রেজা মাহমুদ, সৈয়দপুর (নীলফামারী)
শমসের হোসেনের বয়স ৬২ বছর। দরিদ্র পরিবারে জন্ম তাঁর। ঠিকমতো খাবার না জোটায় ক্ষুধার যন্ত্রণায় ১০ বছর বয়সে বাড়ি থেকে বের হন তিনি। এরপর দেশের বিভিন্ন স্থানে কাটিয়ে ৫২ বছর পর বাড়িতে ফিরে মায়ের দেখা পেলেন তিনি। গতকাল শনিবার মা-ছেলের সাক্ষাতের মুহূর্ত কাঁদিয়েছে উপস্থিত সবাইকে।
শমসেরের বাড়ি নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার বাঙ্গালীপুর ইউনিয়নের লক্ষ্মণপুর-কদমতলীর বাড়াইশালপাড়া গ্রামে। তাঁর বাবা বজর মামুদ ২০ বছর আগে মারা গেছেন। তাঁর মায়ের নাম সবেজান বেগম।
শমসেরের পরিবারের লোকজন জানান, শমসের দরিদ্র পরিবারে জন্ম নেন। তাঁর বাবা ছিলেন দিনমজুর। আট ভাই ও দুই বোনের মধ্যে শমসের বড়। অর্থের অভাবে একবেলা খেয়ে তো আরেকবেলা না খেয়ে থাকতে হতো তাঁদের। অভাবের তাড়নায় খাবার না পেয়ে ৫২ বছর আগে বাড়ি থেকে রাগ করে বের হন ১০ বছরের শমসের। এরপর দিনাজপুরের পার্বতীপুরে একটি হোটেলে শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন দুই বছর। সেখান থেকে চলে যান পুরোনো ঢাকার কলতাবাজার এলাকায়। সেখানে গিয়ে কয়েক বছর হোটেলে কাজ করেছেন তিনি। পরবর্তীকালে রিকশা চালান। থাকতেন রিকশার গ্যারেজে।
দুই বছর আগে শমসেরের ছোট ভাই মোতালেব হোসেন ঢাকায় গিয়ে রিকশা চালানো শুরু করেন। সম্প্রতি মোতালেবের সঙ্গে পুরোনো ঢাকায় দেখা হয় শমসেরের। প্রথমে চিনতে না পারলেও কথাবার্তার একপর্যায় একে-অপরের মধ্যে পরিচয় দেন। এ সময় নিশ্চিত হন তাঁরা সম্পর্কে আপন ভাই। পরে মোতালেব বাড়িতে ভাই শমসেরকে ফিরিয়ে আনেন বলে জানান পরিবারের লোকজন।
পরিবার খুঁজে পেয়ে শমসের হোসেন বলেন, ‘ক্ষুধার যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে রাগ করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাই। ট্রেনে করে পার্বতীপুর নামি। এরপর মা-বাবার নাম বলতে পারলেও ঠিকানা ঠিকভাবে বলতে পারছিলাম না। তাই আর বাড়ি ফেরা হয়নি। সেখানে কিছুদিন হোটেলে কাজ করি। পরে হোটেলের আরেক কর্মচারীর সঙ্গে ঢাকায় যাই। এত দিন সেখানেই ছিলাম।’
দীর্ঘদিন পর নিজের ইচ্ছে পূর্ণ হওয়ায় আনন্দিত বলে জানান শমসের। তিনি বলেন, ‘আমার পরিবারের সঙ্গে দেখা হয়েছে। ভেবেছিলাম মা-বাবা কেউই বেঁচে নেই। এত দিন পরে মায়ের সঙ্গে দেখা। জীবনের সবচেয়ে খুশির মুহূর্ত এটি। তবে কষ্ট হচ্ছে বাবার সঙ্গে সাক্ষাৎ হলো না!’ তিনি বিয়ে করলেও স্ত্রীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। বর্তমানে তাঁর কোনো সন্তান-স্ত্রী নেই বলে জানান শমসের।
শমসেরের মা সবেজান বেগম বলেন, ‘অনেক খোঁজাখুঁজির পর ছেলের সন্ধান না পেয়ে দীর্ঘ ৫২ বছর ধরে চোখের জল ফেলেছি। কিন্তু এত দিন পর হলেও সৃষ্টিকর্তা ছেলেকে আমার কাছে ফিরিয়ে দিয়েছেন। আমার যে কত আনন্দ হচ্ছে তা বোঝাতে পারব না।’
বাঙ্গালীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহাজাদা সরকার বলেন, ‘সবেজান বেগমকে অনেক দিন ধরেই চিনি। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি প্রায়ই পরিষদে এসে জানতে চাইতেন কেউ তাঁর ছেলের কোনো খোঁজ দিয়েছেন কি না। এত দিন পর হলেও মা তাঁর ছেলেকে ফিরে পেয়েছেন। এতে আমরাও আনন্দিত।’
চেয়ারম্যান শাহাজাদা আরও বলেন, ‘সবেজান বেগমের পরিবার এতটাই দরিদ্র যে পরিবারের আট সদস্যের থাকার জন্য নিজস্ব কোনো বাড়িঘর ছিল না। পরে তাঁদের থাকার জন্য বাড়াইশালপাড়ার আবাসনে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া উপহারের দুটি ঘর তাঁদের নামে বরাদ্দ দেওয়া হয়।’
শমসের হোসেনের বয়স ৬২ বছর। দরিদ্র পরিবারে জন্ম তাঁর। ঠিকমতো খাবার না জোটায় ক্ষুধার যন্ত্রণায় ১০ বছর বয়সে বাড়ি থেকে বের হন তিনি। এরপর দেশের বিভিন্ন স্থানে কাটিয়ে ৫২ বছর পর বাড়িতে ফিরে মায়ের দেখা পেলেন তিনি। গতকাল শনিবার মা-ছেলের সাক্ষাতের মুহূর্ত কাঁদিয়েছে উপস্থিত সবাইকে।
শমসেরের বাড়ি নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার বাঙ্গালীপুর ইউনিয়নের লক্ষ্মণপুর-কদমতলীর বাড়াইশালপাড়া গ্রামে। তাঁর বাবা বজর মামুদ ২০ বছর আগে মারা গেছেন। তাঁর মায়ের নাম সবেজান বেগম।
শমসেরের পরিবারের লোকজন জানান, শমসের দরিদ্র পরিবারে জন্ম নেন। তাঁর বাবা ছিলেন দিনমজুর। আট ভাই ও দুই বোনের মধ্যে শমসের বড়। অর্থের অভাবে একবেলা খেয়ে তো আরেকবেলা না খেয়ে থাকতে হতো তাঁদের। অভাবের তাড়নায় খাবার না পেয়ে ৫২ বছর আগে বাড়ি থেকে রাগ করে বের হন ১০ বছরের শমসের। এরপর দিনাজপুরের পার্বতীপুরে একটি হোটেলে শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন দুই বছর। সেখান থেকে চলে যান পুরোনো ঢাকার কলতাবাজার এলাকায়। সেখানে গিয়ে কয়েক বছর হোটেলে কাজ করেছেন তিনি। পরবর্তীকালে রিকশা চালান। থাকতেন রিকশার গ্যারেজে।
দুই বছর আগে শমসেরের ছোট ভাই মোতালেব হোসেন ঢাকায় গিয়ে রিকশা চালানো শুরু করেন। সম্প্রতি মোতালেবের সঙ্গে পুরোনো ঢাকায় দেখা হয় শমসেরের। প্রথমে চিনতে না পারলেও কথাবার্তার একপর্যায় একে-অপরের মধ্যে পরিচয় দেন। এ সময় নিশ্চিত হন তাঁরা সম্পর্কে আপন ভাই। পরে মোতালেব বাড়িতে ভাই শমসেরকে ফিরিয়ে আনেন বলে জানান পরিবারের লোকজন।
পরিবার খুঁজে পেয়ে শমসের হোসেন বলেন, ‘ক্ষুধার যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে রাগ করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাই। ট্রেনে করে পার্বতীপুর নামি। এরপর মা-বাবার নাম বলতে পারলেও ঠিকানা ঠিকভাবে বলতে পারছিলাম না। তাই আর বাড়ি ফেরা হয়নি। সেখানে কিছুদিন হোটেলে কাজ করি। পরে হোটেলের আরেক কর্মচারীর সঙ্গে ঢাকায় যাই। এত দিন সেখানেই ছিলাম।’
দীর্ঘদিন পর নিজের ইচ্ছে পূর্ণ হওয়ায় আনন্দিত বলে জানান শমসের। তিনি বলেন, ‘আমার পরিবারের সঙ্গে দেখা হয়েছে। ভেবেছিলাম মা-বাবা কেউই বেঁচে নেই। এত দিন পরে মায়ের সঙ্গে দেখা। জীবনের সবচেয়ে খুশির মুহূর্ত এটি। তবে কষ্ট হচ্ছে বাবার সঙ্গে সাক্ষাৎ হলো না!’ তিনি বিয়ে করলেও স্ত্রীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। বর্তমানে তাঁর কোনো সন্তান-স্ত্রী নেই বলে জানান শমসের।
শমসেরের মা সবেজান বেগম বলেন, ‘অনেক খোঁজাখুঁজির পর ছেলের সন্ধান না পেয়ে দীর্ঘ ৫২ বছর ধরে চোখের জল ফেলেছি। কিন্তু এত দিন পর হলেও সৃষ্টিকর্তা ছেলেকে আমার কাছে ফিরিয়ে দিয়েছেন। আমার যে কত আনন্দ হচ্ছে তা বোঝাতে পারব না।’
বাঙ্গালীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহাজাদা সরকার বলেন, ‘সবেজান বেগমকে অনেক দিন ধরেই চিনি। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি প্রায়ই পরিষদে এসে জানতে চাইতেন কেউ তাঁর ছেলের কোনো খোঁজ দিয়েছেন কি না। এত দিন পর হলেও মা তাঁর ছেলেকে ফিরে পেয়েছেন। এতে আমরাও আনন্দিত।’
চেয়ারম্যান শাহাজাদা আরও বলেন, ‘সবেজান বেগমের পরিবার এতটাই দরিদ্র যে পরিবারের আট সদস্যের থাকার জন্য নিজস্ব কোনো বাড়িঘর ছিল না। পরে তাঁদের থাকার জন্য বাড়াইশালপাড়ার আবাসনে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া উপহারের দুটি ঘর তাঁদের নামে বরাদ্দ দেওয়া হয়।’
রোববার ভোরে নিজ বাড়িতে রবি মাতুব্বর তার ইজিবাইক চার্জ দিতে যান। এ সময় হঠাৎ বিদ্যুতায়িত হয়ে মাটিতে পরে যান তিনি। স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
৪ মিনিট আগে’যমুনা নদীর পানি বাড়ছে। যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধ হার্ড পয়েন্ট এলাকায় গত ২০ জুন ৩ সেন্টিমিটার, ২১ জুন ৮ সেন্টিমিটার ও ২২ জুন ১৪ সেন্টিমিটার পানি বেড়েছে। একই সময় কাজীপুর মেঘাইঘাট পয়েন্টে গত তিন দিনে ২৭ সেন্টিমিটার পানি বেড়েছে। তবে পানি বাড়লেও সিরাজগঞ্জে বিপদসীমার ২৯৭ সেন্টিমিটার ও কাজী
২৩ মিনিট আগেসরকারি চাকরি অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন কর্মচারীরা। আজ রোববার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে সচিবালয়ের ১১ নম্বর ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন তাঁরা।
৪০ মিনিট আগেসাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে ১৮ বাংলাদেশিকে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। গতকাল শনিবার কুশখালী ও কৈখালী সীমান্তে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে এ হস্তান্তর সম্পন্ন হয়।
৪২ মিনিট আগে