Ajker Patrika

রাকসু নির্বাচন: ম্যানুয়াল ভোট গণনাসহ ১২ দাবি দুই প্যানেলের

  • ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে ভোট গণনার দাবি অযৌক্তিক, বলছে নির্বাচন কমিশন
  • শেষ দিনে ভিপিসহ ১৪ প্রার্থী প্রত্যাহার করেছেন মনোনয়নপত্র
রাবি প্রতিনিধি  
১২ দফা দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করে ছাত্রদল-সমর্থিত প্যানেল এবং রাকসু ফর র‍্যাডিক্যাল চেঞ্জ। গতকাল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে। ছবি: আজকের পত্রিকা
১২ দফা দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করে ছাত্রদল-সমর্থিত প্যানেল এবং রাকসু ফর র‍্যাডিক্যাল চেঞ্জ। গতকাল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে। ছবি: আজকের পত্রিকা

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু), সিনেট ছাত্রপ্রতিনিধি ও হল সংসদ নির্বাচনে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে ভোট গণনাসহ ১২ দফা দাবি জানিয়েছে ছাত্রদল-সমর্থিত প্যানেল এবং ছাত্র অধিকার পরিষদ ও ছাত্র ফেডারেশন সমন্বয়ে গঠিত প্যানেল ‘রাকসু ফর র‍্যাডিক্যাল চেঞ্জ’।

গতকাল শনিবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন মার্কেট চত্বরে আয়োজিত যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি তুলে ধরেন ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি ও রাকসু কেন্দ্রীয় সংসদের ভিপি প্রার্থী মেহেদী হাসান মারুফ।

দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে স্বচ্ছ ব্যালট বাক্সের ব্যবস্থা করা, ভোট গ্রহণের শুরুতে সাংবাদিক ও প্রার্থীর এজেন্টদের সামনে ব্যালট বাক্স উন্মুক্ত করা, ভোটারদের আঙুলে উচ্চমানসম্পন্ন অমোচনীয় কালির ব্যবস্থা করা, এক দিনের মধ্যে ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রকাশ করা, ভোট গণনার স্বচ্ছতার জন্য ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে ভোট গণনা করা, প্রার্থীদের নির্বাচনী খরচ নির্দিষ্ট করা এবং সব প্যানেল বা প্রার্থীর পোস্টারের সংখ্যা সীমিত করা।

এর আগে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ছাত্রদল-সমর্থিত প্যানেলের সহসভাপতি (ভিপি) প্রার্থী শেখ নূর উদ্দিন আবীর। তিনি বলেন, ‘তফসিল ঘোষণার পর থেকেই নির্বাচন কমিশনের দুর্বলতা প্রকাশ পেয়েছে। এই দুর্বলতা আমাদের অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিচ্ছে।’

শেখ নূর উদ্দিন আরও বলেন, ‘ছাত্রশিবির কোনো রকম আচরণবিধির তোয়াক্কা করছে না। হলে হলে আতর বিলি, পানির ট্যাংক বসানো, খিচুড়ি পার্টি, মুড়ি পার্টি দিয়ে শিক্ষার্থীদের প্রভাবিত করছে। ফলে টাকা যার ভোট তার—নীতির প্রবর্তন হচ্ছে। এটি সুস্পষ্ট আচরণবিধির লঙ্ঘন। আমরা বারবার অভিযোগ করলেও কমিশন ব্যবস্থা নেয়নি।’

এদিকে, ‘ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে ভোট গণনার দাবি অযৌক্তিক’ বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক এফ নজরুল ইসলাম। গতকাল বিকেলে রাকসু নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিনে রাকসুর কোষাধ্যক্ষের কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘রাকসু নির্বাচন কমিশন ডিজিটাল পদ্ধতিতে ভোট গণনা করবে। এটা আগে থেকেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সুতরাং এটি একটি অযৌক্তিক দাবি।’

অবশ্য গতকাল মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন কেন্দ্রীয় ২৩টি পদে ১১ এবং সিনেট ছাত্রপ্রতিনিধি নির্বাচনে ৩ জন মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন। তবে আবাসিক হলের তথ্য গতকাল সন্ধ্যা ৭টায় এ খবর লেখা পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।

মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারকারীদের মধ্যে সহসভাপতি (ভিপি) পদে দুজন প্রার্থী রয়েছেন। তাঁদের একজন ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদুল হাসান মিঠু এবং অন্যজন আবুল হায়াৎ। তাঁরা উভয়ই স্বতন্ত্র হিসেবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন।

এ ছাড়া সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ১, পরিবেশ ও সমাজকল্যাণবিষয়ক সহকারী সম্পাদক পদে ২, নারীবিষয়ক সম্পাদক পদে ১, বিতর্ক ও সাহিত্যবিষয়ক সম্পাদক পদে ১, ক্রীড়া সম্পাদক পদে ১, মিডিয়া ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে ১, সংস্কৃতি সম্পাদক পদে ১ এবং কার্যনির্বাহী সদস্যপদে ১ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। অন্যদিকে সিনেট ছাত্রপ্রতিনিধি নির্বাচনে ৩ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত