বাগাতিপাড়া (নাটোর) প্রতিনিধি
শিক্ষকদের বায়োমেট্রিক হাজিরার জন্য নাটোরের বাগাতিপাড়ায় ৫৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্য কেনা হয় মেশিন। চার বছর পার হলেও হাজিরা মেশিনগুলোতে দেওয়া হয়নি কোনো সফটওয়্যার। ফলে দীর্ঘদিন অলস বসে থাকায় ইতিমধ্যে অনেক মেশিন নষ্ট হয়েছে।
জানা গেছে, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় শিক্ষকদের বিদ্যালয়ে প্রবেশ ও বের হওয়ার সময় পর্যবেক্ষণের জন্য উপজেলার ৫৬টি বিদ্যালয়ে ডিজিটাল হাজিরা মেশিন বসানো হয়েছিল। ভ্যাটসহ প্রতিটি মেশিনের দাম পড়ে প্রায় ১৭ হাজার টাকা। এতে ৫৬টি বিদ্যালয়ে মোট খরচ হয় ৯ লাখ ৫২ হাজার টাকা। ওই অর্থ ২০১৮-১৯ অর্থ বছরের বিদ্যালয়ের অবকাঠামো উন্নয়ন কাজের (স্লিপ ফান্ডের) টাকার সঙ্গে সমন্বয় করা হয়। যার গ্যারান্টি-ওয়ারেন্টি অনেক আগেই শেষ হয়ে গেছে। শিক্ষা দপ্তরের নির্দেশনা না থাকায় সেগুলো বিদ্যালয়ে ব্যবহার করা হয়নি। শিক্ষকেরা মাঝেমধ্যে মেশিনগুলো ভালো রাখতে চার্জ দেন।
শিক্ষক নেতা ও চাঁদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহাদাৎ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তিন বছরের ওয়ারেন্টিতে হাজিরা মেশিনগুলো কেনা হয়েছিল। এর মেয়াদ এক বছর আগেই শেষ হয়েছে। করোনার কারণে দীর্ঘদিন বিদ্যালয় ছুটি থাকায় মেশিনগুলো চালু করা যায়নি। যার কাছ থেকে মেশিনগুলো কেনা হয়েছিল তারও কোনো হদিস নেই। এখন সেগুলোতে সফটওয়্যার দিতে নতুনভাবে আবার অর্থের প্রয়োজন।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক বলেন, সরকারি টাকা নয়-ছয় করতে অনেক প্রকল্পই দেখা যায়, তবে বাস্তবায়ন হয় না। সারা দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ রকম ডিজিটাল হাজিরারও একটি প্রকল্প নেওয়া হয়েছিল। এতে একটি মহল বিরাট অঙ্কের অর্থ হরিলুট করেছে, এখন তাঁদের খবর নেই।
প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে সরকারিভাবে যত বরাদ্দ দেওয়া হয় সেগুলো টেকসই উন্নয়নে কাজে লাগানো হলে শিক্ষা ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন হতো বলে যুক্ত করেন ওই শিক্ষক।
বাঁশ বাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জহুরুল ইসলাম বলেন, ডিজিটাল হাজিরা মেশিনটি প্রথম থেকেই তাঁদের অফিস কক্ষের দরজার পাশেই বসানো আছে। একদিনও ব্যবহার হয়নি। অনেক আগেই সেটি নষ্ট হয়ে গেছে।
লোকমানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কামরুল ইসলাম জানান, তাঁর বিদ্যালয়ের ডিজিটাল হাজিরা মেশিনটি কেনা হয়েছে তিন বছর পার হয়ে গেছে। একদিনও ব্যবহার হয়নি। নষ্ট হয়েছে কিনা তিনি জানেন না। তবে আগে বিদ্যুতের সংযোগ দিলে আলো জ্বলত। কিছুদিন থেকে আর আলো জ্বলছে না।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ড. সাবরিনা আনাম বলেন, ‘আমি উপজেলায় যোগদানের আগে ডিজিটাল হাজিরা মেশিনগুলো কেনা হয়েছিল। অনলাইন হাজিরার বিষয়টি নিয়ে অধিদপ্তরের কোনো নির্দেশনা না থাকায় সেগুলো বন্ধ রয়েছে। তবে স্থাপন করা ও চালু না হওয়ার বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।’
শিক্ষকদের বায়োমেট্রিক হাজিরার জন্য নাটোরের বাগাতিপাড়ায় ৫৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্য কেনা হয় মেশিন। চার বছর পার হলেও হাজিরা মেশিনগুলোতে দেওয়া হয়নি কোনো সফটওয়্যার। ফলে দীর্ঘদিন অলস বসে থাকায় ইতিমধ্যে অনেক মেশিন নষ্ট হয়েছে।
জানা গেছে, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় শিক্ষকদের বিদ্যালয়ে প্রবেশ ও বের হওয়ার সময় পর্যবেক্ষণের জন্য উপজেলার ৫৬টি বিদ্যালয়ে ডিজিটাল হাজিরা মেশিন বসানো হয়েছিল। ভ্যাটসহ প্রতিটি মেশিনের দাম পড়ে প্রায় ১৭ হাজার টাকা। এতে ৫৬টি বিদ্যালয়ে মোট খরচ হয় ৯ লাখ ৫২ হাজার টাকা। ওই অর্থ ২০১৮-১৯ অর্থ বছরের বিদ্যালয়ের অবকাঠামো উন্নয়ন কাজের (স্লিপ ফান্ডের) টাকার সঙ্গে সমন্বয় করা হয়। যার গ্যারান্টি-ওয়ারেন্টি অনেক আগেই শেষ হয়ে গেছে। শিক্ষা দপ্তরের নির্দেশনা না থাকায় সেগুলো বিদ্যালয়ে ব্যবহার করা হয়নি। শিক্ষকেরা মাঝেমধ্যে মেশিনগুলো ভালো রাখতে চার্জ দেন।
শিক্ষক নেতা ও চাঁদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহাদাৎ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তিন বছরের ওয়ারেন্টিতে হাজিরা মেশিনগুলো কেনা হয়েছিল। এর মেয়াদ এক বছর আগেই শেষ হয়েছে। করোনার কারণে দীর্ঘদিন বিদ্যালয় ছুটি থাকায় মেশিনগুলো চালু করা যায়নি। যার কাছ থেকে মেশিনগুলো কেনা হয়েছিল তারও কোনো হদিস নেই। এখন সেগুলোতে সফটওয়্যার দিতে নতুনভাবে আবার অর্থের প্রয়োজন।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক বলেন, সরকারি টাকা নয়-ছয় করতে অনেক প্রকল্পই দেখা যায়, তবে বাস্তবায়ন হয় না। সারা দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ রকম ডিজিটাল হাজিরারও একটি প্রকল্প নেওয়া হয়েছিল। এতে একটি মহল বিরাট অঙ্কের অর্থ হরিলুট করেছে, এখন তাঁদের খবর নেই।
প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে সরকারিভাবে যত বরাদ্দ দেওয়া হয় সেগুলো টেকসই উন্নয়নে কাজে লাগানো হলে শিক্ষা ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন হতো বলে যুক্ত করেন ওই শিক্ষক।
বাঁশ বাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জহুরুল ইসলাম বলেন, ডিজিটাল হাজিরা মেশিনটি প্রথম থেকেই তাঁদের অফিস কক্ষের দরজার পাশেই বসানো আছে। একদিনও ব্যবহার হয়নি। অনেক আগেই সেটি নষ্ট হয়ে গেছে।
লোকমানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কামরুল ইসলাম জানান, তাঁর বিদ্যালয়ের ডিজিটাল হাজিরা মেশিনটি কেনা হয়েছে তিন বছর পার হয়ে গেছে। একদিনও ব্যবহার হয়নি। নষ্ট হয়েছে কিনা তিনি জানেন না। তবে আগে বিদ্যুতের সংযোগ দিলে আলো জ্বলত। কিছুদিন থেকে আর আলো জ্বলছে না।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ড. সাবরিনা আনাম বলেন, ‘আমি উপজেলায় যোগদানের আগে ডিজিটাল হাজিরা মেশিনগুলো কেনা হয়েছিল। অনলাইন হাজিরার বিষয়টি নিয়ে অধিদপ্তরের কোনো নির্দেশনা না থাকায় সেগুলো বন্ধ রয়েছে। তবে স্থাপন করা ও চালু না হওয়ার বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।’
রাজধানীর রামপুরা ব্রিজের দুই রেলিং ঢুকে আছে একটি বাসের মাঝ বরাবর। যাত্রী নিতে আরেক বাসের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নেমে চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে ‘রইছ’ নামের বাসটির এই দশা হয়। ৪ জুন সকালের এই দুর্ঘটনায় বাসটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। যাত্রী বেশি নিতে বাসচালকদের অসুস্থ প্রতিযোগিতা, লক্কড়ঝক্কড় ও ফিটনেসবিহীন বাস দুর্ঘটনা
৩ ঘণ্টা আগেগোপালগঞ্জ জেলা শহরের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সড়কে বছরের পর বছর বাস, ট্রাক ও মাইক্রোবাস পার্ক করে রাখা হচ্ছে। বিভিন্ন সড়কের এক লেন দখল করে রাখা হচ্ছে এসব যানবাহন। এতে প্রতিদিন যানজটসহ নানা ভোগান্তিতে পড়ছে মানুষ। মালিক-শ্রমিকেরা বলছেন, নির্ধারিত স্ট্যান্ড না থাকায় বাধ্য হয়ে রাস্তায় গাড়ি রাখছেন তাঁরা।
৩ ঘণ্টা আগেআলুতে বছরের পর বছর লাভ করে অভ্যস্ত জয়পুরহাটের কৃষক ও ব্যবসায়ীরা। তবে এবার পড়েছেন বড় ধরনের বিপাকে। একদিকে বাজারে আলুর দাম অস্থির, অন্যদিকে হিমাগারে সংরক্ষণ ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় হিমশিম খাচ্ছেন সবাই। সংরক্ষণ মৌসুমের শুরুতে স্থানীয় প্রশাসনের চাপে ভাড়া না বাড়াতে বাধ্য হলেও পরে কিছু হিমাগারের মালিক নানা অজুহা
৩ ঘণ্টা আগেনীলফামারীর সৈয়দপুরে চলছে জুয়ার জমজমাট আসর। উপজেলার দেড় শতাধিক স্থানে এসব আসর বসে বলে জানা গেছে। প্রতিদিন ২০-৩০ লাখ টাকা লেনদেন হয় এসব আসরে। সেই হিসাবে প্রতি মাসে জুয়াড়িদের কাছে হাতবদল হয় ৬ থেকে ৯ কোটি টাকা। এদিকে, জুয়ার কারণে অনেক পরিবার সর্বস্বান্ত হচ্ছে। জুয়ার টাকা সংগ্রহ করতে গিয়ে এলাকায় বেড়েছে
৪ ঘণ্টা আগে