আব্দুল বাশির, চাঁপাইনবাবগঞ্জ
টানা বৃষ্টি আর উজানের ঢলে পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলার চরাঞ্চল ডুবে গেছে। এতে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে পাঁচটি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের সাড়ে ৬ হাজার পরিবার।
জানা গেছে, চরাঞ্চলের এসব এলাকায় ফসলি জমি, ছয়টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ ও শ্রেণিকক্ষে পানি ঢুকে যাওয়ায় পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। এ ছাড়া প্লাবিত এলাকার মানুষের যোগাযোগব্যবস্থা দুর্বল হয়ে পড়েছে, স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, পদ্মায় বিপৎসীমা ধরা হয়েছে ২২ দশমিক শূন্য ৫ সেন্টিমিটার। বর্তমানে শূন্য দশমিক ৪৩ সেন্টিমিটার বিপৎসীমার নিচে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সদর উপজেলার নারায়ণপুর ও আলাতলি ইউনিয়নের ১ হাজার ১০০ পরিবার পানিবন্দী। শিবগঞ্জ উপজেলার পাঁকা ইউনিয়নের ২ হাজার, উজিরপুর ইউনিয়নের ৪৫০ ও দূর্লভপুর ইউনিয়নের ৩ হাজার পরিবার পানিবন্দী জীবন যাপন করছে।
কৃষি বিভাগ জানায়, পদ্মা নদীর পানি উপচে ফসলি জমি ডুবে গিয়ে কৃষকেরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। সদর উপজেলার ৯৫ হেক্টর ও শিবগঞ্জ উপজেলার ৩৬০ হেক্টর জমির ফসল পানিতে নিমজ্জিত। পাঁকা ইউনিয়নের বাসিন্দা আল আমিন বলেন, এসব এলাকার বহু ঘরবাড়ি এখন পানিতে হাবুডুবু খাচ্ছে। ধানসহ বিভিন্ন ফসল ডুবে গেছে। স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে।
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত আরেক বাসিন্দা মো. পলাশ বলেন, ‘আমার বাড়ির সামনে পানি। এক হাত পানি বাড়লে বাড়িতে ঢুকে যাবে। পানিবন্দী হওয়ায় যোগাযোগব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে।’ দূর্লভপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজম আলী বলেন, দোভাগী, ফিল্টের বাজার, নামোজগন্নাথপুর ও বাদশাপাড়ার নিম্নাঞ্চলের জমি ডুবে গেছে। প্রায় ৩ হাজার মানুষ পানিবন্দী।
শিবগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নয়ন মিয়া বলেন, বন্যার পানিতে ধান, ভুট্টা, শাকসবজি, হলুদসহ ৪২৭ হেক্টর জমির ফসল ডুবে গেছে। আগামী তিন দিন পানি বাড়লে এবং তারপর কমতে শুরু করলে কিছু ফসলের তেমন ক্ষতি হবে না। তবে পানি বেশি দিন থাকলে ক্ষতি হবে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুনাইন বিন জামান বলেন, পদ্মার বন্যায় আজ পর্যন্ত ৯৫ হেক্টর জমির ফসল সম্পূর্ণ নিমজ্জিত এবং ১৫০ হেক্টর জমির ফসল আংশিক নিমজ্জিত। এতে ৫১৩ কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জেছের আলী বলেন, নিচু এলাকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় শিবগঞ্জ উপজেলার ছয়টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ ও শ্রেণিকক্ষে পানি ঢুকেছে। ফলে পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। আপাতত আশপাশের উঁচু জায়গায় পাঠদান কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড চাঁপাইনবাবগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী এস এম আহনাস হাবীব বলেন, সোমবার বেলা পৌনে ৩টা পর্যন্ত পদ্মায় শূন্য দশমিক ৪৩ সেন্টিমিটার বিপৎসীমার নিচে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। আরও তিন দিন পানি বাড়বে। বিপৎসীমা অতিক্রমের আশঙ্কা রয়েছে। শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আজাহার আলী বলেন, এই উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের সাড়ে ৭ হাজার মানুষ পানিবন্দী। আজ ৫০০ পরিবারকে শুকনা খাবার দেওয়া হচ্ছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম বলেন, ‘নারায়ণপুর ও আলাতলি ইউনিয়নের ৫০০ থেকে ৭০০ পরিবার পানিবন্দী হয়ে ক্ষতির মুখে রয়েছে। আগামী বুধবার সরেজমিনে নারায়ণপুরে ত্রাণ বিতরণ করব। আলাতলিতে চেয়ারম্যানের মাধ্যমে ত্রাণ পৌঁছে দেব।’
টানা বৃষ্টি আর উজানের ঢলে পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলার চরাঞ্চল ডুবে গেছে। এতে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে পাঁচটি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের সাড়ে ৬ হাজার পরিবার।
জানা গেছে, চরাঞ্চলের এসব এলাকায় ফসলি জমি, ছয়টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ ও শ্রেণিকক্ষে পানি ঢুকে যাওয়ায় পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। এ ছাড়া প্লাবিত এলাকার মানুষের যোগাযোগব্যবস্থা দুর্বল হয়ে পড়েছে, স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, পদ্মায় বিপৎসীমা ধরা হয়েছে ২২ দশমিক শূন্য ৫ সেন্টিমিটার। বর্তমানে শূন্য দশমিক ৪৩ সেন্টিমিটার বিপৎসীমার নিচে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সদর উপজেলার নারায়ণপুর ও আলাতলি ইউনিয়নের ১ হাজার ১০০ পরিবার পানিবন্দী। শিবগঞ্জ উপজেলার পাঁকা ইউনিয়নের ২ হাজার, উজিরপুর ইউনিয়নের ৪৫০ ও দূর্লভপুর ইউনিয়নের ৩ হাজার পরিবার পানিবন্দী জীবন যাপন করছে।
কৃষি বিভাগ জানায়, পদ্মা নদীর পানি উপচে ফসলি জমি ডুবে গিয়ে কৃষকেরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। সদর উপজেলার ৯৫ হেক্টর ও শিবগঞ্জ উপজেলার ৩৬০ হেক্টর জমির ফসল পানিতে নিমজ্জিত। পাঁকা ইউনিয়নের বাসিন্দা আল আমিন বলেন, এসব এলাকার বহু ঘরবাড়ি এখন পানিতে হাবুডুবু খাচ্ছে। ধানসহ বিভিন্ন ফসল ডুবে গেছে। স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে।
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত আরেক বাসিন্দা মো. পলাশ বলেন, ‘আমার বাড়ির সামনে পানি। এক হাত পানি বাড়লে বাড়িতে ঢুকে যাবে। পানিবন্দী হওয়ায় যোগাযোগব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে।’ দূর্লভপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজম আলী বলেন, দোভাগী, ফিল্টের বাজার, নামোজগন্নাথপুর ও বাদশাপাড়ার নিম্নাঞ্চলের জমি ডুবে গেছে। প্রায় ৩ হাজার মানুষ পানিবন্দী।
শিবগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নয়ন মিয়া বলেন, বন্যার পানিতে ধান, ভুট্টা, শাকসবজি, হলুদসহ ৪২৭ হেক্টর জমির ফসল ডুবে গেছে। আগামী তিন দিন পানি বাড়লে এবং তারপর কমতে শুরু করলে কিছু ফসলের তেমন ক্ষতি হবে না। তবে পানি বেশি দিন থাকলে ক্ষতি হবে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুনাইন বিন জামান বলেন, পদ্মার বন্যায় আজ পর্যন্ত ৯৫ হেক্টর জমির ফসল সম্পূর্ণ নিমজ্জিত এবং ১৫০ হেক্টর জমির ফসল আংশিক নিমজ্জিত। এতে ৫১৩ কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জেছের আলী বলেন, নিচু এলাকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় শিবগঞ্জ উপজেলার ছয়টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ ও শ্রেণিকক্ষে পানি ঢুকেছে। ফলে পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। আপাতত আশপাশের উঁচু জায়গায় পাঠদান কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড চাঁপাইনবাবগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী এস এম আহনাস হাবীব বলেন, সোমবার বেলা পৌনে ৩টা পর্যন্ত পদ্মায় শূন্য দশমিক ৪৩ সেন্টিমিটার বিপৎসীমার নিচে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। আরও তিন দিন পানি বাড়বে। বিপৎসীমা অতিক্রমের আশঙ্কা রয়েছে। শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আজাহার আলী বলেন, এই উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের সাড়ে ৭ হাজার মানুষ পানিবন্দী। আজ ৫০০ পরিবারকে শুকনা খাবার দেওয়া হচ্ছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম বলেন, ‘নারায়ণপুর ও আলাতলি ইউনিয়নের ৫০০ থেকে ৭০০ পরিবার পানিবন্দী হয়ে ক্ষতির মুখে রয়েছে। আগামী বুধবার সরেজমিনে নারায়ণপুরে ত্রাণ বিতরণ করব। আলাতলিতে চেয়ারম্যানের মাধ্যমে ত্রাণ পৌঁছে দেব।’
টানা বৃষ্টি আর উজানের ঢলে পদ্মা নদীতে বৃদ্ধি পাচ্ছে পানি। এতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলার চরাঞ্চল ডুবে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে পাঁচটি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের সাড়ে ৬ হাজার পরিবার। অন্যদিকে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের পদ্মার চরের নিম্নাঞ্চলের আবাদি জমি ও চলাচলের রাস্তা ডুবে গেছে। ইতিমধ্যে রামকৃষ্ণপুর
৬ মিনিট আগেরংপুরের তারাগঞ্জে গণপিটুনিতে শ্বশুর রূপলাল দাস (৪৫) ও জামাই প্রদীপ লালের (৩৫) প্রাণহানির পেছনে আইনশৃঙ্খলাহীনতাকে দুষছেন স্থানীয় লোকজন। তাঁরা বলছেন, গত কয়েক দিনের চুরি, ছিনতাই ও হত্যাকাণ্ড-সংশ্লিষ্ট অপরাধের কারণে স্থানীয় জনতার ভেতর মবের মনোভাব তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি পুলিশও সেভাবে তৎপর নয়। এসব কারণেই শ্
১৩ মিনিট আগেশেরপুরের গারো পাহাড়ে মানুষের বিচরণ বাড়ার পাশাপাশি কমতে শুরু করেছে বন-জঙ্গল। এতে সেখানে বন্য হাতির জীবন সংকটে পড়েছে। প্রায়ই নানা ঘটনায় প্রাণ হারিয়ে গারো পাহাড় থেকে বিলুপ্তের পথে বিশালাকৃতির এই প্রাণী। এদিকে হাতি-মানুষের দ্বন্দ্বে প্রাণ হারাচ্ছে মানুষও। গত ৩০ বছরে শেরপুরে হাতি-মানুষের দ্বন্দ্বে জেলায়
১৭ মিনিট আগে২০২০ সালের ২৪ নভেম্বর একনেক সভায় পাস হয় যশোর-ঝিনাইদহ মহাসড়কের ৪৭ দশমিক ৪৮ কিলোমিটার সড়ক ছয় লেনে উন্নীতকরণের প্রকল্প। ৪ হাজার ১৮৭ কোটি ৭০ লাখ টাকার এ প্রকল্পের মেয়াদ নির্ধারিত হয় ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর। কিন্তু ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতায় বাড়ানো হয়েছে প্রকল্পের মেয়াদ ও মূল্য।
২২ মিনিট আগে