডেশন ও নামজারি—এসব বিষয় মনোযোগ দিয়ে পড়া প্রয়োজন। প্রিলি পরীক্ষায় ফোকাস করতে হবে আপিল ও রিভিশনের সময়সীমা, ফোরাম, বিভিন্ন অথরিটির ক্ষমতা, দরখাস্তের প্রক্রিয়া, খাজনা নির্ধারণ ও মওকুফের ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি কারা, অগ্রক্রয়ের সময়সীমা, কোর্ট ফিসহ ৯৬ ধারার উপধারাগুলো ভালোভাবে পড়ে ফেলতে হবে।
৪. The Non-Agricultural Tenancy Act, 1949
এটি সম্পত্তি আইনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আইন। প্রিলির জন্য বিশেষভাবে ধারা ৩, ৬, ১০, ২০, ২১, ২৩, ২৪, ২৬, ২৬ ক, ৬৪-৬৬, ৭০, ৭১, ৭৫-৭৭, ৮৫, ৮৫ক ও ৮৭-এর ওপর মনোযোগ দেওয়া উচিত। অন্যদিকে লিখিত পরীক্ষায় দেখা যায়, প্রশ্ন প্রায় একই টপিক ঘিরে আসে। বিশেষ করে অগ্রক্রয়-সম্পর্কিত অধ্যায়টি থেকে প্রবলেমেটিক প্রশ্ন আসার প্রবণতা বেশি।
তাই অগ্রক্রয় টপিক-সম্পর্কিত সব আইনের তুলনামূলক আলোচনাগুলো অধ্যয়ন করা
জরুরি। লিখিত পরীক্ষায় ধারা ২, ৩, ৪, ৬, ৭, ৮, ৯, ১০, ২০, ২৩, ২৬ ক, ৭০, ৭৭ ও ৮৫ এগুলোর ওপর ভালো ধারণা রাখতে হবে। এ ছাড়া ডেফিনেশন ও উন্নয়ন-সম্পর্কিত বিষয়গুলো থেকে নিয়মিতভাবে প্রশ্ন আসে।
৫. The Transfer of Property Act, 1882
এটি ডকট্রিনভিত্তিক একটি আইন। এই আইনটিতে প্রিলি ও রিটেন পরীক্ষার প্রস্তুতি একসঙ্গে নিলে ভালো ফল পাওয়া যায়। প্রথমে বেয়ার অ্যাক্টের ধারাগুলো ভালোভাবে পড়তে হবে, বিশেষ করে যেখানে উদাহরণ দেওয়া আছে। কারণ প্রবলেমেটিক প্রশ্ন সাধারণত সেই উদাহরণ থেকেই আসে। এই আইনের বড় অংশ জুড়ে রয়েছে ডকট্রিনভিত্তিক পড়াশোনা। কোন ধারায় কোন ডকট্রিন প্রতিফলিত হয়েছে, তা উদাহরণসহ বুঝে পড়া জরুরি। বিক্রয়, রেহেন, ইজারা, চার্জ ও অ্যাকশনেবল ক্লেইমের সৃষ্টি, বৈশিষ্ট্য, পক্ষদের দায়দায়িত্ব ও পার্থক্য ভালোভাবে আয়ত্তে আনতে হবে। ধারা ৩ থেকে প্রায়ই প্রশ্ন আসে, তাই এটি বিশেষভাবে পড়তে হবে।
পরীক্ষায় ভালো করতে ৫ করণীয়
■ বেয়ার অ্যাক্ট পড়ুন: প্রিলি পরীক্ষার জন্য অবশ্যই বেয়ার অ্যাক্ট পড়া উচিত। ধারাগুলো, সংজ্ঞা এবং মূল ধারা বোঝা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ প্রিলি পরীক্ষার প্রশ্ন প্রায়ই সরাসরি
আইন থেকে আসে।
■ বিগত বছরের প্রশ্ন বিশ্লেষণ: লিখিত পরীক্ষার জন্য প্রথমে বিগত বছরের প্রশ্ন পড়া উচিত। এতে বোঝা যাবে কোন টপিক থেকে বারবার প্রশ্ন আসছে এবং আপনার প্রস্তুতি সেই অনুযায়ী সাজানো সম্ভব হবে। এটি আপনার সময় এবং পরিশ্রম সঠিকভাবে ব্যবহার করতে সাহায্য করবে।
■ খাতার সৌন্দর্য বৃদ্ধি: লিখিত পরীক্ষায় খাতার সৌন্দর্য এবং প্রেজেন্টেশন গুরুত্বপূর্ণ। এর জন্য ল্যাটিন টার্ম বা ম্যাক্সিম, প্রয়োজনীয় ডকট্রিন উল্লেখ ও দু-তিনটি উদাহরণ খাতায় লিখুন। এ পদ্ধতি ছাড়া খাতার সৌন্দর্য ও প্রভাব বাড়ানো সম্ভব নয়।
■ প্রবলেমেটিক প্রশ্নে গুরুত্ব দিন: প্রবলেমেটিক প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিতে পারলে লিখিত পরীক্ষায় উচ্চ মার্কস পাওয়া যায়। তাই এ ধরনের প্রশ্নগুলোর প্রস্তুতিতে বিশেষ গুরুত্ব দিন।
■ সাজানো ও গোছানো প্রস্তুতি: আপনার প্রস্তুতি যা-ই হোক, তা সাজানো ও গোছানো রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এলোমেলো পড়াশোনা থেকে ভালো লিখতে পারা কঠিন। তাই এখন থেকেই পড়াশোনার সবকিছু গুছিয়ে রাখা শুরু করুন।

দেশে মানসম্মত শিক্ষার ঘাটতি আছে। রয়েছে কর্মসংস্থানের অভাব, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অস্থিরতা। এতে তরুণদের বড় অংশের মধ্যে ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা কাজ করছে। এমন পরিস্থিতিতে উন্নত ভবিষ্যতের আশায় বিদেশমুখী হচ্ছেন তরুণ মেধাবী শিক্ষার্থীরা। জাতিসংঘ শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থার (ইউনেসকো) তথ্য বলছে, উচ্চশি
১২ ঘণ্টা আগে
২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) স্নাতক বা স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা আগামী ১৮ ও ১৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. এস এম মাহবুবুর রহমান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে অফিসের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
প্রতিবছর বাংলাদেশের অসংখ্য শিক্ষার্থীর স্বপ্ন থাকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি কাঙ্ক্ষিত আসনে জায়গা করে নেওয়ার। তুলনামূলক কম খরচে মানসম্মত শিক্ষা, অভিজ্ঞ শিক্ষক ও আবাসিক সুযোগ-সুবিধার কারণে দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এখনো শিক্ষার্থীদের কাছে সবচেয়ে আকর্ষণীয় গন্তব্য।
৪ ঘণ্টা আগে
চীনে নানজিং বিশ্ববিদ্যালয় সিএসসি বৃত্তির আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী এ স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারবেন। এই বৃত্তিতে অর্থায়ন করবে চীনা সরকার। বৃত্তিটির জন্য নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা দেশটির নানজিং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ও ডক্টরাল (পিএইচডি) ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন।
৪ ঘণ্টা আগে