নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

অভিযোগ তদন্তে গিয়ে পুলিশ কনস্টেবলের স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে বিভাগীয় মামলা খেয়েছেন এক উপপরিদর্শক (এসআই)। মামলা হওয়ার পর থেকে ওই এসআই নানাভাবে পুলিশ কনস্টেবলকে হয়রানি করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ওই এসআইয়ের নাম আবদুর রউফ। আগে তিনি রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) বোয়ালিয়া ও মতিহার থানায় ছিলেন। বর্তমানে আছেন সাতক্ষীরার কলারোয়া থানায়। আর ভুক্তভোগী কনস্টেবল আছেন পাবনার একটি ফাঁড়িতে।
স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে ওই কনস্টেবল গত বছর আরএমপির কমিশনারের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। আরএমপির সাইবার ক্রাইম ইউনিট এ অভিযোগের তদন্ত করে। ১২৭ পাতার তদন্ত প্রতিবেদনে অভিযোগের সত্যতা মিলেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এ নিয়ে অভিযুক্ত এসআইয়ের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়। পরে আরএমপির ট্রাফিক বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম মামলা তদন্ত করে সম্প্রতি প্রতিবেদন দেন।
ওই পুলিশ কনস্টেবল অভিযোগে উল্লেখ করেছিলেন, তাঁর ছেলে রাজশাহীর একটি স্কুলে পড়াশোনা করে। তাই তাঁর স্ত্রী সেখানে নিজের বাবার বাড়িতেই থাকেন। বাড়ির অংশ নিয়ে বোনদের মধ্যে বিরোধ দেখা দিলে এক শ্যালিকা নগরের বোয়ালিয়া থানায় অভিযোগ করেন। ওই অভিযোগ তদন্তের দায়িত্ব পান থানার তৎকালীন এসআই আবদুর রউফ। বিরোধ নিষ্পত্তির কথা বলে এসআই আবদুর রউফ তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলেন। একপর্যায়ে ওই এসআই নিচতলার একটি ঘর দখল করে ভাড়াটিয়া হিসেবে সেখানে থাকতে শুরু করেন।
কনস্টেবল অভিযোগে উল্লেখ করেন, একদিন তিনি পাবনা থেকে শ্বশুরবাড়ি গিয়ে দেখতে পান, তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে ডাইনিংয়ে বসে খাচ্ছেন ওই এসআই। তিনি সেদিনই প্রথম তাঁর পরিচয় জানতে পারেন। স্ত্রীর কাছে তিনি জানতে পারেন, অভিযোগ তদন্ত করতে এসে তাঁর সঙ্গে পরিচয় হয়েছে। এরপর ওই এসআই তাঁর শ্বশুরবাড়ির একটি ঘর ভাড়া নিয়ে সেখানে উঠেছেন। তিনি একা থাকেন। রান্নার সমস্যা বলে তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে খান।
ওই কনস্টেবলের অভিযোগ, তিনি যখন ছুটিতে শ্বশুরবাড়ি যান, তখন ওই এসআই বাড়িতে আসেন না। একদিন গভীর রাতে তাঁর স্ত্রী যখন ঘুমাচ্ছিলেন, তখন তাঁকে ফেসবুক মেসেঞ্জারে বার্তা পাঠান ওই এসআই। কনস্টেবল মেসেঞ্জারের কথোপকথনে দেখেন, দুজনের একসঙ্গে তোলা ছবি এবং কুরুচিপূর্ণ বার্তা আদান–প্রদান হয়েছে। তিনি বুঝতে পারেন, স্ত্রীর সঙ্গে ওই এসআইয়ের পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। ওই রাতেই তিনি এসআইয়ের সঙ্গে মোবাইল ফোনে উচ্চবাচ্য করেন। তাঁর স্ত্রী সেদিন বলেছিলেন, তাঁর ভুল হয়ে গেছে। তিনি আর এসআইয়ের সঙ্গে সম্পর্ক রাখবেন না। কিন্তু সম্পর্ক ঠিকই চালিয়ে গেছেন।
ওই কনস্টেবল অভিযোগে উল্লেখ করেন, পাবনার একটি থানায় দায়িত্বে থাকা অবস্থায় গত বছর তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে এ বিষয়ে তিনি মোবাইল ফোনে কথা বলছিলেন। সেদিন স্ত্রী তাঁকে জানান, ওই এসআইয়ের কাছে তাঁদের দুজনের মেলামেশার ভিডিও আছে। সেটি দিয়ে তিনি তাঁর স্ত্রীকে জিম্মি করে রেখেছেন। ফলে তাঁর স্ত্রী না চাইলেও এসআইয়ের সঙ্গে সম্পর্ক চালিয়ে যেতে হচ্ছে। এ কথা শোনার পর থানার ছাদ থেকে লাফ দিয়ে তিনি আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। তখন দুজন কনস্টেবল তাঁকে ধরে ফেলেন এবং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) কাছে নিয়ে যান। ওসি সবকিছু শুনে তাঁকে সংশ্লিষ্ট সার্কেল এএসপির কাছে নিয়ে যান। ওই এএসপি সব শুনে তাঁকে আরএমপির পুলিশ কমিশনারের কাছে অভিযোগ দেওয়ার পরামর্শ দেন। এরপর তিনি এই লিখিত অভিযোগ করেন।
ওই কনস্টেবল বলেন, এসআই আবদুর রউফ এখন তাঁর স্ত্রীকেই তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে দিচ্ছেন না। বিভাগীয় মামলা হওয়ার পর ওই এসআই তাঁরই স্ত্রীকে দিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শকের (ডিআইজি) কাছে একটি অভিযোগ করিয়েছেন। এ ছাড়া আদালতে যৌতুকের একটি মিথ্যা মামলা করানো হয়েছে বলেও ওই কনস্টেবল অভিযোগ করেন।
ভুক্তভোগী পুলিশ কনস্টেবল বলেন, ‘এসআই আবদুর রউফ আমার সংসারে আগুন লাগিয়েছেন। তিনি আমার স্ত্রীকেই যোগাযোগ করতে দেন না। আমার স্ত্রীর সঙ্গে তাঁর পরকীয়া সম্পর্ক পুলিশের তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে। বিভাগীয় মামলা হওয়ার পর তিনি আমার স্ত্রীকে দিয়ে আমার বিরুদ্ধেই মিথ্যা মামলা করিয়েছেন, যাতে আমার চাকরি না থাকে। এসব কারণে আমি দুই দফা স্ট্রোক করেছি। মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছি।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর পুলিশে ব্যাপক বদলির সময় এসআই আবদুর রউফ রাজশাহী থেকে সাতক্ষীরার কলারোয়া থানায় বদলি হয়ে যান। উল্লিখিত বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রথমে দাবি করেন, ওই কনস্টেবল ও তাঁর স্ত্রীকে তিনি চেনেন না। কনস্টেবলের শ্বশুরবাড়ির একটি ঘরে বসবাসের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি ভাড়া উঠেছিলাম। তবে তাঁর সঙ্গে আমার পরকীয়া নেই।’
এসআই রউফ এ সময় তাঁর পরকীয়া সম্পর্কের প্রমাণ দেখতে চান। পরে তাঁর হোয়াটসঅ্যাপে কনস্টেবলের লিখিত অভিযোগ ও তাঁর বিরুদ্ধে হওয়া বিভাগীয় মামলার কপি, কনস্টেবলের স্ত্রীর সঙ্গে ছবি ও মেসেঞ্জারে কথোপকথনের স্ক্রিনশট পাঠানো হয়। এরপর ফোন কল করলে তিনি আর ধরেননি।
আর এসআই রউফের কথায় স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করার অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে কনস্টেবলের স্ত্রী ফোন কল কেটে দেন।
এসআই রউফের বিরুদ্ধে হওয়া বিভাগীয় মামলার সর্বশেষ জানতে চাইলে আরএমপির অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) সাবিনা ইয়াসমিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিভাগীয় মামলা অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। এ ব্যাপারে মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলার নিয়ম নেই।’

অভিযোগ তদন্তে গিয়ে পুলিশ কনস্টেবলের স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে বিভাগীয় মামলা খেয়েছেন এক উপপরিদর্শক (এসআই)। মামলা হওয়ার পর থেকে ওই এসআই নানাভাবে পুলিশ কনস্টেবলকে হয়রানি করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ওই এসআইয়ের নাম আবদুর রউফ। আগে তিনি রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) বোয়ালিয়া ও মতিহার থানায় ছিলেন। বর্তমানে আছেন সাতক্ষীরার কলারোয়া থানায়। আর ভুক্তভোগী কনস্টেবল আছেন পাবনার একটি ফাঁড়িতে।
স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে ওই কনস্টেবল গত বছর আরএমপির কমিশনারের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। আরএমপির সাইবার ক্রাইম ইউনিট এ অভিযোগের তদন্ত করে। ১২৭ পাতার তদন্ত প্রতিবেদনে অভিযোগের সত্যতা মিলেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এ নিয়ে অভিযুক্ত এসআইয়ের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়। পরে আরএমপির ট্রাফিক বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম মামলা তদন্ত করে সম্প্রতি প্রতিবেদন দেন।
ওই পুলিশ কনস্টেবল অভিযোগে উল্লেখ করেছিলেন, তাঁর ছেলে রাজশাহীর একটি স্কুলে পড়াশোনা করে। তাই তাঁর স্ত্রী সেখানে নিজের বাবার বাড়িতেই থাকেন। বাড়ির অংশ নিয়ে বোনদের মধ্যে বিরোধ দেখা দিলে এক শ্যালিকা নগরের বোয়ালিয়া থানায় অভিযোগ করেন। ওই অভিযোগ তদন্তের দায়িত্ব পান থানার তৎকালীন এসআই আবদুর রউফ। বিরোধ নিষ্পত্তির কথা বলে এসআই আবদুর রউফ তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলেন। একপর্যায়ে ওই এসআই নিচতলার একটি ঘর দখল করে ভাড়াটিয়া হিসেবে সেখানে থাকতে শুরু করেন।
কনস্টেবল অভিযোগে উল্লেখ করেন, একদিন তিনি পাবনা থেকে শ্বশুরবাড়ি গিয়ে দেখতে পান, তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে ডাইনিংয়ে বসে খাচ্ছেন ওই এসআই। তিনি সেদিনই প্রথম তাঁর পরিচয় জানতে পারেন। স্ত্রীর কাছে তিনি জানতে পারেন, অভিযোগ তদন্ত করতে এসে তাঁর সঙ্গে পরিচয় হয়েছে। এরপর ওই এসআই তাঁর শ্বশুরবাড়ির একটি ঘর ভাড়া নিয়ে সেখানে উঠেছেন। তিনি একা থাকেন। রান্নার সমস্যা বলে তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে খান।
ওই কনস্টেবলের অভিযোগ, তিনি যখন ছুটিতে শ্বশুরবাড়ি যান, তখন ওই এসআই বাড়িতে আসেন না। একদিন গভীর রাতে তাঁর স্ত্রী যখন ঘুমাচ্ছিলেন, তখন তাঁকে ফেসবুক মেসেঞ্জারে বার্তা পাঠান ওই এসআই। কনস্টেবল মেসেঞ্জারের কথোপকথনে দেখেন, দুজনের একসঙ্গে তোলা ছবি এবং কুরুচিপূর্ণ বার্তা আদান–প্রদান হয়েছে। তিনি বুঝতে পারেন, স্ত্রীর সঙ্গে ওই এসআইয়ের পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। ওই রাতেই তিনি এসআইয়ের সঙ্গে মোবাইল ফোনে উচ্চবাচ্য করেন। তাঁর স্ত্রী সেদিন বলেছিলেন, তাঁর ভুল হয়ে গেছে। তিনি আর এসআইয়ের সঙ্গে সম্পর্ক রাখবেন না। কিন্তু সম্পর্ক ঠিকই চালিয়ে গেছেন।
ওই কনস্টেবল অভিযোগে উল্লেখ করেন, পাবনার একটি থানায় দায়িত্বে থাকা অবস্থায় গত বছর তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে এ বিষয়ে তিনি মোবাইল ফোনে কথা বলছিলেন। সেদিন স্ত্রী তাঁকে জানান, ওই এসআইয়ের কাছে তাঁদের দুজনের মেলামেশার ভিডিও আছে। সেটি দিয়ে তিনি তাঁর স্ত্রীকে জিম্মি করে রেখেছেন। ফলে তাঁর স্ত্রী না চাইলেও এসআইয়ের সঙ্গে সম্পর্ক চালিয়ে যেতে হচ্ছে। এ কথা শোনার পর থানার ছাদ থেকে লাফ দিয়ে তিনি আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। তখন দুজন কনস্টেবল তাঁকে ধরে ফেলেন এবং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) কাছে নিয়ে যান। ওসি সবকিছু শুনে তাঁকে সংশ্লিষ্ট সার্কেল এএসপির কাছে নিয়ে যান। ওই এএসপি সব শুনে তাঁকে আরএমপির পুলিশ কমিশনারের কাছে অভিযোগ দেওয়ার পরামর্শ দেন। এরপর তিনি এই লিখিত অভিযোগ করেন।
ওই কনস্টেবল বলেন, এসআই আবদুর রউফ এখন তাঁর স্ত্রীকেই তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে দিচ্ছেন না। বিভাগীয় মামলা হওয়ার পর ওই এসআই তাঁরই স্ত্রীকে দিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শকের (ডিআইজি) কাছে একটি অভিযোগ করিয়েছেন। এ ছাড়া আদালতে যৌতুকের একটি মিথ্যা মামলা করানো হয়েছে বলেও ওই কনস্টেবল অভিযোগ করেন।
ভুক্তভোগী পুলিশ কনস্টেবল বলেন, ‘এসআই আবদুর রউফ আমার সংসারে আগুন লাগিয়েছেন। তিনি আমার স্ত্রীকেই যোগাযোগ করতে দেন না। আমার স্ত্রীর সঙ্গে তাঁর পরকীয়া সম্পর্ক পুলিশের তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে। বিভাগীয় মামলা হওয়ার পর তিনি আমার স্ত্রীকে দিয়ে আমার বিরুদ্ধেই মিথ্যা মামলা করিয়েছেন, যাতে আমার চাকরি না থাকে। এসব কারণে আমি দুই দফা স্ট্রোক করেছি। মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছি।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর পুলিশে ব্যাপক বদলির সময় এসআই আবদুর রউফ রাজশাহী থেকে সাতক্ষীরার কলারোয়া থানায় বদলি হয়ে যান। উল্লিখিত বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রথমে দাবি করেন, ওই কনস্টেবল ও তাঁর স্ত্রীকে তিনি চেনেন না। কনস্টেবলের শ্বশুরবাড়ির একটি ঘরে বসবাসের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি ভাড়া উঠেছিলাম। তবে তাঁর সঙ্গে আমার পরকীয়া নেই।’
এসআই রউফ এ সময় তাঁর পরকীয়া সম্পর্কের প্রমাণ দেখতে চান। পরে তাঁর হোয়াটসঅ্যাপে কনস্টেবলের লিখিত অভিযোগ ও তাঁর বিরুদ্ধে হওয়া বিভাগীয় মামলার কপি, কনস্টেবলের স্ত্রীর সঙ্গে ছবি ও মেসেঞ্জারে কথোপকথনের স্ক্রিনশট পাঠানো হয়। এরপর ফোন কল করলে তিনি আর ধরেননি।
আর এসআই রউফের কথায় স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করার অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে কনস্টেবলের স্ত্রী ফোন কল কেটে দেন।
এসআই রউফের বিরুদ্ধে হওয়া বিভাগীয় মামলার সর্বশেষ জানতে চাইলে আরএমপির অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) সাবিনা ইয়াসমিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিভাগীয় মামলা অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। এ ব্যাপারে মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলার নিয়ম নেই।’
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

অভিযোগ তদন্তে গিয়ে পুলিশ কনস্টেবলের স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে বিভাগীয় মামলা খেয়েছেন এক উপপরিদর্শক (এসআই)। মামলা হওয়ার পর থেকে ওই এসআই নানাভাবে পুলিশ কনস্টেবলকে হয়রানি করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ওই এসআইয়ের নাম আবদুর রউফ। আগে তিনি রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) বোয়ালিয়া ও মতিহার থানায় ছিলেন। বর্তমানে আছেন সাতক্ষীরার কলারোয়া থানায়। আর ভুক্তভোগী কনস্টেবল আছেন পাবনার একটি ফাঁড়িতে।
স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে ওই কনস্টেবল গত বছর আরএমপির কমিশনারের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। আরএমপির সাইবার ক্রাইম ইউনিট এ অভিযোগের তদন্ত করে। ১২৭ পাতার তদন্ত প্রতিবেদনে অভিযোগের সত্যতা মিলেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এ নিয়ে অভিযুক্ত এসআইয়ের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়। পরে আরএমপির ট্রাফিক বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম মামলা তদন্ত করে সম্প্রতি প্রতিবেদন দেন।
ওই পুলিশ কনস্টেবল অভিযোগে উল্লেখ করেছিলেন, তাঁর ছেলে রাজশাহীর একটি স্কুলে পড়াশোনা করে। তাই তাঁর স্ত্রী সেখানে নিজের বাবার বাড়িতেই থাকেন। বাড়ির অংশ নিয়ে বোনদের মধ্যে বিরোধ দেখা দিলে এক শ্যালিকা নগরের বোয়ালিয়া থানায় অভিযোগ করেন। ওই অভিযোগ তদন্তের দায়িত্ব পান থানার তৎকালীন এসআই আবদুর রউফ। বিরোধ নিষ্পত্তির কথা বলে এসআই আবদুর রউফ তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলেন। একপর্যায়ে ওই এসআই নিচতলার একটি ঘর দখল করে ভাড়াটিয়া হিসেবে সেখানে থাকতে শুরু করেন।
কনস্টেবল অভিযোগে উল্লেখ করেন, একদিন তিনি পাবনা থেকে শ্বশুরবাড়ি গিয়ে দেখতে পান, তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে ডাইনিংয়ে বসে খাচ্ছেন ওই এসআই। তিনি সেদিনই প্রথম তাঁর পরিচয় জানতে পারেন। স্ত্রীর কাছে তিনি জানতে পারেন, অভিযোগ তদন্ত করতে এসে তাঁর সঙ্গে পরিচয় হয়েছে। এরপর ওই এসআই তাঁর শ্বশুরবাড়ির একটি ঘর ভাড়া নিয়ে সেখানে উঠেছেন। তিনি একা থাকেন। রান্নার সমস্যা বলে তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে খান।
ওই কনস্টেবলের অভিযোগ, তিনি যখন ছুটিতে শ্বশুরবাড়ি যান, তখন ওই এসআই বাড়িতে আসেন না। একদিন গভীর রাতে তাঁর স্ত্রী যখন ঘুমাচ্ছিলেন, তখন তাঁকে ফেসবুক মেসেঞ্জারে বার্তা পাঠান ওই এসআই। কনস্টেবল মেসেঞ্জারের কথোপকথনে দেখেন, দুজনের একসঙ্গে তোলা ছবি এবং কুরুচিপূর্ণ বার্তা আদান–প্রদান হয়েছে। তিনি বুঝতে পারেন, স্ত্রীর সঙ্গে ওই এসআইয়ের পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। ওই রাতেই তিনি এসআইয়ের সঙ্গে মোবাইল ফোনে উচ্চবাচ্য করেন। তাঁর স্ত্রী সেদিন বলেছিলেন, তাঁর ভুল হয়ে গেছে। তিনি আর এসআইয়ের সঙ্গে সম্পর্ক রাখবেন না। কিন্তু সম্পর্ক ঠিকই চালিয়ে গেছেন।
ওই কনস্টেবল অভিযোগে উল্লেখ করেন, পাবনার একটি থানায় দায়িত্বে থাকা অবস্থায় গত বছর তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে এ বিষয়ে তিনি মোবাইল ফোনে কথা বলছিলেন। সেদিন স্ত্রী তাঁকে জানান, ওই এসআইয়ের কাছে তাঁদের দুজনের মেলামেশার ভিডিও আছে। সেটি দিয়ে তিনি তাঁর স্ত্রীকে জিম্মি করে রেখেছেন। ফলে তাঁর স্ত্রী না চাইলেও এসআইয়ের সঙ্গে সম্পর্ক চালিয়ে যেতে হচ্ছে। এ কথা শোনার পর থানার ছাদ থেকে লাফ দিয়ে তিনি আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। তখন দুজন কনস্টেবল তাঁকে ধরে ফেলেন এবং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) কাছে নিয়ে যান। ওসি সবকিছু শুনে তাঁকে সংশ্লিষ্ট সার্কেল এএসপির কাছে নিয়ে যান। ওই এএসপি সব শুনে তাঁকে আরএমপির পুলিশ কমিশনারের কাছে অভিযোগ দেওয়ার পরামর্শ দেন। এরপর তিনি এই লিখিত অভিযোগ করেন।
ওই কনস্টেবল বলেন, এসআই আবদুর রউফ এখন তাঁর স্ত্রীকেই তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে দিচ্ছেন না। বিভাগীয় মামলা হওয়ার পর ওই এসআই তাঁরই স্ত্রীকে দিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শকের (ডিআইজি) কাছে একটি অভিযোগ করিয়েছেন। এ ছাড়া আদালতে যৌতুকের একটি মিথ্যা মামলা করানো হয়েছে বলেও ওই কনস্টেবল অভিযোগ করেন।
ভুক্তভোগী পুলিশ কনস্টেবল বলেন, ‘এসআই আবদুর রউফ আমার সংসারে আগুন লাগিয়েছেন। তিনি আমার স্ত্রীকেই যোগাযোগ করতে দেন না। আমার স্ত্রীর সঙ্গে তাঁর পরকীয়া সম্পর্ক পুলিশের তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে। বিভাগীয় মামলা হওয়ার পর তিনি আমার স্ত্রীকে দিয়ে আমার বিরুদ্ধেই মিথ্যা মামলা করিয়েছেন, যাতে আমার চাকরি না থাকে। এসব কারণে আমি দুই দফা স্ট্রোক করেছি। মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছি।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর পুলিশে ব্যাপক বদলির সময় এসআই আবদুর রউফ রাজশাহী থেকে সাতক্ষীরার কলারোয়া থানায় বদলি হয়ে যান। উল্লিখিত বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রথমে দাবি করেন, ওই কনস্টেবল ও তাঁর স্ত্রীকে তিনি চেনেন না। কনস্টেবলের শ্বশুরবাড়ির একটি ঘরে বসবাসের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি ভাড়া উঠেছিলাম। তবে তাঁর সঙ্গে আমার পরকীয়া নেই।’
এসআই রউফ এ সময় তাঁর পরকীয়া সম্পর্কের প্রমাণ দেখতে চান। পরে তাঁর হোয়াটসঅ্যাপে কনস্টেবলের লিখিত অভিযোগ ও তাঁর বিরুদ্ধে হওয়া বিভাগীয় মামলার কপি, কনস্টেবলের স্ত্রীর সঙ্গে ছবি ও মেসেঞ্জারে কথোপকথনের স্ক্রিনশট পাঠানো হয়। এরপর ফোন কল করলে তিনি আর ধরেননি।
আর এসআই রউফের কথায় স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করার অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে কনস্টেবলের স্ত্রী ফোন কল কেটে দেন।
এসআই রউফের বিরুদ্ধে হওয়া বিভাগীয় মামলার সর্বশেষ জানতে চাইলে আরএমপির অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) সাবিনা ইয়াসমিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিভাগীয় মামলা অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। এ ব্যাপারে মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলার নিয়ম নেই।’

অভিযোগ তদন্তে গিয়ে পুলিশ কনস্টেবলের স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে বিভাগীয় মামলা খেয়েছেন এক উপপরিদর্শক (এসআই)। মামলা হওয়ার পর থেকে ওই এসআই নানাভাবে পুলিশ কনস্টেবলকে হয়রানি করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ওই এসআইয়ের নাম আবদুর রউফ। আগে তিনি রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) বোয়ালিয়া ও মতিহার থানায় ছিলেন। বর্তমানে আছেন সাতক্ষীরার কলারোয়া থানায়। আর ভুক্তভোগী কনস্টেবল আছেন পাবনার একটি ফাঁড়িতে।
স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে ওই কনস্টেবল গত বছর আরএমপির কমিশনারের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। আরএমপির সাইবার ক্রাইম ইউনিট এ অভিযোগের তদন্ত করে। ১২৭ পাতার তদন্ত প্রতিবেদনে অভিযোগের সত্যতা মিলেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এ নিয়ে অভিযুক্ত এসআইয়ের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়। পরে আরএমপির ট্রাফিক বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম মামলা তদন্ত করে সম্প্রতি প্রতিবেদন দেন।
ওই পুলিশ কনস্টেবল অভিযোগে উল্লেখ করেছিলেন, তাঁর ছেলে রাজশাহীর একটি স্কুলে পড়াশোনা করে। তাই তাঁর স্ত্রী সেখানে নিজের বাবার বাড়িতেই থাকেন। বাড়ির অংশ নিয়ে বোনদের মধ্যে বিরোধ দেখা দিলে এক শ্যালিকা নগরের বোয়ালিয়া থানায় অভিযোগ করেন। ওই অভিযোগ তদন্তের দায়িত্ব পান থানার তৎকালীন এসআই আবদুর রউফ। বিরোধ নিষ্পত্তির কথা বলে এসআই আবদুর রউফ তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলেন। একপর্যায়ে ওই এসআই নিচতলার একটি ঘর দখল করে ভাড়াটিয়া হিসেবে সেখানে থাকতে শুরু করেন।
কনস্টেবল অভিযোগে উল্লেখ করেন, একদিন তিনি পাবনা থেকে শ্বশুরবাড়ি গিয়ে দেখতে পান, তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে ডাইনিংয়ে বসে খাচ্ছেন ওই এসআই। তিনি সেদিনই প্রথম তাঁর পরিচয় জানতে পারেন। স্ত্রীর কাছে তিনি জানতে পারেন, অভিযোগ তদন্ত করতে এসে তাঁর সঙ্গে পরিচয় হয়েছে। এরপর ওই এসআই তাঁর শ্বশুরবাড়ির একটি ঘর ভাড়া নিয়ে সেখানে উঠেছেন। তিনি একা থাকেন। রান্নার সমস্যা বলে তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে খান।
ওই কনস্টেবলের অভিযোগ, তিনি যখন ছুটিতে শ্বশুরবাড়ি যান, তখন ওই এসআই বাড়িতে আসেন না। একদিন গভীর রাতে তাঁর স্ত্রী যখন ঘুমাচ্ছিলেন, তখন তাঁকে ফেসবুক মেসেঞ্জারে বার্তা পাঠান ওই এসআই। কনস্টেবল মেসেঞ্জারের কথোপকথনে দেখেন, দুজনের একসঙ্গে তোলা ছবি এবং কুরুচিপূর্ণ বার্তা আদান–প্রদান হয়েছে। তিনি বুঝতে পারেন, স্ত্রীর সঙ্গে ওই এসআইয়ের পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। ওই রাতেই তিনি এসআইয়ের সঙ্গে মোবাইল ফোনে উচ্চবাচ্য করেন। তাঁর স্ত্রী সেদিন বলেছিলেন, তাঁর ভুল হয়ে গেছে। তিনি আর এসআইয়ের সঙ্গে সম্পর্ক রাখবেন না। কিন্তু সম্পর্ক ঠিকই চালিয়ে গেছেন।
ওই কনস্টেবল অভিযোগে উল্লেখ করেন, পাবনার একটি থানায় দায়িত্বে থাকা অবস্থায় গত বছর তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে এ বিষয়ে তিনি মোবাইল ফোনে কথা বলছিলেন। সেদিন স্ত্রী তাঁকে জানান, ওই এসআইয়ের কাছে তাঁদের দুজনের মেলামেশার ভিডিও আছে। সেটি দিয়ে তিনি তাঁর স্ত্রীকে জিম্মি করে রেখেছেন। ফলে তাঁর স্ত্রী না চাইলেও এসআইয়ের সঙ্গে সম্পর্ক চালিয়ে যেতে হচ্ছে। এ কথা শোনার পর থানার ছাদ থেকে লাফ দিয়ে তিনি আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। তখন দুজন কনস্টেবল তাঁকে ধরে ফেলেন এবং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) কাছে নিয়ে যান। ওসি সবকিছু শুনে তাঁকে সংশ্লিষ্ট সার্কেল এএসপির কাছে নিয়ে যান। ওই এএসপি সব শুনে তাঁকে আরএমপির পুলিশ কমিশনারের কাছে অভিযোগ দেওয়ার পরামর্শ দেন। এরপর তিনি এই লিখিত অভিযোগ করেন।
ওই কনস্টেবল বলেন, এসআই আবদুর রউফ এখন তাঁর স্ত্রীকেই তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে দিচ্ছেন না। বিভাগীয় মামলা হওয়ার পর ওই এসআই তাঁরই স্ত্রীকে দিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শকের (ডিআইজি) কাছে একটি অভিযোগ করিয়েছেন। এ ছাড়া আদালতে যৌতুকের একটি মিথ্যা মামলা করানো হয়েছে বলেও ওই কনস্টেবল অভিযোগ করেন।
ভুক্তভোগী পুলিশ কনস্টেবল বলেন, ‘এসআই আবদুর রউফ আমার সংসারে আগুন লাগিয়েছেন। তিনি আমার স্ত্রীকেই যোগাযোগ করতে দেন না। আমার স্ত্রীর সঙ্গে তাঁর পরকীয়া সম্পর্ক পুলিশের তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে। বিভাগীয় মামলা হওয়ার পর তিনি আমার স্ত্রীকে দিয়ে আমার বিরুদ্ধেই মিথ্যা মামলা করিয়েছেন, যাতে আমার চাকরি না থাকে। এসব কারণে আমি দুই দফা স্ট্রোক করেছি। মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছি।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর পুলিশে ব্যাপক বদলির সময় এসআই আবদুর রউফ রাজশাহী থেকে সাতক্ষীরার কলারোয়া থানায় বদলি হয়ে যান। উল্লিখিত বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রথমে দাবি করেন, ওই কনস্টেবল ও তাঁর স্ত্রীকে তিনি চেনেন না। কনস্টেবলের শ্বশুরবাড়ির একটি ঘরে বসবাসের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি ভাড়া উঠেছিলাম। তবে তাঁর সঙ্গে আমার পরকীয়া নেই।’
এসআই রউফ এ সময় তাঁর পরকীয়া সম্পর্কের প্রমাণ দেখতে চান। পরে তাঁর হোয়াটসঅ্যাপে কনস্টেবলের লিখিত অভিযোগ ও তাঁর বিরুদ্ধে হওয়া বিভাগীয় মামলার কপি, কনস্টেবলের স্ত্রীর সঙ্গে ছবি ও মেসেঞ্জারে কথোপকথনের স্ক্রিনশট পাঠানো হয়। এরপর ফোন কল করলে তিনি আর ধরেননি।
আর এসআই রউফের কথায় স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করার অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে কনস্টেবলের স্ত্রী ফোন কল কেটে দেন।
এসআই রউফের বিরুদ্ধে হওয়া বিভাগীয় মামলার সর্বশেষ জানতে চাইলে আরএমপির অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) সাবিনা ইয়াসমিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিভাগীয় মামলা অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। এ ব্যাপারে মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলার নিয়ম নেই।’

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, ‘আমরা যে অঙ্গীকার নিয়ে এসেছিলাম, বিচারের কাজ শুরু করব। আমরা বিচারের কাজ শুরু করতে পেরেছি। আগামী সপ্তাহে ফ্যাসিস্ট খুনি শেখ হাসিনার বিচার হবে এবং একটা রায় পাব। এতে জুলাই শহীদদের পরিবারের কিছুটা হলেও ব্যথা লাঘব হবে।’
১ ঘণ্টা আগে
মেহেরপুরের গাংনীতে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে গাংনী বাজারে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
২ ঘণ্টা আগে
নাটোর শহরতলির ফুলবাগান এলাকার সেলিম ভূঁইয়া নামের এক ব্যবসায়ীর গুদাম থেকে ১৫০ বস্তা চাল লুট করে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল সোমবার দিবাগত রাত ২টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে পুলিশ জানায়, সোমবার রাত আনুমানিক ২টার দিকে ফুলবাগান এলাকার সড়ক ভবন-সংলগ্ন সেলিম ট্রেডার্সের সামনে একটি ট্রাক এনে দাঁড়
২ ঘণ্টা আগে
সাতক্ষীরা-৩ (আশাশুনি-কালিগঞ্জ) আসনে বিএনপির মনোনয়ন না পাওয়ায় ‘গরিবের ডাক্তার’ নামে পরিচিত মো. শহিদুল আলমের সমর্থকেরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন।
২ ঘণ্টা আগেলক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, ‘আমরা যে অঙ্গীকার নিয়ে এসেছিলাম, বিচারের কাজ শুরু করব। আমরা বিচারের কাজ শুরু করতে পেরেছি। আগামী সপ্তাহে ফ্যাসিস্ট খুনি শেখ হাসিনার বিচার হবে এবং একটা রায় পাব। এতে জুলাই শহীদদের পরিবারের কিছুটা হলেও ব্যথা লাঘব হবে।’
আজ মঙ্গলবার দুপুরে লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে জুলাই শহীদ পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় তিনি এসব কথা বলেন। মাহফুজ আলম বলেন, ‘আরও অনেকেরই ট্রাইব্যুনালে বিচারকাজ চলছে। ট্রাইব্যুনাল চলমান রয়েছে। যাঁরা ছাত্র-জনতাকে হত্যার সঙ্গে ও গুমের সঙ্গে জড়িত ছিলেন, তাঁদের সবারই বিচার হবে। পরবর্তী সরকারে যাঁরা আসবেন, তাঁরা এ বিচারকাজ এগিয়ে নেবেন।’
উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘সংস্কারকাজে আমরা অনেক দূর অগ্রসর হয়েছি। রাজনৈতিক দলগুলো ঐকমত্য হয়ে জুলাই সনদে স্বাক্ষর করেছে। এটা বাংলাদেশের জন্য বড় একটি প্রাপ্তি যে রাজনৈতিক দলগুলো বসে সরকার গৃহীত একটা দলিলে আসতে পারা। সবাই মিলে সর্বসম্মত হয়েছেন। এর ভেতর দিয়ে বাংলাদেশ একটা নতুন পর্যায়ে গেল। জুলাই সনদ ও সংস্কার কার্যক্রমের মাধ্যমে পরবর্তীকালে যে নির্বাচিত সরকার আসবে, তারা যদি এই কাজগুলো করতে পারে, তাহলে আমরা যে নতুন বাংলাদেশ চেয়েছিলাম, সে রকম একটা বাংলাদেশ হবে। যেখানে সবার ক্ষমতার ভারসাম্য থাকবে। বিচারে আইনের শাসন থাকবে, সুবিচার থাকবে। গুম-খুন আর ফেরত আসবে না।’
রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশে মাহফুজ আলম বলেন, ‘আসুন বাংলাদেশ পন্থার মধ্য দিয়ে আমরা যারা ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তি আছি, ঐক্যবদ্ধ হই। সংস্কারগুলো করার জন্য সরকারকে সহযোগিতা করুন। শহীদদের পথ অনুসরণ করে আমরা শাহাদাতের পথ বেছে নেব। আমরা আবার লড়াই করব। আমরা শুধু আওয়ামী লীগের ফ্যাসিস্ট শাসনব্যবস্থা উৎখাত করে সন্তুষ্ট নই, বরং আওয়ামী লীগ ফ্যাসিজমের যত বৈশিষ্ট্য বিভিন্ন প্রান্তে, প্রশাসনে, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে রয়ে গেছে, তাদেরকেও বিচারের আওতায় আনব।’
এই উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘আমার এলাকায় রামগঞ্জ তথা লক্ষ্মীপুরে মাদক নিরাময় কেন্দ্র, নার্সিং কলেজ স্থাপন, সদর হাসপাতালের উন্নতি, শিক্ষাব্যবস্থাসহ অনেকগুলো কমিশন সংস্কারের প্রস্তাবনা প্রস্তুত করেছে। খুব শিগগির রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্যের ভিত্তিতে যে সংস্কার না করলেই নয়, নির্বাচনের পূর্বে সেসব সংস্কার করতে চাই। এই সংস্কারগুলো মুখের বুলি নয়। শেখ হাসিনা যে প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস করে দিয়েছেন, যে প্রতিষ্ঠানগুলো হাসিনাকে টিকিয়ে রেখেছে, সেই প্রতিষ্ঠানগুলোকে একই রকম রেখে আমরা নির্বাচন করতে পারি না। নির্বাচন করার আগে অবশ্যই হাসিনার ওই প্রতিষ্ঠান ও দালালেরা আছে, তাদের উৎখাত করে এবং খুনি হাসিনাসহ তাঁর দোসরদের বিচার করে আমাদের নির্বাচনের দিকে এগোতে হবে। সাবেক মন্ত্রী মরহুম জিয়াউল হক জিয়ার রেখে যাওয়া অসমাপ্ত কাজগুলো সমাপ্ত করা হবে।’
এ সময় আগামী সংসদ নির্বাচনে লক্ষ্মীপুর-১ (রামগঞ্জ) আসন থেকে নির্বাচন করবেন কি না জানতে চাইলে জবাবে উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বিষয়টি এড়িয়ে যান। সভা শেষে রামগঞ্জের দরিদ্র কৃষকদের মধ্যে কৃষি প্রণোদনা বিতরণ, জুলাই শহীদ পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ এবং সাবেক এমপি ও প্রতিমন্ত্রী জিয়াউল হক জিয়ার নবম মৃত্যুবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, ‘আমরা যে অঙ্গীকার নিয়ে এসেছিলাম, বিচারের কাজ শুরু করব। আমরা বিচারের কাজ শুরু করতে পেরেছি। আগামী সপ্তাহে ফ্যাসিস্ট খুনি শেখ হাসিনার বিচার হবে এবং একটা রায় পাব। এতে জুলাই শহীদদের পরিবারের কিছুটা হলেও ব্যথা লাঘব হবে।’
আজ মঙ্গলবার দুপুরে লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে জুলাই শহীদ পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় তিনি এসব কথা বলেন। মাহফুজ আলম বলেন, ‘আরও অনেকেরই ট্রাইব্যুনালে বিচারকাজ চলছে। ট্রাইব্যুনাল চলমান রয়েছে। যাঁরা ছাত্র-জনতাকে হত্যার সঙ্গে ও গুমের সঙ্গে জড়িত ছিলেন, তাঁদের সবারই বিচার হবে। পরবর্তী সরকারে যাঁরা আসবেন, তাঁরা এ বিচারকাজ এগিয়ে নেবেন।’
উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘সংস্কারকাজে আমরা অনেক দূর অগ্রসর হয়েছি। রাজনৈতিক দলগুলো ঐকমত্য হয়ে জুলাই সনদে স্বাক্ষর করেছে। এটা বাংলাদেশের জন্য বড় একটি প্রাপ্তি যে রাজনৈতিক দলগুলো বসে সরকার গৃহীত একটা দলিলে আসতে পারা। সবাই মিলে সর্বসম্মত হয়েছেন। এর ভেতর দিয়ে বাংলাদেশ একটা নতুন পর্যায়ে গেল। জুলাই সনদ ও সংস্কার কার্যক্রমের মাধ্যমে পরবর্তীকালে যে নির্বাচিত সরকার আসবে, তারা যদি এই কাজগুলো করতে পারে, তাহলে আমরা যে নতুন বাংলাদেশ চেয়েছিলাম, সে রকম একটা বাংলাদেশ হবে। যেখানে সবার ক্ষমতার ভারসাম্য থাকবে। বিচারে আইনের শাসন থাকবে, সুবিচার থাকবে। গুম-খুন আর ফেরত আসবে না।’
রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশে মাহফুজ আলম বলেন, ‘আসুন বাংলাদেশ পন্থার মধ্য দিয়ে আমরা যারা ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তি আছি, ঐক্যবদ্ধ হই। সংস্কারগুলো করার জন্য সরকারকে সহযোগিতা করুন। শহীদদের পথ অনুসরণ করে আমরা শাহাদাতের পথ বেছে নেব। আমরা আবার লড়াই করব। আমরা শুধু আওয়ামী লীগের ফ্যাসিস্ট শাসনব্যবস্থা উৎখাত করে সন্তুষ্ট নই, বরং আওয়ামী লীগ ফ্যাসিজমের যত বৈশিষ্ট্য বিভিন্ন প্রান্তে, প্রশাসনে, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে রয়ে গেছে, তাদেরকেও বিচারের আওতায় আনব।’
এই উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘আমার এলাকায় রামগঞ্জ তথা লক্ষ্মীপুরে মাদক নিরাময় কেন্দ্র, নার্সিং কলেজ স্থাপন, সদর হাসপাতালের উন্নতি, শিক্ষাব্যবস্থাসহ অনেকগুলো কমিশন সংস্কারের প্রস্তাবনা প্রস্তুত করেছে। খুব শিগগির রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্যের ভিত্তিতে যে সংস্কার না করলেই নয়, নির্বাচনের পূর্বে সেসব সংস্কার করতে চাই। এই সংস্কারগুলো মুখের বুলি নয়। শেখ হাসিনা যে প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস করে দিয়েছেন, যে প্রতিষ্ঠানগুলো হাসিনাকে টিকিয়ে রেখেছে, সেই প্রতিষ্ঠানগুলোকে একই রকম রেখে আমরা নির্বাচন করতে পারি না। নির্বাচন করার আগে অবশ্যই হাসিনার ওই প্রতিষ্ঠান ও দালালেরা আছে, তাদের উৎখাত করে এবং খুনি হাসিনাসহ তাঁর দোসরদের বিচার করে আমাদের নির্বাচনের দিকে এগোতে হবে। সাবেক মন্ত্রী মরহুম জিয়াউল হক জিয়ার রেখে যাওয়া অসমাপ্ত কাজগুলো সমাপ্ত করা হবে।’
এ সময় আগামী সংসদ নির্বাচনে লক্ষ্মীপুর-১ (রামগঞ্জ) আসন থেকে নির্বাচন করবেন কি না জানতে চাইলে জবাবে উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বিষয়টি এড়িয়ে যান। সভা শেষে রামগঞ্জের দরিদ্র কৃষকদের মধ্যে কৃষি প্রণোদনা বিতরণ, জুলাই শহীদ পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ এবং সাবেক এমপি ও প্রতিমন্ত্রী জিয়াউল হক জিয়ার নবম মৃত্যুবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে ওই কনস্টেবল গত বছর আরএমপির কমিশনারের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। আরএমপির সাইবার ক্রাইম ইউনিট এ অভিযোগের তদন্ত করে। ১২৭ পাতার তদন্ত প্রতিবেদনে ওই পুলিশ কনস্টেবলের অভিযোগের সত্যতা মেলে। এ নিয়ে অভিযুক্ত এসআইয়ের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়। পরে আরএমপির ট্রাফিক বিভাগের..
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
মেহেরপুরের গাংনীতে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে গাংনী বাজারে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
২ ঘণ্টা আগে
নাটোর শহরতলির ফুলবাগান এলাকার সেলিম ভূঁইয়া নামের এক ব্যবসায়ীর গুদাম থেকে ১৫০ বস্তা চাল লুট করে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল সোমবার দিবাগত রাত ২টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে পুলিশ জানায়, সোমবার রাত আনুমানিক ২টার দিকে ফুলবাগান এলাকার সড়ক ভবন-সংলগ্ন সেলিম ট্রেডার্সের সামনে একটি ট্রাক এনে দাঁড়
২ ঘণ্টা আগে
সাতক্ষীরা-৩ (আশাশুনি-কালিগঞ্জ) আসনে বিএনপির মনোনয়ন না পাওয়ায় ‘গরিবের ডাক্তার’ নামে পরিচিত মো. শহিদুল আলমের সমর্থকেরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন।
২ ঘণ্টা আগেগাংনী (মেহেরপুর) প্রতিনিধি

দলীয় প্রার্থীর প্রাথমিক তালিকা প্রকাশের পরপরই মেহেরপুরের গাংনীতে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে গাংনী বাজারে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। বর্তমানে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
জানা গেছে, গতকাল সোমবার বিএনপি থেকে মেহেরপুর-২ আসনে আমজাদ হোসেনকে দলীয় প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দেওয়ার পর থেকে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছিল। এর জেরে আজ পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
গাংনী উপজেলা বিএনপির সভাপতি আলফাজ উদ্দিন কালু, যিনি মনোনয়ন না পাওয়া জেলা বিএনপির সভাপতি জাভেদ মাসুদ মিল্টনের সমর্থক। তিনি অভিযোগ করেন, আমজাদ হোসেনের সমর্থকেরা তাঁদের অফিসে ভাঙচুর চালিয়েছেন। অন্যদিকে আমজাদ হোসেনের সমর্থকেরা অভিযোগ করেন, প্রথমে মিল্টনের সমর্থকেরা একতরফাভাবে হামলা চালান। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তখন দর্শকের ভূমিকায় ছিল।
জানতে চাইলে মেহেরপুর-২ (গাংনী) আসনে বিএনপির মনোনয়ন পাওয়া সাবেক এমপি আমজাদ হোসেন বলেন, ‘মনোনয়ন না পাওয়া জেলা বিএনপির সভাপতি জাভেদ মাসুদ মিল্টনের সমর্থকেরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করেছে। এতে অন্তত ১০ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।’

বক্তব্য জানতে বিএনপির সভাপতি জাভেদ মাসুদ মিল্টনের মোবাইল ফোনে কল দেওয়া হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। এ বিষয়ে গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বানী ইসরাইল বলেন, উভয় পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার পর গাংনীতে উত্তেজনা বিরাজ করছে। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কাজ করছে।


দলীয় প্রার্থীর প্রাথমিক তালিকা প্রকাশের পরপরই মেহেরপুরের গাংনীতে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে গাংনী বাজারে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। বর্তমানে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
জানা গেছে, গতকাল সোমবার বিএনপি থেকে মেহেরপুর-২ আসনে আমজাদ হোসেনকে দলীয় প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দেওয়ার পর থেকে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছিল। এর জেরে আজ পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
গাংনী উপজেলা বিএনপির সভাপতি আলফাজ উদ্দিন কালু, যিনি মনোনয়ন না পাওয়া জেলা বিএনপির সভাপতি জাভেদ মাসুদ মিল্টনের সমর্থক। তিনি অভিযোগ করেন, আমজাদ হোসেনের সমর্থকেরা তাঁদের অফিসে ভাঙচুর চালিয়েছেন। অন্যদিকে আমজাদ হোসেনের সমর্থকেরা অভিযোগ করেন, প্রথমে মিল্টনের সমর্থকেরা একতরফাভাবে হামলা চালান। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তখন দর্শকের ভূমিকায় ছিল।
জানতে চাইলে মেহেরপুর-২ (গাংনী) আসনে বিএনপির মনোনয়ন পাওয়া সাবেক এমপি আমজাদ হোসেন বলেন, ‘মনোনয়ন না পাওয়া জেলা বিএনপির সভাপতি জাভেদ মাসুদ মিল্টনের সমর্থকেরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করেছে। এতে অন্তত ১০ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।’

বক্তব্য জানতে বিএনপির সভাপতি জাভেদ মাসুদ মিল্টনের মোবাইল ফোনে কল দেওয়া হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। এ বিষয়ে গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বানী ইসরাইল বলেন, উভয় পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার পর গাংনীতে উত্তেজনা বিরাজ করছে। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কাজ করছে।


স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে ওই কনস্টেবল গত বছর আরএমপির কমিশনারের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। আরএমপির সাইবার ক্রাইম ইউনিট এ অভিযোগের তদন্ত করে। ১২৭ পাতার তদন্ত প্রতিবেদনে ওই পুলিশ কনস্টেবলের অভিযোগের সত্যতা মেলে। এ নিয়ে অভিযুক্ত এসআইয়ের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়। পরে আরএমপির ট্রাফিক বিভাগের..
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, ‘আমরা যে অঙ্গীকার নিয়ে এসেছিলাম, বিচারের কাজ শুরু করব। আমরা বিচারের কাজ শুরু করতে পেরেছি। আগামী সপ্তাহে ফ্যাসিস্ট খুনি শেখ হাসিনার বিচার হবে এবং একটা রায় পাব। এতে জুলাই শহীদদের পরিবারের কিছুটা হলেও ব্যথা লাঘব হবে।’
১ ঘণ্টা আগে
নাটোর শহরতলির ফুলবাগান এলাকার সেলিম ভূঁইয়া নামের এক ব্যবসায়ীর গুদাম থেকে ১৫০ বস্তা চাল লুট করে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল সোমবার দিবাগত রাত ২টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে পুলিশ জানায়, সোমবার রাত আনুমানিক ২টার দিকে ফুলবাগান এলাকার সড়ক ভবন-সংলগ্ন সেলিম ট্রেডার্সের সামনে একটি ট্রাক এনে দাঁড়
২ ঘণ্টা আগে
সাতক্ষীরা-৩ (আশাশুনি-কালিগঞ্জ) আসনে বিএনপির মনোনয়ন না পাওয়ায় ‘গরিবের ডাক্তার’ নামে পরিচিত মো. শহিদুল আলমের সমর্থকেরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন।
২ ঘণ্টা আগেনাটোর প্রতিনিধি

নাটোর শহরতলির ফুলবাগান এলাকার সেলিম ভূঁইয়া নামের এক ব্যবসায়ীর গুদাম থেকে ১৫০ বস্তা চাল লুট করে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল সোমবার দিবাগত রাত ২টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।
সিসিটিভি ফুটেজ দেখে পুলিশ জানায়, সোমবার রাত আনুমানিক ২টার দিকে ফুলবাগান এলাকার সড়ক ভবন-সংলগ্ন সেলিম ট্রেডার্সের সামনে একটি ট্রাক এনে দাঁড় করায় দুর্বৃত্তরা। তারা শাটারের তালা ভেঙে ও কেটে দোকানে প্রবেশ করে ক্যাশ বাক্স থেকে নগদ ১২ হাজার টাকাসহ প্রায় ১৫০ বস্তা চাল ট্রাকে লোড করে নিয়ে যায়।
ব্যবসায়ী সেলিম ভূঁইয়া বলেন, ‘ফজরের নামাজের সময় স্থানীয় এক ব্যক্তি ফোনে জানান, গুদামের শাটার কাটা ও আরেকটি পুরোপুরি খোলা। পরে সেখানে এসে দেখি, দুর্বৃত্তরা স্তূপাকারে রাখা চালের বস্তাগুলো নিয়ে গেছে। স্টক রেজিস্টার থেকে জেনেছি, চালের বস্তা ছিল ১৫০টি।’
এ বিষয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে জানান, এই ঘটনায় একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

নাটোর শহরতলির ফুলবাগান এলাকার সেলিম ভূঁইয়া নামের এক ব্যবসায়ীর গুদাম থেকে ১৫০ বস্তা চাল লুট করে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল সোমবার দিবাগত রাত ২টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।
সিসিটিভি ফুটেজ দেখে পুলিশ জানায়, সোমবার রাত আনুমানিক ২টার দিকে ফুলবাগান এলাকার সড়ক ভবন-সংলগ্ন সেলিম ট্রেডার্সের সামনে একটি ট্রাক এনে দাঁড় করায় দুর্বৃত্তরা। তারা শাটারের তালা ভেঙে ও কেটে দোকানে প্রবেশ করে ক্যাশ বাক্স থেকে নগদ ১২ হাজার টাকাসহ প্রায় ১৫০ বস্তা চাল ট্রাকে লোড করে নিয়ে যায়।
ব্যবসায়ী সেলিম ভূঁইয়া বলেন, ‘ফজরের নামাজের সময় স্থানীয় এক ব্যক্তি ফোনে জানান, গুদামের শাটার কাটা ও আরেকটি পুরোপুরি খোলা। পরে সেখানে এসে দেখি, দুর্বৃত্তরা স্তূপাকারে রাখা চালের বস্তাগুলো নিয়ে গেছে। স্টক রেজিস্টার থেকে জেনেছি, চালের বস্তা ছিল ১৫০টি।’
এ বিষয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে জানান, এই ঘটনায় একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে ওই কনস্টেবল গত বছর আরএমপির কমিশনারের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। আরএমপির সাইবার ক্রাইম ইউনিট এ অভিযোগের তদন্ত করে। ১২৭ পাতার তদন্ত প্রতিবেদনে ওই পুলিশ কনস্টেবলের অভিযোগের সত্যতা মেলে। এ নিয়ে অভিযুক্ত এসআইয়ের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়। পরে আরএমপির ট্রাফিক বিভাগের..
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, ‘আমরা যে অঙ্গীকার নিয়ে এসেছিলাম, বিচারের কাজ শুরু করব। আমরা বিচারের কাজ শুরু করতে পেরেছি। আগামী সপ্তাহে ফ্যাসিস্ট খুনি শেখ হাসিনার বিচার হবে এবং একটা রায় পাব। এতে জুলাই শহীদদের পরিবারের কিছুটা হলেও ব্যথা লাঘব হবে।’
১ ঘণ্টা আগে
মেহেরপুরের গাংনীতে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে গাংনী বাজারে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
২ ঘণ্টা আগে
সাতক্ষীরা-৩ (আশাশুনি-কালিগঞ্জ) আসনে বিএনপির মনোনয়ন না পাওয়ায় ‘গরিবের ডাক্তার’ নামে পরিচিত মো. শহিদুল আলমের সমর্থকেরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন।
২ ঘণ্টা আগেদেবহাটা ও সাতক্ষীরা প্রতিনিধি

সাতক্ষীরা-৩ (আশাশুনি-কালিগঞ্জ) আসনে বিএনপির মনোনয়ন না পাওয়ায় ‘গরিবের ডাক্তার’ নামে পরিচিত মো. শহিদুল আলমের সমর্থকেরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন।
আজ মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত কালিগঞ্জ প্রধান মহাসড়কে স্থানীয় নেতা-কর্মী ও সমর্থকেরা টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন। এতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়, সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে পড়ে।
বিক্ষোভকারীরা অভিযোগ করেন, শহিদুল আলম দীর্ঘদিন ধরে সাধারণ মানুষের পাশে থেকে মানবিক সেবা দিয়ে আসছেন। কিন্তু তাঁকে মনোনয়ন না দিয়ে অন্যকে প্রার্থী করায় দলীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।
এ সময় তাঁরা শহিদুল আলমকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে স্লোগান দেন এবং কেন্দ্রীয় নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। বিক্ষোভে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির সদস্য শেখ নুরুজ্জামান, নলতা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আজিজুর রহমান, নলতা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি কেসমতুল বারি, সাধারণ সম্পাদক মিলন কুমার সরকার, কালিগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক শেখ খায়রুল আলম, সাবেক ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।

সাতক্ষীরা-৩ (আশাশুনি-কালিগঞ্জ) আসনে বিএনপির মনোনয়ন না পাওয়ায় ‘গরিবের ডাক্তার’ নামে পরিচিত মো. শহিদুল আলমের সমর্থকেরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন।
আজ মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত কালিগঞ্জ প্রধান মহাসড়কে স্থানীয় নেতা-কর্মী ও সমর্থকেরা টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন। এতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়, সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে পড়ে।
বিক্ষোভকারীরা অভিযোগ করেন, শহিদুল আলম দীর্ঘদিন ধরে সাধারণ মানুষের পাশে থেকে মানবিক সেবা দিয়ে আসছেন। কিন্তু তাঁকে মনোনয়ন না দিয়ে অন্যকে প্রার্থী করায় দলীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।
এ সময় তাঁরা শহিদুল আলমকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে স্লোগান দেন এবং কেন্দ্রীয় নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। বিক্ষোভে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির সদস্য শেখ নুরুজ্জামান, নলতা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আজিজুর রহমান, নলতা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি কেসমতুল বারি, সাধারণ সম্পাদক মিলন কুমার সরকার, কালিগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক শেখ খায়রুল আলম, সাবেক ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।

স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে ওই কনস্টেবল গত বছর আরএমপির কমিশনারের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। আরএমপির সাইবার ক্রাইম ইউনিট এ অভিযোগের তদন্ত করে। ১২৭ পাতার তদন্ত প্রতিবেদনে ওই পুলিশ কনস্টেবলের অভিযোগের সত্যতা মেলে। এ নিয়ে অভিযুক্ত এসআইয়ের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়। পরে আরএমপির ট্রাফিক বিভাগের..
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, ‘আমরা যে অঙ্গীকার নিয়ে এসেছিলাম, বিচারের কাজ শুরু করব। আমরা বিচারের কাজ শুরু করতে পেরেছি। আগামী সপ্তাহে ফ্যাসিস্ট খুনি শেখ হাসিনার বিচার হবে এবং একটা রায় পাব। এতে জুলাই শহীদদের পরিবারের কিছুটা হলেও ব্যথা লাঘব হবে।’
১ ঘণ্টা আগে
মেহেরপুরের গাংনীতে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে গাংনী বাজারে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
২ ঘণ্টা আগে
নাটোর শহরতলির ফুলবাগান এলাকার সেলিম ভূঁইয়া নামের এক ব্যবসায়ীর গুদাম থেকে ১৫০ বস্তা চাল লুট করে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল সোমবার দিবাগত রাত ২টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে পুলিশ জানায়, সোমবার রাত আনুমানিক ২টার দিকে ফুলবাগান এলাকার সড়ক ভবন-সংলগ্ন সেলিম ট্রেডার্সের সামনে একটি ট্রাক এনে দাঁড়
২ ঘণ্টা আগে